OrdinaryITPostAd

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও চিকিৎসার উপায়!

পুরুষদের জন্য পুরুষাঙ্গে চুলকানি অনেক বিরক্তিকর এবং সেনসিটিভ সমস্যা। তাই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম ও চিকিৎসার উপায় জানা অনেক জরুরী। অনেকেই এরকম সমস্যায় লজ্জার কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না বা কারও সাথে শেয়ার করতে পারে না। এতে করে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। 

অনুচ্ছেদ সূচি ( যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন) 

  1. পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ওষুধ 
  2. পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় - পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম 
  3. পুরুষাঙ্গে চুলকানি প্রতিরোধ - পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম
  4. প্রশ্ন- উত্তর পর্ব - পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম
  5. লেখকের মন্তব্য 

১.পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম ও ঔষধ 

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় বলতে হলে আমাদের প্রথমেই বলতে হয় ক্রিম ও ওষুধের কথা। ত্বকে যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে ক্রিম হলো উত্তম প্রতিষেধক। আরৃটিকেলের এই অংশে তাই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব।

  1. Lamisil Cream : এই ক্রিমটি জক ইচ বা পুরুষাঙ্গের চুলকানি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে ত্বকে হওয়া প্রদাহেও এটি ব্যবহার করা হয়।এটি ব্যবহারের পূর্বে আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।তারপর পরিষ্কার হাতে পরিমান মত নিয়ে আক্রান্ত স্থানের উপর একটি পাতলা আবরনের মত প্রলেপ দিয়ে লাগাতে হবে।দিনে একবার বা দুইবার ব্যবহার করতে হবে। এই ঔষধ শুধুমাত্র ত্বকে ব্যবহারের জন্য। চোখ,মুখে এটি ব্যবহার করা যাবে না। মেয়েদের যোনিতে চুলকানি হলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
  2. Lotrimin Cream : এই ক্রিমটিও ত্বকের ইনফেকশন এবং পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা জক ইচ রোগে ব্যবহৃত হয়।এটি একটি এন্টি ফাংগাল ক্রিম যা ত্বকের সংক্রমণ দূর করে এবং ইনফেকশনের কারনে হওয়া কালো দাগ মুছে ফেলতেও সাহায্য করে। আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে তারপর এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে। এটি পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়, মহিলাদের যোনিতে চুলকানি হলে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্রিম দিনে দুইবার এবং প্রতিদিন একই সময়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।ইনফেকশনের ধরণের উপর নির্ভর করে এর ডোজ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করাই উত্তম।
  3. Micatin Cream : এটি একটি এন্টিফাংগাল ক্রিম যা ত্বকের ইনফেকশন,গোলকৃমির সংকৃমির সংক্রমণে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষত এবং পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা জক ইচ রোগে ব্যবহৃত হয়। ইনফেকশনের কারনে হওয়া কালো দাগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আক্রান্ত জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে তারপর এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে। এটি পুরুষাঙ্গে চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়, মহিলাদের যোনিতে চুলকানি হলে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ক্রিম দিনে দুইবার এবং প্রতিদিন একই সময়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। এই ক্রিমের স্প্রে ফর্ম ও পাওয়া যায়। স্প্রে  ব্যবহার করলে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই বোতল ঝাকিয়ে নিতে হবে।
  4. Cortisone Cream : এটি ত্বকে এলার্জি জনিত কারণে হওয়া চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত হয়। নাভির নিচে চুল কাটার পরও অনেক সময় পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। এসব এলার্জিজনিত চুলকানি নিরাময়ে এই ক্রিম ব্যবহার করা হয়। 
  5. Tablets : ছত্রাকের সংক্রমণ হলে এন্টিফাংগাল ঔষধ যেমন ketoconazole, miconazole, clotrimazole,  tioconazole, fluconazole ইত্যাদি ট্যাবলেট ৩ থেকে ৫ দিন খেতে হয়। এছাড়াও fexofenadine, loratadine ট্যাবলেট সেবন করলেও পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর হয়।

২.পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় | পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা জক ইচ একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টিপস নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো অনুসরণ করলে এই অস্বস্তিকর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় :
  • বেকিং সোডা দিয়ে গোসল: ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের কারণে চুলকানি হলে এবং তার পাশাপাশি আরো কিছু চুলকানির ক্ষেত্রে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী। তাই গোসলের পানিতে হালকা বেকিং সোডা বা খাওয়ার সোডা মিশিয়ে গোসল করলে তা চুলকানি দূর করাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
  • নারিকেল তেলের ব্যবহার: ছত্রাকের সংক্রমণ রোধে শরীর ও গোপনাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি চুলকানির দূরীকরনে বেশ কার্যকরী।
  • প্রোবায়োটিক খাবার: প্রোবায়োটিক খাবার হচ্ছে এক ধরনের খাদ্য আঁশযুক্ত খাবার। প্রোবায়োটিক খাবারগুলো ত্বকে ছত্রাকের  সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকরী। প্রবায়োটিক খাবার গুলো হল দই, কম্বুচা, কিসমিস, দোসা, ঘোল, কেফির,আচার ইত্যাদি।
  • সীডার ভিনিগার:   গরম জলের সাথে দুই টেবিল চামচ সিডার ভিনিগার মিশিয়ে যৌনাঙ্গ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। পুরুষদের যৌনাঙ্গের চুলকানি থেকে নিস্তার পেতে সপ্তাহে দুইবার এই মিশ্রণের ব্যবহার করতে হবে।
  • ঠান্ডা ঠান্ডা বরফ: চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রেহাই এর জন্য বরফ বা বরফ- ঠান্ডা জলে সেঁক দিতে হবে। রাতের বেলা যখন এই চুলকানি তীব্রতা খুব বৃদ্ধি পায় তখন এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকরী।
  • বিশেষ সতর্কতা:  চুলকানির স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। কোন অবস্থাতেই অপরিষ্কার থাকা যাবে না। গোসলের সময় জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে, এবং অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে সাবানটি যেন পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্যবহার না করে। এতে তারাও আক্রান্ত হবে।
  • রসুন: অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে রসুনের জুড়ি নেই। কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে। রসুন ছত্রাক নিরাময়ে খুব কার্যকরি।

.পুরুষাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ | পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

কিছু জিনিস খেয়াল রাখার মাধ্যমে জক ইচ বা পুরুষাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার পাশাপাশি চুলকানি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধ করার উপায়: 
  • রঙীন ও সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • বেশি বেশি দই খেতে হবে, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা যৌনাঙ্গকে সুরক্ষা দেয়।
  • সুতি কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস (আন্ডারওয়্যার)  পড়তে হবে। সিনথেটিক অন্তর্বাস পড়লে ইচিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • ওজন কমাতে হবে।
  • সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।
  • পুরুষাঙ্গ আর্দ্র ও ভেজা রাখা যাবে না।
  • সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করতে হবে।
  • নিয়মিত গোসল করতে হবে। ব্যক্তিগত হাইজিন মেনে চলতে হবে।

.প্রশ্ন-উত্তর পর্ব | পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার ক্রিম

পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করব এই অংশে।
  1. প্রশ্ন: জক ইচ কী?                                          উত্তর: জক ইচ বা টিনিয়া ক্রুরিস হল একধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণ যা যৌনাঙ্গ,ঊরুর ভেতরের ত্বক, কুঁচকি এবং নিতম্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই কারণে শরীরের এইসব উষ্ণ, আর্দ্র জায়গায় লালচে হয়ে যেতে পারে, ফাটতে পারে, কখনও রিঙের মতন দাগ হয়। এটা সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে ও গরম আবহাওয়ায় হয়। স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজনের লোকদের এটা বেশি হয়।
  2. প্রশ্ন: কোন কোন লক্ষণ দেখলে জক ইচ বা পুরুষাঙ্গে চুলকানি হয়েছে তা বোঝা যায়?      উত্তর :উরুর সংযোগস্থল ও নিতম্বে তীব্র চুলকানি ভাব অনুভূত হওয়া,লাল বা খয়েরি রঙয়ের র‍্যাশ ও পানি ভর্তি ফুসকুড়ি দেখা দেয়া, চুলকানোর পর এই পানি ভর্তি ফুসকুড়িগুলো ফেটে যাওয়া, আক্রান্ত স্থানে পানি লাগলে জ্বালাপোড়া করা, আক্রান্ত স্থান কালো এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

৫.লেখকের মন্তব্য | পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় 

পুরুষাঙ্গের চুলকানি একটি অস্বস্তিকর সমস্যা।  এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা আজকের আর্টিকেলে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন, পরামর্শ কিংবা অভিযোগ কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর এরকম আরও  তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url