OrdinaryITPostAd

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও দাম জেনে নিন!

পুরুষদের জন্য পুরুষাঙ্গে চুলকানি অনেক বিরক্তিকর এবং সেনসিটিভ সমস্যা। তাই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম ও চিকিৎসার উপায় জানা অনেক জরুরী। অনেকেই এরকম সমস্যায় লজ্জার কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না বা কারও সাথে শেয়ার করতে পারে না। এতে করে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। সেই সাথে পুরুষদের কিছু সংবেদনশীল সমস্যা যেমন পুরুষাঙ্গের চর্মরোগ ও এর প্রতিকার, পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, পুরুষাঙ্গ ফুলে গেলে করনীয় কি এবং অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দূর্বল পুরুষাঙ্গকে সবল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। 

অনুচ্ছেদ সূচি ( যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন) 

১.পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় বলতে হলে আমাদের প্রথমেই বলতে হয় ক্রিম ও ওষুধের কথা। ত্বকে যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে ক্রিম হলো উত্তম প্রতিষেধক। আরৃটিকেলের এই অংশে তাই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব।

  1. Lamisil Cream : এই ক্রিমটি জক ইচ বা পুরুষাঙ্গের চুলকানি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে ত্বকে হওয়া প্রদাহেও এটি ব্যবহার করা হয়।এটি ব্যবহারের পূর্বে আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।তারপর পরিষ্কার হাতে পরিমান মত নিয়ে আক্রান্ত স্থানের উপর একটি পাতলা আবরনের মত প্রলেপ দিয়ে লাগাতে হবে।দিনে একবার বা দুইবার ব্যবহার করতে হবে। এই ঔষধ শুধুমাত্র ত্বকে ব্যবহারের জন্য। চোখ,মুখে এটি ব্যবহার করা যাবে না। মেয়েদের যোনিতে চুলকানি হলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এর বাজারদর ৭৫ টাকা। বাজারে এটি Terbifin নামেওপাওয়া যায়। 
  2. Lotrimin Cream : এই ক্রিমটিও ত্বকের ইনফেকশন এবং পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা জক ইচ রোগে ব্যবহৃত হয়।এটি একটি এন্টি ফাংগাল ক্রিম যা ত্বকের সংক্রমণ দূর করে এবং ইনফেকশনের কারনে হওয়া কালো দাগ মুছে ফেলতেও সাহায্য করে। আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে তারপর এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে। এটি পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়, মহিলাদের যোনিতে চুলকানি হলে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্রিম দিনে দুইবার এবং প্রতিদিন একই সময়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।ইনফেকশনের ধরণের উপর নির্ভর করে এর ডোজ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করাই উত্তম। এই ক্রিমের দাম ৩৫ টাকা।
  3. Micatin Cream : এটি একটি এন্টিফাংগাল ক্রিম যা ত্বকের ইনফেকশন,গোলকৃমির সংকৃমির সংক্রমণে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষত এবং পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা জক ইচ রোগে ব্যবহৃত হয়। ইনফেকশনের কারনে হওয়া কালো দাগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে তারপর এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে। এটি পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়, মহিলাদের যোনিতে চুলকানি হলে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্রিম দিনে দুইবার এবং প্রতিদিন একই সময়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। বাজারে এই ক্রিমের দাম ৬০ টাকা। এই ক্রিমের স্প্রে ফর্ম ও পাওয়া যায়। স্প্রে  ব্যবহার করলে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই বোতল ঝাকিয়ে নিতে হবে। 
  4. Cortisone Cream : এটি ত্বকে এলার্জি জনিত কারণে হওয়া চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়। নাভির নিচে চুল কাটার পরও অনেক সময় পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। এসব এলার্জিজনিত চুলকানি নিরাময়ে এই ক্রিম ব্যবহার করা হয়। দিনে ৩/৪ বার করে ৭ দিন এই ক্রিম ব্যবহার করলেই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর হয়ে যাবে। সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও এই ক্রিম ব্যবহার করা যায় কেননা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই ক্রিমের দাম ৬৫ টাকা। বাংলাদেশে এই ক্রিমটি বহুল ব্যবহৃত হয়। 
  5. Fungiderm cream : পুরুষাঙ্গে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলে যে সংক্রমণের সৃষ্টি হয় তা থেকে নিরাময় পেতে এই ফাঙ্গিডার্ম ক্রিমটি চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন। এটি ছত্রাক সংক্রমণকে বাঁধা দিয়ে আক্রান্ত স্থান শুকিয়ে ফেলে। সাধারণত ফাঙ্গাস আক্রমণের শিকার হয়ে যখন উরুর ভাঁজে, নিতম্বে, দুই পায়ের কুচকিতে এবং গোপনাঙ্গে প্রচন্ড চুলকানির হয় তখনই এই ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এধরনের সংক্রমণের জন্য এই ক্রিম অত্যন্ত কার্যকর। দিনে ২/৩ বার আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করে এই ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। এটি ব্যবহারে ত্বকে সামান্য লাল লাল ভাব ও জ্বালা অনুভব হতে পারে সামান্য সময়ের জন্য তবে এটি কোনো সমস্যা নয়। এই ক্রিমের দাম ৫০ টাকা। 
  6. Clotrimazole cream:  এই ক্রিমটি ক্যানডিডা নামক ছত্রাকের আক্রমনে হওয়া পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটির স্প্রে ফর্মও পাওয়া যায়। তবে এটি ১২ বছরের নীচের কোনো শিশুর জন্য ব্যবহার করা যাবে না। মহিলাদের যোনিতে চুলকানি হলেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
  7. ketoconazole : এটি একটি ফাঙ্গাল ওষুধ। ঈষ্ট নামক ছত্রাকের আক্রমন দ্বারা সৃষ্ট ত্বকের পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য এই ক্রিমটি ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু চুলকানি দূর করাই নয় বরং পুনরায় চুলকানি সৃষ্টিকারী ঈষ্ট নামক ছত্রাকের ফিরে আসা রোধ করতে পারে। ১২ বছরের নীচে কোনো শিশুর ক্ষেত্রে এই ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্রিমটি আক্রান্ত স্থানে দিনে ২ থেকে ৩ বার করে ২ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণ জটিল হলে ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হতে পারে। এটি ব্যবহারে ত্বকে কিছুটা জ্বালাপোড়া ও লাল হতে পারে।
উপরোক্ত ক্রিমগুলোর বিবরণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পুরুষাঙ্গে হওয়া চুলকানির কারনের উপর নির্ভর করে এগুলো ব্যবহার করতে হয়। তাই ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে কি কারণে চুলকানি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই কারণ নির্ধারন করা সম্ভব নয়। কেননা ব্যবটেরিয়া, ফাঙ্গাস খালি চোখে দেখা যায় না। তাই পুরুষাঙ্গে চুলকানি হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার সংক্রমণের ধরন দেখে যে ক্রিমটি ব্যবহার করতে বলবেন সেটিই ব্যবহার করা উচিৎ। অন্যথায় অনেক রকম সমস্যা হতে পারে।

.পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করার ঔষধ 

পুরুষদের পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছি এখন আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ট্যাবলেটের নাম ব্যবহারের নিয়ম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ট্যাবলেট :  ছত্রাকের সংক্রমণ হলে এন্টিফাংগাল ঔষধ যেমন 
  • Nizoral : এই ট্যাবলেটটি ঈষ্ট নামক ছত্রাকের আক্রমনে হওয়া পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারের নির্দেশ অনুসারে এই ওষুধটি সাধারণত দিনে একবার খেতে হয়। ওষুধটি খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়াই খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু খাবারের সাথে এটি গ্রহণ করলে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ডাক্তার যদি ঔষধটির সাথে অ্যান্টাসিড গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে তবে অ্যান্টাসিড নেওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা আগে বা ১ ঘন্টা পরে nizoral  ট্যাবলেটটি খেতে হবে।  চিকিৎসা সম্পূর্ণ হতে কয়েক দিন থেকে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
  • Tioconazole: বিভিন্ন ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমণের চিকিৎসায় এই ট্যাবলেটটি ব্যবহার করা হয়। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য এটি উপকারী। তবে মেয়েদের জন্যও এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। দিনে দুইবেলা করে চুলকানি দূর না হওয়া পর্যন্ত এই ট্যাবলেট খেতে হয়। 
  • Fluconazole : এই ঔষধটি গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করতে অনেক কার্যকরী। ট্যাবলেটটি প্রতিদিন রাতে ১ করে  ৩ থেকে ৫ দিন খেতে হয়। তবে ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 
  • fexofenadine, 
  • loratadine ট্যাবলেট সেবন করলেও পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর হয়।
আরও পড়ুনঃ পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম

৩.পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা জক ইচ একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টিপস নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো অনুসরণ করলে এই অস্বস্তিকর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় :
  • বেকিং সোডা দিয়ে গোসল: ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কারণে চুলকানি হলে এবং তার পাশাপাশি আরো কিছু চুলকানির ক্ষেত্রে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী। তাই গোসলের পানিতে হালকা বেকিং সোডা বা খাওয়ার সোডা মিশিয়ে গোসল করলে তা চুলকানি দূর করাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
  • নারিকেল তেলের ব্যবহার: ছত্রাকের সংক্রমণ রোধে শরীর ও গোপনাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি চুলকানির দূরীকরনে বেশ কার্যকরী।
  • প্রোবায়োটিক খাবার: প্রোবায়োটিক খাবার হচ্ছে এক ধরনের খাদ্য আঁশযুক্ত খাবার। প্রোবায়োটিক খাবারগুলো ত্বকে ছত্রাকের  সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকরী। প্রবায়োটিক খাবার গুলো হল দই, কম্বুচা, কিসমিস, দোসা, ঘোল, কেফির,আচার ইত্যাদি।
  • সীডার ভিনিগার:   গরম জলের সাথে দুই টেবিল চামচ সিডার ভিনিগার মিশিয়ে যৌনাঙ্গ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। পুরুষদের যৌনাঙ্গের চুলকানি থেকে নিস্তার পেতে সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণের ব্যবহার করতে হবে।
  • ঠান্ডা ঠান্ডা বরফ: চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই এর জন্য বরফ বা বরফ- ঠান্ডা জলে সেঁক দিতে হবে। রাতের বেলা যখন এই চুলকানি তীব্রতা খুব বৃদ্ধি পায় তখন এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকরী।
  • বিশেষ সতর্কতা:  চুলকানির স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। কোন অবস্থাতেই অপরিষ্কার থাকা যাবে না। গোসলের সময় জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে, এবং অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সাবানটি যেন পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্যবহার না করে। এতে তারাও আক্রান্ত হবে।
  • রসুন: অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে রসুনের জুড়ি নেই। কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে। রসুন ছত্রাক নিরাময়ে খুব কার্যকরি।
  • টি ট্রি অয়েল : চা গাছের তেলে রয়েছে ছত্রাকবিরোধী গুণাগুন। পুরুষাঙ্গে চুলকানি হলে এই তেল ব্যবহার করা যায়। এতে করে চুলকানি দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ফোলাভাব ও জ্বালাপোড়া কমে যায়। সেই সাথে টি ট্রি অয়েলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের দাদরোগের নিরাময়কে ত্বরান্বিত করে। তাই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে টি ট্রি অয়েল বা চা পাতার তেল অনেক উপকারী। 
  • ইউক্যালিপটাস অয়েল: ইউক্যালিপটাস গাছ ও এর পাতা থেকে উৎপন্ন তেল অনেক উপকারী।  এর রয়েছে এন্টিসেপ্টিক গুণ যা ত্বকের ক্ষত এবং সংক্রমণ সারাতে কাজ করে। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েলের সাথে কয়েকফোটা ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
  • বিটার অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল : বিটার অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েলে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিসেপ্টিক গুণ যা ত্বকের সংক্রমণ, প্রদাহ ও ক্ষত নিরাময়ে অনেক বেশি কার্যকরী। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করতে এবং প্রতিরোধ করতে এই তেল ব্যবহার অনেক উপকারী। 
  • পিপারমেন্ট অয়েল : ত্বকের সংক্রমণ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া এবং ফোলা ও ক্ষত নিরাময়ে পিপারমেন্ট অয়েল অনেক বেশি কার্যকরী। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করতে এবং প্রতিরোধ করতে এই তেল ব্যবহার অনেক উপকারী।  
উপরোল্লিখিত পদ্ধতি সমূহের মধ্যে যেকোন একটি বা একাধিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ঘরোয়াভাবে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করা যায়। 
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের সেক্স ট্যাবলেট

৪.পুরুষাঙ্গে চুলকানি হওয়ার কারণ 

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি পুরুষাঙ্গে যেসব কারনে চুলকানি হয় তা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিভিন্ন কারণে পুরুষাম্গে চুলকানি হতে পারে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা পুরুষাঙ্গে চুলকানি হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব যাতে এসব কারণ থেকে বেঁচে থাকার মাধ্যমে চুলকানি প্রতিরোধ করা যায়।

পুরুষাঙ্গে চুলকানি হওয়ার কারণ হলো -
  • বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমনে পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে যেমন : ট্রাইকোফাইটন রুব্রাম, এপিডার্মোফাইটন ফ্লোকোসাম, ট্রাইকোফাইটন মেন্টাগ্রোফাইট, ট্রাইকোফাইটন ভেরুকোসাম, ট্রাইকোফাইটন ইন্টারডিজিটেল, ক্যানডিডা এলবিক্যান্স ইত্যাদি। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে এসব ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। এছাড়াও এসব ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক যেসব জায়গায় থাকে সেসব জায়গায় গেলেও সংক্রমণ হতে পারে।
  • একজনের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে, পোষাক, সাবান, আন্ডারওয়্যার ইত্যাদি অন্যজন ব্যবহার করলেও পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। তাই অন্যজনের সাথে ব্যবহার্য কোনো জিনিস শেয়ার না করাই উত্তম।
  • যারা অত্যধিক মোটা বা স্থুলতা রয়েছে তাদের এই ঝুকি বেশি থাকে।
  • পোষাক থেকে ঘষা এবং অত্যধিক থামের কারণেও পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে।
  • যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্র ক্ষত ও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। সেই সাথে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও থাকে অনেক কম। তাই যেসব পুরুষের ডায়েবিটিস রয়েছ তাদের পুরুষাঙ্গে চুলকানি হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
পুরুষাঙ্গের চুলকানির চিকিৎসা করার আগে অবশ্যই চুলকানির কারন শনাক্ত করতে হবে। কেননা চুলকানির কারন নির্মুল না হলে চিকিৎসার পর পুনরায় তা সংক্রমণ করতে পারে। তাই চুলকানির চিকিৎসার পাশাপাশি পুনরায় যাতে চুলকানি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

.পুরুষাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ

কিছু জিনিস খেয়াল রাখার মাধ্যমে জক ইচ বা পুরুষাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার পাশাপাশি চুলকানি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পুরুষাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ করার উপায়: 
  • রঙীন ও সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • বেশি বেশি দই খেতে হবে, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা যৌনাঙ্গকে সুরক্ষা দেয়।
  • সুতি কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস (আন্ডারওয়্যার)  পড়তে হবে। সিনথেটিক অন্তর্বাস পড়লে ইচিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • ওজন কমাতে হবে।
  • সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।
  • পুরুষাঙ্গ আর্দ্র ও ভেজা রাখা যাবে না।
  • সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করতে হবে।
  • নিয়মিত গোসল করতে হবে। ব্যক্তিগত হাইজিন মেনে চলতে হবে।
  • ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে, আন্ডারওয়্যার, ব্লেড, রেজার এগুলো কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না।       

৬.পুরুষাঙ্গে চুলকানি কি ছোঁয়াচে রোগ 

অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে যে পুরুষাঙ্গের চুলকানি কি যৌনবাহিত রোগ নাকি কিংবা পুরুষাঙ্গের চুলকানি ছোঁয়াচে রোগ কি না। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসার উপায় জানার পাশাপাশি আমাদের এই বিষয়েও আলোচনা করতে হবে। 

ছোঁয়াচে রোগ হলো সেসব রোগ যেগুলো ধরা, ছোঁয়া কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে হয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গের চুলকানি ছোঁয়াচে রোগ। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হয় বলে বেশি ছোঁয়াচে হিসেবে ধরা হয়। তবে যে ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ চুলকানি রয়েছে তার শরীরের যেকোনো অংশ বা ঐ ব্যক্তির যেকোন ব্যবহার্য জিনিস ধরলেই রোগ সংক্রমণ ঘটবে ব্যাপারটা এমন না। আক্রান্ত স্থানে সরাসরি সংস্পর্শে (যৌনমিলন কিংবা অন্য কোনো কারণে) আসলে এই রোগ এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। আবার আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত টয়লেট সামগ্রী, তোয়ালে, আন্ডারওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করলেও এই রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে বসবাস করলে, এক সাথে খাবার খেলে৷ এই রোগ ছড়ায় না। চুলকানি এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হওয়ার পূর্বশর্ত হলো সংস্পর্শে আসা। তাই বলা যায় পুরুষাঙ্গের চুলকানিও এক রকম ছোঁয়াচে রোগ।

৭.পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করনীয়

প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয় বিভিন্ন কারনে। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি৷ এখন আমরা পুরুষাঙ্গে চুলকানি হওয়ার একটি অন্যতম কারণ মূত্রনালীর ইনফেকশন নিয়ে কথা বলব যে ইনফেকশনের কারনে পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়। 

প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়ার বিভিন্ন কারন রয়েছে। যেমন - ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী এবং ছত্রাকের সংক্রমণ। এছাড়াও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারনেও মূত্রনালীর ইনফেকশন হয় যার ফলে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হয়। পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে করনীয় -
  • ঔষধ : প্রথমত এমতাবস্থায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তার যেসব ঔষধ দেবে তা নিয়মিত সেবন করলেই এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। যেসব ঔষধ ডাক্তাররা দিয়ে থাকে তা হলো : Trimethoprim 200 mg দিনে দুইবার, Coamoxyclav 200/125 mg দিনে তিনবার, Ciprofloxacin  100 mg দিনে দুইবার করে ১০ দিন। এছাড়াও একটি এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়। এসব ঔষধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।
  • পানি পান করা : প্রসাবের ইনফেকশন দূর করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। এতে কিডনিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় এবং মূত্রনালী থেকে ব্যাক্টেরিয়া চলে যায়। দিনে ২ লিটারের বেশি পানি পান করতে হবে। 
  • নিয়মিত মূত্রত্যাগ : নিয়মিত মূত্রাত্যাগ প্রসাবের ইনফেকশন দূর করতে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। দিনের বেলা ৩ ঘন্টা পর পর এবং রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই মূত্রত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও প্রসাবের বেগ আসলে তা চেপে রাখা যাবে না। এতে কিডনির ক্ষতি হয়।
  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবীধি: ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমাতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যেমন : সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, পরিষ্কার এবং জীবণুমুক্ত অন্তর্বাস পরিধান, যত্রতত্র মূত্রত্যাগ না করা এবং একাধিক যৌন সঙ্গী না রাখা ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। 
  • খাবার : কিছু খাবার এবং পানীয় মূত্রাশয়ে জ্বালাপোড়া করতে পারে যার ফলে প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া সহ অনেক মূত্রাশয়ের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে: কফি, চা এবং বুদবুদ সহ পানীয় (এমনকি ক্যাফিন ছাড়াই) মদ, সিগারেট এবং চকোলেট। এসব খাবার পরিহার করা অত্যন্ত জরুরি।

৮.পুরুষাঙ্গের চর্মরোগ ও প্রতিকার 

আর্টিকেলের শুরুতে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরুষাঙ্গে চুলকানি হলো পুরুষাঙ্গের চর্মরোগের লক্ষণ। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা পুরুষাঙ্গে যেসব চর্মরোগ হয় তাদের প্রতিকার ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব। 

পুরুষাঙ্গের চর্মরোগ এর মধ্যে রয়েছে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ি, এলার্জি ইত্যাদি। এসব রোগ নানা কারণে হতে পারে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমন, এলার্জি, ত্বকের রোগ এবং যৌনবাহিত রোগের জন্য হয়ে থাকে।এছাড়াও একজিমা, সোরিয়াসিস, এবং পেলাগ্রা সহ ত্বকের বিভিন্ন রোগ পুরুষাঙ্গের চর্ম রোগের কারণ হতে পারে। কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন : ডায়াবেটিস এবং ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা ও পুরুষাঙ্গের চর্ম রোগের কারণ হতে পারে।

পুরুষাঙ্গের চর্মরোগের যেসব লক্ষণ থাকে তা হলো: 

  • ফুসকুড়ি: পুরুষাঙ্গে ছোট, লাল, গোলাকার দাগ দেখা দেয় এগুলো ফুসকুড়ি এবং চর্মরোগের কারণে হয়ে থাকে।
  • চুলকানি: পুরুষাঙ্গের চুলকানি একটি কমন সমস্যা। এটিও চর্মরোগের কারণে হয়
  • জ্বালা: চর্মরোগের কারনে পুরুষাঙ্গে জ্বলন্ত বা ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। 
  • লালভাব: চর্মরোগের কারণে পুরুষাঙ্গের চামড়ার রঙ পরিবর্তন  হয়ে লালাভ হয়ে যায়।
  • প্যাপুলস ও ফলিকুলাইটিস: প্যাপুলস হল পুরুষাঙ্গের চামড়ায় ছোট, গোলাকার, উঁচু দাগ। আর ফলিকুলাইটিস হল পুরুষাঙ্গের চুলে লাল, ফোলা ভাব। ফলিকলের সংক্রমণের কারণে এরকম হয়।
  • পিলিং: পুরুষাঙ্গের চর্মরোগের কারণে চামড়ার স্তর ঝরে পড়ে। একে পিলিং বলে। এর ফলে চামড়ায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। 
পুরুষাঙ্গের চর্মরোগের চিকিৎসায় সাবানের বিকল্পে  ব্যারিয়ার ক্রিম এবং টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয়। এতেই অনেক রোগী  সুস্থ এবং নীরোগ হতে পারে। কিছু কিছু টপিকাল কর্টিকোস্টেরয়েড দিয়ে মাঝে মাঝে এসব চর্মরোগের বৃদ্ধি প্রতিহত করা যায়। যাদের অপ্রতিরোধ্য/অপ্রতিক্রিয়াশীল লাইকেন স্ক্লেরোসাস আছে তারা খৎতা করলে উপকার হয়। অন্যান্য যৌনবাহিত রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক, ফাঙ্গাল সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল, এবং ত্বকের রোগের জন্য মলম বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্র কার্যকরভাবে এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বিশেষভাবে বেঞ্জাথিন পেনিসিলিন জি (বা পেনিসিলিন জি পটাশিয়াম নিউরো সিফিলিসের জন্য), বা সেফট্রায়াক্সন, এবং যাদের গুরুতর পেনিসিলিন এলার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে ডক্সিসাইক্লিন  বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন দিয়ে চিকিৎসা করাহয়। তবে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে রোগের কারণের উপর। তাই এসব সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, সার্জারি বা লেজার থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। এর বাহিরে ডায়াবেটিস বা ইমিউন সিস্টেমের সমস্যার মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির চিকিৎসা করাও অত্যন্ত জরুরি। কেননা এতে পুরুষাঙ্গের চর্মরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

৯.পুরুষাঙ্গ ফুলে গেলে করনীয়

 অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষাঙ্গ ফুলে যায় তবে কোনো চুলকানি থাকে না কিংবা জ্বালাপোড়া হয় না। এসব ক্ষেত্রে পুরিষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসার উপায় প্রয়োগ করে কাজ হয় না। কেননা পুরুষাঙ্গ ফুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও অনেক কারণ জড়িত থাকতে পারে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা পুরুষাঙ্গ ফুলে গেলে করনীয় কি তা সম্পর্কে আলোচনা করব। 

বিভিন্ন কারণে পুরুষাঙ্গ ফুলে যেতে পারে। তবে আঘাতজনিত কারনেই এটা বেশি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণের কারণেও পুরুষাঙ্গ ফুলে যেতে পারে। পুরুষাঙ্গ ফুলে যাওয়ার সমস্যায় যেসব কাজ করার মাধ্যমে উপকার হয় তা হলো -
  • লিঙ্গে  ব্যাথা পেয়ে ফুলে যাওয়ার আগে  যা করছিলেন এবং যে কাজের জন্য এটা ঘটলো সেটা তক্ষুনি বন্ধ করুতে হবে। এমনকি এটা যদি যৌনমিলন করার সময় ঘটে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই কার্যক্রম কে বন্ধ করতে হবে। হস্তমৈথুনের সময় ঘটে থাকলে সেটাও তৎক্ষণাৎ বন্ধ করতে হবে। এছাড়া যদি হঠাৎ করে এমন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে ভালো করে ভেবে দেখুন যে ঠিক কি করার পর বা কোন সময় থেকে এই সমস্যাটি হচ্ছে। সেই কাজটি চিহ্নিত করতে পারলে তা পরিহার করতে হবে।
  • ঘরোয়া প্রতিকার: আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি লিঙ্গ কে ব্যথা, ফোলা এবং ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যার ক্ষেত্রে উপশম হিসেবে সাহায্য করে। ঠান্ডা জলে ভেজা একটি হাত তোয়ালে দিয়ে লিঙ্গ টিকে মুছতে হবে। আইস প্যাক ব্যবহারের সময় অত্যধিক ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য আইস প্যাক ও লিঙ্গের মাঝে একটি তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। এই ধরনের ঠান্ডা উপশম পেলে লিঙ্গ ব্যাথা তৎক্ষণাৎ কমতে শুরু করা করবে। 
  • লিঙ্গ ফোলা কমানোর তেল : Man 1 man তেলটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি লিঙ্গের  সুক্ষ্ম ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং যার দ্বারা এই ধরণের কষ্টের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই ও ব্যবহার করা যেতে পারে। শিয়া বাটার বা ভিটামিন ই, লিঙ্গের চামড়া মসৃণ করতে এবং ভাল ময়শ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। এতে করে লিঙ্গের ফোলাভাব কমে যায়। এছাড়াও  লিঙ্গের ত্বকে এমোলিয়েন্টযুক্ত ও প্রাকৃতিক হাইড্রোটের থাকবে এমন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো লিঙ্গের ব্যাথা বা জ্বালাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। ডাক্তাররা খুব সহজেই এমন ক্রিমের সাজেশন দিতে পারেন। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতীব জরুরি। 
  • পরিষ্কার থাকা : এলার্জির কারনে অনেক সময় লিঙ্গ ফুলে যেতে পারে। তাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।  তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই ধরণের সমস্যা সাধারণত এলার্জি প্রতিক্রিয়ার থেকে কমই হয়ে থাকে। তারপরও ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুতে হবে।
  • যদি উপরোল্লিখিত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা সত্ত্বেও লিঙ্গের যন্ত্রনা বা ফোলাভাব না কমলে বরং যন্ত্রনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয় তাহলে তক্ষুনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যে কোনো রকমের ক্ষত, জ্বালা ভাব, রক্ত পাত বা অন্যান্য যে কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে এবং তার সাথে যদি এই লিঙ্গ ব্যাথার বা সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে আর দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

১০.পুরুষাঙ্গের যত্ন কিভাবে নিতে হয়

পুরুষাঙ্গের যত্ন নেওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। সঠিকভাবে পুরুষাঙ্গের যত্ন নিলে পুরুষাঙ্গের চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়। আর্টিকেলের শুরুতে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার নিয়ম ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পর্যায়ে আমরা কিভাবে পুরুষাঙ্গের যত্ন নিতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। 

সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা ও যত্ন। যেভাবে পুরুষাঙ্গের যত্ন নেওয়া যায় তা হলো :
  • যৌনাঙ্গ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে হবে। গোসল এর সময় সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এবং গোসল করার পর শুকনো গামছা দিয়ে মুছতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হলে পরিষ্কার করে গোপনাঙ্গ মুছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের দ্বারা তৈরি হওয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস পায় অনেকটাই।
  • যৌনাঙ্গ দিনে অন্তত দুইবার পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার করা যায়। ভালো সুরক্ষা পেতে যৌনাঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার রাখার জন্য ইনটিমেট ওয়াস ব্যবহার করা যায়। এতে করে এই এলাকা পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি ph 3.5 বজায় থাকে।
  • পুরুষাঙ্গ সব সময় ঢেকে রাখার কারনে এবং দীর্ঘসময় জিন্স বা টাইট প্যান্ট পড়ার ফলে এই অঙ্গ গরমে ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। তাই এই অঙ্গ সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে পাউডার ব্যবহার করতে হবে। 
  • নিয়মিত পুরুষাঙ্গের অতিরিক্ত লোম পরিষ্কার করতে হবে। তবে পুরুষাঙ্গের অতিরিক্ত লোম বেশি শেভিং না করে কেটে ছোট করলেও হয়।
  • বেশি টাইট ফিটিং পোশাক পরিধান করা যাবে না। যথাসম্ভব ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে হবে এবং অধিক সময় অন্তর্বাস পরিধান পরিহার করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুতি অন্তর্বাস পরিধান করা। এটা অনেক আরামদায়ক এবং যৌনাঙ্গের স্বাস্থের জন্য ভালো।
  • খাবারের তালিকায় এমন কিছু খাবার যোগ করতে হবে যা যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে।  প্রতিদিন কিছু পরিমাণে রঙিন ফলমূল ও শাক সবজি খেতে হবে। যেমন - মিষ্টি আলু, মিষ্টি আলুকে বলা হয় সেক্স ফুড। এটি সেক্স হরমোন বৃদ্ধিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কফি, ডার্ক চকলেট, পুরুষাঙ্গের যত্ন নেওয়ার জন্য খাদ্যতালিকায় রাখা যায়।
  • সহবাসের ক্ষেত্রে সঙ্গী কে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং সহবাসের পর যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে হবে। কনডম পরিধান করা অত্যন্ত জরুরি। এতে যৌনরোগ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যকেও রক্ষা করা যায়। সর্বপরি অধিক যৌনসঙ্গী না রাখার চেষ্টা করতে হবে।

১১.সুস্থ পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য কী কী

পুরুষাঙ্গ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখা অনেক জরুরি। কেননা পুরুষদের জন্য এটি একটি বিশেষ অঙ্গ। আর্টিকেলের শুরুতে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করছি। এখন আমরা একটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব। 

কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দেখে বোঝা যায় একটি পুরুষাঙ্গ সুস্থ রয়েছে কি না। সেসব বৈশিষ্ট্য হলো:
  • আকার ও আকৃতি : সুস্থ পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক আকার এবং আকৃতি থাকে। worlddatainfo এর মতে  বাংলাদেশি পুরুষদের পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৪.৪ ইঞ্চি বা ১১.২ সেমি। কিছু কারনে এর আকার আকৃতিতে সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন জিনগত বৈশিষ্ট্য, জলবায়ু, স্বাস্থ্য ইত্যাদি। তবে তখনও একে স্বাভাবিক বলা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো চরম বিচ্যুতি বা অস্বাভাবিকতা না দেখা যায় ততক্ষণ পর্যন্ত পুরুষাঙ্গের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছে বলে ধরা হয়।
  • ইরেক্টাইল ফাংশন :  যৌন উত্তেজনায় উত্তেজিত হলে একটি সুস্থ লিঙ্গ ইরেকশন অর্জন করে বা ঝজু হয় (টানটান হয়ে যায়) এবং এই ইটেকশন বজায় রাখতে সক্ষম হয়। কিন্তু লিঙ্গের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হয় অর্থাৎ লিঙ্গ ঝজু রাখতে অক্ষম হয়। তাই সুস্থ লিঙ্গের বৈশিষ্ট্য হলো যৌন উত্তেজনার সময় ইরেক্টাইল ফাংশন ধরে রাখা।
  • মসৃণ ত্বক : মসৃণ ত্বক হলো লিঙ্গের স্বাভাবিক থাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। একটি সুস্থ পুরুষাঙ্গের ত্বক সাধারণত মসৃণ হয় এবং ফুসকুড়ি , ক্ষত, বা অস্বাভাবিক রিংকেল মুক্ত হয়। লিঙ্গের ত্বকে যেকোনো পরিবর্তন যেমন চুলকানি, জ্বালাভাব, ঘা, লালভাব, র‍্যাশ কিংবা ছত্রাকের সংক্রমণ হলে বুঝতে হবে পুরুষাঙ্গের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক নয় এবং চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে।
  • ব্যথামুক্ত : সুস্থ পুরুষাঙ্গ হবে ব্যথা ও অস্বস্তিমুক্ত। প্রসাব, যৌনমিলন, বা হস্তমৈথুনের মতো স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের সময় পুরুষাঙ্গে যদি ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হয় তাহলে বুঝতে হবে লিঙ্গের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক নয়। এছাড়াও লিঙ্গের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটলে প্রসাবের স্বাভাবিক প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে৷ তাই সুস্থ স্বাভাবিক লিঙ্গের এসব বৈশিষ্ট্য থাকা যাবে না।
  • অস্বাভাবিক স্রাবের  অনুপস্থিতি : সুস্থ পুরুষাঙ্গে সাধারণত কোন অস্বাভাবিক এবং দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব যেমন পুঁজ, রক্ত বা অন্য যেকোনো দুর্গন্ধযুক্ত  তরল নির্গত হলে লিঙ্গেরidভাবিক স্বাস্থ্য ব্যাহত হয়েছে বলে ধরা হয়। একটি সুস্থ স্বাভাবিক লিঙ্গে কখনও এমন অস্বাভাবিক স্রাব নির্গত হয় না।

১২.দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করার উপায়

বর্তমান সময়ে দূর্বল পুরুষাঙ্গ একটি অতি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই অনেকেই দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করার উপায় ও ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চান। যদিও আমরা আজকের আর্টিকেলে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার নিয়ম ও চিকিৎসার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি, তবুও দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করার উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করব। কেননা এই সমস্যাটি বর্তমানে অনেক গুরুতর হয়ে দাড়িয়েছে।

দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করতে হলে প্রথমেই পুরুষাঙ্গ দূর্বল কেন হয়েছে তা জানতে হবে। সঠিক কারণটি খুজে বের করে তার চিকিৎসা করলেই দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করা সম্ভব। বেশ কিছু কারণে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়। যেমন - 
  • রোগ : বিশেষ কিছু রোগ রয়েছে যার কারনে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়। যার মধ্যে রয়েছে হৃদযন্ত্রের রোগ; উচ্চরক্তচাপ,  ডায়াবেটিস; স্নায়ুতাত্ত্বিক সমস্যা, হাইপোগোনাডিসম ইত্যাদি।
  • মাদক সেবন : মাদকের প্বার্শপ্রতিক্রিয়াও পুরুষাঙ্গকে দূর্বল করে দিতে পারে। এতে করে ধীরে ধীরে যৌন স্বাস্থের অবনতি হয়ে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায় এবং পুরুষ অক্ষম হয়। 
  • প্রোস্টেটেকটমি: অনেক সময় প্রস্টেকটমি অপারেশনের কারনেও পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়।  প্রোস্টেটেক্টমি হল প্রোস্টেটের আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণের জন্য একটি অপারেশন পদ্ধতি। এটি প্রোস্টেট ক্যান্সার বা প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার চিকিৎসায় করা হয়।
  • ঔষধ : কিছু কিছু ঔষধ সেবন করার কারনে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়। এসব ঔষধের মধ্যে রয়েছে সিলেক্টিভ সিক্রোটিনিন রিআপটেক ইনহিবিটর, আলফা২ এন্ড্রেনার্জিক রিসেপ্টর এগোনিস্টস, থায়াজাইডস, হরমোন মডুলেটর, এন্টিডিপ্রেসেন্ট এবং এন্টিকোলেনার্জিক। এসব ঔষধ দীর্ঘ দিন সেবনের ফলে দেহের হরমোনাল ডিসফাংশন হয় এবং পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়। 
  • বয়স : বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে। সেই সাথে পুরুষাঙ্গের পেশী এবং রক্তনালি  দূর্বল হয়ে যায়। ফলে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে পড়ে। চল্লিশ বছর বয়সের পর পুরুষাঙ্গ ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ষাট বছর বয়সে তা চারগুণ কমে যায়। 
  • স্ট্রেস এবং মানসিক সমস্যা : মানসিকভাবে সুস্থ না হলে এবং স্ট্রেস থাকলে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়। সেই সাথে কিছু মানসিক সমস্যা যেমন টেম্পোরাল লোব মৃগী, একাধিক স্ক্লেরোসিস, পারকিনসন রোগ, একাধিক সিস্টেম এট্রফি, ক্যাভারনোসল ব্যাধি, পেরোনি রোগ ইত্যাদি থাকলেও পুরুষাঙ্গের স্নায়ু দূর্বল হয়ে পুরুষাঙ্গ উত্থানে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও কিছু মানসিক কারন যেমন মানসিক চাপ, মানসিক ব্যাধি এবং উদ্বেগের কারনে পুরুষাঙ্গ দূর্বল হয়ে যায়। 
দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করতে প্রথমেই কারন শনাক্ত করতে হবে। এই কাজটা অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর মাধ্যমে করতে হবে। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি যেসব কাজ করলে দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল হয় তা হলো- 
  • ঔষধ :  সিলডেনাফিল (ভায়াগ্রা), Tadalafil (Adcirca, Cialis), ভার্দেনাফিল (লেভিট্রা, স্ট্যাক্সিন), আভানাফিল (স্টেন্দ্র)। এই চারটি ওষুধই নাইট্রিক অক্সাইডের প্রভাব বাড়ায়। এগুলো লিঙ্গের পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং রক্ত ​​​​প্রবাহ বৃদ্ধি করে যৌন উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির মাধ্যমে দূর্বল লিঙ্গকে সবল করে। এছাড়াও Alprostadil self-injection; Alprostadil urethral suppository ; এবং Testosterone replacement এর চিকিৎসার মাধ্যমেও দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করা হয়। তবে এসব ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • সার্জারী : বর্তমানে সার্জারীর মাধ্যমেও দূর্বল পুরুষাঙ্গকে সবল করা যায়। যেমন : Penis pumps যা হলো একটি ভ্যাকুয়াম ইরেকশন ডিভাইস। এটি একটি ফাঁপা টিউব এবং হাত চালিত বা ব্যাটারি চালিত পাম্প রয়েছে।  টিউবটি লিঙ্গের উপরে স্থাপন করা হয় এবং তারপরে পাম্পটি টিউবের ভিতরের বাতাস চুষতে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ভ্যাকুয়াম তৈরি করে যা লিঙ্গে রক্ত ​​​​টেনে আনার মাধ্যমে লিঙ্গকে সোজা রাখতে সাহায্য করে এই ডিভাইসের মাধ্যমে একবার লিঙ্গের উত্থান হলে লিঙ্গের গোড়ার চারপাশে একটি টেনশন রিং স্লিপ লাগাতে হয় যাতে রক্ত ​​ধরে রাখা যায় এবং এটি দৃঢ় থাকে।  এভাবেই সাময়িকভাবে দূর্বল পুরুষাঙ্গ সবল করা যায়।এটি ছাড়াও অন্য একটি সার্জারী করা হয় যার নাম Penile implant. এই সার্জারীতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গের উভয় পাশে ডিভাইস স্থাপন করা হয় যা লিঙ্গকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। 
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: পুরুষাঙ্গের শক্তি বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব খাবার পুরুষাঙ্গের স্বাস্থের জন্য উপকারী তা হলো: প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম পুরুষাঙ্গের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে সাধারণ কিছু হলো নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি। এছাড়াও কেগেল ব্যায়াম পিলো ব্যায়াম পুরুষাঙ্গের শক্তি বাড়াতে অনেক সহযোগী। 
  • কেগেল ব্যায়াম: কেগেল ব্যায়াম মূত্রাশয় এবং পুংজননতন্ত্রের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচলাচল বৃদ্ধি করে। কেগেল ব্যায়াম করার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যেমন : প্রথমেই মূত্রত্যাগ করার সময় মূত্রত্যাগ বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে এবং এই অবস্থায় কিছুক্ষণ ধরে রেখে তারপর ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে বেশ কয়েকবার করতে হবে।
  • পিলো ব্যায়াম:  পিলো ব্যায়ামটিও পুরুষাঙ্গের পেশীকে শক্তিশালী করে। পিলো ব্যায়াম করার জন্য, একটি ছোট বালিশ বা তোয়ালে নিতে হবে  এবং এটিকে পুরুষাঙ্গের গোড়ায় রাখতে হবে। তারপর, পুরুষাঙ্গকে উপরের দিকে ঠেলে দিয়ে  কিছুক্ষণ ধরে রাখার পর ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে বেশ কয়েকবার করতে হবে।
  • যদি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন স্ট্রেস, উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে হয় - বা এই অবস্থাটি স্ট্রেস এবং সম্পর্কের উত্তেজনা তৈরি করে তবে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং করতে হবে। এরজন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর মানসিক চাপ পুরুষাঙ্গের শক্তি কমাতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, মেডিটেশন ইত্যাদি করতে হবে। 
  • এগুলোর পাশাপাশি নিয়মিত লিঙ্গ ম্যাসেজ করতে হবে। এই ম্যাসেজ পুরুষাঙ্গের রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে ফলে লিঙ্গ সবল হয়।
  • লিঙ্গের চারপাশের ত্বককে নরম রাখার চেষ্টা করতে হবে। এটিও লিঙ্গের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

১৩.প্রশ্ন-উত্তর পর্ব 

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করব এই অংশে।
  1. প্রশ্ন: জক ইচ কী?                                          উত্তর: জক ইচ বা টিনিয়া ক্রুরিস হল একধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণ যা যৌনাঙ্গ,ঊরুর ভেতরের ত্বক, কুঁচকি এবং নিতম্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই কারণে শরীরের এইসব উষ্ণ, আর্দ্র জায়গায় লালচে হয়ে যেতে পারে, ফাটতে পারে, কখনও রিঙের মতন দাগ হয়। এটা সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে ও গরম আবহাওয়ায় হয়। স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজনের লোকদের এটা বেশি হয়।
  2. প্রশ্ন : পুরুষাঙ্গের চুলকানির কারণ কি?         উত্তর : বিভিন্ন কারণে পুরুষাঙ্গের চুলকানি হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে কমন হলো ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে হওয়া চুলকানি।
  3. প্রশ্ন: কোন কোন লক্ষণ দেখলে জক ইচ বা পুরুষাঙ্গে চুলকানি হয়েছে তা বোঝা যায়?      উত্তর :উরুর সংযোগস্থল ও নিতম্বে তীব্র চুলকানি ভাব অনুভূত হওয়া,লাল বা খয়েরি রঙয়ের র‍্যাশ ও পানি ভর্তি ফুসকুড়ি দেখা দেয়া, চুলকানোর পর এই পানি ভর্তি ফুসকুড়িগুলো ফেটে যাওয়া, আক্রান্ত স্থানে পানি লাগলে জ্বালাপোড়া করা, আক্রান্ত স্থান কালো এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
  4. প্রশ্ন : পুরুষাঙ্গে চুলকানি এবং চর্মরোগ হলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?          উত্তর: পুরুষাঙ্গে চুলকানি হলে চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। 
  5. প্রশ্ন : পুরুষাঙ্গের চুলকানি কি ছোয়াচে রোগ?  উত্তর : হ্যাঁ, পুরুষাঙ্গের চুলকানি ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের সাথে সরাসরি সংস্পর্শ (যৌনমিলন) অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে।
  6. প্রশ্ন: পুরুষাঙ্গে কালোজিরা তেল ব্যবহারের উপকারীতা কি?       উত্তর : পুরুষাঙ্গে কালোজিরা তেল ব্যবহারের উপকারীতা অনেক। কালিজিরার তেল এ বিদ্যমান প্রাকৃতিক উপাদান যৌন স্বাস্থের জন্য উপকারী।  তাই কালিজিরার তেল লিঙ্গে মাখলে সহজে বীর্যপাত হয় না এবং লিঙ্গ অনেক বেশি শক্ত হয়। পুরুষাঙ্গ প্রতিদিন কালিজিরার তেল দিয়ে মালিশ করলে, পুরুষাঙ্গ শক্ত ও মোটা হয়।
     

১৪.লেখকের মন্তব্য

পুরুষাঙ্গের চুলকানি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা।  এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা আজকের আর্টিকেলে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন, পরামর্শ কিংবা অভিযোগ কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর এরকম আরও  তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url