লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়া যেখানে অন্যান্য ইউরোপ দেশের তুলনায় জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক কম।নূন্যতম খরচে চলতে পারে বিদায় অনেকেই কাজের ভিসার জন্য লিথুয়ানিয়া কে পছন্দের তালিকায় রাখে। তাই লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনেকেই আগ্রহী। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসেই লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা এ সম্পর্কে সকল তথ্য জানা সম্ভব। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা সে সম্পর্কে । তাই লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)
- লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে
- লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসার মেয়াদকাল
- লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- লিথুয়ানিয়ায় কাজের বেতন
- লিথুয়ানিয়ায় কাজের ভিসা প্রকারভেদ
- লিথুয়ানিয়া ভিসার জন্য প্রাথমিক ডকুমেন্টসমূহ
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১. লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে|লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা
লিথুয়ানিয়া হলো উত্তর-পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্র। দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী ভিল্নিয়ুস ও বেলারুশ সীমান্তের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলের দিকে সুইডেনের বিপরীত তীরে অবস্থিত লিথুয়ানিয়া দেশটি।এবং পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছ বেলারুশ ও এর উত্তর সীমান্তে রয়েছে লাটভিয়া, এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে পোল্যান্ড ও কালিনিনগ্রাদ ওবলাস্ত নামক রুশ ছিটমহল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ লিথুয়ানিয়া। লিথুয়ানিয়া তে বর্তমানে কাজের ভিসার চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।কারণ ইউরোপীয় দেশ হলেও এখনো জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলক কম । এছাড়াও এখানে অন্যান্য দেশের তুলনায় কাজের চাহিদা ভালো এবং কাজের ভিসার সুযোগ সুবিধা ও ভালো রয়েছে।যার জন্যই মানুষ বর্তমানে এই দেশকে কাজের ভিসাতে প্রাধান্য দিয়েছে।
সুতরাং লিথুয়ানিয়া তে কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২. লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসার মেয়াদকাল|লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা
- লিথুয়ানিয়ায় কাজের ভিসার সময়কাল:এখানে একটি কাজের ভিসা সর্বোচ্চ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে এক বছরের মতো।পরবর্তীতে সেখানে আপনি চাইলে অস্থায়ী বসবাসের পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং এর মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার যে নিয়োগকর্তা সে ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করবেন।এছাড়া প্রতি বছর আপনাকে এটি রিনিউ করতে হবে।এবং পাঁচ বছর পরে আপনি চাইলে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি ও সেখানে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
৩. লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া|লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা
লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসার জন্য যা যা দরকার:লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই যা যা করতে হবে নিম্নরূপ -
- ওয়ার্ক পারমিট:দেশটি লেবার এক্সচেঞ্জ ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করে থাকে।তাই আপনার যে নিয়োগকর্তা আছে তাকে আপনার পক্ষ হয়ে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে।এছাড়া নিয়োগকর্তাকে পারমিট এর অনুমতি পাওয়ার জন্য লিথুয়ানিয়ার কর্মসংস্থান পরিষেবাগুলিতে আবেদন করতে হবে।তবে এর আগে কয়েকটি নথি প্রদান করতে হবে আপনাকে। তবে এটি মূলত কাজের ভিসার কি ধরনের সেটার উপর নির্ভর করে।মাইগ্রেশন বিভাগ ও নিয়োগকর্তা এ সম্পর্কে আপনাকে জানাবে।
- নিকটতম লিথুয়ানিয়া দূতাবাস:আপনার নিকটবর্তী কোনো কনস্যুলেট বা দূতাবাস খুঁজে নিতে হবে।এরপর আপনি লিথুয়ানিয়া তে অস্থায়ী বসবাস পারমিটের জন্য একটি আবেদন করতে হবে। এ জন্য অবশ্যই আপনাকে দেশের কাছে কোনো দূতাবাস/কনস্যুলেটে আপনার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
- ভিসার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ:এই ফর্মটি মূলত মাইগ্রেশন এর যে বিভাগ রয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।সেখান থেকে আপনাকে আপনার ভিসার ধরন বা আপনি যে টাইপের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেটি অবশ্যই আপনাকে উল্লেখ করে দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ : এসব প্রয়োজনীয় নথিগুলো র মধ্যে রয়েছে একটি ছবি,একটি পাসপোর্ট,এছাড়াও একটি বৈধ স্বাস্থ্য বীমা এসব নথি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট যোগ:নিকটবর্তী দূতাবাস বা কনস্যুলেটে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- ফিরতি উত্তরের জন্য অপেক্ষা:অর্থাৎ এসব কাজ সম্পূর্ণ হলে আপনাকে প্রক্রিয়াকরণের সময় থেকে সাধারণত চৌদ্দ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আপডেট জানার জন্য ।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
৪. লিথুয়ানিয়ায় কাজের বেতন|লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা
লিথুয়ানিয়া যারা কাজের ভিসাতে গেছে বা যেতে চান তারা অনেকেই সেখানে কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জানতে চায়। লিথুয়ানিয়া তে দেখা যায় সাধারণত মাসে আনুমানিক ৭০০ থেকে ১০০০ ইউরো দিয়ে থাকে। তবে যদি আপনি ওভারটাইম করতে পারেন তাহলে আরো বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম থাকায় বেতন এর বেশিরভাগ টাকা আপনি সেভ করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মুড সুইং এর আসল কারণ
৫. লিথুয়ানিয়ায় কাজের ভিসা প্রকারভেদ|লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা
অন্যান্য দেশের মতো বিদেশী নাগরিক ও লিথুয়ানিয়ার অভিবাসন এর জন্য কাজ করতে ইচ্ছুকদের একটি আইনের অনন্য সেট রয়েছে। আর সেটা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি অংশ।অর্থাৎ সকল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত রাষ্ট্র সমূহের নাগরিকদের কে কোনোরূপ ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট এর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্ত যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয় এরূপ দেশের নাগরিকদের রয়েছে ভিসার বিকল্প রয়েছে।
লিথুয়ানিয়ায় কাজ করতে হলে তাদের কে মূলত দুটি আলাদা নথি পেতে হবে: এর মধ্যে একটি হলো ওয়ার্ক পারমিট অন্যটি হলো লিথুয়ানিয়া প্রবেশ এবং থাকার জন্য।আর এ ভিসাটি হলো বিদেশী কর্মচারীদের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ভিসা যাকে জাতীয় ভিসা (D) হিসাবে পরিগণিত করা হয়।
৬. লিথুয়ানিয়া ভিসার জন্য প্রাথমিক ডকুমেন্টসমূহ|লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা
লিথুয়ানিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অধিকাংশ বিদেশী কর্মীদের তাদের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট দুটোই পেতে হবে।এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সেটা ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে থাকে।তবে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার মধ্যে কিছু সাধারণ প্রয়োজনীয়তা:
1. একই বৈধ পাসপোর্ট ও ছবি
2. আবেদনপত্র লাগবে
3. আবেদন ফি
4. স্বাস্থ্য বীমা
5.লিথুয়ানিয়া-ভিত্তিক কোনো কর্মচারী থেকে চাকরির প্রস্তাব
6. এছাড়াও প্রাসঙ্গিক কাজের যোগ্যতার ও অভিজ্ঞতা প্রমাণ লাগবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
৭. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন ১: লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসার প্রাথমিক মেয়াদ কত?
উত্তর: একবছর পর্যন্ত।
প্রশ্ন ২: লিথুয়ানিয়া কাজের জন্য কোন দেশ সমূহের ভিসা লাগে না ?
উত্তর: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ গুলোর।
প্রশ্ন ৩: লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসার প্রাথমিক এক বছর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কি আর বাড়ানো যাবে?
উত্তর: হা অবশ্যই, ভিসা রিনিউ এর মাধ্যমে বাড়ানো যাবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ
৮. লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা এ সম্পর্কে বা যেকোনো বিষয়ে আপনাদের কোনো অভিযোগ বা মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠন The DU Speech এর সাথেই থাকবেন।লিথুয়ানিয়া কাজের ভিসা এ সম্পর্কে হোক বা যেকোনো বিষয়ে আমরা আপনাদের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবো।
লেখক: খাদিজা খা
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জেলা: শরিয়তপুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url