সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি [খাবার ও ঔষধ দামসহ]
যুগের আবহ পরিবর্তন হয়েছে! পরিবর্তন হয়েছে আমাদের শারীরিক শক্তিরও ফলে, বড় সংখ্যক জনগণের সেক্সে সময় বৃদ্ধির সমস্যা বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের জানাবো সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি? কিভাবে সেবন করবেন? এর উপকারিতা সম্পর্কে।
সংক্ষেপে জেনে নিন | |
---|---|
প্রশ্ন | সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি? |
উত্তর ধাপ ০১. | মধু |
উত্তর ধাপ ০২. | খেজুর |
উত্তর ধাপ ০৩. | রসুন |
উত্তর ধাপ ০৪. | কালোজিরা |
উত্তর ধাপ ০৫. | আখরোট |
উত্তর ধাপ ০৬. | আপেল |
উত্তর ধাপ ০৭ | সবুজ শাক সবজি |
উত্তর ধাপ ০৮. | বীজ জাতীয় খাবার |
উত্তর ধাপ ০৯. | কলিজা ও গরুর মাংস |
উত্তর ধাপ ১০. | সামুদ্রিক মাছ ও ফ্যাটি ফিশ |
আর্টিকেল সূচিপত্র - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
- সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার কি কি? - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ
- সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার ঔষধ! - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ
- মেয়েদের সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার! - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ
- সেক্সে বৃদ্ধির খাবার নাকি ঔষধ! - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ
- সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য কোন কোন খাবার বাদ দিতে হবে? - সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার ও ঔষধ
- সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার খাওয়ার নিয়ম কি?
- সেক্সে সময় বৃদ্ধির ট্যাবলেট খাওয়া কি ঠিক? - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ
- কোন কোন কাজ করলে চিরতরে সেক্স পাওয়ার নষ্ট হয়ে যায়? - সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার ও ঔষধ
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১. সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি
সংক্ষেপে :
সেক্সে বৃদ্ধির খাবার তালিকা-
- রসুন
- খেজুর
- কালোজিরা
- আখরোট
- সূর্যমুখীর বীজ
- চিনা বাদাম
- আমন্ড
- কফি
- কলা
- স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি
- বিট
- ডার্ক চকোলেট
- আভাকাডো
- পালং শাক
- ব্রকলি
- বাঁধাকপি
- মিষ্টি আলু
- ফিগ
- চর্বিযুক্ত মাছ
- আপেল
- ডালিম
- আম জাতীয় ফল
- তরমুজ
- কলিজা ও গরুর মাংস
- চেরি ফল
- ফ্যাটি ফিশ
- ডিম
- কাঁচা মরিচ
- পেঁয়াজ
- মধু
- ভিটামিন সি যুক্ত ফল
- কুমড়ার বীজ
- গাজর
- দুধ
- এলাচ
- ঝিনুক
- নিয়মিত ব্যায়াম
- অশ্বগন্ধা
- কিসমিস
- বেদেনা
- রসুন [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?] : রসুন সেক্সে দারুন ভূমিকা রেখে আসছে একদম প্রাচীনকাল থেকে। তাই সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার ও ভেজস ঔষধ হিসেবে রসুনের ব্যবহার প্রসিদ্ধ। রসুন ইরেক্টাল ডিসফাংশন এর প্রাকৃতিক ভেজস ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়। এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন এই ইরেক্টাল ডিসফাংশন আবার কী? ইরেক্টাল ডিসফাংশন হলো পুরুষত্বহীনতা। সুতরাং পুরুষত্বহীনতা থেকে রক্ষা করে এই রসুন। এছাড়াও গবেষণা বলে, কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ এবং ক্যান্সারের আশংকা কমায় রসুন। সেক্সে বৃদ্ধির খাবার হিসেবে তাই রসুনের জুড়ি নেই। রসুন খাবার নিয়ম: একটি কাঁচা রসুন নিন। দুটি কোয়া ছড়িয়ে নিন। এরপর রসুনের উপরের প্রলেপ ছড়িয়ে নিয়ে খাবার উপযোগী করে নিন। সাধারণ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বাসি পেটে রসুন চিবিয়ে খেয়ে নেওয়া উত্তম। এছাড়াও আপনি চাইলে রাতে বা দুপুরের খাবারের পর দুই কোয়া রসুন খেয়ে নিতে পারেন।
- খেজুর [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?] : খেজুর এমন একটি খাবার যেখানে পুষ্টিগুনে ভরপুর। এমনকি ডাক্তাররা বলেছেন যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের আলাদা করে ভিটামিন খাবার প্রয়োজন নেই। মানবদেহের জন্য উপকারী প্রোটিন, ভিটামিন, আইরন, ক্যালসিয়াম, কোলেস্ট্রল, ফাইবার ও ফ্যাট বিদ্যমান রয়েছে খেজুরে। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে খুব সহজেই আমরা বুঝতে পারি অনেক প্রাচীনকাল থেকে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় খেজুরের পরাগ ব্যবহার হয়ে থাকে। খেজুরের পরাগ ব্যবহারে পুরুষদের শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এছাড়াও পুরুষ নারী উভয়ের জন্যই খেজুর অত্যন্ত উপকারী। সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য আপনি যদি খেজুর সেবন করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানিতে চার থেকে ছয়টি খেজুর ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরের দিন সকাল বেলা খালি পেটে তো খেজুর আপনাকে খেতে হবে। এভাবে এক মাস সেবন করলে উপকার আপনি তাৎক্ষণিক বুঝতে পারবেন।
- কালোজিরা [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: অনেকে বলে থাকে, কালোজিরা হলো মৃত্যু বাদে সকল রোগের মহৌষধ। কালোজিরার কথা ইসলামও উল্লেখ করেছে। কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এবং স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি করে। কালোজিরার ইংরেজি নাম নাইজেলা। কালোজিরাতে ২১% প্রোটিন এবং ৩৮% শর্করা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।
- আখরোট
- সূর্যমুখীর বীজ
- চিনা বাদাম
- কাজু বাদাম
- কুমড়ার বীজ
- আমন্ড [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বীজ, চিনা বাদাম, কাজুবাদাম সহ এই বীজ জাতীয় ফলে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এবং এটা সর্বজনীন সত্য যে কোলেস্টেরলের প্রভাবে সেক্স হরমোনগুলো দারুনভাবে প্রভাবিত হয়। ফলাফলে, সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার হিসেবে শুকনো বীজ জাতীয় ফল প্রসিদ্ধ।
- কফি [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: আমরা প্রায় সবাই জানি কফিতে, 'ক্যাফেইন' নামক এক ধরণের রাসায়নিক উপদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা সেক্স বৃদ্ধির জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক হরমোন ক্ষরণ করাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ডোপামিন এমন এক ধরণের হরমোন যা আমাদেরকে অধিক সচেতন করে তোলে আনন্দ উপভোগে সাহায্য করে। এতে আপনি যদি ২/৩ কাপ কপি প্রতিদিন পান করেন তাহলে আপনি সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য ভালো ফল পাবেন।
- কলা [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: সেরেটিনিন নামক নিউরোক্যামিক্যালকে রক্তে মিশে যেতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে এই কলা। যাকে হয়তো আমরা অজ্ঞতার জন্য তেমন উপকারী খাবার বলেই অনেকে মনে করি না। অতিরিক্ত অবসাদ বা অভারথিংকিং সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। কলা মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী। তাই সেক্সের পূর্বে অবশ্যই কলা খেতে পারেন। সেক্সে মুড ভালো করে এই সেরেটিনিন। তাই সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার হিসেবে অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কলাকে।
- স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও ফোলেট থাকে। সেক্সে মুড আনতে স্ট্রবেরির লাল রঙ খুবই প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে। এদিকে ভিটামিন সি সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার হিসেবে বেশ সহায়ক। ঘুমানোর পূর্বে যদি আপনি স্ট্রবেরি খাওয়ার অভ্যেস করতে পারেন তবে তা আপনাকে যথেষ্ট এনার্জি প্রদান করবে। সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার এর পাশাপাশি স্ট্রবেরি নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার রক্তনালি ক্লিন থাকে ফলাফলে আপনার স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকগুণ কমে যায়। এই স্ট্রবেরির আসকে গুণের শেষ নেই। এটা আবার প্রাকৃতিক ভায়াগ্রার কাজ করে।
- বিট [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যের জন্য বিট খুবই উপকারী খাবার হিসেবে পরিচিত। বিট নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সালাদের সঙ্গে আপনি চাইলে নিয়মিত বিট খেতে পারেন। ভিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট যা প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা মত উপকারী।
- সিম [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশান এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিতভাবে ন্যূনতম ১কাপ সিম খেয়ে থাকেন এদের স্বাস্থ যারা খান না তাদের তুলনায় ফিট থাকে পাশাপাশি চর্বি কম জমে। তাই সেক্সে বৃদ্ধির খাবার হিসেবে সিম খেতে পারেন।
- ডার্ক চকোলেট [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: জার্নাল অব দ্যা আমেরিকান এসোসিয়েশন এর মতে এন্ডোর্ফিন হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে ফেবাইলেথৈলামাইন নামক এক রাসায়নিক উপদান যা ডার্ক চকোলেটে পাওয়া যায়। ফলে সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার হিসেবে সুপারফুড বলে বিবেচিত হয় ডার্কচকোলেট। আবার ওরাল সেক্সের পূর্বে ডার্ক চকোলেট খেলে বেশ উপভোগও করা যায়। সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি? এমন যারা প্রশ্ন করেন এটা তাদের জন্য বেশ কার্যকরী।
- আভাকাডো [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: আভাকাডো এমন একটি ফল যেখানে প্রচুর পরিমানে ফোলেটের উপস্থিতি রয়েছে বকে গবেষকরা মনে করেন। এবং এই ফোলেটের কারণে বীর্য উৎপাদন হয়। ফলে যারা মনে করছেন সন্তান নিবেন, তাদের জন্য আভাকোডা দারুণ একটি খাবার। বীর্যকে মিউটিশনের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে এই আভাকোডা। তাই সেক্সে বৃদ্ধির খাবার হিসেবে খাদ্য তালিকায় রাখুন আভাকোডাকে।
- পালং শাক [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এই ম্যাগনেসিয়াম আপনার শরীরের রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকলে আপনি অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবেন। জাপানের একদল গবেষক মনে করেন শরীরের রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। পালং শাকসহ বিভিন্ন রকম শাকসবজি যেমন সবুজ শাক, লেটুস, ব্লকলি, বাঁধাকপি ও ফুলকপি এগুলোতে ফলেট এবং ভিটামিন বিসহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এই সকল উপাদান গুলো যৌন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ব্রকলি
- বাঁধাকপি [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ব্রকলি, বাঁধাকপি ও পালংশাক সহ সকল ধরণের সবুজ শাকসবজীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। চিকিৎসকদের মতে সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা মুড ভালো করতে ও রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি নিয়মিত খেলে ফার্টিলিটি ও বীর্যের গুণাগুণ ঠিক করে। তাই সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য বেশ প্রসিদ্ধ।
- মিষ্টি আলু:
- ফিগ [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ফিগ সেক্স স্ন্যাক্স নামে পরিচিত। সেক্স ড্রাইভ বাড়াতে সক্ষম এই ফিগ। ফল ও সবজি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের জন্য বেশ পরিচিত হলেও এই ফিগে দ্রাব্য ও অদ্রাব্য ফাইবার শাকসবজি ও ফলের তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। এবং ফাইবার সেক্সে দারুন কার্যকরী বলে বিশেষজ্ঞ মত প্রদান করে থাকেন। এই ফিগে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এন্টি অক্সিজেন, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সহ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী উপাদানে ভরপুর। তাই সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার হিসেবে ফিগ ব্যবহার বেশ স্বাস্থ্যকর।
- চর্বিযুক্ত মাছ
- ফ্যাটি ফিশ [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ফ্যাটি মাছ বা চর্বিযুক্ত মাছ আমাদের হার্ট ও মনের জন্য খুবই উপকারি খাবার। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, ডিএইচএ ও ইপিএ মস্তিষ্কের ডোপামিন নিঃসরণ এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার ফলে তা আমাদের সেক্স বৃদ্ধির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং শারিরীক উত্তেজনা বৃদ্ধির নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই সেক্সে বৃদ্ধির খাবার হিসেবে অবশ্যই ফ্যাটি মাছ ও চর্বিযুক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন।
- আপেল: আপেলে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা যৌনাঙ্গের রক্ত সরবরাহ বাড়ায়। একদল গবেষক মনে করেন, প্রতিদিন পুরুষদের একটি করে আপেল খাওয়া উচিত। অনেকেই যৌনাঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন এই সমস্যার ক্ষেত্রে আপেল বেশ কার্যকর। লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কার্যকরী যা আপেল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই যৌন জীবন সুস্থ রাখতে নিয়মিত আপেল খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক ডাক্তার।
- ডালিম [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ডালিমে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে, আইরন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট সোডিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ডালিমের রস সেবনে মানবদেহে ২৪% টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে।
- আম জাতীয় ফল [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ফলে রাজা আম এটা কম বেশি সবাই জানে। আমি থাকে ভিটামিন ই। যা সেক্স বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও আমি থাকে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরকে তরতাজা করে তোলে।
- তরমুজ [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: সেক্স বুস্টার হিসেবে তরমুজের খ্যাতি রয়েছে। তরমুজে পাওয়া যায় শিটুলিন যা নাইট্রিক এসিড তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। যে সকল পুরুষদের উত্থান জনিত সমস্যা রয়েছে নাইট্রিক এসিডের ফলে তাদের ওই সমস্যার সমাধান ঘটে। পাশাপাশি মহিলাদের সেক্স ড্রাই উন্নত করতে নাইট্রিক এসিড সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। লাইকোপিন নামক রাসায়নিক যৌন অঙ্গের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় আর এই লাইকোপিন পাওয়া যায় তরমুজে।
- কলিজা ও গরুর মাংস [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: কলিজা ও গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে জিংক পাওয়া যায়। অনেকেই অসাবধানতাবশত গরুর চর্বিযুক্ত মাংস খেয়ে থাকেন, গরুর চর্বিযুক্ত মাংস হার্ট অ্যাটাক এর অন্যতম কারণ পাশাপাশি আপনার ধমনীতে রক্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এই চর্বিযুক্ত গরুর মাংস তাই চর্বিহীন গরুর মাংস নিয়মিত খেতে পারেন। যেমন গরুর কাধের মাংস এবং রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে উপরন্তু জিংক বেশি থাকে তাই এই সব জায়গার মাংসে আপনার যৌনজীবন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
- চেরি ফল [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকলে যে কোন মানুষ যৌন জীবনে সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকতে পারবে। আর এই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্থোসায়ানিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চেরি ফলে অ্যান্থোসায়ানিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়া যায় ফলে যৌন স্বাস্থ্যের জন্য চেরি ফল খুবই সহায়ক।
- ডিম [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ডিম এমন একটি খাবার যার মধ্যে প্রায় সকল প্রকার খাদ্যের গুনাগুন বিদ্যমান। অনেকে ডিমকে আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। ডিমে রয়েছে- সেলিনিয়ম, ফসফরাস, আয়রন ও ফোলেট। এছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি-৫ এবং ভিটামিন বি-৬। ডিমে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উপাদান, হার্টকে সুস্থ রাখে, ক্লান্তি বা অবসাদ দূর করে নারীদের যৌনাঙ্গের ভেতরে গর্ভাশয় এবং টিস্যুকে সুস্থ রাখে।
- কাঁচা মরিচ [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: এন্ডোর্ফিন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে ক্যাপ্সাইসিন। আর কাঁচা মরিচে যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় এই ক্যাপ্সাইসিন। এছাড়াও কাঁচা মরিচ মেটাবলিজম এবং হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যেসকল কারণে সেক্স হরমোনের ঘাটতি দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে কাঁচা মরিচ। তাই, সেক্সে বৃদ্ধির খাবার হিসেবে অনেকেই কাঁচা মরিচ অনান্য খাবারের সাথে ব্যবহার করে থাকেন।
- পেঁয়াজ: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের রস থেকে টেস্টস্টেরন হরমোন নিঃসরণ হয়। তাই সেক্সের ক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হরমোন বিশেষজ্ঞ এলিসাভিটি মনে করেন ধীরে ধীরে সময় নিয়ে পেঁয়াজের রস যদি কেউ খায় তাহলে আমাদের কাম ইচ্ছা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম পাশাপাশি সক্রিয় করে তোলে আমাদের যৌনাঙ্গকে।
- মধু: চিকিৎসকদের মতে, যাদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কম তাদের সেক্সের প্রতি অনিহা দেখা দেয়। এই সেক্সে বৃদ্ধির খাবার মধু খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি সেক্সে বৃদ্ধির হরমোন হিসেবে পরিচিত একটা হরমোন হলো এস্ট্রোজেন। মধু নিয়মিত সেবনে এই হরমোনের আধিক্য ঘটে ফলে, সেক্সের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
- ভিটামিন সি যুক্ত ফল [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, যেসকল নারী নিয়মিত ভিটামিন-সি যুক্ত বিভিন্ন ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাদের সেক্সের প্রতি আগ্রহ অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার শুধু নারীদের জন্যই উপকারী এমনটি নয় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার পুরুষের সেক্স লাইফের জন্যও বেশ উপকারী। গবেষণা বলে যে সকল পুরুষ প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন সি খেয়ে থাকেন, তাদের বীর্যের ঘনত্ব অন্যান্য পুরুষদের তুলনায় অধিক। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার সেক্স বৃদ্ধির জন্য উপকারী।
- গাজর: সকলেরই সজীব ও সতেজ গাজর নিয়মিত খাওয়া উচিত। কেননা গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় গাজর রাখুন এতে আপনার সেক্সে সময় বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
- দুধ [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: যে সকল খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাণিজ ফ্যাট পাওয়া যায় সে সকল খাবারে যৌন জীবনের উন্নতি ঘটে। দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যে ফ্যাট পাওয়া যায় তাই শরীরের সেক্স হরমোন বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। এছাড়াও দুধে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্যের উপাদান পাওয়া যায়।
- এলাচ: এলাচে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় এফ্রডিসিয়াক। এই উপাদানটি যৌন ইচ্ছা বাড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তাই অনেকে মজা করে এলাচকে রোমান্টিক মসলা বলে থাকে। অধিকন্ত, এলাচের তেলের ম্যাসাজ রোমান্টিকতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করে থাকে। পাশাপাশি আপনি চাইলে চা বা কফির সাথে এলাচ নিয়মিত সেবন করতে পারেন এতে আপনার পুরুষত্বহীনতা দূর করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এলাচ।
- ঝিনুক [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও জিংক পাওয়া যায়। এই উপাদান গুলো পুরুষদের শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যৌন ইচ্ছা কে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বেশ কিছু গবেষকদের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে রোমানরা প্রতিদিন সকালে 50 টি করে কাঁচা ঝিনুক খেত যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য।
- নিয়মিত ব্যায়াম: সেক্সে সময় বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য একমাত্র টেস্টোস্টেরন হরমোন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায় মূলত শারীরিক পরিশ্রম করলে। তাই আপনার উচিত নিয়মিত ব্যায়াম করা। কেননা নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের আধিক্য ঘটে যা আপনার সেক্সে সময় বৃদ্ধি করার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
- অশ্বগন্ধা [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: সেক্সে সময় বৃদ্ধির খাবার হিসেবে অশ্বগন্ধা খুব বেশি একটা প্রসিদ্ধ নয়। তবুও আপনি চাইলে আপনার খাদ্য তালিকায় অশ্বগন্ধা রাখতে পারেন।
- কিসমিস: কিসমিস চেনে না এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুবই কম। এই কিসমিস রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি যৌন শক্তি বাড়িয়ে থাকে। কেননা কিসমিসে রয়েছে আর্গিনাইন নামক একটি অ্যামাইনো এসিড যা লিবিডের সমস্যা চিরতরে দূর করতে এবং যৌনজীবনের নতুনত্ব আনতে সাহায্য করে।
- বেদেনা: অনেকে বেদেনাকে বলে থাকে প্রাকৃতিক ভায়াগার। বেদানার রস পান করলে পুরুষদের শরীরে টেস্টেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে যার ফলে পুরুষদের সেক্স করার আগ্রহ বেড়ে যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে বেদনার রস পান করলে যোনিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এর ফলে মেয়েদের কাম শক্তি অনেক গুণ বেড়ে যায়।
- ওয়েস্টার [সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?]: ওয়েস্টার খাবার ফলে মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় এর ফলে সেক্সে আগ্রহ আসে। পাশাপাশি ওয়েস্টার থেকে দস্তা পাওয়া যায়। যা স্বাস্থ্যকর বীর্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২. সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সংক্ষেপেঃ কয়েকটি সেক্সে বৃদ্ধির খবার ঔষধ হলো- Intimate 20mg; ভায়গ্রা; পাওয়ার; সিনেগ্রা; কামশক্তি; ওয়ানাগ্রা
নিচে সেক্সে বৃদ্ধির কিছু খাবার ঔষধের নাম প্রদান করা হলো যা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
- Intimate 20mg, মূল্য ৩৫০ টাকা ।
- আমেরিকার ভায়াগ্রা প্রতিটির মূল্য ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
- পাওয়ার, মূল্য ৭০ টাকা।
- সিনেগ্রা, মূল্য ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
- কামশক্তি, মূল্য ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
- ওয়ানাগ্রা, মূল্য ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।
উপরের ঔষধগুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন।
৩. মেয়েদের সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ঔষধ - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সংক্ষেপেঃ মেয়েদের সেক্সে বৃদ্ধির কয়েকটি ঔষধের নাম হলো- Miss me tablet, Flibanserin, Tadfil 20mg Tablet, Pink pill Tablet ইত্যাদি।
মেয়েদের সেক্স ট্যাবলেট আর্টিকেলের এই অংশে আমরা মেয়েদের যৌন উত্তেজনা বর্ধক কিছু ঔষধের ব্যপারে জানব।
- Flibanserin Tablets 100 mg: মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর ওষুধের রাসায়নিক নাম হচ্ছে ফ্লিবানসেরিন-যার নাম দেয়া হয়েছে 'মেয়েদের ভায়াগ্রা' কারন পুরুষদের ক্ষেত্রেও আলাদা নীল রঙের ভায়াগ্রা রয়েছে।মেয়েদের ভায়াগ্রার রং গোলাপি।পুরুষদের 'নীল বড়ির' নারী সংস্করন হচ্ছে এই গোলাপি বড়ি।এটি অবশ্যই চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।চিকিৎসকরা এটি দিনে একবার এবং সহবাসের ১ ঘন্টা পূর্বে সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
- Miss Me Tablet / Miss Me Capsule: মিস মি ট্যাবলেট মেয়েদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি কারক ঔষধ।এটি সফলভাবে পরীক্ষিত ও উন্নত মানের সেক্সুয়াল মেডিসিন।এই মেডিসিনটা ব্যবহারের ফলে একজন নারীর মধ্যে যৌন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটে এবং ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে যৌন উত্তেজনাকে বৃদ্ধি করে তোলে।মিস মি ট্যাবলেট যেকোনো বয়সের মেয়েদের খাওয়ানোর মাধ্যমে দ্রুত উত্তেজিত করে ফেলা সম্ভব।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধটি দিনের যেকোনো সময় সেবন করা যায়।গরম দুধ এর সাথে সেবন করলে ওষুধের কার্যকারিতা অধিক ভালো হয় এবং ঔষধটি রাতের প্রথম প্রহরে সেবন করা উত্তম।
- Tadfil 20 mg Tablet : মেয়েদের যৌন উত্তেজক এই ঔষধটি মেয়েদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা যায় কিন্তু যে সকল মেয়েরা বাচ্চাকে দুধ পান করায় তাদের জন্য এটি নিষিদ্ধ।যে সকল মেয়েদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের এই ট্যাবলেট সেবন না করাই উত্তম।এটি খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে এর কার্যকারীতা শুরু হয়।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিনের যেকোনো সময়ে একবার,সাধারন পানির সাথে ( গরম পানি নয়) গুলিয়ে খাওয়া যায়।এটি নিয়মিত মাত্রায় সেব্য নয়।তবে সকল ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া রেয়েছে, তাই অতিরিক্ত সেবন করা অনুচিত।
- Pink Pill Tablet :পিঙ্ক পিল ট্যাবলেট সাধারণ হাইপোঅ্যাকটিভ সেক্সুয়াল ডিজায়ার ডিসঅর্ডার (এইচএসডিডি) সহ প্রিমেনোপজাল মহিলাদের চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত হয়,যা কম যৌন ইচ্ছা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।এই ট্যাবলেট সাধারণত মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত যৌন ইচ্ছার নিরাময়ে কাজ করে।এটি সরাসরি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে না, তবে এইচএসডিডি এর কারনে যদি মেয়েদের যৌন উত্তেজনা কমে যায় তা পুনরায় পুনরুদ্ধারে কাজ করে।চিকিৎসকরা প্রতিদিন রাতে একটি করে ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন।এটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জন্য নির্দেশিত।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
৪. সেক্স বৃদ্ধির খাবার নাকি ঔষধ - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সংক্ষেপেঃ সেক্সে বৃদ্ধির জন্য কখনোই ট্যাবলেট সেবন করা ঠিক নয়।
সেক্স বৃদ্ধির জন্য অনেকেই অজ্ঞানতা বসত সেক্স ট্যাবলেট সেবন করে থাকে যা মানব দেহের জন্য খুবই মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অবশ্যই সেক্স বৃদ্ধির জন্য আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে এবং পাশাপাশি সেক্স বৃদ্ধির উপরের যে তালিকা প্রদান করা হয়েছে সেখান থেকে নিয়মিত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে এবং স্বাভাবিকভাবে সেক্স বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মুড সুইং এর আসল কারণ
৫. সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য কোন কোন খাবার বাদ দিতে হবে!
সংক্ষেপেঃ সেক্সে সময় বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই চিনি ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
সেক্স যদি আপনি বাড়াতে চান অবশ্যই আপনাকে চর্বিযুক্ত খাবার আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কেননা চর্বিযুক্ত খাবার রক্ত সঞ্চালনের জন্য বাধা হিসেবে কাজ করে। আর আপনার রক্ত সঞ্চালন যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে আপনার যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন হবে না এর ফলে আপনি যৌন অনুভূতি পেতে ব্যর্থ হবেন।
তাই শুরুতেই আপনাকে আপনার খাদ্য তালিকা থেকে চর্বিযুক্ত যে কোন খাবার বাদ দিতে হবে। আরো একটি খাবার খুবই খুবই মারাত্মক প্রভাব ফেলে যৌন জীবন সেটা হল চিনি বাস সুগার। চিনি এবং সুগার জাতীয় যেকোনো ধরনের খাবার আপনি আপনার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিবেন। যেমন; পাউরুটি, ব্রেড জাতীয় খাবার, বিস্কিট ও কোমল পানীয় সহ সকল ধরনের সুগার মিক্সড খাবার আপনার খাদ্য তালিকা থেকে আপনাকে বাদ দিতে হবে। এতে আপনার যৌন জীবন প্রাণবন্ত হবে পাশাপাশি আপনি স্ট্রোক থেকে বেঁচে থাকবেন ।
৬. সেক্স কেন কমে বা বাড়ে - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সংক্ষেপেঃ সেক্স বৃদ্ধি বা কমে যাওয়ার পেছনে টেস্টোস্টেরন হরমোন ও রক্ত সঞ্চালন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত সেক্স বৃদ্ধি করে থাকে টেস্টোস্টরন নামক হরমোনের কারণে। পাশাপাশি যৌন জীবনে অনিহা আসে যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পেলে। মূলত এই দুই কারণে মানুষের যৌন জীবন নষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
৭. সেক্সে সময় বৃদ্ধির ট্যাবলেট খাওয়া কি ঠিক - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সংক্ষেপেঃ সেক্স বাড়ানোর জন্য কখনই সেক্স ট্যাবলেট সেবন করা উচিত নয়।
সেক্সের সময় বৃদ্ধির জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ট্যাবলেট সেবন করে থাকেন এতে তাদের যৌন জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কখনোই যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য সেক্স ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত নয়। যৌন ক্ষমতা বাড়াতে পারে কেবল আপনার কনফিডেন্স বা আত্মবিশ্বাস।
৮. যে কাজে সেক্স চিরতরে নষ্ট - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সংক্ষেপেঃ মাদক সেবন করলে, সেক্স ট্যাবলেট গ্রহণ করলে এবং ওয়ান টাইম গ্রহন করলে যৌন শক্তি চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।
বেশ কয়েকটি কারণে আপনার যৌন জীবন চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিচে কারণগুলো তুলে ধরা হলো-
- মাদক সেবন করলে
- সেক্স ট্যাবলেট গ্রহণ করলে
- ওয়ান টাইম গ্রহণ করলে
- আত্মবিশ্বাস কমে গেলে
আরও পড়ুনঃ মার্কেটিং সাবজেক্ট রিভিউ
৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন ১: যৌন উত্তেজনার জন্য সেক্স ট্যাবলেট গ্রহণ করা কি ঠিক?
উত্তর: আপনি ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করতে পারবেন তবে সেক্স ট্যাবলেট গ্রহণ না করাই উত্তম।
প্রশ্ন ২: যৌন জীবন ঠিক রাখতে কোন কোন খাবার না খাওয়া উচিত?
উত্তর: চর্বি ও চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
প্রশ্ন ৩: হস্তমৈথুন না করলে কি যৌন জীবনে কোন সমস্যা হয়?
উত্তর: হস্তমৈথুনের সাথে যৌন জীবনের কোন সম্পর্ক নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে হস্তমৈথুন খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া তবে নেশা হয়ে গেলে তা যে কোন মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। তাই হস্তমৈথুন না করাই উচিত।
প্রশ্ন ৪: নিয়মিত ব্যায়াম করা যৌনজীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: যেকোনো মানুষের জন্যই নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন সেক্ষেত্রে আপনার যৌন জীবন খুবই স্বাভাবিক এবং সাবলীল থাকবে কেননা ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরে নিয়মিত টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ৫: কি খেলে যৌবন বাড়ে?
উত্তর: চর্বি ও চিনি জাতীয় খাবার না খেলে যৌবন বাড়ে।
প্রশ্ন ৬: স্থায়িত্ব বৃদ্ধির খাবার কি কি?
উত্তর: স্থায়িত্ব বৃদ্ধির খাবার হলো- মধু, খেজুর ও কালোজিরা।
প্রশ্ন ৭: কাম শক্তি বৃদ্ধির গাছ !
উত্তর: কাম শক্তির গাছের নাম জিনসেং ও ছোট শিমুল গাছেড় মূল।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ
১০. লেখকের মন্তব্য - সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি?
সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি? এই তথ্য জানার জন্য অনেকেই গুগল করে থাকেন। আবার অনেকেই ভুলবশত সেক্সে বৃদ্ধির খাবার ট্যাবলেট বা ঔষধ খেয়ে ফেলেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের এই বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেছি। আশা করছি সেক্সে বৃদ্ধির খাবার কি কি তা পরিষ্কার জানতে পেরেছেন।
আপনাদের স্বাস্থ্য সুস্থ থাকুক। সেক্স লাইফ উপভোগ করুন। এবং কোন ধরনের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেক্সে সময় বৃদ্ধির ট্যাবলেট কখনই সেবন করবেন না। আপনার সমস্যা থেকে থাকলে যারা তার সাথে আলোচনা বন্ধ করে আপনি আপনার বিশ্বস্ত ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাঁতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url