সৌদি আরবের সকল কোম্পানির নাম ও ঠিকানা
বর্তমান সময়ে যারা বিদেশে গিয়ে ভালো আয় করতে চাচ্ছে
তাদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে সৌদি আরব।বিশেষ করে যারা মুসলিম সম্প্রদায় তাদের জন্য সৌদি আরব
খুব পছন্দের দেশ। এজন্য যারা সৌদি আরবেপ্রবাসী হতে চাচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির
ভিসার মাধ্যমে যেতে সৌদি আরবের কোম্পানিরনাম ও ঠিকানা জানতে চায়। অনেকেই স্বপ্ন নিয়ে বিদেশেযাওয়ার চেষ্টা করেও অনেক প্রতারকের মাধ্যমে প্রতারিতহয়ে টাকা-পয়সা, জমি-জমা সব নষ্ট করে নিঃস্ব হয়ে যায়। এজন্য প্রবাসী হওয়ার আগে যে দেশে যেতে চাচ্ছে, সেদেশের নিয়ম-কানুন, বেতন-ভাতা ও যে কাজের জন্য যেতেচাচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া অতীবজরুরী। আমাদের আজকের আর্টিকেলে যারা সৌদি আরবেপ্রবাসী হতে যাচ্ছে এবং সৌদি আরবের বিশ্বস্তবিভিন্ন কোম্পানির নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে,তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
আর্টিকেল সূচিপত্র - সৌদি আরবের সকল কোম্পানির নাম ও ঠিকানা
১. সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা
সৌদির কোম্পানি ভিসার ব্যাপারে অনেকেই জানেন না। সৌদির কোম্পানি ভিসা বাবদ কত খরচ হবে সে সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। আজ আর্টিকেলের এই সেকশনে আমরা সৌদির কোম্পানি ভিসার খরচ সম্পর্কে বলবো। আপনার আপনজন থাকলে স্বল্প টাকায় কোম্পানির ভিসা পেতে পারেন। বাংলাদেশি ভন্ড বা প্রতারকের মাধ্যমে সৌদির কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে খরচ হবে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো। নিচে সৌদির কিছু ভালো কোম্পানির নাম দেওয়া হলো।
আজকাল দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিসা পেয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা যায়, এজেন্সিগুলো সঠিক ভিসা দেওয়ার দাবি করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এবং অনেকে দাবি করে যে ভিসা নিশ্চিত না করেই ভিসা দেওয়া হয়েছিল।এসব এজেন্সি থেকে ভিসার জন্য শত শত টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। আর ভিসা সমস্যার কারণে অনেকেই সৌদি আরবে যেতে হিমশিম খায়। আপনি পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে ভিসা নিজেই পরীক্ষা করতে পারেন।
অনলাইন থেকে ভিসা দেখে আপনার ভিসা ঠিকঠাক আছে কি না, কোন কোম্পানির ভিসা আছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে গুগল ক্রোমে প্রবেশ করতে হবে। তাদের ভিসা যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইট রয়েছে (https://visa.mofa.gov.sa)। আপনি ওয়েবসাইটে ভিসা চেক করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট নম্বর প্রদান করতে হয়।তারপর আপনার ভিসার ধরন নির্বাচন করতে হবে। এটি সঠিকভাবে করার জন্য আপনাকে একটি ক্যাপচা টাইপ করতে হবে। এরপর, আপনি "জমা দিন" অপশনে ক্লিক করে সমস্ত ভিসার তথ্য পাবেন।
২. সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সৌদির কোম্পানির ভিসা হাতে পাওয়ার আগে প্রত্যেক প্রবাসী সেখানকার বেতন জানতে চায়। সৌদিতে বেতন সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির কোম্পানির ভিসা দিয়ে থাকে। এই কোম্পানী গুলোতে বেশ কয়েকটি পদ রয়েছে যার মধ্যে বেতন কাটা বা বৃদ্ধি জড়িত। সৌদির কোম্পানি ভিসায় সর্বনিম্ন 35,000 থেকে 80,000 টাকা পর্যন্ত বেতন পাওয়া যায়। এছাড়া আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে, আপনি ভাল বেতনের কাজ করতে পারবেন কিনা। এসব ক্ষেত্রে, আপনার বেতন কম বেশি হবে। আর আপনার কাজে ওভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ থাকলে বেশি বেতন পেতে পারেন।
সৌদির অনেক কোয়ালিটির কোম্পানি আছে। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির বেতন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যারা বাংলাদেশ থেকে সৌদির কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক হয় তাদের জন্য কোন কোম্পানির বেতন কিরকম তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক কোম্পানির ভিসার আলাদা বেতন থাকে। ড্রাইভারের ভিসার বেতন যেমন আলাদা হয়ে থাকে, কাজের ভিসার বেতনও আলাদা হয়ে থাকে।
১. একজন ড্রাইভার নিয়োগের জন্য ভিসার বেতন 2000 থেকে 5000 রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে।
২. কাজের ভিসার বেতন 800 থেকে 3000 রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে।
৩. সুপারমার্কেটের ভিসার ক্ষেত্রে বেতন 1200 থেকে 1400 রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে।
৩. ভিসা সৌদি আরবের কোম্পানি নাম
সৌদিতে যেতে সৌদি কোম্পানি সমূহের নাম ও ঠিকানা ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যদি সৌদির কোন কোম্পানির নাম না জানেন বা না বুঝে সেখানে কাজ করেন, তাহলে আপনি অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অনেকে প্রায়ই চাকরির প্রস্তাব দিয়ে বা সৌদি গিয়ে ভালো অবস্থানে যাওয়ার জন্য অনেক টাকা পয়সা নেয়।
আপনি যদি তাদের হাতে পড়েন, তবে আপনি সবকিছু হারিয়ে এবং দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে হবে। এভাবে অনেক মানুষ সবকিছু হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পথে বসে যায়। এরা প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরবে আকর্ষণীয় চাকরি এবং কোম্পানির নাম বলে। কিন্তু, নিজেই যদি কোম্পানির নাম জানেন এবং বেতন জানেন তবে অন্য কারো জানার দরকার নেই।
শুধু চাকরি খোঁজা নয়, আপনি যে কাজই করেন আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আপনি যদি ঋণ পেয়ে থাকেন বা কিছু ভুল সংগঠিত হয়ে যায়, তবে আপনাকে সৌদি ফিরে যেতে হবে এবং মধ্যস্থতাকারী খুঁজে বের করতে হবে। আবার, যদি আপনার ভিসা মেয়াদ ফুরিয়ে হয়ে যায় এবং আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ভিসা কোম্পানি আপনার নিকট ভিসা চাইবে। এমন অনেক ধরনের কোম্পানিও রয়েছে, যেখান থেকে আপনি আকাঙ্খিত চাকরি খুঁজে পেতে পারেন খুব সহজেই।
সৌদিতে অনেক ভালো ভালো কোম্পানি আছে। তবে সেগুলোর ভেতর কোন কোম্পানি সেরা তা নিয়ে অনেক ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে এই কোম্পানিগুলি কোন ধরনের স্ক্যামার প্রতিষ্ঠান নয় এবং কাঙ্খিত সেবা প্রদান করে থাকে।
এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার দ্বারা আল ইয়া-মামা নামে একটি কোম্পানি খুঁজে পাওয়া যাবে।যেটার বিশেষত্ব হলো, সৌদি আরবের অন্যতম বড় কোম্পানি বা সংস্থা। এ প্রতিষ্ঠান সদর দপ্তর সৌদির বিখ্যাত শহর দাম্মামে অবস্থিত।
নিচে আরও অনেক ভালো ভালো কোম্পানির নাম দেওয়া হল:
১. সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি (SABIC) —-------- রিয়াদ
২. সাভোলা গ্রুপ—--------জেদ্দা
৩. ইয়ানবা ন্যাশনাল পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি—-------রিয়াদ
৪. দারালকান রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি—-----রিয়াদ
৫. আবদুল্লাহ আল-ওতাইম মার্কেট—----রিয়াদ
৬. আল ফয়সালিয়া গ্রুপ—----রিয়াদ
৭. আল শুরা গ্রুপ—-----রিয়াদ
৮. Advanced Electronics Co., Ltd.--------রিয়াদ
৯. রিয়াদ—------রিয়াদ
১০. আলবায়ান হোল্ডিং গ্রুপ—------রিয়াদ
১১. জলিল বইয়ের দোকান—---রিয়াদ
১২. তুর্কি গ্রুপ—----- A.A
১৩. জামিল স্টিল হোল্ডিং
১৪. আবদুল্লাহ ফাওয়াদ গ্রুপ অব কোম্পানি
১৫. মুহাইদব
১৬. কুদু—---রিয়াদ
১৭. আল ইয়াউম
১৮. মার্ডেন—------রিয়াদ
১৯. নাদক—-----রিয়াদ
২০. পান্ডা খুচরা কোম্পানি—------রিয়াদ
২১. ওমরানিয়া—---রিয়াদ
২২. SACO হার্ডওয়্যার—----রিয়াদ
২৩. caim—-----রিয়াদ
৪. সৌদি আরবের কোম্পানি নাম আল মারাই
বাংলাদেশ থেকে শত শত মানুষ বিভিন্ন কোম্পানিতে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরবে যায়। এটি সৌদির অন্যতম ভাল কোম্পানি গুলোর একটি। এটি বেতন এবং ওভারটাইম কাজের সুযোগ ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাই, বিদেশ যাওয়ার আগে, যে কোম্পানিতে যেতে ইচ্ছুক তার সাথে পরিচিত হওয়া অতীব জরুরি।
আজ আমরা সৌদির আল মারাই কোম্পানির আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে, কাজের সময় সহ বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। আপনি আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই সেকশনটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে, আশা করি আপনার Almari কোম্পানি সম্পর্কে ক্লিয়ার একটি ধারণা পাবেন।
বিদেশী কোম্পানিতে কাজের জন্য যাওয়ার আগে আপনাকে যেই কোম্পানিতে যাবেন সে সম্পর্কে পরিষ্কার হতে হবে। আল মারাই ভিসার মাধ্যমে সৌদি যেতে চাইলে আপনাকে এ কোম্পানি সম্পর্কে অবশ্যই পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। আল মারাই সৌদির একটি বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। বার্ষিক ব্যবসায়িক মূল্যের দিক থেকে বিবেচনা করলে এই কোম্পানি সৌদির পঞ্চম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। এটি জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ পেআউট সিস্টেম খুব ভাল। আপনি এখানে ওভারটাইম ডিউটি করে ভাল পরিমান আয় করতে পারেন।
নীচে আমরা সৌদি আরব কর্পোরেট ভিসার ইতিবাচক দিকসমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
১. এটি সৌদির একটি খুব জনপ্রিয় কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম।
২. এই কোম্পানিটি সৌদির পঞ্চম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান।
৩. কোম্পানি প্রধানত দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য এবং ফাস্ট ফুড জাতীয় পণ্য তৈরিএবং প্রক্রিয়াজাত করনের কাজ করে থাকে।
৪. আদর্শ কাজ করার সময় 8 ঘন্টা, তবে ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
৫. ভাল পরিমাণ বেতন স্তর রয়েছে (মূল বেতন এর পরিমাণ হলো 1450 রিয়াল পর্যন্ত)
৬. এই সংস্থাটি আবাসনসহ এবং খাবারের যাবতীয় খরচ বহন করে থাকে। (খাবার খরচ বাবদ সাথে 200 রিয়াল যোগ করা হয়ে থাকে)
৭. এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বীমা পাওয়া যায়। এর মানে অসুস্থ হয়ে পড়লে কোম্পানি সাশ্রয়ীভাবে চিকিৎসা বাবদ খরচ বহন করবে।
কাজের ভিসা পেতে তাদের কী করতে হবে তা নিয়ে অনেকে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে থাকে। উপরে উল্লিখিত হিসাবে, আল মারাই প্রাথমিকভাবে একটি দুগ্ধজাত কোম্পানি এবং ফাস্ট ফুড তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান। অতএব, আপনার কাজের ধরন অনেক রকমের হতে পারে। আল মারাই এর বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো :---
১. ক্লিনারদের প্রদত্ত আলমরাই ভিসা
২. আলমরাই ড্রাইভার নিয়োগ ভিসা
৩. ক্যাবিনেট সেলসপারসন নিয়োগ ভিসা
৪. ফ্যাক্টরিতে কাজের ভিসা
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url