সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার ইচ্ছা কার না হয়।কানাডার অভিবাসন নীতিও এর পক্ষে।কানাডায় অভিবাসীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ চলছে ২০২১ সাল থেকে, চলবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। কানাডা সরকার ২০২০ সালের অক্টোবরে ২০২১-২০২৩ সালের অভিবাসন লক্ষ্যমাত্রা কানাডার সংসদে অনুমোদন দিয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উদ্দেশ্যে কানাডা সরকার চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে ৪ লাখ ২১ হাজার অভিবাসীকে কানাডায় বসবাসের সুযোগ দিতে চায়।তাই এ বছর আপনারও সুযোগ রয়েছে সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে কানাডার জীবন মান উন্নত এবং পরিশীলিত। কানাডার বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণে দেশ হিসেবে বিশ্বের সবার কাছেই প্রশংসনীয় কানাডা। উন্নত জীবন-যাপনের লক্ষ্যেই প্রায় সকলেরই উদ্দেশ্য সরকারিভাবে ভিসা পেয়ে কানাডা বসবাস করা।সরকারিভাবে কানাডা যেতে বা কানাডা সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সূচিপত্র
⊕সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার লক্ষ্য
⊕পড়াশোনার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
⊕চাকরি করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
⊕ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
⊕ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
⊕আইইসি'র আওতায় কানাডা গমন
⊕কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা
⊕কানাডার জব অফার পেতে যা করণীয়
⊕কানাডা যাওয়ার ভিসা প্রাপ্তির উপায়
⊕কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসা লাগেনা যেসব দেশের নাগরিকদের
⊕কানাডার ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
⊕কানাডার ভিসা মঞ্জুর হয় যেভাবে
⊕স্থায়ী ভিসার আবেদন
⊕সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
⊕কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আইএলটিএস করা
⊕কানাডার নিরাপত্তা ব্যবস্থা
⊕কানাডার উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা
⊕কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা
⊕কানাডার আবহাওয়া ও মৌলিক অধিকার
আপনি কি সরকারিভাবে কানাডা যেতে চান? কানাডার ভিসা পাওয়ার জন্য কী কী তথ্য প্রয়োজন জানতে চান? কানাডা কী কী কারণে যেতে পারেন জানতে চান? কানাডায় ভিসা প্রাপ্তির মাধ্যম জানতে চান? কানাডা ভিসার আবেদনে কী কী তথ্য প্রয়োজন জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার লক্ষ্য
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার ইচ্ছা বা স্বপ্ন যেকোনো মানুষই দেখতে পারে।সুন্দর ও উন্নত জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষেরই স্বপ্ন সরকারিভাবে ভিসা পেয়ে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করা।সেই সুযোগও রয়েছে, সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।কানাডার ভিসা পাওয়াও সহজ হয়ে গেছে। কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডায় প্রতিবছর গড়ে তিন লাখ লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম।সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে ভিসার আবেদন করা প্রয়োজন। ভিসার আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরন করা ছাড়াও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে হয় সঠিকভাবে।অনেকসময় সঠিকভাবে পূরণ করতে না পারলে আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায় এবং প্রকৃত ডকুমেন্ট প্রদান না করার কারণে ভিসা পাওয়া যায় না। আজ আমরা জানব সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার জন্য কানাডায় ভিসা প্রাপ্তির যোগ্যতা, বৈধভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য কী করতে হয়, কানাডায় আপনি কী কী করতে পারবেন এবং আবেদনপত্র করতে হলে কী কী তথ্য লাগে।
আপনি কী সরকারিভাবে কানাডা যেতে চান? চাকরি করার উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান? স্টাডি ভিসায় কানাডা যেতে চান? ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চান? কানাডায় কোন কোন উদ্দেশ্যে যাওয়া যায় জানতে চান? তাহলে নিম্নের লেখাটা আপনার জন্য।পড়ে জানুন সরকারিভাবে কোন কোন উদ্দেশ্যে কানাডা যাওয়া যায়।তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
পড়াশোনার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার একটি প্রধান কারণ উচ্চশিক্ষা। প্রতিবছর উচ্চশিক্ষা উৎসুক অনেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারিভাবে কানাডা যেয়ে থাকে।কানাডা মূলত উচ্চশিক্ষার জন্য আদর্শ জায়গা। বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রায় সব ছেলেমেয়েরই স্বপ্ন থাকে। সরকারিভাবে কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাওয়া যায়। কানাডিয়ান সরকার প্রতি বছর পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এসব স্কলারশিপে প্রথমে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করার পর। যদি কেউ মনোনয়ন পায় তবে সরকারি ভাবেই কানাডা যাওয়া যাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই।
চাকরি করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে চাকরি।বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে মূলত চাকরি করার উদ্দেশ্যেই মানুষ বিদেশ যায়। কানাডায় রয়েছে চাকরির সুযোগ। চাকরির জন্য যেতে হলে কানাডার কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে এবং সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে চাকুরির অফার লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে। কানাডায় দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। প্রায় ৩৪৭টি পেশায় জনবল নিয়ে থাকে কানাডা সরকার। এর মধ্য নরসুন্দর, বিক্রয় কর্মী এবং প্রশাসনিক সহকারী অন্যতম।
ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে কানাডা গমন
কানাডা নবীন উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভিসা দিয়ে থাকে। কারো যদি পর্যাপ্ত পরিমান নগদ টাকা থাকে এবং তা দিয়ে কানাডায় ব্যবসা করতে চায় তাহলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাকে ভিসা দেয়া হতে পারে।ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় মুলধন এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে গাইডলাইন রয়েছে। যদি কেউ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কানাডা যেতে চায় তবে তাকে এসব গাইডলাইন অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে।
আইইসি'র আওতায় কানাডা গমন
এছাড়া ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকরা ‘ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্স কানাডা’ (আইইসি) এর আওতায় চাকুরির অফার লেটার ছাড়াও সরকারিভাবে কানাডায় যেতে পারে। তবে সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার এই সুবিধা শুধুমাত্র কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।
কানাডায় যাওয়ার যোগ্যতা
আপনি কী সরকারিভাবে বিণা ঝামেলায় কানাডায় যেতে চান? কানাডায় যেতে কী কী যোগ্যতা লাগে জানতে চান? নিচের লেখাগুলো ভালো ভাবে বুঝে পড়ুন। তার পর ভেবে দেখুন আপনি কানাডায় যাওয়ার উপযুক্ত কি না?কানাডা কাজের ভিসা পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে?
আগে মিলিয়ে দেখুন নিচের যোগ্যতা গুলো আপনার আছে কি না? তারপর ভিসার আবেদন করবেন কীভাবে সে নির্দেশনাও পেয়ে যাবেন।
১. কমপক্ষে HSC বা সমমানের পাস থাকতে হবে।
২. IELTS 4.0 (পরবর্তীতে আইএলটিএস সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া রয়েছে)
৩. ১ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা। যে কোন চাকরি হলেই হবে। শুরু প্রপার ডকুমেন্ট থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে হলে ভালো হয়।
৪. পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি। সাধারণত দশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা ব্যাংকে দেখাতে হয়।
কানাডায় জব অফার পেতে যা করণীয়
প্রায় সবারই উদ্দেশ্য থাকে কানাডায় জব অফার পাওয়ার।কানাডার জব অফার পেতে হলে কি কি করা দরকার এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগে জানতে চান? তাহলে পড়ুন
কানাডায় জব ভিসার জন্য শুধু প্রয়োজন সঠিক ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আপনার সকল তথ্য কানাডা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হতে হবে।
সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে হয়ে যাবে আপনার সাকসেসফুল কাজের ভিসা তথা মাইগ্রেশন।
আলোচনার আলোকে আপনি যদি মনে করেন আপনার এই ধরনের কানাডা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা নেই তবে বিজনেস ভিসায় যেতে পারেন। তবে এখানে শুধু টাকাটা বেশি লাগবে। তাহলে আপনার টাকায় কানাডার অর্থনীতি সম্মৃদ্ধ হবে। সুতরাং আর দেরি নয় এই বিনিয়োগের মাধ্যমে একজন সম্মানীয় ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিন এখনই।
কানাডা যাওয়ার ভিসা প্রাপ্তির উপায়
কানাডায় যাওয়ার ভিসা পাওয়ার উপায় জানতে চান? কানাডার ভিসা পেতে কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন তা জানতে চান? কোন কোন দেশের ভিসা লাগেনা কানাডা যেতে জানতে চান? কানাডার স্টাডি ভিসা পাওয়ার উপায় জানতে চান?
কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসা লাগেনা যেসব দেশের নাগরিকদের
আমেরিকান, মেক্সিকান এবং বিভিন্ন উচ্চ-আয়ের দেশের লোকদের কানাডায় যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়না।কারণ তারা একটি ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (eTA) অনলাইন থেকে পেয়ে থাকে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে কোন দেশ, আন্দোরা, অস্ট্রেলিয়াবাহামা, বার্বাডোস, ব্রুনাই, চিলি, হংকং, আইসল্যান্ডইসরায়েল, জাপান, লিচেনস্টাইন, মেক্সিকোমোনাকো, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনিসামোয়া, সান মারিনো, সিঙ্গাপুর, সলোমন দ্বীপপুঞ্জদক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, সংযুক্তআরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ভ্যাটিকান সিটি। কানাডায় প্রবেশের জন্য অন্য সকল দেশের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন হয়।
কানাডার ভিসা মঞ্জুর হয় যেভাবে
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য স্থানীয় কানাডিয়ান কনস্যুলেটে আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক্স জমা দিতে হবে, যার মধ্যে ছবি এবং আঙুলের ছাপ রয়েছে। আবেদনকারী যদি দেখাতে পারে যে তার থাকাকালীন সময়ে কোনো সমস্যা হবেনা এবং ভিসার মেয়াদ শেষে কানাডা ত্যাগ করার কারণ রয়েছে, তখন ভিসা মঞ্জুর করা হয়। যারা সরকারিভাবে কানাডায় কাজ করতে বা পড়াশোনা করতে চায়, তাদের কাজের ভিসা বা স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।এছাড়াও আবেদনকারী তার ভিসার প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করতে পারেন কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে। কানাডার ওয়েবসাইটটি মূলত ইংরেজী এবং ফরাসি ভাষায়, কিন্তু কিছু দরকারী পাতা অন্যান্য সাধারণ ভাষায় রয়েছে।
কানাডা ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
কানাডিয়ান ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রতিটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়, তবে এটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়। কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন এবং আপনার বায়োমেট্রিক্স পাওয়ার পরেই আপনার ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করে। পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এখানে।
স্টাডি ভিসার আবেদন
প্রথমে আবেদনকারীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করতে হবে, যা তাকে তালিকাভুক্ত করবে। এর পরে, আবেদনকারীকে একটি কানাডিয়ান স্টাডি পারমিট পেতে হবে, যা তার থাকাকালীন সময়ের জন্য কানাডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা হিসাবে কাজ করে।কানাডিয়ান গভর্নমেন্টের ওয়েবসাইটে স্টাডি পারমিটের জন্য অনলাইনে বা কাগজের আবেদনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
কানাডায় স্থায়ী ভিসার আবেদন
কানাডায় স্থায়ী ভিসার জন্যও আবেদন করতে পারেন।স্থায়ী ভিসার আবেদন করার জন্য দেখাতে হবে তার কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে তিনি যে জায়গায় থাকতে চান তা উপকৃত হতে পারে। আপনি আপনার পরিবারের একজন সদস্যের সাথে পুনরায় মিলিত হতেও বলতে পারেন। এবং আবেদনকারী এটিও প্রদর্শন করতে পারে যে তিনি কানাডায় একটি সফল ব্যবসা শুরু করতে বা চালিয়ে যেতে সক্ষম।স্থায়ী বাসিন্দা মর্যাদা পাওয়ার পরে প্রমাণ হিসাবে কানাডিয়ান সরকার কর্তৃক একটি পিআর কার্ড পাবে। পাসপোর্ট সহ কানাডায় ফেরার পথে এই কার্ডটি দেখানো দরকার। স্থায়ী আবাসিক অবস্থা বিভিন্ন অধিকার প্রদান করে
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে প্রথমে। তবে আবেদন করার জন্য নিম্নোক্ত নিয়ম মেনে চলতে হবেঃ
⊕সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে আবেদনপত্রের সব ডকুমেন্টে একই ধরনের বানান থাকা উচিত, তা না হলে আপনার আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেকসময় একেক পেপারে নামের বানান একেকরকম থাকে, এটা একটা গুরুতর সমস্যা। শুধু নিজের নাম না বাবা-মায়ের নামের বানানও সব জায়গায় এক ধরনের থাকা জরুরি।
⊕আবেদনকারীর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট থাকা জরুরি, অন্তত ছয় মাসের মেয়াদ থাকা লাগবে।আবেদন প্রক্রিয়া চলার মাঝে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস আগে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে হবে।
⊕সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে প্রথমেই লাগবে আবেদনকারীর জন্মনিবন্ধন। জন্মনিবন্ধন হতে হবে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রকৃত জন্মনিবন্ধন কপিটি।
⊕সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে প্রয়োজন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। প্রতিটি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং মার্কশিট ক্রেডিনশিয়াল করতে হবে। আর এ ক্রেডিনশিয়াল করার গাইড লাইন কানাডার ইমিগ্রেশনের সরকারি ওয়েবসাইটেই দেয়া রয়েছে।
⊕১৮ বছরের উপরের আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে। সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে প্রাপ্তবয়স্কদের অবশ্যই নিজ দেশের নাগরিক সনদপত্র দেখাতে হবে।
⊕বিবাহিতদের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে নিকাহনামা এবং Marriage Certificate থাকতে হবে। বাংলাদেশে এ দুটি ডকুমেন্ট এখনও বাংলাতে ইস্যু করা হয়।আবেদনের ক্ষেত্রে ইংরেজি কপিটা করিয়ে রাখবেন। তবে যে কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন তার কাছে বললেই একটি নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে তা ইংলিশে অনুবাদ করে দেবেন।
⊕কানাডায় যেতে হলে আবেদনকারীর IELTS করা থাকতে হবে।সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার আগে IELTS স্কোর-এর সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে আবেদনের জন্য । প্রায় সব ভিসার জন্য আবেদনকারীরই IELTS দিতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট স্কোর থাকতে হবে এই পরীক্ষায়।
⊕ কানাডায় অভিবাসন হওয়ার যোগ্যতা দেখাতে একটি আবেদনপত্র লিখতে। এতে কানাডার মার্কেটপ্লেস এবং আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সামঞ্জস্য থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে দক্ষ কাউকে দিয়ে লেখাতে হবে।
⊕সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে ভিসার জন্য আবেদনকারীকে সেটেলমেন্ট ফান্ড ব্যাংকে দেখাত হবে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টাকার পরিমাণের ভিন্নতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তারা যে পরিমাণ টাকা দেখানোর কথা বলবে সেই সমপরিমাণ টাকা আবেদনকারীর ক্যাশ আকারে ব্যাংকে থাকা লাগবে। এ টাকা বিভিন্নভাবে থাকতে পারে যেমন ফিক্সড ডিপোজিট, সঞ্চয়পত্র, চলতি হিসাব, প্রভিডেন্ট ফান্ড, শেয়ারবাজার ইত্যাদি। বাড়তি হিসেবে আবেদনকারীর সোনা-গহনা, নিজ নামে বা সঙ্গীর নামে সম্পত্তি থাকলে তা দেখানো যায়।
⊕সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার জন্য কাজে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যাবে না। অভিজ্ঞতার সনদপত্র এক পাতার হলে ভালো হয়। প্রত্যেক জায়গায় যিনি আবেদনকারীকে সনদপত্র প্রদান করবেন তার নাম, পদবি, স্বাক্ষর, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই-মেইল এড্রেস থাকতে হবে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশনের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে আবেদনকারীর চাকরির ব্যাপারে যেকোনো সময়ই খোঁজ-খবর নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় সিঙ্গাপুর থেকে সশরীরে এসে অফিস দেখে যায় এবং আবেদনকারীর উপস্থিতি তারা আশা করে। এতে বেশি ফলপ্রসূ হয় কানাডায় যাওয়ার আবেদনকারীর জন্য।
⊕আবেদনকারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে লোকাল থানার মাধ্যমে দরখাস্ত করলেই হয়। কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন দেয়া আছে তা অনুসরণ করতে হবে।
⊕সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে আবেদনকারীর ফেসবুক এবং অন্যসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘাঁটাঘাঁটি করবে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দেয়া তথ্যগুলোর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর মিল অবশ্যই থাকতে হবে।
⊕যেসব কাগজের ফটোকপি দেয়া লাগে সেগুলো নোটারি করে দিতে হবে। কিন্তু যেসব ডকুমেন্টের আসল কপি দেয়া লাগে সেগুলো আসলটাই দিতে হবে, নোটারি করার সুযোগ নেই। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন অফিস যেকোনোভাবে আসল এবং নকল ডকুমেন্টের তথ্য খুজে বের করতে পারে।
আপনি যদি সরকারিভাবে, বিনা ঝামেলায় এবং সৎ উপায়ে কানাডা যেতে চান তাহলে উপরুক্ত নিয়ম অনুসরণ করুন।কানাডার ভিসা পেতে নিয়মগুলো যথাযথ মেনে চলতে হবে।কানাডার ভিসা পাওয়া তাহলে অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।সরকারিভাবে কানাডা যেতে হলে উক্ত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পর গৃহীত হলে বৈধভাবে কানাডার অভিবাসী হওয়া খুবই সহজ ব্যাপার।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url