OrdinaryITPostAd

জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪[বিস্তারিত জেনে নিন]

জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকে কাজের ভিসা নিয়ে জার্মানি যেতে পারে না। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কাজেই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

আর্টিকেল সূচিপত্র 

১. জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ 

জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ এর মাধ্যমে জার্মান সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এটিও বলা হয় যে, যেসব লোক কাজের ভিসাতে জার্মানি যাবে তাদেরকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে এবং সার্টিফিকেট থাকতে হবে। সুতরাং কাজের ভিসায় জার্মানি যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সকল তথ্য জেনে জার্মানিতে যাবেন। কাজের ভিসায় জার্মানি যাওয়ার জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষার উপরে দক্ষতা থাকতে হবে। কাজের ভিসায় জার্মানি যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কোন কোম্পানি বা কাজের আবেদনপএ বা অফার থাকতে হবে। 
জার্মানি কাজের ভিসার মাধ্যমে জার্মানিতে অনেকগুলো কাজ করতে পারবেন যেমন 
  • ক্লিনার ভিসা 
  • ড্রাইভিং ভিসা 
  • হোটেল বা রেস্তোরাঁ ভিসা
  • কৃষি ভিসা 
  • ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা 
  • ইঞ্জিনিয়ার ভিসা
জার্মানিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে উপরোক্ত ভিসাগুলো রয়েছে। আপনার যদি উপযুক্ত যোগ্যতা ও সার্টিফিকেট থাকে তাহলে সহজেই এসব কাজ করতে পারবেন। 

২. জার্মানি কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জার্মানির কাজের ভিসা ২০২৪ এর জন্য যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন চলুন এক নজরে দেখে নেই। 
  • বৈধ পাসপোর্ট। পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে কমপক্ষে ৬ মাস।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি 
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি 
  • এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  • কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত চাকরির অফার লেটারের ফটোকপি 
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  • সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত 
সুতরাং বলা যায় যে, উপরোক্ত কাগজপএগুলো থাকলে আপনি জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

৩. জার্মানি ভিসা খরচ 

আপনি যদি জার্মানি যেতে চান তাহলে অবশ্যই জার্মানির ভিসা খরচ সম্পর্কে জেনে তারপর যাবেন। অনেকে আবার অনলাইনেও জার্মানির ভিসা খরচ সম্পর্কে জানতে চায়। বলে রাখা ভালো যে, জার্মানির ভিসা খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি৷ আপনি যদি জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন খরচ পড়বে ৭৫ ইউরোর মতো। আবার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনে খরচ পড়বে প্রায় ৭৫ ইউরো। ভ্রমণ বা টুরিস্ট ভিসার আবেদনে খরচ হবে ৮০ ইউরো। চিকিৎসা ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৭৫ ইউরো৷ বিজনেস ভিসার আবেদন করতে খরচ হবে ৭৫ ইউরো। সুতরাং একেক ভিসার খরচ একেক রকম হয়ে থাকে। তা নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর। 

৪. জার্মানির ভিসা পাওয়ার উপায় 

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা জার্মানির ভিসা পাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। জার্মানি কাজের ভিসা নিয়ে অনেকেই যায় কিন্তু তারা কিভাবে ভিসা পেতে হয় তা জানে না। জার্মানির ভিসা আপনি সরকারি বা বেসরকারি দুই ভাবেই পেতে পারেন। আপনি যদি বেসরকারিভাবে জার্মানির ভিসা পেতে চান তাহলে আপনার খরচ একটু বেশি পড়বে। আর যদি সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী ভিসার আবেদন করেন তাহলে খরচ অনেক কম পড়বে। প্রত্যেক বছরই নির্দিষ্ট একটি চাহিদা অনুযায়ী জার্মানির সরকার চাহিদা পরিপ্রেক্ষিতে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এসময় আপনি যদি ভিসার আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে সহজেই জার্মানির ভিসা পেয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করে ভিসা প্রসেসিং শেষেই ভিসা হবে আপনার হাতে। 

বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে 

বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা চালু রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা খরচ পড়বে তা নির্ভর করে আপনি কোন ভিসায় জার্মানি যাবেন তার উপর। সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে খরচ পড়বে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। কোনো দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে খরচ পড়বে প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারিভাবে জার্মানি যেতে আপনার খরচ হবে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। 

জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

একটু আগেই আমরা জানলাম বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে। এবার আমরা জানবো জার্মানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। কাজের উদ্দেশ্যে যেকোন দেশে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সে দেশটিতে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা জানা দরকার তা না হলে দেশটিতে যেয়ে আপনি কাজ খোঁজে পাবেন না। চলুন দেখে নেই ২০২৪ সালে জার্মানিতে যেসব কাজের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। 
  • নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
  • হোটেল বয় 
  • ডাক্তার 
  • ওয়েল্ডিং 
  • কন্সট্রাকশন 
  • ফুড ডেলিভারি 
  • মেডিকেল ক্লিনার 
  • কম্পিউটার অপারেটর
  • সিকিউরিটি গার্ড
  • মেকানিক্যাল
  • ড্রাইভিং
  • ফুড প্যাকেজিং 
সুতরাং বলা যায় যে, উপরোক্ত কাজগুলোর ভিসা নিয়ে আপনি যদি জার্মানিতে যান তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ এসব কাজের চাহিদা অনেক বেশি।

বাংলাদেশ থেকে জার্মানির দূরত্ব 

এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। আবার ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ হচ্ছে জার্মানি। বাংলাদেশ থেকে জার্মানির রয়েছে অনেক দূরত্ব।বাংলাদেশ থেকে জার্মানির দূরত্ব হচ্ছে ৭,২৮৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোন বিমান জার্মানি যায় না। বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার জন্য কাতার বা দুবাই স্টপেজ দিয়ে যেতে হবে। 

৫. জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন 

মূলত জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জার্মানি যাওয়ার আগে অবশ্যই নিশ্চিত করে নিবেন আপনি কোন ভিসায় যাচ্ছেন। 
  • প্রথমটি হচ্ছে আংশিক সময়ের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ওয়ার্ক পারমিটটি শুধুমাএ তাদের জন্য যারা জার্মানিতে অল্প সময়ের জন্য চাকরি করতে যায়। 
  • দ্বিতীয়টি হচ্ছে নিয়মিত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। নিয়মিত ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় তারাই যায় যারা জার্মানিতে কাজ করতে চান। এই পারমিটের মেয়াদ হচ্ছে এক বছর। চুক্তির মেয়াদের উপর ভিত্তি করে নিয়োগকর্তার সাথে আলোচনা করে ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। 
ওয়ার্ক পারমিটের সুবিধা 
জার্মান ওয়ার্ক পারমিটের কতগুলো সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে - 
  • জার্মানিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 
  • জার্মানিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। 
  • জার্মানিতে কাজ করতে পারবেন। 
আবেদন প্রক্রিয়া 
জার্মান কাজের ভিসার আবেদন করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস। এসব ডকুমেন্টস অবশ্যই নির্ভুল এবং সঠিক হতে হবে। এবার সকল কাগজপএ এবং ভিসার ফি দিয়ে এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। কাজের ভিসা পেতে আপনার তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সরাসরি জার্মান এম্বাসি ঢাকা থেকে বা অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারেন। 

৬. জার্মানির সর্বনিম্ন বেতন কত 

ইউরোপের একটি শিল্পোন্নত দেশ হচ্ছে জার্মানি। জার্মানির মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো। দেশটিতে যেতে ইচ্ছুক অনেকেরই প্রশ্ন জার্মানির সর্বনিম্ন বেতন কত। আর্টিকেলের এই অংশে তা জানতে পারবেন। 
জার্মানিতে একজন শ্রমিক ঘন্টায় বেতন পেয়ে থাকে ১২ ইউরো। বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ১৪৪২.৮২ টাকা। এই হিসাব মতে একজন শ্রমিক যদি দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজ করে থাকে তাহলে সে মাসিক আয় করতে পারবে ৯৬ ইউরো বাংলা টাকায় যা ১১,৫৪২.৬০ টাকা।একজন শ্রমিকের এক ঘন্টার বেতন ২ হাজার ৪শত ৪২ টাকা ৮৩ পয়সা, সেই হিসাবে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন ১,৯২০ ইউরো বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় ২,৩০,৮৫২.১০ টাকা। এটিই হচ্ছে জার্মানির সর্বনিম্ন বেতন। 

৭. জার্মানিতে কাজের বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বেধ বা অবৈধভাবে জার্মানিতে আসে। কিন্তু তারা সঠিকভাবে জানে না জার্মানিতে কাজের বেতন কত দেওয়া হয়। আর্টিকেলের এই অংশে আপনি জানতে পারবেন জার্মানির কাজের বেতন কত। 
কন্সট্রাকশন
জার্মানিতে একজন কন্সট্রাকশন শ্রমিকের মাসিক বেতন হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ইউরো। 
নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
জার্মানিতে একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারের বেতন হচ্ছে চার হাজার থেকে ছয় হাজার ইউরো। 
ডাক্তার 
জার্মানিতে একজন ডাক্তারের মাসিক আয় হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ইউরো। 
ড্রাইভার 
একজন ড্রাইভারের মাসিক বেতন হচ্ছে ২,৫০০-৩,৫০০ ইউরো। 
ফুড ডেলিভারি বয় 
জার্মানিতে কর্মরত একজন ফুড ডেলিভারি বয়ের নির্দিষ্ট কোন বেতন নেই। তবে তার বেতন নির্ধারণ করা হয় সে দিনে কতটি অর্ডার ডেলিভারি দেয় তার উপর। 
মেডিকেল ক্লিনার 
জার্মানিতে একজন মেডিকেল ক্লিনারের মাসিক বেতন হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ইউরো। 
শিক্ষক 
জার্মানিতে শিক্ষকদের অনেক মূল্যায়ন করা হয়। একজন শিক্ষকের মাসিক বেতন হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার ইউরো। 
কম্পিউটার অপারেটর 
জার্মানিতে একজন কম্পিউটার অপারেটরের মাসিক বেতন হচ্ছে ৩,৫০০-৪,৫০০ ইউরো পর্যন্ত। 
ওয়েল্ডিং এবং মেকানিক্যাল
জার্মানিতে ওয়েল্ডিং এবং মেকানিক্যাল কাজের অনেক চাহিদা। একজন ওয়েল্ডিং কাজ করা শ্রমিকের মাসিক বেতন হচ্ছে ৪০০০ থেকে ৫ হাজার ইউরো। 

৮.জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা 

উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য জার্মানি খুবই জনপ্রিয়। এজন্য স্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিবছর হাজারো স্টুডেন্ট পাড়ি দেয় জার্মানিতে। দিন দিন এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিকে বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্যই। 

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো স্টুডেন্ট জার্মানিতে যায় মাস্টার্স এবং ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করার জন্য। বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের জন্য জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া খুবই সহজ তবে তিনটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন- 
  • জার্মানির যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ভর্তি চিঠি পেতে হবে। 
  • জার্মানিতে বসবাস করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তহবিল থাকতে হবে। 
  • স্টুডেন্ট এর স্বাস্থ্য বিমা থাকতে হবে। 
সুতরাং বাংলাদেশী স্টুডেন্ট হিসেবে জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো থাকা বাধ্যতামূলক। 

স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা 
স্টুডেন্ট ভিসায় জার্মানি যাওয়ার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয় যেমন 
  • আন্ডার গ্রেজেট বা ব্যাচেলর ডিগ্রি করার জন্য আপনাকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশকৃত হতে হবে এবং উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। 
  • আর আপনি যদি মাস্টার্স পোগ্রামের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার জিপিএ সর্বনিম্ন ৩.০০ থাকতে হবে। 
  • আইইএলটিএস স্কোর থাকতে হবে ৬.৫-৭ এর মধ্যে 
  • বৈধ পাসপোর্ট 
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একসেপ্টেন্স লেটার 
  • জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক রিকমেন্ডেশন লেটার
  • ভর্তির মূল আবেদনপএ
  • আর্থিক স্বচ্ছতার প্রমাণপএ
সুতরাং বলা যায় যে, আপনার কোর্সের ধরন এবং আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে যোগ্যতার পরিবর্তন হতে পারে। 

জার্মানিতে স্কলারশিপ 
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে পড়াশোনা করতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ডি টাইপ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। জার্মান সরকার এটি সম্প্রতি চালু করেছে। এটি শুধুমাত্র আন্তজার্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত। পড়াশোনার জন্য আপনি যদি জার্মানি যেতে চান তাহলে এই ভিসায় আবেদন করে সহজেই যেতে পারবেন। জার্মানিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের প্রচুর চাহিদা। জার্মানির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া প্রায় ১২% শিক্ষার্থী বিদেশী। জার্মানিতে স্কলারশিপের অনেক অপশন রয়েছে। আপনি যদি পিএইচডি ডিগ্রি করতে জার্মানি যেতে চান তাহলে সর্বোচ্চ স্কলারশিপ পেয়ে থাকবেন। জার্মানির DAAD নামক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। 

মাস্টার্স স্কলারশিপ 
জার্মানিতে মাস্টার্স স্কলারশিপ অনেক সহজ। জার্মানিতে মাস্টার্স পোগ্রামে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সকল কোর্স ফ্রি করে দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে আপনি কোন রকম টিউশন ফি ছাড়াই যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার পছন্দমতো কোর্স করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনাকে থাকা খাওয়া এবং বাসস্থানের ফি বহন করতে হবে। আপনি যদি মাস্টার্স ডিগ্রি করতে চান তাও আবার দেশের বাইরে তাহলে জার্মানিকে বেছে নিতে পারেন। 

জার্মানি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং 

আপনি যদি জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান তাহলে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং করার জন্য কতগুলো ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেই। 
  • আপনি যদি জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে আপনার কোর্সের ধরন নির্বাচন করতে হবে এবং ভাষা নির্বাচন করতে হবে। 
  • এবার আপনাকে একটি দূতাবাস খোঁজে বের করতে হবে। কারণ স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন দূতাবাসের মাধ্যমে করতে হয়। 
  • এবার জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন এর জন্য অ্যপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। কারণ অনেক স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করে। 
  • এবার কোর্স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। ডকুমেন্টসে কোন ধরনের ভুল থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। 
  • প্রয়োজনীয় সকল কাগজপএ নিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন উপস্থিত হয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি আপনার বায়োমেট্রিক ডাটা দিতে হবে এবং ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে হবে। 
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। অনেকসময় যেই দিন ভিসার জন্য আবেদন করা হয় সেই দিনই জমা দিতে হয় নয়তো ৩ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। 
  • আবেদন পক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রায় ৬ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। 
  • আপনার সকল ডকুমেন্টস যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে সহজেই ভিসা এপ্রুভ যাবে। 
  • তারপরে নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত হয়ে ভিসা সংগ্রহ করে নিন এবং পাড়ি দেন জার্মানিতে। 
সুতরাং বলা যায় যে, উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার জার্মানির স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। 

জার্মানিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

জার্মানির নতুন আইন অনুমোদন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। একইসাথে দ্বেত নাগরিকত্ব পাওয়ারও সুযোগ দিয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী আপনি যদি জার্মানিতে ৫ বছর বসবাস করেন তাহলে জার্মান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পূর্বে এই সময় লাগতো প্রায় ৮ বছর। এটিও বলা হয়েছে যে অভিবাসী যে দেশেরই হোক না কেন তারা দ্বৈত পাসপোর্ট রাখার সুযোগ পাবে৷ জার্মানিতে এই সুবিধা বর্তমানে পায় ইউরোপীয় ইউনিউনের অন্য সকল দেশ এবং সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা। এতে মনে করা হয় যে, এই সুবিধার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ কর্মীরা জার্মানির প্রতি আকৃষ্ট হবে। 

এই সুবিধার কারণে অনেক তুর্কি জনগোষ্ঠী জার্মানির নাগরিক হতে পারবে।যেসব বাবা মা জার্মানির নাগরিক তাদের সন্তানরা অনায়াসে জার্মানির নাগরিকত্ব পাবে। এতে বাবা মা যদি চায় তাহলে তাদের দেশের নাগরিকত্বও তারা রাখতে পারবে। এই নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বাবা বা মা যেকোন একজনকে জার্মানিতে ৫ বছর অবস্থান করতে হবে। 
অনেকেই আছেন যারা বহুবিবাহ করে থাকে। এসব মানুষ জার্মানিতে নাগরিকত্ব পাবে না। কারণ জার্মানিতে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। দেশটির নাগরিকত্ব পেতে দেশের সকল মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রাখতে হবে। যারা জার্মানির নাগরিকত্ব পাবে তারা জার্মানির রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। রাষ্ট্র সবসময় খেয়াল রাখবে যে তারা সমঅধিকার পাচ্ছে কি না।

জার্মানি টুরিস্ট ভিসা 

জার্মানির টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। অনেকেই তাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা জার্মানির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে যায়। এজন্য প্রয়োজন টুরিস্ট ভিসার। চলুন তাহলে টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেই। 

টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস 

টুরিস্ট ভিসায় জার্মানি যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ডকুমেন্টসের। আর এসব ডকুমেন্টস এক সেনজেন দেশ থেকে অন্য সেনজেন দেশে ভিন্ন হয়ে থাকে। 
  • প্রথমে প্রয়োজন পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম। আবেদন পএটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। 
  • বৈধ পাসপোর্ট। পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে টুরিস্ট ভিসায় জার্মানি থাকার তিন মাস বেশি। পাসপোর্টে অবশ্যই দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে। 
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ কপি)
  • স্বাস্থ্যবিমার প্রমাণপএ। 
  • টুরিস্ট ভিসায় কতদিন জার্মানিতে অবস্থান করতে চান তা নিয়ে একটি কভার লেটার। 
  • নাগরিক ব্যবস্থার প্রমাণপএ
  • বুকিংকৃত হোটেলের প্রমাণপএ
টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য এসকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন। 

আবেদন প্রক্রিয়া 

  • টুরিস্ট ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ করুন। 
  • এবার সঠিকভাবে আবেদন পএটি পূরণ করে নিন।
  • ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন। 
  • এবার দূতাবাস থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য সিডিউল নিন।
  • ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত হয়ে ভিসাটি সংগ্রহ করে নিন।

জার্মানির ভিসা পেতে কত দিন লাগে 

জার্মানির ভিসা পেতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিবেন তার উপর। সাধারণত আপনি যদি স্বল্পমেয়াদী ভিসা নেন তাহলে সেটা প্রক্রিয়াকরণ হতে সময় লাগবে ১৫ দিন। আবার যদি জার্মান দূতাবাসে অনেক বেশি আবেদন থাকে তাহলে উচ্চ ভিজিটর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভিসা তৈরি হতে ৩০ থেকে ৬০ দিনের মতো সময় লাগবে। আপনি যদি বিলম্ব এড়াতে চান তাহলে তাড়াতাড়ি ভিসার জন্য আবেদন করবেন। 

ভিসা ছাড়া জার্মানিতে কত দিন থাকা যায় 

যেসব দেশ ইইউ দেশের সদস্য দেশ তারা সহজেই ভিসা ছাড়া জার্নানিতে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা ৯০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। আপনি যদি তার চেয়ে বেশি দিন থাকতে চান তাহলে অবশ্যই জার্মান কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে। যেসব দেশের নাগরিক জাপান,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া বা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক তাদেরকে জার্মান পৌঁছানোর তিন মাসের মধ্যেই জার্মান কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমতি নিতে হবে। 

জার্মানির এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা 

আর্টিকেলের এই অংশে আপনি জানতে পারবেন জার্মানির এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। জার্মানির মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো। যেহেতু প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাচ্ছে কাজেই টাকার প্রার্থক্যটা বোঝা উচিত। ইউরো মুদ্রা জার্মানি ছাড়াও অন্য অনেক দেশে প্রচলিত রয়েছে। জার্মানির ১ ইউরো বাংলাদেশের ১১৮ টাকার সমান। যেহেতু টাকার রেট প্রতিনিয়ত উঠানামা করে কাজেই এই মান কখনো কখনো ১১৩ বা ১১৫ হয়ে থাকে। 

সেনজেন ভিসা 
সেনজেন ভিসা হচ্ছে ইউরোপে থাকার এবং প্রবেশ করার একটি সরকারি অনুমতি। সেনজেন ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের যেকোন দেশে অবাধ চলাচল করা যায়। স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণকারী এবং পর্যটক হিসেবে সেনজেন ৯০ দিনের জন্য যেতে পারবেন। অন্য সকল ধরনের ভিসা থেকে সেনজেন ভিসা আলাদা। এই ভিসার মাধ্যমে ইউরোপের প্রায় ২৭ টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটি দেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। আলাদা আলাদা ভিসার প্রয়োজন নেই। 

সেনজেন ভিসার শর্ত
সেনজেন ভিসা মূলত সেনজেন দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট দ্বারা জারি করা হয়। আপনি যদি সেনজেন ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে দেখাতে হবে যে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ রয়েছে সেনজেন ভ্রমণ করার জন্য এবং থাকার জন্য। সেনজেন ভিসা সেনজেনের সকল এলাকার জন্যই বৈধ। আপনি যদি সেনজেন ভিসা পান তাহলে যেকোন দেশে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন। একজন সেনজেন ভিসাধারী ব্যাক্তি যেকোন দেশে ৯০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। 

সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায় 

সেনজেন ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি গুগলে সেনজেন ভিসা আবেদন ফর্ম লিখে সার্চ করেন তাহলে আবেদন ফর্ম পেয়ে যাবেন। সতর্কতার সাথে আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। দুই পাশের সব ঘরই পূরণ করতে হবে। কোন ঘর খালি রাখা যাবে না। ভুল হলে বা ঘর ফাঁকা থাকলে আবেদন সম্পন্ন হবে না এবং আপনি ভিসাও পাবেন না। 

বাংলাদেশ থেকে সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায় 

বাংলাদেশ থেকে সেনজেন ভিসা পাওয়ার জন্য সেনজেনভুক্ত যেকোন একটি দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। যোগাযোগ করলেই আপনাকে ভিসা পাওয়ার সকল প্রক্রিয়া বলে দিবে এবং যথাযথভাবে আবেদন করার মাধ্যমে সেনজেন ভিসা পেয়ে যাবেন। 
সেনজেন ভিসা ফি
অনেকেই জানতে চায় সেনজেন ভিসা ফি কত? মূলত সেনজেন ভিসার স্ট্যান্ডার্ড ফি হচ্ছে ৮০ ইউরো ডলার। এটি শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। আবার যাদের বয়স ৬ ছয় থেকে ১২ বছর তাদের জন্য ফি হচ্ছে ৪০ ইউরো ডলার। ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে সেনজেন ভিসা ফি লাগে না। 

জার্মানির অভিবাসন সুবিধা 
জার্মানির অনেক অভিবাসন সুবিধা রয়েছে। নিচে তা ধাপে ধাপে দেওয়া হলো-
  • ম্যানুফ্যাকচারিং,আইটি এবং বিভিন্ন সেক্টরে রয়েছে চাকরির বিশাল সুবিধা। 
  • বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুযোগ। 
  • দূর্দান্ত বেতনের সুবিধা 
  • বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় অভিবাসন গন্তব্য 
  • বেতন বা মজুরি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। 

বসবাসের জন্য জার্মানির সেরা শহর

ইউরোপের একটি বৃহত্তম দেশ হচ্ছে জার্মানি। জার্মানির রয়েছে প্রচুর অর্থনৈতিক শক্তি এবং কাজের শীর্ষ স্থান। জার্মানির জনসংখ্যা প্রায় 82 মিলিয়ন এবং জার্মানির রাজধানী হচ্ছে বার্লিন। বসবাসের সেরা জার্মানির শহরগুলো হচ্ছে 
  • ডর্টমুন্ড
  • লিপজিগ
  • বার্লিন
  • সুগন্ধিবিশেষ
  • মিউনিখ
  • এসেন 
  • স্টুটগার্ট
সুতরাং উপরোক্ত শহরগুলো আপনি বসবাসের জন্য বেছে নিতে পারেন। 

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?

উত্তর: জার্মানির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ হচ্ছে ৭৫ ইউরো। 

প্রশ্ন ২:বাংলাদেশ থেকে জার্মানির দূরত্ব কত? 

উত্তর: বাংলাদেশ থেকে জার্মানির দূরত্ব হচ্ছে ৭,২৮৮ কিলোমিটার। 

প্রশ্ন ৩: জার্মানির মুদ্রার নাম কি?

উত্তর: জার্মানির মুদ্রার নাম হচ্ছে ইউরো। 

প্রশ্ন ৪: জার্মানির এক ইউরো বাংলাদেশের কত টাকার সমান?

উত্তর: জার্মানির এক ইউরো বাংলাদেশের ১১৮ টাকার সমান। 

প্রশ্ন ৫: সেনজেন ভিসায় কতটি দেশ ভ্রমণ করা যায়?

উত্তর: সেনজেন ভিসায় ২৭ টি দেশ ভ্রমণ করা যায়। 

প্রশ্ন ৬: জার্মানিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য জার্মানিতে কত দিন অবস্থান করতে হবে?

উত্তর: জার্মানিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য জার্মানিতে ৫ বছর অবস্থান করতে হবে। 

প্রশ্ন ৭:জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আইইএলটিএস স্কোর কত হতে হবে?

উত্তর: জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আইইএলটিএস স্কোর হতে হবে ৬.৫-৭.০০।

প্রশ্ন ৮: সরকারি ভাবে জার্মানি যেতে কত টাকা খরচ হবে?

উত্তর: সরকারি ভাবে জার্মানি যেতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। 

প্রশ্ন ৯: ভিসা ছাড়া জার্মানিতে কতদিন থাকা যায়?

উত্তর: ভিসা ছাড়া জার্মানিতে ৯০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়।

প্রশ্ন ১০: জার্মানির সর্বনিম্ন বেতন কত?

উত্তর: জার্মানির সর্বনিম্ন বেতন হচ্ছে ২,৩০,৮৫২.১০ টাকা। 

১০. লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জার্মানি কাজের ভিসা ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech। ধন্যবাদ। 

এই আর্টিকেলের-

লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url