ইতালিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় [সর্বশেষ আপডেট]
ইউরোপ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং বসবাসের জন্য আকর্ষণীয় অঞ্চল গুলোর মধ্যে সেরা।বর্তমান সময়ে যারা বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জীবন এবং ভালোভাবে জীবন অতিবাহিত করার জন্য অভিবাসী হতে চান, তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে ইউরোপের দেশগুলো। এখানকার দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপের বুট নামে খ্যাত ইতালি পছন্দের দেশগুলোর তালিকায় প্রথম কাতারে থাকে। ইতালি একটি সুন্দর দেশ এবং এখানকার জীবনমান, পড়ালেখার খরচ সহ সবদিক থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তাই ইতালিতে বসবাস,পড়ালেখা সহ নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আমেরিকা, কানাডাসহ পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া যতটা কঠিন প্রসেস, তার তুলনায় ইতালিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় অনেকটাই সহজ প্রক্রিয়া। আজকে আমরা আর্টিকেলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এখানে আমরা আরও আলোচনা করেছি---
- ইতালি গ্রীন কার্ড
- ইতালিতে বাংলাদেশিদের বেতন কত
- ইতালিতে স্পাউস ভিসা
- ইতালিতে বাসা ভাড়া
- ইতালি ভিসা
ইতালিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় - কি-ওয়ার্ড
১. ইতালি গ্রিন কার্ড
ইউরোপের দেশসমূহ তাদের নাগরিকদের বসবাসের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করে থাকে। একবার এই দেশসমূহের নাগরিকত্ব লাভ করতে পারলে, ভালোভাবে জীবন অতিবাহিত করা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ হল নাগরিকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সে দেশের সরকার প্রদান করে থাকে। বিশেষ করে, অনেকেই ইউরোপের অন্যতম সুন্দর একটি দেশ ইতালি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই ইতালিতে আসতে চাওয়া প্রায় সব মানুষেরই লক্ষ্য থাকে সেখানকার নাগরিকত্ব নেওয়া বা গ্রিন কার্ড পাওয়া। কখনও কখনও এটি প্রায় প্রবাদ তুল্য সোনার হরিণের মতো হয়, যা সবাই ধরতে চায়। কারণ একবার সেটা পেলে জীবন সফল হয়ে যায়। তাই আজ আলোচনা করতে তাই কিভাবে ইতালিতে গ্রীন কার্ড বা নাগরিকত্ব পাওয়া যায় খুব সহজেই। একইভাবে অনেক মানুষেরই দুশ্চিন্তা তারা নাগরিকত্ব কিভাবে পাবে এ নিয়ে।
তবে বিষয় হল, আপনি যদি কোন ধরনের বড় অপরাধ না করে থাকেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ইতালি থেকে না চলে আসেন, তবে একদিন হলেও আপনি নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই ইতালির নাগরিকত্ব পেতে হলে নিচে বর্ণিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।
এই দেশে বসবাসের বৈধতা পেতে দুটি উপায়ে আছে–-
১. স্যানিটোরিয়াম
২. আশ্রয়/শরণার্থী
*স্যানিটোরিয়াম ;----
ইতালীর সরকার প্রায় সময়েই অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়, যখন দেশে অনেক অবৈধ অভিবাসী থাকে। যে কেউ তখন সে দেশে বৈধতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। এই স্যানিটোরিয়াম নীতিতে কিছু শর্তের অধীনে বৈধতা প্রদান করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যা শেষ পর্যন্ত বৈধতার অনুমতি দিয়ে থাকে --
এক্ষেত্রে অবশ্যই নূন্যতম 6 মাসের মতো কৃষি কাজের, প্রতিবন্ধী অথবা বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পরিষেবা বা গৃহ সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। এবং ইতালিতে অবস্থান করতে হবে। যেহেতু অনেক লোক অন্যান্য দেশ থেকে আবেদন করে থাকে, তাই আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার ব্যাপারে একটি উচ্চ সম্ভাবনা আছে। আবার এমন সুযোগ প্রতি বছর আসে না। তবে, বেশিরভাগ সময়ই 2 বছর থেকে 3 বছর পরে হয়ে থাকে। তবে লক্ষণীয় ব্যাপার যে, পদ্ধতিটি হলো ইতালিতে আইনি ক্ষেত্রে মর্যাদা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ সিস্টেম। কারণ, কিছু নিয়ম মেনে সহজেই ইতালিতে বৈধতা পাওয়া যায়। তাই কেউ যদি এই দেশে থাকেন, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখবেন এবং উপরের কাজের একটিতে কাজ করতে হবে। যাতে কর্মসংস্থানের প্রমাণ দেখানো যায়।
স্যানাটোরিয়ার আবেদন প্রক্রিয়া ; —-
সরকারী ভাবে ঘোষণা দেওয়ার পর, আপনার কাছে উপরের নথি থাকবে। যেমন— চাকরির জন্য প্রশংসাপত্র, তাদের দেওয়া শর্ত পূরণ করলে। আইডি কার্ড এবং যেকোনো প্রকারের নথিতে কোনো ধরনের নথি উল্লেখ থাক, এই সমস্ত নথি সংগ্রহ করুন এবং সরকার দ্বারা প্রদত্ত ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এরপর পুলিশের সদর দপ্তর বা কুস্তোরায় জমা দিতে হবে। তারা প্রথমে 6 মাসের জন্য রেসিডেন্স পারমিট দিবে। এই সময় একটি স্থায়ী চাকরি খুজতে হবে। এভাবে আপনার কাঙ্খিত গ্রিন কার্ড পাবেন সহজেই।
আশ্রয়/শরণার্থী ; –
এ ধরনের প্রক্রিয়ার অর্থ হল ইতালী সরকারের কাছে আশ্রয়প্রার্থী হওয়া এবং তাদের দেশে থাকতে চাওয়া। ইতালি সরকারী সংবিধানে বলা আছে, যদি কেউ কোনো কারণে দেশে আশ্রয় প্রার্থী হয়, তবে প্রমাণ দেখাতে পারলে তাকে আশ্রয় দিতে হবে। এ সবই হলো সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। এবং কেউ যদি বঞ্চিত হয়ে যায় বা নিজ দেশে মৃত্যুর হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে সে দেশের সরকার তাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য।
আশ্রয়/শরণার্থী আবেদনের নিয়ম ; —
এ ধরনের যারা আবেদন করতে চাচ্ছেন, কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে এমন আবেদন করতে পারবেন। আপনার বয়স 18 বছরের কম হলে আবেদন করতে পারবেন। আপনি আবার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্যও আবেদন করতে পারবেন। অনেকেই মানবিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন। যেভাবেই আবেদন করুন, যথাযথ ডকুমেন্টেশন আপনাকে জমা দিতেই হবে। তাদের কাছে উল্লেখিত নথিগুলি প্রদান করুন। যেমন, আপনি সেখানে কাজ করছেন তার জন্য প্রমাণ, যেই দলের অংশ হিসেবে কাজ করেন এবং কখনও প্রয়োজনে ফটোও চাইতে পারে। এছাড়াও ফরম পূরণ করে পুলিশের সদর দপ্তরে জমা দেওয়া লাগবে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২. ইতালিতে বাংলাদেশিদের বেতন কত
ইতালিতে কাজ করতে যেতে ইচ্ছুক সকলেরই অবশ্যই জানা উচিত যে, ইতালীতে শ্রমিকদের জন্য মজুরি বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে থাকে। একজন শ্রমিক প্রতি মাসে গড়ে €1,000 ইউরো থেকে €1,500 ইউরোপ এর মধ্যে আয় করেন। এছাড়াও আরো অনেক লোক আছে যারা 3,000 ইউরো থেকে 5,000 ইউরো মাসিক বেতনে চাকরিতে কাজ করে থাকে। ইতালি দেশটি একটি সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। ইতালি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশ এবং ব্যবসায়িক জগতে একটা খুব বিখ্যাত নাম। এজন্য সেখানকার সরকার প্রায় প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দান করেন। আসলে বিদেশ প্রবাসী হতে ইচ্ছুক অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীদের ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু ইতালিতে শ্রমিকদের মজুরি কেমন সে সম্পর্কে অনেকেই জানে না। এ সেকশনে জানাব ইতালিতে কোন চাকরির বেতন কেমন হয়ে থাকে।
১. রেস্টুরেন্ট কর্মীদের বেতনের জন্য 80,000 টাকা।
২. ড্রাইভার হিসেবে কাজ করা শ্রমিকদের বেতন 100,000 টাকা থেকে 100,000 টাকা পর্যন্ত।
৩. নির্মাণ শ্রমিকদের বেতনের পরিসর 80,000 টাকা থেকে 100,000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৪. খাদ্য প্যাকেজিং কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা 60,000 থেকে 80,000 টাকা পর্যন্ত আয় করে।
৫. কৃষি কাজের ব্যাপারে নিয়োজিতদের জন্য বেতন 80,000 টাকা থেকে 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়।
ইতালিতে শ্রমিকের বেতন ১৫০০ ইউরো থেকে ২০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে শ্রমিকের কাজের উপর নির্ভর করে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। চিকিৎসকের কাজ করে থাকলে সর্বনিম্ন বেতন ১০০০০ পর্যন্ত ইউরো পাওয়া যায়। আবার যদি সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করলে ইতালিতে সর্বনিম্ন স্যালারি ১৫০০ ইউরো থেকে ২০০০ ইউরো পর্যন্ত পাওয়া যায়।
৩. ইতালিতে স্পাউস ভিসা
এটি একটি পারিবারিক ভিসা হলে, প্রথমে ভিসা ফি সম্পর্কে জানতে হবে। এটি করার জন্য, নিম্নলিখিত ফি প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
১. ভিসা আবেদন করার জন্য 12180 টাকা দিতে হবে
২. ভিএফএস গ্লোবাল সার্ভিস চার্জ এর জন্য 1600 টাকা
৩. ব্যাঙ্ক ড্রাফট করার জন্য 230 টাকা দিতে হবে।
তাহলে সার্টিফিকেট প্রয়োজন আছে কিনা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে—-
* আবেদনকারীদেরকে অবশ্যই ভিসার আবেদনপত্র ফরম পূরণ করতে হবে। আর স্ব-প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করা থাকতে হবে। তারা শিশু হলে, স্থানীয় সাক্ষী প্রদানও গ্রহণযোগ্য হবে।
*ডিজিটাল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোনো সংশোধনী হয়ে থাকলে, এটি জন্ম প্রশংসাপত্র সহ, স্কুল সার্টিফিকেট এবং ভোটার আইডি সহ একটি পৃথক আবেদনপত্রে উল্লেখ করা।
* প্রতিটি কাগজেই নিজ নাম, পিতার নাম এবং জন্ম তারিখ একই রকম থাকতে হবে।
*পরিবারের প্রশংসাপত্র এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার বা কমিশনার দ্বারা সরবরাহ করতে হবে। এরপর, পারিবারিক প্রশংসাপত্র দূতাবাস দ্বারা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তৈরি করতে হবে।
* নিকাহ নামা বা বিবাহের প্রশংসাপত্রে বিয়ের তারিখ এবং কলাম আকারে নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ থাকা বাধ্যতামূলক এবং বিস্তারিতভাবে পৃষ্ঠা নম্বর, রোল নম্বর, সিরিয়াল নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকতে হবে।
* নিকাহ নামা বা বিয়ের সার্টিফিকেটি অবশ্যই বাংলা এবং ইংরেজিতে হতে হবে। আসল বিয়ের ছবি থাকা চাই।
*দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে অবশ্যই
১. পারিবারিক প্রশংসাপত্র (প্রথম বিবাহ)
২. বিবাহের প্রশংসাপত্র (প্রথম বিবাহ)
৩. নিকাহ নামাটি বাংলা ও ইংরেজি (প্রথম বিয়ে)
৪. বিবাহবিচ্ছদের প্রশংসাপত্র
৫. বাংলা ও ইংরেজিতে বালাম নামা (কাজী অফিস থেকে আসল)
* শুধুমাত্র একজন পত্নীর ভিসার জন্য আবেদন করলে, তবে পাসপোর্টে যে দেশে বিয়ে হয়েছিল সেখানকার একটি স্ট্যাম্প থাকা আবশ্যক।
* সকল বাংলাদেশী সার্টিফিকেটে অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় দাঁড়া প্রমাণীকৃত হওয়া চাই।
* এছাড়া নিজ দেশে টেলিফোনে বিয়ের ক্ষেত্রে দুই সাক্ষীর ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্টের কপি লাগবে।
* আসল সার্টিফিকেট তরল পানীয় বা কোন প্রকার কেমিক্যাল দিয়ে মুছে বা কলম দিয়ে আঁচড়ানো থাকা যাবে না? এবং আবেদনের দিন নিজ আসল ভোটার আইডি কার্ড এবং স্কুল সার্টিফিকেট এবং সমস্ত ধরণের আসল সার্টিফিকেট ও তাদের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
যে সমস্ত নথিপত্র ইতালি থেকে দেশে পাঠাতে হবে?
* পাসপোর্টের প্রত্যেকটা পৃষ্ঠার ফটোকপির প্রমাণ ইতালীর থানা থেকে প্রাপ্ত জিডি পাসপোর্ট ফটোকপি অথবা রোম/মিলান, ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সংগ্রহকৃত পাসপোর্ট হারানোর প্রশংসাপত্র।
* আবাসিক পারমিটের জন্য একটি অনুলিপি অবশ্যই ইতালীয় পুলিশ স্টেশন দ্বারা প্রত্যয়িত হওয়া আবশ্যক এবং বসবাসের অনুমতির জন্য বৈধ হওয়া।
* টেলিফোন মাধ্যমে বিবাহের ক্ষেত্রে, ইতালির রোম/মিলানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে টেলিফোন মাধ্যমে বিবাহের প্রশংসাপত্র সংগ্রহ নিতে হবে।
*ইতালি থেকে ফোনে বিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি, যাতে পত্নীর বর্ণনা থাকে এবং দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতির বিবরণ দেওয়া রয়েছে।
*টেলিফোন মাধ্যমে বিবাহের সময় সাক্ষী যারা ছিলেন, সেই দু’জনের সিগনেচারসহ পাসপোর্ট ও সৌজরনো এর ফটোকপি ইতালিয়ান কমুনে বা পুলিশ স্টেশন থেকে সত্যায়িত করাতে হবে।
* আর সবার শেষে নুল্লা অস্তার আসল কপি।
৪. ইতালিতে বাসা ভাড়া
যেহেতু ইউরোপের দেশসমূহে আয়ের পরিমাণ বেশি, তাই তাদের জীবনযাত্রার খরচও বেশি। বিশেষ করে ইতালীতে যারা বসবাস করে তাদের জন্য, খাবারের চেয়ে আবাসন বাবদ খরচ বেশি হয়। অনেকে বাসা ভাড়ার ব্যাপারে খুব চিন্তিত থাকে। কিছু মানুষ এটাকে কঠিন মনে করে। সুতরাং, ইতালিতে বাসা ভাড়া নিতে চাইলে, আমি এখানে আপনার জন্য সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
প্রথমত, নিজের পরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সবচেয়ে ভাল। কারণ হলো, এক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ধরনের কমিশন দিতে হবে না। দ্বিতীয়ত, আপনি ভাল একটা এজেন্টের মাধ্যমে বাড়ি খুঁজে পেতে পারেন। যদিও এ ধরনের এজেন্ট আপনার কাছ থেকে কিছু পরিমাণ কমিশন নিয়ে নেবে। আবার এ ক্ষেত্রে, এজেন্ট বিভিন্ন তথ্য এবং সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এবারে একটা বাড়ি ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে বলা যাক অর্থাৎ কোন টাইপের বাড়ি কিনতে হবে বা কোথায় কিনতে হবে এবং ভাড়া কত হতে হবে? শহরের মধ্যে বাড়ি ভাড়া নিতে চাইলে খরচ কিছুটা বেশি পড়বে। এ ক্ষেত্রে একটা ঘরের দাম হতে পারে 350 ইউরো থেকে 450 ইউরোর মধ্যে৷ আবার বাড়ীটি গ্রামের সাইডে অবস্থিত হলে, সে ক্ষেত্রে এক রুমের একটা বাসা ২৫০ ইউরো থেকে ৩০০ ইউরো হতে পারে। আবার ব্যাচেলর হয়ে থাকলে ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে কয়েকজন পরিচিত জন মিলে মেস করে থাকা যেতে পারে।
সেই জন্য দেখা যায় বাড়ী ভাড়া বাবদ ও খাওয়া খরচ সহ অনেক কম করে পড়বে। ইচ্ছে করলে সে রকম করেও থাকা যেতে পারে। এতে যে কেউ অনেক সাশ্রয়ী ভাবে থাকতে পারবে বলে আশা করি।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মুড সুইং এর আসল কারণ
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url