OrdinaryITPostAd

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা | ১০টি শ্রেষ্ঠ কবিতা

১৬ ডিসেম্বর বাঙালির জাতীয় জীবনের এক অনন্য ঘটনা। এই দিনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। তাই এই মহান ১৬ ডিসেম্বর দিনে বিজয় দিবসের কবিতা এর মাধ্যমে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা নিয়ে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ১০ টি কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই আর্টিকেল। আশা করি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এ কবিতা গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। 

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে কবিতা পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. কবিতা ১ : শীতের চাদরে এলো বিজয় | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  2. কবিতা ২ : দানবের উৎপাত শেষ হলো | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  3. কবিতা ৩ : শকুনেরা এখনো লাশের সন্ধানে | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  4. কবিতা ৪ : শিশুটি আজ বাংলা বলতে পারে না | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  5. কবিতা ৫ : বিজয় দিবসে আজ স্বাধীনতা ঝড়ে পড়েছে | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  6. কবিতা ৬ : আজ বুটের শব্দ নেই আছে পুলিশ | | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  7. বিজয়ে তুই পেলি বাড়ি ৫ তলা, আমি ভিক্ষার থালা | | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  8. কবিতা ৮ : বিজয়ের স্বাদ আজ তেতো | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  9. কবিতা ৯ : চিৎকার করি বাংলায় | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা
  10. কবিতা ১০ : তোদের বিষ দাঁত এখনো আমাকে কামড় দেয় | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম কবিতা :  শীতের চাদরে এলো বিজয়

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


একদিকে মুক্তুযোদ্ধাদের দুর্বার প্রতিরোধ 
অন্যদিকে ভারতীয় যৌথ বাহিনীর গতিরোধ।
সব কিছুর বিনিময়ে শীতের চাদরে সে এলো
সে স্বাধীনতা এলো সন্তানহারা মা আশা ফিরে পেলো।
যখন সবকিছুকে অন্ধকার গ্রাস করেছে,
শীতের তান্ডবে স্বাধীনতা কাঁপছে।
ভোরের শিশির ঝরে পড়ার আগে,
স্বাধীনতা এলো তড়িৎ আগে-ভাগে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দ্বিতীয় কবিতা :  দানবের উৎপাত শেষ হলো 

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

যে দাঁতাল দানবে 
ভরে গিয়েছিলো আমার আঙিনা
অবশেষে তাদের কবর রচনা করে
নতুন ভোরের ন্যায় 
দীপ্তিময় নতুন সূর্য 
দেখো তব ঐ পূর্ব দিগন্তে।
মায়ের,  বোনের ও ভাবির 
স্তন আকড়ে ধরেছিল যারা
তাদের ঐ ধারালো নখ আজ শকুনের অধিকারে।
১৬ ডিসেম্বর নতুন এক ভোর এলো,
দাঁতাল দানবের উৎপাত শেষ হলো।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তৃতীয়  কবিতা :  শকুনেরা এখনো লাশের সন্ধানে

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ভেবেছিলাম বিজয়ের এ মহা লগ্নে
নিশ্চিন্তে দ্বিধাহীন চিত্তে বিজয়ের 
লাল-সবুজ পতাকা ওড়াব।
কিন্তু দেখো যাদের নখে,
এখনো আবার বোনের স্তনের মাংশ লেগে আছে,
তাদের ছেড়ে দিয়ে
কীভাবে আমি নিশ্চিত হব?
যাদের নখের মধ্যে এখনো আমার মায়ের ছেড়া চুল
তাদের কি একটুও প্রাপ্য নেই সামান্যতম মাশুল?
ওরা আজও আমার দেশমাতৃকার স্তন নিয়ে নিতম্ব 
নিয়ে নিত্য খেলা করে বেড়াচ্ছে।
সেই শকুনেরা এখনো লাশের সন্ধানে
পুরো বাংলাদেশের চষে বেড়াচ্ছে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের চতুর্থ কবিতা :  শিশুটি আজ বাংলা বলতে পারে না

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দেখো ঐ কিউট শিশুটির ভোতা মুখ
যেটা আজ উর্দু বলতে বলতে ভোতা হয়ে গেছে!
দেখো ঐ শিশুটি আজ কান্না করতে পারছে না,
দেখো তবে কারাগার থেকে নেতার স্তব্ধতা আসছে না। 
প্রতিটি লাঠির বাড়িতে আপাদমস্তক 
বাঙালি থেকে বাংলা হয়ে বাংলাদেশ রুপ লাভ করছে।
তুমি কি কিছুই দেখো না? 
দেখো না আজ গোটা পৃথিবীর বুকে আঁচড় দিয়ে 
বাংলা নামকে এঁকে দিয়েছি।
এখন থেকে উর্দু নয়
বাংলায় হাসবে শিশুরা।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পঞ্চম  কবিতা :  বিজয় দিবসে আজ স্বাধীনতা ঝরে পড়েছে

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আজ বিজয় দিবস!
কিসের বিজয়,  সেদিন কার জন্য মেতেছিলাম?
কিসের জন্য সেদিনের জন্য এত্তো প্রতীক্ষা করেছিলাম?
এমন দেশ দেখার জন্য? 
কার জন্য ৩০ লক্ষ্য শহীদ হয়েছিল?
কিসের প্রয়োজন আমার বোন সভ্রম দিয়েছি?
এমন অরাজকতার জন্য?
আজ  এমন হাজারো প্রশ্নের জানি
নেই কোন জবাব, তারা সরে পড়েছে,
বিজয়ের এ দিনে স্বাধীনতা ঝরে পড়েছে!!

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ষষ্ঠ কবিতা :  আজ বুটের শব্দ নেই আছে পুলিশ

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কোথাও কি কোন আওয়াজ?
চুপ! একদম চুপ!
বুটের শব্দ শোনা যায় নাকি?
কই, না না পাক হানাদারদের আর বুটের শব্দে
কারও ঘুম কারও বিয়ে কারও সাংসার ভাঙে না!
এখন পুলিশের শব্দে ভেঙে যায় সব! একদম 
সব ভেঙে চুরে তছতছ হয়! হতেই হয়?
বিজয় এনেছিলাম আজ ওদের জন্য!
আমরা কেউ নই?

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সপ্তম কবিতা  :  বিজয়ে তুই পেলি বাড়ি ৫ তলা আমি ভিক্ষার থালা

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমার না কোন খিদে নেই,
আমার না কোন বস্ত্রে নেই
নেই কোন কিছুই নেই!
আমার কথা বলতে নেই..
আমার ঘুমোতে নেই!
আমার মুখে কথা নেই?
নেই আমার সত্যিই কিছু নেই?
আমার অর্জিত স্বাধীনতা নেই!
বিজয়ে তুই পেলি বাড়ি পাঁচ তলা, 
আমি ভিক্ষার থালা! 

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অষ্টম কবিতা :  বিজয়ের স্বাদ আজ তেতো

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সে সুমিষ্টতা আর নেই তোমাতে,
পারবে না ক্ষত আর সারাতে।
স্বাধীনতা নেই আজ ধরাতে।
মাস্তানদের আস্তানা পাড়াতে পাড়াতে।
স্বাধীনতা?  অনেক দিনের আগেই সেই সে তো
সত্যিই বিজয়ের স্বাদ আজ চরম তেতো!

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের নবম কবিতা : চিৎকার করি বাংলায়

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আজ খেয়ে না খেয়ে
মনের সুখে বাংলা বলি।
আজ রেগে,  আবেগে আপ্লুত হয়ে
বাংলার আল বেয়ে চলি।
চলনে বলনে বাংলাকে 
নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কেউ নায়
রেগে-মেগে আমি 
চিৎকার করি বাংলায়।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দশম কবিতা :  তোদের বিষ দাঁত এখনো আমাকে কামড় দেয়

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আবার গজিয়েছে তোদের বিষ দাঁত, 
ভাঙ্গা পড়বে তা আলবাত আলবাত।
আবার তোদের স্বাদ জেগেছে মানচিত্রকে
কালো থাবায় আকড়ে ধরার।
সে স্বাদ আজকে মিটিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।
ভালোবাসার নামে ভালো বলার নামে 
যে আকড়া তোরা গেড়েছিস 
তা উপড়ে ফেলার সময় তব উপস্থিত,
শেকড়সহ উপড়ে ফেলব তোদের যত ভীত!

১১. লেখকের মন্তব্য  | ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা 

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা, কেমন হয়েছে হয়তো অনেকের ভালো লাগবে আবার হয়তো লাগবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা লেখা আসলে বেশ দুরুহ কাজ।  এই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কবিতা বা যেকোন বিষয়ে আপনাদের মতামত বা জিজ্ঞাসা থাকলে নিচের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে কমেন্ট করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন আপনাদের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url