OrdinaryITPostAd

রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ [নতুন বিজ্ঞপ্তি]

আপনি কি রাশিয়া যেতে চান?রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ সহজ না কঠিন তা জানতে চান?আপনি কিভাবে রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি।নিচের সূচিপত্রে যা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হল।আশা করি রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।

সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন রাশিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
উত্তর ধাপ ০১.  মাত্র ৬৫ হাজার টকার বিনিময়ে রাশিয়া যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। 
উত্তর ধাপ ০২.  কর্মীদের প্রথম মাস থেকেই বেতন হবে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। কাজের ক্ষেত্রগুলো হল- কৃষি, শিল্প, কন্সট্রাকশন, জাহাজ নির্মাণ। এই ক্ষেত্রগুলো থেকে দক্ষ শ্রমিক নেবে।
উত্তর ধাপ ০৩. রাশিয়া যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো সরকারিভাবে বুয়েসেলের মাধ্যমে । রাশিয়া যেতে ভাষা শেখার প্রয়োজন নেই। রাশিয়া গিয়েই এক মাসের ভাষা শিক্ষার কোর্স করাবে। 
উত্তর ধাপ ০৪.

বোয়েসেল এর ঠিকানা : ৭১-৭২ ইস্কাটন গার্ডেন, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৪র্থ তলা রমনা, ঢাকা- ১০০০, বাংলাদেশ।  হটলাইন: ০১৭৬৫৪১১৬৫৩ ওয়েবসাইট: www.boesl.gov.bd







আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
  1. কাজের ভিসা কী
  2. রাশিয়াতে কেন কাজে যাবেন
  3. রাশিয়ার কাজের ভিসার আবেদন কিভাবে করবেন 
  4. রাশিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
  5. রাশিয়াতে কোন কাজের দাম বেশি
  6. বর্তমান যুদ্ধকালীন সময়ে রাশিয়াতে যাওয়া কি উচিত হবে?
  7. রাশিয়া ভিসার দাম কত?
  8. রাশিয়াই কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর 
  10. লেখকের মন্তব্য

1. কাজের ভিসা কি | রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ 

মূলত কাজ করার উদ্দেশ্য যে ভিসা করা হয়, সে সব ভিসাকে সহজ ভাষায় বলা যায় কাজের ভিসা।

বিভিন্ন দেশে নানা রকম ভিসা থাকতে পারে।যেমনঃঅনেক মানুষ আছে যারা বিদেশ যেতে চান শুধু পড়াশোনা করবার জন্য, সে যখন আধুনিক বিশ্বের কোনো দেশে যেতে চাইবে তখন তাকে তার ইজেন্টরা সবার আগে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি কাজের জন্য অথবা পড়াশোনার জন্য নাকি এমনেই পর্যটন বা ঘুরা-ফেরা করতে যেতে চান। 


তখন সে মানুষ যেহেতু উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে চান তাই তখন সে উত্তর দিবে আমি উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে চাই এবং এ ক্ষেত্রে তার কী কী প্রয়োজন হবে তখন তার এজেন্ট তাকে বুঝিয়ে বলবেন।তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা হল সেই ভিসা যে ভিসাতে একজন স্টুডেন্ট উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে পারেন।

এছাড়া আরও অনেক রকমের ভিসা আছে। যেমন-পর্যটন বা ট্যুরিস্ট ভিসা।এ ভিসার নাম শুনেই বুুুঝা যাচ্ছে এ ভিসা মূলত কোনো দেশে ঘুুুুরাফেরা অর্থাৎ পর্যটন করার জন্য এবং সে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে জানার জন্য মূলত দেওয়া হয়।আমরাা সাধারণত  উন্নত বিশ্বে ঘুরাফেরার জন্য যে ভিসা করে থাকি তা এই পর্যটন ভিসা।এছাড়াও আরও অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে,সব গুলোর আলোচনা করলে কখনো এই আর্টিকেল শেষ হবেনা।তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি খুব অল্প ভাষায় কাজের ভিসা কি তা বর্ণনা করব।মূলত কাজের ভিসা হলো যখন কোনো ব্যক্তি বিদেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে নিজ দেশ থেকে বাইরের কোনো দেশে যায় তখন আমরা তাকে কাজের ভিসা বলি।

এই ভিসা আমাদের জাতীয় অর্থনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কারন এই ভিসা থেকে একজন প্রবাসী অর্থাৎ যিনি বিদেশে থাকেন, যে অর্থ প্রেরণ করেন তা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স নামে এক বিশাল ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশের অর্থনীতির এক বিশাল আয় আসে এই বিদেশরত প্রবাসি মানুষের টাকায়।তাই তারা একদিকে যেমন নিজেদের আর্থিক উন্নতি করেছে তেমনি আরেকদিকে আমাদের জাতীয় আয়েও বিশাল ভূমিকা পালন করেছে।

যার জন্য বাংলাদেশের জনগন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।আমি আমার এই আর্টিকেলে মূলত তিন ধরনের ভিসার কথা বলেছি।এক.স্টুডেন্ট বা ছাত্র ভিসা।দুই.পর্যটন ভিসা।তিন.কাজের ভিসা।


আমাদের দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সব থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে এই কাজের ভিসা।মূলত বাংলাদেশের এক বিশাল সংখ্যক মানুষ সৌদি আরব,মালয়েশিয়া, কুয়েত,বাহরাইন ইত্যাদি জায়গাই কাজ করেন।তাদের প্রেরিত অর্থ বাংলার অর্থনীতিকে করছে আরও গতিশীল এবং স্বচ্ছল।করোনার সময় তারা যেভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশকে এক মহা বিপদ থেকে যেভাবে রক্ষা করেছে তা আসলেই বর্ণনাতীত।


আশা করি রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর আর্টিকেলটির প্রথম পরিচ্ছেদ পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
2. রাশিয়াতে কেন কাজে যাবেন | রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ 
রাশিয়া একটি উন্নতমানের দেশ।যেহেতু এইটি উন্নতমানের একটি দেশ তাই এখানে রয়েছে কাজ করার বিশাল সুবিধা।রাশিয়াতে অন্যান্য উন্নমানের দেশের থেকে আপনি খুব কম খরচে আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। 

মূলত আপনি যখন ইউরোপের কোনো দেশে যেতে চান আপনার প্রচুর টাকা খরচ হয়, এর সাথে সেখানের জীবন যাত্রা পালন করতে বা সেখানে চলা ফেরা করতে যে টাকা প্রয়োজন হয় তা অনেক। 

তাই আপনি সেখানে গিয়ে কাজ না পেয়ে দেওলিয়া পর্যন্ত হতে পারেন।তাই যদি আপনি খুব খরচে চলা যায় এমন কোনো দেশে যেতে চান তাহলে রাশিয়া হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ স্থান।কারন আপনি খুব কম খরচে সেখানে চলতে পারবেন এবং তার সাথে সাথে একটি ভালো বেতনের চাকরিও পেতে পারবেন এবং আপনারা জেনে খুশি হবেন যে রাশিয়াতে আপনারা খুব সহজেই সেখানকার সিটিজেনশিপ পেতে পারেন খুব সহজেই যদি সেখানে থাকার কয়েক ধরনের প্রক্রিয়া আপনার জানা থাকে।

এছাড়া সেখানে যাওয়ার ভিসা জটিলতা কম।এছাড়া সেখানে বর্তমানে এমন অনেক সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সেখানকার নাগরিক হতে পারবেন।এ বিষয়ে আরেকদিন কিভাবে আপনি রাশিয়ার নাগরিকত্ব পাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব।আজকের মূল বিষয় রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এ আমরা কিভাবে সেখানে গিয়ে ভালো কাজ পাওয়া যাবে সেই বিষয় সম্পর্কেই জানব শুধু।

এছাড়া আপনারা কিভাবে রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ পাবেন সে বিষয়েও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আচ্ছা,এখন মূল প্রসঙ্গে আসা যাক, আপনি যদি রাশিয়া যেতে চান কাজ করার জন্য তাহলে আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। কারন রাশিয়া একটি উন্নত দেশ।এখানে যদি আপনি আপনার ক্যারিয়ারের সাথে সাথে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎও গড়তে পারেন তাহলে আর কি চাই আপনার।আপনি সেখানকার সরকার থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন আপনার সন্তানকে বড় করার জন্য।এখানে আপনি ৪ বছরের ভিতরেই সিটিজেনশিপ পেতে পারেন যেখানে অন্য দেশগুলোতে পেতে অনেক সময় লাগে।

এছাড়া আপনি পাবেন এক্সটা আরও অনেক সুযোগ সুবিধা। যেমন সেখানে পার্টটাইমের বিশাল সুযোগ থাকে আপনার কাজ করা শেষ হওয়ার পরেও, এছাড়া এখানে বছর বছর থাকে অনেক বোনাস।এছাড়া একবছর পর আপনি সেখান থেকে এক ধরনের স্বীকৃতি পাবেন বিভিন্ন দেশে ভ্রমনের জন্য।

এছাড়াও সেখানে বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে বিভিন্ন অফার দিবে।তাই বলা যায় রাশিয়া হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা, বিদেশে কাজ করার জন্য যদি আপনি বিদেশে এবং এর সাথে সাথে একটি উন্নত দেশে যেতে চান।রাশিয়াই কাজের সময় মাত্র ৮ ঘন্টা। আপনি ইচ্ছা করলে ২ ঘন্টা পার্টটাইম করতে পারবেন।

 এছাড়া কেও যদি অতিরিক্ত সময় লাজ করতে চাই তাহলে সে তাও করতে পারবে, এক্ষেত্রে সরকারের কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই।তাই আপনি যতক্ষন মন চাই কাজ করার ততক্ষন কাজ করতে পারবেন।

3. রাশিয়ার কাজের ভিসার আবেদন কিভাবে করবেন | রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ 
রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র।বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে সাহায্য করেছে।বর্তমান সময়ে রাশিয়া বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে বিপুল পরিমান জনশক্তি আমদানি করতে চাচ্ছে যা আমাদের জন্য সুখবর।

এর মাধ্যমে এক দিকে আমরা যেমন বিপুল পরিমান জনশক্তি রপ্তানি করতে পারব ঠিক তেমনি বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি করতে পারব যা আমাদের অর্থনীতিকে করবে শক্তিশালী। তাই আমরা এখন আলোচনা করব রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এ কিভাবে আমরা রাশিয়া যাওয়ার ভিসাই আবেদন করব এবং কি কি প্রয়োজন হবে।


রাশিয়াই কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে আপনাকে সবার আগে বোয়েসেলের সাথে যোগাযোগ করতে হবে অথবা বিএমইটির সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে।এছাড়াও বর্তমানের কোন কাজের নিয়োগ চলছে তার সুযোগ-সুবিধা কী, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে নেবেন।এছাড়াও সব থেকে বড় কথা হল রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত এজেন্সি।

এই এজেন্সি কতটুকু ঠিকভাবে আপনাকে পাঠাতে পারবে তা আপনাকে সবার আগে খোজ নিতে হবে।কারন এমন অনেক উদাহরণ আছে যে ভালো এজেন্সি না পাওয়াই বা ফ্রড এজেন্সির চক্করে পড়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে বিদেশ যাওয়ার পর।তাই এ বিষয়ে আপনাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যে আপনি আপনার এই মূল্যবান টাকা কাদেরকে দিচ্ছেন,এর সাথে সাথে আপনার বিদেশে কেও বা যে জায়গাই যেতে চান সেখানে কেও চিনা পরিচিত থাকলে তার সাথে আগে ভালোভাবে বুঝে শুনে তারপর এজেন্সির কাছে যাওয়া উচিত।


এছাড়া আপনি যে দেশে যাবেন সেদেশে চিনা পরিচিত কেও থাকলে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যা আপনি ধারনাও করতে পারবেন না।আচ্ছা যায় হোক, এখন আমাদের মূল বক্তব্য রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এ ফিরে আসা যাক যে কিভাবে আপনি আবেদন করবেন।

রাশিয়াই কাজ করতে যেতে চাইলে সবার আগে সে দেশ থেকে দেওয়া শর্তগুলো সবার আগে আপনাকে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যে তারা তাদের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি শর্ত দিয়েছে, তারপর সেগুলোর সাথে সাথে আপনাকে জবের বিজ্ঞপ্তি গুলোও ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে যে তারা কি ধরনের যোগ্যতা চেয়েছে আপনার সাথে এবং সে যোগ্যতাগুলো আপনার আছে কিনা।এমন না হয়, আপনি বিদেশে গেলেন কিন্তু গিয়ে দেখলেন আপনি যে কাজ করতে চান সে কাজের উচ্চতা প্রয়োজন ৫ ফুট ৯, কিন্তু আপনার আছে ৫ ফুট ৮।

তাই ভালোভাবে সরকারের বেধে দেওয়া শর্ত এবং সাথে সাথে কোম্পানির বেধে দেওয়া শর্তগুলো ভালোভাবে পরিক্ষা-নীরিক্ষার পরেই বিদেশ যাওয়ার কথা চিন্তা করুন এবং আপনার সামর্থ্যের দিকেও নজর দিন।রাশিয়াই যেতে হলে প্রধানত আপনার যেসব কাগজ পত্র লাগবে তা হলো-
১.এন আইডি কার্ডের ফটোকপি
২.ছয় মাসের ভেলিড পার্সপোট
৩.কাজের অভিজ্ঞতা
৪.সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা 
৫.ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
৬.এছাড়াও আরও কিছু শর্ত থাকতে পারে যা আপনাকে ভালো ভাবে নোটিশ দেখে বুঝতে হবে।


4. রাশিয়াতে কোন কাজের চাহিদা বেশি | রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩
আপনার যদি যেকোনো কাজে যথেষ্ট পরিমান অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি যেকোনো কাজ দিয়েই যথেষ্ট পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন সেক্ষেত্রে কোন কাজের কি রকম চাহিদা বা তা দিয়ে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা না ভাবলেও চলবে।তবে কিছু কিছু কাজের রাশিয়াতে বিশাল চাহিদা আছে এবং সেসব চাহিদার জন্য বিপুল পরিমান লোকও নিয়োগ দেওয়া হয়।মূলত এই কারনেই আপনার দেখা উচিত যে আপনার যে কাজে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বেশি সে কাজটি আপনি পান কিনা।

রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ নোটিশটি ভালোভাবে খেয়াল করলেও আপনি আরও অনেক কাজের কথা জানতে পারবেন।

বর্তমানে রাশিয়াতে ড্রাইভিং, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিশিয়ান প্যাকেজিং সহ আরও কয়েকটি ক্যারাগরিতে সব থেকে বেশি সংখ্যাক লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।এখন আপনি যদি এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিছু অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

মূলত দেশ থেকে কোনো নাগরিক যদি বিদেশে কাজ করতে যেতে চাই তাহলে সে এই ধরনের কাজেই সবার থেকে বেশি পেয়ে থাকে।অফিসের বিভিন্ন পোস্টে খুব কম সংখ্যাক বিদেশিকেই নেওয়া হয়,এছাড়া এই ধরনের কাজে আপনি সাধারণ কাজের থেকে বেশি আয় কর‍তে পারবেন যেহেতু এখানে তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশিদের সুযোগ দিয়ে থাকে অর্থাৎ এইসব কাজের বেতন বেশি দেওয়া হয়।সাধারণত বিদেশে কাজ করার সময় ৮ ঘন্টা কিন্তু আপনি চাইলে ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করে অতিরিক্ত টাকা আয় করতে পারবেন এতে কোনো বাধা-ধরা নিয়ম নেই।

আপনার যতক্ষন মন চাই কাজ করতে পারবেন।অতিরিক্ত কাজ করলে আপনি বেতন তুলনামূলক অনেক বেশি পাবেন অন্যদের তুলনায়।তাই আপনি যদি কর্মঠ হন তাহলে আপনি অন্যদের তুলনায় অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।আর আপনি যদি শিক্ষা যোগ্যতা দিয়ে কোনো কাজ করতে চান তাহলে তাহলে তাও করতে পারবেন কিন্তু এ ধরনের সেক্টরে চাকরির সুবিধা খুব কম।

তাই খুব ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আপনি কোন কাজটা করতে চান অথবা কোন কাজটা আপনার বেশি ভালো লাগে।মনে রাখবেন, যে কাজটা আপনার বেশি ভালো লাগে সে কাজটাই বেতন কম থাকলেও আপনি যে মজা নিয়ে কাজটা শেষ করবেন তার যে অনুভূতি তা অন্য সব কিছু থেকে ভিন্ন, যার কোনো মূল্য হয়।

এছাড়া আপনি আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির দিকেও মনোযোগ দিতে পারেন যে কাজটা আপনাকে করতে হবে সেটার উপর।



5.রাশিয়াতে কোন কাজের দাম বেশি | রাশিয়া ভিসা ২০২৩ 
বর্তমানে রাশিয়াতে ইলেকট্রিশিয়ান, এগ্রিকালচার , ড্রাইভিং, সিকিউরিটি, ডিভিশন, অটোমোবাইল, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার সহ আরও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিপুল পরিমান চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে এবং যার কারনে দিন দিন রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বেশি।

তাই বর্তমানে সমস্ত জব সেক্টরে কাজের চাহিদা এবং বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চাহিদা অনেক বেশি।তাই কেও যদি কাজের এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই ধরনের ভিসার জন্য আপনি খুব সহজেই রাশিয়া যাওয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন।

তবে এই সমস্ত চাকরির সেক্টর গুলোতে সে দেশের সরকার এবং বিদেশি কোম্পানি গুলো কি ধরনের লোকজন চাচ্ছে,তাদের শর্তাদি কী এবং সে সব শর্তাদি আপনার সাথে মিলে কিনা তা ভালো মতো দেখা উচিত।তারপর বুঝে শুনে বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

রাশিয়াতে বর্তমান একজন শ্রমিকের মাসে ৯০০ ডলার থেকে শুরু করে ১২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করার সুযোগ আছে এই ধরনের সেক্টর গুলো থেকে।এছাড়া কেও পার্টটাইম ভালোমতো করতে পারলে সে মাসে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবে।এগুলো শুধু মাত্র বিদেশি শ্রমিকদের আনুমানিক আয়ের উপর হিসাব করে ধরা হয়েছে,কেও চাইলে এর অধিকও আয় করতে পারবেন যদি সে এর সাথে কিছু অফিশিয়াল কাজ কর্মও করতে পারেন।কেও যদি অফিশিয়াল কাজ-কর্মের সাথে জড়িত হতে পারেন এবং কোনো কোম্পানির ভিততে কাজ করতে পারেন তাহলে সে এর থেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


তাই যদি আপনার যদি এই ধরনের কাজ করতে বিদেশে যেতে ইচ্ছা এবং এইসব কাজের উপর দক্ষতা  থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন। এছাড়া 
যদি আপনার এইসব কাজকর্মে দক্ষতা না তেমন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে এই সব কাজকর্ম শিখে কয়েক মাস দেশে কাজ করে অভিজ্ঞতা নিয়ে তারপর আপনি আবেদন করতে পারেন।মনে রাখবেন কোনো কাজ ছোটো নয়, তবে আপনার যে কাজটা করতে বেশি ভালো লাগে সেই কাজটাকেই আপনার বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বা গুরুতের সাথে নেওয়া উচিত।যেভাবেই হোক, আপনি যে কাজটা করতে দক্ষ এবং তা যে আপনার থেকে ভালোভাবে কেও করতে পারেনা, তা আপনাকে আপনার বসকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।এ বুঝিয়ে দেওয়ার মাধ্যেমে আপনি আরও অতিরিক্ত কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।

এছাড়া আপনার বস আপনাকে যাতে আপনাকে কখনো চাকরি থেকে বরখাস্ত না করতে পারে সে দিকেও আপনাকে নজর রেখে আপনাকে কাজটি খুব সুন্দর ভাবে করা উচিত।এমন ভাবে করা উচিত যে কখনো তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা ভাবতেই পারেন না।আশা করি রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। 

6.বর্তমান যুদ্ধকালীন সময়ে রাশিয়াতে যাওয়া কি উচিত হবে | রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩

বর্তমান যুদ্ধকালীন সময়ে রাশিয়া যাওয়া নিরাপদ নয়।কারন রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে আমেরিকা উঠে-পড়ে লেগেছে। একের পর এক নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে রাশিয়ার উপর।এছাড়াও পশ্চিমা দেশুগুলোর সাথে যোগ দিয়ে জার্মানি। যার ফলে জার্মানি রাশিয়াতে গ্যাস সঞ্চালন বন্ধ করে দিয়েছে।

তাই এর ফলে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ শিল্প খাতগুলো  ব্যাপকভাবে লোকসানের শিকার হচ্ছে।এছাড়া সেই শিপ্ল কারখানা গুলো বাইরের দেশগুলোর সাথে কোনো রকমের লেন দেন না করতে পারাই তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে অর্থনীতিক ঘাটতি।

সেই ঘাটতি রাশিয়া যতই চেষ্টা করুক না কেনো এত সহজে পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে হয়না।এছাড়া রাশিয়ার ভিতরে এখন যে যুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে তার জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এ যাওয়া একদম উচিত হবে না।আপাতত যদি কেও যেতেই চাই এবং রাশিয়া যদি আবার বিপুল পরিমান লোক নেওয়ার সাথে সাথে তাদের জীবনবীমার পলিসি দিয়ে থাকে তাহলে খুব ভাবনা চিন্তা করে সে দেশে যাওয়া উচিত। 


বর্তমান সময়ের উন্নত দেশগুলোর বেশির ভাগ দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে, এমনকি বাংলাদেশ জাতিসংঘে বিশ্বনেতৃবৃন্দের সামনে রাশিয়ার বিপক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চালানো অভিযান নিয়ে নিন্দা করেছেন এবং রাশিয়া যেন খুব শিঘ্রই এই যুদ্ধ বন্ধ করে তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

তাই রাশিয়া কী এই নিয়ে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি নেওয়া বন্ধ করে দেইকিনা  তা নিয়ে সন্দেহ আছে।যদিও এমনটি হবেনা আশা করছে বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও উন্নত দেশগুলো রাশিয়ার উপর যতই অবরোধ আরোপ করুক না কেন, রাশিয়া এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়নি।যার কারনে আমরা এখন পর্যন্ত রাশিয়ার অর্থনীতিতে ধস নেমেছে তা শুনতে পাইনি।যায়হোক,যুদ্ধকালীন সময়ে রাশিয়া যেভাবে নিজের দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে তা সত্যই প্রশংসারযোগ্য। বিশেষ পুতিন যে সব কাজকর্ম করেছেন তা সত্যই যুদ্ধকালীন সময়ে প্রশংসনীয়।কিন্তু যুদ্ধ কোনো জাতির কাছে কাম্য হতে পারেনা।সবাই শান্তি পছন্দ করে।

যেহেতু ইউক্রেন শান্তিপ্রিয় জাতি এবং আমেরিকার উস্কানিতে তারা যুদ্ধে জড়িয়েছে এতে তাদের কোনো দোষ দেওয়া যায়না।অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত।কারন এতে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের শান্তি।সে দেশের নির্দোষ জনগণের রাতের ঘুম,কেড়ে নেওয়া হচ্ছে নিষ্পাপ প্রান।তাই আমাদের উচিত খুব শিঘ্রই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা।

এছাড়া আমাদের জনগণ যেন নিশ্চিন্তমনে বিদেশ ভ্রমন করতে পারে, সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেওয়া।যে পর্যন্ত যুদ্ধ শেষ না হয় এবং রাশিয়া আমাদের শ্রমিকদের যানমালের নিরাপত্তা না দেই সে পর্যন্ত আমাদের সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

7. রাশিয়া ভিসার দাম কত |রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ 
রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এ এখন আপনারা জানবেন রাশিয়া কাজের ভিসার দাম কত।


বর্তমানে রাশিয়া কাজের ভিসার দাম মাত্র ৬৫ হাজার টাকা।  এটা শুধু সরকারিভাবে যারা বুয়েসেলের মাধ্যমে রাশিয়া যেতে চায় তাদের জন্য।

তাই সরকারিভাবে যাওয়াটাই একজন মানুষের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া যদি কোম্পানির মাধ্যেম বিদেশ যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই কোম্পানির সাথে আগে ভালো ভাবে চুক্তি করে নিতে হবে যে সে কোম্পানি আপনাকে কি কি সুযোগ-সুবিধা দিবে।এছাড়া তারা কি আপনাকে কাজ দেওয়ার পর আনুষঙ্গিক বাসা ভাড়া কিংবা যাতায়াতের খরচ দিবে কিনা।


এমন অনেক কোম্পান আছে যারা এইরকম অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই একটু ভেবেচিন্তে তারপর কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করুন এবং চুক্তি করে নিতে একদম ভুলবেন না।


8.রাশিয়াই কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় | রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩
রাশিয়াই কাজের ভিসা পেতে হলে আপনাকে কয়েকটি স্টেপ বা ধাপ ফলো করতে হবে।

যেমন কাজের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার আগে আপনার একাডেমিক এবং যে যে সার্টিফিকেটগুলো প্রয়োজন সেগুলো ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে পরিক্ষা করে নিতে হবে।যে যে কাগজ পত্র লাগবে তার মধ্যে কয়েকটি হল-
১.অরিজিনাল মেয়াদসম্পুর্ন পাসপোর্ট।
২.পাসপোর্ট সাইজ ছবি
৩.একাডেমিক সার্টিফিকেট+মার্কশিট
৪.সিভি ( বায়োডাটা )


এইগুলা বুয়েসেলে জমা দেওয়ার আগে ভালোভাবে দেখে নিন।এগুলো ইনফরমেশন আপনাকে সঠিক ভাবে কাজ এবং ভিসা জটিলতা থেকে মুক্ত করবে। বর্তমানে ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার আয় করা সম্ভব।

তাই বিদেশে যারা শেফ হিসেবে যাবেন তাদের রয়েছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। তাই আপনি যদি এই কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিদেশে অনেক অর্ করতে পারবেন আপনার রান্নার হাতের দ্বারা।


9.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর |রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ 

এত দীর্ঘ আর্টিকেল পড়ার পর আপনার মনে নানা ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমাদের এখন রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এর এই আর্টিকেলটি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।কিছু পায়ই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-

১.রাশিয়া ভিসার দাম কত? 

উত্তরঃ বোয়েসেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে রাশিয়া যেতে ৬৫ হাজার টাকা।

২.কোন কাজের চাহিদা বেশি?

উত্তরঃ জাহাজ, কৃষি, শিল্প ও কন্সট্রাকশন।

৩.রাশিয়াই কাজের বেতন কত হতে পারে? 

উত্তরঃ আনুমানিক ৩ হাজার ডলার থেকে ৪ হাজার ডলার।

৪.যে কোম্পানি কাজ দিবে, তারা কি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে?

উত্তরঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করে থাকে, কিন্তু এরকম হলে চুক্তিতে  লেখা থাকবে, যে তারা আপনাকে কি কি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকবে।

৫.রাশিয়াই কি স্থায়ীভাবে বসবাস করা সম্ভব?

উত্তরঃ হ্যাঁ, ৪/৫ বছর পর আবেদন করার সুযোগ আছে, কিন্তু কম সংখ্যাক লোকেই আবেদনের সুযোগ পেয়ে থাকে।

৫.যুদ্ধকালীন সময়ে যাওয়া উচিত?

উত্তর; হ্যাঁ , এখন ভিসা পাওয়া সহজ হবে। 
     
10.লেখকের মন্তব্য| রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ 

এই পৃথিবীতে মানুষ উন্নতভাবে জীবন-যাপন করার জন্য, নিজের স্বপ্নকে নিয়ে বিদেশ যায়।সে স্বপ্ন পূরন করতে তাকে কর‍তে হয় কঠোর পরিশ্রম।এর সাথে সাথে নিজের পরিবার থেকে এতদূরে থাকাটাও অনেক কষ্টের কারন।দেখা যাবে আপনি এমন একটি জায়গাই গেলেন যেখানে সকলের ভাষা অন্যরকম।আপনার ভাষার লোকসংখ্যা খুবই কম থাকবে। এবং সে মানুষগুলো হয়তো আপনাকে এত সহজের আপন করেও নিতে পারবেনা।

সময়ের সাথে সাথে আপনি অনেক হতাশও হয়ে যেতে পারেন,মন খারাপ হতে পারে বারবার।সব ছেড়ে মন চাবে নিজের দেশে আবার পাগলের মতো ফিরে আসতে।অনেকেই বিদেশে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম সহ্য করতে পারেনা।দিনশেষে তারা যখন ফিরে আসে,তারা তাদের পরিবারের জন্য নিয়ে আসে এক বুক হতাশা।

এছাড়া এতগুলো টাকাও নষ্ট হয়।তাই রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ পাওয়ার আগে ভালোভাবে খোজ খবর আর আপনার সহ্য ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।এমন অনেক কাহিনি আছে, যেখানে একজন মানুষ এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশ গিয়েছে,গিয়ে দেখল তার ভিসার মেয়াদ মাত্র ১ বছর।তখন সে মানুষটার পক্ষে এতো কম সময়ে  এতগুলা টাকা ব্যবস্থা করা অনেক কঠিন, যে টাকাগুলো সে ভিসার জন্য এবং এ দেশে আসার জন্য দিয়েছিল।একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন, বিদেশ গিয়ে কেউ হয়তো রাজা হয় আবার কেউ ফকির হয়।কিন্তু ফকির হওয়ার সংখ্যাটা যেমন নেহাত কম নয়, তেমনি বড়লোক হওয়ার সংখ্যাও কম নয়।তাই সবার আগে আপনার ঠিক করা উচিত, আপনার সামর্থ্য এবং সে পরিমান ধৈর্য্য আছে কিনা এই ধরনের কাজ করার জন্য।যে কাজটা করবেন, সে কাজটার উপর আপনার দক্ষতা কেমন, তা জানাও অত্যন্ত জররী।

যদি সে কাজটা আপনি ভালো মতো না পারেন তাহলে সে কাজটাই আপনার আবেদন না করাই ভালো। তাই একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন। একটি ভালো এজেন্সির খোঁজ নেন, একজন বিশ্বস্ত বন্ধু অথবা রাশিয়াতে আছে এমন কারো সাথে যোগাযোগ করে নেন বিদেশে যাওয়ার আগেই।এতে আপনার একাকিত্ব অনেকটা কমবে।ভালোভাবে ভিসার মেয়াদ চেক করে নেন। আপনি কয়বছরের জন্য বিদেশ যেতে চান তা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন।নিজের পরিবারকে সময় দিন।দিনশেষে তারাই আপনার পাশে থাকবে।যুদ্ধকালীন সময়ে রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ এ যাওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে তা ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিন।আশা করি রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url