বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী। Life of Scientists!
যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তাদের বলা হয় বিজ্ঞানী।বিজ্ঞান নিয়ে মানবজাতি কাজ করছে বহুকাল যাবৎই। কিন্তু বিজ্ঞান একটি সাব্জেক্ট হিসেবে আত্নপ্রকাশ করতে সময় লেগেছে অনেকগুলো বছর, এবং তার ইতিহাস খুব বেশি পুরাতন নয়।আজ আমরা জানবো বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ ম্যারি কুরি এর জীবন কাহিনী
বিজ্ঞানের সুদীর্ঘ ইতিহাসে অনেক দেশের অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন যারা নিজেদের আবিষ্কার ও তত্ত্ব দিয়ে পৃথিবি ও সভ্যতাকে আলোকিত করেছেন।তাদের মাঝে সেরা বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী,আবিষ্কার ও অবদান নিয়ে চলুন জানা যাক।
অনুচ্ছেদ সূচী (যে অংশ পড়তে যান তার উপর ক্লিক করুন)
১.আইজ্যাক নিউটনের জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
স্যার আইজাক নিউটন একজন পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ হিসেবে পরিচিত যিনি গতির সুত্রসহ আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের নীতিগুলি বিকাশ করেছিলেন।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর মধ্যে সর্বপ্রথম আমরা তার সম্পর্কে জানবো।
১৬৪২ সালে বিজ্ঞানী নিউটন জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মস্থান ইংল্যান্ডের লিংকন শহরের গ্রান্থামের নিকটে এক গ্রামে। তার পিতার নামও ছিলো আইজ্যাক নিউটন। নিউটনের জন্মের অল্প কয়েক মাস পুর্বেই তার বাবার জীবনাবাসন ঘটে। তার মা হেনা নিউটন স্বামীর স্মৃতিতে পুত্রের নাম রেখেছিলেন আইজ্যাক নিউটনের।জন্মের সময়কাল থেকে নিউটন ছিলো খুব রোগা প্রকৃতির। তিনি যতটা না রোগা ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন দুষ্ট। তিনি যতটা না দুষ্টু ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন মেধাবী।
বালক নিউটনের জ্ঞানের প্রতিভা এতোটাই ছিলো যে একদিনের ঘটনায় শিক্ষক মুগ্ধ হয়ে যান। ঘটনাটি ছিলো, প্রায়ই নিউটনের স্কুলের এক স্যার স্কুলে আসতে দেরি করতো। তাই তিনি স্যারকে বলে উঠলেন স্যার আমি আপনার জন্য একটা ঘড়ি তৈরি করে দিচ্ছি তাহলে ঘড়ি দেখে যথা সময়ে স্কুলে আসতে পারবেন।তিনি এমন একটা ঘড়ি বানালেন যার উপরে ছিলো একটা জলের পাত্র। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান জল ঢেলে দেওয়া হতো আর তার থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঘড়ির কাটার উপর পরতো। ফলে ঘড়ির কাঁটা আপন গতিতেই চলতো। এ আবিষ্কার দেখে শিক্ষকরা মুগ্ধ হয়েছিলেন।
১৬৬৫ সালে নিউটন স্নাতক ডিগ্রি করেন।
আপনারা পড়ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী। কলেজের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় তিনি কিছু জটিল তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি আবিস্কার করেন কঠিন পদার্থের ঘনত্ব। ১৬৬৬ সালে ফ্লাক্সন শক্তি উদ্ভাবনের সাথে সাথেই মধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্বন্ধে চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করেন তিনি।
নিউটনের গতির সূত্রঃ
১. বাহিরে থেকে কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির থাকে আর গতিশীল বস্তু আজীবন গতিশীল থাকে। এটাকে জড়তার সুত্র ও বলা হয়।
২. বস্তুর ভর ও বেগ এর গুনফলকে ভরবেগ বলে। এর পরিবর্তনের হার এর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে কাজ করে বস্তুর ভরবেগের সেদিকে পরিবর্তিত হয়।
৩. সব কাজেরই একটি সমান ও বিপরীত প্রতি কাজ রয়েছে।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
১৭৭৬ সালের ৩১ এ মার্চ ৮৪ বছর বয়সে আমাদের এই বিজ্ঞানীর জীবনাবাসন ঘটে।
আরও পড়ুনঃ ইমদাদ সিতারা খান শিক্ষাবৃত্তি
২.আলবার্ট আইন্সটাইনের জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
মহান বিজ্ঞানী স্যার আলবার্ট আইনস্টাইন ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ জার্মানির উলম শহরে এক ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে আপনাদের আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী সম্পর্কে জানাবো।
উনার পিতা ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।তাই মাঝে মাঝেই ছেলেকে নানা ধরণের খেলনা এনে দিতে পারতেন। শিশু আইনস্টাইনের বিচিত্র চরিত্রকে সেই দিন উপলব্ধি করা সম্ভব হয়নি তার অভিভাবক, তার শিক্ষকদের। তার স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে মাঝে মাঝেই অভিযোগ আসত, পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া ছেলে, অমনোযোগী, আনমনা ইত্যাদি। এতে করে বেস বিরক্ত হতেন তিনি।দর্শনের বই তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করত।
পনেরো বছর বয়সের মধ্যে তিনি কান্ট, স্পিনোজা, ইউক্লিড, নিউটনের রচনা পড়ে শেষ করে ফেললেন। বিজ্ঞান, দর্শনের সাথে পড়তেন গ্যেটে, শিলার, শেক্সপিয়ারের বই সমূহ। অবসর সময়ে বেহালায় বিটোফোন, মোতসার্টের সুর তুলতেন। এরাই ছিল তার সঙ্গী বন্ধু, তাঁর জগৎ।১৯০৭ সালে তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন।
জাপানে অ্যাটম বোমা ফেলার পর তার বিধ্বংসী রূপ দেখে বিচলিত আইনস্টাইন লিখেছেন,পারমাণবিক শক্তি মানব জীবনে খুব তাড়াতাড়ি আশীর্বাদ হয়ে দেখা যাবে-সে রকম মনে হয় না। এই শক্তি মানবজাতির প্রকৃতই ভয়ের কারণ-হয়তো পরোক্ষভাবে তা ভালোই করবে। ভয় পেয়ে মানবজাতি তাদের পারস্পরিক সম্বন্ধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা চালু করবে। ভয় ছাড়া মানুষ বোধহয় কখনোই শান্তির পথে অগ্রসর হতে পারবে না।১৯৫০ সালে প্রকাশিত হলো তার নতুন তত্ত্ব A generalised theory of Gravitation। মহাকর্ষের সর্বজনীন তত্ত্ব।
১৯৫৫ সালের ১৮ ই এপ্রিল এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী ৭৬ বছর । বসে পরলােক গমন করেন ।তার ইচ্ছায় তার মৃতদেহ পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ
৪ ফেব্রুয়ারী "বিশ্ব ক্যান্সার দিবস"
৩.নিকোলা টেসলা এর জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
নিকোলা টেসলাকে বলা হয় আধুনিক সময়ের ‘দ্য ভিঞ্চি’।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে আপনাদের নিকোলা টেসলা সম্পর্কে অভিহিত করবো।এই মহামানবের জন্ম ১০ জুলাই ১৮৫৬ সালে তৎকালীন সার্বিয়ায় (বর্তমান ক্রোয়েশিয়ায়) স্মিলিজান শহরে। পিতা মিলুতিন টেসলা একজন ধর্মযাজক এবং মা ডুকা টেসলা ছিলেন একজন উদ্ভাবক।বিভিন্ন ঘরোয়া যন্ত্রপাতি এবং মেশিন তৈরির জন্য তার মায়ের অনেক পরিচিতি ছিলো।ছোটবেলা থেকেই টেসলা ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী। তিনি মাথার ভেতরে ক্যালকুলাস করে ফেলতে পারতেন বলে স্কুলে শিক্ষকরা ধরেই নিয়েছিলেন যে, তিনি হয়তো পরীক্ষায় নকল করছেন! কিন্তু আদতে জন্মসূত্রে তিনি পেয়েছিলেন অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা।
নিকোলা টেসলা এর রয়েছে অনেক বাণী। তার কিছু অসাধারণ উক্তি :
"একা থাকাই হচ্ছে আবিষ্কারের প্রথম গোপনীয়তা, একা থাকুন আপনার মধ্যে একের পর এক ধারণার জন্ম হবে।"
"সবকিছুর চেয়ে আমি বইকেই বেশি পছন্দ করি।"
"বড় বড় আবিষ্কারের পেছনে কোনো বিবাহিত মানুষের অবদান রয়েছে, এটা আমি ভাবতে পারি না।"
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
"আপনি যদি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গোপনীয়তা সম্পর্কে জানতে চান তবে এনার্জি, ফ্রিকোয়েন্সি ও ভাইব্রেশনের কথা ভাবুন।"
"আপনার ঘৃণা যদি বিদ্যুতে পরিণত হয়, তবে এর আলো সারা বিশ্বকে আলোকিত করবে।"
"দুর্দান্ত মুহূর্তগুলি দুর্দান্ত সুযোগ থেকে জন্মগ্রহণ করে।"আমি অলসতায় বিশ্বাস করি না, এবং আমার মুখ বা পৃথিবী থেকে লোফারটি মুছতে দেখা উচিত; তবে আমি চাই যে যারা কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের ন্যূনতম শ্রম দিয়ে এবং সর্বোত্তম উপায়ে তাদের ফলাফলটি সম্পন্ন করা উচিত। "
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
নিকোলা টেসলা ছিলেন একজন সার্বিয়ান-আমেরিকান উদ্ভাবক, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী, যান্ত্রিক প্রকৌশলী।১৯৪৩ সালের ৭ ই জানুয়ারি এই মহান বিজ্ঞানী করোনারি থম্ব্রসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।তার জন্মের মতো মৃত্যু টাও অদ্ভুদ ছিলো।মারা যাবার দিন তার দরজায় লিখা ছিলো~"Don't Disturb Me"
৪.ম্যারি কুরি এর জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
ম্যারি ক্যুরি (ফরাসি: Marie Curie) প্রথম নারী বিজ্ঞানী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে আপনাদের ম্যারি কুরি এর জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে।
১৮৬৭ সালের ৭ নভেম্বর মারি ক্যুরি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ভ্লাদিস্লাও স্ক্লদভস্কি পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন পড়াতেন যা পরবর্তীতে মারিয়ার লেখাপড়ার বিষয় হয়ে দাড়ায়। আর মা আন্না মেয়েদের স্কুলে কাজ করতেন।ভাই বোনদের মধ্যে মারি ছিলেন সবচয়ে ছোট। মারির জ্যেষ্ঠ ভাই বোনদের নাম জোফিয়া (জন্ম ১৮৬২), জোজেফ (জন্ম ১৮৬৩), বরিন্সলা (জন্ম ১৮৬৫) এবং হেলেনা (জন্ম ১৮৬৬)।১৮৬৩ থেকে ১৮৬৫ এর মধ্যে ঐতিহাসিক জানুয়ারি আপ্সপ্রিং-এর সময় পোল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেয়ার কারণে মারি ক্যুরির পৈতৃক এবং নানা বাড়ির সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যায়।পড়ছেন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
ম্যারি কুরি তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন এবং একসঙ্গে তার স্বামী পিয়ের, তেজস্ক্রিয় উপাদান পোলোনিয়াম এবং রেডিয়াম আবিষ্কার করেন, যখন খনিজ পিচব্লেনের সাথে কাজ করেন।ম্যারি এর তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কারের পরে, তিনি তার স্বামী সাথে তার গবেষণা অব্যাহত। খনিজ পিচব্লেনের সাথে কাজ করে, জোড়া 1898 সালে একটি নতুন তেজস্ক্রিয় উপাদান আবিষ্কৃত হয়। তারা মেরি এর নেটিভ দেশ পোল্যান্ড পরে, উপাদান polonium নামকরণ। তারা পিচব্লেন্ডে আরেকটি তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি সনাক্ত করে, এবং রেডিয়াম বলে। 1902 সালে, কুরিরা ঘোষণা দেয় যে তারা বিশুদ্ধ রেডিয়ামের একটি ডিগ্রিগ্রাম তৈরি করেছে, এটি একটি অনন্য রাসায়নিক উপাদান হিসাবে তার অস্তিত্ব প্রদর্শন করছে।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
নোবেল পুরষ্কার ~ম্যারি কুরি;
1903 সালে, কারি তার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তার স্বামী এবং হেনরি বেকেরেলের সাথে, তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের জয় দিয়ে, কুরি তাদের বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার জন্য একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে, এবং তারা তাদের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের পুরস্কার অর্থ ব্যবহার করে।
দিনরাত তেজস্ক্রিয় মৌল নিয়ে নাড়াচাড়া করার ফলে অচিরেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই এই মহিয়সী নারীর মৃত্যু হয়।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
৫.চার্লস ডারউইনের জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
কালজয়ী বৈজ্ঞানিক চার্লস ডারউইনের জন্ম হয় ১৮০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি, ইংল্যান্ডে।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে আপনাদের ডারউইন এর ব্যাক্তিত্য ও জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত অভিহিত করবো।
তার ‘বিবর্তনবাদ ও প্রাকৃতিক নির্বাচন’ সংক্রান্ত মতবাদ দিয়ে আমাদের চারপাশের জীবন ও জগত সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষের ধারণাটাই পুরোপুরি পালটে দিয়েছেন।ডারউইনের সব গবেষণাই খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। তবে, সবচেয়ে বিখ্যাত গবেষণামূলক কাজ ছিল, প্রাকৃতিক নির্বাচন নিয়ে ধারণা। যার মূল কথা হল-- পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী প্রজাতিই একই পূর্বপুরুষের কাছ থেকে এসেছে এবং সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। এর মূল সূত্রটি কিন্তু বেশ মজার। প্রাণীর যখন সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন ঘটে, যেটাকে উনি বিবর্তন বলে অভিহিত করেছেন, তখন তাদের যে বৈশিষ্ট্যগুলো তার পরিবেশের সঙ্গে মিলে যায় সেগুলো রয়ে গেছে আর যেগুলোর তেমন দরকার হয়নি সেগুলো হারিয়ে গেছে।পড়ছেন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
২৪শে নভেম্বর ১৮৫৯ সালে ডারউইনের বই প্রকাশিত হ্য। বই- এর নাম The origin of species by means of Natural Selection or the preservation of Favoured Races in the struggle for life ।
এই বইতে তিনি লিখেছেন, আমাদের এই পৃথিবীতে প্রতিমুহূর্তে নতুন প্রাণের জন্ম হচ্ছে । জীবের সংখ্যা ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে । কিন্তু খাদ্যের পরিমাণ সীমাবদ্ধ । সেই কারণে নিয়ত জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে চলেছে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিরামহীন প্রতিযোগিতা । যারা পরিবেশের সাথে নিজেদের সামঞ্জস্য বিধান করতে পেরেছে তারাই নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পেরেছে ।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
কিন্তু যারা পারেনি তাঁরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে । এই ধারাকেই বলা হয়েছে যোগ্যতমের জয় “Survival of the Fittest” । ডারউইনের বিবর্তনবাদের প্রসঙ্গে অনেকের ধারণা মানুষের উৎপত্তি বাঁদর থেকে । কিন্তু ডারউইন কখনো এই ধরণের কথা বলেননি । তাঁর অভিমত ছিল মানুষ এবং বাঁদর উভয়েই কোন এক প্রাগঐতিহাসিক জীবন থেকে বিবর্তিত হয়েছে । বাঁদররা কোনভাবেই আমাদের পূর্বপুরুষ নয়, তার চেয়ে দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলা যেতে পারে ।
১৯শে এপ্রিল ১৮৮২ সাল, পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন চার্লস ডারউইন ।পড়ছেন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
৬.রবার্ট মিলিকানের জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
রবার্ট মিলিকান একজন আমেরিকান পদার্থবিদ।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এই পর্যায়ে বিজ্ঞানী রবার্ট মিলিকান সম্পর্কে জানবো।তিনি ১৮৬৮ সালের ২২ মার্চ ইলিনয়ের মরিসনে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ইউএস একাডেমি অফ সায়েন্সেসের সদস্য ছিলেন।রবার্ট অ্যান্ড্রুজ মিলিকানের বাবা ছিলেন একজন ধর্মযাজক, তাঁর মা কলেজে ডিনের কাজ করতেন। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের আরও দুই ভাই ও তিন বোন তাদের পরিবারে বেড়ে উঠেছে।8686 সালে তিনি ওবারলিন কলেজ থেকে পড়াশোনা শুরু করেন, যেখানে তিনি ত্রিকোণমিতি, বিশ্লেষণাত্মক জ্যামিতি এবং গ্রীক শিখেছিলেন।পড়ছেন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী। তিনি 1891 সালে স্নাতক হন এবং 1895 সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট লাভ করেন, তিনি যে বিভাগে পড়াশুনা করেছিলেন সেখানে এটিই প্রথম।শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে, মিলিকান একটি গবেষক এবং শিক্ষিকা হিসাবে পরিশ্রম করেছিলেন এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তাঁর কিছু দুর্দান্ত আবেগ আবিষ্কার করেছিলেন।১৯২২ সালে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসাদেনার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (ক্যালটেক) অবস্থিত নরম্যান ব্রিজ ফিজিক্স ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর হয়ে যান।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
পুরষ্কার
১৯৩৩ সালে, মিলিকান একটি যোগাযোগ পেয়েছিলেন যে ঘোষণা করে যে ফোটোলেকট্রিক প্রভাব এবং বৈদ্যুতিনের চার্জ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তাকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
মিলিকান ১৯২১ সালে ব্রাসেলসে তৃতীয় সলভয় কংগ্রেসে অংশ নিয়েছিলেন, কংগ্রেসের বিষয়টি পরমাণু এবং বৈদ্যুতিন ছিল।আপনারা পড়ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
পঁচিশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি হোনরিস কাউসা ডক্টরেট পেয়েছিলেন। কমস্টক পুরষ্কার ছাড়াও অ্যাডিসন পদক এবং হিউজেস পদক
মৃত্যু
১৯৯৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার সান মেরিনোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
বিজ্ঞান নিয়ে মানবজাতি কাজ করছে বহুকাল যাবৎই, কিন্তু বিজ্ঞান একটি সাবজেক্ট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সময় লেগেছে অনেকগুলো বছর, এবং তার ইতিহাস খুব বেশী পুরাতন নয়। এই পৃথিবীর প্রথম আধুনিক বিজ্ঞানী ধরা হয় আল হাইয়াম (৯৬৫ – ১০৪০ খ্রীষ্টাব্দ)-কে। প্রশ্নটি হলো, ‘কেন?’ অতি প্রাচীনকালে মানুষ প্রাকৃতিক ঘটনাবলী বা প্রতিভাসগুলোর ব্যাখ্যা দিতে ব্যবহার করতেন দেব-দেবী সংক্রান্ত কিছু কেচ্ছা-কাহিনী, যাকে বলা হয় ‘মিথ’ বা ‘পূরাণ’। একসময় হিংসুটে দুর্বলচরিত্র ঐসব দেব-দেবীদের প্রতি মানুষের আস্থা উঠে গেলো। জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ প্রয়োজন অনুভব করলো ‘লজিকাল রিসনিং’-এর। এই পর্যায়ে উদ্ভুত হয় ‘ফিলোসফী’-র। যার শুরু বাংলার সন্তান জ্ঞানী কপিল-এর ‘সাংখ্য’ দর্শনের হাত ধরে।পড়ছেন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।‘ফিলোসফী’-তে প্রাকৃতিক ঘটনাবলী বা প্রতিভাসগুলোর ব্যাখ্যায় দেব-দেবী আউট! দেব-দেবী-হীন এইসব ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হতে শুরু করলো ‘লজিকাল রিসনিং’। তবে আবারো জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ ‘ফিলোসফী’-তেও কিছু অপূর্ণতা খুঁজে পেলো। যেমন দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন যে, “মেয়েদের দাঁতের সংখ্যা ছেলেদের দাঁতের চাইতে কম”, অথবা “স্থির অবস্থাই চরম অবস্থা”, ইত্যাদি (যা এখন ভুল প্রমানিত হয়েছে)। এর কারণ, তিনি মনে করতেন যে, ‘বিশুদ্ধ চিন্তা থেকে থিওরী তৈরী করা যায়’। কিন্তু আল হাইয়াম পবিত্র ‘কোরান’ পাঠে জানতে পারেন যে, এই পৃথিবীতে কোন মানুষই ত্রুটিমুক্ত নয়। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে সেই মানুষ যত জ্ঞানী-ই হোন না কেন, উনার ভাবনায়ও ত্রুটি থাকতে পারে। একারণেই আল হাইয়াম অনুভব করলেন যে, মানুষের আবিস্কৃত সব জ্ঞানই যাচাইয়ের প্রয়োজন রাখে। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কষ্টি পাথরে যাচাই করা জ্ঞানটিই হবে বিজ্ঞান। এভাবে তিনি একটি মেথডের জন্ম দেন, যার নাম আজ ‘সায়েন্টিফিক মেথড’।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
৭.স্টিফেন হকিং এর জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
গ্যালিলিও গ্যালিলাই-এর মৃত্যুর ঠিক তিনশত বছর পরে, ১৯৪২ সালের ৮ই জানুয়ারি স্টিভেন হকিংয়ের জন্ম, অক্সফোর্ডে।হকিংয়ের বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং (১৯০৫-১৯৮৬)।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে আপনাদের স্টিফেন হকিং এর জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। জীববিজ্ঞান গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং (জন্মনাম: ওয়াকার, ১৯১৫-২০১৩) একজন রাজনৈতিক কর্মী। তার মা ছিলেন স্কটিশ।হকিংয়ের বাবা-মা উত্তর লন্ডনে থাকতেন। লন্ডনে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে, তখন একটি চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তার মা-বাবার পরিচয় হয়, সেখানে ইসোবেল মেডিক্যাল সহকারী হিসেবে এবং ফ্রাঙ্ক চিকিৎসা গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।হকিং গর্ভে আসার পর নিরাপত্তার খাতিরে তারা অক্সফোর্ডে চলে যান।হকিংয়ের জন্মের পর তারা আবার লল্ডনে ফিরে আসেন। ফিলিপ্পা ও মেরি নামে হকিংয়ের দুই বোন রয়েছে। এছাড়া হকিং পরিবারে এডওয়ার্ড নামে এক পালকপুত্রও ছিল।পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
হকিংয়ের বাবা-মা পূর্ব লন্ডনে বসাবস করলেও ইসোবেল গর্ভবতী থাকার সময় তারা অক্সফোর্ডে চলে যান। সে সময় জার্মানরা নিয়মিতভাবে লন্ডনে ‘বোমাবর্ষণ’ করতো। হকিংয়ের একটি প্রকাশনা থেকে জানা গেছে তাদের বসতবাড়ির কয়েকটি গলি পরেই জার্মানির ভি-২ মিসাইল আঘাত হানে।[৩২] স্টিভেনের জন্মের পর তারা আবার লন্ডনে ফিরে আসেন। সেখানে স্টিভেনের বাবা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল রিসার্চের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
ডঃ স্টিফেন ডব্লিউ হকিং আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানীদের ভিতর একজন সেরা বিজ্ঞানী। তিনি শারীরিক দিক দিয়ে পঙ্গু। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। তবু শারীরিক পঙ্গুত্বকে হার মানিয়ে তিনি পড়াশুনা, গবেষণা চালিয়ে যান, পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন ও শেষতক ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক শাস্ত্রে লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্তি পান। এই পদে এক সময় স্যার আইজ্যাক নিউটন (বিশ্বের আরেক সেরা পদার্থবিজ্ঞানী) ছিলেন। অনেক বিশেষজ্ঞ হকিংকে আইনস্টাইনের পর একজন সেরা পদার্থবিজ্ঞানী বলে মনে করেন।পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
হকিং-এর একটি বই " এ ব্রিফ হিস্ট্রি আব্ টাইম" (সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)। প্রায় দুশো পৃষ্ঠার এ বইটি মূলত অপদার্থবিদদরে জন্য লেখা পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে একটি বই। তবু পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন নতুন কথা রয়েছে ছোট্ট বইটিতে। সহজ করে বলার চেষ্টা করেছেন পণ্ডিত হকিং তার পাণ্ডিত্যের কথা। ১৯৮৮ সালে বইটি বাজারে আসে ও (বেস্ট সেলার)- সেরা বিক্রয়ের প্রশংসা হাসিল করে।
পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় স্টিফেন হকিংকে।দুরারোগ্য মোটর নিউরন ব্যাধি ছিল স্টিফেন হকিংয়ের। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতা তাঁকে রুখতে পারেনি। আইনস্টাইনের পর হকিংকে বিখ্যাত পদার্থবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ান্স পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার, উলফ পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদকসহ এক ডজনেরও বেশি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
হকিংয়ের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা এবং বোর-হাইজেনবার্গের কোয়ান্টাম তত্ত্বকে মিলিয়ে দেওয়া। আপেক্ষিকতার তত্ত্ব কাজ করে মহাজগতের অতিকায় বস্তু নিয়ে আর কোয়ান্টাম তত্ত্বের বাহাদুরি হচ্ছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জগতে।পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
২০১৮ সালের ১৪ ই মার্চ স্টিফেন হকিং পরলোক গমন করেন।মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিলো ৭৬ বছর।
৮.আ্যারিস্টটলের জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী
আ্যারিস্টটল বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। তাঁকে প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এছাড়া প্লেটোর সাথে যৌথভাবে তাঁকে “পশ্চিমা দর্শনের জনক” বলে অভিহিত করা হয়।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে আ্যরিস্টটলের জীবনী সম্পর্কে জানবো।
৩৮৪ খ্রিষ্টপূর্বে থ্রেসের অন্তর্গত স্তাজেইরা শহরে অ্যারিস্টটল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন চিকিৎসক। নাম নিকোমাকাস।আলেকজান্ডার যখন তেরো বছরের কিশোর, রাজা ফিলিপের আমন্ত্রণে অ্যারিস্টটল এসে তার শিক্ষার ভার গ্রহণ করলেন। শ্রেষ্ঠ গুরুর দিগ্বিজয়ী ছাত্র। বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক ধারণা অ্যারিস্টটলের শিক্ষা উপদেশই আলেকজান্ডারের অদম্য মনোবল লৌহকঠিন দৃঢ় চরিত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। প্রকৃতপক্ষে একজনের ছিল সমগ্র পৃথিবীকে জয় করে তার ওপর প্রভুত্ব করার প্রবল ইচ্ছা। অন্যজনের ছিল জ্ঞানের নতুন নতুন জগৎ আবিষকার করে মানুষের জন্য তাকে চালিত করার ইচ্ছা।পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী।
অ্যারিস্টটল-তর্কবিদ্যা, অধিবিদ্যা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র। অল্পদিনের মধ্যেই তার গভীর জ্ঞান, অসাধারণ পাণ্ডিত্যের কথা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। ম্যাসিডনের রাজা ফিলিপেরও অজ্ঞাত ছিল না। পুত্র আলেকজান্ডারের জন্ম সময়েই তার শিক্ষার ভার অর্পণ করেন অ্যারিস্টটলের ওপর। তখন অ্যারিস্টটল আটাশ বছরের যুবক।
অ্যারিস্টটল সমস্ত জীবন ধরে যে সমস্ত রচনা করে গিয়েছিলেন, মৃত্যুর আগে তা তার শিষ্য থিওফ্রাস্তোসের হাতে দিয়ে যান। থিওফ্রাস্তোর পর সেই সমস্ত রচনার উত্তরাধিকারী হন তার শিষ্য নেলেওস।পড়ছেন বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী। নেলেওসের মৃত্যুর পর তার পুত্ররা সেই সমস্ত রচনাকে লোহার সিন্দুকে ভরে অ্যারিস্টটলের সমাধির নিচে পুঁতে রাখেন। দুশো বছর পর রোমের সেনাবাহিনী যখন গ্রিস দখল করে তখন সেই পুঁথি উদ্ধার করে রোমে নিয়ে আসা হলো। সমস্ত রচনাই জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। বহু প্রচেষ্টায় সেই সমস্ত পুঁথির অনুলিপি প্রস্তুত করা হলো এবং তার ভিত্তিতেই অ্যারিস্টটলের রচনাবলি প্রকাশিত হয়।
অ্যারিস্টটলের উল্লেখযোগ্য অবদান
★পচা বস্তু থেকে জীব সৃষ্টি হয়’—এই ভ্রান্ত ধারণার প্রতিবাদ করেন।
★সস্তান ও ডিম প্রসবের প্রকৃতি অনুসারে প্রাণিজগতের শ্রেণীবিভাগ করেন।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
★ সমুদ্রে বসবাসকারী তিমি ও ডলফিনকে তিনি মৎস্যকুল থেকে পৃথক করেন।
★সিপিয়া ও অক্টোপাসের পরিস্ফুটন সম্পর্কে নানান তথ্য উপস্থাপিত করেন।
অ্যারিস্টট্ল একটি আনুমানিক 200 টি রচনা লিখেছেন, যা নোট, ব্যঙ্গ, রাজনীতি, নৈতিকতা, বিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের উপর স্পর্শ করে নোট এবং পান্ডুলিপি খসড়া আকারে বেশিরভাগ। তারা সংলাপ, বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ এবং নিয়মিত কাজ রেকর্ড গঠিত। তার ছাত্র থিওফ্রাস্টাস অ্যারিস্টটলের লেখাগুলি দেখেছেন এবং পরবর্তীতে তাদের নিজের ছাত্র নিলিউসকে প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে রোমে নিয়ে যাওয়া এবং সেখানে পণ্ডিতদের দ্বারা ব্যবহৃত না হওয়া পর্যন্ত আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের একটি ভল্টে সংরক্ষণ করেছিলেন। অ্যারিস্টটলের আনুমানিক ২00 টি কাজ, মাত্র 31 টি এখনও প্রচলন করছে। লিসিয়ামে অ্যারিস্টটলের সময় সর্বাধিক তারিখ।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে পয়াছেন।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৩-এ আলেকজান্ডারের অকাল মৃত্যুর পর এথেন্সেবাসীরা ম্যাসেডোনিয়ার শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। আ্যারিস্টটল আলেকজান্ডারের শিক্ষক থাকার কারণে, তিনিও নিপীড়নের শিকার হন। এথেন্সের লোকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মহীনতার অভিযোগ উত্থাপন করে। ফলে তিনি ইউবেরিয়ার অন্তর্গত চ্যালসিসে পালিয়ে যান। চ্যালসিসে আসার প্রথম বছরই তিনি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন এবং খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ অব্দে মৃত্যু বরণ করেন।
বিদ্রঃআজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
৯।সত্যেন্দ্রনাথ বোসের জীবন কাহিনী|বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী!
সত্যেন্দ্রনাথ বোসের জন্ম ৩০ জুলাই ১৮৮২
মেদিনীপুর জেলা, ব্রিটিশ ভারতে। তিনি ছিলেন মনীষী রাজনারায়ণ বসুর ভ্রাতুষ্পুত্র।বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী এর এ পর্যায়ে জানবো সত্যেন্দ্রনাথ বোসের জীবনী। তার পিতার নাম অভয়চরণ বসু। তিনি মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস ছিল দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার বোড়ালে।
সত্যেন্দ্রনাথ বোস ছিলেন অসম্ভব প্রতিভাবান। জন্মেছিলেন সৃষ্টি-জ্ঞান নিয়ে। তরুণ সত্যেন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন ফিজিকস পড়াতে। প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হলেন। সে সময়ে ইন্টারনেট ছিল না। উন্নত টেলিযোগাযোগ ছিল না।(পড়ছেন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী)কিন্তু জ্ঞানই যার ক্ষুধা, তাঁকে রুধে কে! সত্যেন্দ্রনাথ শত বছর আগে ঢাকায় বসে, সেকালের গবেষণার খবর রাখতেন। সে সময়ের মহানায়কেরা হলেন ম্যাক্স প্লাংক, ম্যাক্স বর্ন, হাইজেনবার্গ, নীলস বোর, আইনস্টাইন, স্রোডিঙ্গার প্রমুখ। তারা নিউটনীয় ক্লাসিক্যাল যুগ থেকে বেরিয়ে এসে, কুড়ি শতকের শুরুতে বিজ্ঞানে এক বিপ্লব ঘটালেন। সেই বিপ্লবের হাওয়া দূর দক্ষিণের তরুণ সত্যেন্দ্রনাথকে ছুঁয়ে গেল। তার কোনো আনুষ্ঠানিক পিএইচডি ডিগ্রি ছিল না। তিনি ইউরোপ-আমেরিকা থেকে গবেষণার দীক্ষা নিয়ে বিলেতফেরত কোনো যুবক নন। তবে তিনি যে শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছিলেন তারা সেকালে ভারতবর্ষের মহীরূহ—স্যার জগদীশ চন্দ্র ও আচার্য প্রফুল্ল রায় প্রমুখ।বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
তৎকালীন বাঙালির শিক্ষার মাপকাঠিতে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর পিতা ছিলেন একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ এবং পূর্ব ভারতীয় রেলের হিসাব রক্ষক। অন্যদিকে তার মা আমোদিনী দেবী ছিলেন কলকাতার আলিপুর খ্যাতনামা আইন ব্যবসায়ী মতিলাল রায়চৌধুরীর কন্যা। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর পরিবারের আদি নিবাস ছিল ২৪ পরগনার কাঁড়োপাড়ার সন্নিকটে বড়জাগুলিয়া গ্রামে। পিতা-মাতার মোট সাত সন্তানের মধ্যে সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন জ্যেষ্ঠপুত্র।
হিন্দু স্কুল থেকে ১৯০৯ সালে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি সর্বপ্রথম নিজের মেধার পরিচয় দেন। হিন্দু স্কুল থেকে তিনি ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে।১৯১১ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম স্থানে আই.এস.সি পাস করেন।
বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কর্মজীবন শুরু হয় তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের বছরই। এই বছর তিনি স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। এইখানে তার গবেষণা জীবন শুরু হয় প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহার সঙ্গে মিশ্র গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে। বেশ কিছুকাল এখানে কাটানোর পর ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিডার হিসেবে তিনি যোগ দেন।
বিদ্রঃ বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
বিজ্ঞান ছাড়া তাঁর কর্মজীবনের আলোচনা সম্পূর্ণ অসমাপ্ত থেকে যায়। ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে প্রবাদপ্রতিম এই বিজ্ঞানীর গবেষণা জীবন প্রথম শুরু হয় কলকাতা বিজ্ঞান কলেজে।
তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকালীন সময়ে প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তেজস্ক্রিয়তা নীতি ক্লাসিক্যাল পদার্থ বিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়াই প্রতিপাদন করে তিনি একটি প্রবন্ধ রচনা করেন এবং সদৃশ কণার সাহায্যে দশার সংখ্যা গণনার একটি চমৎকার উপায় উদ্ভাবন করেন। তবে ঔপনিবেশিক পরিস্থিতিতে সেই প্রবন্ধটি প্রকাশের প্রাথমিক চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তিনি সরাসরি আরেক প্রবাদপ্রতিম বিশ্ব বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে সেটি প্রেরণ করেন।পড়ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
আইনস্টাইন সেই প্রেরিত প্রবন্ধের তত্ত্বকে পরমাণু গবেষণায় প্রয়োগ করলে যা উঠে আসে, তা বর্তমানে বোস-আইনস্টাইন সংখ্যাতত্ত্ব নামে সুপরিচিত। এরপর স্বয়ং আলবার্ট আইনস্টাইন সত্যেন বসুর সেই প্রবন্ধটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে একটি বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় প্রকাশ করলে বিশ্বের কাছে এই বাঙালি বিজ্ঞানীর প্রতিভা প্রতিভাত হয়ে ওঠে।পড়ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে।
এই স্বীকৃতির প্রেক্ষিতেই সত্যেন্দ্রনাথ বোস ভারতের বাইরে গবেষণার সুযোগ পান। এই বৈজ্ঞানিক জীবনে তিনি মারি কুরী, এবং আইনস্টাইনের মতন বিজ্ঞানীদের সাথে কাজ করার সুযোগ লাভ করেছেন।
সমগ্র কর্মজীবনে সত্যেন্দ্রনাথ বোস অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা লাভ করেছেন। সর্বপ্রথম ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের পদার্থ বিজ্ঞান শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি লাভ করেন লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলোশিপ।পড়ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত করে।
বাংলার এই কৃতী সন্তান ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের চৌঠা ফেব্রুয়ারি তার চির বিচরণক্ষেত্র কলকাতায় পরলোকগমন করেন। বাংলার সাধারন জনগন থাকে মনে রাখুক কিংবা না রাখুক সমগ্র বিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে সর্বদা শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে।
১০. লেখকের মন্তব্যঃ
বিজ্ঞান গবেষণার উপর নির্ভর করে। গবেষণাগুলো সাধারণত বিজ্ঞানীদের দ্বারা শিক্ষাক্ষেত্রে এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং কোম্পানিভিত্তিক উদ্যোগে করা হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণার বাস্তবিক প্রভাব বৈজ্ঞানিক নীতি গ্রহনে বাধ্য করেছে। বৈজ্ঞানিক নীতি দ্বারা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করা হয়। আজ আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে যতদূর সম্ভব আলোচনা করেছি। প্রতিষ্ঠান গুলোকে জনসার্থে ব্যবহৃত পন্য, স্বাস্থ্যসেবা, জন কাঠামো, পরিবেশের সুরক্ষা এবং অস্ত্র তৈরির মত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে নীতিমালা অনুসরন করানো হয়।
পাশ্চাত্যে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি—এ দুটি দিকেই একসঙ্গে গবেষণা হয়ে দুটি দিকই উন্নত হয়েছে। ফলে, জনসাধারণের জীবনের গুণমান সামগ্রিকভাবে উন্নত হয়েছে আবার পাশাপাশি আর্থিক সচ্ছলতা ও নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন বিজ্ঞানের কৌতূহলের দিকটিকেও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
আশা করি আমরা সকলে বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানবো এবং নিজেরাও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নিজের দেশকে সমৃদ্ধ করবো। বিজ্ঞানীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কিতেই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url