OrdinaryITPostAd

তুরস্ক স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৪

 

প্রতিবছর বাংলাদেশের বহু ছাত্রছাত্রী তুরস্কে স্কলারশিপ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে যান। তুরস্কে প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের সহজ স্কলারশিপ অফার করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক যোগ্য শিক্ষার্থী সঠিক জানাশোনার অভাবে এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন না। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব তুরস্কের সকল ধরনের স্কলারশিপ সম্পর্কে।

এ আর্টিকেলে আমি আরো যেসকল বিষয়ে আলোচনা করেছি:
  • তুরস্কের স্কলারশিপ।
  • স্কলারশিপের প্রকারভেদ।
  • বুর্সলারি স্কলারশিপ ২০২৪।
  • বুর্সলারি স্কলারশিপ আবেদন প্রক্রিয়া।
  • বুর্সলারি স্কলারশিপ আবেদনের ডেডলাইন ও ধাপ।
  • কিভাবে বাসায় বসে বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন।
  • দিয়ানাত স্কলারশিপ ২০২৪।
  • কিভাবে বাসায় বসেই দিয়ানাত স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন।
  • আর্টিকেল সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর।
  • লেখকের মন্তব্য।

আর্টিকেল সূচিপত্র - তুরস্ক স্কলারশিপ ২০২৪


১.তুরস্কের স্কলারশিপ 

তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র্রপতি শাসিত সার্বভৌম  মুসলিম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের এই এই দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত মানের। দেশটির উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা এত বেশি উন্নতি লাভ করেছে,যে তা ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশের চেয়ে বেশি। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার,মেকানিক্যাল,গণিতসহ নানা বিষয়ে দেশটির সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের পাঠদান করা হয়।
দেশটিতে প্রতিবছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহজ ও বিশ্বমানের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।সে কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষালাভের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে দেশটি। IELTS ব্যতিত বিশ্বের যে সকল দেশের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়, তুরস্ক তাদের মধ্যে অন্যতম। ইতিহাস - ঐতিহ্যমণ্ডিত এই দেশটিতে রয়েছে বহু বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।
তুরস্কে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপের আবেদন খুব‌ই সহজ ও অনেকটাই ঝামেলামুক্ত। অনলাইনে ঘরে বসেই তুরস্কে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়া তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয় ও ডরমিটরিগুলো অত্যন্ত উন্নত ও চমৎকার পরিবেশ সমৃদ্ধ। এখানে যে কোনো শিক্ষার্থী স্কলারশিপ নিয়ে খুব সহজেই উচ্চশিক্ষা গ্ৰহণ করতে পারেন।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব তুরস্কের স্কলারশিপ, এর আবেদন প্রক্রিয়া, যেসকল বিষয়ে স্কলারশিপ দেওয়া হয়,ডেডলাইন, সময়সীমা ও অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে। তুরস্কের স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার এই আর্টিকেলটি না টেনে পুরোটা পড়ার অনুরোধ রইল। আশাকরি তুরস্কের স্কলারশিপ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

২. স্কলারশিপের প্রকারভেদ 


তুরস্কে প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুই প্রকারের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।যেমন:
  1. বুর্সলারি স্কলারশিপ,
  2. দিয়ানাত স্কলারশিপ।

৩. বুর্সলারি স্কলারশিপ ২০২৪

তুরস্কের সরকার প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের  বুর্সলারি  স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে বলে একে সরকারি স্কলারশিপ‌ও বলা হয়। সরকার প্রদত্ত এ স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু ছাত্রছাত্রী তুরস্কে প্রতিবছর পড়াশোনা করতে আসেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য আবেদন পড়ে এ স্কলারশিপে তুরস্কে পড়তে যাওয়ার জন্য এবং ৫০/৬০ জন প্রতিবছর পড়তে যান।
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ১০/১২ তারিখে স্কলারশিপটি অফার করা হয় এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ১০/১২ তারিখ পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়। সে ধারাবাহিকতায় এবছর জানুয়ারি মাসের ১০/১২ তারিখে আবেদন শুরু হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ১০/১২ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন স্কলারশিপে তুরস্কে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।

বুর্সলারি স্কলারশিপের সুযোগ সুবিধা 

তুরস্কের বুর্সলারি স্কলারশিপের সুযোগ সুবিধা এত বেশি যে তা ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশের তুলনায় বড়।আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে স্কলারশিপ লাভের জন্য IELTS করা,ব্যাংক ব্যালেন্স থাকা সহ নানা ধরনের খরচ হয়। সে তুলনায় বুর্সলারি স্কলারশিপ এ খরচ নেই বললেই চলে। এছাড়াও বুর্সলারি স্কলারশিপের অধীনে কম খরচে তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যায়।
এসব সুযোগ সুবিধার মধ্যে রয়েছে:
  1. IELTS এর প্রয়োজন নেই,
  2. অন্যান্য Full funded Scholarship এর মত এখানেও কোনো tuition fee নেই,
  3. মাসিক বৃত্তির সুবিধা। অনার্সের জন্য ১০০০ লিরা(৩৮১৫.৭৭ টাকা), মাস্টার্স এর জন্য ১৪০০ লিরা(৫৩৪২.০৮ টাকা)  এবং পিএইচডি এর জন্য ১৮০০ লিরা (৬৮৬৮.৩৯ টাকা)। টাকা ও লিরার এই রেট কম বেশি হতে পারে,
  4. ১ বছরের ফ্রি ভাষা শিক্ষা কোর্স,
  5. যাওয়া ও আসার জন্য Round Air Ticket,
  6. Health Insurance এর জন্য কোনো খরচ নেই,
  7. আবেদন ফি নেই,
  8. Accomodation সুবিধা। অর্থাৎ ডরমিটরিতে বা হোস্টেলে থাকার জন্য কোনো ফি দিতে হবে না,
  9. ব্যাংক ব্যালেন্সের কোনো প্রয়োজন নেই।

বুর্সলারি স্কলারশিপের অসুবিধা সমূহ 

বুর্সলারি স্কলারশিপের এত সব সহজ আবেদন পদ্ধতি ও সুযোগ সুবিধা থাকার পরও এর বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে,যা স্কলারশিপে তুরস্কে পড়তে আসতে চান এমন শিক্ষার্থীদের জানা অতীব জরুরি। তা না হলে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী স্কলারশিপটি পেয়েও অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন ।বুর্সলারি স্কলারশিপের যেসকল অসুবিধা রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:
  1. ভাষা সমস্যা,কারণ সেখানে পড়াশোনার মাধ্যম তুর্কি। তাই একজন শিক্ষার্থী বিদেশি ভাষা হ‌ওয়ার কারণে সেখানে একটু সমস্যায় পড়তে পারেন।যদিও সেখানে একটি এক বছরের ফ্রি ভাষা শিক্ষা কোর্স দেয়া হবে।
  2. পড়াশোনা শেষ করার বা স্কলারশিপটি কমপ্লিট হবার পর যদি ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন না করেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।তবে যদি ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করেন, সেটা ভিন্ন কথা।
  3. পার্ট টাইম কাজ সেখানে চ্যালেঞ্জিং। Peer facilities ও সেখানে চ্যালেঞ্জিং।
  4. স্কলারশিপে নিজে যাওয়ার পর সেখানে Spouse ও Kids দের নিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ সাথে করে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
  5. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি যে, ইতোমধ্যে যদি কোনো টার্কিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা অবস্থায় থাকেন বা এই স্কলারশিপটি আগেও পেয়ে থাকেন,তাহলে এ স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন না।

বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের স্কলারশিপ প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কতগুলো যোগ্যতা নির্ধারণ করে। এসব ক্ষেত্রে ইউরোপ, আমেরিকা,কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মত তুরস্ক‌ও কিছু Basic Requirements নির্ধারণ করেছে যা একজন বুর্সলারি স্কলারশিপে তুরস্কে পড়তে ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীর জানা একান্ত প্রয়োজন। কেননা এসকল Requirements এর উপর স্কলারশিপটি দেয়া হয়।
বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা:
  1. অবশ্যই International Student হতে হবে।
  2. অনার্সের জন্য বয়স ২১ বছর বা তার নিচে হতে হবে।, মাস্টার্স এর জন্য বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ৩০ বছর, অর্থাৎ ৩০ বা তার কম বয়সী হতে হবে। পিএইচডি করার জন্য এই বয়সসীমা ৩৫ বছর বা তার নিচে। এবং ফেলোশিপ এর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪৫ বছর বা তার নিচে হতে হবে।
  3. অনার্স পড়তে ইচ্ছুক বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিগত পরীক্ষার রেজাল্টে ৭০% মার্কস বা GPA থাকতে হবে। Medicine, Health, Dental প্রভৃতি বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুকদের Background বিজ্ঞান হতে হবে এবং বিগত পরীক্ষায় ৯০% মার্কস বা GPA থাকতে হবে।মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্ৰামে আবেদনকারীদের বিগত পরীক্ষায় ৭৫% মার্কস লাগবে ।
  4. অনার্সের জন্য আবেদন করতে গেলে ইন্টার অবশ্যই কমপ্লিট থাকতে হবে, মাস্টার্স এর জন্য আবেদন করতে গেলে অবশ্যই Hons. কমপ্লিট থাকতে হবে, পিএইচডি এর জন্য অবশ্যই মাস্টার্স কমপ্লিট থাকতে হবে এবং ফেলোশিপ এর জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং মাস্টার্স লেভেল পর্যন্ত Complete থাকতে হবে।

বুর্সলারি স্কলারশিপের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

প্রতিটি দেশের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট লাগে। সংশ্লিষ্ট দেশের স্কলারশিপের আবেদনের নিয়মের ক্ষেত্রে এর বিভিন্নতা থাকতে পারে। তবে এমন কিছু ডকুমেন্ট আছে যেগুলো প্রায় সব দেশেই সমানভাবে লাগে। তুরস্কের স্কলারশিপ গুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি অনেকটা এরকমই।
বুর্সলারি স্কলারশিপের আবেদনের জন্য যেসকল কাগজপত্র অতীব জরুরি সেগুলো নিম্নে উল্লেখিত হলো:
  1. ছবি,কারণ সেটা অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
  2. Passport/ NID/ Birth certificate এর ইংরেজি ভার্সন।
  3. Academic Documents (Certificate, Marksheet)। যেহেতু পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় সাথে সাথেই মার্কশিট দিলেও সার্টিফিকেট দিতে কিছুটা সময় লাগে, সেজন্য যদি সার্টিফিকেট না পান বা পেতে দেরি হয় সেক্ষেত্রে প্রভিশনাল সার্টিফিকেট দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। প্রভিশনাল সার্টিফিকেট করারা পদ্ধতি সামনে আলোচনা করব।
  4. একটি কমপ্লিট সিভি।
  5. রেফারেন্স লেটার (২টি)। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছেন সে প্রতিষ্ঠানের ২জন শিক্ষকের রেফারেন্স লেটার/ Recommendation letter স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রয়োজন।
  6. টেস্টিমনিয়াল।
  7. Extra Curricular Activities information (Voluntary works, achievements, competition এর তথ্য বা সার্টিফিকেট)
কাগজপত্র গুলো সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।

অতিরিক্ত ডকুমেন্টস 

বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে বেসিক ডকুমেন্টস তো লাগেই,এর পাশাপাশি আরো কিছু ডকুমেন্টস দিলে ভালো হয়,যেন স্কলারশিপ প্রত্যাশী হিসেবে আপনার প্রোফাইলটা সকলের তুলনায় উঁচু থাকে। কারণ যে কোনো স্কলারশিপ পাবার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডকুমেন্টস আপনার প্রোফাইলকে হাই রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি।
বুর্সলারি স্কলারশিপের আবেদনের জন্য যেসকল অতিরিক্ত ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো নিম্নরূপ:
  1. Achievements (Extra Co-curricular activities যত বেশি দিতে পারবেন,আপনি তত বেশি এগিয়ে থাকবেন। পারলে আপনার সব Achievements এর তালিকা করে রাখুন এবং চেষ্টা করুন পড়াশোনার পাশাপাশি সেগুলো এনরিচ করতে। এতে আপনার বুর্সলারি স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকবেন)।
  2. IELTS/TOEFL/MOI (Medium of Instruction) যদি থাকে তাহলে অবশ্যই এটা যুক্ত করে দিবেন।
  3. Statement of purpose (The most important)/ Motivation letter.
  4. আবেদন করার এক পর্যায়ে আপনাকে Statement of purpose/Letter of intent/Motivation letter আপনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে লিখতে হবে বা Submit করতে হবে।কারণ এই অংশটির উপর‌ই নির্ভর করছে আপনি স্কলারশিপটি পাবেন কি পাবেন না।তাই খুব মনোযোগ সহকারে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
  5. Research Proposal (মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের জন্য)।
  6. Voluntary work experience (Part time/ Full time).
  7. Research/ Publication (Books).
  8. University selection এর বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অঞ্চলভেদে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত সেগুলো চয়েস করতে হবে। যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বড় শহরে অবস্থিত ও অধিক নামকরা (যেমন আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি) সেগুলোতে প্রতিযোগিতা একটু বেশি।

৪.বুর্সলারি স্কলারশিপ আবেদন প্রক্রিয়া 

বুর্সলারি স্কলারশিপ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন।  https://www.turkiyeburslari.gov.tr/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। Program search থেকে নিজের ইচ্ছামত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করতে পারবেন এবং যে কোর্সে পড়তে ইচ্ছুক ও যে অঞ্চলে পড়তে ইচ্ছুক সেটি সিলেক্ট করতে পারবেন।
এ অপশন থেকে Education language অপশনে গিয়ে সেখান থেকে যে ভাষায় পড়তে চান সেটা সিলেক্ট করতে পারবেন।এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাসায় বসেই আবেদন করতে পারবেন।




৫. বুর্সলারি স্কলারশিপ আবেদনের ডেডলাইন ও ধাপ 

বুর্সলারি স্কলারশিপ আবেদন কার্যক্রম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ১০/১২ তারিখে শুরু হবে এবং এর ডেডলাইন ফেব্রুয়ারি মাসের ১০/১২ পর্যন্ত। অর্থাৎ আবেদন কার্যক্রম শুরু হ‌ওয়ার পর আবেদন করার জন্য একমাস সময় বাকি থাকবে। আবেদন কার্যক্রম কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হবে। ধাপগুলো নিম্নরূপ:
  1. সম্পূর্ণ আবেদন অনলাইনে হবে।
  2. অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার পর স্কলারশিপ কমিটি আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি যাচাই বাছাই করবে। যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াটি চলবে মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত। এপ্রিল বা মে মাসের দিকে স্কলারশিপ কমিটি যারা প্রাথমিকভাবে স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদের ইমেইল এড্রেসে একটি মেইল পাঠাবেন।
  3. যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি সিলেক্ট হয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে দেওয়া হবে।যে মেইলটি পাঠানো হবে সেখানে ইন্টারভিউর তারিখ‌ ও সময় উল্লেখ থাকবে। যারা মেইলটা পাবেন কেবল তারাই ইন্টারভিউ দিবেন।
  4. ইন্টারভিউটি মোটেই কঠিন হবে না। আপনি যে Letter of intent দিয়েছেন, পাশাপাশি আপনার Educational background, future plan এবং দেশে এসে আপনার কি পরিকল্পনা রয়েছে, এবং আপনার Subject এ আপনার দেশকে কতটুকু সাহায্য করবে বা দেশের উন্নয়নে কতটুকু সাহায্য করবে এসকল বিষয় নিয়েই মূলত প্রশ্ন করা হয়।
  5. এ ইন্টারভিউ চলবে জুন ও জুলাই মাস পর্যন্ত।আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে ফাইনাল রেজাল্টটি ওয়েবসাইটে ও ইমেইলে দেখা যাবে। এরপর আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত বাকি সময়গুলোতে ভিসা সংক্রান্ত কাজসমূহ করতে হবে,  (একাডেমিক কাগজপত্রসমূহ বোর্ড/পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে অ্যাম্বাসিতে জমা দিতে হবে)।
  6. অ্যাম্বাসি থেকে একটি ছোটখাট মেডিকেল টেস্ট দেওয়া হবে যা অ্যাম্বাসির নির্দেশিত মেডিকেল সেন্টারে করাতে হবে।


৬. কিভাবে বাসায় বসে বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন 

বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদনের পুরো প্রক্রিয়াটিই অনলাইন। এমনকি আপনি যে আবেদন করবেন,সেটাও সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কোনো দৌড়াদৌড়িই করতে হবে না।বাসায় কম্পিউটার,ল্যাপটপ, নোটবুক কিংবা স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই খুব সহজে আপনি আবেদন করতে পারবেন। তবে এই স্কলারশিপ আবেদনের জন্য কিছু কাজ রয়েছে।
চলুন জেনে নেই কিভাবে বাসায় বসেই বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন:
  1. Turkiye Burslari Scholarship website এ গিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য প্রথমে গুগল ক্রোমের search bar এ 'Turkiye Burslari Scholarship ' লিখে সার্চ করলে ওয়েবসাইটটি শুরুতেই চলে আসবে।
  2. ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে উপরের বারে থাকা Application and login অপশনে ক্লিক করলে আপনার নিকট login উইন্ডো চলে আসবে।
  3. Login window থেকে Register অপশনে ক্লিক করলে একটি উইন্ডো আসবে যেখানে Name , Middle name এবং Surname পাসপোর্ট অনুসারে দিতে হবে । 
  4. এরপর Gender, Date of birth, Nationality, Email address, password, Secret question ও Secret answer ঠিকমতো দেওয়ার পর I'm not a robot option এ ক্লিক করে I approve কথাটি tick mark করে Save অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
  5. এরপর একটি উইন্ডো আসবে যেখানে আপনার Name, Middle name, Surname এবং Nationality দেওয়া থাকবে। সেগুলো ঠিক আছে কি না তা দেখে নিয়ে উইন্ডোর নিচে I approve অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে Save অপশনে ক্লিক করে সেভ করতে হবে।
  6. এরপর আপনার প্রদত্ত ইমেইলে ভেরিফিকেশন মেইল চলে আসবে। (আপনার ইমেইল এড্রেসের ইনবক্স অথবা স্প্যাম বক্সে ইমেইলটি পাবেন।) সেখান থেকে আপনার ইমেইল এড্রেসটি কনফার্ম করবেন। কনফার্ম করার পর আগের login উইন্ডোতে পুনরায় চলে আসতে হবে।আসার পর ইমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন অপশনে ক্লিক করে লগইন করবেন ।
  7. Login করার পর একটি উইন্ডো আসবে যেখানে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার জন্য sidebar এ অপশন থাকবে।Sidebar এ লাল চিহ্নিত ও হলুদ চিহ্নিত অপশন থাকবে।লাল চিহ্ন যুক্ত অপশনগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে এবং হলুদ চিহ্নিত অপশন গুলো ঐচ্ছিক।
  8. Personal Information অপশনে ক্লিক করার পর একটি উইন্ডো আসবে যেখানে তথ্য প্রদানের জন্য বিভিন্ন ঘর খালি থাকবে।Edit অপশনে ক্লিক করে প্রথমে Camera চিহ্নিত অপশনে ক্লিক করে আগে থেকে স্ক্যানকৃত ছবিটি আপলোড করতে হবে।ছবিটি ঠিকমতো বসিয়ে OK করতে হবে। এরপর সকল তথ্য মিলিয়ে নিতে হবে।
  9. এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ যেমন Country of birth, City of birth- এগুলো দিতে হবে।এরপর Identification option থেকে Passport/NID/Birth certificate অপশন সিলেক্ট করতে হবে এবং পাশের ঘরে তার নাম্বারটাও লিখতে হবে। এরপর Passport/NID/Birth certificate এর স্ক্যানড কপি আপলোড করতে হবে।
  10. এরপর প্রদত্ত সব তথ্য সঠিক থাকলে Save অপশনে ক্লিক করে সেভ করতে হবে। এরপর Hobbies বা Special training থাকলে সেটাও দিতে পারেন। এগুলো আপনাকে স্কলারশিপটি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখবে।
  11. এরপর Family information option এ গিয়ে মাতাপিতার নাম, ভাইবোনদের সংখ্যা দিয়ে অপশন গুলো পূরণ করে Save অপশনে ক্লিক করে Save করতে হবে।
  12. এরপর Contact information অপশনে গিয়ে পাসপোর্ট অনুসারে Current address ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান পূর্বক কতদিন যাবত দেশে থাকা হচ্ছে সেটাও দিতে হবে। Social media link প্রদানের অপশনগুলো ঐচ্ছিক। অর্থাৎ দিলেও দিতে পারেন,না দিলেও সমস্যা হবে না।এরপরে সবকিছু ঠিক থাকলে Save অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  13. এরপর Educational information অপশনে ক্লিক করে প্রথমে Middle School এ SSC এবং High school এ HSC এর তথ্য দিতে হবে। Associate Degree তে Diploma এবং Bachelor's Degree ও Postgraduate Degree থাকলে সেগুলোর তথ্য‌ও দিতে হবে। Middle School অপশনে ক্লিক করে Country,City , School name দিতে হবে।
  14. নিজের স্কুলের নাম না পেলে Not in the list অপশনে ক্লিক করে নিজ স্কুলের নাম লিখতে পারবেন। এরপর Status, Start date, Graduation date দিতে হবে। SSC এর ক্ষেত্রে Class nine যে বছর শুরু করেছিলেন সেটা Start date এ দিবেন এবং যে বছর SSC এর রেজাল্ট পাবলিশ হয়েছে সে বছর Graduation date হবে।
  15. তথ্য গুলো প্রদত্ত SSC পরীক্ষার মার্কশিটেও পাবেন। সার্টিফিকেট টি অবশ্যই PDF আকারে আপলোড করে দিবেন।এরপর Save অপশনে ক্লিক করবেন।এরপর High school information অপশনে আপনার কলেজের information details গুলো দিয়ে কমপ্লিট ও সেভ করবেন। এরপর Language Details এ Native language সিলেক্ট করবেন।
  16. Native language select করার পর save অপশনে ক্লিক করবেন।এরপর other language skills (যেমন IELTS, TOEFL) থাকলে সেগুলো সিলেক্ট করে দিতে পারেন।না থাকলে সেক্ষেত্রে অপশন থেকে English সিলেক্ট করে level  অপশন থেকে level (Advanced, Beginner, Intermediate) সিলেক্ট করতে পারেন।
  17. Turkish language option এ আপনি Turkish language এ স্কিলড হলে Yes অপশনে ক্লিক করবেন, নতুবা No অপশনটি সিলেক্ট করে Save অপশনে ক্লিক করবেন।
  18. এরপর Work experience অপশন আসবে।। আপনি যেখানে যত বছর কাজ করেছেন সে তথ্য এখানে দিবেন এবং নিচে CV অপশনে আপনার CV দিতে হবে। সেজন্য আপনাকে একটি CV তৈরি করতে হবে।CV আপলোড করার পর Save অপশনে ক্লিক করবেন।
  19. এরপর Academic Qualification অপশনে SAT,GRE,GMAT এধরণের ডিগ্ৰি থাকলে দিবেন। Social activities এ Award, Certificates, Extra -Curricular activities এর information গুলো দিবেন।
  20. Turkiye Experience অপশনটি পূরণ করতে হবে। Turkiye Experience অপশনে Turkiye তে থাকার কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে Yes অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে,নচেৎ No অপশনটি সিলেক্ট করবেন।এরপর নিচের Turkiye Experience এর বেশিরভাগ অপশনে No দিন (যদি Experience থাকে তবে সেটা Yes দিবেন)।
  21. এরপর স্কলারশিপটির তথ্য আপনি কোথা থেকে পেয়েছেন সেটি সিলেক্ট করবেন।এরপর Save অপশনে ক্লিক করবেন। আপনার ইনফরমেশন আপডেট হয়ে যাবে।
  22. এখন Apply এর জন্য Home page এ পুনরায় ফিরে যেতে হবে। সেখানে একটি উইন্ডোতে আপনার তথ্য সমূহ প্রদর্শিত হবে।এ ধাপটি আপনার Scholarship আবেদনের মূল ধাপ।উইন্ডোটির নিচে Submit Application এ ক্লিক করবেন।এরপর একটি উইন্ডো আসবে যেখানে কিছু তথ্য দিতে হবে।
  23. General Commitment অংশের নিচে I have read and accepted all conditions কথাটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save অপশনে ক্লিক করবেন। এরপরের উইন্ডোতে Preference অপশন থেকে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১২টি সাবজেক্ট যোগ করবেন। একটি একটি করে চয়েস করতে হবে।
  24. আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলের জন্য ৩টির বেশি লোকেশন সিলেক্ট করতে পারবেন না।অন্য জায়গায় ৩টি University ও ৩টি Subject অথবা এক‌ই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩/৪টি সাবজেক্ট চয়েস করতে পারবেন (যদি Available থাকে)। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে Save অপশনে ক্লিক করবেন।
  25. এরপর একটি উইন্ডো আসবে যেখানে আপনার সিলেক্টেড ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও ১২ টি সাবজেক্টের নাম দেখাবে।এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও সাবজেক্ট র‌্যাংকিং করতে পারবেন/আগ-পিছ করতে পারবেন।
  26. মনে রাখবেন, এখানে যে বিশ্ববিদ্যালয়কে আগে রাখবেন সেটিই আপনার First Choice হিসেবে গণ্য হবে এবং সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় এবং লোকেশন চয়েস মনোযোগ সহকারে করবেন যেন এখানে কোনোভাবে কোনো ভুল না হয়।প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত তথ্য আগে থেকেই সাজিয়ে নিতে পারেন।
  27. এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে Save অপশনে নিচের ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে Save অপশনে ক্লিক করবেন। এভাবে আপনার চয়েস হয়ে যাবে।
  28. এরপরের উইন্ডোতে লিখতে হবে Letter of intent যেটি আপনার স্কলারশিপ আবেদনের পুরো প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে letter of intent বলতে বুঝানো হয়েছে এই সাবজেক্টে আপনি কেন পড়তে চাচ্ছেন বা এ সাবজেক্টে পড়ার উদ্দেশ্য কী, আপনার লেখাপড়ার আগ্ৰহ, কোন সাবজেক্টে পড়তে আগ্ৰহী এসব‌ই।
  29. আপনার সাবজেক্ট টি ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে কিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে,এ সাবজেক্টটা দেশে কিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, ভবিষ্যতে এ সাবজেক্টটা কেমন সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে, আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা - এসব‌ও letter of intent এর অন্তর্ভুক্ত।এসবকিছু সাজিয়ে Paragraph এর মতো লিখতে হবে।এই দুটি বক্সকে অবশ্যই ফিলাপ করতে হবে।
  30. লেখার পর ভুলভ্রান্তি আছে কিনা সেটা দেখে নিবেন এবং সামনে Proceed করবেন।মনে রাখবেন, Letter of intent স্কলারশিপ পাওয়া না পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে সচেতনভাবে চিন্তা ভাবনা করে,সময় নিয়ে তারপর অ্যাপ্লিকেশনটি করবেন। তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই।
  31. প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অন্য কোনো শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন। এরপর Save অপশনে ক্লিক করবেন।পরের উইন্ডোতে Location of interview অপশনে Country ঘরটিতে Bangladesh এবং City এর জায়গায় Dhaka সিলেক্ট করে Save অপশনে ক্লিক করবেন।
  32. এখন Reference information অপশনে চলে যেতে হবে। Reference information টা মূলত আপনার দুজন পরিচিত ব্যক্তির নাম যারা আপনাকে চিনেন। এদের মধ্যে একজন অবশ্যই আপনার একাডেমিক রেফারেন্স হতে হবে অথবা আপনার কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হবে।মনে রাখবেন যে, এখানে সে অনুযায়ী তথ্য দিতে হবে।
  33. রেফারেন্স ব্যক্তিদের ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার,পদবি -সবকিছুর তথ্য দিতে হবে এবং তিনি যে লেটার টি দিয়েছেন তা স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। Reference information দেওয়া হয়ে যাবে।
  34. এরপর Summary Application অপশনে গিয়ে দেখবেন যে সবকিছু ঠিক আছে কি না। সবকিছু ঠিক থাকলে Submit অপশনে ক্লিক করে সাবমিট করবেন। এভাবে Application সাবমিট হয়ে যাবে। এরপর My previous Application Results লেখার নিচে Awaiting Evaluation লেখাটি দেখতে পাবেন।
  35. আপনি যদি ইন্টারভিউর জন্য চান্স পান তাহলে ইমেইলে তা আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং Evaluation Entrance Certificate এর নিচে একটি লেখা আসবে "আপনাকে স্কলারশিপটি অফার করা হয়েছে" । বিভিন্ন সময়ে ওয়েবসাইটে ও ইমেইলে আপনার অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস অবশ্যই চেক করবেন।আইডি নাম্বার ও পাসওয়ার্ড অবশ্যই মনে রাখবেন।
এই হচ্ছে বুর্সলারি স্কলারশিপের আবেদনের প্রক্রিয়া। এভাবে ঘরে বসেই স্কলারশিপটি পেতে আবেদন করতে পারবেন।


৭.দিয়ানাত স্কলারশিপ ২০২৪

তুরস্ক সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এ স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে থাকে।এ স্কলারশিপের বিশেষত্ব হচ্ছে,এ স্কলারশিপটি শুধু ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশোনা করার উপর দেওয়া হয়। স্কুল - কলেজ লেভেলের শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। চারটি প্রোগ্ৰামে এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। সেগুলো হচ্ছে:
  1. International Imam Hatip High School Scholarship Program.
  2. International Theology Undergraduate Scholarship Program.
  3. International Theology Graduate Scholarship Program.
  4. International Theology Doctoral Scholarship Program.

সুযোগ সুবিধা 

অন্য স্কলারশিপ গুলোর তুলনায় এ স্কলারশিপে সুযোগ সুবিধা তুলনামূলক বেশি রয়েছে।যেমন:
  1.  No tuition fees.
  2. Monthly Stipend (লেভেল অনুযায়ী ভিন্নতা রয়েছে).
  3. Round Air Ticket.
  4. প্রতিবছর ৩ মাস ছুটি দেওয়া হয় এবং আসা যাওয়ার খরচটাও Scholarship Committee বহন করে।
  5. Health Insurance এর জন্য কোনো খরচ নেই।
  6. Accomodation সুবিধা, অর্থাৎ থাকার জন্য কোনো খরচ নেই।
  7. স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের দুটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে: Meals ও Books এর জন্য ভাতা পাবেন এবং কলেজ ও স্কুলে যে ইউনিফর্ম পরতে হয় সেটাও Scholarship Committee ব্যবস্থা করবে।
  8. আবেদন সম্পূর্ণ ফ্রি।
  9. IELTS ছাড়াও আবেদন করা যাবে (PhD এর ক্ষেত্রে প্রোগ্ৰামভেদে IELTS বাধ্যতামূলক)।
  10. Scholarship টি শেষ করার পর আপনি চাইলে তুরস্কে থাকা অন্য স্কলারশিপগুলোতেও (যেমন বুর্সলারি স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ সমূহ) খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন।

অসুবিধা সমূহ 

দিয়ানাত স্কলারশিপের এতসব সুযোগ সুবিধা থাকার পরও এর বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
  1. স্কলারশিপটি কমপ্লিট করার পর যদি অন্য কোনো স্কলারশিপে আবেদন না করেন বা সে স্কলারশিপটি যদি না পান তাহলে অবশ্যই দেশে ফিরতে হবে।
  2. ভাষার সমস্যাও রয়েছে।কারণ সেখানে পড়াশোনার মাধ্যম তুর্কি ভাষা।
  3. শুধু Theological Subject গুলোই পড়ানো হবে।
  4. এখানে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও আবেদন করবেন। তাদের জন্য পরিবার বিহীন বিদেশে থাকাটা বা সেখানের সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওয়ানো চ্যালেঞ্জ‌ই বটে।অনেকের ক্ষেত্রে Cultural Shock পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা থেকে যায়।

আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা

অন্য অনেক স্কলারশিপের মত এ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য ন্যূনতম কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। সেগুলো হচ্ছে:
  1. বয়স (স্কুল কলেজের লেভেলের ক্ষেত্রে জন্মতারিখ ০১-০১-২০০৭ এর মধ্যে হতে হবে অর্থাৎ ১৬ বছরের কম। অনার্সের জন্য ০১-০১-২০০২ বা এর পরে হতে হবে অর্থাৎ ২১ বছর বা এর কম। মাস্টার্স এর জন্য ০১-০১-১৯৯৩ বা এর পরে হতে হবে, অর্থাৎ বয়স ৩০ বছর বা এর কম। পিএইচডির জন্য ০১-০১-১৯৮৭ বা এর পরে হতে হবে, অর্থাৎ বয়স ৩৫ বছর বা এর কম).
  2. স্কুল-কলেজ ও অনার্সে আবেদনের ক্ষেত্রে Previous Exam result অবশ্যই ন্যূনতম ৭০% হতে হবে। মাস্টার্স এবং পিএইচডির ক্ষেত্রে এরকমই প্রয়োজন হয় তবে কিছু অতিরিক্ত যোগ্যতার‌ও প্রয়োজন হয় যেগুলো প্রোগ্ৰামের উপর নির্ভর করে।
  3. যদি কোনো কারণে স্কুল - কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল থেকে আপনাকে Suspended করা হয় হয়ে থাকে তাহলে এ স্কলারশিপে আপনি আবেদন করতে পারবেন না।
  4. স্কুল-কলেজ ও অনার্সের ক্ষেত্রে অবশ্যই Unmarried হতে হবে কিন্তু মাস্টার্স ও পিএইচডির ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি শিথিলযোগ্য।
এছাড়াও আরো কিছু ছোট ছোট Eligibility রয়েছে যেগুলো পূরণ হলেই আপনি এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইট থেকে এ Eligibility গুলো দেখে নিবেন।

ডকুমেন্টস 

দিয়ানাত স্কলারশিপে আবেদনের জন্য যেসকল কাগজপত্র অতীব জরুরি সেগুলো নিম্নে উল্লেখিত হলো:
  1. NID/Birth Certificate (English Version)/ Passport.
  2. Certificates and Marksheets (অবশ্যই স্ক্যানকৃত,কারণ এগুলো অনলাইনে আপলোড করতে হবে).
  3. সাদা ব্যাকগ্ৰাউন্ডের ছবি।
  4. Reference letter/Recommendation letter (২টি/১টি).
  5. Study Plan/Statement of purpose/Motivational letter/Letter of intent.
  6. Masters বা PhD এর ক্ষেত্রে প্রোগ্ৰামভেদে IELTS প্রয়োজন‌ও হতে পারে।
এছাড়াও Voluntary works , Work experience Certificate, Extra -Curricular activities certificate অথবা কোনো জায়গায় প্রতিযোগিতার Achievements papers থাকলে অবশ্যই সেগুলো আপনাকে অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় এগিয়ে রাখবে।PhD তে আবেদনের ক্ষেত্রে Research Proposal,CV বা অন্যান্য ডকুমেন্টস দিলে ভালো হয়।
আবেদনটি সম্পূর্ণ অনলাইনে তাই সকল কাগজপত্র অনলাইনে আপলোড করতে হবে।ডকুমেন্টসগুলো সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।

আবেদন 

আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে হবে।

টাইম লাইন 

Application Period ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। আবেদন করার পরের Step টিই হচ্ছে Evaluation Process.এটা চলবে মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত। আবেদনের সময় ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন হবে। প্রাথমিকভাবে স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হলে সে ইমেইল এড্রেসে একটি মেইল পাঠানো হবে।
পাঠানো মেইলে জানানো হবে ইন্টারভিউর লোকেশন ও তারিখ। খুব সম্ভবত ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইন্টারভিউটি দেওয়া যায় এটা চলবে মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত। লম্বা সময় ধরে এ কার্যক্রম চলবে।এ ইন্টারভিউটি আপনার স্কলারশিপ পাওয়া না পাওয়ার একটি অন্যতম ফ্যাক্টর এবং এ ইন্টারভিউটি অবশ্যই ভালো করতে হবে।
Study Plan বা Statement of purpose এর উপর ভিত্তি করে মূলত Question করা হয়। পাশাপাশি কুরআন (আয়াত,সূরার শানে নুযূল,প্রেক্ষাপট), ইসলামিক স্টাডিজ,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয় থেকে প্রশ্ন করতে পারে।তুরস্ক নিয়েও ধারণা থাকা জরুরি। আয়াতের আগের ও পরের লাইন সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হতে পারে।
যেহেতু মাদরাসা ও জেনারেল উভয় লেভেলের শিক্ষার্থীরাই আবেদন করবেন, তাই জেনারেল শিক্ষার্থীদের ভয় পাবার কোনো কারণ নেই।যদি কুরআনের আয়াত,আরবি ভাষা প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা কম থাকে সেটা অবশ্যই ইন্টারভিউতে জানাতে হবে।আর সেটা অবশ্যই Scholarship Committee অবগত থাকবেন।
 সেক্ষেত্রে ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামী সংস্কৃতি সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয় যেটার উত্তর দেওয়া আপনার জন্য সহজ হতে পারে। ধর্মতত্ত্বের ব্যাপার যেহেতু রয়েছে,তাই অবশ্যই ড্রেসকোড হিসেবে হিসেবে পাজামা, পাঞ্জাবি বা ইসলামিক ড্রেসগুলো পরে যাওয়াটা উত্তম।

Interview Evaluation

Interview Evaluation চলবে ২০২৪ সালের জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত।

Announcement of final result 

চূড়ান্ত ফলাফল জুন মাসের ১৫ তারিখেই প্রকাশিত হবে। ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রদর্শিত হবে। আপনি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হলে কমিটি আপনাকে মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন কলেজ সিলেক্ট করা হয়েছে আপনার জন্য,অফার লেটার,এগ্ৰিমেন্ট,এয়ার টিকেট-এই সবকিছুর তথ্য আপনাকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
ভিসার জন্য যা যা দরকার সবক্ষেত্রে তুরস্কের অ্যাম্বাসি আপনাকে সহযোগিতা করবে। আপনার Academic Documents গুলো legalize করতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে একটি খুব সাধারণ Health Test দিতে হবে এবং এ Health Test এর Report  সাবমিট করতে হবে।

৮. কিভাবে বাসায় বসেই দিয়ানাত স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন 

দিয়ানাত স্কলারশিপ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনেই হয়। আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো অফলাইন প্রক্রিয়া নেই। আসুন জেনে নেই Diyanet Scholarship আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে:
  1. DIYANET BURSLARI SCHOLARSHIP ওয়েবসাইটে গিয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। ধৈর্যের সাথে আবেদন করতে হবে।কারণ একসাথে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আবেদন করায় মাঝেমধ্যে ওয়েবসাইটটি বসে যায়। ফলে আবেদন করতে সময় লাগে।এ অবস্থায় ধৈর্যের সাথে পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করাই উত্তম।
  2. আবেদনের জন্য উপরে Application and login অপশনে ক্লিক করে Nationality,NID Card/Passport number,Name, Second name, Surname, Gender,Birth date, Birth Country,Birth City, Email address, Phone Number সেট করুন।
  3. এগুলো অবশ্যই Passport অনুসারে দিতে হবে। এরপর Secret Question,Hint answer ও Password সেট করে "I have read and understood all information. I confirm that my information is correct" এবং"I have read and accepted the privacy policy " কথাদ্বয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে Register অপশনে ক্লিক করুন।
  4. Register হবার পর আপনার ইমেইল এড্রেসে একটি Email activation Mail আসবে। সেখান থেকে Email এক্টিভেট করবেন।এরপর Email ও Password দিয়ে লগইন করবেন।বাম পাশের বারে বিভিন্ন অপশন রয়েছে যেগুলো তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
  5. প্রথমে My Profile অপশনে গিয়ে Marital status, Profile picture, Religious belonging, Religious sect, Ethnicity সিলেক্ট করে Save অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিচে Document process অপশনে Create new Curriculum Vitae অপশনে ক্লিক করে CV আপলোড করতে হবে।
  6. এরপর Identity Information অপশনে Passport/Driving license, Identity Card type ও Identity Number দিতে হবে এবং Information page টা আপলোড করতে হবে।এরপর Save অপশনে ক্লিক করতে হবে।এরপর একটি উইন্ডো আসবে, সেখান থেকে পুনরায় Save অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  7. আপনার আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস আপডেট হয়ে যাবে। Social media অপশনে চাইলে আপনি ফেসবুক বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট যুক্ত করতে পারেন।না চাইলে Skip করতে পারেন।এরপর My family information অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে অনেকগুলো অপশন রয়েছে।
  8. এখান থেকে Actions অপশনে গিয়ে View/Edit অপশনে ক্লিক করে Family member দের First Name,Last Name,Birth Date, Money Income, Money type তথ্য দিয়ে পূরণ করে Save অপশনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে চারটি Action পূরণ করতে হবে। Family information দেওয়া হয়ে যাবে।
  9. এরপর My Contacts অপশনে গিয়ে Create new Contact অপশনে Communication user type, Family, Phone number, Address, Email address যেভাবে Passport/NID তে রয়েছে সেভাবেই দিতে হবে।
  10. My work experience অপশনে চাইলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, কোম্পানির নাম, Business position, work type যুক্ত করতে পারেন।My health information এ ক্লিক করে Create new health অপশনে ক্লিক করবেন।In life information, Disability status, Blood Group সিলেক্ট করে Save অপশনে ক্লিক করবেন।
  11. My Country experience অপশনে ক্লিক করে অন্য কোনো দেশে থাকার অভিজ্ঞতা থাকলে সে তথ্য গুলো চাইলে দিতে পারেন।My education information অংশটি খুব‌ই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে Secondary Education অপশনে ক্লিক করে Education Status, Education Country,City, Institution সিলেক্ট করবেন।
  12. আপনার Institute খুঁজে না পেলে শেষের অপশন "If you can not find your institution, choose this option" টি সিলেক্ট করবেন।এরপর Grade point, System of 5, Start date (যে সালে Class 9 এ ছিলেন),End date (যে তারিখে SSC রেজাল্ট হাতে এসেছে) দিতে হবে। এরপর সনদপত্র ও মার্কশিটের Pdf আপলোড করতে হবে।
  13. SSC লেভেলে কোনো Achievement থাকলে তাও যুক্ত করতে পারেন।এরপর Save অপশনে ক্লিক করবেন।এরপর High school information অপশনে কলেজ সিলেক্ট করতে হবে।যদি না পান, তাহলে তালিকার শেষ অপশনটি সিলেক্ট করবেন।GPA এর দুটি ঘরে GPA সিলেক্ট করবেন,যেমন:  5.00 পেলে প্রথম ঘরে 5 ও দ্বিতীয় ঘরে 00 দিবেন।
  14. এরপর High school type সিলেক্ট করবেন।High School section সিলেক্ট করবেন। Start date হবে আপনার ফার্স্ট ইয়ারের ১ম দিন এবং End date হবে HSC ফলাফল প্রকাশের দিন।এরপর যথারীতি সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট আপলোড করতে হবে।HSC লেভেলে আপনার কোনো Achievement থাকলে সেটাও দিতে পারেন।
  15. Selected files অপশনে ক্লিক করে অতিরিক্ত এই সার্টিফিকেট গুলো আপলোড করতে পারেন।এরপর Save অপশনে ক্লিক করবেন।My language information অপশনে গিয়ে Create new language অপশনে ক্লিক করে language type, language, language level সহ বাকি অপশনগুলো সিলেক্ট করে Save করতে হবে।
  16. এভাবে অন্য কোনো ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকলে সেটাও দিতে পারেন এ অপশনে।My reference অপশন থেকে Create new reference information অপশনে ক্লিক করে Reference type (Academic reference), Phone এর আপনার স্কুল/কলেজের যে শিক্ষকের রেফারেন্স দিবেন তাঁর নাম্বার দিবেন কান্ট্রি কোড সহ।
  17. সকল তথ্য দেওয়ার পর Save অপশনে ক্লিক করবেন। এভাবে একাধিক Reference information দিতে পারেন।সকল তথ্য প্রদান ও সব অপশন পূরণ করার পর অপশনগুলোর পাশে Green tick mark দেখা যাবে।এর অর্থ আপনি এখন অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।অ্যাপ্লাই করার জন্য এখন Main menu তে যেতে হবে।
  18. Main menu তে High School Progam, License Program, Masters Program এবং Doctoral Program রয়েছে। সেখান থেকে যে Program এ অ্যাপ্লাই করতে চান সেটার নিচে Apply অপশনে ক্লিক করলে Confirmation Window আসবে। 
  19. উক্ত উইন্ডো থেকে Save অপশনে ক্লিক করলে একটি উইন্ডোতে Question, Interview place, School preference ও অন্যান্য তথ্য রয়েছে যেগুলো দিতে হবে।এরপর Next অপশনে ক্লিক করবেন।এরপর একটি উইন্ডো আসবে যেখানে একটি Letter of intent দিতে হবে /Motivational letter দিতে হবে/Motivational letter লিখতে হবে।
  20. অবশ্যই লেটারটি Subject এর উপর ভিত্তি করে লিখতে হবে।এরপর Next অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে interview place, interview country (অবশ্যই বাংলাদেশ দিবেন) সিলেক্ট করতে হবে।নিচে Bangladesh interview Centre অপশনটি প্রদর্শিত হবে।সেটা সিলেক্ট করতে হবে। Interview place preference save অপশনে ক্লিক করবেন।
  21. School preference অপশনে সর্বোচ্চ ৭টি University সিলেক্ট করতে পারবেন। সুবিধামতো ৭টি University সিলেক্ট করবেন। অবশ্যই আগে থেকে দেখে নিবেন কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করা যায় বা কোন কোন সাবজেক্টে আগ্ৰহী সে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট গুলো আগে থেকে দেখে তারপর আপনি সিলেক্ট করতে পারবেন।
  22. এরপর School preference save অপশনে ক্লিক করতে হবে।এরপর save অপশনে পুনরায় ক্লিক করলে My application অপশনে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি দেখাবে। এভাবে আপনি ঘরে বসেই তুরস্কের দিয়ানাত স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
দিয়ানাত স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন 

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন ১: তুরস্ক সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর কতটি স্কলারশিপ প্রদান করে?

উত্তর: তুরস্ক সরকার প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুটি স্কলারশিপ প্রদান করে।

প্রশ্ন ২:আমি স্কলারশিপ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে তুরস্কে যেতে চাই। এক্ষেত্রে আমি কোন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারি?

উত্তর: অবশ্যই বুর্সলারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন।

প্রশ্ন ৩: তুরস্কে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার কোনো প্রক্রিয়া কি অফলাইনে হয়?

উত্তর:না, বরং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই অনলাইন। আপনি চাইলে নিজের স্কলারশিপের আবেদন নিজেই করতে পারবেন।

প্রশ্ন ৪: তুরস্কে কোন কোন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য দিয়ানাত স্কলারশিপ প্রদান করা হয়?

উত্তর: শুধু ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়ে পড়াশোনার জন্য দিয়ানাত স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

প্রশ্ন ৫: কিভাবে তুরস্কের সরকারি স্কলারশিপগুলোতে আবেদন করব?

উত্তর: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিই উপরে বর্ণিত হয়েছে।

প্রশ্ন ৬: বুর্সলারি স্কলারশিপের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর‌ও কি তুরস্কে থাকার সুযোগ আছে?

উত্তর: যদি আপনার ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তন না করেন, তাহলে আর কোনো সুযোগ নেই। আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।

প্রশ্ন ৭: বুর্সলারি স্কলারশিপের কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে?

উত্তর: বুর্সলারি স্কলারশিপের কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে।যেমন:
  1. Full funded Scholarship .
  2. Monthly Stipend .
  3. Free language course.
  4. Accomodation সুবিধা।
  5. No IELTS.
  6. Round Air Ticket.
  7. Health Insurance এর জন্য কোনো খরচ নেই।
  8. আবেদন ফি নেই।
  9. ব্যাংক ব্যালেন্সের কোনো প্রয়োজন নেই।

প্রশ্ন ৮: বুর্সলারি স্কলারশিপের অসুবিধা সমূহ কি কি?

উত্তর: বুর্সলারি স্কলারশিপের এতসব সুযোগ সুবিধা থাকার পরও এর বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে।যেমন:
  1. ভাষার অসুবিধা, কারণ পড়াশোনার মাধ্যম তুর্কি ভাষা।
  2. পড়াশোনা শেষ করে বা স্কলারশিপটি কমপ্লিট করার পর অবশ্যই দেশে ফিরে আসতে হবে যদি আপনি ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন না করেন।
  3. পার্ট টাইম কাজ সেখানে চ্যালেঞ্জিং।Peer facilities ও এখানে চ্যালেঞ্জিং।
  4. স্কলারশিপে নিজে যাওয়ার পর Spouse ও Kids দের নিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ সাথে করে নেওয়া যাবে না।
  5. ইতোমধ্যে যদি কোনো টার্কিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা অবস্থায় থাকেন বা এই স্কলারশিপটি আগেও পেয়ে থাকেন তাহলে এ স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে না।

প্রশ্ন ৯: দিয়ানাত স্কলারশিপের সুযোগ সুবিধা কি কি?

উত্তর: দিয়ানাত স্কলারশিপের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
যেমন:
  1. No tuition fees.
  2. Monthly Stipend.
  3. Round Air Ticket.
  4. 3 months vacation every year.
  5. Accomodation সুবিধা।
  6. Health Insurance এর জন্য কোনো খরচ নেই।
  7. স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের দুটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে: Meals ও Books এর জন্য ভাতা পাবেন এবং কলেজ ও স্কুলে যে ইউনিফর্ম পরতে হয় সেটাও Scholarship Committee ব্যবস্থা করে।
  8. আবেদন সম্পূর্ণ ফ্রি।
  9. IELTS ছাড়াও আবেদন করা যাবে (PhD এর ক্ষেত্রে প্রোগ্ৰামভেদে IELTS বাধ্যতামূলক)।
  10. Scholarship টি শেষ করার পর আপনি চাইলে তুরস্কে থাকা অন্য স্কলারশিপ গুলোতেও (যেমন বুর্সলারি স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ সমূহ) খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন।

প্রশ্ন ১০: দিয়ানাত স্কলারশিপের অসুবিধা সমূহ কি কি?

উত্তর: দিয়ানাত স্কলারশিপের অসুবিধা সমূহ:
  1. স্কলারশিপটি কমপ্লিট করার পর আপনি যদি অন্য কোন স্কলারশিপের জন্য আবেদন না করেন বা সে স্কলারশিপটি যদি না পান তাহলে অবশ্যই দেশে ফিরে আসতে হবে।
  2. ভাষা একটি সমস্যা। কারণ সেখানে পড়াশোনার মাধ্যম তুর্কি ভাষা।
  3. শুধু Theological Subject গুলোই পড়ানো হয়।
  4. এখানে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও আবেদন করবেন। তাদের জন্য পরিবার বিহীন বিদেশে থাকাটা বা সেখানের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো চ্যালেঞ্জ‌ই বটে।অনেকের ক্ষেত্রে Cultural Shock পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা থেকে যায়।

১০. লেখকের মন্তব্য

এতক্ষণ যাবত আমি আপনাদের নিকট তুরস্কের স্কলারশিপ সমূহ,এর সুযোগ সুবিধা,টাইম লাইন,ডেডলাইন ও আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ।আশা করি এ আলোচনা থেকে আপনাদের অনেক উপকার হবে এবং এ আলোচনা থেকে স্কলারশিপগুলোতে আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করে ঘরে বসেই তুরস্কের স্কলারশিপ গুলোতে আবেদন করতে পারবেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটির জন্য সকল তথ্য সংগ্রহ করেছি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলো থেকে।অত:পর সেগুলো নিজ ভাষায় উপস্থাপন করেছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url