OrdinaryITPostAd

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে? বিস্তারিত জানুন

অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান । প্রযুক্তির ছোয়াই এখন আর অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে জানতে দালালের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, ঘরে বসেই এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের এই আর্টিকেলে অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে বিস্তারিত জনাবো, তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।  


সূচীপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ কি?
  2. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ প্রকারভেদ 
  3. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। 
  4. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা
  5.  অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে?  
  6. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসায় বেতন কত?
  7. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
  8. লেখকের মন্তব্য 

 ১. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা কি? অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩

বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে, এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে যে সকল কর্মীরা শ্রমিক এবং কৃষি কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেতে আগ্রহী তারা আবেদন করতে পারবেন। 
কাজের ভিসা এর মাধ্যমে যারা অস্ট্রেলিয়ার যেতে আগ্রহী সাধারণত তারা উচ্চপর্যায়ের কোনো জব বা চাকরি করতে পারেন না তাদেরকে নিম্নমানের কাজ অর্থাৎ যে সকল কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নাগরিক আগ্রহী নয় এবং ফলাফলে ওই সমস্ত নিম্নমানের কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে তারা কর্মী নিয়োগ প্রদান করছে।
আশা করছি , অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ কি তা নিয়ে আপনাদের পরিষ্কার ধারণা হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে দেখুন।

২. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ প্রকারভেদ

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে যেহেতু নিম্নমানের অনেক কাজের জন্য শ্রমিক বা কৃষি কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে তাই সে সকল কাজের বেশ প্রকারভেদ রয়েছে। পাশাপাশি যারা শিক্ষিত এবং দক্ষ তাদের জন্যও কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কাজের বেশ সুযোগ রয়েছে। সাধারণত অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ কে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়।
  1. দক্ষ অভিবাসী ভিসা- এই ভিসার মাধ্যমে যারা শিক্ষিত বা দক্ষ পেশাদার শ্রেণী রয়েছেন তাদেরকে বিভিন্ন কাজের সুযোগ প্রদান করে থাকে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। দক্ষ অভিবাসী ভিসার মাধ্যমে যারা অস্ট্রেলিয়ার বসবাসের সুযোগ বা কর্মক্ষেত্রের সুযোগ পান তাদের সুযোগ সুবিধা এবং বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক স্মার্ট।
  2. স্পন্সরড ওয়ার্ক ভিসা-  অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর যে প্রকারভেদ গুলো রয়েছে তার মধ্যে এটা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। এই ভিসার মাধ্যমে সাধারণত একজন শ্রমিক বা চাকুরী প্রার্থীকে অস্ট্রেলিয়া কোন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে স্পন্সর বা চাকুরীর নিয়োগ পত্র পেতে হয়। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার কোন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে আপনি চাকরির জন্য মনোনীত হয়ে থাকলে আপনি এই ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় কাজের সুযোগ পাবেন বা ভিসার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুনঃ মুড সুইং কেন হয়?

৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র । অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩

প্রায় সকল দেশের ভিসা করতে গেলেই আপনাকে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে আপনার স্বপক্ষে প্রমাণ দেখানোর জন্য। ঠিক একইভাবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে আপনি অস্ট্রেলিয়া যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। 
  1. আই এল টি এস সার্টিফিকেট- সাধারণত যে সকল দেশে আপনি কাজের জন্য হোক বা পড়ালেখা করার জন্য অথবা বসবাস করার জন্য যেতে চান সে সকল দেশের ভাষা সম্পর্কে আপনার দক্ষতা অর্জন করা খুবই জরুরী। ফলাফলে আপনাকে ওই দেশের ভাষা শেখার জন্য আইএলটিএস কোর্স কমপ্লিট করতে হয় এবং এখানে ভাল একটি স্কোর আপনি করতে পারলে বিদেশ যাওয়া আপনার জন্য খুবই সহজ হয়ে যাবে সেটা যে কোন দেশেই হোক না কেন। তাই অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান আপনাকে অবশ্যই খুব ভালোভাবে আইএলটিএস সম্পূর্ণ করতে হবে।
  2. পেশার অভিজ্ঞতার প্রমাণ পত্র- আপনি যে পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে চাচ্ছেন সেই পেশার স্বপক্ষে আপনার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে যেন কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে আপনি ওই কাজটিতে দক্ষ।
  3. অস্ট্রেলিয়া থেকে কাজের প্রস্তাব - আপনি ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়া বা হোক আমেরিকার কোন দেশ যেখানেই যেতে চান না কেন আপনার অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে উত্তর দেশ থেকে কাজের প্রস্তাব তাছাড়া আপনি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন না।
  4. অস্ট্রেলিয়া চাকরির প্রমাণপত্র- আপনি অস্ট্রেলিয়ায় চাকরি পেয়েছেন তার স্বপক্ষে প্রমাণপত্র বা কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে। তাছাড়া আপনি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে ব্যর্থ হবেন।
  5. একাডেমিক  শিক্ষাগত যোগ্যতা- আপনার সমস্ত অ্যাকাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা বা শিক্ষাজীবনের সার্টিফিকেটের সকল সংগ্রহ কাছে রাখতে হবে।
  6. অপরাধ মূলক রেকর্ড- আপনি যদি এর পূর্বে যে কোন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন বা জড়িত হয়ে পড়েছিলেন যদি এরকমটি আপনার সাথে হয়ে থাকে অবশ্যই সে সকল অপরাধের কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। তবে এটা না করাই উচিত কেননা তারা যদি বুঝতে পারে যে আপনি এর পূর্বে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জড়িত ছিলেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হবে।

৪. শিক্ষাগত যোগ্যতা । অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যেতে চান অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু পর্যায়ে অতিক্রম করতে হবে তার অন্যতম হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা। এই ভিসার মাধ্যমে সাধারণত আপনার একাডেমিক শিক্ষার তেমন মূল্যায়ন এখানে হয় না, তারা এখানে বিশেষ করে প্রত্যক্ষ করে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন এবং আপনি ইংরেজি ভাষায় ঠিক কতটুকু দক্ষ। ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণস্বরূপ তারা আপনার আইএলটিএস ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করবে। আপনার আইএলটিএস স্কোর যদি ৮ এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে আপনার জন্য বেশ সুবিধা হবে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর জন্য মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে।

৫. অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে? 

আপনি যে দেশেই যেতে চান না কেন সে দেশের ভিসা ফরজ সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে ঠিক কত টাকা আপনার সংগৃহে থাকলে আপনি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন? সুতরাং ভিসা খরচ সম্পর্কে সঠিক একটা ধারণা জানা প্রতিটি বিদেশ যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তবে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার ভিসার খরচ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন ২০২৩ নামক আর্টিকেলের এই অংশ টি তে আপনাদের ভিসার খরচ সম্পর্কে জানানো হবে।

আপনাদের মধ্যে যারা অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চাচ্ছেন আপনারা যদি অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার জন্য টেম্পোরারি ভিসার আবেদন করতে চান অর্থাৎ আপনারা যদি অস্থায়ী মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান তবে আপনাদের বাংলাদেশে ঢাকায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন হতে পারে। আর এই টাকার হিসাব শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জন্যে প্রযোজ্য। অর্থাৎ শুধুমাত্র আপনি একা ৫ লক্ষ বা এর কিছু বেশি টাকা দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।

৬. বেতন কত ? অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে অনেকেই জানতে আগ্রহী যে তাদের কেমন বেতন দেওয়া হতে পারে। বেতন সাধারণত নির্ভর করে আপনি কেমন কাজ করছেন তার ওপর। অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে যারা বাংলাদেশ থেকে বা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যান সাধারণত তারা কেমন ইনকাম করেন তার একটা ধারণা এখন আপনারা জানতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত কর্ম ঘন্টা হিসেব করে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন সেটা বুঝতেই পারছেন।অস্ট্রেলিয়ায় আপনারা যদি সপ্তাহ ২০ ঘন্টা কাজ করে থাকেন তাহলে আপনারা এক সপ্তাহে প্রায় ২৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা বাংলাদেশি টাকার ৯০ থেকে ১ লক্ষ টাকা মাসে আয় করতে পারবেন।

৭. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

১. প্রশ্ন. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে বর্তমানে যাওয়া সম্ভব কিনা?
উত্তর: এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি তবে খুব দ্রুতই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে তাই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন।
২. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর বেতন কেমন আসতে পারে?
উত্তর: ৯০০০০ থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
৩. ভিসা খরচ কেমন হবে?
উত্তর: সাধারণত চার লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।

৮. লেখকের মন্তব্য

অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি তবে আশা করছি বা ধারণা করা হচ্ছে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তাই নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। 
শুধু অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নয় পাশাপাশি ইউরোপের যেকোনো দেশের আপনি যেতে চাইলে আপনাকে আই এল টি এস এ ভালো স্কোর রাখতে হবে। তাই হাতে যতটুকু সময় পান একটা আই এল টি এস কোর্স সম্পূর্ণ করে ফেলুন অবশ্যই ভালো স্কোর রাখার চেষ্টা করবেন আপনার স্কোর যদি ৮ এর বেশি হয় তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।



আরও পড়তে পারেন - 


 দেশের স্টুডেন্ট হিসেবে অনেকেরেই অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার স্বপ্ন থাকে, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩- সালে এসে কিভাবে কি করবে তা নিয়ে তাদের কোন ধারণা থাকে না।  আধুনিকতার যুগে এসে এখন অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কীয় তথ্য জানতে এখন আর তৃতীয় ব্যক্তি বা দালালের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, এখন ঘরে বসেই  অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩  সকল তথ্য (যেমনঃঅস্ট্রেলিয়া  যেতে কত টাকা লাগে, ভিসার প্রাইস,শিক্ষাগত যোগ্যতা, টিউশন ফি ইত্যাদি ) সম্পর্কে জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।



অনুচ্ছেদ সূচি(যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. অস্ট্রেলিয়া কি কি শিক্ষাকোর্স অফার করছে?
  2. অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় কেমন যোগ্যতা লাগে?
  3. অস্ট্রেলিয়ায় স্টূডেন্ট  ভিসা পেতে   I.E.L.T.S স্কোর কত থাকা প্রয়োজন?
  4. কিভাবে  ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করবেন?
  5. অস্ট্রেলিয়ায় স্টূডেন্ট  ভিসা টিউশন ফি কেমন হয়?
  6. টিউশন ফি পাঠানোর প্রক্রিয়া কি?
  7. ভিসার আবেদন এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন?
  8. আপনি কেন অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যাবেন?
  9. অস্ট্রেলিয়াতে পার্টটাইম জবের অবস্থা কেমন?
  10. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
  11. লেখকের মন্তব্য

১.অস্ট্রেলিয়া কি কি শিক্ষাকোর্স অফার করছে ?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসাতে ২০২৩ সালে এসে অস্ট্রেলিয়ান কতৃপক্ষ নতুন করে সাধারণত কয়েক ধরনের কোর্সগুলো অফার করে থাকে। তারা মূলত ব্যাচেলর'স, মাস্টার'স, পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা ইন পিএইচডি বিভিন্ন প্রোগ্রাম। কিন্তু তারা এখানে অফার করে থাকে মূলত  মাস্টার্স, পোস্টমাস্টার ব্যাচেলার্স ডিগ্রি। এসকল কোর্স বা ডিগ্রীকে সাধারণতন প্রফেশনাল কোর্স বলা হয়। আপনি ম্যানেজমেন্টের উপর অস্ট্রেলিয়াতে  আপনি একটা ডিপ্লোমা নিতে চান তাহলে আপনি  পোস্ট গ্রাজুয়েশন নিতে পারেন । প্রফেশনাল কোর্স হলো- "লাইক এইচ.আর.ম্যানেজমেন্ট বা এক্সপেরিয়েন্স রিলেটেড জব বা স্টাডি করাকে প্রফেশনাল কোর্স বলা হয়ে থাকে"। 

২.অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় কেমন যোগ্যতা লাগে?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে যোগ্যতা কিরকম প্রয়োজন তা জানানো হবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলের এই পর্যায়ে। আপনি যদি ব্যাচেলর'স প্রোগ্রাম এ আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে মিনিমাম এইচএসসি কমপ্লিট হতে হবে এবং আপনার একাডেমিক রেজাল্ট 3.50 উপরে হতে হবে, এর পরে  আপনার 3.5 প্লাস হলেই আপনি অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এর জন্য অতি সহজে আবেদন করতে পারবেন। যদি এ্যাকাডেমিক রেজাল্ট স্কোর খারাপ হয়ে থাকে এবং I.E.L.T.S স্কোর ভালো থাকলে তাহলেও কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন কিন্তু তবে এক্ষেত্রে অনেক সময় ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আবার যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে চান তাহলে আপনার ব্যাচেলর'স ডিগ্রীতে( বি.বি.এ-তে) সিক্সটি পার্সেন্ট মার্কস  থাকতে হবে। পরর্বতীতে আপনি মাস্টার্স করলেও আপনি পোস্ট গ্রাজুয়েশন বা  ডিপ্লোমার জন্য আবেদন করতে পারবেন  আবার ব্যাচেলার্স শেষ করেও পোস্ট গ্রাজুয়েশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।  

৩.অস্ট্রেলিয়ায় স্টূডেন্ট  ভিসা পেতে   I.E.L.T.S স্কোর কত থাকা প্রয়োজন?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

স্টূডেন্ট  ভিসা পেতে I.E.L.T.S স্কোর সর্বনিম্ন কত থাকা লাগবে তাও জানা প্রয়োজন, এবং প্রশ্নের উত্তর মিলবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলের এই অংশে।সাধারণত ব্যাচেলর'স প্রোগ্রামে এ্যডমিশন নিয়ে চাইলে  I.E.L.T.S স্কোর কেমন লাগবে? আপনার  I.E.L.T.S স্কোর মিনিমাম 6 হতে হবে, আবার যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে চান তাহলে আপনার I.E.L.T.S স্কোর  করলে 6.5। এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশনের জন্য আবেদন করতে চাইলে আপনার।  I.E.L.T.S স্কোর লাগবে মিনিমাম ৬ এবং তাহলেই এখানে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনার  I.E.L.T.S স্কোর একটু কম হয় 5.5-5.6 বা 6 এর কম হয়, তাহলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে  আপনার অনেক সময় ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে  জটিলতা তৈরি হতে পারে। আপনি  অস্ট্রেলিয়া স্টূডেন্ট ভিসা-২০২২ সালে এসে পেতে পারেন যদি আপনার একাডেমিক রেজাল্ট ভালো থাকে  যদিও আপনার  I.E.L.T.S স্কোর 5 বা 5.5 এর মতো  থাকে তাহলেও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিজে অস্ট্রেলিয়া স্টূডেন্ট  ভিসা  আবেদন করতে চাইলে যে জিনিসটি করতে হবে আপনাকে একটা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে । এবং আপনাকে অবশ্যই আপনার এইচ.এস.সি. কমপ্লিট থাকতে হবে। এর পরে আপনি এ পাসপোর্টগুলো 15 ফুটের মতো এবং আপনি যখন পাসপোর্ট করবেন তেমন কিছু সর্তকতা অবলম্বন করবেন , সেগুলো হচ্ছে- (আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ডেট অফ বার্থ,) এই জিনিসগুলোর জন্য কোন অবস্থাতে কোন অংশে অসামঞ্জস্যতা না হয় এ জিনিসগুলো খেয়াল করে পাসপোর্ট করবেন ,পরে আপনি  I.E.L.T.S এর প্রিপারেশন নিবেন।

৪.কিভাবে  ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করবেন?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

বাংলাদেশে বসে কিভাবে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করবেন তা জানানো হবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ -এর লেখার এই পার্টে। যখন আপনার I.E.L.T.S এ যদি ব্যান্ডস্কোর যদি ৬ এর উপরে থাকে তাহলে পরবর্তী কাজ হলো-  ইউনিভার্সিটি সার্চ করা। যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন, এবং যে পরিমানের টিউশন ফি ফ্যামিলি আপনাকে দিতে পারবে সেই রিলেটেড আপনাকে ইউনিভার্সিটি  খুঁজে বের করা। ইউনিভার্সিটি  খুঁজে বের করার সহজ উপায় হলো- অস্ট্রেলিয়ার যে ইউনিভার্সিটি লিস্ট আছে সেটা  গুগল থেকে  অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটি লিস্ট থেকে সমস্ত ইউনিভার্সিটি লিস্ট  পেয়ে যাবেন এবং আপনি প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখতে পারেন তারা কি কোর্স অফার করছে, তাদের খরচ কিরকম, টিউশন ফি কত, অন্যান্য আরো খরচ কি আছে্‌,সমস্ত বিষয়ে  এখানে দেখে একটা সম্যক ধারণা নিতে পাররেন। দেখার পরে যতটুকু ফ্যামিলির ক্যাপাবিলিটি আছে সে অনুযায়ী  ইউনিভার্সিটি ভর্তির আবেদন করবেন। প্রত্যেকটি  ইউনিভার্সিটিতে অনলাইনে আবেদন করার অপশন থাকে। সেখানে  কিছু ইনফরমেশন দিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যায় এবং অনলাইনে আবেদন করলে তারা আপনাকে রিপ্লাই  দেওয়ার পরেই আপনার কাছ থেকে কিছু ডকুমেন্ট চাবে যেমন-( I.E.L.T.S এর সার্টিফিকেট, এ্যকাডেমিক মার্কশিট,রিকমেন্ডেশন লেটার,ব্যাংকের স্টেটমেন্ট ইত্যাদি)   

৫.অস্ট্রেলিয়ায় স্টূডেন্ট  ভিসা টিউশন ফি কেমন হয়?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

সাধারণত ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ ডকুমেন্ট লিস্ট নেয়ার পর টিউশন ফি চাবে, এখন টিউশন ফি কেমন হতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ লেখার এই পর্যায়ে। ডকুমেন্ট লিস্ট  পাঠানোর পর  ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ  অ্যাপ্লিকেশন ফি চাবে, এবং এই অ্যাপ্লিকেশন ফি বিভিন্নভাবে পে করতে পারবেন। প্রথমত- অস্ট্রেলিয়াতে যদি কোন আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে তারা  আপনার হয়ে পে করতে পারে বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পে করতে পারেন।  এরপর পরর্বতী  কার্যক্রম  হবে , তারা আপনাকে কন্ডিশনাল লেটার পাঠিয়ে  বলবে টিউশন ফি পাঠানোর জন্য। 

এখন  টিউশন কত হতে পারে, অ্যাভারেজে ধরলে  টিউশন ফি হবে ত 15000 থেকে 20000 কাছে অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এই  সমপরিমাণ এ আপনার ওখানে টিউশন ফি আপনাকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে টিউশন ফি এটা মূলত ডিপেন্ড করে ইউনিভার্সিটি তে পড়ার খরচ ,কোর্স কি ধরনের, এগুলোর উপর ভিত্তি করে এই টোটাল কস্টিং টা আসে। মাস্টার্স প্রোগামের জন্য অ্যাভারেজে ১৭ থেকে প্রায় 30 হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার সমপরিমাণ এখানে খরচটা হতে পারে । এটা আপনার বাৎসরিক ফি । আর  যদি স্কলারশিপ নিতে চান তাহলে আপনার একটা এ্যাকাডেমিক রেজাল্ট ভালো হতে হবে। আপনারা বিশেষ করে I.E.L.T.S স্কোর ভালো হতে হবে। ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ টিউশন ফি চাবার পর টিউশন ফি কিভাবে পাঠাবেন তা জানা আবশ্যক। এবং প্রশ্নের উত্তর মিলবে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এর পরর্বতী অংশে।

৬.টিউশন ফি পাঠানোর প্রক্রিয়া কি ?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এই পর্বে থাকবে কিভাবে আপনি অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষের কাছে তিউশন ফি পাঠাবেন। অস্ট্রেলিয়ান কতৃপক্ষ সাধারণত স্কলারশিপ মাস্টার্স এবং পিএইচডিতে বেশি দিয়ে থাকে ব্যাচেলার প্রোগ্রামে খুব কম দিয়ে থাকে।  নিজে নিজে কিভাবে টিউশন ফি পাঠাবেন ? টিউশন ফি পাঠানোর প্রক্রিয়া হচ্ছে  যেসব ব্যাংক আছে যে কোনো একটা ব্যাংকে গিয়ে বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংকে স্টূডেন্ট  ফাইল বা অ্যাকাউন্ট ওপেন করা হয়,সেই ব্যাংকে সমস্ত ডকুমেন্ট দিয়ে একটি  স্টূডেন্ট অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন। ওপেন করে ব্যাংক টু ব্যাংক টাকা টান্সফার করে দিবেন, ইউনিভার্সিটি আপনার কাছে টিউশন ফি পাওয়ার প্রমান হিসেবে  তারা আপনাকে মানি রিসিট দিবে। মানি রিসিট পাওয়ার পরে তারা আপনাকে একটা জিনিস পাঠাবে সেটি হলো C.O.E.বা কনফারমেশন অফ ইনরোলমেন্ট । এটা পাওয়ার পরে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।  ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসার আবেদন পত্রের মাধ্যমে সেক্ষেত্রে আপনার ডকুমেন্টস লিস্ট যেমন- (একাডেমিক সার্টিফিকেট, মার্কশিট, পাসপোর্ট ,ফটো ভেরিফিকেশন, লেটার অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন বা রেকমেন্ডেশন লেটার, আপনার যদি জি.আর.ই বা জিম্যাট এ স্কোর থাকে তাহলে সেটার সার্টিফিকেট, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এবং ইনকাম ট্যাক্স ) পাঠাতে হবে বা চাইতে পারে।

৭.ভিসার আবেদন এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

ভিসার আবেদনের কাজ শেষ হলে আপনার একটা ইন্টারভিউ দিতে হবে দেশের অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসিতে, এখন কিভাবে এই ইন্টারভিউতে সফল হবেন তা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ - আর্টিকেলের এই অংশে।সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে যাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি দু'টা । প্রথমত ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় অথবা  আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে অফলাইনে কোনো এজেন্টের মাধ্যমে  সরাসরি গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।  আবেদন করার পরে একটা  ইন্টারভিউ দিতে হবে অস্ট্রেলিয়া এম্বাসিতে। সাথে যেন আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট থাকে, ইন্টারভিউতে কোন সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন করবে না এখানে প্রশ্ন করবে আপনি কোন ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছেন, আপনার এখানে খরচ কেমন, আপনার কোন সাবজেক্ট পেয়েছেন, আপনার শরীরের কন্ডিশন কেমন, আপনার এখানে ফিউচার প্লান কি, আপনার ইউনিভার্সিটি ও সাবজেক্ট রিলেটেড প্রশ্ন করতে পারে। 

আপনি যে বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে বিষয়েও  তারা আপনাকে প্রশ্ন করবেন। অস্ট্রেলিয়া স্টূডেন্ট ভিসার বিভিন্ন প্রসেস ক্লিয়ার করার সময় কিন্তু আপনার সমস্ত ইনফরমেশন গুলো  অটোমেটিকলি  জানা হয়ে যাবে। তো যখন  ইন্টারভিউ দিবেন তখন আশা করা যাচ্ছে খুব ভালোভাবে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন। তারপর একটু পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন যেমন আপনার সম্পর্কে কি বলা যায় একটা ধারনা নিবেন।  ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে, ফ্যাকাল্টি সম্পর্কে  ধারণা নিবেন । অর্থাৎ হচ্ছে কোর্স  রিলেটেড বিষয়ে ধারণা নিবেন। এর পর প্রুফ অফ ইনকাম বা যিনি আপনার পক্ষ থেকে  ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট শো করতেছেন তার সম্পর্কে জানতে পারে, অথবা আপনার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড বা অস্ট্রেলিয়া তে পড়াশোনা করার মতো আপনার ফ্যামিলির ফাইনান্সিয়াল ক্যাপাবিলিটি আছে কিনা সেটা ভিসা কাউন্সিলর জানলেও জানতে পারে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনি ভিসা পেয়ে অস্ট্রেলিয়াতে স্টূডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন।

৮.আপনি কেন অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে যাবেন?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কেন সবার শীর্ষে থাকবে, তা জানবেন অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এর এই অংশে। এখন আপনি কেনোইবা অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করবেন? অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা কমপ্লিট করার পরে একটা জব অফার পাবেন, সেটা হচ্ছে- যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তার উপর। এটা সাধারনত  দু বছর থেকে শুরু করে চার বছর পড়ালেখা করার পর বা কিছুক্ষেত্রে এর আগেও চাইলে তারা কিন্তু এই অফারটা অস্ট্রেলিয়ান সরকার দিয়ে থাকে। এটা মূলত আসলে ডিপেন্ড করে কোন সিটিতে আছেন, কোন বিষয়ের উপর পড়ছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করে তারা আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দিবে। এখানে কাজ করার পরে আপনি কিন্তু চাইলেই পি.আর এর জন্য আবেদন করতে পারবেন যেটাকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বলা হয়।  এই রেসিডেন্সির জন্য আবেদন করলে আশা করা যাচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে থাকতে পারবেন এবং নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন।

৯.অস্ট্রেলিয়াতে পার্টটাইম জবের অবস্থা কেমন?অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩

পার্টটাইম জব করে কি টিউশন ফি কাভার করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ এর আর্টিকেলের এই ধাপে। এখন কিভাবে পার্টটাইম কাজ করে কতটুকু কস্ট কাভার করতে পারবেন? এখানে অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়াতে উইকলি 20 ঘন্টা পার্টটাইম  কাজ করতে পারবেন এতে আপনার একোমোডেশন এবং ফুড কস্ট  কাভার করতে পারবেণ। কিন্তু  টিউশন ফি টা  অবশ্যই  ফ্যামিলি থেকে নিতে হবে। এজন্য আগেই বলা হয়েছে আপনার ফ্যামিলির যতটুকু  টিউশন ফি দেয়ার অ্যাবিলিটি আছে সেই অনুযায়ী ইউনিভার্সিটি খুঁজে বের করবেন। 

১০.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ

১।প্রশ্নঃ অস্ট্রেলিয়ার ইংরেজি ভাষা এবং ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষার মধ্যে কি কোনো পার্থক্য আছে?

 উত্তরঃ নাহ, তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

২।প্রশ্নঃ ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বাংলাদেশি টাকায় কতো?

 উত্তরঃ ৬৪.৭৫ টাকা।

৩।প্রশ্নঃ অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কতো বয়স হওয়া দরকার?

 উত্তরঃ সর্বনিম্ন ১৮ বছর।

৪।প্রশ্নঃঅস্ট্রেলিয়াতে কি কাজের ভিসাও পাওয়া যায়?

 উত্তরঃজ্বী , বিভিন্ন দেশীয় এজেন্ট এ কাজগুলো করে থাকে।

১১.লেখকের মন্তব্যঃ 

 অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশনের জন্য আজ সারা পৃথিবীর বিখ্যাত একটা দেশ হিসেবে পরিচিত।  দেশের অনেক স্টুডেন্ট অস্ট্রেলিয়া পড়ার স্বপ্ন দেখে কারন সে দেশের জীবনযাত্রার মান অন্যান্য দেশ থেকে অনেক ভালো।  কিন্তু সঠিক ধারনা না থাকার কারনে তারা আর অস্ট্রেলিয়া গিয়ে পড়ার স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যায়। তাই এই "অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ লেখাটি তাদের উদ্দেশ্য করে লেখা। কিভাবে তারা ভিসার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে কিভাবে নিজেকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আসবে এই বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়গুলো এই লিখার মাধ্যমে পরিস্কার করার চেষ্টা করা হয়েছে । কিভাবে ভিসার জন্য আপ্লাই করবে , কত I.L.E.T.S স্কোর প্রয়োজন , কেমন টিউশন ফি প্রয়োজন এসব বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারনা দেয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া কিভাবে অস্ট্রেলিয়া সহ অন্যান্য দেশে কিভাবে যাবেন, ভিসার জন্য আপ্লাই করবেন তার জন্য আমাদের অন্য আর্টিকেলগুলো দেখে আসতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url