OrdinaryITPostAd

বিএনপির মূলনীতি কী? [গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট]

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বা বিএনপি হলো বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। বিএনপির মূলনীতি কী এই সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে আগে আমাদের বিএনপি দলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা বিএনপির মূলনীতি কী , বিএনপির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী তা নিয়ে আলোচনা করব। 

সংক্ষেপে জেনে নিন
প্রশ্ন বিএনপির মূলনীতি কী? 
উত্তর ধাপ ০১. বিএনপির মূলনীতি গুলো হলো : সৃষ্টিকর্তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র। 
উত্তর ধাপ ০২. বিএনপির সূচনালগ্নে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন যেগুলো পূরনের উদ্দেশ্যে বিএনপি কাজ করে যায়।
উত্তর ধাপ ০৩. বিএনপির দলীয় স্লোগান হলো "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ,      জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ ; বাংলাদেশ জিন্দাবাদ " এছাড়াও বিএনপির আরও অনেক স্লোগান রয়েছে। 

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন) 

  1. বিএনপির মূলনীতি
  2. বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  3. বিএনপির স্লোগান
  4. আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর 
  5. লেখকের মন্তব্য

১.বিএনপির মূলনীতি  -  বিএনপির মূলনীতি কী?

সংক্ষেপেঃ বিএনপির মূলনীতি গুলো হলো : সৃষ্টিকর্তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র। 

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদি দল এই নামটি স্বয়ং বিএনপির মূলনীতি গুলো প্রকাশ করছে। তারপরও বিএনপির মূলনীতি কী? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা জিয়াউর রহমান কতৃক প্রদত্ত ১৯ দফা কর্মসূচিকে ব্যক্ত করতে পারি। বিএনপির লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্ব-নির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এগুলোর ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এটিই মূলত বিএনপির মূলনীতি। 

বিএনপির মূলনীতি : 
  1. সৃষ্টিকর্তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা : বিএনপি কখনওই নাস্তিকতাকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যে যে ধর্ম পালন করে তার সেই ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখাকে বিএনপি সমর্থন করে। আর এটা বিএনপির অন্যতম মূলনীতি।
  2. বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ : বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ একটি আদর্শ যা বাংলাদেশীদের আঞ্চলিক পরিচয় প্রচার করে। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের আত্মিক বন্ধনের ওপরে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃবৃন্দের হাতে মতাদর্শটির প্রচার শুরু হয়। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদদের মূল ভিত্তি হলো জাতির ঐক্য ও সংহতি।
  3. গনতন্ত্র : বিএনপির মূলনীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গনতন্ত্র। এর অর্থ বাংলাদেশে এমন একটি শাসনব্যবস্থা  থাকবে যেখানে নীতি নির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে  প্রত্যেক নাগরিক বা সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকবে। বাংলাদেশ  গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সু্যোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে।
  4. অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র : সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র ব্যক্তিগত মালিকানার উৎখাত ঘটায় এবং মানুষে মানুষে শোষণ, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বেকারত্বের বিলোপ ঘটায়, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচারে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই ছিলো বিএনপির মূলনীতি ও লক্ষ্য।
         

২.বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য - বিএনপির মূলনীতি কী?

সংক্ষেপে : বিএনপির সূচনালগ্নে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন যেগুলো পূরনের উদ্দেশ্যে বিএনপি কাজ করে যায়।

আর্টিকেলের প্রথম অংশে আমরা বিএনপির মূলনীতি কী তা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিএনপি গঠনের সূচনালগ্নে এই দলের ঘোষণাপত্রে দলটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করব। 

বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
  • বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-ভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সুসংহত করা।
  • উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন।
  • জাতীয়তাবাদী ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা ও বাস্তবায়ন ক্ষমতা ও দক্ষতা জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
  • এমন এক সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্তরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়।
  • এমন একটি সুস্পষ্ট ও স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চিতি দেওয়া যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি আনতে পারবেন।
  • বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করা এবং সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন।
  • গণতান্ত্রিক জীবন ধারা ও গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা।
  • রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানানো ও তার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা।
  • জাতীয় জীবনে মানবমুখী সামাজিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনা।
  • বাস্তবধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সুষম অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়।
  • সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান য়করা ও সক্রিয় গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
  • নারী সমাজ ও যুব সম্প্রদায়সহ সকল জনসম্পদের সুষ্ঠু ও বাস ভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা।
  • বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা।
  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও বাংলাদেশের ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার সাধন।
  • বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা, বিষেশ করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর জাতীয় তাদের অধিকতর সুবিধা ও অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
  • পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতা রক্ষা করা। সার্বভৌমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে, তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সাথে এবং ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে প্রীতি ও সখ্যতার সম্পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ় করা।

৩.বিএনপির স্লোগান - বিএনপির মূলনীতি কী? 

সংক্ষেপেঃ বিএনপির দলীয় স্লোগান হলো "প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ,      জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ ; বাংলাদেশ জিন্দাবাদ " এছাড়াও বিএনপির আরও অনেক স্লোগান রয়েছে। 

আর্টিকেলের শুরুর দিকে আমরা বিএনপির মূলনীতি কী এবং বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এবার আমরা বিএনপির কিছু স্লোগান নিয়ে আলোচনা করব।

বিএনপির স্লোগান : দল গঠনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সমর্থকরা নানা রকম স্লোগান দিয়ে থাকে। এরকম কিছু স্লোগান হলো: 
  1. প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ,      জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ।"
  2. বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
  3. শহীদ জিয়া অমর হোক
  4. বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ
  5. খালেদা জিয়ার ভয় নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই; এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ্য জিয়া ঘরে ঘরে
  6. আমার নেত্রী আমার মা, জেলে থাকতে দিব না’, ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাবো না’, ‘হামলা করে আন্দোলন- বন্ধ করা যাবে না'
  7. জেলে নিলে আমায় নে, আমার মাকে ছেড়ে দে
  8. টেক ব্যাক বাংলাদেশ 

৪.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর - বিএনপির মূলনীতি কী? 

এতক্ষণ আমরা বিএনপির মূলনীতি কী?  এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আমরা বিএনপি নিয়ে কিছু সাধারন প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।

প্রশ্ন ১: যুবদলের মূলনীতি কী? 

উত্তর:  যুব-ঐক্য-প্রগতি হলো যুবদলের মূলনীতি।  এখানে যুব, ঐক্য ও প্রগতি শব্দগুলো আলাদাভাবে বিশেষ অর্থ বহন করে।

প্রশ্ন ২: কে এবং কত সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন? 

উত্তর: ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রশ্ন ৩: বিএনপির বর্তমান চেয়ারপারসন কে?

উত্তর: বেগম খালেদা জিয়া হলো বিএনপির বর্তমান চেয়ারপারসন।

প্রশ্ন ৪: বিএনপির নির্বাচনি প্রতীক কি? 

উত্তর: বিএনপির নির্বাচনি প্রতীক হলো ধানের শীষ।

৫.লেখকের মন্তব্য -  বিএনপির মূলনীতি কী? 

আজকের আর্টিকেল আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন বিএনপির মূলনীতি কী? এর ধারাবাহিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই বিষয়ে একটি স্বচ্ছ ধারনা দিতে পেরেছি পাঠকদের। তারপরও পাঠকদের যদি আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম আরও তথ্যবহুল লেখা পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট The DU Speech ভিজিট করতে পারেন।


এই আর্টিকেলের-
লেখক: মোছাঃ ফাতেমা খাতুন 
পড়াশোনা করছেন লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।
জেলা: গাইবান্ধা 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url