OrdinaryITPostAd

বাংলা কনটেন্ট রাইটিং জব | কোর্স | আয় ২০২৩

 বাংলা কনটেন্ট লাইটিং জব করে অনেকেই অনলাইনে আয় করতে চান। বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব নিয়ে সঠিক তথ্য জানার অভাবে অনেকের এই ইচ্ছে বাস্তবায়ন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলা কনটেন্ট রাইটিং জব করার পূর্বে আপনাকে বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব এর উপরে কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে।

 কন্টেন রাইটিং কোর্স এ মূলত আপনাকে শেখানো হয়ে থাকে যে আপনি কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং করবেন সঠিক উপায়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকল রাইটিং সংগঠনে আপনি বাংলা এবং ইংরেজি কন্টেন রাইটিং কোর্স কমপ্লিট করে কন্টেন্ট রাইটিং জব করতে পারবেন। এছাড়াও বাংলা কন্টেন্ট লিখে বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। বাংলা কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই আর্টিকেল পড়তে থাকেন।


আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপরে ক্লিক করুন)

  1. বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কী ও কত প্রকার?
  2. কনটেন্ট ক্রিয়েটর কি? কনটেন্ট রাইটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  3. বাংলা কন্টেন রাইটিং কোর্স।
  4. কন্টেন্ট কোন ভাষায় লিখতে হয়?
  5. বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং এর  বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট।
  6. বাংলা কন্টেন রাইটিং জব।
  7. কনটেন্ট রাইটিং এর নিয়ম।
  8. কন্টেন্ট রাইটিং কিভাবে শেখা যায়।
  9.  কন্টেন্ট রাইটিং বই।
  10. লেখকের মন্তব্য

১. বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কি ও কত প্রকার? 

কনটেন্ট রাইটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন লেখক একটি নির্দিষ্ট বিষয় এ খুব সহজভাবে পাঠক কে বোঝানোর উদ্দেশ্যে কিছু লিখে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে কন্টেন রাইটিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। আপনি বাংলা এবং ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই কন্টেন্ট  লিখতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিং জব করার পূর্বে আপনার জানা উচিত কন্টেন্ট রাইটিং কি ? এবং কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার? কন্টেন্ট রাইটিং এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে।
 কন্টেন্ট রাইটিং জব সে সকল প্রকারভেদের ওপর নির্ভর করবে এটা ধারণা করা খুবই সহজ। বিভিন্ন প্রকার কনটেন্ট রাইটিং থাকলেও যেগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপারে এখন আলোচনা করব। কন্টেন্ট রাইটিং মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে। এখানে আপনাদের এটা জানানো খুবই জরুরী যে কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকারভেদ আরো বিস্তৃত হতে পারে।
  1. ইউটিউব ভিডিওর জন্য কন্টেন্ট
  2. ওয়েব সাইটের জন্য কন্টেন্ট
  3. প্রবন্ধ টাইপের কন্টেন্ট
কন্টেন্ট রাইটিং জব এর জন্য আপনার জানা উচিত এই তিন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং এ আসলে কী কী বিষয় ফলো করা হয়ে থাকে এবং এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকলে আপনার নির্ধারণ করতে সুবিধা হবে যে আপনি কোন টাইপের কনটেন্ট রাইটিং জব করতে আগ্রহী। কন্টেন্ট রাইটিং জব এর প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এখন এই অংশে-

ক. ইউটিউব ভিডিও এর জন্য কন্টেন্ট রাইটিং জব
ইউটিউব ভিডিও এর জন্য কনটেন্ট রাইটিং জব এ মূলত আপনাকে ইউটিউব ভিডিও এর জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা ভালো কনটেন্ট রাইটারের অনুসন্ধান করে থাকে। আপনি যদি ভালো মানের কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই কন্টেন্ট রাইটিং জব করতে পারবেন সে সকল ইউটিউব চ্যানেলে। মায়াজাল, ট্রেন্ড নাও (Trendz Now) এর মত প্রতিষ্ঠিত youtube চ্যানেলগুলোতে কন্টেন্ট রাইটারের খুবই অভাব।

আশাকরি ইউটিউব চ্যানেলে মূলত বিশ্বের বিস্ময় এবং অর্থনীতির ওপরে কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। এবং এ সকল বিষয়ে কন্টেন্ট রাইটিং জব প্রদান করে থাকে উক্ত ইউটিউব চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ। আমি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করছি আমার বেশ কিছু বন্ধুরা এসব ইউটিউব চ্যানেলে কন্টেন্ট রাইটিং জব করছে বর্তমানে। এ সকল ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি জব করতে চাইলে আপনাকে বিশ্বের বিস্ময়কর বিভিন্ন তথ্য যেমন জানতে হবে পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ হতে হবে।

খ. ওয়েবসাইট এর জন্য কন্টেন্ট রাইটিং জব

বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ ভালো মানের বেতন পেয়ে কন্টেন্ট রাইটিং জব করছে এমন লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। খুবই অল্প পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে পারিশ্রমিক পাওয়া যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ কন্টেন্ট রাইটিং জব করার মাধ্যমে। তবে এ সকল ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং জব পেতে হলে আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে বা কাজ শিখে নিতে হবে।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে। সাধারণত আপনাকে একটি ছোট্ট কোর্স সম্পন্ন করার মাধ্যমে আর্টিকেল রাইটিং জব প্রদান করা হয়। ভালোভাবে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার জন্য প্রদত্ত আর্টিকেল রাইটিং কোর্স টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট রাইটিং জব করার মাধ্যমে আপনি যেমন অর্থ উপার্জন বা আয় করতে পারবেন পাশাপাশি আপনার অভিজ্ঞতা আপনাকে ভবিষ্যতে ভালো একটি ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করবে। 

ওয়েবসাইটে যে সকল কন্টেন্ট রাইটিং জব প্রদান করা হয় বা যে সকল কন্টেন্ট লেখা হয়, সে সকল কনটেন্ট গুলো গুগল সার্চ ভিত্তিক কন্টেন্ট হয়ে থাকে। আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না যে এটা আবার কেমন কনটেন্ট। আপনাকে বোঝানোর জন্য একটু বিস্তারিত আলোচনা করব এখন।
 আমরা আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় তথ্য গুগল থেকে আহরণ করি সেটা গুগলে সার্চ বা অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা করে থাকি। আমরা যে সকল বিষয় লিখে গুগলে সার্চ বা অনুসন্ধান করি সাধারণত ওয়েবসাইটে এ সকল বিষয়ে কন্টেন্ট লিখতে হয়। ধরুন আপনি গুগলে সার্চ করেন 'কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়?' যারা ওয়েবসাইটে পার্ট টাইম জব করেন তাদের এই টপিক নিয়ে একটা কনটেন্ট লিখতে হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ওয়েবসাইটে কেমন কনটেন্ট রাইটিং করা হয়। তবে ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং জব এর ওপরে কোর্স করা উচিত।

গ. প্রবন্ধ টাইপের কন্টেন্ট

প্রবন্ধ টাইপের কনটেন্ট মূলত প্রকাশ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন পত্র বা পত্রিকায়। আপনি যদি ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হন তাহলে আপনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করার মাধ্যমে বা কন্টেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
প্রবন্ধ টাইপের কনটেন্ট বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার অভিমত কি এবং আপনার অভিমতের পেছনে আপনার যুক্তি নিয়ে বিস্তারিত লেখা একটি প্রবন্ধ বা আর্টিকেল পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় এবং তার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। তবে এ ধরনের কনটেন্ট লেখা বেশ দক্ষতার ব্যাপার। সাধারণত প্রবন্ধ টাইপের কনটেন্ট লিখে থাকেন বেশ বরেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।

 ২. কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কী? কন্টেন্ট রাইটিং জব

যারা বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তবে বর্তমানে শুধু লেখালেখি করলেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বোঝায় না। বর্তমানে অনেকেই ইউটিউব এবং ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয় ভিডিও তৈরি করে থাকেন তারাও এখন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে বিবেচিত বা মনে করা হয়। তবে ভালো মানের কন্টেন্ট  ক্রিয়েটর হতে হলে আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স বা ভিডিও এডিটিং কোর্স করা প্রয়োজন। কেননা যারা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স বা ভিডিও এডিটিং কোর্স করবে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে।

কন্টেন্ট রাইটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স ও জব 

কন্টেন্ট রাইটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কন্টেন্ট রাইটিং যে গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ বিশ্লেষণ  আমি করছি- 
  • কন্টেন্ট রাইটিং মূলত এক প্রকার সেবা। সাধারণ মানুষ কোন কিছু জানার তারা গুগলে সার্চ করে থাকেন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় টপিক নিয়ে। ধরুন, কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা বা কনটেন্ট রাইটিং বাদ দিয়ে দিয়েছে। তাহলে একজন সাধারন মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য সে গুগলে খুঁজে পাবে না। তাই খুব সহজে বুঝতে পারছেন যে কনটেন্ট রাইটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ
  • বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। এতে আপনার মনে হতে পারে যারা ফ্রিল্যান্সার তাদেরই লাভ আমাদের আবার কি? ফ্রিল্যান্সার এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা যে ডলার সমূহ আয় করে থাকে তা বাংলাদেশের  রিজার্ভে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কেননা একটা দেশ ঠিক কতটা আমদানি করতে পারে তা নির্ভর করে সে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কত তার উপরে। যেমন শ্রীলংকার রিজার্ভ এখন শুন্য তাই সে দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্য অন্য দেশ হতে তারা আমদানি করতে পারছে না। তাহলে খুব সহজে বুঝতে পারছেন যে কনটেন্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বর্তমানে?
  • বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এবং ইউটিউব চ্যানেলে অনেক কন্টেন্ট রাইটার জব করে থাকেন। এতে করে কর্মসংস্থানের একটা সুযোগ তৈরি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। 

৩. বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স| বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স ও জব

বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স আপনি কোথায় করবেন? এমন প্রশ্ন যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কেননা এই অংশে আলোচনা করব যে আপনি বাংলা কন্টেনটার রাইটিং কোর্স কোথায় করবেন, কিভাবে করবেন, এবং কত খরচ হতে পারে আর বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্সে সাধারনত কি শেখানো হয়ে থাকে এবং তা আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এ কিভাবে প্রভাব হবে বা কিভাবে প্রভাব বিস্তার করবে সে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স করতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে। এখানে আপনি বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স করার পাশাপাশি কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন একজন আর্টিকেল লেখক কে একটি কোর্স করিয়ে আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন নিয়ম শেখানোর পর পার্ট টাইম জব প্রদান করে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আপনি আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স করতে পারবেন। অর্ডিনারি আইটিতে আপনি কনটেন্ট লিখে আয় করার পাশাপাশি কন্টেন্ট লেখার কোর্সও করতে পারবেন। অর্ডিনারি আইটিতে অনেকেই আর্টিকেল লিখে বা কনটেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে আয় করছে চাইলে আপনিও করতে পারবেন। অর্ডিনারি আইটি লিখে সার্চ করলেই তাদের ওয়েবসাইট গুগলে পেয়ে যাবেন সেখান থেকে আপনি আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স করতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স করতে চাইলে নিচের বাটনে ক্লিক করুন এবং বিস্তারিত জেনে নিন।

৪. কন্টেন্ট কোন ভাষায় লিখতে হয়? বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স ও জব ২০২৩

কন্টেন্ট আপনি ২ ধরণের ভাষায় লিখতে পারবেন। তবে কোন ভাষায় কন্টেন্ট লিখবেন তা নির্ধারণ করবেন আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে। আপনি যে ভাষায় কন্টেন্ট লিখতে চান ঐ ভাষায় আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কন্টেন্ট কোন ভাষায় লিখছেন তা বিবেচনা করে সে ভাষার ব্যাসিক কিছু ব্যাকরণিক নিয়ম ও বানানের নিয়ম জেনে নিন। নতুবা ভাষাগত দুর্বলতা থেকেই যাবে আপনার লেখায়।  

ক. বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট

বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট লেখা আমরা যতটা সহজ ভাবি ঠিক ততটা সহজ নয়। কেননা বাংলা ভাষায় দক্ষতা অর্জন না করলে আপনি খুব ভালোভাবে বাংলা ভাষায় কন্টেন্ট লিখতে অক্ষম হবেন। যারা বাংলা ভাষায় কনটেন্ট লিখতে চান, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, ইংরেজির তুলনায় বাংলা ভাষার কন্টেন্ট এর মূল্য অনেকটা কম। 
আপনি যদি বেশি টাকা আয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজি কন্টেন্ট রাইটার হতে হবে। ইংরেজিতে কন্টেন্ট লিখে বাংলা কন্টেন্ট এর তুলনায় কয়েক গুণ বেশি আয় করা সম্ভব। তবে ইংরেজি কন্টেন্ট এর প্রতিযোগিতা বাংলা কন্টেন্ট এর তুলনায় অনেক বেশি। কেননা গোটা বিশ্বের কন্টেন্ট রাইটাররা ইংরেজি কন্টেন্ট লিখে থাকে তাই সেখানে প্রতিযোগিতা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।

খ. ইংরেজি কন্টেন্ট রাইটিং 

বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আলোচনা করার প্রেক্ষিতে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে ইংরেজি ভাষার কন্টেন্ট এর চাহিদা এবং এর মূল্য অনেক বেশি। কোন ভাষার কন্টেন্ট এর কত দাম তা মূলত  সিপিসি এর উপর নির্ভর করে। এমন অনেক ধরনের কন্টেন্ট রয়েছে যেগুলো এর জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দাতা সংস্থা গুগলকে বেশি পেমেন্ট করে থাকে সে সকল কন্টেন্ট এর সিপিসি বা মূল্য অনেক বেশি। যেহেতু গোটা বিশ্বের কাছে ইংরেজি একটি সর্বজন গ্রাহ্য ভাষা তাই এখানে অধিক সংখ্যক মানুষ বা বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে আর এই প্রতিযোগিতার জন্য ইংরেজি কন্টেন্টের চাহিদা বাংলা কন্টেন্ট এর তুলনায় বেশি।

৫. বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য বিশ্বস্ত কিছু ওয়েবসাইট | বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব ও কোর্স

অনলাইন আসলে স্মার্ট ধোকাবাজদের একটা নিয়মিত ও সুপরিচিত স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট এর সংখ্যা গোটা বিশ্বেই অনেক কম। বিশেষ করে কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট খুঁজে বের করা বেশ কঠিন ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। আজকের এই আলোচনায় আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব এমন কিছু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট যেখানে আপনারা কন্টেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন। এ সকল ওয়েবসাইটে বেশ কিছু মানুষ কনটেন্ট রাইটিং জব করে থাকে।

ক. duspeech.com

এটা মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন। এই সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাইরের শিক্ষার্থীদেরও আর্টিকেল রাইটিং কোর্স এবং আর্টিকেল রাইটিং জব প্রদান করে থাকে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
 কন্টেন্ট লাইটিং করে আয় করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন। তবে কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করতে আপনাকে অবশ্যই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী হতে হবে। প্রথম দিকে আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করাটা অনেক কষ্টসাধ্য মনে হতে পারে কেননা আপনি যখন কোন কিছু প্রথম করবেন তখন অনেক কিছু শেখার ব্যাপার থাকে বা আয়ত্ত করার ব্যাপার থাকে এটা ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। প্রথমদিকে কঠিন মনে হলেও সম্পূর্ণ কাজ শেখা হয়ে গেলে আপনার কাছেই কন্টেন্ট রাইটিং পানির মতো সহজ মনে হবে।


খ. ordinaryit.com

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় আর্টিকেল রাইটিং করার প্ল্যাটফর্ম হল অর্ডিনারি আইটি ডট কম। এখানে আপনি মাসিক ৩০০০ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে। তবে কনটেন্ট লেখার পূর্বে আপনাকে একটি কোর্স করতে হবে যেখানে শেখানো হবে আপনি কিভাবে একটি সফল আর্টিকেল লিখবেন। 

৬. বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব | বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব ও কোর্স 

প্রথমেই আপনাকে একটি সত্য কথা বলতে চাই। আপনি যদি দক্ষ্যতা অর্জন করতে পারেন তবে আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং জবের জন্য ভাবতে হবে না। কেননা অনলাইনের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট আসলে দক্ষ্য কর্মী অনুসন্ধান করে থাকে সব সময়।  কিন্তু দক্ষ্য কর্মী খুঁজেই পায় না,  এটা খুবই করুণ সত্য। আপনি যদি বাংলা কনটেন্ট রাইটিং  করতে চান তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইটিং সংগঠন হবে আপনার জন্য বেস্ট। এখানে আপনি বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং যেমন শিখতে পারবেন পাশাপাশি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং জব ও করতে পারবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন সব সময় দক্ষ কর্মী অনুসন্ধান করে থাকে আপনি যদি নিজেকে দক্ষ একজন আর্টিকেল রাইটার মনে করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে কন্টেন্ট রাইটিং জব করতে পারবেন। নিচে প্রদত্ত বাটনে ক্লিক করে কন্টেন্ট রাইটিং জব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

৭. কন্টেন্ট রাইটিং এর নিয়ম | কন্টেন্ট রাইটিং জব ও কোর্স ২০২৩

নিয়ম মেনে কন্টেন্ট রাইটিং করলে খুবই দ্রুত সফল হওয়া যায়। সকল কিছুই কিন্তু কিছু সুশৃঙ্খল নিয়ম মেনেই পরিচালিত হয়। ঠিক তেমনি কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। কন্টেন্ট রাইটিং শেখার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। কনটেন্ট রাইটিং এর প্রাণ বলা যেতে পারে কি-ওয়ার্ডকে। 

ক. কি-ওয়ার্ড

সঠিক কি ওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট না হলে আপনার কনটেন্ট রাইটিং বৃথা হয়ে যাবে। এখন অনেকে বলতে পারেন না যে কীওয়ার্ড আবার কি জিনিস? ধরুন আপনি গুগলে সার্চ করেছেন যে, 'কনটেন্ট রাইটিং কি?' আপনি যে লেখাটা লিখে গুগলে সার্চ করেছেন আপনি যদি একটু খেয়াল করেন যে এখানে মূল শব্দটি হল 'কন্টেন্ট রাইটিং'। আপনি যে লেখাটা লিখে গুগলে সার্চ করেছেন google বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ সন্ধান করে দেখবে যে উক্ত লেখাটি কোন ওয়েবসাইটের কোন আর্টিকেলের মধ্যে সর্বাধিকবার প্রাসঙ্গিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যে আর্টিকেলে বা কনটেন্টে উক্ত লেখাটি প্রাসঙ্গিকভাবে সর্বাধিকবার ব্যবহার করা থাকবে সেই আর্টিকেলকেই গুগল সার্চ লিস্টের একদম শুরুতে দেখাবে তাই বুঝতে পারছেন যে আর্টিকেল লেখার মূল বিষয় কি ওয়ার্ড ইমপ্লিমেন্ট।

খ. কন্টেন্টের ভাষা

আপনি যদি সহজ ভাষায় বা সর্বজন বিদিত ভাষায় কন্টেন্ট লিখেন তাহলে বুঝতে পারছেন যে খুব সহজেই মানুষ আপনার কন্টেন্ট মজা করে পড়তে পারবে। এমন অনেকেই আছেন যারা দুর্বোধ্য ভাষা ব্যবহার করে কনটেন্ট লিখে থাকেন তাদের কনটেন্ট সাধারণ মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে। তাই, ভালোভাবে কনটেন্ট লিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় কন্টেন্ট লিখতে হবে।

গ. বানান

বানান খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা আপনি যদি ভুল বানানে কন্টেন্ট লিখে থাকেন তাহলে পাঠকরা অসন্তুষ্ট হবে বা নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে থাকবে এবং গুগল কর্তৃপক্ষ আপনার কন্টেন্ট এর মান ভালো বলে বিবেচনা করবে না। সেক্ষেত্রে আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন। ভুলভাল বানানে কনটেন্ট লিখলে আপনার কন্টেন্ট গুগলে র‍্যাঙ্ক করা থেকে পিছিয়ে পড়বে।

ঘ. শব্দ সংখ্যা

আপনার কনটেন্ট এর শব্দ সংখ্যার উপরে অনেক কিছুই নির্ভর করে থাকে। আপনার কনটেন্ট পা আর্টিকেল এর শব্দ সংখ্যা যদি দুই হাজার বা এর বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনার কন্টেন্ট বা আর্টিকেল গুগলে রেঙ্ক করা সম্ভব না অনেক গুণ বেড়ে যায়। কেননা গুগল সে সকল আর্টিকেল বা কন্টেন্টকে রেঙ্ক করে থাকে যেগুলো অনেক বেশি তথ্য সমৃদ্ধ।  আপনি যদি বেশি শব্দ ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখে থাকেন তাহলে google মনে করবে আপনার  আর্টিকেল বেশি তথ্য সমৃদ্ধ সমৃদ্ধ। তাই বেশি শক্ত ব্যবহার করে কন্টেন্ট লিখুন।

৮. কন্টেন্ট রাইটিং কীভাবে শেখা যায়? বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব ও কোর্স ২০২৩

কন্টেন্ট রাইটিং কীভাবে এবং কোথায় শিখবেন এটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তবে কন্টেন্ট রাইটিং কোথায় ও কীভাবে শিখবেন? এটা নিয়ে দুশ্চিতার কিছু নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারবেন। 
কনটেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনারা নিজে প্রদত্ত পাঠানো ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনে কোর্স করার মাধ্যমে খুব সহজেই কন্টেন্ট রাইটিং এর উপরে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

৯. কন্টেন্ট রাইটিং বই | বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব ও কোর্স ২০২৩

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য অনেকেই এমন কিছু বইয়ের অনুসন্ধান করেন যার মাধ্যমে কন্টেন্ট রাইটিং শেখা যায়। তাদের জন্যই আর্টিকেলের এই অংশ গুরুত্বপূর্ণ হবে।  যারা কন্টেন্ট রাইটিং এর উপরে বই অনুসন্ধান করছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে ইউটিউব এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর উপরে বেশ ভালো তথ্য পেয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং এর জন্য আপনাকে বই কিনতে হবে না। সবচেয়ে উত্তম হবে যদি আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর উপরে একটি কোর্স সম্পন্ন করে নেন।

১০. লেখকের মন্তব্য 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত এই ওয়েবসাইটেও কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স ও জব প্রদান করা হয়।  অনলাইন ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। অনলাইন কাজ করার মাধ্যমে অনেকেই ভালো মানের টাকা উপার্জন করছে এটা দেখে যদি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য এটা ভুল পন্থা হবে। 
অনলাইন আপনি যে কাজটাই করেন না কেন তার উপরে আপনার ভালোলাগা থাকতে হবে। ভালোলাগা থাকলে আপনি দীর্ঘক্ষণ কাজ করার পরেও আপনার কোন ক্লান্তি আসবে না। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এ আপনাকে বেশ সময় দিতে হবে। উপযুক্ত সময় দিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে তাছাড়া আপনি এই সকল প্ল্যাটফর্ম এর প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url