OrdinaryITPostAd

ভার্জিন ছেলে চেনার উপায় [বিজ্ঞানের আলোকে]

ভার্জিন ছেলে চেনার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী। তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে ভার্জিন ছেলে চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় এর পাশাপাশি মেয়েদের ভার্জিনিটি বুঝার উপায় নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করবো। ছেভার্জিন ছেলে চেনার উপায় জানতে আগ্রহী হলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র - ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়

  1. ভার্জিন অর্থ কি
  2. ভার্জিনিটি কি?
  3. ভার্জিন কারা?
  4. ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়
  5. ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায়
  6. লেখকের মন্তব্য

১.ভার্জিন অর্থ কি?

ভার্জিন অর্থ হলো কুমার বা কুমারী। কুমারীত্ব বলতে বোঝায় যে নারী বা পুরুষ এখন পর্যন্ত কারো সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়নি বা যেকোনো ধরনের যৌনকর্মে তারা অনভিজ্ঞ। সত্যিকার অর্থে কুমারিত্বের কোন ডেফিনেশন বা সংজ্ঞা সঠিকভাবে নেই। এশিয়ান কান্ট্রি বা আমাদের মত দেশগুলোতে ভার্জিন শব্দটি আসলে মেয়েদের সাথেই জড়িয়ে আছে। অভিধানের শাব্দিক অর্থ খুঁজলে ভার্জিন অর্থ পাবেন “যৌনসঙ্গমানভিজ্ঞা স্ত্রীলোক”। কিন্তু বহুল ব্যবহৃত অর্থ হলো যে নারী এখন পর্যন্ত কোন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেনি।

ডিকশনারিতে যদি আপনি ভার্জিন শব্দটি খুঁজেন তাহলে দেখতে পাবেন সেখানে ভার্জিন অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে নারী বা পুরুষের কথা বলা হয়নি।শারীরিক সম্পর্কে না জড়ানো স্ত্রী পুরুষ উভয়কেই বোঝায়। নারী পুরুষ ছাড়াও ভার্জিনের কিন্তু আরো ভিন্ন ধরনের অর্থ রয়েছেন। যেমন ভার্জিন তেল, পলিটিক্যাল ভার্জিন, এছাড়া কোন জিনিসের বিশুদ্ধতা বোঝাতেও ভার্জিনিটি শব্দটি ব্যবহৃত হয়। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় তা সম্পর্কে।

২.ভার্জিনিটি কি? | ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়

ভার্জিন অর্থ তো জানলেন, এবার আসেন দেখি ভার্জিনিটি কি এবং কেনো ভার্জিনিটি গুরুত্বপূর্ণ।ভার্জিনিটি প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভার্জিনিটিকে শুধু বাংলাদেশে না, বিশ্বের সব দেশেই, সব সমাজেই গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকে।বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে ভার্জিনিটি খুব স্পর্শকাতর বিষয়। পশ্চিমা সমাজে ভার্জিনিটির গুরুত্ব কিছুটা কম হলেও একদম ফেলে দেওয়া হয় না, হিন্দু কিংবা খ্রিষ্টান ধর্মে ভার্জিনিটির আলাদা আলাদা গুরুত্ব বহন করে।তাই আজকে আমরা ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো।

ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব বিচার করা হয় সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে। সতীচ্ছদ পর্দাকে ইংরেজিতে hymen বলে।অবিবাহিত মেয়েদের কুমারিত্ব বিচার করা হয় সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে। সতীচ্ছদ পর্দা দিয়ে অবিবাহিত মেয়েদের যোনীর প্রবেশমুখ ডাকা থাকে, এই পর্দা তখনই ছিড়ে যায় বা ফেটে যায় যখন প্রথমবার মিলন করা হয়। এই পর্দা যতক্ষণ অক্ষত থাকে ততক্ষণ অবিবাহিত মেয়েরা ভার্জিনিটি ধরে রাখে, পর্দটা মিলনে কিংবা কোন দূর্ঘটনায় ছিড়ে গেলে তখন ভার্জিনিটি হারায়।

৩.ভার্জিন কারা? | ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়

দূর থেকে দেখে ভার্জিন কারা মুলত বুঝার কোন সঠিক উপায় নেই।জন্মের পরে প্রত্যেক ছেলে মেয়েই ভার্জিন থাকে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইচ্ছে কিংবা অনিচ্ছায় অথবা দুর্ঘটনায় অনেকেই ভার্জিনিটি হারায়। তাই দূর থেকে কাউকে বিচার না করে অবিবাহিত সবাইকে ভার্জিন হিসাবে ধরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি মনে মনে বিচার করেন অমুক ভার্জিন নয়, তমুক ভার্জিন নয়, তাহলে আসলে কিছুই পরিবর্তন হবে না।কিন্ত আপনাকে একজন অভার্জিন নিয়ে বসবাস করতে হবে।তাই কাউকে বিচার না করাই উত্তম। চলুন দেখে নেয়া যাক ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় সে সম্পর্কে।

৪.ভার্জিন ছেলে চেনার উপায় | ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়

সাধারণত কিন্তু ভার্জিন ছেলে চেনারও তেমন কোন লক্ষণ নেই। একটি ছেলে তার বিয়ের আগে যতই সেক্স করুক না কেন, কখনোই বোঝা যায়না ছেলেটি ভার্জিন কিনা। তাই সমাজে কখনোই শুনবেন না যে, ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় বা ছেলেদের ভার্জিনিটি নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেছে। তবুও নিম্নে ভার্জিন ছেলে চেনার কয়েকটি সহজ উপায় দেয়া হলো।
  1. দেখবেন ছেলেটি অল্পতেই প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে যাবে। সেক্স করার জন্য তাঁর অনেক তাড়া থাকবে। 
  2. তাঁর দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যাবে, এমনকি সে যখন যোনীতে পুরুষাঙ্গ ঢুকাতে যাবে, তার আগেই তাঁর আগেই বীর্যপাত হতে পারে। 
  3. সে কিস করা কিংবা ব্রেস্ট নিয়ে আদর না করে যোনীতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোর জন্য পাগল হয়ে যাবে। 
  4. ছেলেটি মেয়েটির শরীর স্পর্শ করতে লজ্জা পাবে। যদি ছেলেটি মেয়েটিকে একবার স্পর্শ করতে পারে, তাহলে পাগলের মতো তাকে স্পর্শ করতেই থাকবে। 
  5. ছেলেটি মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক শুরু করার আগেই মেয়েটির অনুমতি নেয়। 
  6. কোনও ছেলের মধ্যে যদি আপনি এই উপরোক্ত বিষয়গুলো কোন ছেলের মধ্যে দেখতে পান তাহলে তাহলে ছেলেটিকে আপাতদৃষ্টিতে ভার্জিন বলা চলে। তবে কোন ছেলের ভার্জিনিটি আছে কি না, তা বোঝার কোন উপায়ই নেই।

৫.ভার্জিন মেয়ে চেনার উপায় | ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়

ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় এর পাশাপাশি মেয়েদের ভার্জিনিটি পরীক্ষা করার উপায় নিয়েও আমরা আলোচনা করবো।ভার্জিন মেয়ে বা ছেলে চেনার জন্য সাধারণত আলাদা তেমন কোন লক্ষণ নেই।কে ভার্জিন বা কে ভার্জিন নয়, সেটা আলাদা ভাবে চেনা যায় না । তবে কিন্তু মেয়েদের কিছু কিছু লক্ষন দেখে কে ভার্জিন আর কে ভার্জিন নয়, সেটা জানা যায়। যেমন মেয়েদের যোনী এবং স্তন দেখে মোটামুটি বোঝা যায় সে ভার্জিন কি না। তবে কিন্তু এটা মনে রাখবেন বংশগত ভাবেই অনেক মেয়ের স্তন বড় হয়। এমনও অনেকবার দেখা গেছে যে, একটি মেয়ের স্তন বেশ বড়, কিন্তু সে কখনও কোনো ছেলেকে কিস করা তো দূরের কথা, জীবনে কখনও হস্তমৈথুন এবং সেক্স পর্যন্তই করেনি। তার মানে কি মনে হয় মেয়েটি ভার্জিনিটি হারিয়েছে? না, তা একদম মোটেই নয় কিন্তু। 

আবার এমনও অনেক ঘটনা রয়েছে যে, কোন মেয়ে তার জীবনে প্রথমবার সেক্স করেছে, কিন্তু তার কোনওরকম রক্তপাতই হয়নি। তার মানে কিন্তু এটা কখনোই ভাববেন না যে, আপনি তার সাথে সেক্স করার আগে অন্য কোন পুরুষ তার সাথে সেক্স করে তার ভার্জিনিটি হারিয়েছে।তবে সত্যিকারেই কিন্তু এই ভার্জিন মেয়ে চেনার তেমন কোন লক্ষণ নেই।তবুও এখানে যোনী এবং স্তন দেখে কিন্তু ভার্জিন মেয়ে চেনার কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হলো।

  • যোনী

মেয়েদের ল্যাবিয়া মেজরা অর্থাৎ যোনির বাইরে যে পাপড়ি থাকে, তা সম্পূর্ণ ভাবে একসাথে লেগে থাকবে এবং যোনীমুখ আপনি দেখতে পাবেন না। ল্যাবিয়া মাইনরা অর্থাৎ ভিতরে যে পাপড়ি থাকে তাও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে এবং পুরোটাই ল্যাবিয়া মেজরা দিয়ে ঢাকা থাকবে, যা ল্যাবিয়া মেজরা যদি আপনি না সরান তাহলে তা দেখা যাবেনা।তখন কিন্তু হাইমেন অর্থাৎ সতিচ্ছেদ অক্ষত থাকবে।যদিও এটা কিন্তু অনেক কারনেই ছিঁড়ে যেতে পারে। এটা যদি ছিঁড়ে যায়, তাহলে সাধারণত রক্তক্ষরণ হয়।ল্যাবিয়া মাইনরার নীচের প্রান্তটা একত্রে থাকবে।ক্লাইটরিস/ক্লিটোরিস হল খুব ছোট এবং এর আবরণকারী চামড়াও কিন্তু অনেকটা পাতলা হবে।যোনীপথ সরু হবে এবং ভিতরে যে ভাঁজ থাকে তা কম মসৃণ হবে এবং ভাজ অনেক বেশি হবে।

  • স্তন

স্তন একটু ছোট হবে এবং চ্যাপ্টা হতে পারে তবে গোল কিন্তু হবেনা।এই স্তন দৃঢ় হবে,কিন্তু তুলতুলে হবে না।নিপলের চারপাশে যে গাঢ় অংশটি থাকে তা গোলাপি রংয়ের হবে অথবা হালকা বাদামী রঙের হবে, কিন্তু গাঢ় রঙ হবে না এবং এই অংশটি আয়তনে অনেকটা ছোট হবে।এবং নিপলের আকার ও ছোট হবে।

  • সিউডোভারজিন

অনেক সময় কিন্তু এটাও দেখা গেছে যে, কয়েকবার যৌনমিলনের পরেও অনেক মেয়ের হাইমেন বা সতীচ্ছদ অক্ষত থাকে। এদের সিউডোভারজিন বা নকল ভার্জিন বলা হয়। তবে কিন্তু এর হার অনেক কম হয়। সাধারণত এভাবেই একটা মেয়ে ভার্জিন কিনা সেটা বোঝা যায়। তবে মনে রাখবেন যেসব মেয়ে বেশি খেলাধুলা করে, শরীরচর্চা করে, সাইকেল চালায় মোটরসাইকেল চড়ে, ঘোড়ায় চড়ে এবং হস্তমৈথুন করে তাদের কিন্তু হাইমেন বা সতীচ্ছদ ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।

৬.লেখকের মন্তব্য | ভার্জিন ছেলে চেনার উপায়

ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় তা নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।আশা করছি ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় এই সম্পর্কে আপনারা সকল তথ্য ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় তা ছাড়াও মেয়েদের ভার্জিনিটি বুঝার উপায় নিয়েও আমরা আজকে আলোচনা করেছি। ভার্জিনিটি সম্পর্কে আপনাদের যেকোন প্রশ্ন অথবা মতামত আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।ছেলেদের ভার্জিনিটি কিভাবে বুঝা যায় এই বিষয় ছাড়াও অন্য যেকোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। 
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাতের সমস্যায় যা যা করবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url