OrdinaryITPostAd

বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি? বিস্তারিত জানুন

বর্তমানে বহুসংখ্যক কর্মী কাজের ভিসায় বিদেশে যাচ্ছে।কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই আছে যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে কোন কাজে তারা বিদেশে যাবে বা সেখানে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি।তাই অনেকেই বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসেই বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে সকল তথ্য জানা সম্ভব। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে । তাই বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. বিদেশে কোন দেশের কাজের বেতন কত
  2. বিদেশে যেসব কাজের চাহিদা বেশি
  3. বিদেশ যেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
  4. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  5. লেখকের মন্তব্য

১. বিদেশে কোন দেশের কাজের বেতন কত|বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

অনেকেই আছে যারা বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা এর মধ্যে যারা গিয়েছে তারা অনেকেই সঠিকভাবে জানে না যে সেখানে শ্রমিকের মাসিক বেতন কত করে।তাই আজকে এই অংশে আলোচনা করবো বিদেশে কোন কাজের শ্রমিকের বেতন কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য -

প্রত্যেকটি দেশে তাদের নিজস্ব শ্রম আইন অনুযায়ী সে দেশের শ্রমিকদের সঠিক একটি বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে থাকে। এছাড়াও সাধারণত শ্রমিক কি ধরনের কাজ করে তার উপর নির্ভর করে বেতন এর পার্থক্য হয়ে থাকে।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করেছে।বিদেশে কোন দেশের বেতন কত টা আলোচনা করা হলো-
  • ফ্রান্স শ্রম বাজারে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি প্রায় ১৫৫৫ ইউরোর মতো।তবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা অনুসারে পরবর্তীতে বেতন কিছুটা বাড়তে পারে।
  •  কানাডা শ্রম বাজারে শ্রমিকের সর্বনিম্ন মজুরি হবে আনুমানিক প্রায় প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ২০ ডলার এর মধ্যে। কানাডার সরকারের আইন অনুযায়ী বেতন দিতে হবে আপনাকে কোনোমতেই কোনো কোম্পানি ইচ্ছে মত বেতন দিতে পারবে না।
  • সৌদি শ্রম বাজারে শ্রমিকের সর্বনিম্ন মজুরি হবে আনুমানিক প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার সৌদি রিয়াল।অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৮ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকার পরিমাণ।
অর্থাৎ বিদেশে মিনিমাম ৩০ থেকে শুরু করে এক এক দেশে এক এক রকম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে থাকে।

২.বিদেশে যেসব কাজের চাহিদা বেশি|বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

যারা বিদেশে কাজের ভিসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা গিয়েছে তারা অনেকেই সঠিকভাবে জানে না বিদেশে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে । নিম্নে আলোচনা করা হলো বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য -

  • ডাইভিং এর কাজ:মোটামুটি অনেক দেশেই ড্রাইভিং এর বেশ চাহিদা রয়েছে।তাই দেখা যায় বিদেশে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে ড্রাইভিং।ফলে ড্রাইভিং ভিসায় আপনি যদি বিদেশ যান এবং সেখানে গিয়ে ঠিকঠাক ভাবে ড্রাইভিং করতে পারেন তাহলে মাসে আনুমানিক প্রায় ৪০ থেকে থেকে এক লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সেটা দুবাই ,কাতার,সৌদি,কুয়েত সিঙ্গাপুর ইউরোপ কিংবা আমেরিকা কানাডা বা অস্ট্রেলিয়া। মূলত ড্রাইভিং পেশা হলো বিদেশে খুবই ডিমান্ডিং একটি কাজ।

  • হোটেল,রেস্টুরেন্ট এর কাজ: যারা বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যদি তারা আগে থেকেই হোটেল বা রেস্টুরেন্ট রিলেটেড কাজ শিখে যায় অর্থাৎ বাবুর্চি এসব বিভিন্ন কাজ জানেন তাদের বেতন সর্বনিম্ন হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো। এসব কাজের চাহিদা বিদেশে তুলনামূলক বেশি।তবে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এসব কাজের চাহিদা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। 

  • ফাস্টফুডের কাজ: বিদেশে সাধারণত পিৎজা,কফিশপ, বার্গার, চিজ এ সকল ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় কাজগুলো রয়েছে তাদের চাহিদা ব্যাপক।তাই এসব কাজ জানা থাকলে বিদেশে গিয়ে আপনার কাজের জন্য কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। এসব কাজে অন্যান্য কাজের থেকে কষ্ট তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।যারা বিদেশে এসব কাজ করেন তাদের বেতন প্রতিমাসে আনুমানিক প্রায় ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

  • কনস্ট্রাকশন এর কাজ:বিশ্বের যে দেশেই আপনি যান না কেনো কনস্ট্রাকশনের কাজের চাহিদা সব সময় বেশি অন্যান্য কাজ থেকে।কিন্তু চাহিদা বেশি থাকলেও এসব কাজের একটু কষ্ট বেশী। বেশিভাগই এই ধরনের কনস্ট্রাকশন এর কাজ গুলো বাঙালিরা করে থাকে।এসব কাজের মধ্যে কিছু কিছু কাজ আবার একটু সহজ রয়েছে যেমন ইলেকট্রিক্যাল বা প্লাম্বার এর কাজ। এসব কাজে আপনি দক্ষ হলে যেকোনো দেশেই যান না কেনো ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

  • এসি টেকনিশিয়ান বা ফ্রিজ এর কাজ:এসব এসি টেকনিশিয়ান অথবা ফ্রিজের সকল কাজগুলো আপনি যদি জানেন তাহলে বিদেশে এসকল কাজগুলো ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদিও এসব কাজের চাহিদা অনেক কিন্তু সেই অনুযায়ী শ্রমিক নাই।খুব অল্প পরিমান শ্রমিকই এসব এসি টেকনিক্যাল কাজ গুলো করে থাকে।তাই বেতন তুলনামূলক বেশি এই কাজে।

সাধারণত এসব কাজগুলোর চাহিদা বিদেশে অনেক বেশি। তাই এই কাজগুলোর বেতনও তুলনামূলক বেশি দিয়ে থাকে। আশা করি বিদেশে কোন কাজের বা কোন কাজগুলো চাহিদা বেশি আপনারা বুঝতে পেরেছেন সে সম্পর্কে।

৩. বিদেশ যেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস|বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

বিদেশ যেতে কি কি ডকুমেন্ট বা যোগ্যতা প্রয়োজন:
বিদেশে যেতে হলে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়।তাই আজকে এই অংশে আলোচনা করবো বিদেশ যেতে কি কি ডকুমেন্ট দরকার হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য -
  • বিদেশে যেতে সর্বপ্রথম আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • এবং সেই পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বনিম্ন 6 মাস থাকতে হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি।
  • আপনার এনআইডি কার্ড লাগবে যদি থাকে।
  • এছড়াও লাগবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট 
  • আপনার একটি মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এর প্রমাণপত্র হিসেবে টিকা কার্ড বা সনদ পত্র এর প্রয়োজন হবে।
  • একটি ব্যাংক একাউন্ট 
  • টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র
  • কাজের অভিজ্ঞতা ও প্রমাণপত্র
  • আবেদনকারীর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য
সাধারণত এই ডকুমেন্ট গুলো লাগে যেকোনো দেশে আবেদন করতে হলে সেই রকম বিদেশে যেতে হলেও।তবে এছাড়াও যদি অন্য আরও কোনো কাগজপত্র লাগে সেক্ষেত্রে এম্ব্যাসি থেকে আপনে জানতে পারবেন। আশা করি,বুঝতে পেরেছেন আপনারা বিদেশে ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তার বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে।

৪. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

উত্তর: ড্রাইভিং, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২: বিদেশ যেতে কি কি ভিসা রয়েছে?

উত্তর: টুরিস্ট,কৃষি,কাজের,স্টুডেন্ট,জব ইত্যাদি ভিসা।

আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ

৫. লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে বা যেকোনো বিষয়ে আপনাদের কোনো অভিযোগ বা মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন The DU Speech এর সাথেই থাকবেন। বিদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে হোক বা যেকোনো বিষয়ে আমরা আপনাদের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবো।


লেখক: খাদিজা খা
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
জেলা: শরিয়তপুর



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url