OrdinaryITPostAd

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪

 

পৃথিবীর মানচিত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত ভারত মহাসাগরের একটি ছোট রাষ্ট্র হলো মালদ্বীপ। দেশটির সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে অথবা কাজের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ যায়। তাই মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে জানা সকলের জন্য জরুরি। কেননা মালদ্বীপের বিভিন্ন ভিসার দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 



আর্টিকেল সূচিপত্র


১.মালদ্বীপ ভিসা টাইপ

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ জানার আগে আমাদের মালদ্বীপ ভিসার ধরন সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা মালদ্বীপের সব ভিসার খরচ এক না। 

মালদ্বীপ ভিসা টাইপ: 
  • মিটিং ভিসা: মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত মিটিং, কনফারেন্স বা কনভেনশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপে যাওয়া যেকোনো বিদেশী নাগরিকের জন্য একটি অন-অ্যারাইভাল ১৪ (চৌদ্দ) দিনের সংক্ষিপ্ত থাকার ভিসা 'মিটিং ভিসা' মঞ্জুর করা হয়। এটি ১৪ মে ২০২৪ থেকে চালু হয়। এই ভিসার মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা যায় না এবং ভ্রমনকারী চাইলেও এই ভিসায় গিয়ে ব্যবসায়িক কোনো কাজ করতে পারবেন না।
  • ওয়ার্ক ভিসা : মালদ্বীপ কাজের ভিসা হল কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপে থাকার জন্য একজন বিদেশীর জন্য জারি করা একটি পারমিট। কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে মালদ্বীপে ভ্রমণকারী ব্যক্তিকে আগমনের তারিখ থেকে ১৫-৯০ দিন সময় দেওয়া হয় ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা। এই ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে ৯০ দিনের বেশি সময় মালদ্বীপে অবস্থান করা যায় এবং প্রয়োজনে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়।
  • ভিজিট ভিসা: মালদ্বীপে আগমনের সময় অন্যান্য দেশের নাগরিকের জন্য পর্যটন ভিসা দেওয়া হয়।  একজন বিদেশী পর্যটক হিসেবে মালদ্বীপে ভ্রমণ করলে ভিসার জন্য প্রাক-অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এই ভিসায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন মালদ্বীপে থাকা যায়। প্রথমে ৩০ দিনের মেয়াদে গিয়ে পরে আরও ৬০ দিন পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়।
  • বিজনেস ভিসা: ব্যবসায়িক ভিসা হল একটি অস্থায়ী মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা যা ব্যবসার উদ্দেশ্যে মালদ্বীপে থাকার ইচ্ছুক একজন বিদেশী নাগরিককে জারি করা হয়। এই ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের কম।

২.মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে 

মালদ্বীপে ভ্রমন বা কাজের উদ্দেশ্যে যারা যেতে চান তাদের প্রথম প্রশ্ন থাকে মালদ্বীপে যেতে কত টাকা লাগে। মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ মূলত ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে। এখন আমরা ভিসার ধরন অনুযায়ী মালদ্বীপ যাওয়ার খরচ নিয়ে আলোচনা করব। 

মালদ্বীপে মানুষ সবচেয়ে বেশি যে কারনে যায় তা হলো ভ্রমণ ও কাজের জন্য। দ্বীপ বেষ্টিত এই দেশটির সৌন্দর্যের টানে হাজার হাজার মানুষ মালদ্বীপ যায়। ভ্রমনের জন্য ভিজিট ভিসায় মালদ্বীপ যেতে খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা প্রায়। এতে মালদ্বীপ ভিসার দাম, বিমানের টিকেট ও আনুষঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত হবে। 
মালদ্বীপের অন্যান্য শর্ট টাইম ভিসা যেমন মিটিং ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদির কার্যক্রম মোটামুটি ভিজিট ভিসার মতই। তাই এসব শর্ট টাইম ভিসায় মালদ্বীপ যেতে প্রায় একই রকম খরচ হয়। তবে বিজনেস ভিসার জন্য খরচ একটু বেশি হয়। আর এসব ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন পার হয়ে গেলে মেয়াদ পুনরায় বৃদ্ধি করার জন্য খরচ হয়। এটা নির্ভর করবে আপনি কতদিন মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চান তার উপর।

মালদ্বীপে কাজের ভিসায় যাওয়ার খরচ কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। মালদ্বীপে কাজের ভিসা মূলত দুই ধরনের। নরমাল কাজের ভিসা (ফিশিং, ড্রাইভিং, সাধারণ কর্মী ইত্যাদি) রিসোর্ট কাজের ভিসা। অন্যান্য কাজের ভিসার সাথে রিসোর্ট কাজের ভিসার পার্থক্য করার কারণ হলো মালদ্বীপে রিসোর্টে কাজটি স্বতন্ত্রভাবে বিবেচনা করা হয় এবং এই কাজের সকল নিয়ম অন্যান্য কাজের থেকে আলাদা। সাধারন কাজের ভিসায় মালদ্বীপে যেতে ৩-৪ লক্ষ টাকা লাগে। আর রিসোর্ট ভিসায় মালদ্বীপ যেতে ৭-৮ লক্ষ টাকা লাগে। এর ভিতর ভিসার আবেদন ফি, ভিসার দাম, বিমানের টিকেট, ওয়ার্ক ও রেসিডেন্স পারমিট সহ আনুষঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।মালদ্বীপে ফ্রী ভিসারও প্রচলন আছে। এটি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। 

মালদ্বীপ ভিসা খরচ সম্পর্কে আমরা যে আলোচনা করেছি এটি মূলত একটি বেসিক ধারণা। এর বাহিরে এজেন্সি অনুযায়ী এই খরচ বাড়তে পারে।

৩.মালদ্বীপ যেতে কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন 

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে। আবার এসব ভিসার জন্য ডকুমেন্ট ও আলাদা আলাদা হয়। আর্টিকেলের এই অংশে ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব। 

মিটিং ভিসা : মিটিং ভিসার জন্য প্রাথমিকভাবে উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট করার জন্য ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে যা প্রমান করবে আপনি মালদ্বীপে ব্যবসার নিবন্ধক কর্তৃক গৃহীত অনুমোদিত ব্যবসার জন্য অনুষ্ঠিত মিটিং, কনফারেন্স বা কনভেনশনে অংশগ্রহণ বা অংশগ্রহণ করা, অথবা সরকার ও রাষ্ট্রীয় ব্যবহারের জন্য মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা বা  সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অন্যান্য সংস্থার দ্বারা আয়োজিত একটি সভা বা সম্মেলন বা কনভেনশনে অংশগ্রহণ করার জন্য যাচ্ছেন। এছাড়াও যেসব কাগজপত্র লাগবে তা হলো: 
  • ফিরতি যাত্রা নিশ্চিত টিকিট সহ একটি সম্পূর্ণ ভ্রমণবৃত্তান্ত
  • একটি নিবন্ধিত হোটেলে প্রিপেইড নিশ্চিত করা হোটেল বুকিং
  • মালদ্বীপে থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের জন্য আর্থিক উপায়ের প্রমাণ প্রদান;
  • মালদ্বীপে যাওয়ার ফ্লাইটের সময় পর্যন্ত 96 ঘণ্টার মধ্যে IMUGA-এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীর ঘোষণাপত্র পূরণ করা হয়েছে এবং ইলেকট্রনিকভাবে জমা দেওয়া হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা;
  • একটি পাসপোর্ট বা মেশিন রিডেবল জোন (MRZ) সহ একটি ভ্রমণ নথি যার মেয়াদ কমপক্ষে ১ মাস। 
ভিজিট ভিসা: মালদ্বীপের আগমনের জন্য অভিবাসন ছাড়পত্র পেতে ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রাথমিক প্রবেশের প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে হবে। এগুলো হলো:

  • একটি পর্যটন ভিসা 
  • একটি পাসপোর্ট বা মেশিন রিডেবল জোন (MRZ) সহ একটি ভ্রমণ নথি যার মেয়াদ কমপক্ষে ১ মাস।
  • ফিরতি যাত্রা নিশ্চিত টিকিট সহ একটি সম্পূর্ণ ভ্রমণবৃতান্ত
  • একটি নিবন্ধিত হোটেলে প্রিপেইড হোটেল বুকিং,
  • মালদ্বীপে থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিলের জন্য আর্থিক উপায়ের প্রমাণ
  • মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন দ্বারা অনুমোদিত একটি পূর্ব-অনুমোদিত ভিসা স্পনসরশিপ
  • মালদ্বীপে যাতায়াতকারী এবং সেখান থেকে ফ্লাইটের সময় পর্যন্ত ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে ভ্রমণকারীর ঘোষণা পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে।  IMUGA এর মাধ্যমে ফর্মটি ইলেকট্রনিকভাবে জমা দিতে হবে।
  • ইয়োলো ফিভার টিকার সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়।  ১ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ইয়োলো ফিভার টিকা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
ওয়ার্ক / বিজনেস ভিসা : বিজনেস / কাজের ভিসার ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। এই ভিসায় যে কাগজপত্রের প্রয়োজন তা হলো :
  • আবেদনকারীর মেশিন রিডেবল (MRZ) পাসপোর্ট বায়ো-ডেটা পৃষ্ঠার কপি (কমপক্ষে ১ বছরের বৈধতা থাকতে হবে) 
  • একটি বৈধ এন্ট্রি পাস (আগমনের তারিখ থেকে ৯০ দিনের বেশি নয়)
  • কর্মীর ওয়ার্ক পারমিটে উল্লিখিত একই পাসপোর্ট সরবরাহ করতে হবে।
  • ট্রাভেলার ডিকলারেশন (যাত্রার প্রথম বন্দর থেকে প্রস্থান করার 96 ঘন্টার মধ্যে জমা দেওয়া।  এটি ইমুগা পোর্টালের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকভাবে জমা দিতে হবে।
  • পাসপোর্ট।
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি (ফটো মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট ফটো স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলতে হবে এবং একটি সাম্প্রতিক ছবি হতে হবে)।
  • প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হাসপাতাল/ক্লিনিক থেকে জারি করা কর্মচারীর চিকিৎসা স্বাস্থ্য স্ক্রীনিং রিপোর্ট।
  •  IM29 ফর্ম জমা দেওয়ার রসিদ।

৪.মালদ্বীপ কাজের ভিসা আবেদন 

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। এখন মালদ্বীপ কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। 

অফলাইনে এবং অনলাইনে উভয় ভাবেই মালদ্বীপ কাজের ভিসা আবেদন করা যায়। অফলাইনে মালদ্বীপ কাজের ভিসায় আবেদনের নিয়ম :
  • প্রথমেই বাংলাদেশের মালদ্বীপ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে গিয়ে মালদ্বীপ কাজের ভিসা আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। সেই সাথে ইন্টারভিউ ও আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার  জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। 
  • এরপর আবেদন ফর্মটি যথাযথভাবে পূরন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে এনভেলপ করতে হবে। 
  • মালদ্বীপ কাজের ভিসার ফি জমা দিতে হবে এবং সেই রসিদ অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
  • এরপর সিডিউল অনুযায়ী অ্যাপয়েন্টমেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে  এবং আবেদন ফর্ম জমা দিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে। আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার পর কনস্যুলার অফিসার ইন্টারভিউ নেবেন। 
  • ইন্টারভিউ সফলভাবে সম্পন্ন হলে বায়োমেট্রিক ক্যাপচার করতে হবে। 
  • সবশেষে আবেদন গ্রহন হওয়ার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সকল কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দূতাবাস থেকে আসল ডকুমেন্ট সমূহ ফেরত দেওয়া হবে।
সকল কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারী ভিসার জন্য মনোনীত হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা চলে আসবে। 
অন্যদিকে, অনলাইনে আবেদন করতে হলে যা করতে হবে :
  • Xpat online system এ লগ ইন করে একটি এ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • এরপর কোন ধরনের ভিসা আবেদন করতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে। কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য মালদ্বীপ কাজের ভিসা এপ্লিকেশন সিলেক্ট করতে হবে। 
  • এরপর আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে । এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, যেসব কাগজপত্র জমা দেবেন তা অবশ্যই ভেরিফাই করার মতো হতে হবে। অর্থাৎ এসব ডকুমেন্টের সত্যটা যেন যাচাই করা যায় এমন ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে।
  • এরপর আবেদন ফরম সাবমিট করতে হবে। 
  • দূতাবাস কতৃক আবেদন ফর্ম এবং সকল ডকুমেন্টস যাচাই করার পর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এরপর আপনার পাসপোর্ট সাবমিট করে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য যোগাযোগ করবেন।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে তিনদিন সময় লাগবে আর কাজের ভিসা সহ ভ্রমনের সকল ডকুমেন্টস পাওয়া যাবে।

৫.মালদ্বীপ কাজের ভিসায় বেতন কত 

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে জানার পর আমাদের মালদ্বীপ কাজের বেতন কত টাকা তা জানতে হবে। তাই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা মালদ্বীপ কাজের বেতন কত তা নিয়ে আলোচনা করব। 

মালদ্বীপে কর্মরত ব্যক্তিদের মোট বেতনের পরিসর সাধারণত ১২০৪৯ MVR বা ৮৫০০০ বাংলাদেশি টাকা (সর্বনিম্ন বেতন) থেকে ৪০৮৪৬ MVR বা ২৮০০০০ বাংলাদেশি টাকা প্রায় (সর্বোচ্চ বেতন)। এটা বোনাস সহ মোট মাসিক বেতন।  বিভিন্ন কাজের বিভাগের মধ্যে বেতন ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন কাজ অনুযায়ী বেতনের মোটামুটি একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো: 
  • সাধারণ লেবার : মালদ্বীপে সাধারণ লেবারের বেতন ১৩৪৭৭ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা প্রায় ৯৫০০০ বাংলাদেশি টাকা।
  • কৃষি : মালদ্বীপে কৃষি কাজের বেতন ১৭৬৯০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা  প্রায় ১২৫০০০ বাংলাদেশি টাকা।
  • ফুড ইন্ডাস্ট্রি : মালদ্বীপে মালদ্বীপে ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের বেতন ১৭৬৯০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা  প্রায় ১২৫০০০ বাংলাদেশি টাকা।
  • কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি : কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে বেতনের তারতম্য রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ বেতন হয় ২৩৯০৫ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ১৬০০০০ বাংলাদেশি টাকা। 
  • প্রোডাকশন : প্রোডাকশন সেক্টরে কাজের বেতন হয় ১৯৫৭০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ১৩৮০০০ বাংলাদেশি টাকা।
  • কাস্টমার সাপোর্ট : বিভিন্ন সেক্টরে কাস্টমার সাপোর্ট এর জন্য বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করৃমীদের বেতন ১৮৭৮৯ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ১৩০০০০ বাংলাদেশি টাকা। 
  • সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি : সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের বেতন ১৬৪৩০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ১১৫০০০ বাংলাদেশি টাকা।
  • টেক্সটাইল, লেদার ইন্ডাস্ট্রি : মালদ্বীপে টেক্সটাইল,লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের বেতন ১৩৩৮৯ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ৯৫০০০ বাংলাদেশি টাকা। 
  • উড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি: এই কাজে বেতন ১৮৩৮১ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ১২৮০০০ বাংলাদেশি টাকা। 
  • টুরিজম, হোটেল, রিসোর্ট জব: মালদ্বীপে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কাজ হলো টুরিজম, হোটেল বা রিসোর্টে জব। এই কাজে বেতন ১৮০৩৭ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ১২৫০০০ বাংলাদেশি টাকা। তবে এর পাশাপাশি সার্ভিস অনুযায়ী টিপস, বোনাস এবং অন্যান্য সহ ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয়।

মালদ্বীপ কাজের বেতনের এই পে স্কেল সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। সময়ের সাথে এই বেতন স্কেলের পরিবর্তন, পরিবর্ধন হতে পারে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় দালালের মাধ্যমে বিদেশ গেলে তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মীর বেতনের নির্দিষ্ট একটি অংশ কর্তন করে থাকে। ফলে বেতন কমে যায়। তাই মালদ্বীপে যেতে আগ্রহী সকলকে অবশ্যই সব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে মালদ্বীপ যেতে হবে।

৬.মালদ্বীপ কোন কাজের চাহিদা বেশি 

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি। এখন মালদ্বীপ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা নিয়ে আলোচনা করব। 

পূর্বে মালদ্বীপের অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিলো মৎস্য খাত। দ্বীপ দেশ এই মালদ্বীপ এর নাগরিকরা সাগর থেকে আহরিত মাছ রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে বেশ বড় ভুমিকা রাখতো। তবে বর্তমানে মালদ্বীপে সবচেয়ে লাভজনক খাত হচ্ছে টুরিজম, রিসোর্ট, হোটেল ইত্যাদি। মালদ্বীপের সৌন্দর্যের টানে সারা বিশ্বের ভ্রমন পিপাসু লোকজন ভ্রমনের কারনে মালদ্বীপে যায়৷ এটিই এখন মালদ্বীপের একটি মূখ্য খাত হয়ে দাড়িয়েছে। 
এরই প্রেক্ষিতে মালদ্বীপে রিসোর্টে বিভিন্ন কাজের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে রয়েছে রিসিপশনিস্ট, টুরিস্ট গাইড, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমার সার্ভিস প্রোভাইডার ইত্যাদি। এসব কাজে যেমন কর্মীর চাহিদা বেশি তেমনি ইনকামও অনেক বেশি। অনেকে আবার এই পর্যটন কেন্দ্রকে লক্ষ করে বিভিন্ন কর্মসংস্থান গড়ে তোলে যেমন খাবারের দোকান, টুরিস্টদের ভ্রমন গাইড, টুরিস্টদের বিনোদনের জন্য রাইড এ্যারেঞ্জ, ড্রাইভিং,  ফটোগ্রাফি ইত্যাদি।  এসব কাজও অনেক চাহিদা সম্পন্ন এবং চেষ্টা করলে মোটা অঙ্কের উপার্জন করা সম্ভব। আবার নিজস্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগও রয়েছে। তাই এই খাতটি অনেক সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

এছাড়াও অনেক কাজে কর্মীর চাহিদা রয়েছে মালদ্বীপে। যেমন : 
  • কৃষি কাজ: কৃষিজ পন্য প্রোডাকশন ও প্রসেসিং। 
  • লেদার ইন্ডাস্ট্রি : বিভিন্ন লেদার সামগ্রী বিশেষ করে সামুদ্রিক প্রানী ভিত্তিক। 
  • টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি 
  • ড্রাইভিং 
  • ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি: রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন কাজ, ফুড এ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে কাজ সহ খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত যেকোন সেক্টরে কাজ।
  • সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি। 
এসব কাজে কর্মীর চাহিদা বেশি থাকায় মালদ্বীপে প্রতি বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই বাংলাদেশ থেকে যারা মালদ্বীপে কাজের উদ্দেশ্য যেতে চান তারা এসব কাজে যেতে পারেন।

৭.মালদ্বীপের দর্শনীয় স্থান

ভ্রৃনের জন্য মালদ্বীপ একটি আদর্শ জায়গা। মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এখন মালদ্বীপের কিছু দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করব যাতে ভ্রমন পিপাসু লোকজন খুব সহজেই বুঝতে পারে মালদ্বীপ গিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরলে উপভোগ করা যাবে।

  1. মালে সিটি : মালদ্বীপের রাজধানী মালে হলো মালদ্বীপের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। প্রাচীন মসজিদ, রঙিন দালান, ফিরোজা জলের কৃত্রিম সী বীচ,জাদুঘর ইত্যাদির জন্য মালে সিটি মালদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ। 
  2. আড্ডু প্রবাল : বিখ্যাত গান দ্বীপে সূক্ষ্ম বালির সৈকতের চারপাশে ঘোরাঘুরি, সমুদ্রের গভীরে ডুব দিয়ে পানির নিচের সামুদ্রিক জীবন উপভোগ ও মাছ ধরার সফরের জন্য এই দ্বীপটি অন্যতম জায়গা।
  3. মাফুশি আইল্যান্ড : কাপলদের জন্য এই দ্বীপটি একটি বেস্ট জায়গা। এখানে স্নরকেলিং, ক্যাটাম্যারান রাইড, স্কুবা ডাইভিং, ফুরাফাতিহ ভ্রমন, রাতে মাফুশিতে মাছ ধরার মাঝে সামু জীবন উপভোগ করা যায়।
  4. গ্রান্ড ফ্রাইডে মসজিদ : মালদ্বীপের একটি বেস্ট ধর্মীয় স্থান এটি। ধর্মপালনের সাথে সাথে এর শৈল্পিক সৃষ্টি অনিন্দ্য সুন্দর যা দর্শনার্থীদের সবসময় মুগ্ধ করে। 
  5. ফুলহাধু আইল্যান্ড : এটি সাদা বালির সৈকতের জন্য বিখ্যাত।
  6. মুরাকা কনরাড : এটি পানির নীচের রেস্টুরেন্ট। সমুদ্রপৃষ্ঠের পাচ মিটার গভীরে এটি অবস্থিত। সামুদ্রিক পরিবেশ উপভোগ সহ খাবারেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
  7. ভাধু আইল্যান্ড : ভাধু দ্বীপ হল মালদ্বীপে দেখার জন্য সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলির মধ্যে একটি যেখানে রাতে পানি জ্বলজ্বল করে।  শুধু তাই নয়, এটি মালদ্বীপের সর্বাধিক পরিদর্শন করা পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি অনন্য ঘটনা, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
  8. তিমি সাবমেরিন : বাচ্চাদের সাথে মালদ্বীপে ঘোরার সেরা জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ৪৫ মিনিটের জলের নীচে ক্রুজ নেওয়া। মালদ্বীপের একটি প্রধান আকর্ষণ তিমি সাবমেরিন অন্য কোনো অভিজ্ঞতার মতো নয়।
  9. COMO Cocoa island : অনেক দ্বীপের মধ্যে COMO Cocoa হল দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের সবচেয়ে বেশি চাওয়া জায়গাগুলির মধ্যে একটি।  এটিতে প্রচুর সংখ্যক রিসোর্ট রয়েছে এবং এটির সেরা অংশটি হল ওয়াটার ভিলার উপস্থিতি COMO কোকো দ্বীপে প্রায় ৩৩টি ওয়াটার রিসোর্ট রয়েছে।
  10. Baros island : কোলাহল থেকে দূরে থাকার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। এটি মালদ্বীপের একটি উচ্চ রেটযুক্ত এবং জনপ্রিয় দ্বীপ।  সূর্য-চুম্বিত সৈকত এবং বুটিক বিলাসবহুল রিসর্ট সহ, এই দ্বীপটি তার প্রাকৃতিক কমনীয়তা এবং সুন্দর প্রবালের জন্য বিখ্যাত।
  11. Emboodhu Finolhu island: এই দ্বীপের সেরা আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি হল ফুলের কুঁড়ির আকারে জলের ভিলার ব্যবস্থা। এখানে অবতরণ করার সাথে সাথে একটি সমুদ্র বিমান থেকে এই সুন্দর দৃশ্যটি দেখতে কিছুটা রাবারনেকিং সাহায্য করতে পারে। প্রায় ৫৫টি জলের ভিলা সমন্বিত এমবুধু ফিনোলহু দ্বীপে বিলাসবহুল তাজ এক্সোটিকা রিসোর্টও রয়েছে।
  12. Rangali island : রাঙ্গালি দ্বীপে স্নরকেলিং এবং ডাইভিং এর পাশাপাশি দ্বীপ হপিং, ফিশিং, ডলফিন দেখা এবং আরও অনেক কিছুর মতো পারিবারিক ভিত্তিক ক্রিয়াকলাপগুলিতে আনন্দ করা যায়। দ্বীপের রিসোর্টটিতে একটি কিডস ক্লাবও রয়েছে, যেখানে ইনফিনিটি সুইমিং পুল, স্পা এবং ইনডোর স্পোর্টস দেওয়া হয়।
  13. Majeedhee Magu: কেনাকাটা করার জন্য এটি একটি ভালো জায়গা। সাম্প্রতিক ফ্যাশন পরিধান থেকে শুরু করে গ্যাজেট থেকে ক্ষুদ্রতম পণ্য এবং এমনকি স্থানীয়ভাবে তৈরি আইটেম,পোশাক, গহনা, ঘড়ি, হ্যান্ডব্যাগ, ইলেকট্রনিক্স, পারফিউম এবং প্রসাধনীগুলির সুন্দর সংগ্রহ রয়েছে এখানে। এছাড়াও জুওয়েস ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ, সিগাল ক্যাফে বা ডিনেমোর সেন্ট্রালে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। 
  14. সুনামী মনুমেন্ট : ২০০৪ সালে সংঘটিত একটি বিধ্বংসী প্রকৃতির ক্রোধে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের স্মরণ করার জন্য নির্মিত - সুনামি মনুমেন্ট হল একটি সুন্দর স্থাপনা যা মালে উপকূলরেখায়, বোদুথাকুরুফানু মাগুতে অবস্থিত।  এই আইকনিক স্মৃতিস্তম্ভের স্থাপত্য নকশাটি রিং-এর মতো কাঠামো দিয়ে ঘেরা গোলক দিয়ে সজ্জিত।  এখান থেকে সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। স্মৃতিস্তম্ভের কাছাকাছি সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের মধ্যে বিশেষ করে সার্ফারদের জন্য বিখ্যাত কারণ এটি সার্ফিংয়ের জন্য সেরা স্থান বলে মনে করা হয়।
  15. মিহিরি আইল্যান্ড : মিহিরি দ্বীপের রিসোর্টটি তাদের জন্য যারা সম্পূর্ণ ডিটক্সিং পরিবেশ পছন্দ করেন কারণ এখানে কোনো টেলিভিশন সেট সরবরাহ করা হয় না। এই রিসোর্টে প্রায় ৩০টি ওয়াটার ভিলা এবং কয়েকটি দ্বীপ রিসোর্ট রয়েছে। 

৮.মালদ্বীপের ১ টাকা বাংলাদেশের কত 

মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ জানার পাশাপাশি মালদ্বীপের টাকার মানও জানা জরুরি। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা মালদ্বীপের টাকার রেট সম্পর্কে আলোচনা করব। 

মালদ্বীপের মুদ্রার নাম হলো মালদ্বীপ রুফিয়াহ (MVR). আজকের আন্তর্জাতিক বাজার হিসেবে মালদ্বীপের ১ রুফিয়াহ বাংলাদেশের ৭.০৭ টাকার সমান। অর্থাৎ 
১ মালদ্বীপ রুফিয়াহ = ৭.০৭ বাংলাদেশি টাকা
১০০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ = ৭০৭ বাংলাদেশি টাকা

মালদ্বীপের টাকার রেট চেক করার নিয়ম:

  • প্রথমে গুগলে গিয়ে Currency Converter লিখে সার্চ করতে হবে। 
  • এরপর দুইটা সার্চ বার আসবে এখান থেকে যে দেশের মুদ্রাকে কনভার্ট করা হবে তার নাম ও দেশের মুদ্রায় কনভার্ট করা হবে তার নাম দিতে হবে।
  • প্রথম সার্চ বারে মালদ্বীপ রুফিয়াহ MVR এবং দ্বিতীয় সার্চবারে বাংলাদেশি টাকা BDT সিলেক্ট করতে হবে। 
  • এরপর মুদ্রার অংক অর্থাৎ কত রুপিয়াহকে কনভার্ট করতে হবে তা বসাতে হবে।
  • উপরোক্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে।

৯.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। 

প্রশ্ন ১: মালদ্বীপ টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কি চাকরি করা যাবে?

উত্তর: না, মালদ্বীপ টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে চাকরি করা যাবে না। চাকরি করতে হলে মালদ্বীপ কাজের ভিসা নিতে হবে।

প্রশ্ন ২:মালদ্বীপে কাজের গড় বেতন কত?

উত্তর: মালদ্বীপে চাকরির গড় বেতন হলো ২০০০০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। মালদ্বীপে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫০০০ বাংলাদেশি টাকা। 

প্রশ্ন ৩: টুরিস্ট ভিসা বা কাজের ভিসায় মালদ্বীপ গেলে বাসা ভাড়া কত লাগতে পারে?

উত্তর: টুরিস্ট ভিসা বা কাজের ভিসায় মালদ্বীপ গেলে বাসা ভাড়া লোকেশন এবং বাসার সাইজের উপর নির্ভর করে। মালদ্বীপ শহরের ভিতর একটি সিঙ্গেল রুম এর ভাড়া মাসিক ১২৭০০ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ৯০ হাজার বাংলাদেশি টাকা এবং শহরের বাহিরে একটি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া মসিক ৯৯৬৯ মালদ্বীপ রুফিয়াহ বা ৭০ হাজার বাংলাদেশি টাকা। এই তথ্যটি আপডেট হতে পারে।

প্রশ্ন ৪: মালদ্বীপ কাজের ভিসা কবে খুলবে?

উত্তর: ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য  মালদ্বীপে কাজের ভিসা বন্ধ ছিলো। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই এখন মালদ্বীপ কাজের ভিসা খোলা আছে এবং যে কেউ যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে এই ভিসায় আবেদনের মাধ্যমে মালদ্বীপ যেতে পারবে।

প্রশ্ন ৫: বাংলাদেশের মালদ্বীপ দূতাবাস কোথায়? 

উত্তর: বাংলাদেশের মালদ্বীপের দূতাবাসের ঠিকানা হলো : বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন ১০ নম্বর, রোড নম্বর ৯ ঢাকা ১২১২, 
ওয়েবসাইট : https://www.maldivesbd.org/

প্রশ্ন ৬: মালদ্বীপে ভ্রমনের জন্য কোন সময় ভালো? 

উত্তর: মালদ্বীপে সারা বছর উষ্ণ তাপমাত্রা থাকে এবং নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এটি দেখার জন্য সেরা সময়।  যারা সার্ফিং উপভোগ করেন তাদের জন্য মার্চ থেকে এপ্রিল এটি দেখার জন্য উপযুক্ত সময়।এখানে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।

১০.লেখকের মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলে আমরা মালদ্বীপ ভিসা খরচ ২০২৪, মালদ্বীপ কাজের ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি।  যারা মালদ্বীপ যেতে আগ্রহী রয়েছেন তাদের জন্য আর্টিকেলটি উপকারী হবে বলে আশা করছি। আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech  ভিজিট করতে পারেন। 


এই আর্টিকেলের-
লেখক: মোছাঃ ফাতেমা খাতুন 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: গাইবান্ধা 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url