OrdinaryITPostAd

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ [সর্বশেষ আপডেট]

দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি স্বাধীন দেশ হচ্ছে সার্বিয়া। বর্তমানে ইউরোপের এই দেশে প্রচুর জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। আপনি যদি ইউরোপের দেশে যেতে চান তাহলে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হতে পারে আপনার জন্য একটি বিশাল সুযোগ। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব - সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ নিয়ে। সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 


এছাড়াও আরো শেয়ার করব - সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে, সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক, সার্বিয়া ভিসা চেক অনলাইন, সার্বিয়া বেতন কত, সার্বিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। 

আর্টিকেল সূচিপত্র 

১. সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ 

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং সার্বিয়া কাজের ভিসা একই। ইংরেজিতে বলা হয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আর বাংলাতে বলা হয় কাজের ভিসা। সার্বিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেসব কাজ করতে পারবেন -
  • ড্রাইভিং
  • নির্মাণ শ্রমিক
  • হোটেল ও রেস্তোরাঁর কাজ
  • শেফের কাজ
  • প্লাম্বার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
সার্বিয়াতে সাধারণত ১ বছরের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়। এক বছরের ওয়ার্ক পারমিটে যা যা থাকছে-
  1. অফিসিয়াল ভাবে ১ বছরের ওয়ার্ক পারমিট
  2. পূরণকৃত ভিসার আবেদন পএ
  3. চাকরির চুক্তিপএ 
  4. দূতাবাস নিয়োগের সময়সূচী
  5. সকল ডকুমেন্টসের গুনগত প্রস্তুতির সুপারিশ 
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনি যেকোন সরকারি সংস্থা থেকে নিতে পারবেন। ভিসার আবেদন বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করতে পারবেন। আপনার যদি কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেই কাজের উপর ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সার্বিয়া আসতে পারবেন। যদি অভিজ্ঞতা নাও থাকে তবুও যেকোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কোন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে সহজেই সার্বিয়া আসতে পারেন।

২. সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে 

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য আপনাকে সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। তারপর তারা ভিডিও কলে আপনার সাক্ষাৎকার নিবে। নির্দিষ্ট অর্থ জমা দেওয়ার পর আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে জমা দেওয়া হবে এবং দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনার ওয়ার্ক পারমিট কোরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হবে। 

ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর আপনার নিকটবর্তী সার্বিয়া দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং ওয়ার্ক পারমিটটি জমা দিতে হবে। তারপর একটি ডি- টাইপ ভিসা দেওয়া হবে ৮০-১৬০ দিনের মধ্যে। 

৩. সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক 

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট হাতে পাওয়ার পর পরই চেক করা প্রয়োজন। কারণ অনেক কোম্পানি নকল পারমিটও বিক্রি করে থাকে। একটি ওয়ার্ক পারমিটে কোম্পানির নাম, আইডি নাম্বার লিখা থাকে। আপনাকে মূলত চেক করতে হবে কোম্পানির নাম, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল। এগুলো চেক করার জন্য আপনাকে https://www.companywall.rs/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। 

এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সার্চ করা অপশনে ওয়ার্ক পারমিটের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিন।  যদি আপনার ওয়ার্ক পারমিটের সাথে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত কোম্পানির নাম, রেজিষ্ট্রেশন মিলে যায় তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিটটি ঠিক আছে। এভাবেই আপনি সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট চেক করতে পারবেন আসল নাকি নকল তা জানার জন্য। 

৪. সার্বিয়া ভিসা চেক অনলাইন

অনেকেই জানতে চায় কিভাবে সার্বিয়া ভিসা চেক করতে হয়। কারণ বাংলাদেশে সার্বিয়ার কোন দূতাবাস না থাকায় ভিসা পাওয়ার পর অনেকেই বোঝে উঠতে পারে না ভিসাটি আসল নাকি নকল। আর্টিকেলের এই অংশে জানতে পারবেন অনলাইনে সার্বিয়া ভিসা চেক করার উপায়।  মুলত সার্বিয়া ভিসা চেক দুই ভাবে করা যায়। যেমন: 
  • সার্বিয়ান এম্বাসিতে ইমেইল করার মাধ্যমে 
  • ওয়েবসাইট থেকে। 
অনলাইনে সার্বিয়া ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে VFS Global এর মূল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।তারপর ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট তৈরি করে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এবার আপনার তৈরিকৃত একাউন্ট থেকে ভিসা চেক অপশনে যেতে হবে। ভিসা চেক অপশনে সার্বিয়া সিলেক্ট করে আপনার ভিসা আবেদন করার তারিখ ও পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে।ভিসাটি কি আসল নাকি নকল তার তথ্য পাওয়ার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ৫ দিন থেকে ৪ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। VFS Globalএর ওয়েবসাইট থেকে ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা পেমেন্টও করতে হবে। 

৫. সার্বিয়া বেতন কত 

যেকোন দেশে যাওয়ার আগে প্রথমে যে বিষয়টি খেয়াল করা হয় সেটি হচ্ছে বেতন অর্থাৎ কাজের বেতন কত হবে? সার্বিয়া ইউরোপের দেশ হওয়ায় অন্যান্য দেশের মতো এদেশের বেতনও বেশি। কাজের ধরণের উপর বেতনের পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। একজন ড্রাইভারের বেতন ৮০০ ইউরোর বেশি। তাছাড়া একজন হোটেল বয় এর বেতন প্রায় ৭৫০ ইউরো। নির্মাণ শ্রমিকের বেতন  550 €। প্লাম্বারের বেতন 550 €।Tiler বেতন 550 € এবং ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন  550 €।

৬. সার্বিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা 

বাংলাদেশের অনেক মানুষ সার্বিয়াতে কাজের সূত্রে বা অন্যান্য কারণে অবস্থান করে। ডলারের রেট উঠানামা করার কারণে অনেকেই জানতে চায় সার্বিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা।সার্বিয়ান মুদ্রার নাম হচ্ছে সার্বিয়ান ডলার।  আসলে সার্বিয়ার ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ০.৯৮ পয়সা। সার্বিয়ার ১০০ টাকা বাংলাদেশের ৯৮.৪৫ টাকা এবং সার্বিয়ার ১০০০ টাকা বাংলাদেশের প্রায় ৯৮৪.৫০টাকা। 

৭. সার্বিয়া কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপএ 

সার্বিয়া কাজের ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্টসের প্রয়োজন সেগুলো হলো -
  • পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৯০ দিন হতে হবে) 
  • ছবি(পাসপোর্ট সাইজের)
  • পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফরম
  • কভার লেটার(নিজ হাতে লেখা)
  • ইনভাইটেশন লেটার
  • হেল্থ ইন্সুরেন্সের ফটোকপি 
  • রিপোর্ট কপি(ইনকাম ট্যাক্সের)
আরো কাগজপএ দরকার হতে পারে সেগুলো আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করবেন সেই এজেন্সি থেকে জেনে নিতে পারেন। যদি এজেন্সি অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। 

৮. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: সার্বিয়া কাজের ভিসার জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ  কতদিন হতে হবে? 

উত্তর: সার্বিয়া কাজের ভিসার জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ হতে হবে সর্বনিম্ন ৯০ দিন।

প্রশ্ন ২: সার্বিয়াতে ড্রাইভারের বেতন কত?

উত্তর: সার্বিয়াতে ড্রাইভারের বেতন হচ্ছে ৮০০ ইউরো। 

প্রশ্ন ৩: সার্বিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা? 

উত্তর: সার্বিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের ০.৯৮ পয়সা।

প্রশ্ন ৪: সার্বিয়াতে ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ কতদিন? 

উত্তর: সার্বিয়াতে ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ হচ্ছে ১ বছর।

প্রশ্ন ৫: সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে? 

উত্তর: সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে দুই বা তিন সপ্তাহ লাগে। 

প্রশ্ন ৬: সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করার ওয়েবসাইট কোনটি? 

উত্তর: সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করার ওয়েবসাইট হচ্ছে https://www.companywall.rs/।

৯. লেখকের মন্তব্য 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আর্টিকেল পড়ে অনেকটা উপকৃত হবেন বলে আশা করছি।আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত, পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট The Du Speech। ধন্যবাদ। 

এই আর্টিকেলের-

লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url