OrdinaryITPostAd

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ?

ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা বুঝি মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। এখন প্রশ্ন আসে আমরা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এ প্রশ্নের উত্তর দিব আমাদের এই আর্টিকেলে। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের আর্টিকেলটি। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবো আমাদের এই আর্টিকেলে।


অনুচ্ছেদ সূচি(যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. ফ্রিল্যান্সিং কি
  2. কি কি দক্ষতা থাকা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে
  3. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো
  4. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে একাউন্ট খুল
  5. মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
  6. ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখব
  7. ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কোন কাজগুলো অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়
  8. লেখক এর মন্তব্য

1. ফ্রিল্যান্সিং কি| ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে  শিখব


ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা যেখানে আপনি নিজের ইচ্ছার স্বাধীনতা মত কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং  মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন।

দেখা গেলো আপনার এখন কাজ করতে ইচ্ছা করছে না; আপনি করবেন না। যখন ইচ্ছা করবে তখন আবার চাইলেই করতে পারবেন। ধরাবাঁধা কোনো অফিস টাইম নেই। এরপরে এখানে আপনার নির্দিষ্ট কোনো ইমপ্লয়ার  নেই। যখন যে বায়ারের কাজ নিবেন তখন সে-ই আপনার ইমপ্লয়ার ।

সাধারন চাকরি থেকে এখানে আরেকটি বিষয়-এর ভিন্নতা আছে। সেটি হলো কাজের স্থান। ফ্রিল্যান্সিং  এর নির্দিষ্ট কোনো অফিস নেই। মূলত আপনার বাড়িই হচ্ছে আপনার অফিস।

এখানে বসেই আপনি বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং  এর ক্ষেত্রে খুব সহজেই সরকারি বেসরকারি অনেক চাকরির থেকে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকে।

এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাদের দেশে দক্ষতার কদর হয় না সেভাবে; কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে হয়। আপনি সেসব দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশের তুলনায় দ্বিগুণ/তিনগুণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পড়তে থাকুন আমাদের আর্টিকেলটি।
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

2. কি কি দক্ষতা থাকা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে|ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


ফ্রিল্যান্সার হতে বা ফ্রিল্যান্সিং করতে তেমন কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। চাকরির মত এখানে সার্টিফিকেট নেওয়া হয় না। তবে আপনার কাজ চালানোর মত ইংরেজি জানা প্রয়োজন হবে। শুধু তাই নয় কম্পিউটার সম্পর্কে, ইউটিউব, ফেসবুক , ইন্টারনেট সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি দক্ষতা লাগে তা জানাবো।

আপনি অনলাইনে কাজ করেন বা অফলাইনে সামান্য কোন কাজের ধারণা না থাকলে আপনি কি কেউ কাজ দেবে না। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার একাডেমিক কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তবে যা প্রয়োজন তা শুধু আপনার কোনো বিশেষ কাজে দক্ষতা। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এ ব্যাপারে জানাতে আমাদের এই আর্টিকেলটি। দক্ষতা, সেটি হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন, ওয়ার্ডপ্রেস  ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন,  গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি বিষয়ে। এরকম অসংখ্য কাজ আছে সব কাজে আপনাকে দক্ষতা রাখতে হবে এমন কোন কথা নেই কিন্তু এর ভিতরে কোন একটি বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা রাখতে হবে। মনে রাখবেন কোন কাজে দক্ষতা না থাকলে প্রথমে কাজ পেলে ও পরবর্তীতে সে কাজ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে শুধু বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে কাজ করতে হবে তাই কোন একটা বিষয়ে দক্ষতা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।

আর একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে প্রয়োজন ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকা। আপনার যদি ইংলিশে বেসিক ভালো না হয় ,দক্ষতা ভালো না থাকে, আপনি যদি ইংলিশে অর্থ না বুঝতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে ‌। কারণ আপনার ক্লায়েন্টরা থাকবে বিদেশি এবং তারা ইংরেজিতে আপনার সাথে কথা বলবেন তাদের ভাষা বোঝার জন্য এবং তাদের চাহিদা বোঝার জন্য, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।

ইন্টারনেট সম্পর্কিত ভালো ধারনা ও গুগল এবং ইউটিউব থেকে বিভিন্ন রিসোর্স খুঁজে বের করার দক্ষতা এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সহায়তা করবে। এই ছিল মুলত প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী যা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য যোগ্য করে তুলবে।

যে সকল বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এবং তাতে দক্ষতা থাকা লাগে তার একটি বিবরণ নিচে দেওয়া হয়:
  • Graphic design
  • Logo design
  • Digital marketing
  • WordPress
  • Content writing
  • Web development 
  • App development
  • Android development
  • HTML, Java, CSS
  • Video editing
  • Branding
  • Web design 
  • Server management
  • Professional video creation
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

3. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো|ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


আপনি গুগল কিংবা ইউটিউবে কিছুটা ঘাটাঘাটি করলে এই বিষয়ে আরো জানতে পারবেন।

তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন প্রফেশনাল মানের অনলাইন কোর্স থেকে শুরু করে অনেক ভালো ভালো ট্রেনিং সেন্টারও রয়েছে; যেখানে আপনি ট্রেনিং করে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

তবে একটি বিষয় অবশ্যই চিন্তা করা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং এমন কোনো পেশা নয় যেখানে আপনি এক মাস কাজ করলেই খুব ভালো আয় করতে পারবেন।

আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে। পথটা দুর্গম ও কষ্টকর হলেও আপনার ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল থাকলে এটি কোনো সমস্যা হবে না আপনার জন্য।

আগে যেখানে নতুন একটি বিষয় শিখতে অনেক সময় লেগে যেত এখন সেটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক সহজ হয়ে গেছে।

আজ হলো ইন্টারনেটের সময়। আর তাই, যেকোনো নতুন বিষয়ে নিমিষের মধ্যে জেনে নেওয়া সম্ভব এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

“ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব“, এই প্রশ্ন করার সাথে সাথে দুটো বিষয়ে আপনার জেনে রাখা দরকার।

প্রথম বিষয়,
ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি প্রফেশন যেখানে আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকাটা জরুরি।

তাই, যখনি ফ্রিল্যান্সিং শিখার কথা আসছে তখন শিখার মধ্যে আপনার যেকোনো একটি বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে জ্ঞান নিয়ে নিতে হবে।

যেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং ,সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ,অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপার  ইত্যাদি প্রচুর বিষয় রয়েছে।

প্রথমেই আপনার যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

এতে, ভবিষ্যতে আপনি অন্যদের জন্য সেই কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

দ্বিতীয় বিষয়,

কেবল প্রফেশনাল কাজ জানা থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেননা।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার সাধারণ প্রশিক্ষণ অবশই নিয়ে নিতে হবে যাতে সঠিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করা যেতে পারে।

সফল বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের ইউটিউব চ্যানেল থাকে তারা সেখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে আপনি সেখান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।

আবার অনেক ট্রেনিং সেন্টার আছে যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং করা শেখায়। ফ্রিল্যান্সিং করতে যেয়ে যে বেসিক জিনিস গুলা জানা দরকার সেগুলো শেখায় ।আপনি সেসকল ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিখতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং।

প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে শুধু শিখলেই হবেনা তা যদি আপনি প্রাক্টিস না করেন তাহলে আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যে আপনি কার কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সটি করছেন। 
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

4. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে একাউন্ট খুলব|ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে যেকোনো একটি স্কিলে খুব ভালো মানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেমন ধরুন আপনি ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর উপর খুব ভালো দক্ষতা অর্জন করলেন।

এবার আপনাকে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে একটি অর্ডার পাওয়ার জন্য।

সত্যি কথা বলতে একজন নতুন ওয়েব ডিজাইনারকে কেউই কাজ দিতে খুব একটা আগ্রহী হয় না। আর তাই আপনার প্রোফাইলে যদি ভালো কিছু রিভিউ থাকে, তাহলে আপনাকে আর কাজ পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।


ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলার জন্য কয়েকটা অ্যাপ রয়েছে। নিচে  অ্যাপের নাম দেয়া হল:

      ১. freelancer.com
      ২. upwork.com
      ৩. fiver.com
      ৪. guru.com
      ৫. designhill.com
      ৬.Toptal.com
      ৭.Linkedin.com
      ৮.Weworkremotely.com
      ৯.Behance.com

এখন একাউন্ট খোলার পদ্ধতি।ফ্রিল্যন্সার ওয়েবসাইটে গিয়ে কিভাবে নিজের জন্য একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলবো।

এর জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে freelancer.com এই ওয়েবসাইটে। সেখানে গিয়ে নিচের দেওয়া ধাপ গুলো অনুসারন করে আপনি ফ্রি ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

ধাপ- ১ঃ 

Freelancer.com ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে আপনি প্রথম পেজে Earn money freelancing নামে একটি লিংক দেখতে পাবেন। এই লিংকে ক্লিক করার পরে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ফর্ম পাবেন।

ধাপ- ২ঃ 

এবার আপনি একটি sign up পেজ দেখতে পাবেন। সেখানে দুইটি ভাবে ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • নিজের Facebook account ব্যবহার করে।
  • নিজর Email id ব্যবহার করে।
তবে, আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো নিজের ইমেইল আইডি ব্যবহার করে একাউন্ট তৈরি করার জন্য। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে –

প্রথমে বক্সে গিয়ে নিজের ইমেইল আইডি লিখুন।
দ্বিতীয় বক্সে গিয়ে পাসওয়ার্ড দিবেন।
এবার আপনি I agree to Freelancer user agreement and privacy policy অপশনে ক্লিক করুন।
শেষে নিচে থেকে Join Freelancer অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ- ৩ঃ 

এবার আপনাকে username দিতে বলা হবে। নাম দেওয়ার পরে Suggestions এ আপনাকে কিছু username দেখাবে, আপনি চাইলে সেখান থেকে একটা সিলেক্ট করতে পারবেন। সঠিক ভাবে username সিলেক্ট করে নিচে থাকা Next বাটুনে ক্লিক করুন।

ধাপ- ৪ঃ

এবার আপনাকে একাউন্টের প্রকার বেছে নিতে হবে। আপনি যদি টাকা আয় করার জন্য freelancer account তৈরি করতে চান তাহালে I want to work অপশনে ক্লিক করুন।

আর যদি অন্য freelancers দের দিয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ করানোর উদ্দেশ্যে account তৈরি করতে চান তাহালে I want to hire অপশনে ক্লিক করুন। আপনি যেহেতু কাজ করতে চান সেহেতু I want to hire অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ- ৫ঃ 

আপনার একাউন্ট সাইন আপ করার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। এবার আপনাকে একটি পেজ দেখাবে যেখানে আপনি নিজের স্কিল (skills) গুলো সিলেক্ট করতে পারবেন।

মানে আপনি কি কি কাজ জানেন এবং কি কি কাজ করে টাকা আয় করতে চান, সেই কাজ গুলো সিলেক্ট করুন। মনে রাখবেন এখানে আপনি যে কাজ গুলো সিলেক্ট করবেন সেই হিসাবে ফ্রিল্যান্সার এর তরফ থেকে প্রজেক্ট (projects) গুলো দেখানো হবে।

আপনি নিজে যে সকল কাজ গুলো জানেন সেই কাজ গুলো সিলেক্ট করে নিচে থাকা Next Step অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ- ৬ঃ 

এবার আপনাকে একটি পেজ দেখানো হবে, সেখানে আপনার profile এর সাথে জড়িত সকল details দিতে বলা হবে যেমন –

  • প্রথমে আপনাকে একটি প্রোফাইল পিকচার আপলোড করতে হবে।
  • এবার আপনার সম্পর্ন নাম দিতে হবে।
  • এরপরে আপনি কি কি ভাষা জানেন সেই ভাষা গুলো সিলেক্ট করতে হবে।
  • শেষে আপনাকে কাজের experience বিষয়ে বলে দিতে হবে।
  • সব শেষে নিচে থাকা Next Step বাটুনে ক্লিক করন।
ধাপ- ৭ঃ 

এবার আপনাকে payment method যুক্ত করে সেটাকে verify করার জন্য বলা হবে। এখানে আপনি Credit / debit card বা PayPal account ব্যবহার করার জন্য বলা হবে। তবে, এই কাজ গুলো আপনি পরেও করতে পারবেন। এজন্য নিচে থাকা Skip for now বাটুনে ক্লিক করুন।

ধাপ- ৮ঃ 

এবার আপনাকে একটি Promotion পেজ দেখানো হবে। মানে কিছু টাকা দিয়ে freelancer ওয়েবসাইটের তরফ থেকে plus membership নিয়ে থাকে। কিন্ত আপনি যেহেতু নতুন সেহেতু নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। এজন্য skip for now অপশনে ক্লিক করুন।

আপনার freelancer account তৈরি করা সম্পর্ন হয়ে গেছে। আমি আশাকরি কিভাবে ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট খুলবো এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে গেছেন। এবার আপনাকে যে প্রজেক্ট বা কাজ গুলো করতে চান সেগুলো ক্লিক করে বিড করতে হবে।

আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

  • অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর কি করতে হবে

Freelancer account তৈরি করার পরে আপনাকে নিচের কাজ গুলো অবশ্যই করতে হবে। যে কাজ গুলো না করলে আপনি কোনো ধরণের প্রজেক্ট (project) এ বিড দিতে পারবেন না।
  • প্রথমে ইমেইল আইডি দিয়ে একাউন্টটি ভেরিফাই করতে হবে। আপনি যে মেইল দিয়ে freelancer account খুলছিলেন, সেই মেইল ইনবক্স এ আসা লিংক দিয়ে ভেরিফাই করে নিন।
  • আপনার নিজের মোবাইল নংবার দিয়ে একাউন্ট verify করে নিন।
  • এবার নিজের প্রোফাইলের মধ্যে গিয়ে পূর্ণ ঠিকানা যুক্ত করুন।
  • এখন আপনার ফ্রিল্যান্সার একাউন্টটি সম্পর্ন ভাবে এক্টিভ (active) হয়েছে।
এবার আপনি নিজের freelancer account dashboard থেকে যেকোনো project এ বিড (bid) করতে পারবেন।
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

5. মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো| ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


যদি আপনার কম্পিউটার না থাকে, তবে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েই ফ্রিলান্সিং শুরু করতে পারেন। হয়তোবা এক্ষেত্রে আপনি কিছু সুযোগ সুবিধা কম পাবেন কিন্তু মোবাইল দিয়েও ফ্রিলান্সিং করা সম্ভব।

আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন না কিন্তু ফ্রিলান্সিং জগতে অনেক কাজ আছে যেগুলো মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব।মোবাইল দিয়ে যেসব ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে আপনারা টাকা আয় করতে পারবেন তা এখানে বিস্তারিত বর্ননা করলাম।

ইউটিউবঃ

যদি আপনার কাছে ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ না থাকে আর আপনি মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাও আবার কোন ইনভেস্ট ছাড়াই! তাহলে বেস্ট অপশন হবে আপনার জন্য ইউটিউবিং।

ইউটিউব হলো গুগলর একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। এখানে যে কেউ চাইলেই তার নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারে আর সেখান থেকে এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকাও আয় করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার শুধু একটি মোবাইল ও একটি গুগল একাউন্ট থাকলেই চলবে। আপনি প্লে স্টোর থেকে ইউটিউব স্টুডিও অ্যাপ ডাউনলোড করে এটির মাধ্যমে আপনার ভিডিও ইউটিউবে আপলোড দিতে পারেন।

আপনার চ্যানেলে এক বছরে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম হলেই আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। মনিটাইজ পাবার পর মিনিমাম ১০০ ডলার হলে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট থেকে সেই টাকা উঠাতে পারবেন ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে।

ব্লগিং/ কন্টেন্ট রাইটিংঃ

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আমি ইউটিউবের পরেই সাজেস্ট করব ব্লগিং অথবা কন্টেন্ট লিখালেখি। যদি আপনি চান যে ইনভেস্ট করবেন কিছু টাকা সেক্ষেত্রে নিজেই একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে লিখালিখি করতে পারেন। অথবা আপনি ইনভেস্ট করতে না চাইলে অন্যের ব্লগেও টাকার বিনিময়ে আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজ পাবার জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইবার এ যেতে হবে।আপনি যদি নিজেই ব্লগ সাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পরবে হোস্টিং এর জন্য প্রতি বছর প্রায় ১০০০ টাকার মতো আর ডোমেইনের জন্য প্রতি বছর ৮০০ টাকার মতো। আর আপনি যদি গুগলের ব্লগস্পটে সাইট বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে হোস্টিং এর জন্য কোন খরচ করতে হবে না।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বুঝানো হয় ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিজনেস পেইজগুলো দেখাশোনা করা।

বিভিন্ন কোম্পানি বা দোকানের পেইজগুলোতে আপনি মোডেরেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাজ হলো সেই পেইজ/ একাউন্ট থেকে নিয়মিত তাদের প্রডাক্ট সম্পর্কে পোস্ট করা। সেই সাথে গ্রাহক দের কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া ও মেসেজের উত্তর দেয়া। আর এই কাজটি আপনি আপনার মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন।

৪. ওয়েব ডিজাইনঃ 

ওয়েব ডিজাইন বলতে বুঝানো হয় কোন রেডি সাইটের সামান্য কিছু পরিবর্তন করে সেটাকে অন্য ধরনের লুক দেয়া। এক্ষেত্রে তেমন কোডিং এর কোন জ্ঞান প্রয়োজন হয় না। অনেকটা ড্রাগ এন্ড ড্রপ এর মতোই কাজ করা যায়।

যেহেতু কোডিং এর প্রয়োজন হয় না আর এর জন্য আলাদা কোন সফটওয়্যার ও প্রয়োজন হয় না তাই আপনি চাইলে এটি আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকেও করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তবে সেটি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। এখন আপনি যেই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়ছেন এই সাইটটিও সম্পুর্ন মোবাইল দিয়ে তৈরি এখানে ল্যাপটপ / ডেস্কটপের বিন্দু পরিমাণ ও ব্যবহার করা হয় নাই।
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

6. ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখব|ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সবার জন্য প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে শুধু উপার্জন নয় নিজের দক্ষতা বাড়ানো যায় যাক ভবিষ্যতে অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব পড়ে।বর্তমানে চাকরির অবস্থা অনেক ভয়াবহ ধারণ করেছে। এই করোনার মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কিন্তু যারা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিয়োজিত আছেন, তারা কিন্তু হতাশ হয়নি। বরং এই করোনার মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের চাহিদা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাহলে ভাবুন ফ্রিল্যান্সিং কেন করব।

বর্তমান বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনভাবেই ফ্রিল্যান্সিং পেশা ও এগিয়ে যাবে। আপনি হয়তো ভাই এই পেশাকে তাচ্ছিল্য করছেন। কিন্তু দেখবে না এমন সময় আসবে, পৃথিবীর প্রায় ৫০% ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখবো তার আরেকটা সুবিধা হল, আপনাকে বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই নিজের ইচ্ছা মত সময় নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আবার দেখা যায়, আপনি কোন একটা কোম্পানির আন্ডারে কাজ করছেন। আপনার বসের ঝাড়ি তো আছি আমার সময়মতো অফিসে হাজির হওয়া। এমন হাজারো অসুবিধা আছে। কিন্তু আপনি যখন অনলাইনে কাজ করবেন, তখন এই ঝামেলা আপনাকে পোহাতে হবে না। আপনি নিজের ইচ্ছামত সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন। এই কারণেই বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং একটা মুক্ত পেশা।

ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখব তার আরেকটা গুন, নিজের ফ্যামিলিকে সময় দেওয়া। আমার দেখা হলো অনেক ফ্যামিলি আছে, অফিসের কাজ করে তাদের পরিবারকে সময় দিতে পারেনা। সেজন্য তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া বিবাদ হয়। কিন্তু আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত হবেন, তখন আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে থেকেই কাজ করতে পারবেন। তাহলে আর কোন সমস্যা থাকবে না। 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এবং ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখবো এর অন্যতম উপকারিতা হলো, আপনি আপনার চাকরির থেকেও বেশি বেতন পাবেন এই পেশায়। আপনি যদি প্রতিদিন সর্বনিম্ন10 ডলার করে ইনকাম করেন। তাহলে মাস শেষে দাঁড়াবে 300 ডলার। আমাদের বাংলাদেশি টাকায় ২৪ হাজার টাকা। আমি একটা সর্বনিম্ন হিসাব করে দেখালাম। বসের কোন প্যারা নাই, অফিসের কোনো চাপ নাই, কাজের কোনো হিসাব নাই এমন পেশাই হল ফ্রিল্যান্সিং। এবং সেই কাজ করে মাসে সর্বনিম্ন 24000 টাকা ইনকাম করা কম কথা নয়। আমি আবার আপনাকে প্রশ্ন করছি ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখব না।

এমন হাজারো উদাহরণ আছে। যেটা শুনলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হবেন। এবং আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে যুক্ত করে নেবেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ আপনি যেকোন পেশাতে প্রথম যুক্ত হলে, প্রাথমিক কিছু সমস্যায় পড়েন। প্রাথমিক সমস্যাগুলোতে পড়া কিন্তু কোনো জটিল বিষয় না। এটা এক প্রকার স্বাভাবিক একটা বিষয়। এই সমস্যা গুলোর মধ্যে রয়েছে: ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো,ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়,ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ,ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব,ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগে ও ফ্রিল্যান্সিং ভবিষ্যৎ ইত্যাদি।সমস্যা গুলোর মধ্যে আমি মূল সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

7. ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কোন কাজগুলো  অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়|ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত:

ডেটা অ্যানালিটিক্স: 

বাজার বিশ্লেষকেরা বলেছেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে ডেটা এনালিটিক্স এর চাহিদা বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সাল নাগাদ যেটা এনালিটিক্স মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ডেটা এনালিটিক্সে চাহিদা সম্পন্ন কর্মীর চাহিদা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমান ব্যবসার ট্রেন্ড বুঝতে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছে নিয়োগদাতারা। তাই যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ দক্ষতা বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: 

গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি আগের প্রান্তিকে পোস্ট হওয়া ৭ হাজার ৯২৫ থেকে ১২ হাজার ৩২৯টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এ খাতে চাহিদা বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নানা রকম কাজে নিয়োগদাতাকে সাহায্য করতে হয়। গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রকল্পভিত্তিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ থাকে।

মাইক্রোসফট অফিস: 

গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফট এক্সেল এর দক্ষ কর্মীদের প্রচুর চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে সাধারণ টাইপিং বা ডাটা এন্ট্রি কাজের তুলনায় এক্সেল দক্ষতা কিছুটা জটিল। এক্সেল ও প্রোগ্রামিং দক্ষতা সম্পন্ন একজন কর্মী কাজকে স্মরণীয় করে তোলার মাধ্যমে নিয়োগ কারীর সময় বাঁচাতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে বিশ ঘন্টার কাজ এক ঘন্টায় হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে দক্ষ কর্মীরা অল্প সময়ে প্রচুর আয় করতে পারেন। যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঢুকতে আগ্রহী তারা এক্সেল নিয়ে কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

কপি টাইপিং: 

টানা দুই প্রান্তিক জুড়ে শীর্ষ ১০ চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে রয়েছে কপি টাইপিং। গত প্রান্তিকে এর চাহিদা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। বিস্তৃত ও এলোমেলো তথ্য থেকে পরিষ্কার তথ্যে কপি তৈরি, হাতে লেখা পোস্টকে সম্পাদনা উপযোগী পোস্টে রূপান্তর করার মতো নানা কাজ করতে হয় কপি টাইপিং কর্মীকে। নির্দিষ্ট প্রকল্পে নির্দিষ্ট বাজেট বা ঘণ্টা ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁরা দ্রুত ও নির্ভুল কপি টাইপ করতে পারেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কাজের সুযোগ রয়েছে।

ট্রান্সক্রিপশন

যাঁরা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে ট্রান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ কর্মীদের। যাঁরা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাঁরা ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

অন্যান্য

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এখন অন্যের জন্য বই লিখে দেওয়ার কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিয়ম পাতার চাহিদা ও নির্দেশ অনুযায়ী সময় মত বই লিখে দিতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করে ব্যাপক আয় করতে পারবেন।
আপনারা পড়ছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব 

8. লেখক এর মন্তব্য| ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব


বর্তমান ডিজিটাল যুগেও সবাই নির্ভর হয়ে গেছে ইন্টারনেটের ওপর। ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন গড়ে তুলেছেন নিজের পরিচয় এবং তৈরি করেছেন যোগ্যতা ও দক্ষতা ‌‌।  ফ্রিল্যান্সিং অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করলে অনেক সুফল পাওয়া যায়। এরমধ্যে আপনাদের সাথে সেগুলো আমি শেয়ার করেছি। আজকের এই আর্টিকেল ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব আপনাদের সুবিধার্থে উপস্থাপন করেছি। কিভাবে এবং কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন  সে ব্যাপারেও আলোচনা করেছি। আমাদের এই আজকের আর্টিকেল ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব সম্পূর্ণ পড়ার জন্য  অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url