OrdinaryITPostAd

ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি? বিস্তারিত জানুন

বর্তমানে বহুসংখ্যক কর্মী কাজের ভিসায় ইতালিতে যাচ্ছে।কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আছে যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে কোন কাজে তারা ইতালি যাবে বা সেখানে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি।তাই অনেকেই ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসেই ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে সকল তথ্য জানা সম্ভব। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে । তাই ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন।



আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. ইতালি কাজের ভিসা সম্পর্কে
  2. ইতালিতে কাজের বেতন কত
  3. ইতালিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি
  4. ইতালি ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
  5. বাঙালিরা ইতালিতে কি কি কাজ করে
  6. ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
  7. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  8. লেখকের মন্তব্য

১.ইতালি কাজের ভিসা সম্পর্কে|ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

বর্তমানে বহুসংখ্যক শ্রমিক কাজের ভিসায় ইতালিতে যাচ্ছে । এই ভিসার মাধ্যমে শ্রমিকরা বৈধভাবে ইতালিতে কাজ করার সুযোগ পায়।তবে ইতালিতে কাজের ভিসায় যারা গিয়েছে তাদের সাধারণত দুই থেকে তিন বছর পর পর ভিসা রিনিউ করতে হয়। রিনিউ না করলে বৈধ ভাবে আপনি ইতালি তে বসবাস করতে পারবেন না। অর্থাৎ ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর থাকে। 

কাজের ভিসায় আপনি ইতালিতে যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রথমত ভিসা অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল ফি জমা দিতে হবে ও আপনার সকল প্রকার সঠিক কাগজপত্র ও জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট হতে সর্বোচ্চ প্রায় এক থেকে দুই মাসের মধ্যে।

২. ইতালিতে কাজের বেতন কত|ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

বর্তমান বিদেশগামী লোকের সংখ্যা ব্যাপক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোক যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।এক্ষেত্রে ইতালি ও বর্তমানে পিছিয়ে নেই ,বহু সংখ্যক লোক ইতালি যাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আছে ইতালিতে বেতন কত সে সম্পর্কে জানে না। তাই আজকে এই আলোচনা করবো ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য -

ইতালিতে সাধারণত গার্মেন্টসের কাজে গেলে সেখানে মাসিক বেতন দেয়া হবে আনুমানিক বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মতো।

এবং জাহাজ শিল্পে ইতালিতে কাজ করে তাদের মাসিক আনুমানিক বেতন ধরা হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৫ হাজার থেকে ১লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো।
এছাড়াও আপনি যদি রেস্টুরেন্ট এ শেফের কাজ করেন তাহলে বেতন দেওয়া হয় মাসিক প্রায় আনুমানিক বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো।

৩. ইতালিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি|ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

যারা ইতালিতে কাজের ভিসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা গিয়েছে তারা অনেকেই সঠিকভাবে জানে না ইতালিতে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে । নিম্নে আলোচনা করা হলো ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য -
  • গার্মেন্টসের কাজ
  • শেফ এর কাজ
  • কনস্ট্রাকশন এর কাজ
  • সেলসম্যান এর কাজ
  • হকারের কাজ
  • হোটেলের কাজ
  • জাহাজের কাজ
  • খাবার ডেলিভারি এর কাজ
  • বারের কাজ
সাধারণত এসব কাজগুলোর চাহিদা ইতালিতে অনেক বেশি। তাই এই কাজগুলোর বেতনও তুলনামূলক বেশি দিয়ে থাকে। আশা করি ইতালিতে কোন কাজের বা কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সে সম্পর্কে।

৪. ইতালি ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস|ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

ইতালি যেতে হলে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়।তাই আজকে এই অংশে আলোচনা করবো ইতালি যেতে কি কি ডকুমেন্ট দরকার হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য -
  • ইতালিতে যেতে সর্বপ্রথম আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • এবং সেই পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন 6 মাস থাকতে হবে।এছাড়া সর্বনিম্ন দুই টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের লাগবে যদি থাকে।
  • এছড়াও লাগবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • আপনার একটি মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এর প্রমাণপত্র হিসেবে টিকা কার্ড বা সনদ পত্র এর প্রয়োজন হবে।
সাধারণত এই ডকুমেন্ট গুলো লাগে যেকোনো দেশে আবেদন করতে হলে সেই রকম ইতালি তে যেতে হলেও।তবে এছাড়াও যদি অন্য আরও কোনো কাগজপত্র লাগে সেক্ষেত্রে এম্ব্যাসি থেকে আপনে জানতে পারবেন। আশা করি,বুঝতে পেরেছেন আপনারা ইতালি আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তার বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে।

৫. বাঙালিরা ইতালিতে কি কি কাজ করে| ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

বাঙালিরা ইতালিতে কি কি কাজ করে: সাধারণত আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা ইতালিতে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ,তারা জানতে চায় যে সেখানে বাঙালিরা আসলে কি ধরনের কাজ গুলো করে থাকে। তাই আপনাদের কথা ভেবেই আজকে এই অংশে আলোচনা করবো ইতালিতে বাঙালিরা কোন ধরনের কাজ করে সে সম্পর্কে-
  • রেস্টুরেন্ট
  • জাহাজ
  • কনস্ট্রাকশন
  • ফুড ডেলিভারি
  • হকার
  • সেলসম্যান
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ফিল্ডে কাজ করে। আশা করি ইতালি তে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

৬. ইতালি যেতে কত টাকা লাগে |ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

বর্তমানে বহুসংখ্যক শ্রমিক কাজের ভিসা কিংবা অন্যান্য ভিসা তে ইতালিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বা যাচ্ছে।তবে এর মধ্যে অনেকেরই সঠিক ধারণা নাই যে ইতালিতে যেতে আসলে কত পরিমাণ টাকা লাগতে পারে এ সম্পর্কে।এই অংশে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো - 

যদি আপনারা বাংলাদেশ থেকে ইতালি তে বৈধভাবে যেতে চান এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে আপনার প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হবে।হয়তো অনেকেই এটা শুনে অবাক হতে পারেন যে এত কম টাকায় ইতালি যাওয়া কিভাবে সম্ভব।

অনেকেই আছে যারা সঠিক গাইডলাইনের অভাবে দালালের মাধ্যমে বিদেশ গিয়ে থাকে।যার জন্য বিপুল পরিমাণ একটা টাকার অংশ দালাল কে দিতে হয়।যদি আপনি দালালের মাধ্যমে ইতালি যেতে চান তবে এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে খরচ হবে আনুমানিক প্রায় 5 থেকে 7 লক্ষ টাকার মতো।তবে অনেক ক্ষেত্রে তারা আরো বেশি টাকা নিয়ে থাকে।কিন্তু আপনি যদি কোনো দালাল কিংবা কারো মাধ্যমে না যেয়ে নিজে সবকিছু আবেদন করতে পারেন তাহলে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েই ইতালিতে যেতে পারবেন।

আশা করি ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ।

৭. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: ইতালি  বৈধভাবে যেতে কত টাকা লাগে? 

উত্তর: দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মতো।

প্রশ্ন ২:ইতালিতে কাজের বেতন কেমন?

উত্তর: আনুমানিক ৭৫ থেকে ১লক্ষ ৫০ হাজার এর মতো।

প্রশ্ন ৩: ইতালিতে বাঙালিরা কি কি কাজ করে?

 
উত্তর:রেস্টুরেন্ট ,কনস্ট্রাকশন, ফুড ডেলিভারি।


৮. লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে বা যেকোনো বিষয়ে আপনাদের কোনো অভিযোগ বা মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন The DU Speech এর সাথেই থাকবেন। ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে হোক বা যেকোনো বিষয়ে আমরা আপনাদের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবো।


লেখক: খাদিজা খা
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
জেলা: শরিয়তপুর



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url