OrdinaryITPostAd

অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম



রেলওয়েকে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন ধরা হয়। তাই দূরপাল্লার যে কোনো ভ্রমণে সবাই ট্রেন ব্যবহারেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে বর্তমানে ট্রেনের টিকিট পাওয়া অত্যন্ত দুঃসাধ্য। তবে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই ট্রেনের অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না কীভাবে সহজে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা হয়। এই আর্টিকেলটা তাদের জন্য। এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি কীভাবে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এছাড়াও এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব--

ট্রেনের টিকিট ক্রয়, বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, ট্রেনের টিকিট বুকিং, মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস-২০২৪

সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন উত্তর
০১. অনলাইনে কি ট্রেনের টিকিট কাটা সম্ভব? হ্যা, সম্ভব। 
০২. টিকিট কাটাতে কি কি লাগে?  স্মার্ট ফোন/ ল্যাপটপ, এনআইডি কার্ড।
০৩. কতদিন আগে অনলাইনে টিকিট কাটতে হয়?  ৫-১০দিন
০৪. ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপের নাম কি?  Rail Sheva
০৫. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু কোনটি?
০৬. যমুনা রেলওয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য কত কি.মি.? ৪.৮কি.মি.।
০৭. বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রেলওয়ে স্টেশন কোনটি? জগতি রেলওয়ে স্টেশন, কুষ্টিয়া, খুলনা।
০৮. বাংলাদেশ রেলওয়ে জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?  চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে। 
০৯. বাংলাদেশ রেলওয়ের হেড অফিস কোথায় অবস্থিত? ঢাকা।



আর্টিকেল সূচিপত্র - অনলাইনে ট্রেনের টিকট কাটার নিয়ম!

  1. মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
  2. বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার উপায়
  3. কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
  4. ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময়
  5. ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপ
  6. চার্ট তৈরির পরে কি টিকিট বুক করা যায়
  7. অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কি প্রিন্ট-আউট করতে হবে
  8. অনলাইন ট্রেনের টিকিট কি প্রিন্ট-আউট করতে হবে
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম  
  10. লেখকের মন্তব্য 

১. মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম - অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম। 

বর্তমানে মোবাইলে ঘরে বসে যেকোনো সময় অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট কাটা সম্ভব। তবে আমাদের ভিতর অনেকেই মোবাইল থেকে কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা যায় তা জানেন না। আজকে আমরা অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।


যেভাবে মোবাইল থেকে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে হয়--

  •  মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (eticket.railway.gov.bd) ‘রেজিস্টার’ অপশনে গিয়ে মোবাইল নম্বর, এনআইডি নাম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। আপনার নাম্বর যদি আগে থেকেই নিবন্ধিত থাকে তাহলে ‘লগ ইন’ করুন।
  • তারপর কোন স্থান থেকে ট্রেনে উঠবেন, গন্তব্য, ভ্রমণের তারিখ, কোন শ্রেণিতে ভ্রমণ করবেন সেসব অপশন সিলেক্ট করুন। তারপরই পছন্দের সিট বেছে নেওয়ার অপশন পাবেন।
  • এরপর কোন সিট নিতে চান সেটা সিলেক্ট করুন। 
  • এবার অনলাইনে পেমেন্ট করুন সম্পন্ন করলেই টিকিট আপনার নামে বুক হয়ে যাবে।
  • বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাই করে নিবন্ধন ছাড়া কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না।
  • ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
  • পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিট ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে ও বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
  • এছাড়াও আপনারা অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট কাটতে আপনার মোবাইলের Google Play store থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল Rail Sheba অ্যাপটি আপনার মোবাইলের ইনস্টল করতে পারেন।অ্যাপ ইনস্টল করতে না চাইলে Google Chromeর করেও টিকিট বুকিং করতে পারবেন।

উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ করে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন।

মোবাইলের মাধ্যমেই আপনারা সহজে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারবেন। এর ফলে আপনাদের ভোগান্তিও কমবে এবং সহজে অগ্রিম টিকিটও কাটতে পারবেন। 

রেলের টিকিট কাটতে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। কাউন্টার, অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কিনতে চাইলে যাত্রীরা অনলাইন অথবা মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে যে কোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

লম্বা লাইনে সারাদিন দাঁড়িয়েও অনেক সময় ট্রেনের টিকিট মেলে না। আবার ঈদ ও বিভিন্ন সরকারি ছুটির সময় টিকিট পাওয়া আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে আপনি এখন থেকে খুব সহজেই ঘরে বসে মোবাইল থেকেই অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বুকিং করতে পারবেন।

টিকিট কেনার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে জাতীয়-পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেনার সময় যে যাত্রী ভ্রমণ করবেন তার এনআইডি লাগবে। যাত্রীর এনআইডি যাচাই করা হবে। 

২. বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার উপায়। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার পরে আমরা কনফিউশানে পড়ি যে কিভাবে টাকা পেমেন্ট করব। ট্রেনের টিকিট কেটে এখন বিকাশই টাকা পেমেন্ট করা সম্ভব । বিকাশ থেকে যেভাবে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কাটবেন সে বিষয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।

যেভাবে বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে-- 
  • আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপের প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন।
  •  আপনার মোবাইলের/ ল্যাপটপের বিকাশ অ্যাপটি ওপেন করে নিন। 
  • মেনু বার থেকে টিকিট অপশনটি সিলেক্ট করুন ।
  • সেখান থেকে আপনি চাইলে বিমান বা লঞ্চ মুভি এবং ট্রেনের টিকিট কাটার অপশন দেখতে পাবেন। 
  • ট্রেন সিলেক্ট করে বাংলাদেশ রেইলওয়ে অপশনে সাবমিট করুন।
  • এবার আপনাকে বাংলাদেশ রেইলওয়ের ওয়য়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। আপনার যদি পূর্বে বাংলাদেশ রেইলওয়ের ওয়য়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে তাহলে নিম্নের লিঙ্কের https://eticket.railway.gov.bd/মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।
  • এরপর আপনার মোবাইলে 6 ডিজিটে একটি Verification Code পাঠানো হবে এবং Code টি দিয়ে Verify করতে চাওয়া হবে। আপনার মোবাইলে আসা Code টি 45 সেকেন্ডের মধ্যে সঠিকভাবে লিখে Continue বাটনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাউন্টে Log In হবে। লগইন হওয়ার পর Disclaimer এর শর্ত মেনে I AGREE করুন।
  • লগইন করার জন্য ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিন।
  • এবার আপনার কাঙ্খিত যাত্রা শুরু স্টেশন, গন্তব্য, তারিখ, সিটের শ্রেণী, প্যাসেঞ্জার স্ট্যাটাস ইত্যাদি বসিয়ে Find অপশনে ক্লিক করুন।
  • পরবর্তী অপশনে ট্রেন এবং সময় সিলেক্ট করুন এবং Details এ গিয়ে Purchase এ প্রবেশ করুন। আপনি ইচ্ছে করলে ট্রেনের সিট অটো অথবা ম্যানুয়ালি সিলেক্ট করতে পারেন।
  • সবশেষ Buy Ticket এ ক্লিক করে  i Agree তে প্রবেশ করুন।
  • সবশেষ নিজের বিকাশ এর পিন দিয়ে টিকেট কনফার্ম করুন।
  • টিকিট কনফার্ম হলে ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনার টিকেট পেয়ে যাবেন সেটি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।
  • ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
  •  যদি টিকিট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয় কিংবা টাকা কেটে নিলেও যদি ই-টিকিট ইস্যু না হয়, তাহলে বিকাশের ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করে আপনার সমস্যার কথা জানান। এছাড়া ই-মেইল করুন ‘support@eticket.railway.gov.bd’ এই ঠিকানায়।
উপরের বিষয়গুলো সুন্দরভাবে লক্ষ করে আপনি বিকাশ থেকে সহজেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। আমাদের মোটামুটি সবারই বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে। তাই খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে টিকিটের টাকাও পেমেন্ট করা যাবে।


৩. কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

কাউন্টারে গিয়েও ট্রেনের টিকিট কাটা সম্ভব। সেক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া সেখানে গিয়েও আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে। আর এটা আপনাকে অবশ্যই করতে হবেনিবন্ধন ছাড়া আপনি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না। এছাড়াও আপনি অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেন। 

যেভাবে কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটবেন-- 


  •  রেল স্টেশনে উপস্থিত হয়ে স্টেশনের নোটিশ বোর্ডে লক্ষ্য করুন। সেখানে অবশ্যই উল্লেখ করা থাকবে আপনি কোন কাউন্টারে গেলে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পাবেন। সেই কাউন্টারে উপস্থিত হন।
  • কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে আপনি টিকেট বিক্রেতাকে আপনার যাত্রার তারিখ এবং যাত্রা শুরু ও শেষ স্থান উল্লেখ করুন। আপনাদের সুবিধার্থে একটি বিষয়ে খুব ভালোভাবে বলে দেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট আপনি সর্বোচ্চ 5 দিন আগে কিনতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে বলতে হয় আপনি যদি 6 তারিখে যাত্রা করতে চান তাহলে আপনি এই অগ্রিম টিকিট 1 তারিখ হতে কিনতে পারবেন।
  • এরপরে টিকিট বিক্রেতা আপনাকে ট্রেনের নামগুলো বলবে এবং সময় উল্লেখ করে দিবে। আপনি নির্দিষ্ট ট্রেন নির্বাচন করে দিবেন এবং আপনার কতটি সিট প্রয়োজন সেটি তাকে বলে দিবেন।
  • আপনি কাউন্টারে টিকিট করার ক্ষেত্রে মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ (সাল/মাস/দিন) এসএমএস পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে।
  • ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • এরপর কাউন্টারে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট দেখালেই টিকিট পেয়ে যাবেন
  • টিকিট  বিক্রেতা টিকিট কাটা সম্পন্ন করে টিকিটের মূল্য আপনার কাছে চাইবে। আপনি টিকিটের মূল্য পরিশোধ করে স্টেশন ত্যাগ করার পূর্বে একবার টিকিটটি ভালো করে লক্ষ্য করে নিবেন।

উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজে কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

পূর্বে সবাইকেই  কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হত।  কিন্তু  বর্তমানে আধুনিকায়নের ফলে মানুষ সহজেই অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারে। ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে।

বর্তমান নতুন নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে প্রতিটা যাত্রীর এনআইডি ভেরিফাই করে টিকেট ক্রয় করতে হবে। আর আগের নিয়ম বাতিল করে এখন ট্রেনের শতভাগ টিকিটই অনলাইনে পাওয়া যায়।

৪. ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময়। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে যাত্রীদের ব্যাপক ঝামেলায় পড়তে হত। কাউন্টারে গিয়ে লাইন ধরে থাকতে হত ঘন্টার পর ঘন্টা।  কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সুবিধা থাকার জন্য যাত্রীরা খুব সহজে টিকিট কাটতে পারেন।

যখন আপনি টিকিট কাটতে পারবেন--
  1. বর্তমানে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার যেকোন সময়ে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা যায়। 
  2. আপনি যেদিন ভ্রমণ করবেন তার ৫ দিন পূর্বে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। 
  3. একজন ব্যক্তি কতদিন আগে তার ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবে সেটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের রেল ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি টি জারি করা হয় 9 মার্চ 2021 সালে। 

  4. সাধারনত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে পূর্ববর্তী ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আরো জানায় যে রেলপথে যাত্রীরা 10 দিন আগে আগাম টিকিট কাটার এই সুযোগটি হারাচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বারা জানানো হয় যে 10 দিনের পরিবর্তে 5 দিন আগে থেকেই রেলওয়ে টিকিট অগ্রিম কাটা যাবে।

  5.  সকল রেলপথে যাএীরা তার যাত্রা দিনের 5 দিন আগে থেকে আগাম টিকিট কাটতে পারবে। 

  6. বাংলাদেশের সকল রেলপথের সকল যাত্রীদের এবং সকল ট্রেনের জন্য প্রযোজ্য।

  7. উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় আপনি যদি মাসের 6 তারিখে আপনার যাত্রা শুরু করতে চান তাহলে আপনি 5 দিন আগে অর্থাৎ 1 তারিখ থেকেই ট্রেনের আগাম টিকিট কিনতে পারবেন।

উপরের বিষয় লক্ষ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

কখন টিকিট কাটতে পারব কখন টিকিট কাটতে পারব না এই নিয়ে আমাদের সকেলর মাঝে বিভ্রান্তি কাজ করে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা এ বিষয়ে সুন্দরভাবে জানতে পারবেন।  এছাড়াও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

ট্রেনের মাধ্যমে খুব সহজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়া যায়। এর জন্য অনেকেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। সাধারণত ট্রেনে মানুষকে জ্যামের ঝামেলা সহ্য করতে হয় না। এইজন্য দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তাই অনেকেই তাদের যাত্রা পথে ট্রেনকে বাছাই করতেই পছন্দ করে। তাছাড়া বর্তমানে ট্রেনের টিকিট অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব। ফলে মনুষ খুব সহজেই অনলাইনে টিকিট কাটতে পারছেন।

৫. ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপ। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জনগনের সুবিধার জন্য অফিসিয়াল অ্যাপ তৈরি করেছে৷ যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। অ্যাপটির নাম Rail Sheba।


  • প্রথমে স্মার্ট ফোনের প্লে-স্টর থেকে Rail Sheb App টি ডাউনলোড করতে হবে।
  • এরপর সাইন আপ অপশনে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার পরে খুব সহজেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। 
  • অ্যাপটির মাধ্যমে একসঙ্গে ৫০০ মানুষ ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবে।
  • অ্যাপটির মাধ্যমে ঘন্টায় ১৫ হাজার টিকিট কাটা যায় অর্থাৎ প্রতি মিনিটে আড়াইশ টিকিট কাটতে পারবেন।   
  • একই সঙ্গে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
  • টিকিটের অর্থ প্রদানের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং -সহ চারটি উপায়ে।
  • অ্যাপটির মাধ্যমে ট্রেনের অবস্থান, ট্রেনের সময়সূচি -সহ দেয়া যাবে খাবারের অর্ডার।

কোন অ্যাপ থেকে সহজে ট্রেনের টিকিট কাটা যায় এটা অনেক মানুষেরই প্রশ্ন থাকে। অনেকই এই অ্যাপ সম্পর্কে জানেন না।  এর ফলে আপনাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা খুবই সহজে এই বিষয়ে জানতে পারছেন। Rail Sheba -এই অ্যাপটির মাধ্যমেই আপনারা সহজেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। এটির ফলে সাধারণ জনগন খুব দ্রুত অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারে।

ট্রেনের বাংলা অর্থ রেলগাড়ী।  জর্জ স্টিফেনসের প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডে ১৮২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের সর্বপ্রথম ট্রেনের চালু হয়।  ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে নামক কোম্পানি প্রথম বাংলাদেশে রেলপথ স্হাপন করে। ১৮৬২সালের ১৫ই নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলপথ স্হাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেল যুগে প্রবেশ করে। বর্তমান বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৮৭৭ কিঃ মিঃ রেললাইন নেটওয়ার্ক দেশের ৪৪টি জেলায় সংযুক্ত। 

বাংলাদেশের সবথেকে বড় রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন( দাপ্তরিক নাম ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন) এটি  বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকয় অবস্থিত। ২০২১ সালের হিসেবে বাংলাদেশে মোট রেলওয়ে স্টেশন ৪৯৩ টি । পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের সাথে রেলওয়ের সম্পর্ক স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতুতে ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে।

আধুনিক বিভিন্ন উন্নয়নের সংস্পর্শে ট্রেনেরও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগে মানুষকে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য টিকিট কাউন্টারে গিয়ে ভীড় করতে হত। এখন অনলাইনে ঘরে বসে মানুষ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারে। ফলে তারা খুব সহজে ভ্রমণ করতে পারে ভোগান্তি ছাড়া।

এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পারেন। 

৬. চার্ট তৈরির পরে কি ট্রেনের টিকিট বুক করা যায়। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

হ্যা। যদি ট্রেনে সিট পাওয়া যায়, তাহলে চার্ট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত-সাধারণ কোটার টিকিট এবং তৎকাল কোটার টিকিট উভয়ই -আপনি টিকিটবুক করতে পারবেন। সাধারণত, প্রথম চার্টটি মূল স্টেশন থেকে ট্রেনের নির্ধারিত প্রস্থানের প্রায় ৪ ঘন্টা আগে প্রস্তুত করা হয়।

  • ট্রেনের ভ্রমণ সকলেই পছন্দ করেন। যাত্রাপথে মানুষ ট্রেনের ব্যাবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে মানুষ কনফিউশানে থাকে কিভাবে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সুযোগ প্রদান করেছেন। 
  • যার ফলে এখন সাধারণ মানুষ খুবই সহজে অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। যাত্রীরা তাই তাদের ভ্রমনের পূর্বেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারে কোন জামেলা ছাড়াই। চার্ট তৈরি করা হয় ট্রেন ছাড়া পূর্বে। যদি সিট খালি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন।
বর্তমানে ট্রেনের মাধ্যমে ভারতেরও যাওয়া যায়। মৈত্রী এক্সপ্রেস বা ঢাকা-কলকাতা এক্সপ্রেস একটি আন্তর্জাতিক  মানসম্পন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা য় যাতায়েত করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও মিতালি এক্সপ্রেস -এই তিনটি ট্রেন দুই দেশের ভিতর চলাচল করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস দীর্ঘ ৫২ বছর পরে পুনরায় চালু হয়। এর ফলে প্রয়োজনে দুই দেশের মানুষ সহজে যাতায়েত করতে পারছেন।

৭. ট্রেনের টিকিট ফেরত দেয়ার নিয়ম কি। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

ভ্রমনেরর জন্য অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার পরে যদি আপনার যাওয়া বাতিল হয় তাহলে আপনি ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। 

যেভাবে আপনি টিকিট ফেরত দিবেন---
    • টিকিট ফেরত এর ক্ষেত্রে 48 ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দিলে নির্দিষ্ট পরিমান চার্জ কেটে টিকিট ফেরত নেওয়া হবে। এসি টিকিট 40 টাকাপ্রথম শ্রেণি 30 টাকা এবং অন্যান্য 25 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    • 48 ঘণ্টার কম সময় টিকিট ফেরত দিতে চাইলে মূল টিকিটের টাকার পরিমান হতে 25% টাকা কেটে রেখে টিকিট ফেরত নেওয়া হবে।
    • 24 ঘন্টা অথবা তার চেয়ে কম যেমন 12 ঘন্টা বেশি থাকার সময় অবস্থায় টিকিট ফেরত দিতে চাইলে ওল্ড টিকিটের টাকা থেকে 50% টাকা কেটে নিয়ে বাকি টাকা সহ ফ্রি টিকিট ফেরত নেওয়া হবে।
    • আপনি যদি 12 ঘন্টার কম এবং ছয় ঘন্টার উপরে টিকিট ফেরত দিতে চান তাহলে আপনাকে মূল টিকিটের 75% টাকা কেটে নিয়ে টিকিট ফেরত নেওয়া হবে।
    • রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়ে দিয়েছে যে ছয় ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে আপনি যদি টিকিট ফেরত দিতে চান তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
    • পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ কর্যদিবসের মধ্যে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন। 
    • তবে কেন কারণে টাকা ফেরত না পেলে সমস্যার বিবরণসহ  support@eticket.railway.gov.bd -এই ঠিকানায় মেইলে একটি অভিযোগ করতে হবে। 
    • মেইলের উত্তর যাত্রীকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানে হবে। 
    • এর মাধ্যমে মানুষের অনেক সহজে তার টাকা ফেরত পেতে পারবেন।

উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে আপনি আপনার ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে  পারবেন এবং টাকাও ফেরত পেতে পারবেন। এর ফলে মানুষ সহজে ভোগান্তি ছাড়া অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবে।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য মানুষ এখন সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারে। অনেক সময় টিকিট কাটার পরে যাওয় বাতিল হতে পারে বিভিন্ন কারনে। ফলে সাধারণ মানুষের টিকিটের টাকা কিভাবে ফেরত পেতে পারে তা নিয়ে ভাবতে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন নিয়ম চালু করার জন্য এখন সাধারণ মানুষ কেন ভোগান্তি ছাড়াই টিকিটের টাকা ফেরত পেতে পারে।

৮. অনলাইন ট্রেনের টিকিট কি প্রিন্ট-আউট করতে হবে। -অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।


অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার পরে মানুষ ভাবতে থাকে ট্রেনের টিকিট কি প্রিন্ট-আউট করতে হবে কি হবে না। তাই এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই এই বিষয়ে জানতে পারবেন। 

আপনাকে যা করতে হবে--
  • আপনার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে যদি টিকিট কাটেন তাহলে প্রিন্ট-আউট করার প্রয়োজন নেই তবে আপনি চাইলে করতেও পারেন। 
  • তবে আপনি যদি অন্য কারো এনআইডি দিয়ে টিকিট ক্রয় করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রিন্ট- আউট করে নিবেন। হতে পারে ট্রেনের ভিতর আপনি যেকোন সমস্যায় পড়তে পারেন টিকিট প্রিন্ট-আউট না করার কারনে।
উপরের বিষয় অবশ্যই আপনারা  ট্রেনে ভ্রমনের সময় লক্ষ রাখবেন। না হলে ট্রেনের ভিতরে অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে পারেন। তাই আগেই সতর্ক থাকা ভালো। 

অনলাইনে  ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য আপনাকে এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। অনলাইনে ট্রেনের  টিকিট সংগ্রহ করা সহজ তবে আপনাকে সকল বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রথমদিকের ট্রেনগুলো দড়ি দিয়ে ঘোরা দিয়ে বা মধ্যাকর্ষণের টান চালিত হত। তবে উনবিংশ শতকের  প্রথম বাগ হতে প্রায় সকল ট্রেন বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ দ্বারা  চালিত হতে শুরু করে। ১৯১০ এর দশক থেকে বাষ্কচালিত লোকোমোটিভের স্থলে ডিজেল ও বৈদ্যুতিক লোকোমোটবের ব্যবহার শুরু হয়।
সড়ক পথে যানজট এবং নৌপথে দূর্ঘটনা এড়াতে রেলপথের ব্যবহার অনেক।


বর্তমানে ট্রেনের মাধ্যমে ভরতেও যাওয় সম্ভব। 

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম।

প্রশ্ন ১: কয়দিন আগে টিকেট কাটতে হয়?

উত্তর: ৫-১০ দিন।

প্রশ্ন ২: বিকাশ থেকে কি টিকিটের টাকা পেমেন্ট করা যায়?

উত্তর: হ্যা। খুব সহজেই।

প্রশ্ন ৩: ট্রেনের টিকিট কালেক্টরের কাজ কি?

উত্তর: টিকেট কালেক্টর ট্রেনের ভিতরেও টিকেট চেক করে আবার স্টেশনের গেইটেও টিকেট চেক করে। তারা শুধু যাত্রীদের টিকিট চেক করে।

প্রশ্ন ৪: ট্রেনের টিকিটের দাম কত?

উত্তর: দুরত্ব ভেদে টিকিটের দাম নির্ধারিত হয়।

প্রশ্ন ৫: অনলাইনে কখন ট্রেনের টিকিট কাটা যায়?

উত্তর: প্রায় ৪০টি।

প্রশ্ন ৮: ট্রেনের জরিমানা কেমন?

উত্তর: বিনা টিকিটে ধরা পড়লে হাজতবাস এবং জরিমানা উভয়েরই বিধান রয়েছে। ২৫০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা  পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। 

প্রশ্ন ৯: ট্রেনের কেবিনে কতজন করে যেতে পারে?

উত্তর: সিঙ্গেল কেবিনে ২জন। ডাবল কেবিনে ৪জন যেতে পারবেন।

প্রশ্ন ১০: বিদেশি নাগরিক কি ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন?

উত্তর: হ্যা। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে করতে পারবেন। 

১০. লেখকের মন্তব্য - অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম। 

ধরুন, আপনি দূরে কোথাও ভ্রমণে যাবেন। এই দীর্ঘ ভ্রমণের বিরক্তিকর সময়টা উপভোগ্য করার জন্য সাথে করে কিছু বই নিলেন, বাসের মধ্যে বসে পড়বেন বলে। কিন্তু যাত্রাপথে ইট-পাথুরে সড়কের ধুলাবালি, চিৎকার-চেঁচামেচি, গাড়ির হাইড্রোলিক হর্নের তীব্র শব্দ আর দূষিত কালো ধোঁয়া আপনার সব পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিল। বই পড়া তো দূরে থাক, একটু পরপর গাড়ির শক্ত ব্রেকের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতেই বেগ পেতে হচ্ছে।

অথচ রেলের কথা ভাবুন, দিগন্তবিস্তৃত সবুজ মাঠের মাঝখান দিয়ে ঝকঝক রব তুলে ছুটে চলেছে ট্রেন। ট্রেনের জানালা খুলে দিতেই প্রকৃতির স্নিগ্ধ শীতল হাওয়া আপনার হৃদয়ে পরশ বুলিয়ে দিল, হাতে একখানা হুমায়ুন আহমদের বই আর এক হাতে চায়ের কাপ, যাত্রাপথে এর চেয়ে উপভোগ্য সময় আর হতে পারে না। বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে জানালা দিয়ে চোখ বোলালেই সবুজের ওপারে আবছা গ্রামগুলো দেখা যায়। 

কখনও সবুজ ধানের মাঠ, কখনও সারি সারি খেজুর গাছ, কখনও আঁকাবাকা গ্রামীণ মেঠো পথ, কখনও সর্পিলাকার নদী, কখনও আবার বিলের বিস্তৃত জলরাশি; সবকিছুই উপভোগ করা যায় ট্রেনে চড়ে।

ট্রেনে ভ্রমন করতে কে না পছন্দ করে। বাহিরে না গিয়ে ঘরে বসে যদি টিকিট কাটা সম্ভব হয়, তাহলে তো আরও ভালো অনেক ভোগান্তি থেকে বাঁচা যায়। ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটার সেবাটি চালু হওয়ার ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার সমস্যাটা এখন অনেক কমে গেছে। 

কারণ বাংলাদেশের রেলওয়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে। সেবাটি চালু হওয়ার কারণে মানুষ এখন অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ক্রয়ের জন্য আগ্রহী হচ্ছে। ফলে  মানুষের সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভোগান্তিও কমেছে। 

অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকিট সহজে কাটার জন্য আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন। তাহলে আপনারা খুব সহজেই যেকোনো জায়গার বসে অনলাইনে আপনার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। তবে আপনাকে সতর্ক হয়ে সকল বিষয় লক্ষ রেখে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ হবে। কারণ আপনার কিছু ভুলের জন্য যেকোন সমস্যা হতে  পারে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি জাতীয় সম্পদ। টিকিট না কিনে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভ্রমণ করবেন না। ভ্রমণের সময় ট্রেনের টিকিট কিনুন এবং অন্যদেরকেও তা করতে উৎসাহিত করুন। 
আপনারা এছাড়াও অন্যান্য বিষয় জানতে আপনারা The DU Speech Website  -এর আর্টিকেল গুলো পড়তে পারেন।


এই আর্টিকেলের-

লেখক: মোসা: জান্নাতুল 
পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: বরিশাল


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url