OrdinaryITPostAd

আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪


আমাদের সবার ইচ্ছে পৃথিবীর রাজধানী আমেরিকায় বসবাস করা। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া একসময় দু:সাধ্য বিষয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। আজকে আমি আলোচনা করব আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ২০২৪ সম্পর্কে।

এ আর্টিকেলে আমি আরো যেসকল বিষয়ে আলোচনা করেছি:

  1. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ২০২৪।
  2. আমেরিকা কাজের ভিসা।
  3. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
  4. আমেরিকা কাজের ভিসার খরচ।
  5. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
  6. কিভাবে অনলাইনে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
  7. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সুযোগ সুবিধা।
  8. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অসুবিধা সমূহ।
  9. আর্টিকেল সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর।
  10. লেখকের মন্তব্য।

আর্টিকেল সূচিপত্র - আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪


১.আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন।এদের অনেকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, এর আবেদন পদ্ধতি ও আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ম কানুন না জানার কারণে আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো না জানার কারণে আবেদন করতে পারেন না।
আবার অনেকেই বিভিন্ন রিকোয়্যারমেন্ট পূরণ করতে না পারায় তাদের আবেদন গৃহীত হয় না। অনেকেই আবার আমেরিকা যাওয়ার জন্য দালালের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। আজকে আমি আলোচনা করব কিভাবে অনলাইনে আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন,কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, রিকোয়্যারমেন্ট, ভিসা করতে কত খরচ পড়বে সেসব সম্পর্কে।
সুতরাং আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন সেই সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়বেন।

২.আমেরিকা কাজের ভিসা 


আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বপ্রথম কাজের ভিসা চালু করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন কাজের ভিসা চালু করেন তখন এর নাম ছিল জব ভিসা। এরপর যখন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তখন আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া অনেক সহজ করে দিয়েছে।
কিন্তু আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে মোটামুটি ইংরেজি জানতে হবে। আপনার যদি ইংরেজি ভাষার প্রতি বেশি দক্ষতা থাকে তাহলে আমেরিকা কাজের ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। অনেকে আমেরিকা জব ভিসার জন্য IELTS স্কোরের কথা বলে। কিন্তু এমন অনেক আমেরিকান জব রয়েছে যেগুলোতে আপনি IELTS স্কোর ছাড়াই যেতে পারবেন। 
তবে আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথোপকথন করতে হবে।
আমেরিকা যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা শিখতে হবে।কিন্তু আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় বায়ারদের সাথে কথা বলতে না পারেন,আমেরিকান কোম্পানি যখন আপনার ইন্টারভিউ নেবেন তখন যদি আপনি তাদের সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন তাহলে আপনি কিন্তু আমেরিকা যেতে পারবেন না।

৩.আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 

আমেরিকা গিয়ে যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ আমেরিকা কাজ করার জন্য যায়।আপনিও যদি একা কাজ করার জন্য যান তাহলে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।
বর্তমান সময়ে আমেরিকা কাজের ভিসা চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দালাল সংস্থা চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।এরকম চটকদার বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকতে হবে।আপনাকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনার প্রথম করণীয় হলো ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হ‌ওয়া। কারণ সেখানে জীবনযাপনের মাধ্যম ইংরেজি ভাষা।
আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ভালো কথা বলতে পারেন বা আপনার কোয়ালিফিকেশন অনেক ভালো থাকে তাহলে খুব অল্প দিনেই আপনি আমেরিকান ভিসা পেয়ে যাবেন। আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কখনো কোনো দালাল সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন না। ধরুন আপনি ইংরেজিতে ভালো কথা বলতে পারেন না ।
কিন্তু একটি দালাল সংস্থা বলেছে আপনাকে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দেবে । কিন্তু আপনি এখন ভাবুন আমেরিকা ইংরেজি ভাষাভাষীর একটি দেশ। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন তাহলে ওখানে গিয়ে কী কাজ করবেন? একারণে এরকম চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ভিসার জন্য চুক্তিবদ্ধ হবেন না। আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে থাকুন।
তাছাড়া আপনি যদি দালালদের চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তাদের সাথে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য অর্থ‌ও লেনদেন করে থাকেন,তাহলে আপনি বিপদে পড়বেন।কারণ আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে অর্থের কোনো লেনদেন হয় না।যদি অর্থের লেনদেন করার প্রয়োজন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেইল করে বিষয়টি জেনে নিতে পারেন।
এছাড়া যদি অর্থ লেনদেনের প্রয়োজন পড়ে তাহলে শুরুতে ইমেইল করে নিশ্চিত হয়ে নিন যে,এই কর্তৃপক্ষ থেকেই অর্থ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি আপনি বুঝতে পারেন যে ইমেইলটি ফিশিং ইমেইল, তাহলে অর্থের লেনদেন করা থেকে বিরত থাকুন।

৪. আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ 

আমেরিকা কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট মূলত এক‌ই। আমেরিকা কাজের ভিসার মূল্য কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। কারণ আপনি আমেরিকা গিয়ে যে কোম্পানির অধীনে কর্মরত হবেন সেই কোম্পানি যদি আপনার সকল খরচ বহন করে তাহলে আপনার ভিসার খরচ কমে যাবে।।আবার সেই কোম্পানি যদি আপনার ভিসার খরচ বহন না করে তাহলে আপনার ভিসা করতে অনেক টাকা লাগবে। 
আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যাবে এতে।

৫. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো নিম্নরূপ:
  1. বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট।
  2. পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
  3. আপনার Curriculum Vitae 
  4. Cover letter.
  5. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
  6. অভিজ্ঞতার সনদ।
  7. IELTS  সনদ।
  8. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
  9. Health Insurance.
  10. Medical Test Report.
  11. Application.
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে Embassy থেকে একটি Date fixed করে দেওয়া হবে। এরপরে Interview হবে। Interview  তে উত্তীর্ণ হলে ফাইলগুলো save করে পরবর্তী procedure এর জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ কানাডা কোন কাজের চাহিদা বেশি [আপডএটএড]

৬. কিভাবে অনলাইনে আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন 

আমেরিকা কাজের জন্য প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে https://bd.usembassy.gov/visas/   এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিবেন।অত:পর আপনার সকল ইনফরমেশন দিয়ে আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হবে।
কিন্তু যারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন না তারা চাইলে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হবে । তাহলে আপনি ভিসা সংক্রান্ত কোনো জালিয়াতের শিকার হবেন না।
ফরমে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ঘর রয়েছে যেখানে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট লিংক দিতে হবে। সুতরাং আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট লিংক দেওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে, আপনার একাউন্টে কোনো আজেবাজে কনটেন্ট আছে কি না। থাকলে তা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। এর দ্বারা প্রমাণিত হবে যে, আপনি একজন ভালো মানুষ।
কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিদেশি কর্মীদের মধ্যে থেকে ভালো মানুষ খুঁজে । নচেৎ আপনাকে এ ভিসা পাবার জন্য অযোগ্য বলে গণ্য করা হবে এবং এ ভিসাটা পাবেন না।

৭. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সুযোগ সুবিধা 

আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেগুলো আমেরিকায় জব ভিসায় গমনেচ্ছু একজন বাংলাদেশির জানা প্রয়োজন।যেমন:
  1. আমেরিকায় মানবাধিকার ব্যবস্থা বেশ সুন্দর। সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বাধীনভাবে নিজ জীবনের যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 
  2. আমেরিকায় প্রতিটি চাকরিতে কর্মরত কর্মীদের জন্য উচ্চ বেতনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে প্রতিটি চাকরিতে কোম্পানির নির্দিষ্ট বেতন রয়েছে যা যেকোন উন্নত জীবন প্রত্যাশীর জন্য ঈর্ষণীয়।
  3. কোনো ব্যক্তি যদি আমেরিকার কোনো কোম্পানির স্পন্সরশিপে জব ভিসায় আমেরিকা যান তাহলে তিনি সাথে করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে সমস্ত খরচ কোম্পানির স্পন্সরশিপের আওতায় থাকবে। উক্ত ব্যক্তি কিছুদিন পর তার পিতা মাতাকেও নিয়ে আসতে পারবেন।তবে সন্তানদের বয়স ১৮ বা ২১ বছরের বেশি না হলে এটা প্রযোজ্য।
  4. জব ভিসায় আমেরিকা আসার ৩ মাস পর গ্ৰীনকার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গ্ৰীনকার্ডের জন্য আবেদন করার পর যদি আপনি গ্ৰীনকার্ড পেয়ে থাকেন, তাহলে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়ে যাবেন। এমনকি ৫ বছর বসবাসের পর আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের আবেদন‌ও করতে পারবেন।
  5. আমেরিকায় প্রবাসে আপনার কোনো সন্তানের জন্ম হলে সে আমেরিকার নাগরিকত্বের সনদ লাভ করবে এবং আমেরিকার নাগরিক হতে পারবে।
  6. শ্রমিকদের জন্য সেখানে প্রতি ঘণ্টা হিসেব করে মজুরি দেওয়া হয়। ধরুন আপনার মজুরি ঘণ্টায় 9$ ,তাহলে আপনি ১০ ঘণ্টা কাজ করলে 90$ মজুরি পাবেন যা আপনার প্রতিদিনের জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট ভালো।
  7. কোনো কারণে আপনি চাকরি হারিয়ে ফেললে সেখানকার এজেন্সিগুলোর সাথে যোগাযোগ করলে তারা আপনাকে চাকরি ম্যানেজ করে দেবেন। এমনকি আপনি অ্যাপসের মাধ্যমেও চাকরির খোঁজ পাবেন এবং অ্যাপ্লাইও করতে পারবেন। অর্থাৎ আমেরিকায় প্রচুর অর্থ উপার্জন ও ভালোভাবে জীবন যাপনের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
  8. যুক্তরাষ্ট্রের আইনি সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত উন্নত মানের।
মোটকথা আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আমেরিকা গমন করেন তাহলে আপনার জন্য অনেক সুন্দর জীবন অপেক্ষা করছে।

৮. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অসুবিধা সমূহ 

আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ সুবিধা থাকলেও অসুবিধাও যে নেই তা কিন্তু নয়। এতসব সুযোগ সুবিধা থাকার পরও এর বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে যেগুলো জানা জরুরি। যেমন:
  1. যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সেই কোম্পানি যদি আপনাকে স্পন্সর না করে তবে আপনাকে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হবে। আর আপনি একাই আসতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে পরিবারের অন্য সদস্যদের (পিতা মাতা,স্ত্রী-সন্তান) নিয়ে আসতে পারবেন।
  2. আমেরিকায় ৫ বছর থাকার পর আমেরিকার নাগরিকত্বের আবেদন করলেও আপনাকে সাথে সাথেই সেটা ইস্যু করা হবে না।বরং এক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে আপনাকে নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
  3. আমেরিকার জীবনের সকল হিসেব নিকেশ রোবটের মত। অর্থাৎ খাওয়া দাওয়া,কাজ, ঘুমানো ও কর্মস্থলে যাতায়াত ছাড়া অন্য কোনো কিছু করার সুযোগটাও নেই আমেরিকা প্রবাসীদের জীবনে। প্রতি ঘণ্টায় হিসাব করে মাসিক বেতন দেওয়া হয় বলে দিনের বেশিরভাগ সময় প্রবাসীরা কাজ করতে বাধ্য হয়।
  4. কর্মস্থলে যাতায়াতের ভাড়া, বাজার করা, কেনাকাটা সহ প্রাত্যহিক জীবনের সকল খরচ নিজের বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানি কোনো খরচ বহন করবে না।


৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন ১: আমেরিকা কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি এক‌ই?

উত্তর:জি। আমেরিকা কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত এক‌ই।

প্রশ্ন ২:আমেরিকায় কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কত বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে?

উত্তর:১৮-৪০ বছরের মধ্যে হ‌ওয়া বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৩: কিভাবে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দ্রুত পাওয়া যাবে?

উত্তর:যদি আপনি ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন করে থাকেন,তাহলে ইন্টারভিউর তিন দিনের মধ্যেই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।

প্রশ্ন ৪: আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য কি IELTS এর প্রয়োজন আছে?

উত্তর: অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমেরিকায় চাকুরির জন্য IELTS প্রয়োজন হয়। কারণ পশ্চিমা সব দেশেই চাকুরিতে আবেদনের জন্য IELTS একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা দক্ষতা।তাই IELTS সার্টিফিকেট থাকা উত্তম।তবে আমেরিকায় এমন অনেক চাকুরিও আছে যেখানে IELTS এর দরকার হয় না। তাই আমেরিকার চাকুরিতে আবেদনের পূর্বে দেখে নিবেন যে, চাকুরিতে IELTS বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কি না।
তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য IELTS বাধ্যতামূলক,কারণ পশ্চিমা দেশগুলোতে যেকোনো ভিসায় IELTS একটি অপরিহার্য দক্ষতা।

প্রশ্ন ৫: আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়?

উত্তর: আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় যেগুলো নিম্নরূপ:
  1. বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট.
  2. পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি (ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ৩৫×৪৫).
  3. CV.
  4. Cover letter.
  5. শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  6. অভিজ্ঞতার সনদ।
  7. IELTS.
  8. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (আপনি দেশে কোনো মামলায় আসামি হয়েছেন কি না বা আপনার নামে মামলা করা হয়েছে কি না সেটা জানার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন,যেন ভালো মানুষ গুলোকে যাচাই বাছাই করে নেওয়া যায়)।
  9. Health Insurance ( আমরা একে ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স‌ও বলে থাকি).
  10. Medical Test. অ্যাম্বাসি কর্তৃক নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে এ টেস্টগুলো করে সেগুলোর রিপোর্ট অ্যাম্বাসিতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
  11. সর্বশেষে একটি অ্যাপ্লিকেশন লাগবে।

প্রশ্ন ৬: আমেরিকায় শ্রমিকদের প্রতি ঘণ্টায় বেতন কত দেওয়া হয়?

উত্তর: প্রতি ঘণ্টায় 9$-10$।

প্রশ্ন ৭: আমেরিকায় শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতি বছর কত বেতন দেওয়া হয়?

উত্তর: সেটা কোম্পানির প্রতি ঘণ্টায় যত টাকা বেতন দেয় সে পরিমাণের উপর নির্ভর করে। একজন শ্রমিক বছরে কত ঘণ্টা কাজ করেছে সেটাকে ভিত্তি ধরে এ বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি কোম্পানির প্রতি ঘণ্টায় বেতনের পরিমাণ আলাদা। তবে এই পরিমাণের ভিন্নতা 9$-10$ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিষয়টি আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে indeed.com ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন।

প্রশ্ন ৮:আমেরিকায় জীবনযাত্রার মান কেমন?

উত্তর:সব দিক থেকে হিসেব মিলিয়ে দেখলে আমেরিকার জীবনযাত্রার মান পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় ভালো।কারণ সেখানে মানবাধিকার নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচা ও চলাফেরা করা যায়। আইনের প্রয়োগ সেখানে কঠোর হাতে করা হয়। শহরের সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির দিক থেকে আমেরিকা পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। এখানে ব্যবসা বাণিজ্য অনেক ভালোভাবে চালানো যায়।

প্রশ্ন ৯: আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কেমন?

উত্তর: যদি আপনার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান আপনাকে স্পন্সর করে,তাহলে আপনাকে ভিসা বা অন্য কোনো খরচ দিতে হবে না। কিন্তু যদি আপনার কোম্পানি আপনাকে স্পন্সর না করে তাহলে আপনাকে মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হবে।এ অর্থের পরিমাণ আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা।

প্রশ্ন ১০: আবেদনের কোনো অংশ কি অফলাইনে করতে হবে?

উত্তর: আবেদন অনলাইনে হবে তবে ফরমটি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।

১০. লেখকের মন্তব্য

এতক্ষণ আমি আপনাদের নিকট আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ ,তার আবেদন পদ্ধতি, আবেদন প্রক্রিয়া, সুযোগ-সুবিধা ও অসুবিধাগুলো পুরোটাই তুলে ধরেছি। আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে সেটাও তুলে ধরেছি। এখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন অনলাইনে করা হয়।
সেহেতু আপনার জন্য অনলাইনে ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে কোনো সমস্যা হবে না আশা করি। দালালদের চটকদার বিজ্ঞাপনের খপ্পরে পড়া থেকে সতর্ক থাকুন। দালালদের চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে এ ব্যাপারে কোনো অর্থ লেনদেন করা থেকে বিরত থাকুন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজ ভাষায় লিখেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url