২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
গোটা পৃথিবীতে সেরা বক্তা ছিলেন হিটলার, হিটলার কেন ভালো বক্তৃতা দিতে পারতেন এ বিষয়ের পাশাপাশি ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের বিশেষ লেখনি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য ভাষার মাসে খুবই তাৎপর্যময়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে তথ্যবহুল, সুন্দর ও সাবলিল বক্তব্য নিয়ে আজকের আর্টিকেল। পাশাপাশি ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে আপনার বক্তব্য যেন আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সে বিষয়েও থাকছে দিক-নির্দেশনা। তাই ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)
- বক্তব্য আকর্ষণীয় করার টিপস এবং হিটলার কেন সেরা বক্তা?
- ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- ভাষা শহীদদের নামের তালিকা | ২১ একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আকর্ষণীয় করার অনুষঙ্গ
- ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও বর্তমান প্রজন্ম | ২১ একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- মাতৃভাষায় শিক্ষাদান প্রসঙ্গ | ২১ একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- বিদেশি সংস্কৃতি ও ভাষার প্রাদুর্ভাব | ২১ একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- আমাদের সতর্কতা | ২১ একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১. বক্তব্য আকর্ষণীয় করার টিপস্
২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য যখন আপনি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু টিপস বা নিয়ম মেনে চলতে হবে এতে করে খুব সহজেই আপনি শ্রোতাদের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হবেন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করার উদ্দেশ্য আপনাকে ভালোভাবে অনুধাবন করার পাশাপাশি নিচের কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে বক্তব্য উপস্থাপন করলে আপনি সবার চোখে হিরো হয়ে যাবেন-
- মাইক্রোফোন এবং আপনার দূরত্ব বজায় রাখবেন(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): অনেক সময় দেখা যায় অনেক বক্তা মাইক্রোফোনের খুব কাছে থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করতে থাকেন। এতে করে খুব দ্রুত আপনার সামনে উপস্থিত শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে ওঠেন। বিরক্ত হওয়ার কারণ হলো আপনি যখন মাইক্রোফোন খুব কাছে থেকে কথা বলা শুরু করেন তখন আপনার কথা বলার সাথে মুখের বাতাস মাইক্রোফোনে প্রবেশ করে এতে বিস্রী রকমের শব্দ উৎপন্ন হয় হলে দ্রুত শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে ওঠে। সুতরাং ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপনের পূর্বে আপনাকে এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করবেন(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): আপনাদের এই সংক্ষিপ্ত জীবনে হয়তো এরকম অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়েছে যে, বক্তা বক্তব্য শুরু করেছেন এবং এত দীর্ঘ বক্তব্য তিনি দেওয়া শুরু করেছেন যে সামনে উপস্থিত শ্রোতারা অনেকেই মানসিক প্রশান্তির জন্য মঞ্চ ছেড়ে বাইরে চলে যায়। এর একমাত্র কারণ হলো অতি দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করা। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনি যখন বক্তব্য দিচ্ছেন তখন আপনার সামনে উপস্থিত কোন শ্রোতা বিরক্ত হয়ে মঞ্চ থেকে উঠে চলে যাক। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করার পূর্বে এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
- নতুন নতুন তথ্য সংযোজন(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য অনেকেই উপস্থাপন করবেন। আপনি হয়তো দেখবেন প্রায় অধিকাংশই একই ধরনের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করে থাকেন। এতে করে তাদের বক্তব্যে নতুনত্বের সৃষ্টি হয় না। এবং একসময় দেখা যায় শ্রোতাদের বক্তব্য শোনার আগ্রহ থাকে না। কেননা শ্রোতারা সবসময় নতুন কিছু শুনতে চায় নতুন তথ্য জানতে চাই যা তাদেরকে আলোড়িত করে তুলবে। তাই ২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই রিসার্চ বা পড়াশোনা করতে হবে যে বিষয়ে আপনি ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করতে যাচ্ছেন।
- লিস্ট তৈরি করা(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): যারা ভালো বক্তৃতা দিয়ে থাকেন তাদের অধিকাংশই বক্তব্য প্রদান করার পূর্বে তিনি কোন কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন তার একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা তিনি তৈরি করেন তাই ২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই একটি ছোট তালিকা তৈরি করে নিতে হবে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনি কথা বলবেন।
- পাঠকদের অবস্থা অনুধাবন(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): যখন পাঠক বৃন্দ একই ধরনের বক্তব্য শুনতে শুনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বা বিরক্ত হয়ে পড়বে তখন যদি আপনি বক্তব্য পেশ করতে যান তখন অবশ্যই আপনাকে পাঠকদের মনের অবস্থা অনুধাবন করতে হবে। আপনার বক্তব্যে এমন কিছু তথ্য উপস্থাপন করবেন যার কারণে পাঠকরা আনন্দ অনুভব করে বা মজা পায় বা শোকে বিহবল হয়ে পড়ে।
- হিটলার কেন বক্তব্যে সেরা(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): ইতিহাস এই কথাই বলে যে হিটলার যখন বক্তব্যের মঞ্চে উঠতেন তার পূর্বে তিনি পাঠকদের মধ্যে নিশ্চুপ হয়ে ঘোরাফেরা করতেন। এবং গম্ভীর মুখ নিয়ে যখন তিনি বক্তব্য দেওয়ার মঞ্চে উঠতেন তখন শ্রোতারা তার মুখনিঃসৃত বাণী শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। হিটলার তাই বলতেন যা শ্রোতারা শুনতে চাইতো। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে হিটলারের কিভাবে বুঝতে পারত যে শ্রোতারা কি শুনতে চায়? এর উত্তর এরকম হবে যে হিটলার বক্তব্য দেওয়ার পূর্বে শ্রোতাদের মাঝে নিশ্চুপে পায়চারি করতো। এবং বক্তব্য যখন তিনি শুরু করতেন তখন মনে হতো শ্রোতাদের কাঁচা ঘায়ে তার বক্তব্য গিয়ে আঘাত করছে। ফলে শ্রোতারা সম্মোহিত হয়ে যেত হিটলারের বক্তব্য শুনে। তিনি যখন বক্তব্য দিতেন তখন মনে হতো তিনি ধর্মীয় গুরু। হিটলারের কথা শ্রোতারা এক বাক্যে বিশ্বাস করে ফেলত।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২. ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
ভূমিকা(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ভাষায় আজ আমার বলতে ইচ্ছে করে,
"আমি সেই অবহেলা
আমি সেই নত মুখ
নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান ভেজা চোখ
আমাকে গ্রহণ করো"
প্রিয় সুধী, আজ আমাদের বাংলা ভাষার অবস্থা ঠিক রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এর এই কবিতার মত অবহেলিত।
আমার সামনে উপস্থিত বিশেষ অতিথি, প্রধান অতিথি, প্রিয় শিক্ষক বৃন্দ, আমার সহপাঠী/কর্মী, আমার সিনিয়র-জুনিয়র সকলকে এই মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
২১ শে ফেব্রুয়ারির পটভূমি (২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম বীজ রোপিত হয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে। ১৭৫৭ সালের পর থেকে আমরা আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছি প্রায় ২০০ বছর। এরপর ব্রিটিশরা চলে গেলেও ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর থেকে তাদের ছায়ায় লালিত হতে থাকে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠী।
যারা কখনো বাঙালির সংস্কৃতি বাঙালির ভাষাকে গুরুত্ব দেয়নি। আমাদের উপরে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল তাদেরই সংস্কৃতি এবং ভাষা। আমার সাথে জড়িত ছিল এ দেশের হাজারো শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অর্থনৈতিক কাঠামো। পাশাপাশি হাজার বছরের বাংলা ভাষার যে গৌরব ছিল তা নিমিষেই শেষ হওয়ার পথে ধাবিত হয়েছিল ধাবিত করেছিল পাকিস্তানি শাসক যন্ত্র।
যে বাঙালিরা পাকিস্থান আন্দোলনের জন্য লড়াই আন্দোলন করতে পিছপা হয়নি তাদেরই মোহ ৪/৫ বছরের পাকিস্থানি শাসনে কেটে গেল। কারণ পাকিস্থানি শাসনে আমাদেরকে করা হয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য।
আমাদের মতামতের বা আমাদের গুরুত্বকে তারা কখনো প্রাধান্য দেয়নি। ফলে যে মুজিবরা যে ভাসানিরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছিল তারাই এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা শুরু করল। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে শেখ মুজিব ফরিদপুর জেলখানায় বন্দী ছিলেন। তাই এই আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
বাংলা ভাষাকে আরবি হরফে প্রকাশের ষড়যন্ত্র (একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য): দেশের যেকোন ক্লান্তিলগ্নে বা বিপদের সময় এক শ্রেণির দালাল থাকে যারা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের বাইরে কিছুই ভাবতে পারে না। এবং এই শিক্ষিত দালাল শ্রেণিরাই সজাতির ক্ষতি করে সব চেয়ে বেশি। এমন দালাল প্রতি যুগেই থাকে। আর সে সময়ও ছিলো তাদের প্ররোচনায় পাক শাসকেরা বাংলা হরফকে অপবিত্র মনে করে এবং বাংলাকে পবিত্র আরবি হরফে প্রকাশ করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।
এতে করে হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গৌরব ধুলোয় লুটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে ওঠে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রতিরোধ(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): প্রিয় সুধী, আজকের এই দিনে আমরা বাঙালিরা প্রমাণ করেছি যে, আমরাও প্রাণ দিতে পারি, প্রাণের বিনিময়ে আমরাও পারি নিজেদের অধিকারকে ছিনিয়ে নিতে। পাক বাহিনীর এই নারকীয় স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে গঠন করা হয় তমুদ্দিন মজলিস নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন। যে সংগঠন পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ'র জনসভায় প্রতিবাদ: মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যখন উচ্চারণ করেছিলো 'একমাত্র ঊর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা' তখন উপস্থিত জনতা না না বলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানায়।
১৪৪ ধারা(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): এর পর পাকিস্তান শাসক যন্ত্র ২১শে ফেরুয়ারিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। প্রিয় সুধী, আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, ১৪৪ ধারা কেমন আইন? ১৪৪ ধারা এমন একটি আইন যা যেকোন দেশের সরকার দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জারি করতে পারে। এই ধারা জারি করা হলে ঘরের বাইরে একসাথে ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যায় না। ৫ জনের বেশি মানুষ একসাথে জমায়েত হলে পুলিশ গ্রেফতার বা গুলি চালাতে পারে।
২১শে ফেব্রুয়ারির দিন(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য): এদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের আমতলায় ছাত্রদের ও বিভিন্ন সংগঠনের ছোট ছোট মিছিল এসে জমা হয়। এমন অবস্থায় ছাত্রদের একটা অংশ ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করতে চায় না কিন্তু অপর এক পক্ষ ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করতে চায়। অবশেষে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছাত্রদের মিছিল চলতে থাকে এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলে গুলি করলে শহিদ হয় রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম ও শফিউরসহ অনেকেই।
পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও ইউনেস্কোর স্বীকৃতি(২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য):
পরবর্তী আন্দোলন আরও দানা বাঁধলে পাকিস্থান সরকার ছাত্রদের দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়। এবং ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা করা হয়।
ইউনেস্কো পরবর্তীতে এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
উপসংহার (২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য):
প্রিয় সুধী, এতোটা ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত ভাষা আজ অবহেলিত। দেশের উচ্চ শিক্ষায় আজও ব্রিটিশদের ভাষা ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও আমরা ঠিকমতো বাংলা ভাষায় কথা বলতে জানি না। এ অবস্থার জন্য সত্যিই আমরা লজ্জিত।
৩. ভাষা শহীদদের নামের তালিকা|২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
নিম্নে ভাষা শহীদদের নামের তালিকা প্রদান করা হলো-
- আবুল বরকত
- আবদুল জব্বার
- রফিকউদ্দিন আহমদ
- আবদুস সালাম
- শফিউর রহমান
- অহিউল্লাহ
- আব্দুল আউয়াল
- সিরাজউদ্দিন
ভাষা শহীদদের মধ্যে এই ৮ জনের নাম বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পাওয়া যায়। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাঁচজনকে ভাষা শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করার জন্য আসার সুযোগ দের নামের তালিকা আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
৪. ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আকর্ষণীয় করার অনুসঙ্গ|২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো অনুধাবন করতে হবে।
- বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে হবে
- অধিক তথ্য দিতে হবে
- মাইক্রোফোন থেকে সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলতে হবে
- যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তার একটা লিস্ট তৈরি করবেন।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মুড সুইং এর আসল কারণ
৫. ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও বর্তমান প্রজন্ম|২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
৬. মাতৃভাষায় শিক্ষাদান প্রসঙ্গ |২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
আমরা উচ্চশিক্ষায় এখনো ব্রিটিশদের পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছি। কেননা আমাদের উপমহাদেশে উচ্চশিক্ষায় যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার পেছনে প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল ব্রিটিশদের। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা তাদের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারিনি। তাদের প্রভাব বলয়ে এখনো আমরা অবস্থান করছি।
কিন্তু চাইনা কিংবা করিও বা জাপানিজরা নিজেদের মাতৃভাষা এই উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে এতে করে শিক্ষার্থীদের নিজ ভাষায় গবেষণা আরো গতি পায় হলে অধিক গবেষণা লব্ধ জ্ঞান আজকে তাদের বিশ্ব দরবারে সফল হিসেবে প্রমাণ করেছে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা উচ্চ শিক্ষায় প্রথম স্তরে কয়েক বছর কাটিয়ে দেয় ভাষা শেখার জন্য। যদি উচ্চশিক্ষায় আমরা মাতৃভাষা ব্যবহার করি তাহলে খুব দ্রুত গবেষণার দিকে মনোযোগ দিতে পারব ভাষা শেখার বদলে। ফলে অধিক গবেষণা আমাদেরকে উন্নতির সোপানে পরিচালিত করবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
৭. বিদেশি সংস্কৃতি ও ভাষার প্রাদুর্ভাব |২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
বর্তমানে বিদেশি সাংস্কৃতি ও ভাষার প্রাদুর্ভাব এত বেশি আমাদেরকে প্রভাবিত করেছে যে আমরা এর থেকে বের হয়ে আসতে পারছি না। বিদেশি সংস্কৃতির আকর্ষণ আমাদেরকে অন্ধের মত তাদের দাস বানিয়ে রেখেছে। আমাদের উচিত আমাদের ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ করা।
৮. আমাদের সতর্কতা |২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
বিদেশি ভাষার চর্চা করার পাশাপাশি আমাদেরকে নিজ বাংলা ভাষায় অভিজ্ঞ হওয়া জরুরি। কেননা বাংলা ভাষা ভালোমতো রপ্ত করতে পারলে অন্যান্য ভাষা শেখাও খুব সহজ হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুনঃ মার্কেটিং সাবজেক্ট রিভিউ
৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন ১: ইউনেস্কো কত সালে এবং কত তারিখে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
উত্তর: ১৯৯৯ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর।
প্রশ্ন ২: ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ কে?
উত্তর: ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হলেন রফিক উদ্দিন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রশ্ন ৩: ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছিলেন?
উত্তর: ভাষা আন্দোলনে কতজন শহিদ হয়েছিলেন এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য মেলেনি তবে অধিকাংশ পত্রিকা দাবী করেছে নয় জন শহিদ হয়েছিল। তবে আটজনের নাম পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৪: ভাষা আন্দোলনের কতজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল?
উত্তর: ২ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল।(রফিক ও জাব্বার)
প্রশ্ন ৫: আন্দোলনের সর্বকনিষ্ঠ শহিদের নাম কি?
উত্তর: অহিউল্লাহ নামের নয় বছরের ছেলে ভাষা আন্দোলনের সর্বকনিষ্ঠ শহিদ।
প্রশ্ন ৬: ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি কি বার ছিল?
উত্তর: ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।
প্রশ্ন ৭: ভাষা শহিদ অহিউল্লাহর বয়স কত ছিল?
উত্তর: ভাষা শহিদ অহিউল্লাহর বয়স ছিল নয় বছর।
প্রশ্ন ৮:
উত্তর:
প্রশ্ন ৯:
উত্তর
প্রশ্ন ১০:
উত্তর:
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ
১০. লেখকের মন্তব্য
আশা করছি ২১শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আপনাদের জন্য বেশ উপকারী হয়েছে। আপনারা আমাদের সম্পর্কে যেকোনকিছু জানতে অথবা আপনাদের মতামত বা অভিযোগ নিচের কমেন্টে জানাতে পারেন। শুধু ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে নয় আপনি যেকোন বিষয়ে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা আপনাদের কমেন্টকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url