জীবিকা নির্বাহের জন্য বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিদেশে যেতে চায়। সবচেয়ে কম খরচে কার্যকরীভাবে বিদেশে যাওয়ার একমাএ উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় নিয়ে। কাজেই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হচ্ছে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া। বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়া হয়। সরকারিভাবে মূলত তিনটি উপায়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়া যায়। যেমন-
শ্রমিক হিসেবে
চাকরিপ্রার্থী হিসেবে
শিক্ষার্থী হিসেবে
তিনটি মাধ্যমের যেকোন একটি উপায়ে আপনি বিদেশ যেতে পারবেন। সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার নিয়োগ প্রকাশিত হয় বোয়েসেল এর ওয়েবসাইটে। এজন্য আপনাকে বোয়েসেলের পেইজে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী আপনার যদি সকল যোগ্যতা থাকে তাহলে খুব সহজে ভিসার জন্য আবেদন করে পছন্দের দেশে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন :
আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারবেন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন সম্পর্কে। চলুন তাহলে জানি।
প্রথমে আপনার ফোনে প্লে স্টোর থেকে প্রবাসী নামক অ্যাপস ডাউনলোড করে নিন।
ডাউনলোড করার পর অ্যাপটি ওপেন করুন।
অ্যাপে উল্লেখযোগ্য সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস যেমন পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পএ ইত্যাদি তথ্য সাবমিট করতে হবে।
এবার আপনাকে কোন দেশে যেতে চান, কি উদ্দেশ্যে যেতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে।
সুতরাং এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতাভিত্তিক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে বিদেশ যেতে পারবেন।
সরকার সৌদি আরবের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি নিয়োগ দিবে। সৌদি আরবের সিভিল কোম্পানি এন্ড লিমিটেড এর অধীনে ১২৫ জন কর্মী নেয়া হবে। যেসব পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে তা হলো:
plumber -10 জন
painter -10
welder - 10
Steel fixer - 10
Mason- 10
Electrician building - 5
Heavy driver - 10
Labour construction- 40 জন
Heavy equipment operator - 10
Carpenter -10 জন
সুযোগ সুবিধা :
বাসস্থান, যাতায়াত, খাওয়া, চিকিৎসা, ইকামা সবকিছু ফ্রি। অর্থাৎ কোম্পানি সকল খরচ বহন করবে। যাওয়া আসার বিমান বাড়াও ফ্রি।
দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে
চাকরির মেয়াদ হচ্ছে দুই বছর
শিক্ষানবিশকাল 90 দিন
চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
সৌদি আরব কাজে বেতন :
সৌদি আরবে কাজের বেতন কত হবে তা নির্ভর করবে কাজের ধরনের উপর।একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করলে ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকবেন। তবে কোম্পানিতে কাজ করলে বেতন একটু বেশি পাওয়া যায়। কোম্পানি কাজের বেতন শুরু হয় ৩৫ হাজার থেকে এবং তা সর্বোচ্চ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
ভিসা খরচ :
সৌদি ভিসা যেতে কত টাকা খরচ হবে তাও নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর। সৌদি আরবের আমেল ভিসার জন্য খরচ হবে দুই লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকার মতো,ফ্যামিলি ভিসার জন্য খরচ হবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা, খাদ্দামা ভিসার জন্য খরচ হবে দুই লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, কাজের ভিসার জন্য খরচ হবে দুই লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ভিসা নেওয়ার আগে অবশ্যই কয়েকটি এজেন্সির সাথে কথা বলে নিবেন। কেননা অনেকে দালালের কবলে পড়ে অনেক টাকা দিতে হয়।সরকারিভাবে ভিসার খরচ সবচেয়ে কম হয়। সরকারিভাবে সৌদি আরব যেতে ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।
সৌদি ভিসা এজেন্সি :
বর্তমানে সৌদি আরবের ভিসা করার জন্য বাংলাদেশে ১৮ টি ভিসা এজেন্সি রয়েছে।এসব এজেন্সির মাধ্যমে সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। চলুন সৌদি ভিসা এজেন্সি গুলোর নাম সম্পর্কে জানি।
ইন্ট্রাকো কনসালটেন্সি সার্ভিসেস
দ্য বিশাজি
এসকে গ্লোবাল সার্ভিস
মিডল ইস্ট কনসালটেন্সি
বিএস সার্ভিসেস
আল খিদ মা কনসালটেন্সি সেন্টার
আল মারজান কনসালটেন্সি
এআই এন্টারপ্রাইজ
আল নূর কনসালটেন্সি সেন্টার
আমিরা কনসালটেন্সি সার্ভিস
আল হুমাইরা কনসালটেন্সি সেন্টার
জিতকো বিডি সার্ভিস
সুতরাং উপরোক্ত এজেন্সি গুলো থেকে খুব সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দালাল বা এজেন্সির সহযোগিতা ছাড়া, অল্প খরচে নিরাপদভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার একমাএ উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রথমে প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করুন। তারপর আপনার পছন্দমতো কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করুন। প্রতিনিয়ত মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ প্রকাশ করে থাকে। তারপর কোম্পানি গুলো থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সরকারিভাবে চলে যান মালয়েশিয়া।
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার ডকুমেন্টস :
জাতীয় পরিচয়পএ
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
ওয়ার্ক পারমিট
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হবে কমপক্ষে ২ বছর)
আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-৪৫
মেডিকেল রিপোর্ট
করণা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট
বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন কার্ড
খরচ:
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে ৭৮,৯৯০ টাকা খরচ হবে। পূর্বে অনেক টাকা খরচ হতো। মেডিকেল ফি, ভিসা ফি, পাসপোর্ট এবং ফ্লাইট টিকিট সবকিছু মিলিয়ে সরকারিভাবে যেতে ৭৮,৯৯০ টাকা খরচ হবে। দালাল বা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে ৪-৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে ১ লক্ষ টাকারও কম খরচ হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া :
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন দুই ভাবে করা যায়।
প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে
বিএমইটি কার্যালয়ের মাধ্যমে
বিএমইটি কার্যালয়ে আবেদন :
বাংলাদেশে বিএমইটি কার্যালয় রয়েছে ৪২ টি। সরকারিভাবে ভিসার আবেদন করার জন্য বিএমইটির যেকোন কার্যালয়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে আপনার দক্ষতা সাপেক্ষে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন :
প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
এবার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। ভেরিফাই হতে কমপক্ষে তিন দিন সময় লাগবে।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হওয়ার পর বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন ফি ৩০০ টাকা বিকাশ বা অন্য কোন মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
এই অ্যাপের ভিতর চাকরি খুঁজুঁন অপশন সার্চ করলে বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাবেন। তারপর পছন্দ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। প্রতি বছর কর্মী সংকটের জন্য হাজারো শ্রমিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া নেয়। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন করতে হবে। সরকার প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ 85 হাজারের মতো অভিবাসী নিয়োগ দেয়।
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে কোন দালালের পাল্লায় না পড়ে সরকারিভাবে আবেদন করুন। বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়া ভিসা দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। সুতরাং সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বোয়েসেলের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন :
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য বোয়েসেল ছাড়াও https://immi.homeaffairs.gov.au/visas/working-in-australia এই ওয়েবসাইট থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশের পর ভিসার ধরণ সিলেক্ট করতে হবে অর্থাৎ আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে। ভিসার ধরন সিলেক্ট করার পর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ও ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। এবার পূরণকৃত আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিন।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ডকুমেন্টস :
যেকোনো দেশে যাওয়ার জন্য কিছু না কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে একটু বেশি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যেসব ডকুমেন্টস ছাড়া আপনি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন না চলুন সেগুলো জেনে নেই।
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৬ কপি)
জাতীয় পরিচয় পত্র
পূরনকৃত অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন ফরম
স্বাস্থ্য বীমার সনদপত্র
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক নিয়োগকর্তার ঠিকানা
আর্থিক আয়ের প্রমাণপত্র।
সুতরাং উপরিউক্ত ডকুমেন্টসগুলো ব্যতীত আপনি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া ভিসা ক্যাটাগরি :
প্রতিটা দেশে বিভিন্ন ধরনের ভিসা থাকে। ভিসার ধরন অনুযায়ী দামও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আপনি যদি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত ক্যাটাগরির ভিসা গুলোতে আবেদন করতে পারবেন। যেমন:
স্টোন মিশন ভিসা
রেস্টুরেন্ট সেফ ভিসা
নার্স ভিসা
বয়লার মেকার ভিসা
পাইপ ফিটার ভিসা
ওয়েল্ডার ভিসা
সুতরাং আপনার যদি উপরোক্ত কাজগুলোর দক্ষতা থাকে তাহলে খুব সহজে সরকারিভাবে এসব ভিসায় আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে :
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করবে ভিসার ধরনের উপর। অস্ট্রেলিয়া ভিসার আবেদন করার পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগবে তার প্রাথমিক ধারণা নিয়ে নিবেন নয়তো প্রতারণার শিকার হতে পারেন। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। আবার টুরিস্ট ভিসায় যেতে খরচ পড়বে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা। মোটকথা সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার খরচ পড়বে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা। সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়াতে অল্প টাকায় যেতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়াতে কাজের বেতন কত :
অস্ট্রেলিয়াতে কাজের প্রচুর চাহিদা থাকলেও সেখানে শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে বেতনের পরিমাণ। অস্ট্রেলিয়াতে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আপনার কাজের উপর অভিজ্ঞতা যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি মাসিক ষাট হাজারেরও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়াতে যারা লেবারের কাজ করে তারা মাসিক ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করে। অস্ট্রেলিয়াতে একজন ওয়েটারের সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা।একজন ক্লিনার এর সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা। একজন কৃষকের সর্বনিম্ন বেতন 30 হাজার টাকা। মোট কথা আপনার যদি যেকোনো কাজের উপর ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ভাল টাকা আয় করতে পারবেন।
ওশেনিয়া মহাদেশের সুন্দর একটি দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
সরকারিভাবে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো মানুষ যায়। সরকারিভাবে নিউজিল্যান্ড যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের ভিসা মূলত তিনভাবে পাওয়া যায়।
এম্বাসি বা এজেন্সির মাধ্যমে
জব ওয়েবসাইটে আবেদন করে
আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে
নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটে আবেদন করার জন্য যেকোন একটি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।ভিসার জন্য আবেদন করার পর ভাইভা পরীক্ষা নেওয়া হবে। ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এবং শর্তাবলী পূরণ করা সাপেক্ষে নিউজিল্যান্ডের কাজের ভিসা দেওয়া হবে। তাছাড়াও বাংলাদেশে অনেক সরকারি স্বীকৃত এজেন্সি রয়েছে যারা কাজের ভিসা দিয়ে থাকে। এসব এজেন্সি থেকে ভিসা করলে এজেন্সিগুলো ভিসা তৈরির দায়িত্ব নিয়ে নিবে। তার জন্য এজেন্সিকে টাকা দিতে হয়।
নিউজিল্যান্ড কাজের বেতন কত
নিউজিল্যান্ড উন্নত দেশ হওয়ায় যেকোন কাজ করেই মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হন তাহলে মাসিক তিন থেকে পাচঁ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। নিউজিল্যান্ডে যদি আপনি ওয়ার্ক শপ,কৃষি কাজ, প্লাম্বিং কাজ করেন তাহলে মাসিক এক থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আবার ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রনিকস এসব কাজ করেও ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সুতরাং যেসব কাজের ভালো বেতন রয়েছে সেসব কাজে দক্ষতা অর্জন করুন এবং সেসব কাজে নিউজিল্যান্ড যান।
নিউজিল্যান্ড ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
জব অফার লেটার
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা
পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপএ(এসএসসি বা এইচএসসি)
নিউজিল্যান্ডের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলোর প্রয়োজন হবে।
নিউজিল্যান্ডের টাকার মান :
টাকার রেট প্রতিনিয়ত উঠানামা করে। নিউজিল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের ৬৮ থেকে ৬৯ টাকা। এজন্য নিউজিল্যান্ডের অল্প সময় থাকার মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে :
অনেকেরই নিউজিল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে। সরকারি জব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডে যেতে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা লাগবে। এজেন্সির মাধ্যমে যেতে খরচ হবে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা, এবং আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে যেতে খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। দালালের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করলে অনেক টাকা খরচ হয়। এক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিলে ১৪ থেকে ১৬ লাখ টাকার মতো খরচ হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক কর্মী সিঙ্গাপুরে কর্মরত রয়েছে। অনেকে আবার সিঙ্গাপুর যেতে ইচ্ছুক। সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করুন। আবেদন করার কিছুদিন পর ভিসা আসলে স্বল্প খরচে সহজেই সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন।
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি :
সিঙ্গাপুরে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। এসব কাজের দক্ষতা থাকা সাপেক্ষে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে জানি সিঙ্গাপুরে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো সম্পর্কে ।
প্লাম্বিং
গ্লাস ফিটিং
কন্সট্রাকশন
ক্লিনার
অফিস বয়
ওয়েল্ডিং
ফ্যাক্টরি
ড্রাইভিং
ইলেকট্রিশিয়ান
মার্কেটিং ম্যানেজার
সেনেটারি
সুতরাং উপরোক্ত কাজগুলোর সিঙ্গাপুরে অনেক চাহিদা রয়েছে। এসব কাজের দক্ষতা অর্জন করুন এবং চলে যান সিঙ্গাপুরে।
সিঙ্গাপুর যাওয়ার ডকুমেন্টস :
সিঙ্গাপুর যেতে যেসব ডকুমেন্টসের প্রয়োজন তা হলো :
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
আমন্ত্রণপএ(তা হতে হবে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত কারো কাছ থেকে)
পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের)
ভিসা ফি ৩০০ ডলার
পাসপোর্টে একটি খালি পাতা থাকতে হবে।
সিঙ্গাপুর যাওয়ার বয়স :
অনেকেই জানতে চায় সিঙ্গাপুর পেতে কত বয়স হতে হবে। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-৫০ বছর। অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না আবার ৫০ বছরেরও বেশি কেউ সিঙ্গাপুর যেতে পারবেন না।
সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন :
আপনি যদি ভালো একটি এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যান তাহলে তাড়াতাড়ি কাজ পাওয়ার পাশাপাশি ভালো বেতনও পেয়ে থাকবেন। প্রাথমিকভাবে সিঙ্গাপুরে একজন শ্রমিককে ৪২৯ মার্কিন ডলার বেতন দেওয়া হয়। তবে দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার বেতন দেওয়া হয়।
আমেরিকা হচ্ছে এমন একটি দেশ যেখানে যাওয়ার স্বপ্ন প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মানুষ দেখে। কিন্তু আমেরিকা যেতে অনেক টাকা লাগে। কেননা বাংলাদেশে আমেরিকার তেমন কোন এম্বাসি নেই। এর ফলে মানুষ দালালের মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চায় এবং অনেক টাকা খরচ হয়। এজন্য সবচেয়ে ভালো কম খরচে সরকারিভাবে আমেরিকা যাওয়া। সরকারিভাবে আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত বোয়েসেল এর ওয়েবসাইট চেক করুন। তারপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অভিজ্ঞতা অর্জন করে আবেদন করুন। ভিসা পেয়ে গেলে কম খরচেই আমেরিকা যেতে পারবেন।
আমেরিকা ভিসা খরচ :
ওয়ার্ক ভিসা:
আমেরিকা ওয়ার্ক ভিসার জন্য খরচ হতে পারে ১৬০ ডলার, কাজের ধরন ও কোম্পানির ভিন্নতা অনুযায়ী ভিসার খরচ কম বেশি হয়ে থাকে।
স্টুডেন্ট ভিসা:
আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিয়ত উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে খরচ হতে পারে ৩৫০ ডলার।
বিজনেস ভিসা :
বিজনেস ভিসায় আমেরিকা যেতে খরচ হতে পারে প্রায় ১৬০ ডলার। টাকার এই পরিমাণ নির্ভর করে থাকে জাতীয়তার উপর।
টুরিস্ট ভিসা :
আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য খরচ হতে পারে ১৬০ ডলার। টাকার পরিমাণ জাতীয়তার উপর নির্ভর করে।
ফ্যামিলি ভিসা:
আমেরিকার ফ্যামিলি ভিসার জন্য খরচ হবে ৩২৫ ডলার এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসার জন্য খরচ পরবে ৩৪৫ ডলার।
আমেরিকার ভিসার জন্য ডকুমেন্টস :
আমেরিকার একেক ভিসার জন্য একেক ধরনের ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়। যেমন:
বিশ্বের দ্বিতীয় সুন্দর ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হচ্ছে কানাডা। অনেকেই শিক্ষার জন্য, কাজের জন্য এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চায়। চলুন আজকে জানব সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
আপনি যদি সরকারিভাবে কাজের জন্য কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে কানাডার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে চাকরি নিতে হবে। আবার যদি ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহলে কানাডার সরকারি ইলেকট্রিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। কাজের ভিসার জন্য কানাডার কর্মসংস্থান প্রকল্পে কানাডা ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
আবার আপনি যদি চাকরী খোঁজতে চান তাহলে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইট www.jobbank.gc.ca ভিজিট করতে হবে । আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে কানাডার Standard অনুসারে Job Application এর জন্য Resume তৈরি করতে হবে।
কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে আপনাকে সরকারি স্টাডি পারমিট সংগ্রহ করতে হবে।তাছাড়া স্কলারশিপের ব্যবস্থাতো রয়েছেই। তাছাড়া সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যেতে আমি প্রবাসী রেজিষ্ট্রেশন করে আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি:
কানাডার সরকার প্রাথমিকভাবে যেসব ভিসা দিয়ে থাকে সেগুলো হলো :
১.স্থায়ী ভিসা -
এক্সপ্রেস এন্ট্রি ভিসা
স্থায়ী বসবাসের ভিসা
ব্যবসার অভিবাসী ভিসা
২.অস্থায়ী ভিসা-
স্টুডেন্ট ভিসা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ভ্রমন ভিসা
কানাডা ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপএ:
কানাডা যাওয়ার ভিসার আবেদন করতে আপনার অবশ্যই কিছু কাগজপএের প্রয়োজন হবে। এসব কাগজপত্র ছাড়া ভিসা প্রসেসিং সম্ভব নয়।কানাডা ভিসা প্রসেসিংয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো:
পাসপোর্ট
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ পত্র
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
মেডিকেল রিপোর্ট
জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
আর্থিক আয়ের প্রমাণপত্র
আবেদনকৃত কানাডা ভিসা আবেদন ফরম
ভিসার ফি প্রদানের প্রমাণ পত্র
কানাডার কনস্যুলেট থেকে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট
সুতরাং বলা যায় উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো আপনাকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কানাডিয়ান কনস্যুলেটে জমা দিতে হবে।
কানাডা যাওয়ার খরচ :
কানাডা যাওয়ার খরচ কত পড়বে তা নির্ভর করবে ভিসার ধরনের উপর। কারণ একেক ভিসার খরচ একেক রকম। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে পাঁচ লাখ টাকা, আবার আপনি যদি কৃষি ভিসায় কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৫-৮ লক্ষ টাকা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে খরচ পরতে পারে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা, আবার টুরিস্ট ভিসায় কানাডা যেতে খরচ হবে ৩-৪ লক্ষ টাকা। টুরিস্ট ভিসার মেয়াদের উপর খরচের তারতম্য কম বেশি হতে পারে।
কানাডা ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট :
কানাডা যাওয়ার জন্য সঠিকভাবে ভিসা প্রসেসিং করতে আপনার দরকার ভিসা প্রসেসিং এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করা। বাংলাদেশে অনেকটি ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি রয়েছে। চলুন জেনে নেই।
SA Associates
Obokash
Airwaysbd
VFS Global
এসকল এজেন্সির মাধ্যমে সহজেই কানাডার ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। সাধারণত ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ১৫০০০ টাকা নেওয়া হয়। ভিসা প্রসেসিংয়ের আরো অনেক এজেন্সি রয়েছে।
৯.সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে ইউরোপ যেতে হলে প্রথমে আপনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইউরোপের যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সে দেশের পলিসি সম্পর্কে জানবেন। তাছাড়া বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত অনেক এজেন্সি রয়েছে। এসব এজেন্সির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন। তাছাড়া আপনার যদি কোন আত্মীয় ইউরোপে থেকে থাকে সেক্ষেত্রেও কম খরচে ভিসা নিয়ে পাড়ি জমাতে পারেন ইউরোপে।
ইউরোপ ভিসা এজেন্সি :
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার অনেক এজেন্সি রয়েছে আর এসকল এজেন্সি বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে লাইসেন্স প্রাপ্ত। আপনি যদি কোনভাবে এসব এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন তাহলে বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে অভিযোগ করতে পারবেন।
ঠিকানা : ৭৮ নয়াপল্টন, শানজারি টাওয়ার, ৬ তলা, ঢাকা-১০০০
ইউরোপ ভিসার আবেদন :
ইউরোপ ভিসার আবেদন করার জন্য উপরোক্ত এজেন্সি গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আবার নিজেই যদি ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জবের নিয়োগ দেয়। তবে আপনি যদি এজেন্সির সাথে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি করে দিবে।
ইউরোপ যেতে কত টাকা লাগে :
ইউরোপের যেকোন দেশে যাওয়া মানুষের কাছে একটি স্বপ্নের মতো। অনেকের আবার প্রথমে চিন্তা আসে খরচের। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানব ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে।
ইতালি যেতে টাকার পরিমাণ :
বাংলাদেশের অনেক মানুষের প্রথম স্বপ্ন হচ্ছে ইতালি যাওয়া। আপনারও যদি প্রথম পছন্দ হয়ে থাকে ইতালি তাহলে আপনাকে ইতালি ভিসার জন্য গুনতে হবে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করলে খরচ আরো বেশি পরবে। এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি যেতে কমপক্ষে ১২ লক্ষ টাকা হাতে বাজেট রাখতে হবে।
বেলজিয়াম যেতে টাকার পরিমাণ :
বেলজিয়াম হচ্ছে ইউরোপের একটি দেশ। বেলজিয়াম যাওয়ার জন্য নিজস্ব ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে এবং খরচ পড়বে প্রায় ৯ থেকে ১১ লক্ষ টাকা।
পর্তুগাল যেতে টাকার পরিমাণ :
অনেকেই জানতে চায় পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে।বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল যেতে খরচ হবে ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা। এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করলে টাকা আরো বেশি লাগবে।
রাশিয়া যেতে টাকার পরিমাণ :
অনেকে সরকারিভাবে আবার অনেকে এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়া গিয়ে থাকে। সরকারিভাবে রাশিয়া যেতে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। বেসরকারিভাবে রাশিয়া যেতে খরচ হবে ১১ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা।
ইংল্যান্ড যেতে টাকার পরিমাণ :
বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের এজেন্সি বা দালাল পাওয়া খুবই কঠিন। এজন্য ইংল্যান্ড যেতে হলে নিকটস্থ আত্মীয়ের মাধ্যমে ভিসা নিতে হবে। ইংল্যান্ড যেতে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
ফ্রান্স যেতে টাকার পরিমাণ :
ফ্রান্স যাওয়া বর্তমানে খুবই কঠিন। ফ্রান্সে যাওয়ার নিয়ম কানুন খুবই কঠিন এবং টাকাও অনেক বেশি খরচ পড়ে। কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রান্সে যেতে হলে ১৪ থেকে ১৮ লাখ টাকা খরচ পড়বে। মোটকথা ফ্রান্সে যেতে আপনার কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা হাতে রাখতে হবে।
গ্রীস যেতে কত টাকা লাগে :
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইউরোপ মহাদেশে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম গ্রীসকে বেছে নেয়। গ্রিসে যাওয়ার পর অবৈধভাবে যে কোন রাষ্ট্রে যাওয়া যায়। গ্রীস যেতে খরচ হবে 5 থেকে 6 লক্ষ টাকা।
স্পেন যেতে কত টাকা লাগে :
বাংলাদেশ থেকে স্পেন যেতে খরচ হতে পারে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা। তবে খরচের পরিমাণ অনেক সময় কম বেশি হয়ে থাকে। স্পেন যাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৮ লক্ষ টাকা হাতে রাখতে হবে।
তাছাড়া ইউরোপের আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে যেতে চাইলে অনেক টাকা খরচ পড়বে।
১০.সরকারিভাবে দুবাই যাওয়ার উপায়
দুবাই হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী। বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছে প্রচুর কাজের সুযোগ। এজন্য প্রতিনিয়ত মানুষ দুবাই যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে। সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে দুবাই যাওয়া। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় দুবাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এজন্য বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করে আপনিও এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে দুবাই যাওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে :
দুবাই যেতে লত টাকা লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কেননা একেক ভিসার দাম একেক রকম। প্রত্যেক ভিসার আলাদা আলাদা খরচ এবং বাজেট হয়ে থাকে।দুবাই যেতে খরচ হবে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা এবং ভিসার কয়াটাগরি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
দুবাই যাওয়ার ডকুমেন্টস :
দুবাই ভিসার আবেদন করার জন্য যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন চলুন দেখে নেই -
বৈধ পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
বিমানের টিকিট
জাতীয় পরিচয় পএ বা জন্ম নিবন্ধন
ভিসা আবেদন ফরম
সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের এক কপি ছবি (সাইজ হবে 6×6 সেমি।
দুবাই ভিসা খরচ:
কাজের ভিসা খরচ :
দুবাই সরকার দুবাইয়ে কাজ করার জন্য অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। সরকারিভাবে দুবাই গেলে খরচ অনেক কম পরবে। কাজের ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে দুবাই যেতে খরচ পরবে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। আবার বেসরকারিভাবে দুবাই যেতে খরচ হবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
দুবাই ফ্রি ভিসা খরচ :
দুবাইয়ে ফ্রি ভিসার অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কারন এই ভিসাতে ইচ্ছে অনুযায়ী যেকোন জায়গায় কাজ করা যায়। এই ভিসায় বেতনও অনেক ভালো পাওয়া যায়। ফ্রি ভিসায় দুবাই যেতে খরচ পরবে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ:
বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে আপনি দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে ভিজিট ভিসায় খরচ পরবে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা। আবার এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই যেতে খরচ হবে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা।
স্টুডেন্ট ভিসা খরচ:
প্রতিনিয়ত অনেক স্টুডেন্ট বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য দুবাই যায়। অনেকে আবার স্কলারশিপও পায়।যারা স্কলারশিপ নিয়ে দুবাই যায় তাদের খরচ অনেক কম হয়।এক্ষেত্রে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আবার বেসরকারিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা নিতে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
দুবাই ভিসা চেক:
পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভিসা চেক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিসা চেক করার মাধ্যমে ভিসাটি সঠিক নাকি ভুয়া তা জানতে পারবেন। এবার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করা নিচে দেওয়া হলো।
প্রথমে মোবাইল বা কম্পিউটার এর ওয়েব ব্রাউজার থেকে ICA Smart Services লিখে সার্চ করুন।
সার্চ করার পর একটি ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে Public Services ম্যেনুটি সিলেক্ট করুন।
এবার পেইজের নিচের দিক থেকে File Validity অপশনে ক্লিক করুন।
এবার Search By অপশনে ক্লিক করে ভিসার ধরন সিলেক্ট করুন।
এবার পাসপোর্ট নাম্বার,পাসপোর্ট এক্সপায়ার ডেট,জাতীয়তা সিলেক্ট করুন। ক্যাপচা পূরণ করে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে ভিসার স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।
১১.সরকারিভাবে কাতার যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে কাতার যাওয়ার জন্য বোয়েসেল এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। বোয়েসেল এর মাধ্যমে কাতার যেতে নির্দিষ্ট একটি কাজের উপর দক্ষতা দেখিয়ে প্রমাণ দিতে হবে এবং এক্সাম দিয়ে পাশ করতে হবে।
কাতার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
পাসপোর্ট
জন্ম নিবন্ধন সনদ
ভিসা আবেদন ফরম
ছবি (পাসপোর্ট সাইজের)
আকামার ফটোকপি
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (মেইন)
করণা টিকা কার্ড
লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস
কাতার যেতে কত টাকা লাগে :
কাতার যেতে ইচ্ছুক সবার একটাই প্রশ্ন কাতার যেতে কত টাকা লাগে। আপনার যদি কোন কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে খুব সহজেই কাতারে কাজ পাবেন। কাতার যেতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হবে। টাকার পরিমাণ ভিসার মেয়াদের উপরও নির্ভর করে। সরকারিভাবে কাতার যেতে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হবে। সরকারিভাবে কাতার যেতে খরচ হবে ৬০ হাজার টাকা। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাতার যেতে খরচ হবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
কাতার বেতন কত:
কাতার যেতে ইচ্ছুক সবাই জানতে চায় কাতার বেতন নিয়ে।কাতারে যেকোন ভিসায় গেলে বেতন সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকবেন। দক্ষতা বৃদ্ধি সাপেক্ষে বেতন আরো বৃদ্ধি পাবে।
কোম্পানি ভিসার বেতন :
কাতারে রয়েছে হাজারো কোম্পানি। এসব কোম্পানিতে ভালো টাকা বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। কাতারে কোম্পানি ভিসায় ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন দিয়ে থাকে।
ড্রাইভিং ভিসা বেতন :
কাতারে ড্রাইভিং ভিসার ভালো সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বেতনও অনেক বেশি । কাতারে একজন ড্রাইভারের বেতন ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো হয়ে থাকে।
রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন :
কাতারে রেস্টুরেন্ট ভিসার প্রচুর চাহিদা। এজন্য অনেকেই জানতে চায় রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন সম্পর্কে। কাতারে রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি :
কাতারে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। কাতার যাওয়ার আগে অবশ্যই কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে রাখা উচিত। এতে করে এসব কাজের উপরে পূর্বেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। দেশটিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হচ্ছে -
ফ্যাক্টটির কাজ
রোড ক্লিনার
মেডিকেল ক্লিনার
ইলেকট্রিশিয়ান
ড্রাইভিং
মেকানিক্যাল
গ্লাস ক্লিনার
মসজিদ ক্লিনার
আইটি ইন্জিনিয়ারিং
ফায়ার সার্ভিস ম্যান
হোটেল ক্লিনার
সুতরাং উপরোক্ত কাজগুলোতে দক্ষতা অর্জন করুন। কারণ এসব কাজের কাতারে অনেক চাহিদা রয়েছে।
কাতার যাওয়ার বয়স :
যারা জানতে চান কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে আর্টিকেলের এই অংশটি তাদের জন্য। কাতার যাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স হচ্ছে ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স হচ্ছে ৫৫ বছর। অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে এবং ৫৫ বছরের উপরের কেউ কাতার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
১২.সরকারিভাবে জর্ডান যাওয়ার উপায়
বোয়েসেল এর অধীনে সরকারিভাবে জর্ডানের নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সরকারিভাবে জর্ডান যেতে হলে আজই আবেদন করে ফেলুন।
পদের নাম : মেশিন অপারেটর
পদসংখ্যা : ৩০০
বেতন: ১২৫ জর্ডানি দিনার
আবেদন প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০২৪
আবেদন শেষ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪
আবেদন ফি: ১২০০ টাকা।
চাকরির শর্তাবলী :
চাকরির মেয়াদ হবে ৩ বছর। তবে তা নবায়নযোগ্য
প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে এবং তা সপ্তাহে ৬ দিন, ওভারটাইমের ব্যবস্থা রয়েছে।
ব্যাক্তির খাওয়া, থাকা, চিকিৎসা এবং পরিবহন ব্যবস্থা মালিক বহন করবে।
কর্মীকে অন্তত দুইটি মেশিন চালনায় দক্ষ হতে হবে।
প্রার্থীর একাধিক পাসপোর্ট থাকলে সঙ্গে আনতে হবে।
যদি কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে জর্ডানের ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের নিয়োগ অনুপযুক্ত হবে।
অন্যান্য সকল শর্ত জর্ডান আইন অনুযায়ী প্রযোক্ত হবে।
অন্যান্য :
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রার্থীর বয়স হবে ২০-৩৫ বছরের মধ্যে। বিদেশ ফেরত প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বোয়েসেল সার্বিস চার্জ:
নির্বাচিত হওয়া কর্মীদের সার্বিস চার্জের ১৫% ভ্যাট, বোয়েসেল এর রেজিষ্ট্রেশন ফি, বহির্গমন ট্যাক্স, স্মার্ট কার্ড, ওয়েজ আনার্স ফি সহ সকল খরচ কোম্পানি বহন করবে। তবে নির্বাচিত প্রার্থীদের জীবন বীমা, মেডিকেল ফি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টের ফি বহন করতে হবে। তবে এসব টাকা পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হবে।
সাক্ষাৎকারের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
পাসপোর্ট (৪ কপি) সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের
জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপএ /অভিজ্ঞতার প্রমাণপএ
পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের রঙিন অংশের এক সেট রঙিন ও চার সেট সাদাকালো ফটোকপি
আবেদনের উপায় :
আগ্রহী প্রার্থীদেরকে বোয়েসেল ওয়েবসাইটে ডুকে আবেদন লিংকে প্রবেশ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইন আবেদনের ফলে আপনি ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তবে চাকুরির নিশ্চয়তা পাবেন না। এজন্য আপনাকে যোগ্যতা গ্রহণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা চেক :
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানব জর্ডান গার্মেন্টস ভিসা চেক নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেই।
প্রথমে মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর গুগুল ক্রোমে প্রবেশ করুন এবং https://www.moi.gov.jo/ এটি লিখে সার্চ করুন।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর চেক স্ট্যাটাস এ ক্লিক করুন।
এবার মেন্যুতে গিয়ে পাসপোর্ট নাম্বার এবং রেফারেন্স নাম্বার দিন। Captcha পূরণ করার পর Check বাটনে ক্লিক করুন। এবার জর্ডান ভিসা স্ট্যাটাসটি চলে আসবে।
সুতরাং উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় আপনার ভিসাটি ভুল নাকি সঠিক তা দেখে নিতে পারবেন।
১৩.সরকারিভাবে মরিশাস যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে যারা কর্মী হিসেবে কাজ করতে যায় সেসব দেশের মধ্যে মরিশাস একটি। বিভিন্নভাবে মানুষ মরিশাস গিয়ে থাকে। কেউ সরকারিভাবে আবার কেউ অবৈধভাবে যায়। অবৈধভাবে মরিশাসে গেলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তবে সরকারিভাবে মরিশাসে গেলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। সরকারিভাবে মরিশাসে যাওয়ার জন্য বোয়েসেল এর মাধ্যমে যেতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
কমপক্ষে ১০ মাস মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
চাকুরির চুক্তিপএ
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপএ
জাতীয় পরিচয়পত্র
সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি
কাজের অভিজ্ঞতার সনদপএ
মেডিকেল রিপোর্ট
বিএমইটি কার্ড
আঙ্গুলের বায়োমেট্রিক
সরকারিভাবে মরিশাস যাওয়ার জন্য এসকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
খরচ :
সরকারিভাবে বোয়েসেল এর মাধ্যমে মরিশাসে যেতে বিমান ভাড়া ও অন্যান্য সকল খরচ মিলিয়ে এক লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে বোয়েসেল সার্বিস চার্জ বাবদ আটএিশ হাজার নয়শত চল্লিশ টাকা সোনালি ব্যাংকের মগবাজার শাখা হতে 'বোয়েসেল ঢাকা' তে পে অর্ডার করতে হবে।
মরিশাসে যেতে কত টাকা লাগে :
মরিশাসে যেতে টাকার পরিমাণ কত হবে তা নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর। একেক কোম্পানি একেক ভিসার জন্য একেক রকম মূল্য চায়। মরিশাসের যেকোন ভিসায় যেতে খরচ পরবে দুই থেকে চার লাখ টাকা।
মরিশাস কাজের বেতন কত:
মরিশাসে কোন কাজে কেমন বেতন তা নিচে দেওয়া হলো -
গার্মেন্টস কাজে বেতন :
গার্মেন্টস ভিসায় অনেকেই মরিশাসে যায় এবং বেতন সম্পর্কে জানতে চায়। এই ভিসার দাম হয়ে থাকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা। গার্মেন্টস ভিসায় মরিশাসে বেতন দেওয়া হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুপি বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
কন্সট্রাকশন কাজের বেতন :
মরিশাসে কন্সট্রাকশন কাজ অনেক বেশি জনপ্রিয়। কন্সট্রাকশন কাজ করার জন্য অনেক বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন। মরিশাসে একজন কন্সট্রাকশন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয় ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুপি বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
ড্রাইভিং কাজের বেতন :
অনেকেই বর্তমানে ড্রাইভিং পছন্দ করে থাকে এবং এটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে বিদেশেও ভালো টাকা আয় করে। এই কাজে পরিশ্রমও অনেক কম। আপনি যদি মরিশাসে ড্রাইভিং ভিসায় যান তাহলে মাসিক ৩০ হাজার টাকার মতো আয় করতে পারবেন। তার পাশাপাশিও রয়েছে অনেক বাড়তি কাজের সুযোগ।
১৪. সরকারিভাবে মিশর যাওয়ার উপায়
মিশরকে বলা হয় পিরামিডের শহর। বর্তমানে মিশরে তৈরি হয়েছে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ। এজন্য সকলেই জানতে চায় সরকারিভাবে মিশর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
মিশর টুরিস্ট ভিসা :
মিশরে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। এজন্য মিশরে প্রতিবছর টুরিস্ট ভিসা নিয়ে হাজারো মানুষ যেতে চায়। মিশর টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হচ্ছে ৬ মাস এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণ হতে সময় লাগে ৭-১০ কর্মদিবস। মিশর টুরিস্ট ভিসায় সর্বোচ্চ ৩৯ দিন অবস্থান করা যায়। ভিসার জন্য মিশরীয় কনস্যুলেটে সরাসরি বা ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে।
টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
টুরিস্ট ভিসার জন্য অনেক কাগজপএের প্রয়োজন হবে। এসব কাগজপত্র ঠিকভাবে যোগাড় করে জমা দিলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। চলুন তাহলে দেখি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে।
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস) পাসপোর্টে অবশ্যই দুটি ফাঁকা স্থান থাকতে হবে
সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি (২ কপি) । ছবির সাইজ হবে ৩৫ মি.মি ×৪৫ মি.মি
কাজের প্রমাণপএ (চাকরিজীবী হলে এন ও সি, ভিজিটিং কার্ড।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিগত ৬ মাসের লেনদেনের)। একা ট্রাভেল করলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার।
কভার লেটার (এটি লিখতে হবে ভিসা অফিসার, এম্বাসি অফ মিশর, ঢাকা বরাবর।
হোটেল বুকিং এর ফটোকপি
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
পরিবারের সদস্যদের জন্য যেসব কাগজপএ প্রয়োজন - সকল সদস্যের পাসপোর্ট এবং দুই কপি করে ছবি,পাসপোর্টে স্বামীর নাম উল্লেখ না থাকলে স্ত্রীর জন্য মেরিজ সার্টিফিকেট। সন্তানের জন্য জাতীয় পরিচয় পএ বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং ফি:
৬ মাসের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ফি হচ্ছে ৩,৭০০ টাকা। মিশরে অবস্থান করা যাবে ৩০ দিন। ৬ মাসের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ফি হচ্ছে ৪,৬০০ টাকা। ৩০ দিন অবস্থান করা যাবে।
১৫.সরকারিভাবে এশিয়ার দেশগুলোতে যাওয়ার উপায়
বর্তমানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, সিরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মাকাউ, জর্জিয়া ইতালির দেশে সহজেই সরকারিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাওয়া যায়। এশিয়া মহাদেশের ৬ টি দেশ যেমন - ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ,তিমুর,নেপাল, শ্রীলংকা এসব দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায়। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে দালাল চক্রের হাত না থাকায় টাকা যেমন কম খরচ হয় ঠিক তেমনি প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য এন্ড্রয়েড ডিভাইসে প্রবাসী অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবেন। এখান থেকে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে বিদেশে যাওয়ার সকল চাকরির সার্কুলার দেখবেন। আপনার দক্ষতা সাপেক্ষে যেকোন একটিতে আবেদন করে সরকারিভাবে যেকোনো দেশে যেতে পারবেন।
এবার আমরা আলোচনা করব - এশিয়া মহাদেশের কয়েকটি দেশে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার উপায় :
এশিয়ার একটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন যেমন কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি। কাজের ভিসা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই ভিসা সম্পর্কে জেনে নিবেন। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়াতে দুই ধরণের কাজের ভিসায় যাওয়া যায়। একটি হচ্ছে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা, আরেকটি হচ্ছে কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা। আপনি যদি একজন ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক বা ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যেতে পারবেন।
অনেকে আবার ইন্দোনেশিয়াতে টুরিস্ট ভিসা নিয়ে জবের জন্য সিভি সাবমিট করে থাকে। তারপর কাজের জন্য যদি আপনি নির্বাচিত হন তাহলে খুব সহজেই ইন্দোনেশিয়া যেতে পারবেন।
ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার ডকুমেন্টস :
প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ ইন্দোনেশিয়াতে যায় কাজের উদ্দেশ্যে, ঘোরাঘুরি করতে। তবে যেভাবেই ইন্দোনেশিয়া যান না কেন প্রথমে আপনাকে একটি বৈধ ভিসা বানাতে হবে। আর এই ভিসা বানানোর জন্য প্রয়োজন কতগুলো কাগজপএের। চলুন তাহলে জানি কি কি কাগজপএের প্রয়োজন হবে।
অনলাইনে পূরণকৃত ভিসার আবেদন ফরম
পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ কপি)
এজেন্সি কর্তৃক প্রাপ্ত চিঠি
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
ব্যাংক স্টেটমেন্টের ফটোকপি
ট্রেড লাইসেন্সর ফটোকপি (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে)
ইন্দোনেশিয়া যেতে টাকার পরিমাণ :
অন্যান্য দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যত টাকা খরচ হয় ইন্দোনেশিয়াতে তার চেয়ে অনেক টাকা কম খরচ হয়। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে পূর্বে টিকিট করে রাখলে খরচ হতে পারে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কাজের ভিসায় ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং এবং আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোট ২ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব :
অনেকেই জানতে চায় বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব কত। বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৭১৪৯ কিলোমিটার।
ইন্দোনেশিয়ার এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা :
ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নাম হচ্ছে রুপিয়াহ। বাংলাদেশের এক টাকা ইন্দোনেশিয়ার ১৪০ রুপিয়াহ এর সমান। ইন্দোনেশিয়ার এক হাজার রুপিয়াহ বাংলাদেশের সাত টাকার একটু বেশি।
এশিয়ার আরেকটি দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ। চলুন তাহলে মালদ্বীপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।
মালদ্বীপ যাওয়ার উপায় :
এশিয়ার একটি দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ। মালদ্বীপ অনেক গুলো ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। অনেকেই কাজের ভিসা নিয়ে মালদ্বীপ যায়। কাজের ভিসা করার জন্য মালদ্বীপের এম্বাসিতে যেতে হবে এবং এম্বাসিতে গিয়ে ভিসার জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। ডকুমেন্টস গুলো এম্বাসি থেকে যাচাই বাচাই করা হবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অল্পদিনের মধ্যেই ভিসা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপের বিমান ভাড়া :
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে বিমানে যেতে খরচ হবে ৪৫০০০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে যেতে খরচ পড়বে ২৬হাজার থেকে ৩৬ হাজার টাকার মতো। আবার বিজনেস ফ্লেক্সিবল ব্যবহার করলে খরচ হবে ৫৫ হাজার থেকে ৬০০০০ টাকা। কাতার এয়ারওয়েজের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মালদ্বীপ যেতে খরচ হবে ১ লাখ ৮ হাজার থেকে ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মত।
মালদ্বীপ যাওয়ার ডকুমেন্টস :
মালদ্বীপ ভিসা করার জন্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো হচ্ছে -
বৈধ পাসপোর্ট (পাসপোর্ট এর মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
কয়েক কপি রঙিন ছবি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
মেডিকেল রিপোর্ট
পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম
করোনা ভ্যাকসিন এর টিকা কার্ড
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
মালদ্বীপ কাজের বেতন কত :
কাজের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ যাওয়া প্রতিটি শ্রমিকই ভালো টাকা বেতন পেয়ে থাকে। তবে অবশ্যই বেতনের পরিমাণ কাজের উপর নির্ভর করে। মালদ্বীপে ভালো কোন কাজে একজন শ্রমিক মাসিক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। তবে নরমাল কাজগুলোতে বেতন একটু কম দেওয়া হয়। রেস্টুরেন্ট ভিসায় মালদ্বীপে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা মাসিক ইনকাম করতে পারবেন। ড্রাইভিং ভিসায় মালদ্বীপে বেতন একটু বেশি দেওয়া হয়। ড্রাইভিং ভিসায় বেতন ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে।
মালদ্বীপ ভিসার দাম :
মালদ্বীপে একেক ভিসার দাম একেক রকম হয়ে থাকে। চলুন তাহলে কয়েকটি ভিসার দাম জেনে নেই।
কাজের ভিসার দাম :
কাজের ভিসা সাধারণত ৬ মাসের বৈধ পাসপোর্ট দিয়ে তৈরি করতে হয়। একটি কাজের ভিসার মেয়াদ দুই বছর, চার বছর এমনকি ৬ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি কাজের ভিসা তৈরি করতে খরচ হবে 10 থেকে 12000 টাকা। এই ভিসা নিয়ে মালদ্বীপ পৌঁছাতে খরচ হবে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।
টুরিস্ট ভিসার দাম :
মালদ্বীপের একটি টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে খরচ হবে 10000 টাকা। টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন। তবে আপনি যদি আরও বেশি দিন থাকতে চান তাহলে ভিসার দাম আরো দশ হাজার টাকা যোগ করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে টুরিস্ট ভিসায় যেতে বিমান ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে খরচের পরিমাণ আরো বেশি হবে।
মালদ্বীপ রিসোর্ট ভিসা :
মালদ্বীপের একটি রিসোর্ট ভিসা তৈরি করতে খরচ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে খরচ হতে পারে দুই থেকে চার লক্ষ টাকা।
১৬. সরকারিভাবে আফ্রিকা যাওয়ার উপায়
আফ্রিকা মহাদেশের একটি সুন্দর দেশ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকা। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকার ভিসা দেওয়া হচ্ছে। আফ্রিকাতে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যেমন যাওয়া যায় ঠিক তেমনি সরকারিভাবেও যাওয়া যায়। দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে আফ্রিকা যেতে অনেক টাকা খরচ হবে সেই তুলনায় সরকারিভাবে অনেক কম টাকা খরচ হবে। বাংলাদেশের বোয়েসেল প্রতিবছর সরকারিভাবে আফ্রিকা বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। বোয়েসেল এর এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কাজে দক্ষতা অর্জন করা সাপেক্ষে সরকারিভাবে আফ্রিকা যেতে পারবেন।
আফ্রিকা যেতে কত সময় লাগে :
আফ্রিকা যেতে ইচ্ছুক এমন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে আফ্রিকা যেতে কত সময় লাগবে। বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকা যেতে সময় লাগবে ১১ ঘন্টা ১৯ মিনিটের মতো। তবে সময় কম বেশি হতে পারে এবং তা কখনোই ১২ ঘণ্টার বেশি হবে না।
বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকা যেতে কত টাকা লাগে :
আফ্রিকা যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে ভিসার ধরনের উপর। যেমন টুরিস্ট ভিসার খরচ কম আবার কাজের ভিসার খরচ বেশি। কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আফ্রিকা যেতে খরচ হবে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মতো। তবে আফ্রিকাতে যদি আপনার কোন আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি আফ্রিকা যেতে পারবেন। আবার টুরিস্ট ভিসায় আফ্রিকা যেতে আপনার এক লক্ষ টাকার মধ্যে সবকিছু কমপ্লিট হয়ে যাবে।
আফ্রিকা কাজের বেতন কত :
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই আফ্রিকা গিয়ে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে থাকে। সেজন্য কাজের বেতন নির্ভর করে দোকানের ধরনের ওপর। অর্থাৎ দোকান ছোট, বড় নাকি মাঝারি। একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে আফ্রিকাতে ৫ থেকে ছয় হাজার আফ্রিকান টাকা বেতন দেওয়া হয় বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ত্রিশ হাজার টাকার সমান । অনেকে আবার আফ্রিকাতে নিজস্ব দোকান দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তারা মাসিক ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো ইনকাম করতে পারে।
আফ্রিকা ভিজিট ভিসা :
বাংলাদেশের সাথে আফ্রিকার সম্পর্ক ভালো হওয়ায় ভিজিট ভিসায় প্রচুর মানুষ আফ্রিকা যাচ্ছে। এই ভিসার মেয়াদ হচ্ছে ৩০ হতে ৯০ দিন। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
ভিজিট ভিসার কাগজপত্র :
ভিজিট ভিসা করার জন্য বেশ কিছু কাগজপএের প্রয়োজন। চলুন তাহলে দেখি কাগজপত্র গুলো কি কি।
পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস)
পাসপোর্ট সাইজের ছবি (১ কপি)
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (৬ মাসের)
পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম
অন্যান্য ট্রাভেল করে থাকলে তার প্রমাণপএ
হোটেল বুকিং এর টিকিট
বিমানের টিকিট এর ফটোকপি
সুতরাং উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো আফ্রিকা ভিজিট ভিসা তৈরি করার জন্য দরকার পড়বে এবং কাগজপএগুলো আফ্রিকা দূতাবাসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
ভিজিট ভিসা খরচ :
আর্টিকেলর এই অংশে কথা বলবো ভিজিট ভিসার খরচ নিয়ে। সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিজিট ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৩২ হাজার ৭০০ টাকা, পাশাপাশি অন্যান্য খরচ মিলিয়ে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হবে। দুই লাখ টাকার মতো বাজেট রাখলে ২০ থেকে ৩০ দিন আফ্রিকাতে অবস্থান করতে পারবেন।
ভিজিট ভিসা আবেদন :
বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। দূতাবাস থেকে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপএ এটাস্ট করে দিতে হবে।মূলত সকাল ৮ টা থেকে বারোটা পর্যন্ত ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। পরবর্তীতে ভাইভার জন্য মোবাইল বা ইমেইলে ডাকা হয়। ভাইভার সময় প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।ভাইভার সময় কোনো তথ্য যদি সন্দেহ মনে হয় তাহলে ভিসা পেতে অনেক ঝামেলা হবে।
আমাদের আজকের এ আর্টিকেলের সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার পছন্দমত দেশে যেতে সরকারিভাবে আবেদন করতে পারবেন। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ প্রবাস রিলেটেড আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
এই আর্টিকেলের-
লেখক: মোসা: কবিতা
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url