OrdinaryITPostAd

ফ্রান্সে বেতন কত? | ফ্রান্স কাজের ভিসা সম্পর্কে জানুন

অনেকেই ফ্রান্স যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু ফ্রান্সে বেতন কত? এই সম্পর্কে সঠিকভাবে না জানার কারণে আমেরিকার ভিসার জন্য  আবেদন করতে পারছেন না। তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে ফ্রান্সে বেতন কত? এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ফ্রান্সে বেতন কত? এই সম্পর্কে যারা জানতে চান আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. ফ্রান্স কাজের ভিসা
  2. ফ্রান্সে কেন যাবেন?
  3. ফ্রান্সে কাজের ভিসা কি পাওয়া যাচ্ছে?
  4. ফ্রান্সে কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
  5. ফ্রান্সের ভিসা পাওয়ার উপায় এবং ভিসা খরচ
  6. ফ্রান্সে কাজের বেতন এবং চাহিদাসম্পন্ন কাজ
  7. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  8. লেখকের মন্তব্য

১.ফ্রান্স কাজের ভিসা | ফ্রান্সে বেতন কত?

অনেকে মনে করেন যে ফ্রান্সে বৈধ ভাবে যাওয়া যায় না। তারা মনে করে থাকে শুধুমাত্র অবৈধভাবে যেতে হয় ।কিন্তু এই ধারণাটি একবারে সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। এই কথাগুলো শুধুমাত্র দালালরা বলে থাকে। কারন আপনার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করে তারা। তাই এই বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট। বর্তমান সময়ে খুব সহজেই আপনি ফ্রান্সে বৈধভাবে পারমিট বা কাজের ভিসা নিয়ে খুব সহজেই সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। তার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন আছে সেই বিষয় নিয়ে নিয়েছি আমরা তুলে ধরব। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ফ্রান্সে যাওয়ার উপায় এবং ফ্রান্সে বেতন কত এই সম্পর্কে।

সরকারিভাবে আপনি খুব সহজেই ফ্রান্সে যেতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে কঠিন কোন বিষয় নিয়ে কাজ করা লাগবে না। আপনি ফ্রান্সে কাজের ভিসা নিয়ে কীভাবে যাবেন বা কিভাবে সেখানে কাজ করবেন এবং ফ্রান্সে বেতন কত এসকল বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণরূপে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।আপনি যদি ফ্রান্সের ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সেখানে যেতে চান তাহলে অনেকগুলো সুবিধাই আপনি পাবেন। যেমন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব খুব সহজে লাভ করা যাবে। এছাড়াও ফ্রান্সের বেতন তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের থেকে অনেকটাই বেশি। সেইসাথে ফ্রান্সে যেতে হলে আপনাকে অন্য দেশের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে না। আপনি সরাসরি বাংলাদেশ থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন।

২.ফ্রান্সে কেন যাবেন? | ফ্রান্সে বেতন কত?

ফ্রান্সে আপনারা ভিসা নিয়ে কেন যাবেন? কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় ফ্রান্সে বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। আপনি সেখানে যদি শুধুমাত্র হোটেল কর্মী হিসেবে কাজ করেন তাহলে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মাসে এক লক্ষ বিশ হাজার থেকে শুরু করে আপনি মাসে  থেকে ২ লক্ষ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। কেননা ফ্রান্সে তুলনামূলকভাবে কাজের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমস্ত কাজের উপর দক্ষ লোক নিয়োগ দিচ্ছে বর্তমানে। তাই বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাহিদা মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক ভাবে শ্রমিককে নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। এজন্য বর্তমানে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে শ্রমিকদের জন্য।

৩.ফ্রান্সে কাজের ভিসা কি পাওয়া যাচ্ছে? | ফ্রান্সে বেতন কত?

বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে ফ্রান্সের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রান্সের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে আপনি ফ্রান্সে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন আছে। সেগুলো যদি আপনি ঠিকঠাকমতো জমা দিতে পারেন তাহলে খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে আপনি ফ্রান্সে যেতে পারবেন। অথবা বাংলাদেশে কোনো সময় যদি এজেন্সির মাধ্যমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে খুব সহজেই ফ্রান্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কিছুমাত্রায় খরচটা একটু বেড়ে যেতে পারে।তবে স্বাভাবিকভাবে খুব একটা বেশি বাড়ে না।

দিল্লির মাধ্যমে সরাসরি আপনি পাসপোর্ট করে খুব সহজে যেতে পারবেন এবং ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। তবে খরচ একটু বেশি হয়। তাও আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ ফ্রান্সে অবৈধভাবে পাড়ি জমাচ্ছে। যেমন বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে সেই দেশ থেকে ফ্রান্সে যাচ্ছে।যাওয়ার পরে সেখানে পুলিশের হাতে ধরা দিচ্ছে। অবৈধ ভাবে গেলে  একসময় দেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

৪.ফ্রান্সে কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস | ফ্রান্সে বেতন কত?

আপনি যদি ফ্রান্সের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে তাদের দেওয়া কিছু রিকোয়ারমেন্ট আপনাকে ফিলাপ করতে হবে। তারপরে আপনি ফ্রান্সের ভিসা বা ফ্রান্সের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হাতে পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। তাই চলুন কি কি প্রয়োজন তা বিস্তারিত নিচে দেখে নিন।
  1. এক বছর মেয়াদি পাসপোর্ট
  2. পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি
  3. এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  4. আপনার নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি
  5. আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
  6. নির্দিষ্ট কোন কাজের প্রতি দক্ষতা প্রমাণ
  7. ইংরেজি ভাষায় অভিজ্ঞতা
  8. চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র
উপরোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে লাগবে। এগুলো নিয়েই আপনি ভিসা অফিসের মাধ্যমে বা ফ্রান্স এম্বাসি মাধ্যমে খুব সহজেই ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।তবে যাওয়ার আগে ফ্রান্সে বেতন কত তা জানতে হবে।

৫.ফ্রান্সের ভিসা পাওয়ার উপায় এবং ভিসা খরচ | ফ্রান্সে বেতন কত?

ফ্রান্সের ভিসা আপনি দুই ভাবে পাবেন।বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসা নিতে পারবেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে ফ্রান্সের এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবেন। তবে আপনি সর্বদা দালালের মাধ্যমে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। তা না হলে দালাল আপনার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। বাংলাদেশের অনেক বৈধ এজেন্সি ফ্রান্সের ভিসা সার্ভিস দিয়ে থাকে তাদের মাধ্যমে নিবেন।

ফ্রান্সের বিভিন্ন ভিসার ক্যাটাগরী অনুযায়ী ফ্রান্সের ভিসার দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। যেমন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য মিনিমাম ৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে এবং টুরিস্ট ভিসার জন্য মিনিমাম ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে। অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি দিল্লি এম্বাসির মাধ্যমে ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে মোটামুটি 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাই এটি নির্ভর করে এজেন্সির ওপর।

৬.ফ্রান্সে কাজের বেতন এবং চাহিদাসম্পন্ন কাজ | ফ্রান্সে বেতন কত?

বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যারা কাজ করতে যাচ্ছে তারা চাইলে ড্রাইভিং ভিসা সহ হোটেল কর্মী রেস্টুরেন্ট, চেয়ারম্যান, পাইপ ফিটিং, ক্লিনিং, মেডিকেল ক্লিনিক, সহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে পারবে। এক্ষেত্রে মাসে এক থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। তবে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এই সমস্ত কাজগুলোতে জয়েন্ট করা লাগবে এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজে যেতে হবে।তা না হলে আপনি ভালো বেতনে কাজ পাবেন না।

বর্তমানে ফ্রান্সে ড্রাইভিং ভিসা সহ রেস্টুরেন্ট ভিসা এবং হোটেল ভিসা নিয়ে মানুষ কাজ করছে। বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়া থেকে যারা যাচ্ছে তারা এই সমস্ত কাজ বেশি করছে। মাস শেষে তারা এই সমস্ত কাজ করে এক লক্ষ থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসে ইনকাম করছে। তাছাড়াও ফ্যাক্টরি ভিসা এবং অন্যান্য কাজ করছে। তবে বর্তমানে ফ্রান্সে সবচেয়ে ডিমান্ডফুল কাজ হলো আইটি রিলেটেড কাজগুলো। যারা আইটি রিলেটেড এক্সপার্ট তাদের গুরুত্ব বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।

৭.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | ফ্রান্সে বেতন কত?

প্রশ্ন ১: কাজের ভিসায় ফ্রান্স যেতে হলে কত টাকা খরচ হবে?

উত্তর:৮-১০ লক্ষ টাকা।

প্রশ্ন ২:ফ্রান্সে কাজের বেতন কত?

উত্তর:১লক্ষ ২০ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

প্রশ্ন ৩: টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে ফ্রান্স যাওয়া যায় কিনা?

উত্তর: যাওয়া যায়।

৮.লেখকের মন্তব্য | ফ্রান্সে বেতন কত?

ফ্রান্সে বেতন কত? তা নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি ফ্রান্সে বেতন কত? এই সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন। ফ্রান্সে বেতন কত? তা নিয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সেটি আমাদের জানাতে পারেন। ফ্রান্সের ভিসা আবেদন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url