OrdinaryITPostAd

সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় [সর্বশেষ আপডেট]

সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় নিয়ে। সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় নিয়ে সকল তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। আশা করছি আপনারা সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. সৌদি আরব থেকে ইউরোপ
  2. সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার বৈধ উপায়
  3. অবৈধ ভাবে ইউরোপ যাওয়ার পর বৈধ হওয়ার উপায়
  4. ইউরোপ যাওয়ার পর করনীয়
  5. ইউরোপ এ চাকরি পাওয়ার উপায়
  6. Temporary Residence Card বা TR পাওয়ার উপায়
  7. Permanent Residence Card বা PR পাওয়ার উপায়
  8. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  9. লেখকের মন্তব্য

১.সৌদি আরব থেকে ইউরোপ | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

মহাদেশ হিসেবে ইউরোপ অনেক ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি মহাদেশ।শুধুই কি তারা ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সমৃদ্ধ?অর্থনীতিতেও তারা নিজেদেরকে করে তুলেছে অনন্য। অনেকগুলো যুদ্ধের মধ্য দিয়েই ইউরোপ বিপ্লব বা সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।কৃষি, শিল্প,প্রযুক্তি,অর্থনীতি সব দিকেই ইউরোপ এর বেশিরভাগ দেশ উন্নত।দেশগুলোর মানুষের জীবন-যাপন ও আয়-রোজগার খুবি উন্নত।এই জন্য অনেকেই ইউরোপ এ পাড়ি জমানোর স্বপ্ন দেখে।

অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরব থেকেও মানুষ আধুনিক ও উন্নত জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে ইউরোপ যাচ্ছে।অনেক সময় মানুষ সঠিক উপায় না বুঝেই এই স্বপ্ন পূরণ করতে বেরিয়ে পরেন।কেউ কেউ সফল হলেও আবার অনেকেই হচ্ছেন প্রতারিত।সঠিক এবং বৈধ উপায় অবলম্বন করলে সৌদি আরব থেকেও ইউরোপ যাওয়া সম্ভব।

২.সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার বৈধ উপায় | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

সৌদি আরব থেকে ইউরোপে মূলত তিনটি বৈধ উপায়ে যাওয়া যায়।নিচে উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।

টুরিস্ট ভিসা

টুরিস্ট ভিসায় সৌদি আরব হতে ইউরোপ যাওয়া যায়।সাধারনত নব্বই দিন বা তিন মাস মেয়াদে কোন দেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য যে ভিসা ইস্যু করা হয় তাকেই টুরিস্ট ভিসা বলে।এ ক্ষেত্রে আপনি যদি সৌদি আরব হতে ইউরোপ টুরিস্ট ভিসায় যেতে সক্ষম হন তবে আপনার প্রথম কাজ হবে সুবিধাজনক দেশে গিয়ে নব্বই দিনের ভিতর ই কোন কাজ যোগাড় করে নেয়া।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে হলে প্রথমেই ইউরোপ এর বিভিন্ন জব পোর্টালগুলো থেকে পছন্দ মতো চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। কোন দেশে চাকরির জন্য যে ভিসা দেওয়া হয় তাই হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ভিসায় খুব সহজেই ইউরোপ এর স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যায়।ইউরোপ এর দেশগুলোতে প্রায় সব সময় ই শ্রমিক এর শুন্যতা থাকে।আমরা নিজেরা চেস্টা না করে দালাল এর কাছে যাই বলেই পদ্ধতিটি আমাদের কাছে কঠিন মনে হয়।এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তিরা অগ্রাধিকার পায়।

স্টুডেন্ট ভিসা

স্টুডেন্ট ভিসায় সৌদি আরব হতে ইউরোপ যাওয়ার একটি বৈধ মাধ্যম হলেও এটি খুবি কম কার্যকর একটি উপায়। অন্য দেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার জন্য যে ভিসা ইস্যু করা হয় সে ভিসাকেই স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়।আপনার যদি স্নাতক করা থাকে তবে আপনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য এই ভিসায় এপ্লাই করতে পারেন।

আমরা সব সময়ই চেস্টা করবো উপরের আলোচিত তিনটি উপায় ছাড়া অন্য কোন উপায় এ ইউরোপে যাওয়ার চেস্টা না করতে।কারন অনেকেই না জেনে না বুঝে অন্ধভাবে অন্য কাউকে টাকা দিয়ে দেয় স্বপনের ইউরোপ ভিসার জন্য।

৩.অবৈধ ভাবে ইউরোপ যাওয়ার পর বৈধ হওয়ার উপায় | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

অবৈধ ভাবে কোন দেশে যাওয়া বা যাওয়ার চেস্টা করা কোন অবস্থাতেই উচিৎ নয়।এতে করে একদিক যেমন সময়,অর্থ, জিবন বিপন্ন হতে পারে ।একি ভাবে দেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুন্ন হয়।এতে সামগ্রিক ভাবে দেশেরই ক্ষতি হয়।তারপর ও যদি ইতিমধ্যে ইউরোপ এ অবৈধ ভাবে অবস্থান করেন তবে আপনার প্রথম কাজ হবে সহজেই বৈধ হওয়া যায় এমন একটি দেশে যাওয়ার চেস্টা করা। আপনি যদি কোন একটি শরণার্থী শিবিরে যেতে পারেন তবে বৈধ হওয়াটা আপনার জন্য সহজ হবে।শরণার্থী শিবিরে গিয়ে আপনি এমন একটি সমস্যার কথা জানাবেন যে, আপনি উক্ত সমস্যার কারনে দেশে যেতে পারছেন না।

আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারলে শরণার্থী শিবিরে আপনার থাকার এবং খাবারের ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।শরণার্থী শিবিরে দুই থেকে তিন বছর অবস্থান করার পর আপনি TR বা Temporary residence এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।এর পাঁচ থেকে দশ বছর পর আপনি PR বা permanent residence এর জন্য আবেদন করে ইউরোপ এর স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবেন।

৪.ইউরোপ যাওয়ার পর করনীয় | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

উল্লেখিত উপায়গুলোর যেকোন একটির মাধ্যমে যদি আপনি ইউরোপ এ পৌঁছাতে পারেন তবে আপনার ইউরোপ যাওয়ার প্রাথমিক কাজ শেষ।ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি যেতে পারেন তবে আপনার ঝামেলা আর নেই বললেই চলে।আর যদি টুরিস্ট অথবা স্টুডেন্ট ভিসায় যান তবে আপনার প্রথম কাজ হবে নব্বই দিনের ভিতর ই একটা কাজের ব্যাবস্থা করা।

৫. ইউরোপ এ চাকরি পাওয়ার উপায় | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

বেশির ভাগ মানুষ দেখা যায় যে ইউরোপ এ চাকরি পাওয়ার জন্য বড় এমাউন্ট এর টাকা দালালের পিছনে খরচ করে।এই ভাবে অনেকে চাকরি পেলেও ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী ভাইদের সংখ্যাই বেশি।প্রথমত এটি একটি অবৈধ কাজ।ফলে আপনার টাকা যদি বিফলে যায় তবে বিচার না পাওয়ার ও একটা সম্ভাবনা থাকে।এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ই দেখা যায় যে ভিক্টিম এর সময় এবং টাকা দুটিই গচ্ছা যায়।

এই জন্য সব থেকে ভালো হয় নিজে নিজেই চাকরি খুজে নেওয়া অথবা পরিচিত কারো সাহায্য নেওয়া।ফলে টাকাও নষ্ট হবেনা আবার কাগজ-পত্র এবং সকল নথিও বৈধ ভাবে সংরক্ষিত থাকবে।এতে আপনার স্থায়ী হতেও সময় কম লাগবে।

৬.Temporary Residence Card বা TR পাওয়ার উপায় | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

ইউরোপ এর বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই TR এর জন্য আবেদন এবং TR পাওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় একই।ইউরোপ এর যেই দেশেই আপনি যাবেন ওই দেশে কাজ পাওয়ায় পর আপনি নিশ্চয়ই থাকার জন্য বাসাভাড়া নিবেন।ইউরোপ এ বাসাভাড়া নেয়ার পর একটি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেওয়া হয়।TR পাওয়ার জন্য প্রথমেই দরকার হবে এই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার এবং বাড়িভাড়ার প্রমান পত্র।বাসার মালিকের কাছ থেকেই এইসব পেয়ে যাবেন।অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ যেমন, তারিখ, নাম ,ঠিকানা গুলো চেক করে নিবেন।

এরপর রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার,বাড়িভাড়ার প্রমান-পত্র এবং আপনার চাকরির এপয়েন্টম্যান্ট লেটার নিয়ে আপনাকে যেতে হবে উক্ত দেশে অবস্থিত ওই দেশের ইমিগ্রেশন অফিসে।ইমিগ্রেশন অফিসে উক্ত ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে।এর পর ইমিগ্রেশন অফিস আপনাকে ইউনিক ট্যাক্স নাম্বার দিবে।কোন কোন দেশে ট্যাক্স নাম্বার সাথে সাথে দিলেও অনেক দেশে এই নাম্বার পেতে কিছুদিন সময় লাগে।ট্যাক্স নাম্বার পাওয়া মানেই হলো আপনি ইতিমধ্যেই আপনি উক্ত দেশের নাগরিক হিসেবে ট্যাক্স দেয়া শুরু করে দিয়েছেন।এবার আপনি ভিসা অফিসে গিয়ে আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারেন।

এবার আপনার TR এর জন্য আবেদন এর পালা।আপনাকে ভিসা অফিসে ফিংগার প্রিন্ট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য অ্যাপয়েন্টম্যান্ট নিতে হবে।এক্ষেত্রে আপনার যাবতীয় কাগজ-পত্র ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে।ফিংগার প্রিন্ট দেওয়ার ডেট পেতে দেশ ভেদে আঁট থেকে দশ মাসের মত সময় লাগতে পারে।আপনার ই-মেইল অথবা আপনার বাসার ঠিকানায় ভিসা অফিস চিঠি পাঠাবে। ফিংগার প্রিন্ট দেওয়া সম্পন্ন হলে আপনাকে দেওয়া হবে Temporary Residence Card এবং আপনি হয়ে যাবেন উক্ত দেশের অস্থায়ী নাগরিক।

৭.Permanent Residence Card  বা PR পাওয়ার উপায় | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

TR পাওয়ার মাধ্যমেই আপনি কিন্তু উক্ত দেশের নাগরিক হয়ে গেছেন।এর পর দেশভেদে পাঁচ থেকে দশ বছর নিয়মিত ট্যাক্স দেওয়ার পর আপনি স্থায়ী বাসিন্দা বা Permanent Residentship এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৮. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

প্রশ্ন ১: Permanent Residentship এর জন্য কত বছর টেক্স দিতে হবে?

উত্তর: পাঁচ থেকে দশ বছর।

প্রশ্ন ২:সৌদি আরব থেকে ইউরোপে কয়টি বৈধ উপায়ে যাওয়া যায়?

উত্তর:সৌদি আরব থেকে ইউরোপে মূলত তিনটি বৈধ উপায়ে যাওয়া যায়।

৯. লেখকের মন্তব্য | সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় নিয়ে। আজকের আলোচনা সম্পর্কে আপনাদের যেকোন মতামত আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।  এছাড়াও সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কিত যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই জানাতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন।সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url