OrdinaryITPostAd

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩

পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ হল কানাডা. আমাদের দেশের অনেক মানুষ সেই দেশে কাজ করার স্বপ্ন দেখে কিন্তু আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালে কিভাবে আবেদন করবে এবং এর খরচ কত হবে এই নিয়ে তাদের কোন ধারনা নেই । তাই তাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং তাদের কাজকে আর সহজ করতেই মূলত আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ নিবন্ধনটি লেখা। এখানে  আমেরিকা কাজের ভিসা খরচ,কিভাবে আবেদন করবে, কারা যেতে পারবে, কিভাবে চাকরি পাবে, ভিসার প্রক্রিয়া- এসব বিষয়ের উত্তর পাবেন আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলে। তাই সাথেই থাকুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা |
  2. ভিসার জন্য যোগ্যতা।
  3. ভিসার প্রকারভেদ |
  4. কিছু বিষয় নজরে রাখা প্রয়োজন।
  5. ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  6. আমেরিকা কাজের ভিসা আবেদন
  7. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  8. লেখকের মন্তব্য

১.আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩

আমেরিকায় গিয়ে যারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ আমেরিকা কাজ করার জন্য যায়। আপনিও যদি আমি একা কাজ করার জন্য যান তাহলে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসাকরতে হবে।বর্তমান সময়ে আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ চালু করা হচ্ছে। কিন্তু আমেরিকা ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দালাল সংস্থা চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। 

আপনাকে এরকম চটকদার বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকতে হবে। আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনার প্রথম করণীয় হল ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ভালো কথা বলতে পারেন। আপনার যদি ইংরেজি ভাষায় কোয়ালিফিকেশন অনেক ভালো থাকে। তাহলে খুব অল্প দিনে আপনি আমেরিকান ভিসা পেয়ে যাবেন।

২.ভিসার জন্য যোগ্যতা।আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩'

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালে পেতে আপনাকে একটু কস্ত করতে হবে কিছু যোগ্যতা অর্জনের জন্য। আর সেটি হলো ইংরেজি ভাষা শেখা।কারন আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে মোটামুটি ভাবে ইংরেজি ভাষা জানতে হবে এবং কিছুটা দক্ষও হতে হবে। আপনার যদি ইংরেজি ভাষার প্রতি বেশি দক্ষতা থাকে। তাহলে আমেরিকা কাজের ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবে। অনেকে আমেরিকা জব ভিসার জন্য IELTS স্কোর চেয়ে থাকে। 

আবার এমন অনেক আমেরিকান জব রয়েছে যেগুলোতে আপনি IELTS স্কোর ছাড়াই যেতে পারবেন, আপনি চাইলে এমন কোন কোম্পানীতে অ্যাাপ্লাই করবেন যেটাতে IELTS স্কোরের শিথিলতা রয়েছে। 
 আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথোপকথন করতে হবে আমেরিকায় কাজের সময়ে।

 তাই আমেরিকা যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা শিখতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় বায়ারদের সাথে কথা বলতে না পারেন। আমেরিকান কোম্পানি যখন আপনার ইন্টারভিউ নেবে, তখন যদি আপনি তাদের সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন। তাহলে আপনি কিন্তু আমেরিকার ভিসা পাবেন না এবং আমেরিকায় যেতে পারবেন না।  

৩.ভিসার প্রকারভেদ | আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালে যেতে বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালে  আমেরিকা যাওয়ার জন্য কিছু সেক্টর রয়েছে তার ভিতরে একটি হল H1B এই ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দক্ষ এস্পেশালিস্ট শ্রমিক আমেরিকায় যেতে পারবে। কিছু ক্যাটাগরী রয়েছে যেমন- H2A, H2B, H3, H4, L1 এবং L2 এ সকল ক্যাটাগরিতে আপনি যেতে পারেন আমেরিকা। এ সকল সেক্টরের ভিতর সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হল আপনার এইচ ওয়ান বি। এই সেক্টরে বিভিন্ন কোম্পানি দক্ষ কর্মী নিয়ে থাকেন

৪. কিছু বিষয় নজরে রাখা প্রয়োজন। আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩

বর্তমান সময়ে আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালে এসে চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকা ওয়ার্ড পারমিট ভিসা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দালাল সংস্থা চটকদার এবং মজাদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আপনাকে এরকম চটকদার বিজ্ঞাপন থেকে বিরত থাকতে হবে।আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তাছাড়া অন্ন কোন পথ নেই।আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনার প্রথম করণীয় হল ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া। 

আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ভালো কথা বলতে পারেন। আপনার যদি ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অনেক ভালো থাকে। তাহলে খুব অল্প দিনে আপনি আমেরিকান ভিসা পেয়ে যাবেন। আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য কখনো কোন দালাল সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হবেন না। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে ভালো কথোপকথন করতে পারেন না। কিন্তু একটি দালাল সংস্থা বলছে আপনাকে আমেরিকা ওয়ার্ক ভিসা করে দেবে। 

কিন্তু আপনি এখন ভাবুন, আমেরিকা ইংরেজি ভাষাভাষীর একটি দেশ। আপনি যদি আমেরিকায় গিয়ে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে না পারেন। তাহলে ওখানে গিয়ে আপনি কি কাজ করবেন। এ কারণে এরকম চটকদার কোন বিজ্ঞাপন দেখে ভিসার জন্য চুক্তিবদ্ধ হবেন না। আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে থাকুন। আমেরিকা কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত একই। আমেরিকা কাজের ভিসার মূল্য কখনো নির্ধারণ করা যাবে না। 

কারণ আপনি আমেরিকা গিয়ে যে কোম্পানিতে কর্মরত হবেন, সেই কোম্পানি যদি আপনার সকল খরচ বহন করে। তাহলে আপনার ভিসার খরচ কমে যাবে। আবার সেই কোম্পানি যদি আপনার খরচ বহন না করে। তাহলে আপনার ভিসা করতে অনেক টাকা লাগবে। কিন্তু সাধারনত আমেরিকা কাজের ভিসার মূল্য আনুমানিক ৮-১০ লক্ষ টাকার হয়ে থাকে। আপনাদের সামনে একটি আনুমানিক হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করলাম। 

৫. ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালের জন্য আপনাকে কিছু কাগজ পত্র হাতের সামনে রাখতে হবে। এবং সেগুলো হল-
  1. ভোটার আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধন পত্র।
  2. মেডিকেল ফিটনেস এর সনদ। 
  3. পাসপোর্ট সাইজ এর সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
  4. কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সনদ।
  5. লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস। 
  6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  7. বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট।
  8. স্পনসরকারীর মনোনয়ন পত্র।
  9. দেশী নাগরিকত্ব সনদপত্র।

৬.আমেরিকা কাজের ভিসা আবেদন। আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩

আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সালের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন- তা জানতে পারবেন আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ আর্টিকেলের এই পর্যায়ে, আমেরিকা কাজের জন্য আপনাকে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বর্তমানে আপনি চাইলে অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে এই https://bd.usembassy.gov/visas/  ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। 

তারপর আপনার সকল ইনফরমেশন দিয়ে আবেদন ফরম ফিলাপ করতে হবে। কিন্তু যারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন না। আপনারা চাইলে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করতে পারেন তারা আপানকে এই বিষয়ে সাহায্য করবে।। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনি ভিসা সংক্রান্ত কোন দালালের খপ্পরে পরবেন না এবং এসংক্রান্ত কোনো জালিয়াতের শিকার হবেন না। 

৯. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: কাজের ভিসার কোন সেক্টর টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়?

উত্তর:সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হল আপনার এইচ ওয়ান বি।

প্রশ্ন ২: ভিসা পেতে হলে ইংরেজিতে দক্ষতা লাগবে কিনা?

উত্তর: আমেরিকার ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে ।

প্রশ্ন ৩: আমেরিকা কাজের ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর: আমেরিকা কাজের ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।দুটি একই জিনিস।

প্রশ্ন ৪: আমেরিকার কাজের ভিসার খরচ কত?

উত্তর: আমেরিকা কাজের ভিসার খরচ আনুমানিক ৮-১০ লক্ষ টাকার মত হতে পারে।

১০. লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন যে ,আমেরিকা কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় কথা বলা শিখতে হবে। কারণ ইংরেজি ভাষায় কথা না বলতে পারলে আপনি কখনো আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। 

এ কারণে আপনাকে সর্বপ্রথম ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।তারপর আপনাকে বৈধভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাহলে আপনি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে পারবেন। আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিজের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন। আমেরিকা কাজের ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।



লেখক: আলামিন মজুমদার
পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: চাঁদপুর 



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url