OrdinaryITPostAd

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যাওয়ার উপায় [সর্বশেষ আপডেট]


প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের একটি সরকারি মন্ত্রণালয়।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যাওয়া এবং আলোচনা করব কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভিসার আবেদন করতে হয়।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভিসায় বিদেশ যাওয়ার সম্পুর্ন প্রক্রিয়া জানতে আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়ুন।


এই আর্টিকেলে  আমরা আরো আলোচনা করব প্রবাসী কল্যাণ মন্তণালয়ের ভিসায় বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদনের নিয়ম,প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2023, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় রোমানিয়া নিয়োগ,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।

সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 
উত্তর ধাপ ০১.  প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মুল লক্ষ্য হচ্ছে প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
উত্তর ধাপ ০২.  প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মুলত বৈদেশিক চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি করে থাকে।
উত্তর ধাপ ০৩. যারা প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের রেমিটেন্স প্রদানে ভুমিকা পালন করে।
উত্তর ধাপ ০৪. প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের সংস্কৃতি চর্চাতে পৃষ্ঠপোষকতা রাখে।
উত্তর ধাপ ০৫. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমঝোতা করে থাকে।
উত্তর ধাপ ০৬. মন্ত্রণালয় তার উপর অর্পিত বিভিন্ন আইন প্রয়োগ, পরিবর্তন এবং সংশোধন করে থাকে।

আর্টিকেল সূচিপত্র - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

  1. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 
  2. বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ
  3. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদেশ যাওয়ার আবেদন - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 
  4. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 
  5. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ -প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ  
  6. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় রোমানিয়া নিয়োগ  - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ
  7. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মোবাইল নম্বর - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ    
  8. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়া - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 
  9. আমেরিকা ইমিগ্রেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায় - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 
  10. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ  
  11. লেখকের মন্তব্য - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

১. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

বাংলাদেশের সরকার ২০০১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নামে একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন।প্রবাসী কল্যাণ  মন্ত্রণালয় অধীন সংস্থা গুলো হলো-
  • জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন সংস্থা 
  • প্রবাসী কল্যান ব্যাংক
  • বোয়েসেল
  • কল্যান বোর্ড।
এটি প্রধানত বাংলাদেশের বিদেশি কর্মীদের তথ্য এবং সহযোগিতা সংক্রান্ত কাজকর্ম পরিচালনা করে থাকে। 

২. বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপএ - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ  

বিদেশ যেতে যেসব ডকুমেন্টস লাগে তা হলো-
  • পার্সপোর্ট
  • ভিসা
  • মেডিকেল রিপোর্ট 
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • স্মার্ট কার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড

পার্সপোর্ট :

পার্সপোর্ট হলো সরকার প্রদত্ত একটি পরিচয়পত্র যার মাধ্যমে ব্যাক্তি জাতীয়তার পরিচয় বহন করে।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যেতে পার্সপোর্ট করা বাধ্যতামুলক।কারন পার্সপোর্ট বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকে যা সরকার কতৃক জারিকৃত। একটি পার্সপোর্টে সাধারণত ব্যাক্তির নাম,তার জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান, তার ছবি, স্বাক্ষর, ও অন্যান্য ডকুমেন্টস থাকে।পার্সপোর্ট এর নিদিষ্ট সময় থাকে।

পার্সপোর্ট তৈরির উপায় :

আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভিসায় বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি পার্সপোর্ট করতে হবে।
পার্সপোর্ট এর আবেদনের জন্য আপনি নিকটস্থ পার্সপোর্ট অফিসে অথবা অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও করতে পারবেন।ওয়েবসাইটের লিংক - www.dip.gov.bd

ভিসা:

আপনি যেদেশে যেতে ইচ্ছুক, সে দেশের সরকার আপনাকে একটা অনুমতি পএ প্রদান করে থাকে যাকে ভিসা বলা হয়।সাধারণত পার্সপোর্ট এর একটি পৃষ্ঠায় ভিসা থাকে।যদি চাকরির জন্য আপনি বিদেশে যেতে চান তাহলে সেই দেশের কাজ করার একটি অনুমতিপত্র দিয়ে থাকে যাকে ওয়ার্ক পারমিট বলে।ওয়ার্ক পারমিটের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে।

আপনি যদি চাকরির জন্য বিদেশে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে আপনার অনুমতি পএ আছে কি না।ভিসা ছাড়া বিদেশ যেতে চাইলে অবশ্যই বিমানবন্দরে আপনাকে আটকাবে। আপনি যে মাধ্যম থেকেই ভিসা সংগ্রহ করুন না কেন, এর বৈধতা যাচাই করুন।আপনি চাইলে বাংলাদেশ অভিবাসনে খোঁজ নিতে পারেন অথবা অনলাইনেও যাচাই করে নিতে পারেন।

 মেডিকেল রিপোর্ট :

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যেতে হলে আপনাকে মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মেডিকেল রিপোর্ট যেমন-আপনার মল-মুত্র পরীক্ষা, এক্স -রে পরীক্ষা এগুলোর রিপোর্ট। আপনার গমনকৃত দেশের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে মেডিকেল রিপোর্ট করতে হবে।আপনার যদি মেডিকেল রিপোর্ট সঠিক না হয় তাহলে আপনি ভিসা পাবেন না।মেডিকেল পরীক্ষা সাধারণত দূতাবাসের অধীন কোনো মেডিকেল সেন্টারে করা হয়।

ওয়ার্ক পারমিট :

  • আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিদেশে যান তাহলে আপনাকে চাকরির চুক্তিপএ পাওয়ার সাথে সাথে তা আসল কি না তা যাচাই করে নিতে হবে।চুক্তিপত্রে উল্লেখযোগ্য বেতন-ভাতাদি,সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি চেক করে নিতে হবে।
  • প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যেতে যদি আপনার চুক্তিপএ সঠিক না হয় তাহলে মালিক আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতে পারে এবং আপনি কোনো আইনের ব্যাবস্থা নিতে পারবেন না।এজন্য চুক্তিপএ বুঝে নিয়ে তবেই স্বাক্ষর করা উচিত।
  • বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেছেন তারাই আপনাকে চুক্তিপএ পাওয়ার ব্যাবস্থা করে দিবে।
  • আপনার চুক্তিপএের আবেদন যদি কোনো থার্ড পার্টি দিয়ে করা হয়ে থাকে তাহলে তারাই আপনাকে চুক্তিপএ দিবে।তবে থার্ড পার্টির সাহায্য না নেওয়াই ভালো,যেখানে চাকরির মতো একটা চুক্তিপএ যা সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দুতাবাস দিয়ে সত্যায়িত করতে হয়।
  • ঢাকায় অবস্থিত জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরো এর অফিস থেকে চাকরির চুক্তিপএ সনদ বিনামূল্যে চেকিং করে দেওয়া হয়। এছাড়াও এধরনের সেবা পেতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি এর সহযোগিতা নিতে পারেন।

ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড:

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যেতে আপনার দরকার ইমিগ্রেশন কার্ড।ইমিগ্রেশন কার্ড আপনাকে বিএমইটি থেকে সংগ্রহ করতে হবে।আপনি যে কর্মী হিসেবে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন তার একটি সরকারি স্বীকৃতি হলো ইমিগ্রেশন কার্ড।এই কার্ডটি হলো একটি কম্পিউটার চিপ সংযুক্ত কার্ড যাতে আপনার সকল ডকুমেন্টস থাকবে যেমন -আপনার পার্সপোর্ট এর তথ্য,আপনার আন্গুলের ছাপ,আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তার লাইসেন্স নম্বর ইত্যাদি থাকবে।

ইমিগ্রেশন কার্ড পেতে অবশ্য কিছু অঙ্গিকার নামা রয়েছে -অনলাইন থেকে আপনাকে অঙ্গিকার নামা সংগ্রহ করে, কম্পিউটারে আপনার সব ডকুমেন্টস দিয়ে ফর্ম পুরন করে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রিন্ট করে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।আপনাকে একটি দরখাস্তও সংগ্রহ করতে হবে।সবগুলে তথ্য জমা দিলেই আপনি ইমিগ্রেশন কার্ড পেয়ে যাবেন।

৩. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদেশ যাওয়ার আবেদন  - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে হয়, আবেদন করার অনেক মাধ্যম থাকে তেমনি একটি মাধ্যম হলো-বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্বিসেস লিমিটেড যা বোয়েসেল নামে পরিচিত।এছাড়াও রয়েছে বিএমইটি এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আবেদন করতে হয়-

বোয়েসেল:

বোয়েসেল হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন জনশক্তি প্রেরনকারী প্রতিষ্ঠান। এর ওয়েবসাইট হচ্ছে -www.boesl.gov.bd।মুলত বোয়েসেলের মাধ্যমে জনশক্তি পাঠিয়ে মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করে।বোয়েসেলের মুল লক্ষ্য হচ্ছে স্বল্প ব্যায়ে, সঠিক কাজে, স্বচ্ছতার সাথে জনশক্তি পাঠিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা।

বোয়েসেল বিদেশে কাজ করার জন্য ভিসা পেতে আবেদন করার সুযোগ দিয়ে থাকে।আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই আবেদন করার সকল তথ্য জানতে পারবেন,এই ওয়েবসাইটের শুরুতেই আপনাকে বিদেশ যাওয়ার সর্বশেষ খবর জানিয়ে দেওয়া হবে।

এরপর পাবেন একটি নোটিশ বোর্ড।এখানে আপনি বিভিন্ন দেশের যেমন-কোরিয়া যাওয়ার অভিবাসন,রোমানিয়া যাওয়ার ভিসা, ইতালি যাওয়ার ভিসাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা পাবেন,এবং আপনি বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম, তালিকা পাবেন,আবেদন করার ব্যাবস্থাও রয়েছে।আপনি চাইলে ফোন নাম্বারে কল করেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

বিএমইটি:

বৈদেশিক কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, কর্মীদের দক্ষতা,অভিবাসন কর্মীদের কল্যান ও নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় জনশক্তি প্রশিক্ষন ও কর্মসংস্থান ব্যুরো(বিএমইটি)। এটি বর্তমানে জাপানে কর্মী পাঠানোর কাজ করছে।এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে -www.portal.gov.bd.এই সংস্থাটি যেসকল সেবা প্রদান করে সেগুলো হল-
  1. চাহিদামতো বাংলাদেশি কর্মীদের বৈদেশিক কাজে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজকর্ম পরিচালনা করা।
  2. যারা বৈদেশিক কাজকর্মে নিয়োগ পান তাদের ছাড়পত্র প্রদান ও নিয়ন্ত্রণ করা।
  3. বিএমইটি বেসরকারি নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকেও নিয়োগ দিয়ে থাকে।
  4. কম্পিউটার ডাটাবেইজের মাধ্যমে বিদেশি শ্রমবাজারের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে থাকে।
  5. বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের সুযোগ সুবিধা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ করে থাকে।
  6. যারা বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের তালিকা করা এবং সম্ভাব্য কর্মসংস্থানে নিয়োগদান

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় :

প্রচুর বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় তৈরি করেন।এর ওয়েবসাইট হ্চ্ছে probashi.gov.bd  এই মন্ত্রনালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশী কর্মীদের শ্রমবাজার তৈরির জন্য।আপনি এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।এছাড়াও আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করতে পারবেন।

বিভিন্ন বেসরকারি রিক্রেটিং এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন:

বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন বেসরকারি রিক্রেটিং এজেন্সি গড়ে উঠেছে। এগুলোর সাহায্যে সহজেই  বিদেশি ভিসার আবেদন করা যায়।বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই এসব এজেন্সির মাধ্যমে শত শত মানুষ বিদেশ যাচ্ছে। তবে এর দ্বারা অনেকে প্রতারিতও হচ্ছে। এর থেকে বাচার জন্য এজেন্সির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে যে সরকার অনুমোদিত কি না।এজন্য আপনাকে  bmet.portal.gov.bd তে প্রবেশ করে সবগুলি তালিকা চেক করতে হবে যেমন-
  • চলমান রিক্রেটিং এজেন্সি 
  • বাতিল রিক্রেটিং এজেন্সি 
  • রিক্রেটিং এজেন্সি (কর্মসংস্থান শাখা বাতিল)
এসব তালিকা দেখলেই বুঝতে পারবেন ভুয়া কিনা, তারপর যাচাই বাচাই করে আপনি আপনার কাঙ্খিত আবেদনটি করতে পারবেন।
আরো কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে দেশের ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য পেশাজীবি আবেদন করে বিদেশ গমন করে থাকে। তবে এসব ওয়েবসাইটের সংখ্যা খুবই সীমিত। 


৪. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট  - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হচ্ছে  www.probashi. gov.bd. বিদেশ যেতে ইচ্ছুক প্রতিটা কর্মী এই সাইটের সাহায্যে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে এবং আবেদন করতে পারে।প্রবাসী মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যাওয়ার পুর্বে করনীয় -
  • আপনাকে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং পার্সপোর্ট করতে হবে।
  • পার্সপোর্ট আসার পর আপনার নিজ জেলাতে আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে।
  • আপনি যেদেশে যেতে চান সেই দেশের ভাষার উপর প্রশিক্ষন নিন।
  • আপনার পছন্দমতো কাজে প্রশিক্ষন নিন।
  • আপনার চুক্তিপএ ভালোভাবে যাচাই করে নিন।
  • আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস কপি করে নিন।(৩কপি)
  • আপনার কাছের সংশ্লিষ্ট অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিন।
  • আপনার মেডিকেল পরীক্ষা করুন।
  • বিদেশ যেতে আপনি স্বল্প সুদে লোন নিতে পারেন।

৫. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ -  প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি  ২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে।দেশের রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য দেশের সকল প্রান্ত থেকে কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার জন্য এই সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশি বেকার কর্মীদের জন্য একটি সুখবর।

মুলত বাংলাদেশী শিক্ষিত ও যোগ্য ব্যাক্তিরা এই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে এটা বাংলাদেশ সরকারের একটি চাকরি। আজকেই এই চাকরির জন্য আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করে ফেলুন।এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় তাদের শুন্য পদে কিছু কর্মী যুক্ত করবে।
এই সময়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সরকারি ক্যাটাগরির চাকরিটি খুবই ভালো চাকরি। আপনিও এই মন্ত্রনালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে বিডি সরকারি চাকরি পেতে পারেন।এটি বাংলাদেশের একটি আকর্ষনিয় চাকরি। তাই সময় নষ্ট না করে এখনই আবেদন করে ফেলুন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি হলো -
প্রতিষ্ঠানের নাম:বিদেশি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। 
চাকরির ধরন:সরকারি 
আবেদন শুরু :৯-৮-২০২৩
আবেদনের শেষ তারিখ:১১-৮-২৩
আবেদনের বয়সসীমা:১৮-৩০ বছর। 
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট :https /probashi.gov.bd

আপনি যদি সরকারি চাকরি করতে চান, নিসন্দেহে এটা আপনার জন্য একটি ভালো সুযোগ। এই আর্টিকেলে আমরা মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তথ্য দিয়েছি।আশা করি আপনার আবেদন করতে আর কোনো সমস্যা হবে না।

৬. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় রোমানিয়া নিয়োগ - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।রোমানিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের বিশাল সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া সুইং মেশিন অপারেটর, কাটিং অপারেটর, এবং বিভিন্ন ফ্যাক্টিতে কর্মী নেয়। এসব কর্মীদের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৪০০ এবং সর্বোচ্চ ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।খাবার, থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা,চিকিৎসা কোম্পানি বহন করে থাকে।

তবে ভিসার মেয়াদ মুলত থাকে ২ বছর।২ বছর পর আবার নবায়ন করা যায়।বাংলাদেশ থেকে গমনকারী ব্যাক্তির বিমান ভাড়া,ফ্যাশন সার্বিস চার্জ,বোয়েসেল চার্জ সহ মোট ২লাখ ৩১ হাজার ২৪০টাকা কর্মীকে বহন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ যাওয়ার আগে কর্মীকে বোয়েসেল ফ্রি বাবদ ৫০ হাজার টাকা জামানত রাখতে হবে এবং চুক্তি শেষ হওয়ার পরে এই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ইউরোপা ফ্যাশন চার্জের ১০শতাংশ বোয়েসেল জমা রাখে এবং চাকরি পারমানেন্ট হওয়ার পর ফেরত দিয়ে দেয়।

বোয়েসেল রোমানিয়া যাওয়ার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।যেখানে অনেক বাংলাদেশী কর্মী নিবে বলে আশা প্রকাশ করা যায়। নিয়োগ পএে বলা হয়েছে শুধুমাএ দক্ষ লোকেরাই আবেদন করতে পারবে।আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং প্রশিক্ষন সনদ লাগবে।আবেদনের ওয়েবসাইট  www.boesle.com

রোমানিয়া নিয়োগ ক্যাটাগরি:

  • ওয়েল্ডিং 
  • রেস্টুরেন্ট
  • টাইলস মিস্ত্রি
  • ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি 
  • গ্যাস ফিল্টারিং ইত্যাদি।
কর্মীর বেতন -ভাতা, সুযোগ সুবিধা, ওভারটাইম সবকিছু কোম্পানি বহন করে থাকবে।
রোমানিয়া নিয়োগের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
  • পাসপোর্ট (মেয়াদ ৬মাস)
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • ছবি(সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
  • সনদপএ (চেয়ারম্যান দিয়ে সত্যায়িত)
  • জীবন বৃত্তান্ত। 
এসব কাগজপত্রে কোনো ভুল থাকা যাবে না, কোনো ভুল থাকলে অবশ্যই তা সংশোধন করে আবেদন করতে হবে।আবেদন করার পর আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর হার্ডকপি সাথে নিয়ে আসতে হবে।প্রথম অবস্থায় আপনার অনলাইনে জমাকৃত কাগজও সাথে আনতে হবে।

রোমানিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কর্মীকে অবশ্যই এসএসসি পাশকৃত হতে হবে এবং উপরোক্ত যেকোনো একটি বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে হবে এবং প্রশিক্ষন শেষে যে সনদপত্র প্রদান করবে তা জমা দিতে হবে।এভাবেই আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় রোমানিয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এর মাধ্যমে আবেদন করে রোমানিয়া যেতে পারবেন। যা দেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধান করবে এবং রেমিটেন্সে বড় অবদান রাখবে। 

৭. প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মোবাইল নম্বর  - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ  

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন কর্মকর্তাবৃন্দের নাম এবং মোবাইল নম্বর-(অফিস)
  1. জনাব ইমরান আহমদ-এমপি-৪১০৩০৬৬৬
  2. ড.আহমেদ মুনিরূছ ছালেহীন-৪১০৩০৪৪৪
  3. সায়মা ইউনুস -৪১০৩০২২৪
  4. ড.আলমগীর হোসাইন -৪১০৩০২১৬
  5. মীর খায়রুল আলম-৪১০৩০২২৫
  6. মো:খায়রুল আলম-৪১০৩০২২৯
  7. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া -৪১০৩০২১৯
  8. দীপক কুমার রায়-৪১০৩০৩৪৪
  9. মো:সারওয়ার আলম-৪১০৩০২৫১
  10. ড.নাসিম আহমেদ -৪১০৩০২৬৩
  11. গাজী মো:শাহেদ আনোয়ার -৪১০৩০২৪৫
  12. মোঃ সাইদুল ইসলাম -৪১০৩০২৬১
  13. নিলুফার জেসমিন খান -৪১০৩০২৫৪
  14. মোঃ মইনুল হাসান -৪১০৩০২২৩
  15. মফিদুল আলম -৫৫১৩৮০৮৬
  16. এ এস এম ফজলুর রহমান -৪১০৩০২৪৯
  17. এ কে এম শরিফুল আলম সিদ্দিকী -৪১০৩০২৫৩
  18. হোসনে আরা বেগম -৪১০৩০২৬০
  19. সন্দীপ কুমার সরকার -৪১০৩০২২০
  20. মির্জা শাকিলা দিল হাসিন -৪১০৩০২৪০
  21. মোঃ নুরুল হুদা -৪১০৩০৩৪৪
  22. আবু তাহের -৫৫১৩৮১৩৬
  23. আশফাক আহমেদ -৪১০৩০২৩০
  24. মোহাম্মদ রেজাউল করিম -৪১০৩০২৫৬
  25. টিটু কুমার চৌধুরী -৪১০৩০২২৯
  26. মোহাম্মদ আলী -৪১০৩০২৫৭
  27. আহাম্মদ কবীর-৫৫১৩৮৩০
প্রবাসীদের জন্য কল সেন্টার ১৬১৩৫(টোল ফ্রি)। 
+৮৮০৯৬১০১০২০৩০(বিদেশ থেকে)। 

৮.প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়া - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়া কর্মী যাওয়ায় জন্য বাংলাদেশ অংশের খরচ ৮০ হাজার টাকা এর কমের মধ্যে নির্ধারন করেছে।এই টাকার পরিমান হচ্ছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা।বাংলাদেশ থেকে সকল পেশার লোক নিবে মালয়েশিয়া। কর্মীদের বিমান ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ বহন করবে মালয়েশিয়া কোম্পানি। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি বর্তমানে চাকরির জন্য নিয়োগ প্রদান করেছে। আপনি চাইলে সহজেই এসব চাকরিতে আবেদন করে যেতে পারেন। 

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনাকে বিএমইটি থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।একজন মালয়েশিয়া গমনকারী ব্যাক্তির মোট ১-১.৫ লক্ষ টাকা খরচ পরতে পারে।মালয়েশিয়া যাওয়ার কাগজপত্র -
  • পার্সপোর্ট(কমপক্ষে ২বছর মেয়াদ হতে হবে)
  • আপনার জাতীয় পরিচয়পএ
  • বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন কার্ড
  • আপনার বয়স  হতে হবে ১৮-৪৫
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট করতে হবে। 
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • করোনা ভেক্সিনের সার্টিফিকেট
  • আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য মালয়েশিয়া অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে যেতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনাকে জেনে শুনে আবেদন করতে হবে।এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলেও আপনাকে আবার বিএমইটি এর রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

মালয়েশিয়া যেতে আপনাকে করোনা ভেক্সিনের টিকা যেমন-সিনোফার্ম বা মর্ডানা এর দুই ডোজ কম্পলিট  থাকতে হবে।
আপনি মুলত অনেকভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার আবেদন করতে পারেন।যেমন-বিএমইটি এর অফিসে উপস্থিত হয়ে অথবা আমি প্রবাসী অ্যাপ এর মাধ্যমে।

বিএমইটি অফিসে আবেদন:


বাংলাদেশের ৪২ টি বিএমইটি এর যেকোনো কেন্দ্র থেকে আপনি আবেদন করতে পারবেন।এর জন্য আপনার উপরোক্ত ডকুমেন্টস নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করলেই প্রতিনিধি আপনার আবেদন করে দিবে।

আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন :

  • প্রথমে google play store থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
  • তারপর আপনার পার্সপোর্ট দিয়ে বিএমইটি এর রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। পার্সপোর্ট ভেরিফাই হতে ৩দিন সময় লাগবে।
  • পার্সপোর্ট ভেরিফাই হওয়ার পর আপনাকে ৩০০টাকা বিএমইটি এর রেজিষ্ট্রেশনের জন্য দিতে হবে।  যেকোনো মাধ্যম দিয়ে আপনি বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
  • এবার অ্যাপে ডুকে বিএমইটি এর হোমপেইজ scroll করতে করতে চাকরির অপশন দেখতে পাবেন। সেটাতে প্রবেশ করুন।
  • তারপর আপনি বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। আপনার পছন্দমতো চাকরি সিলেক্ট করুন।আপনার চাকরির সব তথ্য আপনি দেখতে পাবেন।
  • এবার আবেদন করুন এ ক্লিক করলেই বিএমইটি এর তথ্য অনুযায়ী আপনার রেজিষ্ট্রেশন সম্পুর্ন হয়ে যাবে। 
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ -এর বিএমইটি এর মধ্যমে আবেদন করে সহজেই কম টাকায়, সঠিকভাবে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। ধন্যবাদ।


৯.আমেরিকা ইমিগ্রেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায় - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

আমেরিকা এমন একটি স্বপ্নের দেশ, যেখানে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে প্রতিটি বাঙ্গালির।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ, আপনি যদি আমেরিকার ইমিগ্রেন্ট ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আমেরিকার নাগরিক হতে হবে অথবা আমেরিকার নাগরিক এমন ব্যাক্তির, ঘনিষ্ঠ আত্তীয় এর মাধ্যমে স্পনসর পেতে হবে।মুলত বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাসিন্দাদের জন্য ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাস থেকে ইমিগ্রেন্ট ভিসার কার্যক্রম করতে হয়।

আপনাকে আপনার ইমিগ্রেন্ট ভিসার আবেদন করার পূর্বে আপনার পিটিশন অনুমোদিত করতে হবে।এক্ষেত্রে আপনার আমেরিকা  নাগরিক আত্মীয় আপনার পিটিশন করার ব্যাপারে কাজ করতে পারে। আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে ইমিগ্রান্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। 

সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে ফরম পূরণ করলে আপনার ভিসার আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আবেদনের লিংক -www.uscias.gov.bdএটি হচ্ছে আমেরিকার সকল ধরনের ইমিগ্রেট ভিসা পাওয়ার জন্য নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সার্ভিসের লিংক। এখানে আপনি আপনার প্রয়োজন মত ভিসা পাওয়ার সকল ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র -
  • পাসপোর্ট (পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই ৮ মাস হতে হবে) 
  • ছবি (আপনার দুই কপি ছবি লাগবে) 
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
  • আপনার মেডিকেল রিপোর্ট 
  • আপনার পারিবারিক সম্পর্কের সনদপত্র 
  • আপনার বরণ পোষণের এফিডেটিভ অব সাপোর্ট 
  • আপনার তারা অথবা ডিভোর্সের সনদপত্র 
  • জন্ম অথবা মৃত্যুর সনদপত্র। 

ইমিগ্রান্ট ভিসার আবেদন করার সময় আপনাকে একটি ফ্রি পরিশোধ করতে হবে। যদি আপনার এজেন্ট এ ফ্রি পরিশোধ করে দেয় তাহলে আপনাকে আর ফ্রি পরিশোধ করতে হবে না। আর যদি ফ্রি পরিশোধ না করে তাহলে আপনাকে 230 ইউএস ডলার পরিশোধ করতে হবে। আপনাকে ইমিগ্রেন্টের উপযুক্ত হওয়ার জন্য দূতাবাসের অনুমোদিত চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে। এখান থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশপথে দেখাতে হবে। 


আপনাকে অবশ্যই সংক্রামক রোগনাশক যেকোনো টিকা নিতে হবে। এই টিকা গুলো সাধারণত অনুমোদিত চিকিৎসকগণই দিয়ে থাকেন। আপনাকে এ টিকার ঝুঁকিপূর্ণতার সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। আপনার মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট ছয় দিনের চেয়ে বেশি হলে ওই রিপোর্ট নিয়ে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। আপনাকে সাধারণত টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে  একটু এক্সট্রা খরচ করতে হতে  পারে। 

আপনার ছবি অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর রঙিন ছবি হতে হবে। আপনার ছবিতে আপনার মুখমণ্ডল দুই চোখ, দুই কান, সম্পূর্ণ স্পষ্ট থাকতে হবে। আপনার ছবিতে মনোযোগ আকৃষ্ট হয় এমন চশমা বা অন্য কিছু পরে ছবি তোলা যাবে না। আপনি চাইলে আপনার মাথায় টুপি পড়তে পারেন তবে সম্পূর্ণ মুখ খোলা রাখতে হবে। আপনার ছবি অবশ্যই মসৃণ এবং চকচকে হতে হবে। আপনার চেহারার বর্তমান অবস্থা বোঝার জন্য, আপনার ছবি সাক্ষাৎকারের ছয় মাসের মধ্যে তুলতে হবে। 

আপনার বয়স যদি ১৬ বছরের বেশি হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে এজন্য আপনাকে বর্তমান নিকটস্থ থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জোগাড় করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য সোনালী ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে।  আপনার সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুযায়ী অনুমোদিত এবং সত্যায়িত হতে হবে। 

আপনাকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যুর সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিকটস্থ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যদি ডাক্তার অথবা কোন ক্লিনিকের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে চান তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। আপনার অথবা আপনার সন্তানের বয়স যদি ২১ বছরের নিচে থাকে তাহলে তার জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে। আপনার সন্তান যদি অভিবাসন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন নাও করে তাহলেও আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে। 

আশা করি আমাদের আজকের এ আর্টিকেলটি আপনার একটু হলেও উপকারে আসবে। এভাবেই আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় আমেরিকার ইমিগ্রেন্ট ভিসা পেতে পারেন।


১০. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায়  বিদেশ 

প্রশ্ন ১: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কবে প্রতিষ্ঠিত হয়? 

উত্তর:২০০১ সালের ২০ ই ডিসেম্বর 

প্রশ্ন ২:প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট কি? 

উত্তর:www.probashi.gov.bd

প্রশ্ন ৩: রোমানিয়া যেতে সর্বনিম্ন কত দিনের প্রশিক্ষণ সনদ লাগে? 

উত্তর:ছয় মাসের। 

প্রশ্ন ৪:প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কোথায় অবস্থিত? 

উত্তর:এলিফেন্ট রোড-ঢাকা-১০০০

১১. লেখকের মন্তব্য - প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ 

এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করলাম-প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় বিদেশ, বিদেশ যাওয়ার কাগজপএ,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিসায় আবেদন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মোবাইল নম্বর ইত্যাদি।আর্টিকেল সম্পর্কে কোন প্রশ্ন, মতামত কিংবা পরামর্শ আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট  the du speech ভিজিট করতে পারেন।


এই আর্টিকেলের-



লেখক: মোসা: কবিতা 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: নরসিংদী 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url