OrdinaryITPostAd

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত [বিস্তারিত জানুন]

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সর্বশেষ্ঠ এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত অনেকেই এই সম্পর্কে জানে না। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত। কাজেই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আর্টিকেল সূচিপত্র 

১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত এই সম্পর্কে আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করব। দেশের স্বনামধন্য এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান ঢাকার শাহবাগ থানার, শাহবাগমোড়ে, জাতীয় জাদুঘরের উত্তরে অবস্থিত। এই মেডিকেলে রয়েছে পাঁচ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন। এখানে চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা সবকিছু একসাথে চলে। 

২. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাস 

একটু আগে জানতে পারলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত। এই পর্যায়ে আলোচনা করব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাস নিয়ে।ভারতবর্ষের ক্ষমতা যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দখল করে নেয় তার প্রায় ১০০ বছর পরে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ। কলকাতা মেডিকেল কলেজের পর এই দেশে আর কোন মেডিকেল কলেজ ছিলো না। মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৮ সালে বর্তমানে যা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত। রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২০ সালে। 

১৯৩৯ সালে সর্বপ্রথম পূর্ববঙ্গে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য বিট্রিশ সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে প্রস্তাবটি হারিয়ে যায় এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রস্তাবটি আবার আলোর মুখ দেখে। উপমহাদেশের করাচি,ঢাকা এবং মাদ্রাজে বিট্রিশ সরকার তিনটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। তখন তৎকালীন সিভিল সার্জন এবং ঐ এলাকার নাগরিকদের নিয়ে একটি মিটিং ডাকা হয়। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই তাদের প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যাএা শুরু হয়। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অবস্থা 
শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পরিচালনা করার প্রধান দায়িত্ব ছিলো কমিটির প্রধান ডাব্লিউ জে ভারজিন এর উপরে। শুরুর দিকে ছিলো না এনাটমি ও ফিজিওলজি ডিপার্টমেন্ট। এর ফলে স্টুডেন্টদেরকে মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে ক্লাস করতে হতো। তারপর প্রায় এক মাস পরে এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক এবং ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক যোগদানের পর পরই হাসপাতালের ২২ নং ওয়ার্ডে ক্লাস শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে যখন কলেজ ভবন নির্মিত হয় তখন সেই অভাব পূরণ হয়ে যায়। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অবস্থা 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ একটিমাএ ভবন নিয়ে যাএা শুরু করেছিলো। বর্তমানে হাসপাতালের নিজস্ব ২৫ একর জমিতে প্রায় পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, অডিটোরিয়াম, বার্ন ইউনিট,হোস্টেল, কলেজ ভবন রয়েছে। শুরুতে হাসপাতালের ভবনেই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস হতো। পরে ১৯৫৫ সালে বর্তমান কলেজ ভবনটি একাডেমি কার্যক্রমের জন্য তৈরি হয়। বর্তমানে হাসপাতালটিতে রয়েছে ২৮ টি বিভাগ, ৪২ টি ওয়ার্ড, ২৩৪ জন ডাক্তার, ২০০ জন ইন্টার্নি ডাক্তার, ১১০০ কর্মচারী, ৫৬০ জন নার্স সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিদিন ২৩০০ শয্যার এই হাসপাতালে ৩৫০০ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটিকে ৫০০০ শয্যায় রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। 

শুরু থেকেই কলেজের কর্তৃপক্ষ এক হলেও প্রশাসনিক সুবিধার জন্য কলেজ এবং হাসপাতালের দায়িত্ব পৃথক করা হয়। হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হয় পরিচালকের উপর। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠক্রম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট উভয় পোগ্রামই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হচ্ছে আন্ডারগ্রয়াজুয়েট এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট অধিভুক্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের। ২০১২ সালে এমবিবিএস কোর্সে সাধারণ এবং কোটা মিলিয়ে ২৩০ জন ছাএছাএীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছাএছাএীরা ভর্তি হয়। ১২৮ জন বিদেশী ছাএছাএী ২০২০ সাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নরত রয়েছেন। একজন শিক্ষার্থী চারটি পেশাগত পরীক্ষা পেরিয়ে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করে থাকে। বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় ৪২টি স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। 

৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের তালিকা 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের তালিকা চলুন দেখে নেই -

১.অধ্যাপক মো:টিটু মিঞা
২.অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ
৩.অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) 
৪.অধ্যাপক মো:ইসমাইল খান
৫.অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ 
৬.অধ্যাপক এম আবুল ফয়েজ 
৭.অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুল আলম
৮. অধ্যাপক হোসনে আরা তাহমিন
৯.অধ্যাপক মো: ফজলুল হক
১০.অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ 
১১.অধ্যাপক মো.আবদুল কাদির খান
১২.অধ্যাপক এ কে এম শহীদুল ইসলাম 
১৩.অধ্যাপক এ বি এম আহসান উল্লাহ
১৪.অধ্যাপক এ এম হাদী
১৫.অধ্যাপক মো.শফিউল্লাহ 
১৬.অধ্যাপক জওয়াহুরুল মাওলা চৌধুরী 
১৭.অধ্যাপক এম কবির উদ্দিন আহমেদ 
১৮.অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ
১৯.অধ্যাপক মির্জা মাজহারুল ইসলাম 
২০.অধ্যাপক এম আই চৌধুরী 
২১.অধ্যাপক এম এ মাজেদ 
২২.অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম 
২৩.অধ্যাপক মো.শহীদুল্লাহ্ 
২৪.অধ্যাপক এম এ কাশেম
২৫.অধ্যাপক এম এ জলিল
২৬.অধ্যাপক এম আর চৌধুরী 
২৭.ডা.সাইফুল্লাহ 
২৮.অধ্যাপক কে এ খালেদ
২৯.ডা.লে.ক.বোরহানুদ্দীন 
৩০.ডা.গোলাম কিবরিয়া 
৩১.অধ্যাপক এ কে এস আহমেদ 
৩২.ডা.লে.ক.এম এম হক
৩৩.অধ্যাপক হাবিব উদ্দীন আহমেদ 
৩৪.অধ্যাপক মো.রেফাত উল্লাহ
৩৫.অধ্যাপক নওয়াব আলী
৩৬.অধ্যাপক এ কে এম এ ওয়াহেদ
৩৭.অধ্যাপক নওয়াব আলী 
৩৮.ডা.কর্ণেল এম কে আফ্রিদি
৩৯.অধ্যাপক টি আহমেদ 
৪০.ডা.মেজর উইলিয়াম ভারজিন

৪. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক 

আর্টিকেলের এই অংশে জানবো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সম্পর্কে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্বের পরিচালক ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো.নাজমুল হক।বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন পরিচালক নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমান পরিচালক হচ্ছেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান। 

৫. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা 

আর্টিকেলের এই পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সম্পর্কে জানবো। চলুন শুরু করি। 
১.ডা.মুশফিক আহমেদ ভূঞা 
পদবী: সহকারী অধ্যাপক, সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি

২.ডা.মোাছা:বিলকিস ফাতেমা 
পদবী :সহকারী অধ্যাপক 
যোগাযোগ :drbilkisfatema@yahoo.com

৩.ডা:গোলাম মোস্তফা 
পদবী: সহকারী অধ্যাপক 
যোগাযোগ :০১৭২০০৭০৩১৬
mustafabsmmu@gmail.com

৪.ডা:সালমা সুলতানা
পদবী:অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এফসিপিএস
যোগাযোগ :০১৭১৩০৩১০৪৪
salmasultana68@yahoo.com

৫.ডা:ইমতিয়াজ ফারুক
পদবী :অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস
যোগাযোগ :০১৮১৯২৩১৮০৯
imtazfaruk69@gmail.com

৬.ডা:নূর হোসেন ভূঞা 
পদবী :অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস, এফআরসিএস
যোগাযোগ :০১৭১২৪৬৭৩১৭
dr.nurhossain@yahoo.com

৭.ডা:মোহাম্মদ আব্দুল আলম মামুন
পদবী:অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস, এফআরসিএস
যোগাযোগ :০১৭১১৬২৩২com
dr.nurhossain@yahoo.com

৮.ডা:হাফিজ আহাম্মদ নাজমুল হাকিম 
পদবী:সহযোগী অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস 
যোগাযোগ:০১৭১২৫৯৮৪০৭
nazmulhakim75@gmail.com

৯.ডা:মোহাম্মদ নাজমুল হক মাসুম
পদবী: সহযোগী অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস 
যোগাযোগ:০১৭১৭০৫৭৮৮৪
nazmul53@yahoo.com

১০.ডা:অজয় কুমার সরকার 
পদবী:সহযোগী অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস 
যোগাযোগ:০১৭১১২৩০১৫৯
sarkerajoy73@gmail.com

১১.ডা:মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল
পদবী:সহযোগী অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস 
যোগাযোগ:০১৮১৯২৮৪৩৫৩
drshahin32@gmail.com

১২.ডা:মোহাম্মদ আহসান হাবিব 
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এফসিপিএস, এমআর সিএস, এমএস
পদবী:সহযোগী অধ্যাপক (কলোরেক্টাল সার্জারী)
যোগাযোগ:০১৭২৯৬২৭১০৯
drahsanhabib1306@gmail.com

১৩.ডা:মো:রাজিবুল হক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস, এমএস
পদবী :সহকারী অধ্যাপক 
যোগাযোগ:০১৭১১১৭২২৩৫
rhronyk53@gmail.com

১৪.ডা:মো:আশরাফ উদ্দিন খাঁন
পদবী :সহকারী অধ্যাপক 
যোগাযোগ:০১৭১১৯০৬৯২২
sumonashraf74@gmail.com

১৫.ডা:মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম 
পদবী :সহকারী অধ্যাপক 
যোগাযোগ :০১৭১১৯৫২৩৫৫
mislam160@gmail.co

১৬.ডা:প্রশান্ত কুমার দাস
পদবী :সহকারী অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এফসিপিএস 
যোগাযোগ :০১৭১১৯৫২৩৫৫
mislam160@gmail.com

১৭.ডা:মো:নাঈম দেওয়ান
পদবী :সহকারী অধ্যাপক 
শিক্ষাগত যোগ্যতা :এম এস
যোগাযোগ:০১৬৭৩৭৭৭৭৪৪
nayeemdewan@gmail.com

৬. রাজনীতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস্থান 

রেসকোর্স ময়দানে ১৯৪৮ সালে যখন ঘোষণা দেওয়া হয় উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তখন ছাএজনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলো। এসময় ছাএরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার। এসব ছাএদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাএরাও ছিলো।তারা হলেন এম আই চৌধুরী, আবু সিদ্দিক,ফরিদুল হক, জসিমুল হক, আলি আসগর সহ অনেকে। তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়। বর্তমানে যেখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সেখানেই ছিলো ব্যারাক। মোট ২০ টি টিনশ্যাডো ব্যারাক ছিলো। কৌশলগত কারণেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাএ আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠে। 

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেলের সামনে ঢাকার ছাএরা সমবেত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ অভিমুখে ভিক্ষোভ মিছিল করাই ছিলো তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। ১৪৪ ধারা বহল এবং পুলিশি প্রহরার কারণে কোন মিছিল করা সম্ভব হয়নি।কিন্তু তখনকার অকতোভয় ছাএরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে শহিদ হয় সালাম, জব্বার, বরকত, শফিকসহ অনেকে। 

পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাএরা একুশে ফেব্রুয়ারির সূর্যাস্তের পর সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা শহিদদের রক্তরঞ্জিত স্থানে শহিদ মিনার স্থাপন করবে। তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাএরা ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তোলে শহিদ মিনার। এতে হাসপাতালের নির্মাণ কাজে ব্যবহূত সকল ইট, বালু, সিমেন্ট তারা ব্যবহার করে। 

প্রথম যে শহিদ মিনারটি নির্মাণ করা হয় তা ছিলো উচ্চতায় দেড় ফুট এবং বেদী হচ্ছে ছয় বর্গফুট। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম শহিদ মিনারটি উদ্ভোদন করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাএরা ষাটের দশকের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছাএ রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দের উপর আইয়ুব খানের সরকার প্রবল নিপীড়ন করা শুরু করলে কে এম ওবায়দুল, আব্দুল রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম খান, সাইফুদ্দিন সহ অনেক ছাএ বকশিবাজারে নিরাপদ হোস্টেলে আশ্রয় নেয়। আয়য়ুব খান কিছুদিন আন্দোলন দমন করে রাখলেও ষাটের শেষের দিকে ছাএরা পুনরায় আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন হলে গোপনে আলোচনা শুরু করে। তারপর ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাএরা আন্দোলন শুরু করলে বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে পুলিশ গুলিবর্ষণ এবং লাঠিচার্জ করে। ছাএনেতা আসাদুজ্জামান এসময় পুলিশের গুলিতে ব্যাপক আহত হন এবং আরো অনেকে নিপিড়ীত হলে ঢাকা মেতিকেল কলেজের ছাএ চিকিৎসকরা এগিয়ে আসে এবং সাহায্য করে। 

মুক্তিযুদ্ধেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাএরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই কলেজ থেকে পাস করা ডাক্তার, নার্স, ছাএ কর্মচারী সবাই সমানভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। অনেকে আবার নিজেরা চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছে। এই কলেজের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে তিনভাগে বর্ণনা করা যায়৷ ১. তৎকালীন যারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাএ ছিলেন ২. যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৩. যারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাশ করে অন্যান্য সকল মেডিকেল কলেজ বা বিভিন্ন কর্মস্থলে থেকে বিভিন্নভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। অনেকে আবার বিভিন্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রায় সকল চিকিৎসকই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এরা কেউ অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন কেউবা আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা হচ্ছেন -
  • মো: হাসান শহিদ
  • মো: হুমায়ূন ফরিদি
  • নীপা লাহিড়ী 
  • মো: সিরাজুল ইসলাম
  • ডা:মেজর একে এম আসাদুল হক এ এস পি 
  • ডা:লে.মো:আমিনুল হক এ এস সি
  • ডা:মো:ফজলে রাব্বি 
  • ডা:আব্দুল আলীম চৌধুরী 
  • ডা:শামসুদ্দিন আহমেদ 
  • ডা:আজহারুল হক
  • ডা:এ বি এম হুমায়ুন কবির
  • ডা. লে. ক. এন এ এম জাহাঙ্গীর এ এম সি
  • ডা. মেজর রিয়াজুর রহমান এ এম সি
  • ডা. মফিজ উদ্দিন খান
  • ডা. গোপাল চন্দ্র সাহা
  • ডা. গোলাম মর্তুজা
  • ডা. আব্দুল জব্বার
  • ডা. নরেন ঘোষ
  • ডা. লে. মোঃ আমিনুল হক এ এম সি
  • ডা. লে. খন্দকার আবু জাফর নূরুল ইমাম এ এম সি
সুতরাং রাজনীতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

৭. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা 

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জানবো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই। 
ডা: জয়ন্তী রানী ধর
তিনি হচ্ছেন একজন সহকারী অধ্যাপক গাইনি ও অবস বিভাগের। এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস।
ডা:মাহবুবা খানম 
তিনি  রিপ্রোডাক্টিভ এন্ডোক্রাইনোলজী এন্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এমবিবিএস, এফসিপিএস (অবস এন্ড গাইনী)।তিনি স্ত্রীরোগ বন্ধ্যাত্বের সার্জন ও বিশেষজ্ঞ। তিনি বন্ধ্যাত্ব ও গাইনী এন্ডোক্রাইনোলজীতে ফেলোশীপ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন  ল্যাপারোস্কপিক ও হিস্টেরোস্কপিক সার্জারী এবং টেস্ট টিউব বেবী এর উপরে। 
ডা: আবিদা সুলতানা 
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী এবং অবস বিভাগের প্রসূতীবিদ্যা এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।ডা: আবিদা সুলতানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। 
 ডা:শারমীন আক্তার
তিনি এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমসিপিএস, এফসিপিএস। তিনি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ইনফার্টিলিটি- নিয়েছেন (বিএসএমএমইউ) থেকে। ডা:শারমীন আক্তারের  বিএমডিসি রেজিঃ নং-এ-৫২০৯২। 
ডা:হাসনা হোসাইন আখি
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য ), (অবস এন্ড গাইনী) এম এস,বন্ধ্যাত্বের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং ল্যাপারোস্কোপি।তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতী বিদ্যা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, কনসালটেন্ট। 
ডা:রুমি নাসরীন
ডা: রুমি নাসরীন এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফিসিপিএস (গাইনী)।তিনি গাইনীতে বিশেষজ্ঞ সার্জন। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকার প্রাক্তন আবাসিক সার্জন ছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্তমানে গাইনী কনসালটেন্ট হিসেবে আছেন। ডা:রুমি নাসরীনের বিএমডিসি রেজিঃ নং- এ-৪৩৫৮০।
ডা:গুল-এ-আনার
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট। গাইনী ও প্রসূতিবিদ্যার বিশেষজ্ঞ এবং এমবিবিএস, এমপিএইচ (মা ও শিশু স্বাস্থ্য), ডিজিও।
ডা:মোছা:সুলতানা নাজনীন 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন।এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস, ডিজিও (গাইনী এন্ড অবস)।
ডা:তাহমিনা হক পিংকি 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।এমবিবিএস (ডিএমসি), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমসিপিএস, এফসিপিএস, এমএস (গাইনীএন্ড অবস)।
ডা:অনামিকা দেব
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট।এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য),ডিএমইউ (আল্ট্রাসনোগ্রাম) এফসিপিএস (গাইনী ও অবস)। 
ডা:কাজী রুবাইয়াতে সানিয়া
গাইনী কনসালটেন্ট, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন। তিনি বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমবিবিএস, এফসিপিএস। 
ডা: লুবনা জাহান 
স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, কনসালটেন্ট (গাইনী)। এমবিবিএস, বিসিএস( স্বাস্থ্য), ট্রেইন্ড ইন ইনফার্টিলিটি,এফসিপিএস ( গাইনি এন্ড অবস)
ডা:সাদিয়া শারমীন সূবর্ণা 
স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন।এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), সিডি (বারডেম), এমএস (গাইনী এন্ড অবস), সিএমইউ (আল্ট্রা)। 
ডা: সাবিনা ইয়াসমিন 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট।এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস),এমসিপিএস। 

৮.ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফোন নাম্বার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল। এজন্য অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফোন নাম্বার সম্পর্কে জানতে চায়। আপনি যদি একজন সচেতন ব্যাক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার হাসপাতালের ফোন নাম্বার সংগ্রহ রাখা উচিত। 
যোগাযোগ :অধ্যক্ষ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল 
ঢাকা- ১০০০, বাংলাদেশ।
ফোনঃ- ০২ ৫৫১৬৫০৮৮
          ০২ ৫৫১৬৫০০১ (হাসপাতাল)
ফ্যাক্সঃ- ০২ ৫৫১৬৫০০৬
dmc_principal@yahoo.com
email:- principal@dmc.gov.bd

আপনার রোগী যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে উপরোক্ত নাম্বার গুলোতে কল দিলে রোগীকে হাসপাতালে আনতে অনেক সহায়তা হবে। তাছাড়া আপনি যদি অগ্রিম সিরিয়াল এবং ভালো ডাক্তারের পরামর্শ চান তাহলে এসব নাম্বার আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।  

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহির্বিভাগে রোগী দেখার সময়

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সবচেয়ে বড় সেবা হচ্ছে জরুরি সেবা। আর এটা দেওয়া হয় বহির্বিভাগে। এজন্য অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহির্বিভাগে রোগী দেখার সময় সম্পর্কে জানতে চায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ সকাল ৮ টায় খুলে দেওয়া হয়। সকাল ৮ থেকে দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখানো যায়। এসময় রোগীদেরকে লাইন ধরে টিকিট কাটতে হয়। তারপর টিকিট নিয়ে নির্দিষ্ট ডাক্তারের কক্ষে যেতে হয়। এখানে অনেক কম্পাউন্ডার থাকে যারা রোগীদের টিকিট সিরিয়াল করে দেয়। রোগীর টিকিটে রোগীর নাম, বয়স উল্লেখ থাকে। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কবে বন্ধ থাকে 

অনেকেই জানতে চায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কবে বন্ধ থাকে। সাধারণত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শুক্রবার এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত সকল সময় খোলা থাকে। তাছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ২.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। জরুরী বিভাগ খোলা থাকে দিনের ২৪ ঘন্টায়। এই সময় আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের চিকিৎসা নিতে পারবেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা

অ্যানাটমির বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা

এই অংশে আমরা অ্যানাটমি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা সম্পর্কে জানাবো -
১.অধ্যাপক ডাক্তার হুমায়রা নওসাবা, এম ফিল, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান 
২.ডা: ছাবিকুন নাহার, এমবিবিএস, এমও
৩.ডা: মোছা: জোবাইদা আক্তার,এমএস, প্রভাষক 
৪.ডা: তানভীর ফয়সাল, এমবিবিএস, প্রভাষক 
৫.ডা: ফাহমিদা ইসলাম, এমবিবিএস, প্রভাষক 
৬.ডা: মো: আব্দুলাহ্ আরাফাত, এমবিবিএস, প্রভাষক 
৭.ডা:মো: মহিবুল ইডলাম খান, এমবিবিএস, প্রভাষক 
৮.ডা:সৈয়দা তাসনীম কামাল,এম ফিল, প্রভাষক 
৯.ডা: মাহফুজা চৌধুরী, এম ফিল, প্রভাষক 
১০.ডা: তুনাজ্জিনা কাউসার, এম ফিল, প্রভাষক 
১১.ডা: নাহিদ বেদৌরা, এমবিবিএস, প্রভাষক
১২.ডা:আসমা আক্তার রুবি, এমবিবিএস, প্রভাষক
১৩.ডা:লুৎফেয়ারা হাসান,এমবিবিএস, প্রভাষক
১৪.ডা:দুররাতুল জান্নাত তৃপ্তি,এমবিবিএস, প্রভাষক 
১৫.ডা:মোছা:আয়েশা খাতুন, এম ফিল, প্রভাষক 
১৬.ডা:এ এইচ এম মোস্তফা কামাল, এম ফিল, সহযোগী অধ্যাপক। 
১৮.ডা:শাকিল শামস, এম ফিল, সহকারী অধ্যাপক 

ফিজিওলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা 
১.ডা:তাহমিনা আক্তার,এম ফিল, এম ও
২.ডা:সানজিদা আক্তার সোমা,এম ফিল 
৩.ডা:তামান্না বিনতে হাবিব, এম ফিল, প্রভাষক 
৪.ডা:শারমিন নাহার, এম ফিল,প্রভাষক 
৫.ডা:ফারহানা রহমান,এম ফিল,প্রভাষক 
৬.ডা:কনিকা দাস,ডিজিও,প্রভাষক
৭.ডা:নাহিদ ইয়াসমিন, এম ফিল,সহকারী অধ্যাপক 
৮.ডা:কাজী শামিমা আক্তার,এম ফিল,অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান 
৯.ডা:দিলরুবা বেগম,এম ফিল,অধ্যাপক 
১০.ডা:শাহানারা ইয়াসমিন, এম ফিল,সহযোগী অধ্যাপক। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার উপায় 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিভাবে যাবেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন জায়গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবেন। নিচে আমি কয়েকটি জায়গা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার উপায় বর্ণনা করছি। 
গাজীপুর থেকে থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল 
আপনি যদি গাজীপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম গাজীপুর আসতে হবে। গাজীপুর থেকে অনেক বাস গুলিস্তান আসে। গুলিস্তান আসার পর আপনি কোন রিকশা বা বাসে উঠে বা পায়ে হেঁটেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে পারবেন। 

আপনি যদি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে চান তাহলে আপনার ভাড়া পড়বে প্রায় ৮০-৯০ টাকা, পলাশি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে ভাড়া পড়বে ২০ টাকা, মহাখালী থেকে ঢামেকে আসতে ভাড়া পড়বে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, গাবতলী থেকে আপনি যদি রিকশায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে চান তাহলে ভাড়া পড়বে ১২০-১৪০ টাকা, আজিমপুর থেকে ঢামেকে আসতে ভাড়া পড়বে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মতিঝিল থেকে আসতে ভাড়া প্রয়োজন হবে ৭০-৯০ টাকা, ধানমন্ডি থেকে আসতে ভাড়া পড়বে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনলাইন টিকিট কাটার নিয়ম

এই পর্যায়ে আমরা দেখবো কিভাবে অনলাইনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকিট কাটতে হয়। চলুন তাহলে দেখি। 
  • টিকিট কাটার জন্য প্রথমে আপনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। 
  • ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থানে আপনাকে ফোন নাম্বার দিতে হবে। 
  • ফোন নাম্বার দেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে আপনার নাম্বারে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। 
  • তারপর ওটিপি নাম্বারটি প্রবেশ করিয়ে ভেরিফাই করে নিবেন। 
  • ভেরিফাই করার পর রেজিস্ট্রার নিউ পেশেন্ট নামে একটি অপশন আসবে। 
  • এবার এটিতে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। এখানে আপনার বাধ্যতামূলক কিছু তথ্য যেমন -নাম, জন্ম তারিখ ও ফোন নাম্বার দিতে হবে। 
  • এবার সকল তথ্য দেওয়া সম্পূর্ণ হলে রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করুন। 
  • তারপর বুক টিকিট নামে একটি অপশন আসবে এটি সিলেক্ট করতে হবে। তারপর ডিপার্টমেন্ট এবং স্লট সিলেক্ট করুন। এখান থেকে আপনি ইচ্ছেমতো ডিপার্টমেন্ট ও সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। মূলত তিনটি টাইমে আপনি টিকিট সিলেক্ট করতে পারবেন। 
  • এবার বুকিং ডেট সিলেক্ট করুন। 
  • এবার আপনার সামনে পেমেন্ট করার একটি অপশন আসবে। 
  • আপনার পছন্দমতো পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করে দিন।
পেমেন্ট করার পর পরই আপনার কাঙ্ক্ষিত টিকিটটি পেয়ে যাবেন। এবার টিকিটটি প্রিন্ট করে রিসিপশনে দেখালেই হয়ে যাবে। এভাবেই আপনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকিট অনলাইনে কাটতে পারবেন। 

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই। 

প্রশ্ন ২: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত? 

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। 

প্রশ্ন ৩: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক কে? 

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক হচ্ছে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো.নাজমুল হক। 

প্রশ্ন ৪: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কত শয্যাশায়ী? 

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২৩০০ শয্যাশায়ী।

প্রশ্ন ৫: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোন কোন দিন বন্ধ থাকে?

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে। 

প্রশ্ন ৬: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ কয়টা থেকে খোলা থাকে? 

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ সকাল ৮.০০টা থেকে দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। 

প্রশ্ন ৭: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ কতক্ষণ খোলা থাকে? 

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। 

প্রশ্ন ৮:কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাড়া কত? 

উত্তর: কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাড়া ৮০-৯০ টাকা। 

প্রশ্ন ৯: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কতটি স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে? 

উত্তর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪২ টি স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। 

১০. লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোথায় অবস্থিত এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech। ধন্যবাদ। 

এই আর্টিকেলের-
লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url