OrdinaryITPostAd

বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় জানতে পুরো অনুচ্ছেদটি পড়ুন।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করা এখন অনেক সহজ।এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ করে টাকা আয় করা যায়। এতে করে সময় ও শ্রম দুটোই কম লাগে।আর এমন অনেক বাংলা ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে কাজ পেয়ে অনেকেই ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারছেন। বর্তমানে সবার ঘরে ঘরেই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন আছে ফলে কাজ করে টাকা আয় করা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে।কিভাবে কোন নিয়মে একটি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন তা বিস্তারিত থাকছে অনুচ্ছেদে।


সূচীপত্র(যে অংশ পড়তে চান তার উপরে ক্লিক করুন) 

  1. বাংলা ওয়েবসাইট কি?
  2. বাংলা ওয়েবসাইটে কি ধরনের কাজ করতে হয়?
  3. বাংলা আর্টিকেল কি?
  4. কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখবেন
  5. বাংলা ওয়েবসাইটে সহজে আয় করার উপায়
  6. বাংলা ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায়
  7. বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে কতদিন সময় লাগে?
  8. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
  9. স্পন্সরশিপের মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন?
  10. সার্ভিস এর বিনিময়ে আয় করবেন কিভাবে?
  11. মিডিয়া হিসেবে কাজ করে আয় করুন
  12. অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর
  13. লেখকের মন্তব্য 
১.বাংলা ওয়েবসাইট কি?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় জানার আগে আপনাকে জানতে হবে, বাংলা ওয়েবসাইট কি?আমরা ইন্সটেন্ট কোনো তথ্য জানতে সচরাচর গুগলে সার্চ দি। কোনো টপিক নিয়ে গুগলে সার্চ দেওয়ার পর যে আর্টিকেল গুলো আমরা দেখতে পাই সবগুলোই কোনো না কোনো ওয়েবসাইটে লেখা আর্টিকেল হয়।ইংরেজি আর্টিকেল গুলো ইংরেজি ওয়েবসাইটের এবং বাংলা  আর্টিকেল গুলো বাংলা ওয়েবসাইটের হয়ে থাকে।
কেউ যদি মনে করেন যে, আপনি ইংরেজি লিখতে দক্ষ নন কিন্তু বাংলা লেখার অভিজ্ঞতা আছে তাহলে আপনাদের জন্যই মূলত বাংলা ওয়েবসাইট গুলো। সেখানে ব্লগিং করে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় এর মধ্যে ব্লগিং অন্যতম।

২.বাংলা ওয়েবসাইটে কি ধরনের কাজ করতে হয়?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়  
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়ের মধ্যে ব্লগিং অন্যতম। বাংলা ওয়েবসাইট গুলোতে মূলত ব্লগাররা জাতীয় এবং 
আন্তর্জাতিক বিষয় সমূহ,বিভিন্ন পরীক্ষার,চাকরি সমূহের
সার্কুলার,পড়াশুনা,বিজ্ঞান,সাম্প্রতিকবিষয়,পর্যটন এলাকা,পরীক্ষা,বৃত্তি,চাকরি,ব্যবসা-বাণিজ্য,ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন।
বাংলা ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য আপনাকে নতুন একটা ওয়েবসাইট খুলতে হবে নিজের অথবা আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটেও লেখালেখি করতে পারবেন।বাংলাদেশের অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে অনেক ব্লগাররা লেখালেখি করেন এবং সেসব আর্টিকেল লিখে  জনপ্রিয়তাও অর্জন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ওয়েবসাইট "The Du speech" আছে।যেখানে নানা ধরনের বিষয়ে মানসম্মত লেখালেখি হয়। আপনার লেখা আর্টিকেল যদি মানসম্মত ও নিখুঁত হয় তাহলে সহজেই বাংলা ওয়েবসাইট গুলো থেকে আয় করতে পারবেন।

৩.বাংলা আর্টিকেল কি?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে বাংলা আর্টিকেল কি? আমরা বিভিন্ন বিষয় গুগলে বাংলায় সার্চ দেওয়ার পরে যে লেখা গুলো রেজাল্ট হিসেবে পাই সেগুলোই বাংলা আর্টিকেল।বাংলা আর্টিকেল গুলো থেকে আমরা আমাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পাই এবং তথ্য সংগ্রহ করি।
সেই আর্টিকেল গুলো আমাদের মতোই কোনো না কোনো ব্লগার লিখে থাকে এবং সেগুলো পড়েই আমরা ইনফরমেশন পেয়ে থাকি।

৪. কিভাবে বাংলা আর্টিকেল লিখবেন?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
বাংলা ভাষায় যে আর্টিকেল গুলো লেখা হয় সেগুলোই বাংলা আর্টিকেল।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় এর মধ্যে আর্টিকেল লিখে আয় করার উপায় অন্যতম।বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য যে যে বিষয় গুলো অনুসরণ করতে হবে-
  • যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়টির উপরে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে
  • সে বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে
  • প্রয়োজনে আর্টিকেল এর বিষয়টি সম্পর্কে পড়াশোনা করতে হবে
  • লেখার সময় বানান এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে বানান শুদ্ধ থাকে
  • শুদ্ধ বাংলা চলিত ভাষায় লিখতে হবে
  • সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেল উপস্থাপন করতে হবে
  • ভিজিটরদের উদ্দেশ্য করে আর্টিকেল লিখতে হবে
  • নির্ভুল ও সঠিক তথ্য দিতে হবে
৫.বাংলা ওয়েবসাইটে সহজে আয় করার উপায়|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
আপনার নিজের যদি বাংলা ওয়েবসাইট থাকে, সেই বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আপনি সহজেই আয় করতে পারবেন গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় জানার পর আপনি চাইলে নিজের একটি বাংলা ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার এখন জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হলো এই গুগল এডসেন্স।
এছাড়াও এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন এতে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে।এছাড়াও যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা ভালো থাকে তাহলে আপনি ব্যানার বিজ্ঞাপন বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন।
আবার স্পন্সার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও এখন বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করা সম্ভব।এমনকি বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করেও আপনার ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হলঃ
  • গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে
  • ভালো মানের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে হবে
  • ওয়েবসাইটে ভিজিটর থাকতে হবে
  • নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আর্টিকেল থাকতে হবে
  • সময় নিয়ে কাজ করার ধৈর্য থাকতে হবে
৬.বাংলা ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায়?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় অনেক আছে।কিন্তু আপনার সুবিধা অনুযায়ী মাধ্যম আপনাকে বেছে নিতে হবে।আয় করার অনেক মাধ্যম আছে কিন্তু সহজ মাধ্যম কি?বর্তমানে গুগল এডসেন্স এ সবচেয়ে সহজে আয় করা সম্ভব এর জন্য আপনার গুগুল এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে।যে বিষয় গুলো অবশ্যই লাগবে সেগুলো হলঃ 
  • গুগল এডসেন্স ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট বানাতে হবে
  • অন্য কোথাও প্রকাশ হয়েছে এমন আর্টিকেল বা টপিক হুবুহু নিজের ওয়েবসাইটে রাখা যাবে না। প্রত্যেকটি আর্টিকেল ইউনিক হতে হবে।
  • ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবি গুলো অবশ্যই ক্রিয়েটিভ লাইসেন্স যুক্ত হতে হবে অথবা নিজের তোলা বা নিজের এডিট করা হতে হবে যাতে অন্য কেউ সেই ছবির মালিকানা দাবি করতে না পারে
  • আপনার ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ২০-৩০ টি আর্টিকেল থাকতে হবে।
গুগল এডসেন্স এর এপ্রুভাল পেলেই টাকা আয় করা যাবে না আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ও থাকতে হবে।
সেজন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে।এতে করে যখন কোনো ভিজিটর কোনো টপিক সার্চ দিবে সেই টপিক যদি আপনার ওয়েবসাইটে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি ভিজিটরের সামনে আসবে।ভিজিটর বেশি হলে আয় করা সহজ হবে।কারণ গুগল এডসেন্স এর কাজ বেশি হবে তখন।এটি বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম একটি উপায়।

৭.বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে কতদিন সময় লাগে?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনি কতদিনে আয় করতে পারবেন সেটি নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইট এবং ভিজিটর সংখ্যার উপরে। এতে ৩-৬ মাস সময় লাগতে পারে।
আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি সংখ্যক ও মানসম্মত এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল থাকবে তত দ্রুত আপনি আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে কি পরিমাণ আর্টিকেল রয়েছে এবং প্রতিদিন কি পরিমাণ ভিজিটর আসে তা অনুযায়ী আপনার আয় বাড়বে।
আপনার পেইজের ভিউ যত বাড়বে এডসেন্স এর ভিউয়ার তত বাড়বে।যেমন একদিনে যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হয় ২০০০ এবং তারা যদি এডসেন্স ও দেখে তাহলে ৫-১০ ডলার আয় হতে পারে। 
এবং দেশভিত্তিক ভিজিটর এর উপরও আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে 
যেমনঃযদি ভারত,পাকিস্তান এশিয়ার দেশ গুলো থেকে এড ক্লিক হয় তাহলে এড প্রতি, ০.০২-০.১৫ ডলার পর্যন্ত আয় হতে পারে আবার যদি আমেরিকা, কানাডা এইসব দেশ গুলো থেকে ক্লিক হয় তাহলে প্রতি এডে ০.২৫ থেকে ৫.০০ ডলার পর্যন্ত আয় হতে পারে।
ধৈর্য্য ধারণ করে ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে যেতে হবে আর সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় জানতে সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদটি পড়ুন

৮.এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় এর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? 
আপনি একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেক ভালো জানেন এবং জ্ঞান রাখেন। আপনি যদি সেই প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে জানান এবং লেখা শেষে প্রোডাক্টটি কোথায় পাওয়া যাবে তার একটি লিংকদিয়ে দিলেন।
এরপর ভিজিটর রা যদি আপনার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে উক্ত জায়গা থেকে প্রোডাক্টটি কিনে তাহলে সেই প্রোডাক্টের দামের ৩% আপনি কমিশন হিসেবে পাবেন এটাই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

৯.স্পন্সরশিপের মাধ্যমে কিভাবে আয় করবেন?|বাংলা 
ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো স্পন্সরশিপ।স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে টাকা আয়ের উপায় হলো, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখবেন সেই কন্টেন্ট এর মধ্য থেকে কিছু কিছু কন্টেন্ট বা সব গুলোতেই আপনি কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্র‍্যান্ডের নাম উল্লেখ করবেন এর বিনিময়ে আপনি সেই ব্র‍্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ । 
স্পন্সরশিপের একটি বড় উদাহরণ হলোঃরবি,রবি 10মিনিট স্কুলকে স্পন্সর করে ফলে 10 মিনিট স্কুল তাদের প্রতিষ্ঠান এর নামের আগে রবির নাম রাখে সবসময়।
এই স্পন্সরশিপ বড় বড় প্রতিষ্ঠান, মোবাইল কোম্পানি গুলো দিয়ে থাকে এতে করে যেমন তাদের প্রতিষ্ঠান এর প্রচার হয় তেমনি ওয়েবসাইট মালিকরাও তাদের ওয়েবসাইট থেকে আয় এর সুযোগ পান।

১০.সার্ভিস এর বিনিময়ে আয় করবেন কিভাবে?|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
ওয়েবসাইট এ শুধুমাত্র লেখালেখি করা যাবে এমন টা নয়।ধরুন আপনি কোনো বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ এবং দক্ষ এবং আপনি অন্যদেরও সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে ইচ্ছুক।
তাহলে আপনি আপনার বাংলা ওয়েবসাইটেই প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।আপনার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ধরণ,বিষয় এবং কোয়ালিটি যদি মানসম্মত হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যাও বাড়তে থাকবে এবং এর সাথে আপনার আয় ও বাড়বে।
এতে আপনাত যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো আপনার প্রশিক্ষণ দেয়ার কন্টেন্ট গুলো যাতে শুধু আপনার শিক্ষার্থীরাই দেখতে পারে সেই ব্যবস্থা করা

১১.মিডিয়া হিসেবে কাজ করে আয় করুন|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় 
ধরুন আপনি একটি নতুন শহরে গেলেন এবং আপনার একটি জব বা টিউশন প্রয়োজন কিন্তু আপনি কাউকেই চিনেন না যে আপনাকে একটি চাকরি বা টিউশনের ব্যবস্থা করে দিবে।
এই অবস্থায় আপনি বিশ্বস্হ মিডিয়ার হেল্প নিতে পারেন। মিডিয়া ভিত্তিক ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে নিজের সিভি এবং পছন্দসই কাজের বিবরণ দিয়ে দিলে মিডিয়া আপনাকে আপনার পছন্দের কাজটি খুঁজে দিবে।বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন। 
এবং এতে মিডিয়ার লাভ হলো আপনার কাজের বেতনের কিছু পারসেন্ট মিডিয়াকে দিতে হবে।
এটাই মিডিয়ার ইনকাম।আপনি এই মিডিয়া ভিত্তিক কাজ করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে।
এতে দরকার শুধু প্রচার যাখেন যাদের টিচার বা এমপ্লয়ি দরকার তারা আপনাকে টিচার বা এমপ্লয়ি খুঁজে দিতে বলবে এবং যাদের কাজ দরকার তাদের আপনি কাজ প্রোভাইড করবেন। এতে করে যাদেরকে আপনি কাজ দিবেন তাদের প্রথম বেতনের কিছু পারসেন্ট আপনি পাবেন।
মিডিয়া ভিত্তিক কাজ গুলোতে অল্প সময়েই অনেক টাকা আয় করা যায় বলে এখনকার সময়ে এটি খুব জনপ্রিয়। কিন্তু কিছু অসাধুরা এটি থেকে অসৎ ভাবে আয় করে তাদের থেকে দূরে থাকবেন এবং সৎ ভাবে আয়ের চেষ্টা করবেন।
১২.অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
১.বাংলা ওয়েবসাইট থেকে মাসে সর্বোচ্চ কত টাকা আয় করা যাবে?
=আপনার কাজের উপর নির্ভর করে মাসে ১০ হাজার থেকে কোটি টাকাও ইনকাম করা যাবে
২.ওয়েবসাইট বানাতে কি টাকা লাগে?
=জ্বি,একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট বানাতে আপনাকে অল্প কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে 
৩.বাংলাদেশের এমন কোনো ওয়েবসাইট আছে যা ডোনেশন দিয়ে চলে?
=জ্বি,হাদিসডটবিডি ডোনেশন ভিত্তিক একটি 
ওয়েবসাইট
৪.ইংরেজিতে দক্ষ না হয়েও বাংলা ওয়েবসাইটে আয় করা যাবে?
=বাংলা ওয়েবসাইটে আপনি বাংলা কন্টেন্ট লিখবেন তাই ইংরেজিতে দক্ষ না হলেও হবে।
৫.কোন ধরনের কন্টেন্ট এ বেশি ভিউয়ার পাওয়া যাবে?
=সাম্প্রতিক বিষয়,শিক্ষা বিষয়ক,বিদেশ যাত্রা কন্টেন্ট গুলোতে ভালো ভিউয়ার হয়।
৬.শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েবসাইটে কেমন জব ভালো হবে?
=অবশ্যই কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং। 
৭.আর্টিকেল রাইটিং এ কেমন সময় ব্যয় হয়?
=একটি ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগতে পারে আপনার কাজের গতির উপর নির্ভর করে। 
৮.আর্টিকেল রাইটিং জব করার জন্য কোন ওয়েবসাইট ভালো হবে?
="The Du Speech"
৯.ওয়েবসাইটের ভিউয়ার বাড়াতে কি করতে হবে?
=রেগুলার আর্টিকেল দিতে হবে ওয়েবসাইট এ এবং মানসম্মত বিষয়ে লেখালেখি করতে হবে।
১০.এডসেন্স এ একাউন্ট খুলতে কি টাকা লাগবে?
=না, কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমাণ ও ভালো কিছু আর্টিকেল থাকতে হবে। 
১১.এডসেন্স কি শুধু ইংরেজি ওয়েবসাইট এই দেয়?
=না, এখন গুগুল তাদের গুগল এডসেন্স বাংলা ওয়েবসাইটেও দেয়।
১২.আর্টিকেল লেখার দক্ষতা বাড়াবো কিভাবে?
=যে বিষয়ে লিখবেন তা সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিয়মিত লেখার অভ্যাস করতে হবে।

১৩.লেখকের মন্তব্য|বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
 বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয় করা খুবই লাভজনক এবং খুবই কম অর্থ ব্যয় করে আপনি আয় করতে পারবেন।আপনি যদি একটি দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে দোকান ভাড়া দিতে হবে আপনাকে কায়িক শ্রম দিতে হবে, দোকানের পেছনে মূলধন খাটাতে হবে।কিন্তু ওয়েবসাইট বিজনেস এ আপনি শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটটি খোলার সময় অল্প কিছু টাকা ব্যয় করবেন। 
বর্তমানে আমাদের সবার হাতেই ফোন, ল্যাপটপ থাকে ইন্টারনেট কানেকশন আছে।এবং আমরা আমাদের ফোন ব্যবহার করেই সব ধরনের তথ্য জানতে চাই এইযে যেমন আপনি আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে জানছেন তেমনি ভাবে আপনার লেখা আর্টিকেল পড়ে অন্য কেউ জানবে। 
এভাবেই আপনি আপনার কাজ করে ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারবেন। এতে কোনো রিস্ক নেই শুধুমাত্র আপনার সময় ব্যয় হবে। আপনাকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়ার। আপনি যদি মনে করেন আপনি রাতারাতি অনেক টাকা আয় করে ফেলবেন তাহলে ওয়েবসাইট বিজনেস আপনার জন্য না। 
ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে।অবশ্যই আপনি আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url