OrdinaryITPostAd

জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত!

আপনি কি জাপান যেতে চান?জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সহজ না কঠিন তা জানতে চান?আপনি কি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি।নিচের সূচিপত্রে যা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হল।আশা করি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।








আর্টিকেল-সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কী?
  2. কিভাবে পাবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা?
  3. জাপানে কেন যাবেন?
  4. কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন?
  5. কোন কাজের চাহিদা বেশি?
  6. কোন কাজের দাম বেশি?
  7. কি কি কাগজপত্র লাগবে?
  8. কিভাবে আবেদন করবেন এবং যাবেন?
  9. আর্টিকাল সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর
  10. লেখকের মন্তব্য

1.ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কী | জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩
যারা বিদেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যায়, তাদেরকে যে ভিসা দেওয়া হয়,তাদেরকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলে।
মূলত কাজ করার উদ্দেশ্য যে ভিসা করা হয়, সে সব ভিসাকে সহজ ভাষায় বলা যায় কাজের ভিসা।

বিভিন্ন দেশে নানা রকম ভিসা থাকতে পারে।যেমনঃঅনেক মানুষ আছে যারা বিদেশ যেতে চান শুধু পড়াশোনা করবার জন্য, সে যখন আধুনিক বিশ্বের কোনো দেশে যেতে চাইবে তখন তাকে তার ইজেন্টরা সবার আগে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি কাজের জন্য অথবা পড়াশোনার জন্য নাকি এমনেই পর্যটন বা ঘুরা-ফেরা করতে যেতে চান।

তখন সে মানুষ যেহেতু উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে চান তাই তখন সে উত্তর দিবে আমি উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে চাই এবং এ ক্ষেত্রে তার কী কী প্রয়োজন হবে তখন তার এজেন্ট তাকে বুঝিয়ে বলবেন।তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা হল সেই ভিসা যে ভিসাতে একজন স্টুডেন্ট উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে পারেন। এছাড়া আরও অনেক রকমের ভিসা আছে। যেমন-পর্যটন বা ট্যুরিস্ট ভিসা।এ ভিসার নাম শুনেই বুুুঝা যাচ্ছে এ ভিসা মূলত কোনো দেশে ঘুুুুরাফেরা অর্থাৎ পর্যটন করার জন্য এবং সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে জানার জন্য মূলত দেওয়া হয়।আমরাা সাধারণত  উন্নত বিশ্বে ঘুরাফেরার জন্য যে ভিসা করে থাকি তা এই পর্যটন ভিসা।এছাড়াও আরও অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে,সব গুলোর আলোচনা করলে কখনো এই আর্টিকেল শেষ হবেনা।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি খুব অল্প ভাষায় কাজের ভিসা কি তা বর্ণনা করব।মূলত কাজের ভিসা হলো যখন কোনো ব্যক্তি বিদেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে নিজ দেশ থেকে বাইরের কোনো দেশে যায় তখন আমরা তাকে কাজের ভিসা বলি।এই ভিসা আমাদের জাতীয় অর্থনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কারন এই ভিসা থেকে একজন প্রবাসী অর্থাৎ যিনি বিদেশে থাকেন, যে অর্থ প্রেরণ করেন তা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স নামে এক বিশাল ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির এক বিশাল আয় আসে এই বিদেশরত প্রবাসি মানুষের টাকায়।তাই তারা একদিকে যেমন নিজেদের আর্থিক উন্নতি করেছে তেমনি আরেকদিকে আমাদের জাতীয় আয়েও বিশাল ভূমিকা পালন করেছে।যার জন্য বাংলাদেশের জনগন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।আমি আমার এই আর্টিকেলে মূলত তিন ধরনের ভিসার কথা বলেছি।এক.স্টুডেন্ট বা ছাত্র ভিসা।দুই.পর্যটন ভিসা।তিন.কাজের ভিসা।

আমাদের দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে এই কাজের ভিসা।মূলত বাংলাদেশের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ সৌদি আরব,মালয়েশিয়া, কুয়েত,বাহরাইন ইত্যাদি জায়গাই কাজ করেন।তাদের প্রেরিত অর্থ বাংলার অর্থনীতিকে করছে আরও গতিশীল এবং স্বচ্ছল।করোনার সময় তারা যেভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশকে এক মহা বিপদ থেকে যেভাবে রক্ষা করেছে তা আসলেই বর্ণনাতীত।
আশা করি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এর আর্টিকেলটির প্রথম পরিচ্ছেদ পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

জাপান পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি।পৃথিবীর বৃহত্তম ঘনবসতির দেশ হলো জাপান।
নানা সংস্কৃতি,ইতিহাস-ঐতিহ্যে জাপান অতুলনীয়। 
মানুষ হিসেবে তাদের মধ্যে যে দেশের প্রতি ভালোবাসা তা সত্যিই অসাধারণ। আপনি যদি বিদেশ যেতে চান অর্থাৎ জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যেমে জাপান যেতে চান তাহলে জাপানেই হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা।
পৃথিবীর মধ্যে যে দেশগুলো নিজেদের সুশীল ও সংস্কৃতিপরায়ন, নিজের সংস্কতির প্রতি আস্থাশীল এবং শ্রদ্ধাশীল, সে দেশগুলোর মধ্যে জাপান একটি।


2.কিভাবে পাবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | জাপান কাজের ভিসা ২০২৩

জাপান বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র।বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জাপান বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে সাহায্য করেছে।
বর্তমান সময়ে জাপান বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে বিপুল পরিমান জনশক্তি আমদানি করতে চাচ্ছে যা আমাদের জন্য সুখবর।এর মাধ্যমে এক দিকে আমরা যেমন বিপুল পরিমান জনশক্তি রপ্তানি করতে পারব ঠিক তেমনি বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি করতে পারব যা আমাদের অর্থনীতিকে করবে শক্তিশালী। তাই আমরা এখন আলোচনা করব জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এ কিভাবে আমরা জাপানে যাওয়ার ভিসাই আবেদন করব এবং কি কি প্রয়োজন হবে।

জাপান কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে সবার আগে বোয়েসেলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে অথবা বিএমইটির সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে।এছাড়াও বর্তমানের কোন কাজের নিয়োগ চলছে তার সুযোগ-সুবিধা কী, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে নেবেন।এছাড়াও সব থেকে বড় কথা হল রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত এজেন্সি।

এই এজেন্সি কতটুকু ঠিকভাবে আপনাকে পাঠাতে পারবে তা আপনাকে সবার আগে খোজ নিতে হবে।কারন এমন অনেক উদাহরণ আছে যে ভালো এজেন্সি না পাওয়াই বা ফ্রড এজেন্সির চক্করে পড়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে বিদেশ যাওয়ার পর।তাই এ বিষয়ে আপনাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যে আপনি আপনার এই মূল্যবান টাকা কাদেরকে দিচ্ছেন,এর সাথে সাথে আপনার বিদেশে কেও বা যে জায়গাই যেতে চান সেখানে কেও চিনা পরিচিত থাকলে তার সাথে আগে ভালোভাবে বুঝে শুনে তারপর এজেন্সির কাছে যাওয়া উচিত।

এছাড়া আপনি যে দেশে যাবেন সেদেশে চিনা পরিচিত কেও থাকলে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যা আপনি ধারনাও করতে পারবেন না।আচ্ছা যায় হোক, এখন আমাদের মূল বক্তব্য জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এ ফিরে আসা যাক যে কিভাবে আপনি আবেদন করবেন।

জাপানে কাজ করতে যেতে চাইলে সবার আগে সে দেশ থেকে দেওয়া শর্তগুলো সবার আগে আপনাকে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যে তারা তাদের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি শর্ত দিয়েছে, তারপর সেগুলোর সাথে সাথে আপনাকে জবের বিজ্ঞপ্তি গুলোও ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে যে তারা কি ধরনের যোগ্যতা চেয়েছে আপনার সাথে এবং সে যোগ্যতাগুলো আপনার আছে কিনা।এমন না হয়, আপনি বিদেশে গেলেন কিন্তু গিয়ে দেখলেন আপনি যে কাজ করতে চান সে কাজের উচ্চতা প্রয়োজন ৫ ফুট ৯, কিন্তু আপনার আছে ৫ ফুট ৮।

তাই ভালোভাবে সরকারের বেধে দেওয়া শর্ত এবং সাথে সাথে কোম্পানির বেধে দেওয়া শর্তগুলো ভালোভাবে পরিক্ষা-নীরিক্ষার পরেই বিদেশ যাওয়ার কথা চিন্তা করুন এবং আপনার সামর্থ্যের দিকেও নজর দিন। জাপান যেতে হলে প্রধানত আপনার যেসব কাগজ পত্র লাগবে তা হলো-

১.এন আইডিঃ আপনি যদি জাপান যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড থাকা লাগবে।

২.ছয় মাসের ভেলিড পার্সপোটঃমেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট: একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবেই, যার মেয়াদ এর নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার অন্তত আরও ৩০ দিন বাকি রয়েছে।তার পাশাপাশি অন্তত পাসপোর্ট বই এর দুটি অ- ব্যবহৃত/ ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে,না হলে আপনার ভিসা বাতিল বলে গণ্য হতে পারে। 

৩.কাজের অভিজ্ঞতাঃআপনি যে কাজে যাবেন সে বিষয়ে আপনার কতবছরের অভিজ্ঞতা আছে এবং সে বিষয় রিলেটেড কাগজপত্র।যেই কোম্পানী কাজ এর অফার করছে তাদের অফার লেটার।

৪.সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা 

৫.ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৬.এছাড়াও আরও কিছু শর্ত থাকতে পারে যা আপনাকে ভালো ভাবে নোটিশ দেখে বুঝতে হবে।

৭.তারিখ সহ স্বাক্ষরিত একটি যথাযথ ভাবে পূরণ করা ভিসা আবেদন পত্র থাকতে হবে।

৮.পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ঝামেলাও শেষ করে ফেলতে হবে এই কয়েকদিনের মধ্যে।

৯.স্বাস্থ্য মূল্যায়নঃ আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা তা দেখাতে হবে।

১০.এছাড়াও জব রিলেটেড কাগজপত্রও চাইতে পারে, তাই আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে নোটিশটা পড়ে ফেলতে হবে।



3.জাপানেই কেন যাবেন | জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

জাপান এই পৃথিবীর মধে একটি উন্নত দেশ।এটি মূলত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র।জাপানে পৃথিবীর প্রথম সূর্য উদয় হয় বলে জাপানকে উদীয়মান সূর্যের দেশ বলা হয়।জাপানের বৃহত্তম নগরী ও রাজধানীর নাম হলো টোকিও।এই টোকিও শহর পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরগুলোর মধ্যে একটি।

জাপান একটি উন্নত দেশ,বলা হয় বিশ্বের মধ্যে জাপানের লোকজন সবথেকে বেশি কর্মঠ।তাই এই দেশে যেতে চাইলে আপনাকেও কর্মঠ হতে হবে।জাপানে যারা কাজ করে তারা সবাই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে চাকরি করে এর সাথে সাথে দেশটি প্রতিবছর বিপুল পরিমান লোক নেন তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ সব কাজের জন্য।সে কাজগুলোর বেতনও প্রচুর হয়ে থাকে।

এভাবে যখন আপনি জাপানের মতো একটি ব্যস্ততম শহরের রাস্তায় হাটবেন আপনি একটুকুও রাস্তায় কোনো ময়লা দেখতে পারবেন না। তারা সবসময় তাদের রাস্তাঘাট খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে।তাই আপনি যদি পরিষ্কারের ব্যাপারে সচেতন হন,অপরিচ্ছনতা ভালো লাগে না।

তাহলে আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে জাপানে কাজের জন্য আবেদন করা।জাপান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ দেশ।  বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম।

বাংলাদেশ এর অনেক নাগরিকরাই জাপানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। প্রতিদিন প্রত্যেকটা মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে জাপানে প্রতিনিয়তই ভ্রমন করছেন। জাপানে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশী নাগরিকরা বেশ কয়েক ধরনের ভিসা পেয়ে যায়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ভিসা রয়েছে, যেমনঃ জাপান ফ্যামিলী ভিজিট ভিসা, জাপান স্টুডেন্ট ভিসা, জাপান কাজের ভিসা, জাপান টুরিস্ট ভিসা, জাপান বিজনেস ভিসা ইত্যাদি।

আপনার যদি যেকোনো কাজে যথেষ্ট পরিমান অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি যেকোনো কাজ দিয়েই যথেষ্ট পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন সেক্ষেত্রে কোন কাজের কি রকম চাহিদা বা তা দিয়ে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা না ভাবলেও চলবে।তবে কিছু কিছু কাজের জাপানে বিশাল চাহিদা আছে এবং সেসব চাহিদার জন্য বিপুল পরিমান লোকও নিয়োগ দেওয়া হয়।মূলত এই কারনেই আপনার দেখা উচিত যে আপনার যে কাজে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি সে কাজটি আপনি পান কিনা।জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ নোটিশটি ভালোভাবে খেয়াল করলেও আপনি আরও অনেক কাজের কথা জানতে পারবেন।
বর্তমানে জাপানে ড্রাইভিং, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিশিয়ান প্যাকেজিং সহ আরও কয়েকটি ক্যারাগরিতে সব থেকে বেশি সংখ্যাক লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।এখন আপনি যদি এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিছু অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

 মূলত দেশ থেকে কোনো নাগরিক যদি বিদেশে কাজ করতে যেতে চাই তাহলে সে এই ধরনের কাজেই সবার থেকে বেশি পেয়ে থাকে।অফিসের বিভিন্ন পোস্টে খুব কম সংখ্যাক বিদেশিকেই নেওয়া হয়,এছাড়া এই ধরনের কাজে আপনি সাধারণ কাজের থেকে বেশি আয় কর‍তে পারবেন যেহেতু এখানে তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশিদের সুযোগ দিয়ে থাকে অর্থাৎ এইসব কাজের বেতন বেশি দেওয়া হয়।সাধারণত বিদেশে কাজ করার সময় ৮ ঘন্টা কিন্তু আপনি চাইলে ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করে অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন এতে কোনো বাধা-ধরা নিয়ম নেই।আপনার যতক্ষন মন চাই কাজ করতে পারবেন।অতিরিক্ত কাজ করলে আপনি বেতন তুলনামূলক অনেক বেশি পাবেন অন্যদের তুলনায়।তাই আপনি যদি কর্মঠ হন তাহলে আপনি অন্যদের তুলনায় অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।আর আপনি যদি শিক্ষা যোগ্যতা দিয়ে কোনো কাজ করতে চান তাহলে তাহলে তাও করতে পারবেন কিন্তু এ ধরনের সেক্টরে চাকরির সুবিধা খুব কম।

তাই খুব ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আপনি কোন কাজটা করতে চান অথবা কোন কাজটা আপনার বেশি ভালো লাগে।মনে রাখবেন, যে কাজটা আপনার বেশি ভালো লাগে সে কাজটাই বেতন কম থাকলেও আপনি যে মজা নিয়ে কাজটা শেষ করবেন তার যে অনুভূতি তা অন্য সব কিছু থেকে ভিন্ন, যার কোনো মূল্য হয়।এছাড়া আপনি আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির দিকেও মনোযোগ দিতে পারেন যে কাজটা আপনাকে করতে হবে সেটার উপর।

তাই আপনি যদি কর্মঠ হোন এবং জাপানের মতো পরিবেশে কাজ করার মন-মানসিকতা থাকে তাহলে জাপানেই আপনার জন্য আদর্শ জায়গা।


4.কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন | জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

জাপান একটি উন্নতমানের দেশ।যেহেতু এইটি উন্নতমানের একটি দেশ তাই এখানে রয়েছে কাজ করার বিশাল সুবিধা।জাপানে অন্যান্য উন্নমানের দেশের থেকে আপনি খুব কম খরচে আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। মূলত আপনি যখন ইউরোপের কোনো দেশে যেতে চান আপনার প্রচুর টাকা খরচ হয়, এর সাথে সেখানের জীবন যাত্রা পালন করতে বা সেখানে চলা ফেরা করতে যে টাকা প্রয়োজন হয় তা অনেক। 

তাই আপনি সেখানে গিয়ে কাজ না পেয়ে দেওলিয়া পর্যন্ত হতে পারেন।তাই যদি আপনি খুব কম খরচে চলা যায় এমন কোনো দেশে যেতে চান তাহলে জাপান হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ স্থান।কারন আপনি খুব কম খরচে সেখানে চলতে পারবেন এবং তার সাথে সাথে একটি ভালো বেতনের চাকরিও পেতে পারবেন এবং আপনারা জেনে খুশি হবেন যে জাপানে আপনারা খুব সহজেই সেখানকার সিটিজেনশিপ পেতে পারেন খুব সহজেই যদি সেখানে থাকার কয়েক ধরনের প্রক্রিয়া আপনার জানা থাকে।

এছাড়া সেখানে যাওয়ার ভিসা জটিলতা কম।এছাড়া সেখানে বর্তমানে এমন অনেক সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সেখানকার নাগরিক হতে পারবেন।এ বিষয়ে আরেকদিন কিভাবে আপনি জাপানে নাগরিকত্ব পাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব।আজকের মূল বিষয় জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এ আমরা কিভাবে সেখানে গিয়ে ভালো কাজ পাওয়া যাবে সেই বিষয় সম্পর্কেই জানব শুধু।এ ছাড়া আপনারা কিভাবে জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ পাবেন সে বিষয়েও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

আচ্ছা,এখন মূল প্রসঙ্গে আসা যাক, আপনি যদি জাপানে যেতে চান কাজ করার জন্য তাহলে আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। কারন জাপান একটি উন্নত দেশ।এখানে যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ারের সাথে সাথে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎও গড়তে পারেন তাহলে আর কি চাই আপনার।

আপনি সেখানকার সরকার থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন আপনার সন্তানকে বড় করার জন্য।এখানে আপনি ৪ বছরের ভিতরেই সিটিজেনশিপ পেতে পারেন যেখানে অন্য দেশগুলোতে পেতে অনেক সময় লাগে।এছাড়া আপনি পাবেন এক্সটা আরও অনেক সুযোগ সুবিধা। যেমন সেখানে পার্টটাইমের বিশাল সুযোগ থাকে আপনার কাজ করা শেষ হওয়ার পরেও, এছাড়া এখানে বছর বছর থাকে অনেক বোনাস।

এছাড়া একবছর পর আপনি সেখান থেকে এক ধরনের স্বীকৃতি পাবেন বিভিন্ন দেশে ভ্রমনের জন্য।এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে বিভিন্ন অফার দিবে।তাই বলা যায় জাপানেই হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা, বিদেশে কাজ করার জন্য যদি আপনি বিদেশে এবং এর সাথে সাথে একটি উন্নত দেশে যেতে চান।জাপানে কাজের কোন সময় নাই।তবুও সরকার ৮ ঘন্টা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, ইচ্ছা করলে ২ ঘন্টা পার্টটাইম করতে পারবেন। এছাড়া কেও যদি অতিরিক্ত সময় কাজ করতে চাই তাহলে সে তাও করতে পারবে, এক্ষেত্রে সরকারের কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই।তাই আপনি যতক্ষন মন চাই কাজ করার ততক্ষন কাজ করতে পারবেন।



5.কোন কাজের চাহিদা বেশি | জাপান কাজের ভিসা ২০২৩

আপনার যদি যেকোনো কাজে যথেষ্ট পরিমান অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি যেকোনো কাজ দিয়েই যথেষ্ট পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন সেক্ষেত্রে কোন কাজের কি রকম চাহিদা বা তা দিয়ে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা না ভাবলেও চলবে।তবে কিছু কিছু কাজের জাপানে বিশাল চাহিদা আছে এবং সেসব চাহিদার জন্য বিপুল পরিমান লোকও নিয়োগ দেওয়া হয়।মূলত এই কারনেই আপনার দেখা উচিত যে আপনার যে কাজে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি সে কাজটি আপনি পান কিনা।জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ নোটিশটি ভালোভাবে খেয়াল করলেও আপনি আরও অনেক কাজের কথা জানতে পারবেন।

বর্তমানে জাপানে হোটেল রেস্টুরেন্টে মালি এবং কেয়ারিং,ড্রাইভিং,নেটওয়ার্কইঞ্জিনিয়ার,ইলেকট্রিশিয়ান প্যাকেজিং সহ আরও কয়েকটি ক্যারাগরিতে সব থেকে বেশি সংখ্যাক লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।এখন আপনি যদি এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিছু অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মূলত দেশ থেকে কোনো নাগরিক যদি বিদেশে কাজ করতে যেতে চাই তাহলে সে এই ধরনের কাজেই সবার থেকে বেশি পেয়ে থাকে।

অফিসের বিভিন্ন পোস্টে খুব কম সংখ্যাক বিদেশিকেই নেওয়া হয়,এছাড়া এই ধরনের কাজে আপনি সাধারণ কাজের থেকে বেশি আয় কর‍তে পারবেন যেহেতু এখানে তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশিদের সুযোগ দিয়ে থাকে অর্থাৎ এইসব কাজের বেতন বেশি দেওয়া হয়।সাধারণত বিদেশে কাজ করার সময় ৮ ঘন্টা কিন্তু আপনি চাইলে ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করে অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন এতে কোনো বাধা-ধরা নিয়ম নেই।
আপনার যতক্ষন মন চাই কাজ করতে পারবেন।অতিরিক্ত কাজ করলে আপনি বেতন তুলনামূলক অনেক বেশি পাবেন অন্যদের তুলনায়।তাই আপনি যদি কর্মঠ হন তাহলে আপনি অন্যদের তুলনায় অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।আর আপনি যদি শিক্ষা যোগ্যতা দিয়ে কোনো কাজ করতে চান তাহলে তাহলে তাও করতে পারবেন কিন্তু এ ধরনের সেক্টরে চাকরির সুবিধা খুব কম।

তাই খুব ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আপনি কোন কাজটা করতে চান অথবা কোন কাজটা আপনার বেশি ভালো লাগে।মনে রাখবেন, যে কাজটা আপনার বেশি ভালো লাগে সে কাজটাই বেতন কম থাকলেও আপনি যে মজা নিয়ে কাজটা শেষ করবেন তার যে অনুভূতি তা অন্য সব কিছু থেকে ভিন্ন, যার কোনো মূল্য হয়।এছাড়া আপনি আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির দিকেও মনোযোগ দিতে পারেন যে কাজটা আপনাকে করতে হবে সেটার উপর।


6.কোন কাজের দাম বেশি |জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩  
বর্তমানে জাপানে ইলেকট্রিশিয়ান,এগ্রিকালচার , ড্রাইভিং,সিকিউরিটি,ডিভিশন,অটোমোবাইল,নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার সহ আরও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিপুল পরিমান চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে এবং যার কারনে দিন দিন জাপান থেকে বিপুল পরিমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে।

এছাড়াও আরও কয়েকটি সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বেশি।তাই বর্তমানে সমস্ত জব সেক্টরে কাজের চাহিদা এবং বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চাহিদা অনেক বেশি।

তাই কেও যদি কাজের এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই ধরনের ভিসার জন্য আপনি খুব সহজেই জাপান যাওয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন।তবে এই সমস্ত চাকরির সেক্টর গুলোতে সে দেশের সরকার এবং বিদেশি কোম্পানি গুলো কি ধরনের লোকজন চাচ্ছে,তাদের শর্তাদি কী এবং সে সব শর্তাদি আপনার সাথে মিলে কিনা তা ভালো মতো দেখা উচিত।তারপর বুঝে শুনে বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

জাপানে বর্তমান একজন শ্রমিকের মাসে ৯০০ ডলার থেকে শুরু করে ১২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করার সুযোগ আছে এই ধরনের সেক্টর গুলো থেকে।এছাড়া কেও পার্টটাইম ভালোমতো করতে পারলে সে মাসে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবে।এগুলো শুধু মাত্র বিদেশি শ্রমিকদের আনুমানিক আয়ের উপর হিসাব করে ধরা হয়েছে,কেও চাইলে এর অধিকও আয় করতে পারবেন যদি সে এর সাথে কিছু অফিশিয়াল কাজ কর্মও করতে পারেন।কেও যদি অফিশিয়াল কাজ-কর্মের সাথে জড়িত হতে পারেন এবং কোনো কোম্পানির ভিততে কাজ করতে পারেন তাহলে সে এর থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তাই যদি আপনার যদি এই ধরনের কাজ করতে বিদেশে যেতে ইচ্ছা এবং এইসব কাজের উপর দক্ষতা  থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন। এছাড়া 
যদি আপনার এইসব কাজকর্মে দক্ষতা না তেমন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে এই সব কাজকর্ম শিখে কয়েক মাস দেশে কাজ করে অভিজ্ঞতা নিয়ে তারপর আপনি আবেদন করতে পারেন।মনে রাখবেন কোনো কাজ ছোটো নয়, তবে আপনার যে কাজটা করতে বেশি ভালো লাগে সেই কাজটাকেই আপনার বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বা গুরুতের সাথে নেওয়া উচিত।যেভাবেই হোক, আপনি যে কাজটা করতে দক্ষ এবং তা যে আপনার থেকে ভালোভাবে কেও করতে পারেনা, তা আপনাকে আপনার বসকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।এ বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যেমে আপনি আরও অতিরিক্ত কিছু টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া আপনার বস আপনাকে যাতে আপনাকে কখনো চাকরি থেকে বরখাস্ত না করতে পারে সে দিকেও আপনাকে নজর রেখে আপনাকে কাজটি খুব সুন্দর ভাবে করা উচিত।এমন ভাবে করা উচিত যে কখনো তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা ভাবতেই পারেন না।আশা করি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ এর এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
 

7.কি কি কাগজপত্র লাগবে | জাপান কাজের ভিসা ২০২৩ 

জাপানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে কয়েকটি স্টেপ বা ধাপ ফলো করতে হবে।যেমন কাজের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার আগে আপনার একাডেমিক এবং যে যে সার্টিফিকেটগুলো প্রয়োজন সেগুলো ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে পরিক্ষা করে নিতে হবে।যে যে কাগজ পত্র লাগবে তার মধ্যে কয়েকটি হল-
১.অরিজিনাল মেয়াদসম্পুর্ন পাসপোর্ট।
২.পাসপোর্ট সাইজ ছবি
৩.একাডেমিক সার্টিফিকেট+মার্কশিট
৪.সিভি ( বায়োডাটা )
৫.ভোটার আইডি কার্ড এবং জন্ম নিবন্ধন এর কাগজপত্র (আসল+ফটোকপি)
এইগুলা জমা দেওয়ার আগে ভালোভাবে দেখে নিন।এগুলো ইনফরমেশন আপনাকে সঠিক ভাবে কাজ এবং ভিসা জটিলতা থেকে মুক্ত করবে।এছাড়াও আপনি যদি একজন শেফ হন তাহলে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। কারন ইউরোপ, জাপান, রাশিয়ার মতো দেশে শেফের বিপুল পরিমান চাহিদা আছে।এই চাহিদার কারনেই বিদেশে শেইফদের বাজার অনেক বড়।এ শেইফ মাসে কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করে।

এছাড়াও বিদেশের হোটেলগুলোর সাথে চুক্তি করে গেলে শেফ ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।যারা শেফ ভিসায় বিদেশে যান তাদের ভিসা জটিলতা অনেকাংশে কম হয়।তাই যারা রান্না করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য রান্নার কাজ হতে পারে আদর্শ কর্ম। কারন এতে একদিকে তারা তাদের ভালোবাসার কাজটি খুব সুন্দরভাবে করে যে মানুষিক তৃপ্তি পাবে তা অন্য কাজে পাবে না।বিদেশে প্রচুর পরিমান ফাইভ স্টার হোটেল আছে এবং সেই হোটেলগুলো প্রতি মাসে বিপুল পরিমান লোক নিয়োগ হয়,তাই কাজের বিজ্ঞপ্তি গুলো ভালোভাবে নজর রাখলে আপনি খুব সহজেই আপনার মনের মতো কাজ পেয়ে যাবেন আশা করি।

বিদেশে হোটেলগুলোতে বেতনও প্রচুর।তাই আপনি যদি রান্না করা পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে রান্নার পেশাকে আপনার বৃত্তি হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার আগে আপনাকে ভালোভাবে সে দেশের রান্নাগুলোকে আয়ত্ত্ব করে নিতে হবে বা হোটেলের সাথে যোগাযোগ করে নিতে হবে যে তারা কি ধরনের রাধুনি চান। তারপর সে রান্না গুলোর উপর  আপনাকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।দিনশেষে আপনি যদি আপনার গ্রাহকের মন খুশি করতে পারেন তাহলে পেতে পারেন অতিরিক্ত কিছু অর্থ।

তাই বিদেশে যারা শেফ হিসেবে যাবেন তাদের রয়েছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।তাই আপনি যদি এই কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিদেশে অনেক অর্ করতে পারবেন আপনার রান্নার হাতের দ্বারা।


8.কিভাবে আবেদন করবেন আর যাবেন | জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ 
অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপান যাওয়াটা একটু কঠিন।অন্যান্য দেশে আপনি যেমন এস.এস.সি পাস করেই চাকরির জন্য যেতে পারেন আবার কিছু কিছু দেশ আছে যারা কোনো শিক্ষার কাগজ বা একাডেমিক কোন যোগ্যাতা আছে কিনা তা জানতে চাইনা,অন্যদিকে জাপানে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে জিএসসি পাস করতে হবে এবং সেই সাথে জাপানের যেই কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে জাপানি ল্যাংগুয়েজ শিখে নিতে হবে।এ জাপানি ভাষার উপর দক্ষতা ছাড়া আপনি সেই দেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।যা দুবাই, মালয়শিয়া অথবা সৌদি আরবে গেলে প্রয়োজন ছিল না কিন্তু জাপানে গেলে আপনাকে এইধরনের যোগ্যতা লাগবেই।নিচের কি কি যোগ্যতা লাগবে তা বলা হল-
  • আপনাকে অবশ্যই এসএসসি পাশ করতে হবে
  • মাস্টার্স বা এইচ এস সি পাশ স্টুডেন্টরা, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
  • প্রার্থীকে অবশ্যই ৪ মাস ব্যাপী জাপানের ভাষা শিক্ষা কোর্সটি সম্পূর্ন করতে হবে।
  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ হতে হবে
  • কাগজপত্রগুলোর সত্যায়িত করে রাখতে হবে প্রথম শ্রেনির কর্মকর্তা দ্বারা। 
এরপর জাপানি কোন ইউনিভার্সিটি,কলেজ অথবা ভাষাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্পট ইন্টারভিউ দিতে হবে।এখাননে আপনাকে পাশ করতেই হবে।

আপনি পাশ করলে এখানকার সব কাগজ-পত্র আর পাশ করার সার্টিফিকেট সব ইমিগ্রেশন অফিসে জমা দিতে হবে এবং এখান থেকে আপনাকে ইমিগ্রেশন মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস ইন জাপানে ৯০ দিনের মধ্যে pre visa বা রেসিডেন্ট পারমিট ইস্যু করতে হবে এবং সর্বশেষে বাংলাদেশের জাপান এম্বাসিতে সব কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার এই জাপান যাওয়ার কাগজপত্রের কাজ জটিল কাজ শেষ হবে।


9.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর|জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

প্রশ্নঃজাপানে বর্তমানে কত ধরনের ভিসা চালু আছে?
উত্তরঃপ্রায় সব ধরনের ভিসাই চালু আছে।
প্রশ্নঃসরকারি খরছে কি জাপান যাওয়া যায়?
উত্তরঃহ্যাঁ,আপনি সরকারে দেওয়া প্রশিক্ষন শেষ করে সরকারি খরচে জাপান যেতে পারবেন।
প্রশ্নঃজাপানের কাজের বেতন কত?
উত্তরঃপ্রতি ঘন্টায় ৭০০ টাকা করে।
প্রশ্নঃজাপানে যেতে কি জাপানিজ ভাষা শিখতে হবে?
উত্তরঃহ্যাঁ,জাপানিজ ভাষা ছাড়া আপনি জাপান যেতে পারবেন না।

এছাড়াও আপনাদের নানা ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে,আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনার সে প্রশ্নগুলোরও উত্তর পেয়ে যাবেন।আশা করি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।


10.লেখকের মন্তব্য| জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ 

জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলটি যারা জাপানে যেতে চান তাদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে।এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আশা করি জাপান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
জাপান একটি উন্নত রাষ্ট্র।কাজের মানও ভালো। এ দেশে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই নানা বিষয়ে দক্ষতা এনে তারপর যেতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url