কাতার ক্লিনার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত!
আপনি কি কাতার যেতে চাচ্ছেন?কাতার ক্লিনার ভিসার আবেদন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?কিভাবে কাতার ক্লিনার ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে কাতার যেতে পারেন,তা জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি।আশা করি কাতার ক্লিনার ভিসা আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
আর্টিকেলের সূচিপত্র(যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- ক্লিনার ভিসা কি
- ক্লিনার ভিসার আবেদন কিভাবে করতে হয়
- ক্লিনার ভিসার আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগবে
- ক্লিনার ভিসার মেয়াদ কত
- ক্লিনার ভিসার দ্বারা কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন
- ক্লিনার ভিসার বেতন কত
- কিভাবে ক্লিনার ভিসার আবেদন করবেন
- কাতার কেন যাবেন কাজের জন্য
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
1.ক্লিনার ভিসা কি | কাতার ক্লিনার ভিসা
বিদেশে বাড়ি-ঘর, দরজা জানালা পরিষ্কার করার জন্য যে ভিসার মাধ্যমে লোক নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে ক্লিনার ভিসা বলে।
কাতার উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ।
কাতার প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমান লোক নিয়ে থাকে৷ সেই লোকগুলোকে যে ভিসা দেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে মূলত ক্লিনার ভিসা একটি।
ক্লিনার ভিসা হলো কাতারের মসজিদ,গির্জা, ইউনিভার্সিটি এবং পাবলিক প্ল্যাসের যে সমস্ত জায়গাই বিপুল পরিমান লোক জমা হয় সে সব জায়গা সব সময় পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিদেশ থেকে যে লোক নেওয়া হয় তাকে মূলত কাতার ক্লিনার ভিসা বলে।কাতার সবসময় চাই তার দেশের রাস্তাঘাট,বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ গুলো যেন পরিষ্কার থাকে, তাই তারা প্রতি বছর বিপুল পরিমান লোকজনকে নিয়োগ দেই প্রবাসি শ্রমিক হয়ে তাদের দেশে আসার জন্য।এভাবে একদিকে অন্য একটি দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যেমন লাভবান হতে পারে তেমনি সেদেশের ভিতরেও নতুন মানুষদের জন্য কাজের সেক্টর তৈরি হয়।
আর কাজ করার উদ্দেশ্য যে ভিসা করা হয়, সে সব ভিসাকে সহজ ভাষায় বলা যায় কাজের ভিসা।বিভিন্ন দেশে নানা রকম ভিসা থাকতে পারে।যেমনঃঅনেক মানুষ আছে যারা বিদেশ যেতে চান,শুধু পড়াশোনা করবার জন্য, সে যখন আধুনিক বিশ্বের কোনো দেশে যেতে চাইবে তখন তাকে তার ইজেন্টরা সবার আগে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কি কাজের জন্য অথবা পড়াশোনার জন্য নাকি এমনেই পর্যটন বা ঘুরা-ফেরা করতে যেতে চান। তখন সে মানুষ যেহেতু উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে চান তাই তখন সে উত্তর দিবে আমি উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশে যেতে চাই এবং এ ক্ষেত্রে তার কী কী প্রয়োজন হবে তখন তার এজেন্ট তাকে বুঝিয়ে বলবেন।তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা হল সেই ভিসা যে ভিসাতে একজন স্টুডেন্ট উচ্চতর পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে পারেন।
এছাড়াও আরও অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে,সে গুলার মধ্যে একটি হলো ক্লিনার ভিসা, যার মূল কাজেই হলো রাস্তাঘাট, বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ এইসব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা,তবে সব গুলোর আলোচনা করলে কখনো এই আর্টিকেল শেষ হবেনা।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি খুব অল্প ভাষায় ক্লিনার ভিসা কি তা বর্ণনা করব।মূলত ক্লিনার ভিসা হলো যখন কোনো ব্যক্তি বিদেশে পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ করার উদ্দেশ্যে নিজ দেশ থেকে বাইরের কোনো দেশে যায় তখন আমরা তাকে ক্লিনার ভিসা বলি।এই ভিসা আমাদের জাতীয় অর্থনীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কারন এই ভিসা থেকে একজন প্রবাসী অর্থাৎ যিনি বিদেশে থাকেন, যে অর্থ প্রেরণ করেন তা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স নামে এক বিশাল ভূমিকা পালন করে।বাংলাদেশের অর্থনীতির এক বিশাল আয় আসে এই বিদেশরত প্রবাসী মানুষের টাকায়।তাই তারা একদিকে যেমন নিজেদের আর্থিক উন্নতি করেছে তেমনি আরেকদিকে আমাদের জাতীয় আয়েও বিশাল ভূমিকা পালন করেছে।
আপনি সরাসরি নিজেই কাতার এম্বাসিতে গিয়ে যোগাযোগ করে কাতার ক্লিনার ভিসার আবেদন করতে পারবেন।এছাড়া বিভিন্ন এনজিও গুলোর মাধ্যমেও কাতার ক্লিনার ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি সরাসরি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়গুলোর মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারেন,তাদের অধীনে পরিচালিত বিএমআইটি অথবা বোয়েসেলের মাধ্যমেও আপনি কাতার ক্লিনার ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
কাতার পারস্যা উপসাগরীয় একটি দেশ।দেশটির রয়েছে বিপুল পরিমান মাথা পিছু আয়।আর বর্তমান বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে কাতার একটি।দেশটির ৪ দিকে রয়েছে বিপুল পরিমান খনিজ সম্পদ।সে সম্পদ দিয়ে দেশটি অর্জন করেছে নিজের আত্মপ্রতিষ্ঠা এবং গড়ে তুলেছে অন্যান্য দেশগুলোর জন্য বিপুল পরিমান কর্মসংস্থান।সেই কর্ম সংস্থানগুলোতে বিপুল পরিমান লোকজনও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং সেই সাথে সে দেশগুলোতে পাঠানো হচ্ছে একটা বড় মাপের রেমিট্যান্স।
যে রেমিট্যান্স এর উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ চলছে।এছাড়াও দেশটিতে আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে যে পরিমান লোকবল নিয়োগ দিচ্ছে তা সত্যই প্রশংসা দাবি রাখে।ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তারা তৈরি করছে বিশাল মাঠ, নানা রকমের হোটেল, রেস্তোরাঁ, পার্কিং এর জায়াগা এবং সেই কারনে নিজের দেশে লোকের অভাব পরার কারণে তারা বাইরের মুসলিম দেশগুলো থেকেও বিপুল পরিমান একটা লোক নিচ্ছে,যাদের প্রধাম কাজ হলো রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা।তাই কেউ যদি খুব বেশি বেতনে এই কাজগুলো করে নিজে এবং পরিবারের খরচ চালাতে চাই বিদেশ গিয়ে এবং হয়তো এমন সুযোগও এসে যেতে পারে যে বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলাও সে দেখতে পারবে,তাহলে এই ক্লিনার ভিসা হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত, যদি আপনি ফুটবল প্রেমিক হোন।এছাড়া একটি কথা মনে রাখতে পারেন যে আসন্ন বিশ্বকাপের যদি আপনি সৎ ব্যবহার করতে পারেন, এর মাধ্যমে আপনি বিপুল পরিমান একটা এক্সটা টাকাও উপার্জন করতে পারবেন,যদি আপনার সেই পরিমান বুদ্ধি এবং দক্ষতা থাকে।
কাতারে থাকতে গেলে আপনার জীবন মানের বিশাল একটি পরিবর্তন ঘটতে পারে,কারণ সে দেশে অনেক জিনিস খুব দামি।এবং এর জন্য আপনাকেও হয়তো বড়লোকদের মতো জীবন যাপনও করতে হতে পারে,তাই জীবন ধারনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। এখানে যেমন ১০ টাকা দিয়ে চা খাওয়া যায়,সেখানে সে চা খেতে গেলে আপনার ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লেগে যাবে।তাই নিজের রান্না নিজে রেধে খেলে আপনি অনেকটা সাশ্রয় করতে পারবেন।তাই জীবনে চলাচলের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট পরিমান সতর্কতা আর অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে চলার চেষ্টা করুন।আপনার জন্য কাতার ক্লিনার ভিসা এর জন্য শুভ কামনা রইল অনেক।
3.ক্লিনার ভিসার আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগবে | কাতার ক্লিনার ভিসা
কাতার পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি।সম্প্রতি সে দেশে ফিফা বিশ্বকাপেরও আয়োজন করা হয়েছে,তাই সে দেশে যেতে হলে আপনাকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট কাগজ-পত্র জমা দিয়ে তারপর আবেদন করতে হবে।আবেদন করার আগে আপনার সব কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা,তাও খুব ভালোভাবে চেইক করে নিতে হবে।নিচে কি কি কাগজ পত্র লাগতে পারে কাতার ক্লিনার ভিসার আবেদনের জন্য তা দেওয়া হলো-
1.আপনার অবশ্যই ৬ মাস মেয়াদি একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।পার্সপোটটা আগে এম্বেসি থেকে করে নিতে হবে,তারপর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন
2.আপনার অবশ্যই একটি ভেলিড এন আই ডি কার্ড থাকতে হবে অর্থাৎ পরিচয় পত্র লাগবে।
3.২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
4.ব্যাংকের এক্টিব স্টেটমেন্ট অবশ্যই থাকতে হবে।
5.চেয়্যারম্যান হতে সত্যায়িত করা নাগরিক সনদপত্র
6.শিক্ষাগত যোগ্যতার এবং সেই সাথে আপনার সার্টিফিকেটগুলো।
7.আপনি যে কাজটা করবেন সেই কাজটার বিজ্ঞপ্তি।
4.ক্লিনার ভিসার মেয়াদ কত | কাতার ক্লিনার ভিসা
ক্লিনার ভিসার কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নেই।আপনি আপনার চাহিদা মতো যতদিন থাকতে চান ৬ মাস,১ বছর, ৫ বছর সেইরকম ভাবে ভিসা পাবেন।যারা কাজ করতে যায় তাদের ভিসার সময়সীমা অন্যান্য ভিসার থেকে তুলনামূলক হালকা বেশি দেওয়া হয়,এতে কোনো সমস্যাও হয়না।
কাতার মূলত কাতার বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমান লোক নিচ্ছে।কিন্তু যখন এই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে তখন তাদের চাকরির মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে,তাই একটু ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন যে আপনি কয়বছরের জন্য কাতার যেতে চাচ্ছেন এবং সেখানে গেলে আপনি কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন।কাতার ক্লিনার ভিসা আপনাকে আদৌ কি কি সুযোগ দিবে নাকি সবটা টাকা নষ্ট হয়ে যাবে।
5.ক্লিনার ভিসার দ্বারা কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন | কাতার ক্লিনার ভিসা
কাতার তার রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পছন্দ করে। তাই তারা প্রতিবছর বিপুল সংখ্যাক লোক নেয় তাদের দেশের পরিষ্কার পরিচ্ছনতার জন্য।একজন মানুষ সে কাজগুলো করে যথেষ্ট পরিমান টাকাও উপার্জন করে যার পরিমানটাও কম নয়।তাই যদি আপনি একটু হিসেবি হোন এবং সে পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনি ক্লিনার ভিসার দ্বারা অর্থাৎ পরিষ্কারের কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।কাতার যেহেতু উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি তাই আপনি সেখানকার টাকার মানও খুব ভালো পাবেন বাংলাদেশে।সে দেশের ১০০ টাকা বাংলাদেশে ২০ হাজার টাকার মতো।তাই একটু ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।কাতার ক্লিনার ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে পরিক্ষা করে নিতে হবে যে,আপনি সত্যিই সেই ক্লিনার ভিসাই পেয়েছেন কিনা।
অনেক দালাল,রেস্টুরেন্ট ভিসা,ইলেকট্রেশিয়ান ভিসাও মাঝে মাঝে দরিয়ে দেয়।তাই এই ব্যাপারে যথেষ্ট পরিমান সতর্ক থাকতে হবে।
অতিরিক্ত আয় করার উপায়ঃ
কাতারে এবার আয়োজন করা হচ্ছে ২২ তম ফুটবল বিশ্বকাপ।যেখানে ফিফার আয়োজনে ৩২টি দল অংশ গ্রহন করবে।এটি প্রথমবার আরব কোনো দেশে আয়োজন হচ্ছে।এই সুযোগটি আপনিও কাজে লাগাতে পারবেন যদি আপনি কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।আপনারা যদি কাতার ক্লিনার ভিসা এর মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনারা ক্লিনার ভিসার কাজ ছাড়াও আরও অনেক কাজ করতে পারনে।যেমনঃ এবার প্রচুর পরিমান লোকের আগমন হবে কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে, আপনি যদি কিছু পরিমান টাকা জমিয়ে কিছু জার্সি কিনে রাতের বেলায় যখন আপনার কোনো কাজ থাকবেনা তখন সেগুলো শহরের রাস্তায় বিক্রি করেন তাহলে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।কারণ বিদেশে এইসব জার্সি প্রচুর দামে বিক্রি হয়।এছাড়া আপনি যেহেতু ক্লিনার হিসেবে কাজে যাবেন, আপনার যখন কাজ থাকবেনা তখন আপনি গাড়ি পরিষ্কার করেও এই মাসে আপনি একটা বিপুল পরিমান অর্থের মালিক হতে পারেন।এছাড়া আপনি যদি মানসিকভাবে দিনশেষে ক্লান্ত না হোন, আপনি বিভিন্ন হোটেলে রাতে পরিষ্কারের কাজ করেও বিপুল একটা অর্থের উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়া জামা-কাপড়,কিছু সাংস্কৃতিক কুটির জিনিসপত্র নিয়ে রাতের বাজারে বসতে পারেন।আপনার যদি দৃড় প্রত্যায় আর নিজের উপরে বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন অল্প সময়েই।এছাড়া কাতারে প্রচুর পরিমান গরম থাকে,আপনি চেষ্টা করলে কিছু ঠান্ডাপানিয় বিক্রি করতে পারেন।দিনশেষে,আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি এই সময়ে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনাকে এর সাথে কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে কারণ কাতারে অনেক গরম থাকে, সেই গরম সহ্য করার মতো সহনশীল মনোভাব আপনার থাকতে হবে।এছাড়া পরিবার ছাড়া এত দূর থাকবেন তাই আপনার মনোশক্তি প্রচুর থাকতে হবে, কোনোভাবেই ভেজ্ঞে পড়া যাবেনা।এছাড়া আপনাকে আরবি ভাষাটাও শিখে নিতে হবে কষ্ট করে।
আশা করি,কাতার ক্লিনার ভিসা এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভালো পরিমাণ একটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
6.ক্লিনার ভিসার বেতন কত | কাতার ক্লিনার ভিসা
কাতারে একজন প্রবাসী খুব ভালো পরিমান একটা অর্থ পাই।এই ক্ষেত্রে যারা ক্লিনারের কাজ করে তারা একটু বেশি পরিমান বেতন পাই।বেতন হিসাব করলে দেখা যায় যে একজন কাতার প্রবাসী প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা থেলে ১ লক্ষের এর উপরেও আয় করতে পারে যদি সে কর্মঠ হয়।তবে এইটা কোম্পানি ভেদে পার্থক্যও হয়ে থাকে।দেখা গেছে একেক রকম কোম্পানি তার শ্রমিককে একেক রকম টাকা দেয়।
কেউ ৫০ হাজার টাকা দেই মাসে অন্য কোম্পানি দেই ৬০ হাজার, এভাবে কোম্পানি ভেদে টাকার পরিমানেও পার্থক্য দেখা দেয়।তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে সেই কোম্পানি আপনাকে কত টাকা দিবে তা ভালোভাবে ঠিক করে নিতে হবে কারন এতে পরবর্তীতে সমস্যাও হতে পারে বিদেশে যাওয়ার পর।
কাতার ক্লিনার ভিসা এর মাধ্যমে যারা যায় তারা এভারেজ মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারে যদি সে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়,এছাড়া প্রতি দিন দুইঘন্টা করে অভার টাইম করার সুযোগও আছে।তাই কাতার ক্লিনার ভিসা দ্বারা যে কেউ মাসে ১ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে সহজে।
7.কিভাবে ক্লিনার ভিসার আবেদন করবেন | কাতার ক্লিনার ভিসা
এখন পর্যন্ত কাতার বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে সাহায্য করেছে।বর্তমান সময়ে কাতার বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে বিপুল পরিমান মুসলিম জনশক্তি আমদানি করতে চাচ্ছে যা আমাদের জন্য সুখবর।এর মাধ্যমে এক দিকে আমরা যেমন বিপুল পরিমান জনশক্তি রপ্তানি করতে পারব ঠিক তেমনি বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি করতে পারব যা আমাদের অর্থনীতিকে করবে শক্তিশালী। তাই আমরা এখন আলোচনা করব কাতার ক্লিনার ভিসা ২০২৩ এ কিভাবে আমরা কাতার যাওয়ার ভিসাই আবেদন করব এবং কি কি প্রয়োজন হবে।
9.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তর| কাতার ক্লিনার ভিসা
সবার কাতার ক্লিনার ভিসা সম্পর্কে নানারকম প্রশ্ন থাকে,সেই প্রশ্নগুলার উত্তর নিচে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো-
প্রশ্ন ১ঃ কাতারে প্রবাসীদের বেতন কত?
উত্তরঃ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
প্রশ্ন ২ঃকাতারে যেতে কত টাকা লাগবে?
উত্তরঃ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা
প্রশ্ন ৩ঃকাতারে ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত?
উত্তরঃ৭০ থেকে ১ লক্ষ টাকা
প্রশ্ন ৪ঃকাতারে বিপুল পরিমান শ্রমিক নেওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃফুটবল বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মানের জন্য
প্রশ্ন ৫ঃকাতারে ভিসা দেওয়া কি শুরু হয়েছে
উত্তরঃহ্যাঁ,শুরু হয়েছে।
10.লেখকের মন্তব্য| কাতার ক্লিনার ভিসা
কাতার বর্তমান বিশ্বের ধনী রাষ্টগুলোর মধ্যে একটি।কাতারে নানারকম লোকের বসবাস থাকলেও সেখানে মুসলিম জনসংখ্যার পরিমানেই বেশি।তাই কাতারও তার দেশে মুসলিম জনসংখ্যাই বেশি নিতে চাই কাজ করার জন্য।যার জন্য এত বিপুল পরিমান মুসলমান লোক নেওয়া হচ্ছে কাতারে।
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করাকে কেন্দ্র করে যে অবকাঠামো নিমার্ণ এবং সেই সাথে জায়গাগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সুবাধেই তারা এত বিপুল সংখ্যাক কাতার ক্লিনার ভিসা দিচ্ছে।তাই কেউ যদি পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ করতে উৎসুক তাহলে তাদের জন্য কাতার ক্লিনার ভিসা একটি বড় সুযোগ।