OrdinaryITPostAd

অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ | অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস ভিসা সম্পর্কে জানুন

অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ঘরে বসেই অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে সহজেই ধারণা লাভ করা সম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেল আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে।অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস ভিসা
  2. ভিসার ধরন
  3. ভিসার শর্ত
  4. ভিসার পয়েন্ট
  5. সরাসরি পার্মানেন্ট ভিসা
  6. ভিসা খরচ ও বিনিয়োগ
  7. টেম্পোরারি অ্যাক্টিভিটি ভিসা
  8. ভিসা পাওয়ার উপায়
  9. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
  10. লেখকের মন্তব্য

১.অস্ট্রেলিয়ায় বিজনেস ভিসা | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ ইনোভেশন এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম অস্ট্রেলিয়ায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এমন বিদেশি নাগরিকদের বিজনেস ভিসা অফার করে থাকে।

বিজনেস ইনোভেশন এবং ইনভেস্টমেন্ট ভিসা তিন প্রকার হয়ে থাকে, যথাঃ অস্থায়ী, শর্তপূর্ণ এবং স্থায়ী।

২.ভিসার ধরন | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

ভিসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ ভিসা হচ্ছে সাবক্লাস ১৩২ বিজনেস ট্যালেন্ট পার্মানেন্ট ভিসা। এই ভিসা মঞ্জুর হলে আবেদনকারী সরাসরি স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ পান। এ ছাড়া প্রভিশনাল ভিসা অর্থাৎ প্রথমে অস্থায়ী এবং পরে স্থায়ী এ ধরনের কিছু ভিসা রয়েছে। সাবক্লাস ১৮৮ ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী এবং বিনিয়োগ (বিজনেস ইনোভেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট) এ শ্রেণিতে কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে।

এগুলো হলো ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী ১৮৮ এ, বিনিয়োগ ১৮৮ বি, উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ১৮৮ সি এবং প্রিমিয়াম বিনিয়োগ ১৮৮ ডি। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী (বিজনেস ইনোভেশন) ভিসার শর্তপূরণ কিছুটা সহজসাধ্য। যেসব ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারীদের কমপক্ষে চার বছরের ব্যবসায়িক ও ব্যবস্থাপনাগত অভিজ্ঞতা আছে, তাঁরা এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ ভিসার মেয়াদ প্রায় চার বছরের জন্য হলেও পরবর্তীকালে ভিসা সাবক্লাস ৮৮৮-এর অধীনে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করা যাবে।

৩.ভিসার শর্ত | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

ব্যবসায়িক উদ্ভাবনী সাবক্লাস ১৮৮ এ ভিসায় আবেদনের জন্য ৮ (আট) লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার অথবা প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে হবে। ব্যবসা, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি সব সম্পত্তি মিলিয়ে এ অর্থ হতে হবে, যা আবেদনকারী এবং তাঁর স্ত্রী/স্বামীর আলাদা কিংবা দুজনের একত্রে মালিকানা মিলিয়ে হতে পারে। ৫ কোটি টাকা ভিসা মঞ্জুর হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় আনার যোগ্য হতে হবে।
 
এ ছাড়া এমন একটি ব্যবসার মালিকানা থাকতে হবে যে ব্যবসার বার্ষিক আয় কমপক্ষে ৩ কোটি টাকা। অংশীদারত্বমূলক ব্যবসার মালিকানাও গ্রহণযোগ্য, তবে সে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে সর্বনিম্ন ৩০ বা ৫১ শতাংশ মালিকানা থাকার শর্ত রয়েছে। একই ধরনের অন্যান্য আবশ্যিক শর্তের সঙ্গে সাবক্লাস ১৮৮ বি বিনিয়োগ ভিসায় ব্যবসার মালিকানা থাকতে হবে ১৫ লাখ ডলার অথবা প্রায় ৯ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে সম্পত্তির মালিকানা থাকতে হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকার।


৪.ভিসার পয়েন্ট | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

সাবক্লাস ১৮৮ এ এবং ১৮৮ বি এ দুটি ভিসায় পয়েন্ট টেস্টভিত্তিক অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩। অর্থাৎ এ ভিসায় আবেদন করতে আবেদনকারীকে সর্বনিম্ন ৬৫ পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। এ পয়েন্টগুলো বয়স, সম্পত্তির পরিমাণ, ইংরেজি ভাষা দক্ষতা, শিক্ষা ইত্যাদি নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পেতে হয়। যেমন আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৩২ বছর হলে এর জন্য ৩০ পয়েন্ট, ৩৩ থেকে ৩৯ বছরের জন্য ২৫ পয়েন্ট।

৫.সরাসরি পার্মানেন্ট ভিসা | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

সাবক্লাস ১৩২ এ অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ ট্যালেন্ট ভিসাটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়; কারণ, সরাসরি পার্মানেন্ট ভিসা। এ ভিসায় উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ইতিহাস ১৩২ এ এবং উদ্যোগমূলক মূলধন উদ্যোক্তা ১৩২ বি নামের দুটো শ্রেণি রয়েছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল উদ্যোক্তা ১৩২ বি ভিসায় কোনো অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার বিনিয়োগ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হয়। এ জন্য সাবক্লাস ১৩২ এ সিগনিফিকেন্ট বিজনেস হিস্ট্রি স্ট্রিম আরেকটি সহজতর ভিসা। এ ভিসায় ১৮ কোটি টাকা টার্নওভার সম্পন্ন ব্যবসায় অংশীদারত্ব থাকার আবশ্যিক শর্ত রয়েছে। এ ছাড়া আবেদনকারীও তাঁর স্ত্রীর ক্যাশ, জায়গা-সম্পদ, স্বর্ণালকার সব মিলিয়ে ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে হবে।

৬. ভিসা খরচ ও বিনিয়োগ | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ এর প্রধান আবেদনকারীর জন্য ৬ হাজার ৮৫ ডলার, অতিরিক্ত আবেদনকারীর জন্য ৩ হাজার ৪৫ ডলার এবং অতিরিক্ত আবেদনকারী (চার্জ-১৮) এর জন্য ১ হাজর ৫২০ ডলার লাগবে।

ব্যবসায় দক্ষ ব্যক্তিরা এ ভিসায় আবেদন করতে পারেন। অস্থায়ী ভিসার জন্য কমপক্ষে ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হত। অন্যদিকে এনএসডব্লিউ তে ব্যবসা এবং বিনিয়োগ ভিসার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হত।

৭.টেম্পোরারি অ্যাক্টিভিটি ভিসা | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

সাবক্লাস-৪০৮ (টেম্পোরারি অ্যাক্টিভিটি) ভিসার অধীনে ভিসা-আবেদনকারী ও তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারবে।

আবেদনকারীর বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হবে। এছাড়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ইনোভেটিভ বিজনেস পরিচালনার জন্য একটি বিজনেস প্লান থাকতে হবে এবং সেটা সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। আবেদনকারীর বিজনেস প্লানের মূল্যায়ণ করবে স্টেট কিংবা ফেডারাল সরকার। যারা সফলভাবে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন তারা পরবর্তীতে এখানে স্থায়ী অভিবাসনও করতে পারবেন।যারা ভিসা পাবেন তাদের ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডের প্রতি লক্ষ রাখবে রাজ্য সরকার। তাদের বিজনেস প্লানের সঙ্গে যদি তাদের কর্মকাণ্ডের মিল না থাকে তাহলে তাদের ভিসা বাতিল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্যমান অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ ও ইনোভেশন ভিসাগুলোর চেয়ে এই ভিসাটি ভিন্ন। এই ভিসায় বাধ্যতামূলকভাবে কোনো অর্থায়নের কথা বলা হচ্ছে না। অন্যান্য বেশিরভাগ বিজনেস ভিসাতেই কমপক্ষে দুই লাখ (দু’শ হাজার) ডলার মুলধনের দরকার হয়।

৮.ভিসা পাওয়ার উপায় | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ পেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে প্রথমত অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে। আপনার বয়স ৫৫ এবং রাজ্য এবং আঞ্চািলক সরকার আপনাকে অর্থনৈতিক সুবিধার ব্যক্তি হিসেবে মনোনীত না করলে আপনার ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উদ্যোক্তাকে নূন্যতম ২লাখ ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি করতে হবে। যার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্যাক্তি মালিকানাধীন হবে।
অস্ট্রেলিয়া রসরকারি ওয়েবসাইটে https://immi.homeaffairs.gov.au/visas/getting-a-visa/visa-finder/work গিয়ে আপনি ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

৯.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর |  অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই অনেক রকম প্রশ্ন থেকে থাকে। আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১: অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক না হয়ে অস্ট্রলিয়ায় ব্যবসা শুরু করা যাবে?
উত্তর:হ্যা যাবে, তবে পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে দুজন ডিরেক্টর থাকবে যারা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হবেন। অন্যদিকে পাবলিক কোম্পানি না হলে একজন ডিরেক্টর থাকবেন যিনি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হবেন।
প্রশ্ন ২:অস্ট্রলিয়ায় বাস না করেও কোম্পানি তৈরি করা যাবে?
উত্তর:হ্যা যাবে, তবে এক্ষেত্রে একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে ভাড়া করতে হবে যিনি ব্যবসা দেখাশোনা করবেন।
প্রশ্ন ৩: বিজনেস ভিসার জন্য কি পরিমান বিনিয়োগ করতে হবে?
উত্তর:অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস ভিসার জন্য অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের পরিমান নূন্যতম ৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৫ বছরের জন্য হতে হবে।
প্রশ্ন ৪:পিআর পেতে কত বিনিয়োগ করতে হবে?
উত্তর:দক্ষ মাইগ্রেশন ভিসার জন্য আপনাকে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। উদ্যোক্তা, ব্যবসা, বিনিয়োগ যে কোন সেক্টরেই অনুমোদন পেতে পারেন।

১০.লেখকের মন্তব্য | অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আপনাদের সাথে অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে অথবা যে কোন বিষয়ে আপনাদের কোন অভিযোগ বা মতামত নিজের কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর পাশেই থাকবেন। অস্ট্রেলিয়া বিজনেস ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে হোক বা যেকোন বিষয়ে আমরা আপনার মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url