OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ| অনার্সের সেরা সাবজেক্ট সমূহ

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ কোনগুলো?আমাদের শিক্ষাজীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা কোন সাবজেক্ট  নিয়ে পড়াশুনা করছি।বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের জন্য অনেক সংখ্যক সাবজেক্ট  রয়েছে।এবং প্রত্যেকটা সাবজেক্ট গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু আমরা সকলেই চাই বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহের কোনো একটা সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করতে।বাংলাদেশের এর প্রেক্ষাপট অনুযায়ী চাহিদা সম্পন্ন বেশ কিছু সাব্জেক্ট আছে যেগুলোতে স্নাতক শেষ করলে স্নাতক পরবর্তী সময়ে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।সেগুলোকেই মূলত আমরা বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ হিসেবে ধরে থাকি। তবে সকল সাবজেক্টই সেরা, কোনটাকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়, যারা যার অবস্থান থেকে সকল সাবজেক্টই গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানে আমরা বিবেচনা করছি কর্মক্ষেত্র এবং আনুষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা।



অনুচ্ছেদ সূচী (যে অংশ পড়তে চান তার উপরে ক্লিক করুন)

  1. উচ্চমাধ্যমিক এর পর স্নাতক পর্যায়ে কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়া যায়

  2. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের বিষয় সমূহ 

  3.  বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু বিষয় 

  4. যে বিষয় গুলোতে পড়লে ভালো চাকরি করা যাবে 

  5. কোন বিষয় গুলোতে পড়তে তুলনামূলক কম খরচ হয় 

  6. কোন বিষয় গুলোতে কম পড়ে ভালো ফলাফল করা যায় 

  7. কোন বিষয় গুলোতে গণিত থাকে এবং অবশ্যই করতে

  8. বাংলা,ইংরেজি,উর্দূ,আরবি ইত্যাদি ভাষাভিত্তিক বিষয় সমূহ পড়ে কি করা যাবে

  9. বাংলাদেশের বেস্ট ডিমান্ডেড সাবজেক্ট সমূহ

  10. ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট সমূহ 

  11. বাংলাদেশের পলিটেকনিক সাবজেক্ট সমূহ  

  12. বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সিরিয়াল কত থাকলে টপ সাবজেক্ট পাওয়া যায়

  13. বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিট এর বিষয় সমূহ

  14. বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটের বিষয় সমূহ 

  15. বিশ্ববিদ্যালয় এ 'গ' ইউনিটের বিষয় সমূহ

  16. চারুকলা অনুষদে কি কি বিষয় থাকে

  17. অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

  18. লেখকের মন্তব্য


১.উচ্চমাধ্যমিক এর পর স্নাতক পর্যায়ে কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়া যায় |বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই ইচ্ছা থাকে সে বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর যেকোনো একটিতে পড়াশুনা করবে।অষ্টম শ্রেণির পর নিজের পছন্দ, আগ্রহ এবং দক্ষতা বিবেচনা  করে বিভাগ বেছে নেওয়া উচিত।একজন শিক্ষার্থী যদি মনে করে সে গণিত এবং বিজ্ঞানের বিষয় গুলোতে ভালো তাহলে সে বিজ্ঞান বিভাগ বেছে নিবে। আবার যদি যে মনে করে ব্যাবসায় শিক্ষা তার জন্য ভালো হবে তাহলে সে বাণিজ্য বিভাগ বেছে নিবে। শিক্ষার্থীর যদি ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি তে আগ্রহ থাকে তাহলে সে মানবিক বিভাগ বেছে নিবে।

মাধ্যমিকে যে বিভাগ নিয়ে পড়া হয় উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে চাইলে সে বিভাগ চেঞ্জ করা যায়।বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী রা চাইলে মানবিক অথবা বাণিজ্য বিভাগে যেতে পারেন। বাণিজ্যের শিক্ষার্থীরা চাইলে মানবিকে যেতে পারেন কিন্তু মানবিকের শিক্ষার্থী রা বিজ্ঞান অথবা বাণিজ্য বিভাগে পড়তে পারবেন না।

উচ্চমাধ্যমিকে নিজ নিজ বিভাগে পড়ে এইচএসসি পাস করার পরে স্নাতক পর্যায়ে যেকোনো একটা বিষয় নিয়ে পড়তে হয়। এক্ষেত্রেও শিক্ষার্থী তার আগ্রহ, দক্ষতা, ক্ষমতা ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনার্সে বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ তেই  শিক্ষার্থীরা পড়তে চায়।অনার্সে এসে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী চাইলে মানবিকের বিষয় যেমনঃ বাংলা, ইংরেজি, ইতহাস, ইসলামের ইতিহাস,দর্শন,অর্থনীতি, ইত্যাদি বিষয়ে পড়তে পারেন 

মানবিকের শিক্ষার্থীরা মানবিকের বিষয় এর পাশে বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় যেমনঃ মনোবিজ্ঞান এ স্নাতক করতে পারেন।বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাউন্টিং,মার্কেটিং, ফিন্যান্স ইত্যাদি বিষয় এ স্নাতক করতে পারেন।


২.জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর অনার্সের বিষয় সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ পড়ানো হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের জন্য মানবিকের বিষয় গুলো হলঃ বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস,সমাজবিজ্ঞান, দর্শন,মনোবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ভূগোল, সমাজকর্ম ইত্যাদি 

বিজ্ঞানের অনেক সাবজেক্ট গুলোকেও বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে ধরা হয়।বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে রয়েছেঃপদার্থবিজ্ঞান,রসায়ন,ফলিত রসায়ন,ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান,গণিত,প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা,পরিসংখ্যান ইত্যাদি 

বাণিজ্য বিভাগের জন্য আছেঃ মার্কেটিং,ফিন্যান্স, একাউন্টিং, পরিসংখ্যান ইত্যাদি 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবজেক্ট সংখ্যা অনেক বেশি। মানবিকের জন্য আছে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজ, সাংবাদিকতা,আইন,অর্থনীতি,আন্তর্জাতিকসম্পর্ক,অপরাধবিজ্ঞান,সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম,মনোবিজ্ঞান,ভূগোল, স্বাস্হ্য অর্থনীতি,ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, শিক্ষা ও গবেষণা, টেলিভিশন ও ফিল্ম,পপুলেশন সায়েন্স, উইমেন এন্ড জেন্ডার ইত্যাদি 

বিজ্ঞান বিভাগের জন্য রয়েছেঃ ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট যেমন-ম্যাকানিকাল,ইইই,সিএসই এরপর রয়েছে ফার্মেসী, বোটানি, জুলোজি, ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি, এপ্লাইড ফিজিক্স, এপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি, গণিত, ফলিত গণিত ইত্যাদি। 

বাণিজ্য বিভাগে আছে-একাউন্টিং,ফিন্যান্স,মার্কেটিং, টুরিজমএন্ডহসপিটাল,ম্যানেজমেন্ট, হিসাববিজ্ঞান,ব্যাংকিং ও ইন্সুইরেন্স ইত্যাদি। 


৩.বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু বিষয়|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে কিছু বিষয় হলোঃআইন, অর্থনীতি, ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় সমূহ - ইইই,কম্পিউটার সায়েন্স,ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং,সয়েল সায়েন্স, ম্যারিন ইঞ্জিনিয়ারিং, আরো আছে ফার্মেসী 

মানবিকের কিছু বিষয় আছে যেগুলোতে পড়ার পর বিসিএস পরীক্ষায় উপকারিতা পাওয়া যায় যেমনঃ বাংলা,ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস।এগুলোতে স্নাতক পড়ার সময় বিসিএস এর অনেক বিষয়ই জানা হয়ে যায়,পড়া হয়ে যায়।ফলে স্নাতক শেষে যখন বিসিএস এর প্রস্তুতি নেয়া হয় তা কিছুটা সহজ হয়ে যায়। 

আবার বাণিজ্যের সব বিষয়ই অনেক চাহিদা সম্পন্ন ব্যাংকিং ও ইন্সুইরেন্স, ফিন্যান্স,মার্কেটিং,ম্যানেজমেন্ট   একাউন্টিং এ পড়ে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন কোম্পানির চ্যাটার্ড অ্যাকাউনটেড সহ ম্যানেজার হওয়ার সুযোগ ও থাকে।বাংলাদেশের কাজের  ক্ষেত্র অনুযায়ী এসব সাবজেক্ট বেশ চাহিদা সম্পন্ন।বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে এগুলো অন্যতম 

আবার আইন বিষয়টিও খুব জনপ্রিয়। আইন বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করে ম্যাজিস্ট্রেট, সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট  এর উকিল, বিচারপতি ইত্যাদি হওয়ার সুযোগ থাকে। 


৪.যে বিষয় গুলোতে পড়লে ভালো চাকরি করা যাবে|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

আমাদের মধ্যে প্রায় সবারই জীবনের লক্ষ্য হলো পড়াশুনা শেষ করে যাতে ভালো চাকরি করতে পারি। ভালো বেতন ও সুযোগ সুবিধা পেতে পারি,ক্যারিয়ার গঠন করতে পারি।এই ক্যারিয়ার গঠনে আমাদের অধ্যয়নরত বিষয়ের ভূমিকা অনেক বেশি।বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ নিয়ে পড়াশুনা করলে আমাদের লক্ষ্য অর্জন আরো সহজ হবে।

বিভিন্ন বিষয়ে কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ বিভিন্ন রকম। একেক বিষয় এর ক্ষেত্রে একেক রকম সুবিধা আমরা পেতে পারি।বিষয় ভিত্তিক কাজ গুলো হলঃ 

ইতিহাস 

বাংলাদেশের  সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর একটি হলো ইতিহাস।ইতিহাস এর পড়াশোনা মূলত দেশ, বিদেশের, জনপদের, মানবজাতির ইতিহাস।এটি একটি বিস্তৃত বিষয়। এই বিষয় এ পড়ে শিক্ষার্থীদের প্রথম চয়েজ থাকে বিসিএস ক্যাডার হওয়া, এছাড়াও ব্যাংক জব, স্কুল, কলেজের, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার ও সুযোগ আছে। 

সাংবাদিকতা

এই বিষয়টি খুবই ইন্টারেস্টিং এবং যারা প্র‍্যাক্টিকাল পড়াশুনায় আগ্রহী তারা এই বিষয়টি অনায়াসে বাছে নিতে পারেন।বর্তমানে চাকরির বাজারে সাংবাদিকতার মান অনেক ভালো এবং ভবিষ্যতে আরো উন্নত হবে। বাংংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে একটি হলো সাংবাদিকতা। দেশের প্রধান প্রধান পত্রিকা সমূহ যেমনঃ প্রথম আলো, দৈনিক পূর্বকোণ, নয়া দিগন্ত ইত্যাদি পত্রিকা সমূহে সিনিয়র রিপোর্টার সহ এডিটর হওয়ারও সুযোগ আছে।

অর্থনীতি

অর্থনীতি খুবই চাহিদার একটি বিষয়।বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহের একটি এই বিষয়টি। ব্যাংকের চাকরির ক্ষেত্রে এই বিষয় এর চাহিদা এখন সর্বোচ্চ, তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের, কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ তো আছেই।অনেক শিক্ষার্থী এই বিষয় এ পড়ে প্রতিবছর বাইরের দেশে রিসার্চ ও করতে যায়।অর্থনীতিবীদ হওয়ারও সুযোগ আছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক 

এই বিষয়টি বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয়। এই বিষয় টির সাথে হয়তো আমরা সবাই পরিচিত না,কিন্তু বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের অনেক কূটনীতিকরা বাইরের দেশে, আমাদের দেশের হয়ে চাকরি করেন। তাদের পদমর্যাদা একজন সংসদীয় মন্ত্রীর হয়।তাই মানবিকে পড়ে এই বিষয় এ পড়ে কূটনীতিবিদ হয়ে চাকরি করার সুযোগ আছে।

ফার্মেসি

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে ফার্মেসি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এই বিষয় এ৷ পড়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোতে উৎপাদন,মানোন্নয়ন,প্রস্তুতকারক,বিপণন,নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ,স্থিতিশীলতা,গবেষণা সহ বিভিন্ন বিভাগে কাজ এর সুযোগ থাকে।

ফার্মেসি ম্যানেজার হওয়া যায়,বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে চাকরি করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক হওয়া যায়।প্রতিবছর প্রচুর গ্রেজুয়েটদের তারা নিয়োগ দেন এবং ভালো বেতন ও দেন।

এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্হ্যসেবা,সরকারি হাসপাতাল,ওষুধ প্রশাসন,আর্মড ফোর্সেস সহ বিভিন্ন সরকারি পদে কাজ পাওয়া যায়।

 ইইই

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটা সাবজেক্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্ট গুলোতে ইইই এর স্টুডেন্টরাই ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহের মধ্যে এই সাবজেক্ট টি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের খুব পছন্দের সাবজেক্ট। 

এছাড়াও বাইরের দেশেও ইইই এর ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় বেতনের চাকরি।যারা রোবোটিকস পছন্দ করেন তারাও ইইই নিয়ে পড়াশুনা করে পারেন এক্ষেত্রে রোবোটিকস কোম্পানি গুলোও অনেক ভালো বেতনে কর্মী হায়ার করে থাকেন।

এছাড়াও ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি গুলোতে চাকরির সুযোগ থাকে।

মার্কেটিং

এই বিষয় এর স্টুডেন্টরা ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, বিভিন্ন কর্পোরেটজব সহ শিক্ষকতাও করতে পারেন। ব্যাংকিং নিয়ে এদের ভালো ধারনা থাকে বলে ব্যাংকিং এ এদের আনাগোনা থাকে বেশি।বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে কমার্সের শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি খুব পছন্দের।

আবার বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলোও এদের নিয়োগ দেয় কারণ এরা বাজার সম্পর্কে ভালো আইডিয়া রাখে এমন বাজারের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে পারেন।এছাড়াও অনলাইন জব তো রয়েছেই।

অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবসাইট গুলোর বাজার তৈরি করণ সহ বাজার এর সেইল বাড়ানো, ক্রেতাদের চাহিদা বোঝা ইত্যাদি এরা ভালো মেইনটেইন করতে পারে বলে। এসকল ক্ষেত্রে এদের চাকরির সুযোগ ভালো থাকে।

৫.যে বিষয় গুলোতে পড়তে তুলনামূলক কম খরচ হয়|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান,রসায়ন,জীববিজ্ঞান,গণিত,ইইই,সিএসই ইত্যাদি বিষয় গুলোতে স্নাতক করতে বেশি টাকা খরচ হয় কারণ বিজ্ঞানের বিষয় গুলোর প্র‍্যাক্টিকেল,ল্যাব এবং আনুসাঙ্গিক অনেক কাজ থাকে।

যেগুলোতে তুলনামূলক বেশি অর্থ খরচ হয়।বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্নাতক এ ভর্তি ফি এবং সেমিস্টার ফি ও অন্য বিষয় গুলোর চেয়ে অনেক বেশি থাকে। কারণ ল্যাব ও প্র‍্যাক্টিক্যাল এর ফি ও দিতে হয়।

বাণিজ্য বিভাগে খরচ কম হয় আবার মানবিকের ক্ষেত্রেও খরচ অনেক কম।যারা আর্থিক ভাবে সচ্ছল নন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা ভাবেন কিভাবে পড়ালেখার খরচ কমানো যায়।তাই  ৪ বছরে অনার্স শেষ করতে কত টাকা খরচ হবে তার  ধারণা রাখা উচিত।

বিজ্ঞান বিভাগের এবং ব্যবসায় বাণিজ্য বিভাগের একাডেমিক বিষয় সমূহ কিছুটা জটিল কিন্তু সেই তুলনায় মানবিক এর বিষয় সমূহের পড়াশুনা সহজ এবং প্রাইভেট বা কোচিং না করেই নিজেদের প্রচেষ্টায় ভালো করা যায়। 

বিজ্ঞানের,বাণিজ্য এর  ক্ষেত্রে প্রতি বিষয় এ আলাদা ভাবে আলাদা শিক্ষকের কাছে পড়তে সময় এর সাথে অর্থও খরচ হয়।মানবিকের বিষয় সমূহ হলোঃ ভূগল, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, পৌরনীতি,সমাজকর্ম, বাংলা, ইংরেজি,আইসিটি ইত্যাদি। 

এসকল বিষয় গুলোর মধ্যে অধিকাংশই ঘরে বসে নিজেরা পড়লে কাভার করা যায়।কিন্তু বিজ্ঞান বা বাণিজ্য বিভাগের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়না।তাই মানবিক বিভাগে পড়ে সময় অর্থ অন্য বিভাগের তুলনায় কম খরচ হয়।

৬.কোন বিষয় গুলোতে কম পড়ে ভালো ফলাফল করা যায়?|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে প্রায় অনেক  সাবজেক্ট রয়েছে,যেগুলো পড়তে অনেক বেশি টাকা খরচ হয় অন্য সাবজেক্ট এর তুলনায় এবং পরিশ্রম ও অনেক বেশি হয়।প্রায় সকলেরই ইচ্ছা কিভাবে কম পড়ে ভালো ফলাফল করা যাবে,কিন্তু বাস্তবতা হলো পড়াশুনায় ভালো করতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলোতে তুলনামূলক পরিশ্রম একটু কম করতে হয় অন্য বিষয় গুলোর চেয়ে। 

বিজ্ঞানের বিষয় গুলোতে পরিশ্রম দিত্র হয় অনেক বেশি।কারণ তাদের একাডেমিক বই এর পাশাপাশি প্র‍্যাক্টিক্যাল,ল্যাব ইত্যাদি কার্যক্রম ও থাকে সেই দিক বিবেচনায় বাণিজ্য আর মানবিকের বিষয় গুলো একটু সহজ মোটামুটি প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে পড়াশুনায় সময় দিলেই ভালো ফল করা যাবে।এক্ষেত্রে অন্যান্য কাজ যেমনঃ খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক কাজকর্ম,সংগঠন এর কাজ ইত্যাদি ও মেইনটেইন করা যায়।

৭.কোন বিষয় গুলোতে গণিত থাকে এবং অবশ্যই করতে|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর প্রায় সব সাবজেক্ট এই একটি দুইটি করে গণিত এর কোর্স থাকে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ভুল ধারণা থাকে যে,শুধুমাত্র বিজ্ঞানের বিষয় গুলোতে অনার্স পড়লেই হয়তো গণিত বিষয়টি বিভিন্ন কোর্স হিসেবে পড়তে হবে।ব্যাপারটি মোটেই সঠিক নয়। ব্যাবসা শিক্ষা এমনকি মানবিক বিভাগেও অনেক গুলো বিষয় আছে যগুলোতে গণিত পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকে এবং পড়তে হয়।

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে বিজ্ঞানের পরিসংখ্যান, গণিত, ফলিত গণিত,পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফলিত রসায়ন,ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় গুলো, এছাড়া মানবিকে অর্থনীতি,স্বাস্হ্য অর্থনীতির ফুল ফরমেট গণিত নিয়ে।এগুলো ছাড়া আইবিএ, শিক্ষা ও গবেষণা, বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি প্রায় সব বিষয়েই একটি দুইটি করে গণিত এর কোর্স রয়েছে।

গণিতকে অনেকেই কঠিন মনে করেন অথবা গণিত ভীতি থাকে অনেকের। তাদের জন্য ভালো হয় গণিতের বেইসিক ক্লিয়ার করে নেওয়া তাহলে যে বিষয়েই পড়ুন না কেনো গণিত নিয়ে কিছুটা হলেও ভীতি কমে যাবে।

বিবিএর সব বিষয়েই গণিত রয়েছে এবং বিভিন্ন টপিক ও ফরমেটে গণিত কোর্স গুলো সাজানো থাকে।বেইসিক ক্লিয়ার থাকলে এবং ক্লাস মনোযোগ দিয়ে করে রেগুলার পড়াশুনা করলে গণিত কোর্স  এ যথেষ্ট ভালো ফলাফল করা যায়

৮.বাংলা,ইংরেজি,উর্দূ,আরবি ইত্যাদি সাহিত্য ও ভাষাভিত্তিক বিষয় সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে বাংলা একটি।বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, অনেকে মনে করে কেউ বাংলাতে পড়ে, মানে সে নিশ্চয়ই কবি বা সাহিত্যিক হবে। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে এমন নয় যে, বাংলা নিয়ে পড়ে শুধু মাত্র কবি বা সাহিত্যিক হওয়া যায়।বাংলা পড়ে শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি চাকরিজীবী,প্রথম শ্রেণির গ্যাজেটেড কর্মকর্তা হওয়া যায়।

ইংরেজি মূলত ভাষা ও সাহিত্য কেন্দ্রিক। যাদের ইংরেজি ভাষা এবং ইংরেজি সাহিত্যে আগ্রহ আছে তারা এই বিষয়টি পড়তে পারেন ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা তাই সকল ক্ষেত্রে এই বিষয় এর চাহিদা অনেক বেশি। 

ভাষা ভিত্তিক আরো যে সাবজেক্ট গুলো আছে  যেমনঃ

উর্দূ,পালি,ফারসি,চাইনিজ, জাপানিজ, আরবি ইত্যাদি বিষয় গুলো পড়ে ইমিগ্রেশন অফিসার,পাসপোর্ট অফিসার সহ শিক্ষক, হওয়ার সুযোগ আছে।

৯.বাংলাদেশের বেস্ট ডিমান্ডেড সাবজেক্ট সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের প্রথম চয়েজ থাকে এমবিবিএস অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং। কিন্তু আমাদের দেশে এসকল সেক্টর গুলোতে এতো বেশি প্রতিযোগিতা থাকে যে লাখ লাখ প্রতিযোগির মধ্যে খুবই অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী সুযোগ পান। এই দুই সেক্টরের বাইরে বিএসএস, বিএসসি,বিএ ও করা যায়।

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে  বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য পলিটেকনিকের বিষয় গুলোও বর্তমানে খুবই চাহিদাসম্পন্ন।পলিটেকনিকে মোস্ট ডিমান্ডেবল টেকনোলোজি গুলো হল -কম্পিউটার টেকনোলজি,মেরিন টেকনোলজি,ফিশারিজ টেকনোলজি,ম্যাকানিকাল টেকনোলজি,নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোতে পড়াশুনা করে পলিটেকনিক এর ছাত্ররা ভালো চাকরি করছে। 

মানবিকের জন্য আইন,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি,স্বাস্হ্য অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস,বাংলা, ইংরেজি ইত্যাদি ডিমান্ডেবল সাবজেক্ট। 

বিজ্ঞানের,শিক্ষার্থীদের বিএসসি  করার  জন্য ফার্মেসি,মাইক্রোবায়োলজি,বায়োকেমিস্ট্রি,এপ্লাইড সাবজেক্ট সমূহ বেশি ডিমান্ডেবল

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে বাণিজ্য বিভাগের সব বিষয়েরই সমান গুরুত্ব রয়েছে।কিন্তু ম্যানেজমেন্ট সব শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।তাছাড়া বাকি সাবজেক্ট গুলোর ও অনেক চাহিদা আছে। আবার তুলনামূলক নতুন যে সাবজেক্ট গুলো যেমন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট, টুরিজম ও হসপিটালিটি এই বিষয় গুলোর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। 

১০.বাংলাদেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট।বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ  

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট বেশ চাহিদা সম্পন্ন। সেরা মানে  আমরা চাহিদা সম্পন্ন। আর চাহিদা পরিবর্তনশীল। চাকরির বাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জনপ্রিয়তাও পরিবর্তন হয়।

বস্তু ও ধাতব কৌশল একটা ভালো ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এবং প্রায় দেশেই এখন এই সাবজেক্ট এর উপর অনেক কাজ হয় অথচ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর ডিমান্ড কম।বাংলাদেশেও অনেক কাজ হয় কিন্তু দেশীয় ইঞ্জিনিয়ার এর চেয়ে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার দের সুযোগ দেয়া হয় বেশি।অনেক শিক্ষার্থী বাইরে দেশে গিয়েও এসব ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করেন।

যারা ইলেকট্রনিকাল, ম্যাকানিকাল এ পড়ে তারাও মেটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ শিখেন কারণ বাইরের দেশে প্রচুর চাহিদা।

বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ এর মধ্যে ইলেকট্রনিকাল ইঞ্জিনিয়ার,ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার,সিভিল ইঞ্জিনিয়ার,কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এদের ডিমান্ড অনেক বেশি এবং জনপ্রিয়।আবার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং ও অনেক জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন।

১১.বাংলাদেশের পলিটেকনিক সাবজেক্ট সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেই পলিটেকনিক এ পড়াশুনা করা যায়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এর আন্ডারে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গুলো পরিচালিত হয়।

 ডিপ্লোমা কোর্স গুলো মূলত চার বছর মেয়াদি হয় এবং ৮ টি সেমিস্টার এ ভাগ করা থাকে।শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দ ও চাহিদা মতো বিভিন্ন টেকনোলজি নিয়ে ডিপ্লোমা করতে পারেন।

বাংলাদেশে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সংখ্যা প্রায় ৪৯ টি।প্রতিটি ইন্সটিটিউট এ বিভিন্ন টেকনোলজি নিয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়।যেমনঃকম্পিউটার টেকনোলজি,সিভিল,টেকনোলজি,ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি,অটোমোবাইল টেকনোলজি,মেকানিক্যাল টেকনোলজি। 

আরো কিছু ডিমান্ডেবল সাবজেক্ট গুলো হলো টেলিকমিউনিকেশন,স্যাটেলাইট টেকনোলজি,আরকিটেকচার ও টেকনোলজি,টেক্সটাইল টেকনোলজি,ফেব্রিক ও ম্যানুফেকচারিং,ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি,শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং,মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। 


১২.বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সিরিয়াল কত থাকলে টপ সাবজেক্ট পাওয়া যায়|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 


বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন সবারই থাকে। ভালো বিষয় পেতে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু চান্স পেলেই হবে না ভালো সিরিয়ালে ও চান্স পেতে হবে।আমরা সবাই বলি সকল সাবজেক্টই ভালো ও সমান গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন কথা বলে।একেক বিষয় এর পড়াশোনা যেমন একেক রকম গুরুত্ব একেক রকম। 

আমাদের দেশের চাকরির বাজারে সব বিষয় এর শিক্ষার্থীদের সমান গুরুত্ব দেয়া হয়না এমনকি যোগ্যতা বিচারেও বৈষম্য করা হয়।সবাই চায় ভবিষ্যত সুন্দর করতে একটা ভালো লাইফ কাটাতে,সব কিছু সহজ করে নিতে সবকিছু বিবেচনায় আনলে ভালো সাবজেক্ট এর কোনো পরিপূরক নেই। 

তাই ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির শুরু থেকেই চেষ্টা করতে হবে যাতে শুধু চান্স না ভালো পজিশনে চান্স হয়। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক সিরিয়ালে সাবজেক্ট একেক রকম হয়। উদাহরণ স্বরুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, মানবিকে আইন পেতে হলে পজিশন ১-১৫০ এর মধ্যে হতে হয় সাথে বিভিন্ন শর্ত থাকে সেগুলোও ফিলাপ করতে হবে।

অর্থনীতিতে চান্স পেতে হলে ১৫০-২৫০ এর মধ্যে হতে হবে সিরিয়াল এবং ইংরেজিতেও একই রকম ১-২০০ এর মধ্যেই প্রতিবছর ইংরেজি বিষয়টি শেষ হয়ে যায়।

বিজ্ঞানের কথা বলতে গেলে এপ্লাইড সাবজেক্ট গুলো পেতে হলে সিরিয়াল ১-৩০০/৪০০ এর মধ্যে হতে হয়।এর পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক যে শর্ত গুলো থাকে সেগুলো ফিলাপ করতে হবে বাণিজ্য বিভাগে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আসন অনেক কম থাকে। তাই ভালো বিষয় গুলো পেতে মোটামুটি ১-৩০০ এর মধ্যে সিরিয়েল হলে ভালো হয়।

১৩.বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিট এর বিষয় সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণত ৫ টি ইউনিট থাকে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে' ক' ইউনিট বিজ্ঞান বিভাগের জন্য, 'খ' ইউনিট মানবিকের, 'গ' ইউনিট বাণিজ্য বিভাগের, 'ঘ' ইউনিট বিভাগ পরিবর্তন এর এখানে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে।

চ' ইউনিট হলো চারুকলা। মানবিকের ক্ষেত্রে স্নাতক এর  অনেক বিষয় রয়েছে। 

কলা অনুষদে রয়েছে- 
১.বাংলা ২.ইংরেজি ৩.ইতিহাস ৪. ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি৫. ইসলামিক স্টাডিজ ৬.পালি ৭.সংস্কৃত ৮.জাপানিজ স্টাডিজ ৯.রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১০.দর্শন ১১.আরবি ১২.ফার্সি ১৩.ভাষা বিজ্ঞান ১৪. বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি ইত্যাদি 

আইন অনুষদে রয়েছে 
১.আইন। 

বিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে
১.মনোবিজ্ঞান
২.ভূগোল 

সমাজবিজ্ঞান অনুষদে রয়েছে
  1. রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  2. সমাজবিজ্ঞান
  3. অর্থনীতি 
  4. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক 
  5. ক্রিমিনোলোজি
  6. গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা 
  7. উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ,ইত্যাদি 
ইন্সটিটিউট সমূহ
  1. স্বাস্হ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট 
  2. ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট 
  3. শিক্ষা ও গবেষণা 
  4. ভাষা ইন্সটিটিউট 
  5. আইবিএ,ইত্যাদি  
১৪.বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটের বিষয় সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 
  • জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি 
  • কম্পিউটার সায়েন্স ও টেকনোলজি 
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • ফার্মেসী
  • ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • নিউক্লিয়ার টেকনোলজি 
  • এপ্লাইড ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি এন্ড ম্যাথ
  • বায়োটিক ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • মাইক্রোবায়োলজি 
  • বায়োকেমিস্ট্রি, ইত্যাদি

১৫.বিশ্ববিদ্যালয়ে 'গ' ইউনিটের বিষয় সমূহ|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 
  • ম্যানেজমেন্ট 
  • একাউন্টিং
  • ফিন্যান্স 
  • মার্কেটিং
  • ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস
  • টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি 
এগুলো ছাড়াও আলাদা আরেকটি ইন্সটিটিউট আছে সেটি হলো আইবিএ(IBA)- Institute of Business Administration. এখানে বিবিএ,এমবিএ এবং এক্সক্লুসিভ এমবিএ,এমফিল করানো হয়।আর এই সাবজেক্ট এ পড়ে পড়াশুনা শেষ করার আগেই চাকরির সুযোগ থাকে।বিভিন্ন কর্পোরেট জব সহ উন্নত মানের প্রতিষ্ঠান গুলোতে ভালো পদের চাকরি পাওয়া যায়।

১৬.চারুকলা অনুষদে কি কি বিষয় থাকে?|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 
চারুকলা ইন্সটিটিউট এর বিষয় গুলো মূলত শিল্প কেন্দ্রিক।চারুকলায়  সৃষ্টশীল পড়াশুনা হয়।চারুকলায় মোট ৮ টি বিভাগ থাকে সেগুলো হলোঃ
  • অংকন ও চিত্রায়ণ
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ছাপচিতে
  • ভাস্কর্য
  • প্রাচ্যকলা
  • মৃৎশিল্প ও কারুশিল্প
  • শিল্পকলার ইতিহাস

১৭.অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর | বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 
১.মানবিকের সেরা ৩ টি সাবজেক কি কি?
=আইন,অর্থনীতি, ইংরেজি
২.সেরা সাবজেক্ট না পড়েও কি ভালো চাকরি পাবো?
= বিসিএস এর চেয়ে আর কি ভালো চাকরি হতে পারে,বিসিএস এর ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাটার করে না।
৩.সেরা সাবজেক্ট গুলোতে পড়তে কি খরচ বেশি লাগে?.
=সাবজেক্ট এর উপর ডিপেন্ড করবে। 
৪.সেরা সাবজেক্ট এ পড়ে কি আলাদা সংগঠনের কাজ করার সুযোগ থাকবে?
=হ্যাঁ, অবশ্যই 
১৮.লেখকের মন্তব্য|বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট সমূহ 
আমরা সকলেই চাই পড়াশুনা শেষ করে যাতে ভালো চাকরি বা ব্যবসা করে নিজেদের ক্যারিয়ারকে সুন্দর ভাবে গড়তে চাই।আর এর জন্য প্রয়োজন জ্ঞান,দক্ষতা ও পরিশ্রম করার মানসিকতা।এর জন্য ভালো সাবজেক্ট এর কোনো পরিপূরক নেই। 
সাবজেক্ট যত ভালো হবে আপনার জানার পরিধি, এপ্লাই করার ইচ্ছা তত বাড়বে।তাই অবশ্যই ভালো সাবজেক্ট এর ভূমিকা অনেক বেশি।এবং আমাদের দেশের চাকরি গুলো তে কোন বিষয়ের গুরুত্ব আছে, আপনার কোন বিষয়ে আত্মবিশ্বাস আছে, আগ্রহ আছে সবকিছু বিবেচনা করে বিষয় নির্বাচন করা উচিত।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী অনেক বেশি সেই তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আসন সংখ্যা খুবই কম যা প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় আরো বেশি লক্ষণীয় হয়। সেই তুলনায় মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট আসন রয়েছে। ভর্তিযুদ্ধে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে মানবিকের শিক্ষার্থীদের জন্য।ভবিষ্যতে আমরা সবাই এমন কিছু করতে চাই যাতে আমাদের জীবনটা সুন্দর এবং সুখের হোক৷ অনেকে নিজেদের ইচ্ছা থেকেই বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগে পড়াশোনা করেন। 

কিন্তু এমনও শিক্ষার্থী আছেন যারা বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় সমূহকে কঠিন ভাবেন বা ভয় পান তারা হতাশায় ভুগেন এটা ভেবে যে তারা হয়তো জীবনে কিছুই করতে পারবেন না আর আমাদের পারিপার্শ্বিক থেকেও আমরা এটাই ম্যাসেজ পাই যে,বিজ্ঞান বা বাণিজ্য বিভাগে না পড়লে জীবনে কিছুই করা সম্ভব না।

এটা সম্পূর্ণ ভুল মানবিকের এবং অন্য বিষয় গুলোতেপ কর্মক্ষেত্রের কোনো অভাব নেই, জীবনে সফল হতে লাগবে শুধু পরিশ্রম আর কৌশল। এটার কোনো বিকল্প নেই,সঠিক ভাবে সময়কে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করলে ভবিষ্যতের সাফল্য পাওয়া কখনো আটকে থাকবে না।









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url