OrdinaryITPostAd

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

এইচএসসি ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকেরই অনেক রকমের পছন্দ,ইচ্ছা বা স্বপ্ন থাকে।যাদের ইচ্ছা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তাদের জন্যই ঢাকা ভার্সিটি আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলটি। আজকের এই আর্টিকেলটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ এর আবেদনের তারিখ,পরীক্ষার সময়সূচি,ইউনিট ভিত্তিক আলোচনা,পরীক্ষার মানবন্টন এবং আবেদনের যোগ্যতা সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।যে সকল পরীক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলটি পড়বেন।

অনুচ্ছেদ সূচি(যে অংশে পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. আবেদন ও পরীক্ষার সময়সূচি
  2. আবেদনের যোগ্যতা
  3. ইউনিট পরিচিতি
  4. ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন 
  5. ইউনিটভিত্তিক সাবজেক্ট ও আসন সংখ্যা 
  6. আবেদন করার নিয়ম 
  7. কোটায় ভর্তি প্রক্রিয়া 
  8. প্রবেশপত্র ডাউনলোড এবং রেজাল্ট দেখা
  9. ভর্তি পরীক্ষার অন্যান্য নিয়মাবলি
  10. প্রশ্ন-উত্তর পর্ব 
  11. লেখকের মন্তব্য

১.আবেদন ও পরীক্ষার সময়সূচি|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬ই মে থেকে ২৫ শে মে ২০২৩ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদন শুরু হবে ২৮ এপ্রিল থেকে।

২.আবেদনের যোগ্যতা|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ শীর্ষক আর্টিকেলের এই অংশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।চবিতে আবেদনের যোগ্যতা পূর্বের সেশন এর থেকে বাড়ানো হয়নি অর্থাৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনের যোগ্যতা অপরিবর্তিত রয়েছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ অনুযায়ী ইউনিট ভিত্তিক আবেদনের যোগ্যতা  হলো:

  • এ ইউনিট: যে সকল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান/কৃষিবিজ্ঞান শাখায় মাধ্যমিক/ দাখিল বা সমমান এবং বিজ্ঞান/ কৃষিবিজ্ঞান শাখায় উচ্চমাধ্যমিক /আলিম বা সমমান এবং IGCSE/O LEVEL ও IAL/GCE A LEVEL উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে প্রত্যেক পরীক্ষায় ৩. ৫০ পেয়েছে তারাই আবেদন করতে পারবে। কোন একটি বিষয়ে বি গ্রেড বা ৩.৫০ এর কম পয়েন্ট থাকলে আবেদন করতে পারবে না।
  • বি এবং বি১ উপ ইউনিট: বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য :মাধ্যমিক/ দাখিল বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক/আলিম /সমমান এবং ও লেভেলে /ও লেভেল উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ থাকলে আবেদন করতে পারবে। কোন বিষয়ে বি গ্রেড বা ৩.৫০ এর কম থাকলে আবেদন করতে পারবে না।                       মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য: মাধ্যমিক /দাখিল /সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান এবং ও-লেভেল/এ-লেভেল পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ এবং আলাদাভাবে নূন্যতম ৩.০০ থাকতে হবে। কোন বিষয়ে ৩.০ পয়েন্টের কম থাকলে আবেদন করতে পারবে না।           ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য: মাধ্যমিক/দাখিল /সমমান/ও-লেভেল এবং উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান/এ-লেভেল পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে ৩.৫০ থাকতে হবে। কোন বিষয়ে ৩.৫০ এর কম পয়েন্ট থাকলে আবেদন করতে পারবে না।
  • সি ইউনিট: মাধ্যমিক/দাখিল/সমমান/ও-লেভেল এবং উচ্চমাধ্যমিক/আলিম/সমমান/এ-লেভেল পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং আলাদাভাবে ৩.৫০ থাকতে হবে।কোন বিষয়ে ৩.৫০ এর কম পয়েন্ট থাকলে আবেদন করতে পারবে না।
  • ডি ইউনিট এবং ডি১ উপ ইউনিট: ডি ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক/দাখিল/সমমান/ও-লেভেল এবং উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম/সমমান/এ-লেভেল পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ এবং আলাদাভাবে ৩.৫০থাকতে হবে। ডি১ উপ ইউনিটের জন্য উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৬.০০ এবং আলাদাভাবে ২.৫০ থাকতে হবে।

৩.ইউনিট পরিচিতি|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলের এই অংশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির সকল ইউনিটের বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।ভর্তি পরীক্ষা মূলত ৪টি ইউনিট এবং দুইটি উপ ইউনিটে অনুষ্ঠিত হয়।এখানে আলাদাভাবে প্রত্যেকটি ইউনিটের পরিচিতি তুলে ধরা হলো:
  • এ ইউনিট:বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ/ ইনস্টিটিউট,জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ,ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ এবং মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ/ইনস্টিটিউট নিয়ে এ ইউনিট গঠিত।শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে ও-লেভেল, এ-লেভেল  এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি বিষয় সহ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন,গণিত/উচ্চতর গণিত বিষয় নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকেও বিজ্ঞান গ্রুপের বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
  • বি ইউনিট: কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ/ইনস্টিটিউট (নাট্যকলা বিভাগ,চারুকলা ইনস্টিটিউট ও সংগীত বিভাগ ব্যতীত) নিয়ে বি ইউনিট গঠিত।এই ইউনিটে বিজ্ঞান,মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।এছাড়াও মিউজিক/গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও এই বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
  • বি১ উপ ইউনিট: কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত নাট্যকলা বিভাগ, চারুকলা ইনস্টিটিউট ও সংগীত বিভাগ নিয়ে বি১ উপ ইউনিট গঠিত।বি ইউনিটের ন্যায় এই ইউনিটের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।
  • সি ইউনিট:ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ নিয়ে এই ইউনিট গঠিত।Accounting/ Higher accounting বিষয় নিয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ইউনিট হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষায় ইউনিট।এছাড়াও এই ইউনিটে ডিপ্লোমা ইন কমার্স/ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ/ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট শাখার শিক্ষার্থীদের এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • ডি ইউনিট:সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ,আইন অনুষদভুক্ত আইন বিভাগ,ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ,জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে ডি ইউনিট গঠিত। বিজ্ঞান,মানবিক,ব্যবসায় শিক্ষা,ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা,মিউজিক,গার্হস্থ্য অর্থনীতি শাখার শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সকল বিভাগ,আইন অনুষদভুক্ত আইন বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সকল বিভাগে পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অবশ্যই গণিত বিষয় থাকতে হবে,মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অর্থনীতি বিষয় থাকতে হবে।এছাড়া Accounting/Higher accounting ব্যতীত নিয়মিত ডিপ্লোমা ইন কমার্স/ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিস/ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট শাখার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সকল বিভাগে পরীক্ষা দিতে পারবে।জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগে মানবিক গ্রুপের আসনের জন্য মানবিক বা মিউজিক বা সাধারণ(মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড )শাখার আবেদনকারীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
  • ডি১ উপ ইউনিট: শিক্ষা অনুষদভুক্ত ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্সেস বিভাগ নিয়ে ডি১ উপ ইউনিট গঠিত।সকল শাখার শিক্ষার্থীরা এই উপ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে।
আবেদনকারী যে বিভাগ/ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাকে ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত প্রতি ইউনিট/উপ ইউনিটের ঐ বিভাগ/ইনস্টিটিউট এর জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হবে।

৪.ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন নিয়ে আলোচনা করব।ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর আগে অবশ্যই পরীক্ষার মানবন্টন এর বিষয়ে সম্মক ধারণা থাকা আবশ্যক।তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন এর বিষয়ে জানতে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট ভিত্তিক মানবন্টন হলো:
এ,বি,সি,ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের হবে।এর মধ্যে বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা আর বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ থেকে যুক্ত হবে।বি১ উপ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা মোট ১৪০ নম্বরের হবে।১০০ নম্বরের এমসিকিউ, ২০ নম্বরের ব্যবহারিক এবং এইচএসসি ও এসএসসি সমমান উভয় পরীক্ষার জিপিএ দ্বয়ের যোগফল ২০ নম্বর।ডি১ উপ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট‌ ১৫০ নম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।এমসিকিউ ১০০,ব্যবহারিক ৩০ নম্বর এবং জিপিএ এর উপর ২০ নম্বর থাকবে।

চবি এ ইউনিট মানবন্টন:
বাংলা – ১০ নম্বর
ইংরেজি – ১৫ নম্বর
পদার্থ – ২৫ নম্বর
রসায়ন – ২৫ নম্বর
জীববিজ্ঞান – ২৫ নম্বর
গনিত – ২৫ নম্বর
পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও জীববিদ্যা এই ৪টি বিষয়ের মাঝে যেকোনো ৩টি বিষয়ে উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষায় বাংলায় ন্যূনতম ৩, ইংরেজিতে ৪ নম্বর পেতে হবে।পরীক্ষায় সাধারণ আসনের জন্য পাশ নম্বর ৪০ এবং কোটায় ভর্তি আসনের জন্য পাশ নম্বর ৩৫।

বি ইউনিট মানবন্টন:
বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজি – ৩৫ নম্বর
ইংরেজি – ৩৫ নম্বর
সাধারণ জ্ঞান – ৩০ নম্বর
পরীক্ষায় সাধারণ আসনের জন্য পাশ নম্বর হলো ৪০ এবং কোটায় ভর্তি আসনের জন্য পাশ নম্বর ৩৫।

বি-১ উপ ইউনিট মানবন্টন:
বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজি – ৩৫ নম্বর
ইংরেজি – ৩৫ নম্বর
সাধারণ জ্ঞান – ৩০ নম্বর
পরীক্ষায় সাধারণ আসনে ন্যূনতম পাশ নম্বর হলো ৪০।তবে কোটায় ভর্তি আসনের জন্য পাশ নম্বর ৩৫।

সি ইউনিট মানবন্টন:
ইংরেজি – ৩০ নম্বর
হিসাববিজ্ঞান – ৩৫ নম্বর
ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ – ৩৫ নম্বর
সাধরণ আসনের জন্য পাশ নম্বর ৪০ এবং কোটায় পাশ মার্ক ৩৫।

ডি ইউনিট মানবন্টন:
বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজি – ৩০ নম্বর
ইংরেজি – ৩০ নম্বর
বিশ্লেষণ দক্ষতা- ২০ নম্বর
সাধারণ জ্ঞান/গণিত/অর্থনীতি – ২০ নম্বর(যেকোনো একটি উত্তর করতে হবে) 
পরীক্ষায় সাধারণ আসনে পাশ মার্ক ৪০ এবং কোটায় ভর্তি পাশ মার্ক  হবে ৩৫।

ডি-১ ইউনিট মানবন্টন:
বাংলা বা ঐচ্ছিক ইংরেজি – ৩৫ নম্বর
ইংরেজি – ৩০ নম্বর
সাধারণ জ্ঞান – ৩৫ নম্বর
পরীক্ষায় সাধারণ আসনে পাশ মার্ক ৪০,এবং কোটায় ভর্তি পাশ মার্ক ৩৫(শুধুমাত্র বিকেএসপি ও পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য কোটায় পাশ মার্ক ৩০)

৫.ইউনিটভিত্তিক সাবজেক্ট ও আসন সংখ্যা |চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবজেক্ট ভিত্তিক আসন বরাদ্দ রয়েছে।আর্টিকেলের এই অংশে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ অনুযায়ী ইউনিট ভিত্তিক সাবজেক্ট ও আসন সংখ্যা আলোচনা করব।
A ইউনিট:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের A ইউনিটে ২১ টি বিভাগে মোট ১২১২ টি সিট রয়েছে।বিভাগ অনুযায়ী আসন সংখ্যা হলো:
বিষয়    আসন সংখ্যা 
১. পদার্থ -(১১০)টি আসন
২. রসায়ন -(১১০)টি আসন
৩. গণিত -(১১০)টি আসন
৪. পরিসংখ্যান -(১১০) টি আসন 
৫. ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল- (৩০)টি আসন
৬. ফরেস্ট্রি  -(৪০)টি আসন
৭. পরিবেশ বিজ্ঞান -(৩৫)টি আসন
৮. প্রাণিবিদ্যা -(১০০)টি আসন
৯. উদ্ভিদ বিজ্ঞান- (১০০) টি আসন
১০. ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা- (৪০)টি আসন
১১. প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান- (৪০)টি আসন
১২. মাইক্রোবায়োলজি -(৪০) টি আসন 
১৩. মৃত্তিকাবিজ্ঞান -(৫০)টি আসন
১৪. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি- (৩৫) টি আসন
১৫. মনোবিজ্ঞান-(২২)টি আসন
১৬. ফার্মেসি- (৩০)টি আসন
১৭. কম্পিউটার সায়েন্স & ইঞ্জিনিয়ারিং- (৬৫)টি আসন
১৮. ইলেক্ট্রিক্যাল & ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং- (৫৫) টি আসন 
১৯. ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্স -(৪০) টি আসন
২০. ওশানোগ্রাফি- (২৫) টি আসন
২১. ফিসারিজ -(২৫) টি আসন
B এবং B1 ইউনিট :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটে ১২টি সাবজেক্ট এবং বি১ উপ ইউনিটে ৩ টি সাবজেক্ট  এবং মোট ১২২১ টি আসন রয়েছে।এগুলো হলো:
বিষয়     আসনসংখ্যা
  1. দর্শন   -১২০ টি আসন
  2. ইতিহাস- ১২০টি আসন 
  3. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি- ১২০টি আসন
  4. আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ- ১২০টি আসন
  5. বাংলা- ১১০টি আসন
  6. ইংরেজি- ১১০টি আসন
  7. ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ -১০৫ টি আসন
  8. পালি- ৮৫টি আসন
  9. সংস্কৃত- ৭০টি আসন
  10. ফারসি ভাষা ও সাহিত্য- ৫০টি আসন
  11. বাংলাদেশ স্টাডিজ- ৫০টি আসন
  12. আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট - ৪১টি আসন
  13. নাট্যকলা (বি১ ইউনিট) - ৩৫ টি আসন
  14. সংগীত (বি১ ইউনিট)- ৩০টি আসন 
  15. চারুকলা (বি১ ইউনিট)- ৬০টি আসন
C ইউনিট:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটে মোট  সাবজেক্ট ৬ টি ও আসন সংখ্যা সর্বোমোট ৪৪১ টি। বিষয়               আসন 
  1. অ্যাকাউন্টিং  - ৮৭টি আসন
  2. ম্যানেজমেন্ট   - ৬৫টি আসন
  3. ফাইন্যান্স   - ৯৫টি আসন
  4. মার্কেটিং - ৭৭টি আসন 
  5. ব্যাংক অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স  - ৬৭টি আসন
  6. হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট  - ৫০টি আসন  
D এবং D1 ইউনিট:ডি ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সব বিভাগ, আইন অনুষদের আইন বিভাগ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সব বিভাগ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া আছে।ডি ইউনিটে ১১৬০ টি আসন রয়েছে।ডি১ উপ ইউনিটে শুধুমাত্র একটি সাবজেক্টে ৩০ টি আসন রয়েছে।বিভাগভিত্তিক আসন সংখ্যা হলো:
  1. অর্থনীতি- মোট আসন১৩২ টি(মানবিক ৪০টি, বিজ্ঞান ৬৬টি ও ব্যবসায় ২৬টি)
  2. রাজনীতি বিজ্ঞান -মোট আসন ১৩২ টি(মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি)
  3. সমাজতত্ত্ব- মোট আসন ১৩২টি (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি)
  4. লোকপ্রশাসন- মোট আসন ১৩২টি (মানবিক ৫৩টি, বিজ্ঞান ৫৩টি ও ব্যবসায় ২৬টি)
  5. নৃবিজ্ঞান - মোট আসন ৮৫ টি (মানবিক ৩৪টি, বিজ্ঞান ৩৪টি ও ব্যবসায় ১৭টি)
  6. আন্তর্জাতিক সস্পর্ক- মোট আসন ৮৫ টি (মানবিক ৩৪টি, বিজ্ঞান ৩৪টি ও ব্যবসায় ১৭টি),
  7. যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা- মোট আসন ৬০টি (মানবিক ২৪টি, বিজ্ঞান ২৪টি ও ব্যবসায় ১২টি)
  8. ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ- মোট আসন ৩০ টি (মানবিক ১২টি, বিজ্ঞান ১২টি ও ব্যবসায় ৬টি)
  9. ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স- মোট আসন ৩০ টি(মানবিক ১২টি, বিজ্ঞান ১২টি ও ব্যবসায় ৬টি)।
  10. আইন বিভাগ- ১১৫টি আসন(সবার জন্য উন্মুক্ত) 
  11. অ্যাকাউন্টিং- মোট আসন ২৩টি(বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২০টি ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য৩টি)
  12. ম্যানেজমেন্ট- মোট আসন ৪৫টি(বিজ্ঞান শাখার জন্য ৪০টি ও মানবিক শাখার জন্য ৫টি)
  13. ফাইন্যান্স- মোট আসন ১৫ টি(বিজ্ঞান শাখার জন্য ১০টি ও মানবিক শাখার জন্য ৫টি)
  14. মার্কেটিং-মোট আসন ৩৩ টি(বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩০টি ও মানবিক শাখার জন্য ৩টি) 
  15. ব্যাংকি অ্যন্ড ইনস্যুরেন্স- মোট আসন ৩৩টি (বিজ্ঞান শাখার জন্য ৩০টি ও মানবিক শাখার জন্য তিনটি)
  16. হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-৫০ টি(বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৭টি ও মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি)
  17. ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা- ১০টি আসন( মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য)
  18. মনোবিজ্ঞান-১৮টি আসন (মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য)
  19. ফিজিক্যাল এডুকেশন এ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স(ডি১ উপ ইউনিটের সাবজেক্ট)- ৩০ টি আসন ( সবার জন্য)

৬.আবেদন করার নিয়ম|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলের এই অংশে থাকছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করার নিয়ম।আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট  http://admission.cu.ac.bd  এ প্রবেশ করতে হবে। এরপর ‘Apply Now’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।'Apply Now’ বাটনে ক্লিক করার পর আবেদনকারীর উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, পাসের সন ও বোর্ডের নাম এবং মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর,পাসের সন ও বোর্ডের নাম প্রদান করার ফর্ম দেখতে পাবেন।তথ্যগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করলে  পরবর্তী পেজে আসবে এবং মোবাইল নাম্বার চাওয়া হবে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।যেই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হবে তা অবশ্যই শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর হতে হবে।ভর্তি পরীক্ষার সকল নোটিফিকেশন উক্ত নাম্বারে প্রদান করা হবে।তারপর উক্ত মোবাইল নাম্বারে একটি কনফার্মেশন কোড যাবে এবং এই কোড বসানোর জন্য পেজে একটি বক্স আসবে।কোডটি দেওয়ার পর আবেদনের মূল পেজ আসবে।মূল পেজে আবেদনকারীর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং সেখানে আবেদনকারীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তথ্যাবলি প্রদর্শিত হবে।আবেদনকারীর কোনো কোটা থাকলে কোটা সংযুক্ত করতে হবে,এক্ষেত্রে কোটা নির্বাচনের একাধিক অপশন থাকবে যার ভিতর থেকে কাঙ্খিত অপশন সিলেক্ট করতে হবে।এরপর প্রোফাইলের নির্দিষ্ট অংশে গিয়ে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের একটি ছবি আপলোড করতে হবে।এরপর ‘রকেট’ অথবা ‘শিওর ক্যাশ’ অথবা ‘বিকাশ’ এর মাধ্যমে ঐ ইউনিট/উপ-ইউনিটের জন্য আবেদন ফি জমা দিলেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।অনলাইনে আবেদন করার পর ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে হবে,পরবর্তীতে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য এটি প্রয়োজন হবে।

৭.কোটায় ভর্তি প্রক্রিয়া|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ আসনের পাশাপাশি কয়েকটি কোটায় বেশ কিছু আসন থাকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ এর এই অংশে কোথায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা,ওয়ার্ড কোটা,নৃ-গোষ্ঠী,অ-উপজাতি,বিকেএসপি,অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী,শারীরিক প্রতিবন্ধী,পেশাদার খেলোয়াড়,দলিত জনগোষ্ঠী কোটা রয়েছে।কোটা প্রার্থীগন কলা ও মানববিদ্যা,অনুষদ,সমাজবিজ্ঞান অনুষদ,জীববিজ্ঞান অনুষদ এবং মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত বিভাগ/ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী,অ-উপজাতি কোটায় ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।বিজ্ঞান অনুষদের গণিত/পরিসংখ্যান বিভাগ এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ,ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ,সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত বিভাগে শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে।শিক্ষা অনুষদের অন্তর্গত এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগে পেশাদার খেলোয়াড় কোটায় ভর্তর জন্য আবেদন করতে পারবে।কোটায় ভর্তি প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে ওই ইউনিটের অফিস থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শনপূর্বক যে সমস্ত নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করতে হবে তা হল:
১.ওয়ার্ড কোটার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র।
২.উপজাতি/ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজাতি / ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠী প্রধান বা জেলা প্রশাসকের সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৩.হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটার ক্ষেত্রে হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় সংগঠন প্রদানের সনদপত্র।
৪.প্রতিবন্ধী কোটার (দৃষ্টি,বাক, শ্রবণ ও শারীরিক) ক্ষেত্রে সঠিকতার সনদপত্র।
৫.মুক্তিযোদ্ধার সন্তান /মুক্তিযোদ্ধার নাতনি /নাতি কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক    ইস্যুকৃত সনদপত্র অথবা  ১৯৯৭ সন থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীনে তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রতি স্বাক্ষরিত মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র।
৬.খেলোয়াড় কোটার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে।
উপরোক্ত কোটার নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করে যে কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার প্রত্যয়ন পত্র/ সনদপত্র /প্রমাণপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে হবে ।যাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃত সনদ নেই কিন্তু সনদের জন্য আবেদন করেছে তাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।তবে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত নির্বাচনের পূর্বেই অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সনদপত্র জমা দিতে হবে।

৮.প্রবেশপত্র ডাউনলোড এবং রেজাল্ট দেখা|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ এর আলোকে  প্রবেশপথ ডাউনলোডের নিয়ম হলো:
প্রথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://admission.cu.ac.bd তে প্রবেশ করতে হবে।এরপর লগ ইন অপশনে ক্লিক করতে হবে।User ID ও Password প্রদান করে লগইন করতে হবে।তারপর প্রবেশপত্র ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপত্র ডাউনলোড পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে হবে।
রেজাল্ট দেখার নিয়ম:সাধারণত ভর্তি পরীক্ষার কিছুদিন পরেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্ট পাবলিশ হয়।ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট চবির অফিশিয়াল পেজে পাবলিশ করা হয়।রেজাল্ট দেখার জন্য প্রথমে চবি এর অফিশিয়াল পেজ https://admission.cu.ac.bd তে গিয়ে লগ ইন অপশনে ক্লিক করতে হবে।তারপর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর আবেদনকারীর প্রোফাইল আসবে।উক্ত প্রোফাইল থেকে Exam Result অপশনে ক্লিক করলেই বিস্তারিত রেজাল্ট চলে আসবে।

৯.ভর্তি পরীক্ষার অন্যান্য নিয়মাবলী|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কিছু নিয়মকানুন রয়েছে যেগুলো পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পালন করতে হবে।যেমন-
  • ভর্তি পরীক্ষার ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে থেকে বিস্তারিত আসন বিন্যাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হতে দেখা যাবে।এছাড়া আবেদনকারীর প্রবেশপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এসএমএসের মাধ্যমে নিজ নিজ আসন বিন্যাস জানিয়ে দেয়া হবে।
  • জিএসই ও/এ লেভেল শিক্ষার্থীরা বা অন্য কোনো পরীক্ষার্থী ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে চাইলে অবশ্যই স্ব স্ব ইউনিট/উপ-ইউনিটে আবেদনের সময় তার সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে।
  • ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,এইচএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড,A Level শিক্ষার্থীদের Statement of Entry এর মুলকপি এবং ডাউনলোডকৃত ২ কপি প্রবেশপত্র পরীক্ষার হলে অবশ্যই আনতে হবে।
  • পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই সাস্থবিধি মেনে,মাস্ক পড়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।কান সহ মুখমন্ডল দৃশ্য থাকতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ,বর্জন,পরিবর্তন করার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন।

১০.প্রশ্ন- উত্তর পর্ব|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীর বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর পূর্বে অবশ্যই এসব প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন।তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলের প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হলো:
  • প্রশ্ন : চট্টগ্রাম  বিশ্ববিদ্যালয়ে কি সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকছে? 
  • উত্তর: হ্যাঁ।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ অনুযায়ী সেকেন্ড টাইম থাকছে।তবে সেকেন্ড টাইমারদের ক্ষেত্রে ৫ মার্ক কাটা হবে।
  • প্রশ্ন: পরীক্ষায় কি নেগেটিভ মার্কিং থাকছে?উত্তর:হ্যাঁ।প্রত্যেকটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর সঠিক উত্তর থেকে প্রাপ্ত নম্বর থেকে কর্তন করা হবে।অর্থাৎ চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি সঠিক উত্তর/১ নম্বর কাটা যাবে।
  • প্রশ্ন:পরীক্ষায় কি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে?   
  • উত্তর:হ্যা।FX- 100 বা এর নীচে সাধারন মানের(মেমরি অপশন/সীম ব্যতিত) ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।এছাড়া ইলেক্ট্রনিক কোনো ডিভাইস,ক্যালকুলেটর, ঘড়ি,মোবাইল ব্যাবহার করা যাবে না
  • প্রশ্ন:একজন পরীক্ষার্থী কি একাধিক ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে?
  • উত্তর:হ্যা,পারবে।নির্দিষ্ট শর্ত এবং যোগ্যতা পূরন করে একজন পরীক্ষার্থী একাধিক ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে।
  • প্রশ্ন:বিদেশি সার্টিফিকেট/ডিপ্লোমাধারী কোন প্রার্থী আবেদন করতে পারবে?
  • উত্তর:হ্যাঁ পারবে।সমানের বিদেশী সার্টিফিকেট/ ডিপ্লোমাধারী প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে।তবে সংশ্লিষ্ট অনুষদ কর্তৃক সমতা নিরুপিত হলেই কেবল তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।এছাড়াও সকল প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য শর্ত পূরণ করতে হবে।
  • প্রশ্ন:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কোথায় হবে?
  • উত্তর:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সংঘটিত হবে।
  • প্রশ্ন:ভর্তি পরীক্ষায় সময় কত থাকবে?
  • উত্তর:এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য এক ঘন্টা সময় বরাদ্দ থাকবে। যে সকল ইউনিটে ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে সে সকল ইউনিটে এমসিকিউ এর পাশাপাশি ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
  • প্রশ্ন:মেধাস্কোর একই থাকলে মেধা তালিকা কিভাবে প্রণয়ন করা হবে?
  • উত্তর:মেধাস্কোর একই থাকলে মেধা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা উপ ইউনিটের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী মেধাক্রম তৈরি করা হবে।
  • প্রশ্ন:কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা কি সাধারণ মেধাক্রমের আওতাধীন থাকবে?
  • উত্তর:না।সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা উপইউনিট এ সংরক্ষিত কোটা আসনের জন্য প্রার্থীদের পাশ নম্বর পাওয়ার পরে মোট কোটা আবেদনকারীদের প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করে মেধাকর্ম তৈরি করা হবে।

১১.লেখকের মন্তব্য|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সাথে পৃথিবীর একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার।যাদের স্বপ্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মূলত তাদের জন্যই আজকের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ আর্টিকেলটি।এই আর্টিকেলে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।আর্টিকেল সম্বলিত যে কোন প্রশ্ন,অভিযোগ এবং পরামর্শ আপনারা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলেও জানাতে পারেন।আমরা আপনাদের প্রত্যেকটি কমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া যে কোনো ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার সম্পর্কে জানতে The DU Speech সাইটটি ভিজিট করুন।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url