OrdinaryITPostAd

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?


আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আজকে তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন THE DU SPEECH এর পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? তা নিয়ে। সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? এ সম্পর্কে সকল কিছু জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. সিঙ্গাপুর ভিসা
  2. সিঙ্গাপুর যেতে খরচ
  3. সিঙ্গাপুর যাওয়ার বয়স কত
  4. সিঙ্গাপুর ভিসার ধরন
  5. ভিসা আবেদন করার নিয়ম
  6. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  7. সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন কত
  8. শর্তাবলী
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  10. লেখকের মন্তব্য

১.সিঙ্গাপুর ভিসা | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

যারা সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যায় তারা দুই মাধ্যমে কাজের উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। একটা অংশ দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত যারা আগে থেকে এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং অথবা কাজের সার্টিফিকেট নিয়ে সেখানে গিয়ে সরাসরি কাজ পেয়ে যাই। বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ অথবা বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে তারা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করে সেখানে কাজ করতে যায়। আর এক ধরনের জনগোষ্ঠী আছে যারা অদক্ষ হিসেবে যায় এবং সেখানে গিয়ে যে কোন ধরনের কাজে নিজেদেরকে নিযুক্ত করে।

২.সিঙ্গাপুর যেতে খরচ | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে ৫-৬ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। অবশ্যই এক্ষেত্রে কাজের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।

আধা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে হোটেল ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন, মেশিনারিজ, সেবামূলক কাজ ও গৃহকর্মীর জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেয়া যায়।

৩.সিঙ্গাপুর যাওয়ার বয়স কত | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

আপনারা অনেকেই সিঙ্গাপুরে যেতে কত বয়স লাগবে এ বিষয়ে জানতে চান ।এই অংশে আমরা সিঙ্গাপুর যাওয়ার বয়স নিয়ে আলোচনা করব। সিঙ্গাপুর যেতে হলে আপনার পাসপোর্টে ২১ বছর বয়স থাকতে হবে।আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের জন্য জেতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্টে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ২১ বছর। তা না হলে আপনার ভিসা গ্রহন করা হবে না। ২১ বছর হলেই আপনি সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৪.সিঙ্গাপুর ভিসার ধরন | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

সিঙ্গাপুর যেতে হলে অবশ্যই সিঙ্গাপুরের ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে হবে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য কি কি ভিসা পাওয়া যায় সেগুলো নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করছি।

ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান পাস

উচ্চ উপার্জনকারী পেশাদার যাদের ইতিমধ্যেই একটি বিদ্যমান কর্মসংস্থান পাস রয়েছে বা তারা বিদেশী পেশাদার।

ওয়ার্ক পারমিট (বিদেশী কর্মী)

আধা-দক্ষ বিদেশী কর্মী যারা সিঙ্গাপুরে নির্মাণ, উৎপাদন, সামুদ্রিক, শিপইয়ার্ড, প্রক্রিয়া বা পরিষেবা খাতে নিযুক্ত।

এন্ট্রি পাস

বিদেশী উদ্যোক্তা যারা সিঙ্গাপুরে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে এবং পরিচালনা করতে চান।

প্রশিক্ষণ ওয়ার্ক পারমিট

আধা-দক্ষ বিদেশী প্রশিক্ষণার্থী বা ছাত্র যারা সিঙ্গাপুরে 6 মাস পর্যন্ত ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

পূর্ব-অনুমোদিত

ইমিগ্রেশন এবং চেকপয়েন্ট অথরিটি (ICA) দ্বারা জারি করা দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাস/দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাস ধারণকারী সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের যোগ্য স্বামী/স্ত্রী বা সন্তান বা PR- দ্রষ্টব্য: দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাস/দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাস

বিবিধ ওয়ার্ক পাস

বিদেশী যারা সিঙ্গাপুরে 60 দিন পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী কাজের অ্যাসাইনমেন্ট নিতে চান।

দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাস

পিতামাতা, সাধারণ আইনজীবী, সৎ সন্তান বা যোগ্য কর্মসংস্থান পাস বা এস পাস ধারকদের প্রতিবন্ধী সন্তান।

ডিপেন্ডেন্ট পাস

স্বামী/স্ত্রী এবং যোগ্য কর্মসংস্থান পাস ধারক বা এস পাস ধারকদের সন্তান।

৫.ভিসা আবেদন করার নিয়ম | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো আমরা আপনার সাথে আলোচনা করছি। সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে হলে আপনাকে এ নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে কাজ করতে হবে। তাছাড়া সিঙ্গাপুর ভিসার যে কোন তথ্য জানতে এবং সিঙ্গাপুরের ভিসা অনলাইন আবেদন করতে এই লিংকের https://www.mfa.gov.sg/Overseas-Mission/Dhaka/Consular-Services/Overview-Visa-Information/Visa-Information মাধ্যমে আপনারা করতে পারবেন।
  • সিঙ্গাপুরে আগমনের তারিখ থেকে কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতা সহ বৈধ পাসপোর্ট।
  • আবেদনপত্রের 1 সেট যথাযথভাবে সম্পূর্ণ (ফর্ম 14A) 
  • সিঙ্গাপুরের একটি স্থানীয় কোন ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠান দ্বারা ইস্যু করা পরিচিতি পত্র (LOI- Letter of Introduction): সামাজিক ভিজিটরের জন্য, যেকোনো সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা, যার বয়স কমপক্ষে 21 বছর, স্থানীয় পরিচিতি হিসেবে কাজ করতে পারে। ব্যবসায়িক ভিজিটরের জন্য, একটি সিঙ্গাপুর নিবন্ধিত কোম্পানি/সংস্থা স্থানীয় পরিচিতি হিসেবে কাজ করতে পারে। LOI অবশ্যই একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে, যার বয়স কমপক্ষে 21 বছর হতে হবে।
  • একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি: ছবিটি গত ৩ মাসের মধ্যে তুলতে হবে ফটোগ্রাফ রঙিন হওয়া উচিত, একটি ম্যাট বা আধা-ম্যাট ফিনিশ সহ একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের বিপরীতে তোলা উচিত ছবিতে অবশ্যই সম্পূর্ণ মুখ এবং হেডগিয়ার ছাড়াই দেখাতে হবে (ধর্মীয় বা জাতিগত রীতিনীতি অনুসারে পরা হেডগিয়ার গ্রহণযোগ্য তবে মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি লুকানো উচিত নয়)। আবেদনকারীর পাসপোর্টের বায়োডাটা পৃষ্ঠার ফটোকপি।

৬.প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

যে কোন দেশে যেতে চাইলে আপনার অবশ্যই কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।সিঙ্গাপুরে যেতে হলে আপনার যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হয়েছে।
  • সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত কারো থেকে আমন্ত্রণপত্র।
  • ভিসা ফি বাবদ ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার।
  • ফ্লাইটের তারিখ থেকে আরো কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট
  • পাসপোর্টে কমপক্ষে ১টি খালি পাতা আছে।
  • ৩ মাসের মধ্যে তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।

৭.সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন কত | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

বিদেশে যাওয়ার কথা হলেই সর্ব প্রথমে আসে বেতনের কথা। কারন এতগুলো টাকা খরচ করে যাবো আর কত টাকা কামানো যাবে এটা জানবো না? তাই আপনাদের সিঙ্গাপুর বেতন সম্পর্কে কিছু ধারণা দিতে কিছু আলোচনা করবো। আপনারা সবাই জানেন করো বেতন কখনো নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। আপনাদের ধারণা দেওয়ার জন্য বলছি যারা নতুন সিঙ্গাপুরে যায় তাদের সর্বনিম্ন বেসিক বেতন 18 থেকে ২১ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ওভারটাইম ডিউটি করার মাধ্যমে এর দেড়গুণ পেয়ে থাকে। মাস শেষে নতুন কর্মীরা ৯০০ থেকে ১২০০ ডলার পর্যন্ত পায়। তবে বেশি হওয়া সেটা ওভারটাইম এর উপর নির্ভর করে। বাংলা টাকায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।

যারা পুরাতন কর্মী এবং মাল্টিস্কিল আছে তাদের বেতন বেশি। ওভারটাইম মিলিয়ে মাসে ১৫০০ থেকে ১৭০০ ডলার পর্যন্ত পায়। আর যাদের (S) এস পাশ আছে সিঙ্গাপুরে তাদের বেসিক বেতন সর্ব নিম্ন ২৫০০ থেকে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়। এবং তারা যদি ওভারটাইম করে তাহলে মাস শেষে ৩৫০০ থেকে ৪ হাজার ডলার পায়। বাংলা টাকায় ২ লাখ টাকার আসে পাশে। তাই আমাদের পরামর্শ সিঙ্গাপুর গেলে প্রথম থেকেই নিজেকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করবেন। যত কাজের উপর আপনার স্কিল বাড়বে তত আপনার বেতন বাড়বে।

৮.শর্তাবলী | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে হলে এবং সিঙ্গাপুরে গিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে হবে।
  • আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে;
  • আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে;
  • আবেদনকারী শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত ওয়ার্ক পারমিটে উল্লিখিত কাজের সুযোগের মধ্যে কাজ করতে পারবেন;
  • উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও, সিঙ্গাপুরে কর্মরত বিদেশী কর্মীদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে;
  • অন্য কোনও ব্যবসায় অংশ নেবেন না বা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করবেন না;
  • শুধুমাত্র পেশায় এবং ওয়ার্ক পাস বা ওয়ার্ক পারমিট উল্লেখিত নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করুন;
  • জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা সিঙ্গাপুরের মধ্যে বা বাইরে স্থায়ী বাসিন্দা বিয়ে করবেন না;
  • চাকরির শুরুতে নিয়োগকর্তা যে ঠিকানায় সেট করেছেন শুধুমাত্র সেখানেই থাকুন।
  • সর্বদা মূল ওয়ার্ক পারমিট বহন করতে হবে।

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর |  সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? এ সম্পর্কে আপনাদের অনেক রকম প্রশ্ন থাকে। এই অংশে আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি।

প্রশ্ন ১:ভিসা ফি কত?
উত্তর:ভিসা ফি বাবদ ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার।
প্রশ্ন ২:বয়স কত হতে হবে?
উত্তর:আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
প্রশ্ন ৩: সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগতে পারে?
উত্তর:সিঙ্গাপুর যেতে ৫-৬ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।

১০. লেখকের মন্তব্য | সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুর বেতন কত?

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? এই সম্পর্কে। সিঙ্গাপুর  যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাবেন। সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে? সিঙ্গাপুরের বেতন কত? সম্পর্কে আপনাদের যেকোন মতামত আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। যেকোনো বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন ।ধন্যবাদ।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url