সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি। একারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া যেতে চায়।সরকারিভাবে অথবা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া যায়। সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যেতে খরচ কম পরায় অনেকে জানতে চায় সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন কবে শুরু হবে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 নিয়ে। সুতরাং সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
তাছাড়া আরো আলোচনা করব - সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশাল কর্মী নিয়োগ, অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা 2024, বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ।
আর্টিকেল সূচিপত্র
- সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
- সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশাল কর্মী নিয়োগ
- অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা 2024
- বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ
- বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা
- অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন
- অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
আরও পড়ুনঃ জর্ডান বোয়েসেল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
১. সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024
অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সম্পর্ক ভালো হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ অস্ট্রেলিয়াতে যায়।অস্ট্রেলিয়াতে শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মী সংকট দেখা দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী 2024 সালের শুরুর দিকে ঘোষণা দেয় যে,দেশটির সরকার এক লক্ষ ৯৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী নিবে।
বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বানাতে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কারণ বর্তমানে এমন অনেক এজেন্সি তৈরি হয়েছে যারা সরকারি ভিসা দেওয়ার নাম করে টাকা নেয়।সরকারিভাবে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল বিজ্ঞপ্তি বোয়েসেল এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 জানতে www.boesl.gov.bd এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
অস্ট্রেলিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি :
অস্ট্রেলিয়াতে বর্তমানে অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। এর ফলে বহু ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে যেসব কাজের চাহিদা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে -
- কৃষিকাজ
- গবাদি পশু পালন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- কনস্ট্রাকশন
- ক্লিনার
- ড্রাইভিং
- মেকানিক্যাল
- ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি
উপরোক্ত কাজগুলোর অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি এসব কাজে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে তাহলে খুব সহজে এসব কাজে অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত :
অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজে রয়েছে। সুতরাং কাজের ধরনের উপর বেতনের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় বেতনের মান পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ৩৫০০০ টাকা, কৃষি কাজের সর্বনিম্ন বেতন 30 হাজার টাকা, ক্লিনারের কাজের সর্বনিম্ন বেতন 30 হাজার টাকা, লেভারের কাজের সর্বনিম্ন বেতন 30 হাজার টাকা, ওয়েটারের কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা।
কোম্পানির কাজের সর্বনিম্ন বেতন :
কোম্পানির কাজ বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দের কাজ। অনেক মানুষই পছন্দ থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিতে কাজ করতে পারে না। অস্ট্রেলিয়াতে অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে চাকরি করতে হলে আপনার অনেক যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রয়োজন হবে। এসব কোম্পানির সর্বনিম্ন বেতন শুরু হয় ৭০ হাজার টাকা থেকে।আবার অনেক ছোট ছোট কোম্পানিও রয়েছে যেগুলোতে আপনি সামান্য অভিজ্ঞতার বিনিময়ে কাজ করতে পারবেন।এসব কোম্পানির বেতন শুরু হয় চল্লিশ হাজার টাকা থেকে।
শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন কত :
অস্ট্রেলিয়াতে শ্রমিকদের জন্য রয়েছে প্রচুর কাজের ব্যবস্থা।একজন শ্রমিক হিসেবে দেশটিতে আপনি রাজমিস্ত্রির কাজ, লেভারের কাজ এবং ক্লিনারের কাজ করতে পারবেন।এসব কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে । তবে দক্ষতা অর্জন সাপেক্ষে আপনি মাসিক ৭০ হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২. সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশাল কর্মী নিয়োগ
বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ২০২৩ সালে ৫০ বছর পূর্ণ হয়। এর ফলে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। এর ফলে সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 এ বাংলাদেশ থেকে ২ লক্ষের মত কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। এটি বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য একটি সুখবর। এক্ষেত্রে যারা উচ্চশিক্ষিত তাদের জন্য যেমন চাকরির সুযোগ রয়েছে ঠিক তেমনি যারা কম শিক্ষিত তাদের জন্যও চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে।
সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 এ কয়েকটি জব হচ্ছে -
ক্লিনারের কাজ, হোটেল, ডিশ ওয়াশার ইত্যাদি। এসব কাজে দক্ষতা না থাকলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও সরকারি নিয়োগ সম্পর্কে জানতে বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম - কানুন :
নাগরিকত্ব হচ্ছে একটি লিখিত দলিল যা একটি রাষ্ট্রের বাসিন্দার প্রমাণপত্র। একটি দেশের সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে নাগরিকত্ব বিশাল ভূমিকা পালন করে। নাগরিকত্ব ছাড়া আপনি কোন দেশের ব্যবসা বা চাকরি করতে পারবেন না।
৫০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্বে নতুন নিয়ম এসেছে। বাংলাদেশীদের অস্ট্রেলিয়ান সরকার অস্ট্রেলিয়ার তিমুর, প্রবাল সাগর, তাসমান এসব জেলাগুলোতে বসবাসের সুযোগ দিয়েছে ।আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান তাহলে অস্ট্রেলিয়ার মাইগ্রেশন আইন অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এবার চলুন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার নতুন নিয়ম কানুন সম্পর্কে জেনে নেই-
বয়স সীমা :
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার স্কিলড প্রোগ্রামে আবেদন করতে চান তাহলে আপনার বয়স হতে হবে ষাট বছরের নিচে। তারপর এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট সাবমিট করার পর ইনভাইটেশন আসলে মূল আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা :
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে আপনাকে তিন থেকে চার বছরের অনার্স এবং এক থেকে দুই বছরের মাস্টার্স কমপ্লিট করতে হবে। আপনার আইইএলটিএস পরীক্ষায় স্কোর হতে হবে ছয় এর উপরে।
পেশা :
শিক্ষক, নার্স, অডিটর, কর্মী, স্থপতি, ব্যাংকার, চিকিৎসক ইত্যাদি পেশার মানুষ তাদের নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে।
কাজের অভিজ্ঞতা :
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ বছর থাকতে হবে।আপনার যতই ডিগ্রি থাকুক না কেন যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে নাগরিকত্বের আবেদন করেও লাভ নেই।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় :
অনেকেই আছেন যারা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে চায়।১৯৪৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ান সরকার মিলিয়নের চেয়েও বেশি মানুষকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে হলে প্রথমে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পেতে হবে।এই পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পাওয়ার জন্য কমপক্ষে চার বছর অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করতে হবে। পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পাওয়ার এক বছর পর অস্ট্রেলিয়া নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যদি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে খুব দ্রুত হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়াকরণ হতে সময় লাগবে ১৪ মাস।
নাগরিকত্বের আবেদনকারীকে অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেন পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। আপনি যদি এই পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পান হলে আপনি পাশ করবেন আর যদি ফেল করেন তাহলে সেদিনই পরীক্ষা দিতে পারবেন।সুতরাং সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 অস্ট্রেলিয়া গিয়ে চার বছর থাকার পর নাগরিকত্ব পাবেন।
অস্ট্রেলিয়াতে বৈধ হওয়ার উপায় :
অনেকেই আছেন যারা অস্ট্রেলিয়াতে অবৈধ উপায়ে যান এবং যাওয়ার পর কাজ না পাওয়ায় হতাশায় ভুগেন।অস্ট্রেলিয়ায় বৈধ হওয়ার জন্য আপনাকে উপযুক্ত প্রোগ্রাম সাব ক্লাস ৪০৭ এবং সাব ক্লাস ৪৮২ ভিসার জন্য কমপক্ষে IELTS স্কোর কমপক্ষে ৫ বা ৬ থাকতে হবে। তাছাড়াও আপনার ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।
আপনার যদি কোন কাজে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে এটি বাংলাদেশীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। সুতরাং আপনার যদি কোন কাজে দুই বা তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আজই বৈধ হওয়ার জন্য কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ পত্র সহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিন। এতে অল্প দিনের মধ্যেই আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন।
অস্ট্রেলিয়া ফ্যামিলি ভিসা খরচ :
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া তে কাজের জন্য বা লেখাপড়ার জন্য যান তাহলে ফ্যামিলি ভিসা নিতে পারেন। এজন্য আপনাকে ভিসা ফি বাবদ ৪৭০ ডলার এবং হেলথ কেয়ার ফি হিসেবে ১১০০০ ডলার পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইতালি নতুন ভিসার খবর ২০২৪
৩. অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা 2024
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের একটি স্বপ্ন হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার। এক্ষেত্রে কৃষি ভিসা হতে পারে আপনার জন্য প্রথম পছন্দ। আর্টিকেলের এই অংশে অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কৃষি ভিসার যোগ্যতা:
অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ভিসায় যেতে আপনার বেশকিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। অনেকেই কৃষি ভিসার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চায়।কৃষি ভিসা পেতে হলে আপনার জ্ঞান, প্রয়োগ যোগ্যতা এবং সর্বোচ্চ মানসিক দক্ষতা থাকতে হবে।আরো কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন যেমন-
- ভাষা গত যোগ্যতা
- কৃষি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে
- অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ব্যবস্থাপনা করার মতো জ্ঞান থাকতে হবে।
কৃষি ভিসার কাজের ধরণ:
অস্ট্রেলিয়ায় কৃষি ভিসায় যাওয়ার আগে অবশ্যই কৃষি ভিসার কাজের ধরণ সম্পর্কে জেনে যাবেন।যদি আগেই জেনে যান তাহলে কোনো ধরণের সমস্যায় পরবেন না।অস্ট্রেলিয়ায় কৃষি ভিসায় যেসব কাজ করতে পারবেন সেগুলো হলো:
- গবাদি পশু পালন
- ক্লিনার
- কমলা বাগানের কাজ
- আঙ্গুর বাগানের কাজ
- ফুলের বাগানের কাজ
কৃষি ভিসার দাম:
অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসায় যেতে অনেক টাকা খরচ হবে। অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ভিসার দাম পড়বে প্রায় সাত থেকে আট লক্ষ টাকা। আবার যদি দালালের মাধ্যমে যান তাহলে ভিসার খরচ পরবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
কৃষি ভিসার বেতন:
কৃষি ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই বেতন সম্পর্কে জেনে যাবেন।অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসার বেতন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে।পাশাপাশি আপনি যদি ওভারটাইম করেন তাহলে মাসিক ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো আয় করতে পারবেন। মূলত আপনি অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসায় ৯০ হাজার থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন। কৃষি ভিসায় বেতন কত পাবেন তা কাজের ধরণের উপরও নির্ভরশীল।সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 এ কৃষি ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কৃষি ভিসার আবেদন :
কৃষি ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে অবশ্যই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। অনেকেই আবেদন করার সঠিক উপায় সম্পর্কে জানে না। এখান থেকে আপনি কৃষি ভিসার আবেদন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- প্রথমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইট থেকে 'Apply for a visa' সিলেক্ট করুন।
- একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন অথবা আগে থেকে যদি অ্যাকাউন্ট থাকে তাতে লগইন করুন।
- কৃষি ভিসার জন্য কাজের অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যাক্তিগত তথ্যাবলী দিয়ে পূরণ করুন।
- আবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করুন।যেমন- আর্থিক প্রমাণপএ,শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণপএ, পাসপোর্ট, কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপএ।
- নির্দিষ্ট আবেদন ফি প্রদান করুন।
- আবেদন পরীক্ষা করার পর যদি নির্দিষ্ট তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে তা সরবরাহ করতে হবে।
- আপনার আবেদন যদি অনুমোদিত হয় তাহলে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে।
কৃষি ভিসা প্রসেসিং:
কৃষি ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অনেকগুলো ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। এসব কাগজপত্র ব্যতীত ভিসা প্রসেসিং অসম্ভব। পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল রিপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এবং মেডিকেল রিপোর্ট। তাছাড়াও আরো ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হলে যে মাধ্যমের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যাবেন সেখান থেকে জেনে নিবেন।
অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের সুযোগ - সুবিধা :
অস্ট্রেলিয়াতে যদি কৃষি ভিসা নিয়ে যান তাহলে ভালোই সুযোগ সুবিধা পাবেন। তবে কোম্পানি ভেদে সুযোগ সুবিধা ভিন্ন হয়ে থাকবে। কিছু কোম্পানির সুযোগ সুবিধা বেশি আবার কিছু কোম্পানির সুযোগ সুবিধা কম।তবে কৃষি ভিসায় আপনি ফ্রি থাকা, খাওয়ার সুবিধা পেয়ে থাকবেন।
তবে একটি অসুবিধা হলো অস্ট্রেলিয়ার কৃষি কাজ অনেকটাই কঠিন। আগে থেকে এ সম্পর্কে জেনে তবেই যাবেন। কৃষি কাজকে যদি অন্য কাজের সাথে তুলনা করেন যেমন কন্সট্রাকশনের কাজ সেক্ষেত্রে কৃষি কাজ সহজ। আবার দোকানের কাজ,ড্রাইভিং এসব কাজের তুলনায় কৃষি কাজ কঠিন।কাজ কঠিনের পরিমাণও কোম্পানির উপর নির্ভর করে।
৪. বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ
বাংলাদেশের সরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বোয়েসেল। বোয়েসেলের মাধ্যমে বিদেশ যেতে অবশ্যই বোয়েসেল সম্পর্কে জানতে হবে। প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মী বয়েসেলের মাধ্যমে বিদেশ যেয়ে থাকে।আর্টিকেলের এই অংশে আমরা বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করব।
সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগে যেসব পদে আবেদন করতে পারবেন চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
নার্স:
প্রতি বছর নার্স পদে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক অস্ট্রেলিয়াতে নিয়োগ দেয়। আপনি যদি নার্স পদে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং বয়স কমপক্ষে ৪০ বছরের নিচে হতে হবে। তাছাড়া আইইএলটিএস স্কোর ৫ হতে হবে। এ সকল অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি নার্স পদে আবেদন করতে পারবেন।
ব্রয়লার মেকার :
এই পদে অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ কাজে আপনার যদি পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা এবং আপনার বয়স যদি কমপক্ষে ৪০ বছরের নিচে হয় তাহলে উক্ত পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্লাম্বার :
বাংলাদেশ থেকে প্লাম্বার পদে প্রচুর লোক অস্ট্রেলিয়াতে যায়। আপনার যদি প্লাম্বার কাজে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা এবং বয়স যদি হয়ে থাকে চল্লিশের নিচে তাহলে প্লাম্বার পদে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। তাছাড়া স্টোন মেসন, সেফ, ওয়েল্ডার এসব পদেও নিয়োগ দেওয়া হবে।
বোয়েসেলের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহী প্রার্থীগনকে নির্ধারিত সার্বিস চার্জ অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট তথ্যাবলী দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- রঙিন ছবি(ছবি হতে হবে পাসপোর্ট সাইজের)
- ইংরেজিতে লিখিত সিভি
- কাজের অভিজ্ঞতার সনদপএ
- পূরণকৃত আবেদন ফরম
সুতরাং বলা যায় যে, উপরোক্ত পদগুলোতে আপনি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 এ আবেদন করে সহজেই অস্ট্রেলিয়া আসতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া :
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো :
- প্রথমে সঠিকভাবে আবেদন পত্র পূরণ করুন
- আবেদন পত্রের সাথে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস যেমন কাজের অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পাসপোর্ট সংযুক্ত করুন।
- এবার ফি পরিশোধ করুন
- আপনার সকল নথিপত্র এবং আবেদন পত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানে যাচাইয়ের জন্য দাখিল করুন।
- আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত থাকুন এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন।
সুতরাং উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় আপনি অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নতুন নিয়মাবলী :
অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অনেকগুলো নতুন নিয়ম এসেছে। যে এই পরিবর্তনগুলো আলোচনা করা হলো:
বয়সের পরিবর্তন :
ওয়ার্ক পারমিটেে এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আবেদনকারীদের বয়স নির্ধারণ করা হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী আবেদনকারীকে বয়স সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
মেয়াদকাল :
নতুন নিয়মে উল্লেখিত মেয়াদের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রাপ্তদের কাজে থাকতে হবে।
পেশাগত অভিজ্ঞতা :
নতুন ওয়ার্ক পারমিট এর নিয়ম অনুযায়ী ওয়ার্ক পারমিট প্রাপ্তদের পেশাগত অভিজ্ঞতা প্রমাণিত হতে হবে। আবেদনকারীর কাজের অভিজ্ঞতা এবং পেশা সম্পর্কিত কার্যক্রমের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
নিয়মিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি :
অস্ট্রেলিয়ান সরকার যে কোন প্রয়োজনে পেশার তালিকা পরিবর্তন করতে পারে। এর মাধ্যমে নতুন পেশা অপসারণ ও সংযোজন হবে।
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নতুন নিয়মাবলীর মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে একটি বিশ্বস্ত ও নিশ্চিত পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই নতুন নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত হয়ে যাবেন।
অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার সময় :
একটি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। সাধারণত একটি ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার পর সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে কিছু নির্দিষ্ট সময়সীমা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে। আপনি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার সপ্তাহ বা মাস পরে আপনাকে অবহিত করা হবে।
আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবের সকল কোম্পানির নাম ও ঠিকানা
৫. বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে আপনি চারটি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন।ভিসাগুলো হচ্ছে -
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- মেডিকেল ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- বিজনেস বা টুরিস্ট ভিসা
উপরোক্ত ভিসাগুলির যেকোনো একটি ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। তবে আপনার ভিসা, বৈধ পাসপোর্ট এবং এয়ার টিকিট থাকতে হবে।করণা পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রচুর টুরিস্ট ভিসা দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য একটি সহজ উপায় হচ্ছে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়া।
একজন কর্মী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে বোয়েসেল এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে এবং স্টুডেন্ট হিসেবে যেতে হলে IELTS পরীক্ষা দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে।সুতরাং উপরোক্ত প্রক্রিয়ার আপনি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন। মূলত সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 আবেদন করে সহজেই বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত বছর লাগে:
অস্ট্রেলিয়া যেতে হলে আপনার বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর।আবার অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কাজ করতে হলে আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছর।সুতরাং ১৮ বছরের আগে আপনি অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন না যদিও যান তাহলে আপনার অভিভাবকের পারমিশন নিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব :
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব হচ্ছে ৭১৭১ কিলোমিটার। মেলবোর্ন ফ্লাইটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া দ্রুত যেতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়াতে মেলবোর্ন ফ্লাইটের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার সময় লাগবে ১৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের মতো।
আরও পড়ুনঃ বোয়েসেল রাশিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪
৬. অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা
আপনি যদি সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা পেতে চান তাহলে সরকারি চাকরির ওয়েবসাইট https://immi.homeaffairs.gov.au/ এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে। এখান থেকে নিজের ইচ্ছেমতো আপনি পছন্দের পেশায় এবং পছন্দের এলাকায় কাজ বেছে নিতে পারবেন।তবে আপনি যে কাজে যাবেন সে কাজে যদি অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তাহলে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন।
কাজের ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে যেসব কাজ করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে -
- ওয়েব ডিজাইনিং
- শেফ
- ফুড প্যাকেজিং
- আইটি সফটওয়্যার
- লেবার
- ড্রাইভিং
- কোয়ালিটি ম্যানেজার
- কন্সট্রাকশন
- ইলেকট্রনিক্স
- ক্লিনার
- হোটেল
- কৃষিকাজ
- গবাদি পশু পালন
- ভার্টিকালচার
অস্ট্রেলিয়া লেবার ভিসা :
অস্ট্রেলিয়াতে লেবারের সংখ্যা কাজের তুলনায় কম হওয়ায় প্রতিবছর অনেক লোক লেবার ভিসায় দেশটিতে আনা হয়।অস্ট্রেলিয়ান লেবার ভিসা বানাতে আপনার খরচ হতে পারে দুই থেকে তিন লাখ টাকা। তার চেয়ে বেশিও খরচ হতে পারে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে লেবার ভিসায় যেতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া হোটেল ভিসা:
আপনি যদি রান্নার কাজ ভালো জানেন তাহলে হোটেল ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন। অস্ট্রেলিয়াতে বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্টে রয়েছে যেখানে কর্মীর সংখ্যা খুবই সংকট। অস্ট্রেলিয়ার হোটেল পরিচালনার সকল কর্মীই বিদেশের।অস্ট্রেলিয়ার হোটেলের কাজে রয়েছে প্রচুর সুযোগ সুবিধা। সুতরাং হোটেল ভিসায় যেতে পারেন অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া ক্লিনার ভিসা :
ক্লিনার ভিসার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বাসা বাড়ির অথবা বিভিন্ন অফিসের কাজ করতে পারবেন। প্রতি বছর ক্লিনার ভিসায় অনেক লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।তাছাড়া ক্লিনার ভিসায় বিভিন্ন মার্কেট বা হোটেলে ক্লিনারের জব করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া সেফ ভিসা:
সেফ শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে রাঁধুনি। আপনি যদি ভালো রান্নার কাজ জানেন তাহলে সেফ ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।এই ভিসায় যেতে প্রথমে আপনাকে ভিসা তৈরি করতে হবে। বিদেশে গিয়ে রান্নার কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যদি এ ভিসায় ভালো বেতন পেতে চান তাহলে অবশ্যই রান্নার কাজ শিখে অস্ট্রেলিয়া যাবেন।
অস্ট্রেলিয়া মেকানিক্যাল ভিসা:
অস্ট্রেলিয়াতে মেকানিক্যাল কাজে রয়েছে প্রচুর চাহিদা। আপনি যদি এ কাজে ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে যান তাহলে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। মেকানিক্যাল ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মত খরচ হবে। মেকানিক্যাল ভিসায় আপনি ভালো ভালো কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া ওয়েব ডিজাইনিং ভিসা:
অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ওয়েব ডিজাইনার না থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিংয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ওয়েব ডিজাইনিং ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবেন।অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েব ডিজাইনিং ভিসায় যেতে আপনার ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
অস্ট্রেলিয়া কনস্ট্রাকশন ভিসা:
আপনি যদি কনস্ট্রাকশন ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনার তেমন কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার নেয়,শুধুমাত্র কনস্ট্রাকশন কাজে দক্ষতা থাকতে হবে।কনস্ট্রাকশন ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
আইটি সফটওয়্যার অস্ট্রেলিয়া ভিসা:
বাংলাদেশের এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের সফটওয়্যার এর উপর ভালো দক্ষতা রয়েছে। তারা অস্ট্রেলিয়ায় এসে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আইটি ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।একজন আইটি সফটওয়্যার হিসেবে অস্ট্রেলিয়াতে যদি ক্যারিয়ার গড়েন তাহলে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :
- পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে)
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- চার কপি রঙিন ছবি(ছবি অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে)
- অস্ট্রেলিয়ান ভিসা ফর্ম
- নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্টস
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- করনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট
- প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫
অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন :
অস্ট্রেলিয়ান কাজের ভিসার আবেদন আপনি এজেন্টের এজেন্সি অথবা অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসি থেকে করতে পারেন। আমি যদি সরকারিভাবে ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে নিম্নোক্ত ধাপ গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
- সবসময় অস্ট্রেলিয়ান সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে । আপনার যোগ্যতার সাথে যে চাকরিটি মিলে যাবে সেই চাকরিতে আবেদন করে ফেলুন।
- চাকরিতে আবেদন করার পূর্বে আপনার একটি প্রফেশনাল সিভি তৈরি করে নিন।
- চাকরি নির্বাচন এবং কোম্পানি সিলেক্ট করার পর তাদের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে নিন। এবার একটি সিভি কভার লেটার সহ কোম্পানির মেইল এড্রেস এ ইমেইল করুন।
- অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিগুলো মূলত যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করে। আপনি যদি আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নির্বাচনকৃত কোম্পানিতে সিলেক্ট হন তাহলে আপনাকে ইমেইলে জানিয়ে দেয়া হবে।
- পরবর্তী ধাপে অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসিতে আপনার বায়োমেট্রিক, ভিসা প্রসেসিং এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
- একাধিক কোম্পানিতে আপনি আবেদন করে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার সিলেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আপনি যদি বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করেন তাহলে আপনার এপ্লিকেশন কোয়ালিটি অনেক উন্নত হবে।
অস্ট্রেলিয়া জব ওয়েবসাইট :
অস্ট্রেলিয়া কয়েকটি ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন ও খবরা খবর প্রকাশ করে থাকে। কাজের ভিসার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটটি হচ্ছে https://immi.homeaffairs.gov.au/visas/working-in-australia।সরকারি এই ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন কাজ এবং উক্ত কাজে কতজন কর্মী নিয়োগ দেয়া হবে তাদের বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হয়। ওয়েবসাইটটিতে আপনি কোম্পানি এবং পেশার নাম উল্লেখ করে সার্চ করতে পারবেন। এখানে আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির চাকরি সিলেক্ট করতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়ার কাজের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে এরকম আরো কয়েকটি ওয়েবসাইট হচ্ছে https://www.seek.com.au/ এবং https://www.y-axis.com/visa/work/australia/।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
৭. অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন আপনি সরাসরিভাবে অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে আবেদন করতে পারবেন। আবার বিশ্ববিদ্যালয় নিবন্ধিত এজেন্টের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো :
- প্রথমে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে ভিসা আবেদনের সাথে যুক্ত করতে হবে। যদি কাগজপএ গুলো ইংরেজিতে অনুবাদকৃত না হয় তাহলে অনুমোদিত অনুবাদক দ্বারা অনুবাদ করে যুক্ত করতে হবে।
- ভিসা আবেদনপএ পূরণ করা হলে ভিসা ফি দিতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য ৫৬০ অস্ট্রেলিয় ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে। অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারবেন।
- স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার পর বিষয়টি যাচাই করে যদি আরো অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজন হয় তাহলে ই-মেইলে আপনাকে জানানো হবে। যদি ভিসাটি মঞ্জুর হয়ে যায় তাহলে ভিসা নম্বর ও অন্যান্য শর্তাবলী ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। আর যদি মঞ্জুর না হয় তাহলে এর কারণগুলোও জানিয়ে দেয়া হবে।
স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সবার কাছে একটি স্বপ্নের মতো। বিশ্বের যে কয়টি দেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে যায় তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান হচ্ছে তৃতীয়। বিশ্বের নামীদামী সকল বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত।শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, বিশ্বের প্রায় সকল দেশ থেকেই অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করতে যায়।অন্যান্য দেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়াতে কম খরচে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা করার জন্য দেশটি খুবই জনপ্রিয়। স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো হচ্ছে :
- যে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেটির অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- মেডিকেল রিপোর্ট
- যদি স্বামী-স্ত্রী বিবাহিত হয় তাহলে তাদের বিবাহ সনদ এবং সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে জন্ম সনদ।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করে থাকলে তার রেকর্ড ও ছাড়পত্র
- স্পন্সরের আয়ের উৎসের কাগজপত্র
- স্পন্সারের সাথে আবেদনকারীর সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে পাসপোর্ট , জন্ম সনদ বা স্কুলের কাগজপত্র ইত্যাদি।
- সকল বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও কর্মদক্ষতার প্রমাণ পত্র।
- স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণপত্র
অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট ভিসা হওয়ার পর করণীয় :
স্টুডেন্ট ভিসা তখনই মঞ্জুর হবে যখন আপনি এক সেমিস্টারের টিউশন ফি জমা দিবেন এবং ভিসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শর্ত মানবেন। এতে অস্ট্রেলিয়া যেতে আপনার আর কোনো বাঁধা থাকবে না।
একজন শিক্ষার্থীকে বিমানের টিকিট, সেমিস্টার ফি এবং এক মাস অস্ট্রেলিয়াতে থাকার জন্য প্রায় লাখ দশেক টাকা খরচ করতে হয়। এর ফলে দেখা যায় যে পরবর্তী সেমিস্টার ফি দিতে তারা হিমশিম খান। অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিজের টাকা নিজে জোগাড় করে। যদি আপনার পারিবারিক অবস্থা ভালো না হয় তাহলে দেশে থাকতেই কঠোর পরিশ্রম করার মানসিক অবস্থা নিয়ে আসতে হবে।
বিদেশে পড়াশোনা ঠিকমতো চালিয়ে যেতে হবে, আপনার পরীক্ষা পাশের গড়মিল এবং ক্লাসে উপস্থিতির হার কম হলে যেকোনো সময় ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে ।
অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার প্রস্তুতি :
কাজের পরিকল্পনা একটি কাজকে অর্ধেক শেষ করে দেয়।স্টুডেন্ট ভিসা অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে সঠিকভাবে পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।কিছু কিছু বিষয় মাথায় রেখে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসার প্রস্তুতি নিবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই-
আর্থিক অবস্থা :
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে চান এবং সেমিস্টার ফিসহ সকল খরচ নিজে বহন করতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য একটু রিস্ক হতে পারে। যদিও পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি আপনাকে অনেকটা হেল্প করবে তবুও শুধুমাত্র আপনি এই ভরসাতে থাকলে বিপদে পড়তে পারেন।সেজন্য আপনার পারিবারিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। অনেকে আবার ধারদেনা করে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমনটা করা মোটেও উচিত নয়।এটা মন নয় যে আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করতে না যান তাহলে আপনার জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
ভাষাগত দক্ষতা:
অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ মানুষই ইংরেজিতে কথা বলে। সুতরাং আপনাকেও ইংরেজিতে কথা বলা পারতে হবে। যদি ইংরেজিতে ঠিকমত কথা বলতে না পারেন তাহলে অস্ট্রেলিয়াতে টিকে থাকা অনেকটা কষ্টকর হবে। আর আপনি যদি একজন বাংলা মিডিয়ামের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ielts স্কোর হতে হবে কমপক্ষে ৬।আর যদি আপনি ইংরেজি মিডিয়ামে শিক্ষার্থী হন তাহলে আপনার আইইএলটিএস না দিলেও চলবে।
সাবজেক্ট চয়েজ :
আপনি কোন বিষয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করতে যাবেন সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশের চাকরির বাজার অনুযায়ী ডিমান্ড লিস্ট থাকে।অর্থাৎ বিদেশে যে বিষয়ের চাকরির বাজার ভালো সে বিষয়ে যদি আপনি পড়াশোনা করেন তাহলে চাকরি পাওয়ার চান্স অনেকটাই বেশি থাকবে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় যে এমন একটি বিষয় যেটার কোনো ডিমান্ড লিস্ট নেই অথচ টিউশন ফি অনেক বেশি। অনেক নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে টিউশন ফি বেশি। এক্ষেত্রে অনেকেই অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর টিউশন ফি বেশি দেখে বিষয় পরিবর্তন করতে চায়।এতে ব্যাপারটা আরো জটিল হয়ে যায়। সুতরাং নিজ দেশে থাকতে এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করে নিবেন।
আপডেট রাখা :
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে ভর্তির জন্য আবেদন সবকিছু করতে করতে কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় পেরিয়ে যায়।তাই সব সময় চেষ্টা করুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আপডেট রাখার।
স্পন্সর নিশ্চিত করা :
আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনি অস্ট্রেলিয়া গিয়ে পড়াশোনা চালাতে পারবেন এজন্য ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রেখে তার স্টেটমেন্ট দূতাবাসে জমা দিতে হবে। মূলত এখানে মা-বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর বেশি প্রয়োজন হয় এবং বাবা মার ব্যাংক স্টেটমেন্টকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে আপনার বাবা-মাকে বলা হয় স্পন্সরশিপ।অনেকে বাবা-মার স্টেটমেন্ট না দেখিয়ে অন্য আত্মীয়-স্বজনেরও স্টেটমেন্ট দেখায়। একসময় নিজের স্পনসরশিপ নিজেই হওয়া যেত কিন্তু এখন আর তেমনটা করার সুযোগ নেই।
আপনার কোর্সের তিন বছরের কোর্স ফি যদি হয় পঞ্চাশ হাজার ডলার, তাহলে আপনাকে বছরের ১৬ হাজার ৬৬০ ডলার এবং অন্যান্য খরচ স্পন্সরের ব্যাংকে দেখাতে হবে।সুতরাং সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 আবেদন করে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়াতে পার্টটাইম জবের অবস্থা :
অস্ট্রেলিয়াতে আপনি পার্ট টাইম উইকলি ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। এতে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে আপনার ফুড কস্ট এবং একোমোডেশন কাভার করতে পারবেন। তবে টিউশন ফি আপনার ফ্যামিলি থেকে নিতে হবে। সেজন্য আপনার ফ্যামিলি সাপোর্ট করতে পারবে এরকম ইউনিভার্সিটি খুঁজে বের করবেন। সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জবও করতে পারবেন।
পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া কেন ভালো :
অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করতে যাওয়ার একটি ভালো সুবিধা হচ্ছে আপনার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর একটি জব অফার পাবেন অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে পড়াশোনা করছেন সেই বিষয়ের উপর চাকরির অফার। অফারটি সাধারণত দেয়া হয় দু'বছর থেকে চার বছর পড়াশোনা করার পর।এটি মূলত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত। তবে অফারটি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে আপনি কোন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন এবং কোন সিটিতে আছেন। অস্ট্রেলিয়াতে অনেকদিন কাজ করার পর আপনি চাইলে পার্মানেন্ট রেসিডেন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই রেসিডেন্টের জন্য আবেদন করলে অস্ট্রেলিয়াতে নাগরিকত্ব পাবেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন।আপনি যদি পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেন তাহলে আজই সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু ২০২৪ স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করে ফেলুন।
টিউশন ফি পাঠানোর প্রক্রিয়া :
টিউশন ফি পাঠানো খুবই সহজ। প্রথমে আপনি যেকোনো একটি ব্যাংকে গিয়ে বিশেষ করে প্রাইভেট ব্যাংকে একটি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলবেন। তারপর ইউনিভার্সিটি ব্যাংকে ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার করবেন।যদি আপনার ইউনিভার্সিটি টাকা পায় তাহলে তারা আপনাকে একটি মানি রিসিট দিবে। এটি হচ্ছে টিউশন ফি পাওয়ার প্রমাণস্বরূপ দেওয়া হবে। মানি রিসিট পাওয়ার পর আপনাকে কনফারমেশন অফ ইনরোলমেন্ট পাঠানো হবে।এটি পাওয়ার পর আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করে ফেলুন।
টিউশন ফি এর পরিমাণ :
ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্ট লিস্ট পাঠানোর পর আপনার কাছে এপ্লিকেশন ফি চাবে। বিভিন্নভাবে আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন, আপনার কোনো আত্মীয় যদি অস্ট্রেলিয়াতে থাকে তার মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন, আবার কর্তৃপক্ষ আপনাকে কন্ডিশনাল লেটার পাঠিয়েও টিউশন ফি চাইতে পারে। এখন টিউশন ফি হতে পারে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এই সমপরিমান অর্থ আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। টিউশন ফি মূলত নির্ভর করে পড়ার খরচ এবং কোর্সের ধরণের উপর। আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ভর্তি হন তাহলে টিউশন ফি পনেরো হাজার থেকে ৩০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার পে করতে হবে।আপনি যদি স্কলারশিপ পেতে চান তাহলে আপনার একাডেমিক ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে। আপনার আইইএলটিএস স্কোর ভালো হতে হবে।
অস্ট্রেলিয়াতে কোর্সের ধরণ:
অস্ট্রেলিয়া মূলত মাস্টার্স, ব্যাচেলর্স,ডিপ্লোমা ইন পিএইচডি,এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন অফার করে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি অফার করা হয় মাস্টার্স এবং পোস্টমাস্টার্স ব্যাচেলর্স ডিগ্রির জন্য। এ সকল ডিগ্রী বা কোর্স মূলত প্রফেশনাল কোর্স। আপনি যদি ম্যানেজমেন্ট এর উপর ডিপ্লোমা নিতে চান তাহলে আপনাকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স নিতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার যোগ্যতা :
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাচেলর্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে এইচএসসি পাসকৃত হতে হবে এবং আপনার একাডেমিক রেজাল্ট থাকতে হবে ৩.৫ ০এর উপরে । তবে আপনার রেজাল্ট যদি খারাপ হয় অর্থাৎ ৩.৫০ এর নিচে হয় এবং আপনার IELTS স্কোর ভালো হয় তাহলেও আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণে ভিসা পেতে একটু সমস্যায় পড়তে পারেন। আবার আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার ব্যাচেলর্স ডিগ্রিতে ৬০% মার্কস থাকতে হবে। মাস্টার্স করার পর আপনি পোস্ট গ্রাজুয়েশন বা ডিপ্লোমার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউনিভার্সিটি নির্বাচনের পদ্ধতি :
আপনার আইইএলটিএস স্কোর যদি ৬ এর উপর হয় তাহলে আপনার পরবর্তী কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা। ইউনিভার্সিটি খুঁজে পাওয়ার জন্য গুগলে অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটি লিখে সার্চ করবেন। গুগলে অস্ট্রেলিয়ান সকল ইউনিভার্সিটি লিস্ট পেয়ে যাবেন। তারপর প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইটে গিয়ে কোর্স অফার, টিউশন ফি অন্যান্য খরচ সবকিছু সম্পর্কে ধারণা নিবেন। তারপর আপনার ফ্যামিলির কন্ডিশন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ কাতার ভিসা কি বন্ধ ২০২৪
৮.অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা
বর্তমানে অনেক মানুষেরই স্বপ্ন হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করা। ইউরোপের দেশগুলোতে অনেক ধরাবাঁধা নিয়ম থাকার কারণে তা আর ভ্রমণ করা হয়ে উঠে না। তবে বর্তমানে খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়াতে ভ্রমণ করতে পারেন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যদিও তাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অনেক ধরনের ভিসা সার্বিসের মধ্যে টুরিস্ট ভিসা অন্যতম।বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। আপনি চাইলে আপনিও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদি আরো মেয়াদ বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে দেশে এসে মেয়াদ বাড়াতে হবে। আবার যদি ৯০ দিনের বেশি অবস্থান করতে চান তাহলে আপনাকে যথেষ্ট কারণ দেখাতে হবে। যদি কোনো কারণ দেখাতে না পারেন তাহলে আপনাকে ভেরিফিকেশন করে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
টুরিস্ট ভিসার আবেদন :
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করতে চান তাহলে আপনার travel বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং আপনার ট্রাভেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার সময় তাদের রিকোয়ারমেন্ট গুলো পূরণ করে আবেদনপত্রের সাথে এটাচ করে দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া টুরিস্ট ভিসা ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি এম্বাসি থেকে আবেদন করতে চান তাহলে ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসি থেকে আবেদন করতে হবে।
টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হচ্ছে :
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৪ কপি)
- বিমান টিকিট এর ফটোকপি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র (স্বাক্ষরিত)
- হোটেলের বুকিং এর ফটোকপি
- পূর্বে ট্রাভেল অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- দেশে ব্যাক আসার বিমান টিকিটের ফটোকপি
টুরিস্ট ভিসার দাম:
টুরিস্ট ভিসার দাম কত হবে তা নির্ভর করবে আপনি কতদিন টুরিস্ট ভিসায় থাকতে চান। আপনি যদি ৯০ দিন মেয়াদে টুরিস্ট ভিসায় থাকতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১২ ৫৯০ টাকা। অন্যান্য আরো খরচ এবং হোটেল বুকি, বিমান ভাড়া সবকিছু নির্ভর করবে আপনার উপর।
অস্ট্রেলিয়া ভিজিট ভিসা পাওয়ার সময় :
অস্ট্রেলিয়া ভিজিট ভিসা পেতে কতদিন লাগবে তা নির্ভর করবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ, আবেদনের সময়ের উপর। সাধারণত একটি অস্ট্রেলিয়ান ভিসা আবেদন করে প্রক্রিয়াকরণ হতে দুই থেকে ছয় মাস সময় লাগে। আবার আপনি যদি পর্যটন ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে তা দুই থেকে চার মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবার আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে চার থেকে ছয় মাস সময় লাগবে। আপনি যদি ভিজিট ভিসার প্রক্রিয়াকরণের সময় কমাতে চান তাহলে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন -
- ভিজিট ভিসার আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- যতদ্রুত সম্ভব আবেদন পত্রটি জমা দিতে হবে।
- অর্থ প্রদানের রশিদ আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
- একটি আবেদন ফি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
টুরিস্ট ভিসা করতে ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমাণ :
অস্ট্রেলিয়া ভিজিট ভিসা করতে কত টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে তা নির্ভর করবে ভ্রমণের খরচ এবং ভিসার মেয়াদের উপর। সাধারণত একদিনের খরচ হিসাব করা হয় ৫০ থেকে ১০০ ডলার। সুতরাং ১০ দিনের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে ভ্রমণ করতে যেতে হলে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার।
অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটের মতে যিনি ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাকে প্রমাণ করতে হবে যে তার ভ্রমণের খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত সামর্থ্য রয়েছে। এটি প্রমাণ করার জন্য আবেদনকারীর বেতন পএ,ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা অন্য কোনো আর্থিক দলিলপত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণ হিসেবে নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলো জমা দিতে পারেন :
- আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে চাকরির বেতন পত্র
- যদি ব্যবসা করেন তাহলে ব্যবসার আয়ের দলিল
- ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট (যেখানে ছয় মাসের লেনদেনের বিবরণ এবং বর্তমান ব্যালেন্সের তথ্যাদি রয়েছে)
এ সম্পর্কিত আরো তথ্যের প্রয়োজন হলে আপনি অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসি ফি :
অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসি ফি নির্ভর করবে ভিসার ধরনের উপর। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের হিসাব মতে, অস্ট্রেলিয়ান এম্বাসি ফি নিচে দেয়া হলো:
- ছয় মাসের কম শর্ট টার্ম ভিসার জন্য দশ হাজার টাকা
- ছয় মাস থেকে দুই বছর অর্থাৎ মিডিয়াম টার্ম ভিসার জন্য ১৫ হাজার টাকা
- দুই বছরের বেশি অর্থাৎ লং টার্ম ভিসার জন্য ২০ হাজার টাকা।
আবার ওয়ার্ক পারমিট এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। ওয়ার্ক পারমিটের ফি হচ্ছে ১০ হাজার টাকা এবং স্টুডেন্ট পারমিটের ফি ৫ হাজার টাকা।
অন্যান্য এম্বাসি ফি গুলো হচ্ছে :
- পাসপোর্ট এর সার্টিফিকেশন ফি হচ্ছে ১০০০ টাকা
- ইমিগ্রেশন সার্ভিস ফি হচ্ছে ৩০০০ টাকা
- লথিপত্রের অনুলিপি ফি, প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ২০ টাকা।
আপনি যেকোনো ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া এম্বাসি ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ড্রাফট করার সময় পেমেন্টের বিষয়বস্তুতে 'অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন ঢাকা 'লিখা থাকতে হবে।
টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসার আবেদন করা :
টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া ভিসার আবেদন করা যাবে না। টুরিস্ট ভিসার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে পর্যটন বা ভ্রমণ। এই ভিসা দিয়ে কাজ করা যাবে না। অস্ট্রিয় সরকারের আইন অনুযায়ী যেসব ব্যক্তিরা পর্যটন ভিসায় আসবে তারা অস্ট্রেলিয়ার কোন ধরনের কাজ করতে পারবে না। যদি টুরিস্ট ভিসা ধারণকারী কোন ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন ১: বোয়েসেল এর ওয়েবসাইটের নাম কি?
উত্তর: বোয়েসেল এর ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে www.boesl.gov.bd
প্রশ্ন ২: ছয় মাসের কম শর্ট-টার্ম ভিসার এম্বাসি ফি কত?
উত্তর: ছয় মাসের কম শর্ট-টার্ম ভিসার এম্বাসি ফি হচ্ছে দশ হাজার টাকা।
প্রশ্ন ৩: ৯০ দিন মেয়াদে টুরিস্ট ভিসার দাম কত?
উত্তর: ৯০ দিন মেয়াদে টুরিস্ট ভিসার দাম হচ্ছে ১২,৫৯০ টাকা।
প্রশ্ন ৪: টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত দিন হয়ে থাকে?
উত্তর: টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন।
প্রশ্ন ৫: স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে এইচএসসির রেজাল্ট কেমন হতে হবে?
উত্তর: স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে এইচএসসির রেজাল্ট হতে হবে ৩.৫০ এর উপরে।
প্রশ্ন ৬: স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়াতে কত সময় পার্ট টাইম জব করা যায়?
উত্তর: স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়াতে উইকলি ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করা যায়।
প্রশ্ন ৭: অস্ট্রেলিয়া কৃষি ভিসার দাম কত?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ভিসার দাম পরবে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন ৮: অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের আবেদন প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের আবেদন প্রসেসিং হতে ১৪ মাস সময় লাগে।
প্রশ্ন ৯: অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে সিটিজেন পরীক্ষায় কত পেলে পাশ?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেতে সিটিজেন পরীক্ষায় ৭৫ পেলে পাশ।
প্রশ্ন ১০: পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে কত দিন অবস্থান করতে হয়?
উত্তর: পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে ৪ বছর অবস্থান করতে হয়।
১০. লেখকের মন্তব্য
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024, সরকারিভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিশাল কর্মী নিয়োগ, অস্ট্রেলিয়া কৃষি কাজের ভিসা 2024, বোয়েসেল অস্ট্রেলিয়া নিয়োগ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকার আসবে।সরকারি ভাবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আবেদন শুরু 2024 রিলেটেড কোনো কিছু অজানা থাকার কথা নয়। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত,পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ভিসা রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech। ধন্যবাদ।
লেখক: মোসা: কবিতা
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url