OrdinaryITPostAd

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ [সর্বশেষ আপডেট]

এস্তোনিয়া হচ্ছে ইউরোপের একটি সেনজেনভুক্ত দেশ। এস্তোনিয়াতে দিন দিন কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে এস্তোনিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে। এস্তোনিয়া যেতে ইচ্ছুক প্রতিটি মানুষ জানতে চায় এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে । আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব - এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ নিয়ে। এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।

এছাড়াও আরো আলোচনা করব - এস্তোনিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী, এস্তোনিয়া বেতন কেমন,এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে, বাংলাদেশ এস্তোনিয়া দূতাবাস। 

আর্টিকেল সূচিপত্র - এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

১. এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ 

আপনি যদি এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে এস্তোনিয়ার গভমেন্ট সাইট খুঁজতে হবে। এখান থেকে আপনার পছন্দমতো জব সিলেক্ট করবেন। তারপর আপনার পছন্দ করা জবের রিকোয়ারমেন্ট, এক্সপেরিয়েন্স দেখে নিবেন। আপনার যদি মনে হয় জবটি আপনি করতে পারবেন তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

যেসকল কাজে দ্রুত ভিসা মেলে
এমন অনেক জব রয়েছে এস্তোনিয়ার যেগুলোতে তেমন রিকোয়ারমেন্টের প্রয়োজন হয় না যেমন ফুল বাগানে কাজ করা,মাছ ধরা, গবাধিপশু পালন করা, খেত খামারে কাজ করা ইত্যাদি। এসব কাজের তেমন কোনো রিকোয়ারমেন্টের প্রয়োজন না হওয়ায় খুব সহজে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

দক্ষতার ডকুমেন্টস 

এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য আপনার যদি কোন একটা কাজে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে এস্তোনিয়াতে অনেক ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। অনেক সময় আপনি যে কাজ পারেন সে কাজের প্রমাণ হিসেবে আপনার কাছে ডকুমেন্টস চাইতে পারে যেমন আপনি যদি রান্নার কাজ পারেন তাহলে রান্নার কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র যদি দেখাতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি তাড়াতাড়ি ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন।

সাধারণত এস্তোনিয়া এক বছরের ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে থাকে। এক বছরের ওয়ার্ক পারমিটে যা যা থাকবে-

  • এক বছরের একটি কর্মসংস্থান চুক্তিপএ
  • একটি আবাসন বিধানের নথিপত্র 
  • ভিসার জন্য অনুমোদন পএ
  • নিয়োগকর্তা কর্তৃক স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের নিবন্ধন 
এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় নথিপএ জমা দেওয়ার পরে নিয়োগকর্তা আপনার নথিগুলো পর্যালোচনা করবেন এবং প্রয়োজনে আপনার সাক্ষাৎকারও নিতে পারেন। একটি ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করার  ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন। তারপর কুরিয়ারের মাধ্যমে তা আপনাকে পাঠানো হবে।এবার আপনার দেশে অবস্থিত এস্তোনিয়া দূতাবাসে ভিসার জন্য ওয়ার্ক পারমিটটি জমা দিতে হবে। 

২. এস্তোনিয়া ভিসা ফি ফর বাংলাদেশী  

বাংলাদেশী হিসেবে এস্তোনিয়া ভিসা ফি খরচ করতে হবে প্রায় ১২০ ইউরো এর মতো। তবে অন্যান্য সকল ফি বাবদ আপনার খরচ আরো বেশি পরবে। তাছাড়া এস্তোনিয়া যেহেতু সেনজেনভুক্ত দেশ সেজন্য আপনাকে লং টাইমের ভিসা করতে হবে এবং খরচও বেশি পরবে।

৩. এস্তোনিয়া বেতন কেমন 

এস্তোনিয়াতে একজন শ্রমিকের এভারেজ মাসিক বেতন ধরা হয় ৫৪০ ডলার। এস্তোনিয়াতে মাসিক বেতন কত হবে তা নির্ভর করবে কাজের ধরণের উপর। সাধারণত দেখা যায় যে, টিচার বা এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডের বা আইটি রিলেটেড কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রোগ্রামার, সফটওয়্যার Engineer, নেটওয়ার্ক Engineer দের বেতনও অনেক বেশি। মোটকথা আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এস্তোনিয়াতে আপনার ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব। 

৪. এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

এস্তোনিয়া যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরণের উপর। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যান সেক্ষেত্রে এক রকম খরচ পরবে আবার যদি কাজের ভিসায় যান সেক্ষেত্রে খরচ আলাদা হবে। আপনি যদি কাজের ভিসায় এস্তোনিয়া যেতে চান তাহলে আপনার ভিসা ফি বাবদ খরচ পরবে  ১২০ ইউরো। বিমান ভাড়া সহ সকল খরচ মিলিয়ে ৫- ৬ লাখ টাকার মধ্যে এস্তোনিয়া যেতে পারবেন। তবে দালালের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ আরো বেশি পরবে। 

৫. বাংলাদেশ এস্তোনিয়া দূতাবাস 

এস্তোনিয়া দূতাবাস ঢাকার অনারারি কনস্যুলেট, বাংলাদেশ - সাফুরা টাওয়ার, 9ম ফ্লোরতে অবস্থিত।  বনানী সি/এ - 1213, -20 কামাল এভিনিউ  ঢাকা - বাংলাদেশ।

টেলিফোন:

(+880) 1729066424

ই-মেইল হলো:

farhad.ahmed@mfa.ee

৬. এস্তোনিয়া কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া 

এস্তোনিয়ার কাজের ভিসা আবেদন করার কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো : 
  • প্রথমে আপনাকে এটা নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনার নিয়োগকর্তা দ্বারা আপনার কর্মসংস্থানটি নিশ্চিত হয়েছে কি না। এটি নিশ্চিত হওয়ার পর আপনাকে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। 
  • এবার আপনাকে ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফর্মটি এস্তোনিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তবে আপনি আবেদন ফর্মটি অনলাইনে এস্তোনিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন। 
  • এবার এটা নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনার আবেদন পএটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কি না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এস্তোনিয়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য দূতাবাসে সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। ভিসা অনুমোদনের পর আপনাকে আবাসিক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।
এভাবেই আপনি এস্তোনিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

৭. এস্তোনিয়া কাজের ভিসার মেয়াদ 

একটি এস্তোনিয়ান কাজের ভিসার মেয়াদ ভিসা ইস্যু করার পর থেকে গণনা করা হয়।মূলত একটি এস্তোনিয়ার কাজের ভিসার মেয়াদ 12 মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে।ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আপনাকে ভিসার এক্সটেনশনের জন্য আবেদন জমা দিতে হবে।ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে আপনি আইনিভাবে এস্তোনিয়াতে কাজ করতে পারবেন।   

৮. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ কতদিন? 

উত্তর: এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ ১২ মাস বা এক বছর হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন ২: এস্তোনিয়াতে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন কত? 

উত্তর: এস্তোনিয়াতে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন ৫৪০ ডলার হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন ৩: এস্তোনিয়া ভিসা ফি খরচ কত?

উত্তর: এস্তোনিয়া ভিসা ফি খরচ প্রায় ১২০ ইউরো। 

প্রশ্ন ৪: এস্তোনিয়া কাজের ভিসা পাওয়া কি সহজ? 

উত্তর: অবশ্যই এস্তোনিয়া কাজের ভিসা পাওয়া সম্ভব। এস্তোনিয়া ভিত্তিক কোম্পানি থেকে কর্মসংস্থান চুক্তি নিতে পারলে এস্তোনিয়া কাজের ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন। 

প্রশ্ন ৫: কারা এস্তোনিয়া কাজের ভিসা পাবে না?

উত্তর: যাদের বৈধ পাসপোর্ট নেই অথবা যারা এস্তোনিয়া দেশ কর্তৃক প্রাক্তন দোষী সাব্যস্ত বিদেশি তারা এস্তোনিয়া কাজের ভিসা পাবে না। 

প্রশ্ন ৬: বাংলাদেশে এস্তোনিয়া দূতাবাস কোথায় অবস্থিত? 

উত্তর: বাংলাদেশে এস্তোনিয়া দূতাবাস ঢাকার অনারারি কনস্যুলেট, বাংলাদেশ - সাফুরা টাওয়ার, 9ম ফ্লোরতে অবস্থিত।  বনানী সি/এ - 1213, -20 কামাল এভিনিউ  ঢাকা - বাংলাদেশতে অবস্থিত।

৯. লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ নিয়ে। এস্তোনিয়া হচ্ছে এমন একটি দেশ যা বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের কাজের সম্ভাবনা তৈরি করে এবং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করে।আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে সহজেই এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন  আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url