OrdinaryITPostAd

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় | সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় জানুন

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়  সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসেই সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা
  2. ধাপ-১
  3. ধাপ-২
  4. ধাপ-৩
  5. ধাপ-৪
  6. ধাপ-৫
  7. ধাপ-৬
  8. ধাপ-৭
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  10. লেখকের মন্তব্য

১.সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

দক্ষিণ কোরিয়া EPS এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ হতে কর্মী নেয়। বাংলাদেশ হতে কর্মী নিয়োগের লক্ষে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের মধ্যে MoU চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্তানুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে BOESL এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পক্ষে HRD-Korea কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। BOESL নূন্যতম অভিবাসন ব্যয়ে একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০৮ইং সাল হতে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী প্রেরণ করছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

২.ধাপ-১ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

EPS ভিসার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো, কোরিয়ান ভাষার উপর দক্ষতা থাকা। এই ভাষা যে কোন ভাবেই শিখতে পারেন। সরকার স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ল্যান্গুয়েজ/ কোচিং সেন্টার কিংবা প্রাইভেট ইত্যাদি ভাবে। ভাষার উপর পরীক্ষা দুইভাবে হয়: (১) রিডিং পার্ট ও (২) লিসেনিং পার্ট।

ভাষা শিক্ষার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে সার্কুলারের। সার্কুলার BOESL-Bangladesh (Overseas Employment & Services Ltd.) এর মাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকাতে ও বোয়েসেল ওয়েবসাইটে(www.boesl.gov.bd ) পাবলিশ হবে । সার্কুলার হলে আপনাকে অনলাইনে প্রি-রেজিস্ট্রেশন (Pre-Registration) করতে হবে। অনলাইনে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে তা স্পষ্ট করে সার্কুলারে লিখা থাকবে। তবে পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। নাম, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল নাম্বার ও পাসপোর্টের কপি মধ্যে স্ক্যান করে eps.boesl.org.bd এর ওয়েবসাইটে প্রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য ডাটা ইনপুট করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হলে আপনাকে একটি কনফার্মেশন কপি পাবেন। যা আপনাকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

৩.ধাপ-২ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

যদি চাহিদার চেয়ে অনেক বেশী প্রি-রেজিস্ট্রেশন হয়,তখন সমস্ত রেজিস্ট্রেশন থেকে কোটা সমপরিমান লোক কম্পিউটারাইজড লটারির মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এই লটারিতে অনেকে ভাষা না জানা ব্যাক্তি রা চান্স পেয়ে যায় আবার ঠিক তেমনি ভাষার উপর ভালোভাবে পড়াশুনা করা দক্ষ ব্যাক্তিরাও বাদ পড়ে যায়।এটি সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিলেকশন, সুতরাং এখানে দুর্নীতি করার আপনার বা অন্য কারো ক্ষমতা থাকে না।

৪.ধাপ-৩ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

আপনি লটারির মাধ্যমে সিলেকশনের পর সব ধরণের কাগজপত্র যেমন:- অরিজিনাল পাসপোর্ট, ২০০০/- টাকার পে-অর্ডারের কপি, পাসপোর্টের A4 সাইজের কালার কপি, ২কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, প্রি-রেজিস্ট্রেশনের কনফার্মেশনের কপি একত্রিত করে আপনাকে স্বশরীরে বোয়েসেল গিয়ে মূল রেজিস্ট্রেশন  করতে হবে। এই রেজিস্ট্রেশনের প্রবেশপত্র  সংগ্রহ করে রাখতে হবে সবকিছু ঠিক করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

৫.ধাপ-৪ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

CBT (Computer Based Test) হবে। কম্পিউটারের সামনে বসে রিডিং পার্টে 20টি প্রশ্ন 5মার্ক করে ১০০মার্ক, সময় 25 মিনিট ও লিসেনিং পার্টে 20টি প্রশ্ন 25 মিনিট পরীক্ষা একসাথে দিতে হবে। পরিক্ষার শেষেই প্রাপ্ত নম্বর জানা যাবে। পরীক্ষা অপেক্ষাকৃত ভালো হলে পরবর্তী ধাপে এগুতে হবে।

ভাষা পরীক্ষায় পাশের পর স্কীল টেস্ট নামে আরও একটি পরীক্ষা হবে। স্কিল টেস্ট কেমন ও কিভাবে হবে তা অভিজ্ঞ ইন্সট্রাক্টরের কাছ থেকে বা যেকোন ল্যাংগুয়েজ সেন্টার থেকে জেনে নিতে হবে।সময়ের সাথে সাথে নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে, হয়তো আরও পরিবর্তন হবে এবং এ পরীক্ষায় বেশী মার্ক পাওয়ার জন্য মিনিমাম ১২০ঘন্টা উল্লেখ করা সার্টিফিকেট ও ছয়  মাসের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভোকেশনাল সার্টিফিকেট থাকলে অতিরিক্ত মার্ক হিসাবে যোগ হবে।

৬.ধাপ-৫ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

সব পরীক্ষায় পাশ করার পর PRS-Point Recruiting System -এর মাধ্যমে কোটা সমপরিমান লোক রেখে বাকিদের ডিলেট করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ যারা পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে তারা কোটাতে চান্স পাবে এবং বাকিরা বাদ পড়ে যাবে। সুতরাং একশোতে ৯৮ পেয়েও বাদ পরার আশাংকা রয়েছে অপরদিকে একশোতে ৬১ পেয়েও টিকে যেতে পারে।

৭.ধাপ-৬ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

PRS-Point Recruiting System -এ টিকে যাবার পর আপনাকে BOESL নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে। তারপর আপনার মেডিক্যাল চেকআপ ও অন্যান্য আরও কিছু চেকআপ করাসহ আরও কিছু টুকিটাকি কাজ করতে হবে এবং সেই রিপোর্টগুলো আবারো বোয়েসেল এ গিয়ে জমা দিতে হবে এবং জব এপ্লিকেশন ফরম নামক একটি ফর্ম অভিজ্ঞ ইন্সট্রাক্টরের কাছ থেকে বা যে কোন ল্যাংগুয়েজ সেন্টার থেকে পূরণ করে জমা দিতে হবে।

৮.ধাপ-৭ | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে রোস্টারভুক্ত করা হবে এবং আপনি ( www.eps.go.kr ) এই ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পাবেন। এখানে একটা আইডি খোলার পর আপনার সব ইনফরমেশন এখানে পাওয়া যাবে। আপনার কাজ হবে কিছুদিন পর পর আইডি তে ঢুকে খোজ খবর নেওয়া। এরপর কোরিয়ান
মালিকের উপর নির্ভর করবে। আপনার ছবি, বয়স, বায়োডাটা দেখে মালিক পছন্দ করার পর আপনার ভিসা ইস্যু হবে এবং HRD-Korea এর মাধ্যমে BOESL কে জানিয়ে দিবে। বোয়েসেল কর্তৃপক্ষ নোটিশ বোর্ডে দিবে এবং মোবাইলে কল করে আপনাকে জানিয়ে দিবে।

আপনাকে জানানোর পরে আপনাকে বোয়েসেল এ ৩টা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বোয়েসেল এর সার্ভিস চার্জ জমা করতে হবে। তারপর কোরিয়া বাংলাদেশ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (BKTTC) তে এক সপ্তাহব্যাপী একটা ট্রেনিং দেওয়া হবে।

৯.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে আপনাদের অনেক থাকে। এই অংশে কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১: EPS ভিসার প্রথম ও প্রধান শর্ত কি? 
উত্তর:EPS ভিসার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো কোরিয়ান ভাষার উপর দক্ষতা থাকা।
প্রশ্ন ২:যদি চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি প্রি-রেজিস্ট্রেশন হয় তখন কিভাবে নির্বাচন করা হয়??
উত্তর:যদি চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি প্রি-রেজিস্ট্রেশন হয়,তখন সমস্ত রেজিস্ট্রেশন থেকে কোটা সমপরিমান লোক কম্পিউটারাইজড লটারির মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ৩: কয়টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে বোয়েসেল এর সার্ভিস চার্জ জমা করতে হবে?
উত্তর:৩টা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বোয়েসেল এর সার্ভিস চার্জ জমা করতে হবে।

১০.লেখকের মন্তব্য | সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিজের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন। সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url