OrdinaryITPostAd

সৌদি আরবের কোম্পানি নাম[বিস্তারিত জেনে নিন]

সোদি আরবের কোম্পানি নাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সৌদি আরব যায় প্রবাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য। এজন্য কোম্পানির নামসমূহ এবং কোম্পানিগুলোর কাজের ধরন সম্পর্কে জানলে খুব সহজেই সৌদি আরব গিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সৌদি আরবের কোম্পানির নাম নিয়ে আলোচনা করব। কাজেই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

আর্টিকেল সূচিপত্র 

১. সৌদি আরবের কোম্পানির নাম 

সৌদি আরবের কোম্পানি নাম সম্পর্কে আর্টিকেলের প্রথমেই আলোচনা করবো। সৌদি আরবে অনেক পরিমাণে কোম্পানি বিদ্যমান। কিন্তু সেই সব কোম্পানির চেয়ে অনেক কম লোক সৌদি আরবে রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসায় যায়। এজন্য অনেকেই সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোর নাম সম্পর্কে জানতে চায়। চলুন সৌদি আরবের কতগুলো কোম্পানির নাম সম্পর্কে জেনে নেই। 

সাম্বা ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ
এটি হচ্ছে আরবের সবচেয়ে বড় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে।প্রতিষ্ঠানটি খুচরা এবং কর্পোরেট সকল গ্রাহকদের আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এটি সৌদি আরবের অনেক রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে থাকে এটিএম এর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। সাম্বা বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করে থাকে যেমন বিনিয়োগ ব্যাংকিং, কর্পোরেট ব্যাংকিং, বীমা এবং সম্পদ ব্যাবস্থাপনা। সাম্বা প্রযুক্তিগত ভাবে খুবই উন্নত একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি যুব উন্নয়ন, শিক্ষা এবং পরিষেবার সাথেও যুক্ত। 

সৌদি টেলিকম কোম্পানি 
সৌদি টেলিকম কোম্পানি হচ্ছে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় টেলিযোগাযোগ সংস্থা এবং এটি মধ্যপ্র্যাচ্যের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সংস্থা। টেলিযোগাযোগ পরিষেবা প্রদানকারী সৌদি আরবের প্রথম সংস্থা হচ্ছে সৌদি টেলিকম কোম্পানি। এই সংস্থাটি মোবাইল, ইন্টারনেট, ফিক্সড লাইন,ডেটা পরিষেবা সহ বিস্তৃত পরিষেবা প্রদান করে থাকে।এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং উওর আফ্রিকার প্রায় ৮ টি দেশে কাজ করে। সংস্থাটি গ্রাহকদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং পরিষেবার সর্বশেষতম সরবরাহ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোগত সম্প্রসারণে তা প্রচুর বিনিয়োগ করে থাকে। শিক্ষা, সম্প্রদায়ন, এবং যুব ক্ষমতায়নে সংস্থাটি বিনিয়োগ করে থাকে। 

আল মাহলাল সেন্টার 
এটি হচ্ছে সৌদি আরবের এমন একটি সংস্থা যা খুচরা খাতে কাজ করে থাকে। আল- জাজিরা গ্রুপের সহায়ক সংস্থা হচ্ছে আল মাহলাল সেন্টার। সৌদি আরবের গতিশীল ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং বৈচিত্র্যময় সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এটি। সমস্ত সৌদি আরব জুড়ে সুপারমার্কেট এবং ডিপার্টমেন্ট স্টোর পরিচালনা করা, গৃহস্থালি আইটেম,জুতা,খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা সংস্থাটির কাজ। প্রতিষ্ঠানটি সেন্টার প্রতিযোগিতা মূল্যে গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করার জন্য নিজেদের গর্ববোধ করে। বর্তমানে কিংডমের ক্রেতাদের কাছে এটি জনপ্রিয় গন্তব্য। সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং স্থায়িত্বের প্রতি সংস্থাটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি অনলাইন শপিং,হোম ডেলিভারি এবং গ্রাহক সহায়তার মতো বেশ কিছু পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এটি কমিউনিটি উন্নয়ন, পরিবেশ বান্ধব নীতি বাস্তবায়ন করে। 

আল রাশেদ গ্রুপ
সৌদি আরবের একটি সংগঠন গ্রুপ হচ্ছে আল রাশেদ গ্রুপ। এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম যেমন উৎপাদন, বাণিজ্য, প্রকৌশল, নির্মাণ এবং লজিস্টিক কাজকর্ম পরিচালনা করে। এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৩০ এর দশকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রুপটি সৌদি আরবের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সবচেয়ে সম্মানিত রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই গ্রুপটি সহযোগী মাধ্যম এবং সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে থাকে। গ্রুপটি উত্তর আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উপস্থিতি রয়েছে। গ্রুপটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার উদ্ভাবন এবং গুনগত মানের জন্য। আল রাশেদ গ্রুপ সৌদি আরবের অনেক বড় প্রকল্পের সাথে জড়িত। সামাজিক দায়বদ্ধতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো অনেক কাজে জড়িত। 

আল রাশেদ সিমেন্ট কোম্পানি 
আল রাশেদ সিমেন্ট কোম্পানি হচ্ছে এমন একটি কোম্পানি যা সৌদি আরবে সিমেন্ট এবং অন্যান্য বিল্ডিং উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২ হাজার দশকের গোড়ার দিকে। আল রাশেদ গ্রুপের সহায়ক সংস্থা হচ্ছে আল রাশিয়ান সিমেন্ট কোম্পানি। এটি সৌদি আরবের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর সৌদি আরবের পূর্বপ্রদেশের সংস্থাটি প্রায় ৩ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদনের পাশাপাশি আধুনিক সিমেন্ট প্লান্ট ও পরিচালনা করে থাকে। আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে এরকম অনেক উচ্চমানের পণ্য উৎপাদন করায় তাদের মূল লক্ষ্য। পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নে আল রাশেদ সিমেন্ট কোম্পানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশগত প্রভাব কম করার জন্য সংস্থাটি অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। 

আল মোহাইদিব গ্রুপ 
সৌদি আরবের আল মোহাইদিব গ্রুপ বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন ধরনের খাত যেমন উৎপাদন, নির্মাণ, খুচরা, প্রকৌশল এবং লজিস্টিক কাজ করে থাকে। ১৯৪০ এর দশকে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচের বেশ কয়েকটি দেশে সংস্থাটির বিস্তৃত। এই সংস্থাটি সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য অপরিচিত। পরিবেশ সুরক্ষা স্বাস্থ্য এবং সেবা খাতের সাথে সংস্থাটি জড়িত। 
আল বাসামি গ্রুপ
সৌদি আরবের এই কোম্পানিটি রিয়েল এস্টেট প্রকৌশল নির্মাণ এসব খাতে কাজ করে থাকে। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ এর দশকে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে সংস্থাটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অল্প দিনের মধ্যে এটি সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। 

২. সৌদি আল ইয়ামামা কোম্পানি 

১৯৫২ সালের প্রতিষ্ঠিত হয় সৌদি আরবি আল ইয়ামামা কোম্পানি। সৌদি আরবের অনেক বড় বড় কোম্পানির মধ্যে এটি অন্যতম ।এ কোম্পানীর রয়েছে বৈচিত্র্যময়ী কাজ যেমন ক্লিনার, নির্মাণ, কনস্ট্রাকশন এবং অবকাঠামোগত কাজ। কোম্পানিতে কাজের সেক্টরও রয়েছে অনেক বড়। আল ইয়ামামা কোম্পানির বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে বলদিয়ার কাজ। বলদিয়া কোম্পানিতে কাজের বেতন শুরু হয় সর্বনিম্ন ৫৫০ রিয়াল থেকে।এখানে ক্লিনারের বেতন হয়ে থাকে ৬০০ থেকে ৯০০ রিয়াল এবং তাদেরকে কাজ করতে হয় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। আপনার বয়স যদি ২৩ থেকে ৩৮ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনিও এই কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। এই কোম্পানিতে লেবারের জন্য কন্টাক্ট তিন বছরের এবং টেকনিশিয়ান এর কন্টাক্ট দুই বছর হয়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার পদে কন্টাক্ট হয়ে থাকে এক বছর।

৩. সৌদি আরামকো কোম্পানি 

সৌদি আরবের একটি তেল কোম্পানি হচ্ছে সৌদি আরামকো কোম্পানি এবং এই কোম্পানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৩ সালে ।এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোম্পানি। যেসব কাজে আরামকো কোম্পানি বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে 
  • ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • ডিলিং
  • গবেষণা 
  • উন্নয়ন 
  • অর্থ 
  • শিক্ষা 
  • আইন 
দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আরামকো কোম্পানিকে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। এ কোম্পানিতে কাজ করতে হলে আপনাকে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। বেতনের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরনের উপর অর্থাৎ আপনি পার্ট টাইম কাজ করবেন নাকি ফুল টাইম কাজ করবেন। যদি পার্ট টাইম কাজ করেন তাহলে একরকম বেতন দেয়া হবে আর যদি ফুলটাইম কাজ করেন তাহলে আরেক রকম বেতন দেয়া হবে। বেতনের পাশাপাশি রয়েছে অনেক ধরনের সুবিধা। রমজান মাসে মূল বেতনের সমান পরিমাণ বোনাস দেয়া হয়। আরামকো কোম্পানিতে নিয়োগ পেয়ে থাকলে যেসব সুবিধা পেয়ে থাকবেন সেগুলো হচ্ছে 
  • বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা 
  • স্বাস্থ্য বীমা 
  • জিমনেসিয়াম
  • বিনামূল্যে খাবার 
  • শিশু যত্ন 
  • ক্যাফেটেরিয়া 
  • বিনামূল্যে যাতায়াত
নেসমা এন্ড পার্টনারস কোম্পানি 
এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি অর্থনীতির চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। এই কোম্পানিতে কাজ করলে থাকা খাওয়া একদম ফ্রি এবং দুই বছর পর পর আপ ডাউন টিকিটের সুবিধা রয়েছে। এই কোম্পানিতে বেসিক স্যালারি শুরু হয় ৯৫০ রিয়াল থেকে। তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের ধরনের উপর। কোম্পানিটিতে রয়েছে অনেক ধরনের কাজ। যেমন - কারেন্টর কাজ,টাইলসের কাজ, পাইপের কাজ ইত্যাদি। 

আল জাজিরা কোম্পানি 
সৌদির বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে আল জাজিরা কোম্পানি। এই কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের রঙ নিয়ে কাজ করে। কোম্পানির রয়েছে প্রচুর দোকান এবং শোরুম।এই কোম্পানিতে কাজ করলে আপনাকে দোকানে আসা কাস্টমারকে মাল বুঝিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে হবে। কোম্পানিতে ডিউটি করার পাশাপাশি ওভারটাইমও করতে পারবেন। থাকা এবং ইকামা কোম্পানি বহন করবে তবে খাওয়ার খরচ নিজস্ব। 

আল মারাই কোম্পানি 
সৌদি আরবের ৫ম বৃহত্তম কোম্পানি হচ্ছে আল মারাই কোম্পানি। আপনি যদি এই কোম্পানিতে ভিসা নিয়ে যান তাহলে অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবেন।কোম্পানিটির বেসিক বেতন শুরু হয় ১৪৫০ রিয়াল থেকে। এটি ফাস্ট ফুড এবং ডেইরি ফার্ম জাতীয় খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ করে থাকে৷ থাকা - খাওয়া, চিকিৎসা কোম্পানি বহন করবে। 

সাসকো কোম্পানি 
এই কোম্পানিটি উন্নয়ন ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। কোম্পানিটিতে কাজ পাওয়া তুলনামূলক সহজ এবং ভালো বেতনও দিয়ে থাকে। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। প্রতিষ্ঠানটি নতুন হওয়া সত্বেও অল্পদিনে অনেক খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এটি মূলত শেয়ার বাজারের মতো প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি চান তাহলে এখানে অর্থ লাগিয়ে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া কোম্পানিটির রয়েছে ৪০ বছরের ট্রেডিং অভিজ্ঞতা। 
সাভোলা গ্রুপ 
সৌদি আরবের এই কোম্পানিটি বাজারের ১০০ কোম্পানি এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। শিল্প খাতে কোম্পানির অবস্থান দ্বিতীয়। সাম্প্রতিক সময়ে সাভোলা গ্রুপ একটি ইন্টারন্যাশনাল শেয়ারের মাধ্যমে তেল ও চর্বি অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি সৌদি আরবের সেরা কোম্পানি। 

মাওদিদ কোম্পানি 
এটি সৌদি আরবের একটি ব্যাক্তিগত বিনিয়োগকারী কোম্পানি। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। কোম্পানির সদর দফতর অবস্থিত রিয়াদের সুলেমানিয়ায়। এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক লেনদেন করে থাকে। এসবের মধ্যে রয়েছে টেলিযোগাযোগ, রেডিও নেটওয়ার্কিং, নির্মাণ ও ট্রেডিং, রেস্তোরাঁর কাজ। 

৪. সৌদি আরবের সকল কোম্পানির নাম এক নজরে

আলুন সৌদি আরবের কিছু কোম্পানির নাম এক নজরে দেখে নেই -
  • National Building and Marketing Company 
  • United International Transportation Company 
  • Taiba investment company
  • Sheera holding group
  • United electronics Company
  • Saudi Vetonit Company (SAVETO)
  • Saudi Research and Marketing Group (SRMG).
  • Sabic agri nutrients Company
  • Jabal omar Devlopment Company
  • Saudi Steel Pipe Company
  • Al-Tekyeen Group
  • Saudi Yanbu Cement Company
  • Saudi Paper Manufacturing Company
  • Saudi Chemical Company.
  • Al-Rashed Group.
  • Al-Qassim Cement Company.
  • Saudi Dairy and Foodstuff Company (SADAFCO).
  • Al-Sagr Cooperative Insurance Company.
  • Saudi Electricity Company (SEC).
  • Medical Appliances Corporation (SPIMACO).
  • Al-Hokair Group.
  • Al-Babtain Group.
  • Saudi Electric Company (SEC).
  • Saudi Cable Company.
  • Saudi Chemical Company.
  • National Commercial Bank (NCB).
  • SABIC (Saudi Basic Industries Corporation).
  • Saudi Aramco company.
  • Saudi Cable Company.
  • Saudi Ceramic Company.
  • Al-Nahda Group.
  • Al-Othaim Markets.
  • Saudi Arabian Fertilizer Company (SAFCO).
  • Saudi Chemical Company.
  • Al-Rashed Group.
  • Al-Qassim Cement Company.
  • Saudi Dairy and Foodstuff Company (SADAFCO).
  • Al-Sagr Cooperative Insurance Company.
  • Saudi Arabian Fertilizer Company (SAFCO).
  • Saudi Industrial Development Fund (SIDF).

৫. সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার বেতন কত 

সৌদি আরবে অনেক স্বনামধন্য কোম্পানি রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছে। কোনো কাজে যাওয়ার আগে সবাই সেই কাজের পারিশ্রমিক সম্পর্কে জানতে চায়। সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার বেতন কত এটিও সবার কমন প্রশ্ন। 
দেশটিতে কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতন কম বেশি হয়ে থাকে । আপনার পদবি অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকবে।আবার কোম্পানিভেদেও বেতন ভিন্ন হয়। আপনি যদি যেকোন ভালো কোম্পানির অধীনে কনস্ট্রাকশন এর কাজ নিতে পারেন তাহলে সব থেকে বেশি বেতন পেয়ে থাকবেন।এক্ষেত্রে দেখা যায় যে,কনস্ট্রাকশন এর কাজের বেতন হয়ে থাকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর আপনি যদি নতুন সৌদি কোম্পানি চাকরি করেন তাহলে সর্বোনিম্ন ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত মাসিক বেতন পেয়ে থাকবেন।

৬. সৌদি কোম্পানি ভিসা চেক 

বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রায় সকল দেশের ভিসাই চেক করা যাচ্ছে। প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই অনলাইনে ভিসা যাচাই করা প্রয়োজন।এতে করে ভিসার বৈধতা যাচাই করা সম্ভব।
কিভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করবেন চলুন দেখে নেই। 
  • সৌদি আরবের ভিসা চেক করার জন্য visa.mofa.gov.sa এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। 
  • এবার উপরের বাম পাশের মেনু থেকে ইংরেজি ভাষার জন্য E সিলেক্ট করুন। 
  • এবার আপনার সামনে একটি পেইজ ওপেন হবে।এখন আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিন। Visa Type অর্থাৎ আপনার ভিসা যে ক্যাটাগরি হয় তা সিলেক্ট করুন।
  • এবার আপনার জাতীয়তা যেহেতু বাংলাদেশ, তাই এটা সিলেক্ট করুন। Visa Issuing Authority জায়গায় Dhaka সিলেক্ট করুন।
  • এবার আপনার ভিসা আবেদনের স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন। যদি ইতোমধ্যে আপনার ভিসা ইস্যু হয়ে যায় তাহলে আপনি ভিসার সকল তথ্যাবলী যেমন, Visa নাম্বার, Application নাম্বার ,কোম্পানীর নাম ও আপনার সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
সুতরাং বলা যায় যে, উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার সৌদির কোম্পানি ভিসাটি চেক করে আসল কিংবা নকল তা যাচাই করতে পারবেন। 

৭. সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি 

সৌদি আরবে কাজের অনেক সুযোগ থাকায় এখন সবাই সৌদি আরবে যেতে চায় এবং জানতে চায় সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি।বেশি টাকা বেতনের কাজ করা সবারই চাওয়া। আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারবেন সৌদি আরবের কোন কাজের বেতন বেশি। 
  • ডাক্তার 
  • ব্যাংকার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • আইনজীবী 
  • ড্রাইভিং
  • রেস্তোরাঁ 
  • কন্সট্রাকশন
সুতরাং এসব কাজে সৌদিতে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

৮.সৌদি আরবের কোন কোম্পানি ভালো 

আপনি যদি সৌদি আরবের কোন কোম্পানি ভালো এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্যই। প্রথমে সবগুলো কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। তারপর সিদ্ধান্ত আপনার কাছে যে কোম্পানি ভালো মনে হয় সে কোম্পানির ভিসা নিবেন। তবে সৌদি আরবের মধ্যে আরামকো কোম্পানি সবচেয়ে সুনামধন্য এবং ভালো কোম্পানি। এছাড়াও আরো কয়েকটি ভালো মানের কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদেরকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে।

এ সকল সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ওভারটাইমের সুবিধা। এছাড়াও আপনার ভাগ্য যদি ভালো হয় তাহলে প্রতিবছর আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। শুধু বেতনই নয় বেতনের পাশাপাশি আপনি কোম্পানির থেকে ছুটি অর্জন করতে পারবেন যা আপনাকে দেশে আসতে অনেক সহযোগিতা করবে।

সৌদি আরব যাওয়ার বয়স

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বয়স পরিপূর্ণ বয়স হতে হবে। অনেক মানুষের দেখা যায় যে বয়স কম হওয়ার কারণে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন না। সৌদি আরব যাওয়ার বয়স সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন। বর্তমানে সৌদি আরবের ভিসা করার জন্য আপনার বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ২১ বছর । অর্থাৎ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পএে আপনার বয়স ২১ বছর না হলে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

অনেকেই সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করবেন কিন্তু আবেদন করতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। কোন এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করতে অবশ্যই নিচের কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে 
  • পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস) 
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৪কপি)
  • জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি 
  • অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপএ
  • করোনা ভ্যাকসিনের সনদপত্র
সুতরাং উপরোক্ত ডকুমেন্টসগুলো সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার জন্য প্রয়োজন হবে। 

সৌদি ভিসা প্রসেসিং এর সময় 

কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা করলে অনেক সময় ভিসা প্রসেসিং হতে দেরি হয়।ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অনেকগুলো কাজ করতে হয়।যেমন ইন্টারভিউ সঠিক হয়েছে কি না, শরীর ফিট আছে কিনা তারপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার ভিসা দুই মাস থেকে তিন মাসের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং হয়ে যাবে।

সৌদি আরবের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা 

অনেকেই জানতে চায় যে, সৌদি আরবের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা? সৌদি আরবের মুদ্রার নাম হচ্ছে রিয়াল। সৌদি আরবের এক রিয়াল বাংলাদেশের প্রায় ২৯.২৭ টাকা। বিভিন্ন সময় এই টাকার রেট উঠানামা করে থাকে। 

ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিমান ভাড়া কত 

সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে অনেকগুলো ফ্লাইট রয়েছে। এর মধ্যে কতগুলো জনপ্রিয় ফ্লাইট হচ্ছে সৌদি এয়ারলাইন্স,বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং এয়ার আরাবিয়া।এসব ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর, যেমন মদিনা,মক্কা,রিয়াদ,জেদ্দাতে যায়।ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সৌদি আরবে যেতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা। ফ্লাইটগুলি দিনের বিভিন্ন সময় সকাল, দুপুর, বা রাতে ছেড়ে যায়।
ঢাকা থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ফ্লাইট বিদ্যমান। যেগুলো সরাসরি ফ্লাইট তা সরাসরি সৌদির বিভিন্ন শহরে যায়।আবার ট্রান্সশিপমেন্ট ফ্লাইট প্রথমে ঢাকা থেকে অন্য কোন শহরে যাত্রা করে, তারপর সৌদি আরবের নির্দিষ্ট শহরে যায়।আরেকটি হচ্ছে ট্রানজিট ফ্লাইট যা ঢাকা থেকে সৌদি আরবের নির্দিষ্ট শহরে যাওয়ার জন্য দুটি বা ততোধিক শহরে যাত্রা করে।

চলুন দেখে নেই ঢাকা থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে যাওয়ার বিমান ভাড়া সম্পর্কে। ভাড়ার টাকা নির্ভর করে বিমানের ধরনের উপর। এয়ার আরাবিয়াতে একমুখী এই টিকিটটির দাম  1,890 থেকে শুরু করে AED 3,780 পর্যন্ত হয়ে থাকে।সাউদিয়া এয়ারলাইন্সে একমুখী টিকিটের দাম AED 1,640 থেকে শুরু হয়।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একমুখী টিকিট শুরু হয় AED 2,470 থেকে। 

বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিমান ভাড়া নির্ভর করে থাকে। যেমন 
  • টিকিট বুকিং করার সময় যদি ছুটি বা উচ্চ মৌসুম হয়ে থাকে তাহলে বিমান ভাড়া বেশি হয়। 
  • সপ্তাহে কয়টি ফ্লাইট থাকবে তার উপরও বিমান ভাড়া নির্ভর করবে। 
  • বিমান সংস্থার উপর বিমান ভাড়া নির্ভর করে যেমন - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভাড়া একরকম আবার এয়ার এরাবিয়াতে ভাড়া আরেক রকম। 
ঢাকা থেকে সৌদি আরবে ভ্রমণের যদি পরিকল্পনা করেন তাহলে বিমান ভাড়া কমানোর জন্য বিভিন্ন বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট বা টিকিট বুকিং ওয়েবসাইটগুলিতে অনুসন্ধান করতে পারেন।এতে করে আপনি ছাড় এবং বিভিন্ন অফার চেক করতে পারেন। 

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব 

অনেকেই জানতে চায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব কত? আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের দূরত্ব কত।বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যাকার দূরত্ব সরাসরি লাইনের মাধ্যমে পরিমাপ করলে তা দাঁড়ায় প্রায় ৪,৯৮৪ কিলোমিটার বা (৩,০৯৯ মাইল)। তবে, বিমান যাওয়ার সময় কিছুটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে। কারণ বায়ুপ্রবাহ এবং ভূমির আকারের কারণে বাঁক নেয়। বাংলাদেশের ঢাকা থেকে জেদ্দা পর্যন্ত বিমানের ফ্লাইটের দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৫,০১৫ কিলোমিটার বা (৩,১১৭ মাইল)।

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে তেমন সময় লাগে না। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে সরাসরি বিভিন্ন ফ্লাইট চালু রয়েছে। ফ্লাইটগুলি সাধারণত দিনের বিভিন্ন সময় ছেড়ে যায়। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে ফ্লাইটের ধরন এবং ফ্লাইটের রুট, ফ্লাইটের বিমান সংস্থা এবং আবহাওয়ার উপর।

সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা 

পড়াশোনা করার জন্য সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিসা রয়েছে। পড়াশোনার জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্টুডেন্ট আসে।বর্তমানে সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূল তথ্যপ্রযুক্তি এবং গবেষণা বিভাগ এবং বিনামূল্যে খাদানের কারণে স্টুডেন্ট ভিসার চালু করেছেন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করার জন্য সৌদি সরকার নাগরিকদের প্রবণতাকে বিপরীত করে যাতে দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনিয়োগ করে তার জন্য চাপ দিয়েছেন।সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ ইনভারসিটি ওর সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মতো আরো অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে। 

সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন 

আপনি যদি সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে সৌদি আরবের যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।তারপর আপনার স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করার জন্য অনুমতি চেয়ে স্কুল টিচারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করতে হবে।আপনার ভিসা যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুমোদন করে তাহলে কাছাকাছি সৌদি আরবের দূতাবাস থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার কিছুদিন পর সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার প্রক্রিয়া নিচে দেওয়া হলো -
  • আপনি যদি সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে https://www.evisa.gov.md/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। 
  • এবার আবেদন বাটনে ক্লিক করুন।
  • স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন পূরণ করার জন্য সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করুন।
  • এবার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
  • ভিসা প্রক্রিয়াকরণ হতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
  • এবার নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হয়ে ভিসা সংগ্রহ করে নিন। ভিসা পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আপনি সৌদি আরব দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।

সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপএ

সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে :
  • বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস। 
  • একটি ভিসা রেফারেল নোট থাকবে যাতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর জেদ্দার শাখা হতে জারিকৃত ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং ভিসার সংখ্যা নির্দেশ করবে।
  • জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি 
  • মেডিকেল রিপোর্ট। তবে বয়স ১৬ বছরের কম হলে রিপোর্টের প্রয়োজন নেই। 
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩ কপি)।ছবির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ডের কালার হতে হবে সাদা।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি 
  • সত্যায়িত চারিএিক সনদপএ 
  • নাগরিক সনদপএ। তা হতে হবে সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত।
  • কলেজের একাডেমিক প্রশংসাপএ
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। এটি আবেদনের তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে জারিকৃত হতে হবে।
  • ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি। 
সুতরাং বলা যায়, সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য আপনার উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলোর প্রয়োজন হবে। 

সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

সৌদি আরবের পড়াশোনা খরচ নির্ভর করে থাকে ইউনিভার্সিটি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবেন উপর।যদি ভালো মানের ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন তাহলে অবশ্যই ভালো খরচ বহন করতে হবে। আবার যদি লো মানের কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন তাহলেও খরচ কম হবে।মূলত পড়াশোনার খরচ কত হবে তা নির্ভর করবে আপনার উপর। 

স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি

সৌদি আরবের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন ফি জমা দিতে হয় এবং তা হচ্ছে SAR 50, তবে এই ফি যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।তবে এর সাথে অবশ্যই প্রযোজ্য হারে ভ্যাট দিতে হবে। সৌদি আরবের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অনলাইনে ফি জমা দিতে হবে। আবেদনকারীর অফলাইনে পেমেন্ট করার তেমন সুযোগ নেই। 

সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে স্টুডেন্টরা সৌদি আরবে যায় পড়াশোনা করার জন্য। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সৌদি আরব হচ্ছে একটি ফ্রেন্ডলি পরিবেশ। সৌদি আরব বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তাছাড়া ইসলামিক পড়াশোনার জন্য সৌদি আরবে রয়েছে সেরা সকল বিশ্ববিদ্যালয়।চলুন সৌদি আরবের কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেই। 

কিং আব্দুল আজিজ ইন ভার্সিটি
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি সর্বপ্রথম যাএা শুরু করে। প্রথমে এটি ছিলো একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি সৌদি আরবের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরবের সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারা বিশ্বের ৫০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কিং আব্দুল আজিজ ইন ভার্সিটি অন্যতম। 
আল ফয়সাল ইউনিভার্সিটি 
এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ৪ টি অনুষদ যেমন মেডিসিন, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ইত্যাদি।বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কর্পোরেশনের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টনারশিপ রয়েছে।বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সৌদি আরবের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আল ফয়সাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম। 
কিং সউদ ইউনিভার্সিটি 
কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্বে রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিলো। এটি হচ্ছে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। 

কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি 
কিং খালিদ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালে। এটি সৌদি আরবের আভাতে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উচ্চমানের শিক্ষার জন্য রয়েছে প্রাসঙ্গিক একাডেমিক পরিবেশ।এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সৌদি আরবের মধ্যে সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি।

ইমাম আবদুল রহমান বিন ফয়সাল ইউনিভার্সিটি 
১৯৭৫ সালে ইমাম আবদুল রহমান বিন ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় মেয়ে এবং ছেলে সকলের জন্য কলেজ অফ মেডিসিন, দুটি অগ্রগামী কলেজ, কলেজ অফ আর্কিটেকচার নিয়ে যাএা শুরু করেছিল। এই একাডেমিক প্রতিষ্ঠানটি প্রায় চার দশক পর ২১ টি কলেজ এবং ৪৫,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।সৌদি আরবের সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের সেরা ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইমাম আবদুল রহমান বিন ফয়সাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম। 

কিং ফয়সাল ইউনিভার্সিটি 
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কিং ফয়সাল ইউনিভার্সিটি। এটি অবস্থিত পূর্ব প্রদেশে হাফুফ শহরে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত কলেজ রয়েছে ১৪ টি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল খোবারে এবং দাম্মামে কলেজ ক্যাম্পাস রয়েছে। সৌদি আরবের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে কিং ফয়সাল ইউনিভার্সিটি। 

কাসিম ইউনিভার্সিটি 
কাসিম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালে। এটি কাসিমের বুরেদা শহরের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই ক্যাম্পাসটি প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ রয়েছে ৩৮ টি, পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে ১৭ টি এবং মাস্টার পোগ্রাম রয়েছে ৬২ টি। সৌদি আরবের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত। 

উম্মে আল কুরা ইউনিভার্সিটি 
এটি হচ্ছে সৌদি আরবের একটি প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। কতগুলো বিষয়ে এটি খুবই উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন শিক্ষা, আরবি ভাষা, শরিয়া, প্রয়োগ বিজ্ঞান, মেডিসিন এবং প্রকৌশল। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০,১১৫ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বাসস্থান। সৌদি আরবের সেরা ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উম্মে আল কুরা ইউনিভার্সিটি অন্তর্গত।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদীনা 

প্রিয় নবীর প্রিয় শহর হচ্ছে মদিনা। বিশ্বখ্যাত বিদ্যাপীঠ- মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এই শহরেই অবস্থিত। এর পাশে রয়েছে মসজিদে নববি।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বরেণ্য উলামা-মাশায়েখের পদচারণায় এটি প্রাণবন্ত এক বিশাল ক্যাম্পাস।যদি ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেন তাহলে চারদিকে ইলমচর্চার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়বে। এই বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠিত হয় ২৫ রবিউল আওয়াল ১৩৮১ হিজরিতে। দিন দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যপরিধি ও প্রসিদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৮০টি দেশের ছাত্র একসঙ্গে পড়াশোনা করেন।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রসংখ্যা হচ্ছে ২০ হাজারের বেশি।

কিং সউদ বিন আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটি ফর হেল্থ সায়েন্স 
এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এর সদর দফতর অবস্থিত সৌদি আরবের রিয়াদে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি ক্যাম্পাস আল আহসা এবং জেদ্দাতে অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,০৮৫ জন। এটি সৌদি আরবের সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। 

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: সৌদি আরবে যাওয়ার বয়স কত?

উত্তর: সৌদি আরবে যাওয়ার বয়স হচ্ছে সর্বনিম্ন ২১ বছর। 

প্রশ্ন ২: সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরণ হতে কত সময় লাগে?

উত্তর: সৌদি আরব স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরণ হতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। 

প্রশ্ন ৩: সৌদি আরবে কন্সট্রাকশন কাজের বেতন কত?

উত্তর: সৌদি আরবে কন্সট্রাকশন কাজের বেতন হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার রিয়াল। 

প্রশ্ন ৪: সৌদি আরবের মুদ্রার নাম কি?

উত্তর: সৌদি আরবের মুদ্রার নাম হচ্ছে রিয়াল। 

প্রশ্ন ৫: সৌদি আরবের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা? 

উত্তর: সৌদি আরবের ১ টাকা বাংলাদেশের ২৯.২৭ টাকা। 

প্রশ্ন ৬: সৌদি আল ইয়ামামা কোম্পানি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? 

উত্তর: সৌদি আল ইয়ামামা কোম্পানি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

প্রশ্ন ৭: সৌদি আরবের ভিসা চেক করার ওয়েবসাইট কোনটি?

উত্তর: সৌদি আরবের ভিসা চেক করার ওয়েবসাইট হচ্ছে visa.mofa.gov.sa। 

প্রশ্ন ৮: স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি কত?

উত্তর: স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন ফি হচ্ছে SAR 50 । 

প্রশ্ন ৯: কত বছরের কম হলে সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হয় না?

উত্তর: ১৬ বছরের কম হলে সৌদি আরবের মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হয় না। 

প্রশ্ন ১০: বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত সময় লাগে?

উত্তর: বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা। 

১০. লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সৌদি আরবের কোম্পানি নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech।ধন্যবাদ। 

এই আর্টিকেলের-

লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url