OrdinaryITPostAd

বিএনপির গঠনতন্ত্র বই | বিএনপির গঠনতন্ত্র বইয়ের সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন|

বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) বাংলাদেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল।তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এই দলটি গঠিত হয়েছিল। বিএনপির ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল। রাজনৈতিক ও জাতীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএনপি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। গঠনতন্ত্র হলো কোনো সংগঠনের কর্মকান্ডের মূল দলিল, যেই দলিলে সেই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণিত থাকে। অন্য সব দলের মতো বিএনপিরও একটি নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। এই আর্টিকেলটিতে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) গঠনতন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো‌। এই গঠনতন্ত্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চাইলে এ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।


আর্টিকেলের সূচিপত্র ( যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. ভূমিকা
  2. দলের নাম
  3. দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 
  4. দলের পতাকার রং ও আকৃতি
  5. রাজনৈতিক বিভিন্ন শব্দের অর্থ
  6. সদস্য পদ (সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা, অযোগ্যতা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তি ব্যবস্থা ও পদত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়াবলী) সাংগঠনিক কাঠামো 
  7. কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা
  8. চেয়ারম্যান (চেয়ারম্যান নির্বাচন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং চেয়ারম্যান অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়াবলী)
  9. জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও ওয়ার্ড থেকে জেলা নির্বাহী কমিটি সংক্রান্ত বিষয়াবলী
  10. অঙ্গ সংগঠনসমূহ ও সহযোগী সংগঠন 
  11. বিধি ও উপবিধিসমূহ
  12. গঠনতন্ত্র সংশোধন 

1. ভূমিকা| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি গঠিত হবার পর এর একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। কোনো সংগঠনের কর্মকান্ডের মূল দলিলই হলো গঠনতন্ত্র। অন্য সব দলের মতো বিএনপিরও একটি নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে । গঠনতন্ত্রে তাদের সমস্ত কার্যক্রম বর্ণিত রয়েছে।

2. দলের নাম| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে যে, দলটির নাম রাখা হবে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’।ইংরেজীতে এই সংগঠনের নাম রাখা হবে - ‘Bangladesh Nation­al­ist Party' BNP। এ দলটিকে সংক্ষেপে বলা হবে ‘জাতীয়তাবাদী দল’ এবং ‘বিএনপি’ বলে অভিহিত করা হবে।

দলের জাতীয় কার্যালয়/কেন্দ্রীয় সদর দফতর দেশের রাজধানী ঢাকায় করা হবে । দলের সদর দফতর/কেন্দ্রীয় অফিসের সংগঠন চেয়ারম্যানের দায়িত্বের অধীনে হবে ও অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পদবী, দায়-দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ারম্যান নিজে নিরূপণ করবে।

3. দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য|বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

বিএনপির গঠনতন্ত্রে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে উল্লেখ আছে। তবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঘোষণাপত্রে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে। নিম্নে দলটির কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলো -

  • ক) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-ভিত্তিক ইষ্পাতের মতো কঠিন গণঐক্যের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে।
  • খ) উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্র দ্বারা সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
  • গ) জাতীয়তাবাদী ঐক্যের উপর ভিত্তি করে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করতে হবে। পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা ও বাস্তবায়ন ক্ষমতা ও দক্ষতা জনগণের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।
  • ঘ) এমন এক সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্তরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হবে।
  • ঙ) এমন একটি সুস্পষ্ট এবং স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিতে হবে যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।
  • চ) বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় সরকার পদ্ধতির দ্বারা স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে ও সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন করতে হবে।
  • ছ) গণতান্ত্রিক জীবন ধারা ও বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপন করতে হবে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
  • জ) রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানাতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে।
  • ঝ) জাতীয় জীবনে মানবমুখী সামাজিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন ঘটানো এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে।
  • ঞ) বাস্তবধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়া দ্বারা জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সুষম অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়।
  • ট) সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান করতে হবে ও সক্রিয়ভাবে গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।
  • ঠ) নারী সমাজ ও যুব সম্প্রদায়সহ সকল প্রকার জনসম্পদের সুষ্ঠু, সুন্দর ও বাস ভিত্তিক সদ্ব্যবহার করতে হবে।
  • ড) বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ, সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।
  • ঢ) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার সাধন করতে হবে।
  • ণ) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করতে হবে, বিশেষ করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষার সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের জন্য অধিকতর সুযোগ-সুবিধা ও অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ত) পররাষ্ট্রনীতির বেলায় জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতা রক্ষা করতে হবে। সার্বভৌমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে, তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সাথে এবং ভ্রাতৃসম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রীতি ও সখ্যতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও সেই সম্পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ় করতে হবে।

4. দলের পতাকার রং ও আকৃতি| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

বিএনপির গঠনতন্ত্রে পতাকার রং এর ব্যাপারে উল্লেখিত হয়েছে যে, দলের পতাকার উপরের অংশে রং হবে লাল এবং নিচের অংশের রং হবে সবুজ ।পতাকার মাঝে কালো রংয়ের একটি শিল্পচক্র থাকবে।এই চক্রবৃত্তের বিন্দু থেকে লাল সবুজের মিলিতস্থানে থাকবে একছড়া সোনালী ধানের শীষ এবং এটি প্রসারিত হবে উপরের দিকে।ধানের শীষের উপরে থাকবে একটি সাদা রঙের তারকা।

সবুজ হচ্ছে আমাদের শস্য শ্যামল দেশের প্রতীক। লাল হচ্ছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধে শহীদদের ত্যাগের প্রতীক। শিল্পচক্র হচ্ছে উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতীক। ধানের শীষ হচ্ছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। সবশেষে, সাদা রঙের তারকাটি হচ্ছে আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙ্খার প্রতীক।

5. রাজনৈতিক বিভিন্ন শব্দের অর্থ| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

বিএনপির গঠনতন্ত্রে বেশ কিছু রাজনৈতিক শব্দ রয়েছে যেগুলো শুধু নির্দিষ্ট বিষয়ের নামগুলোকেই বুঝিয়ে থাকে। সেসব নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো -
  • (১) 'ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা/থানা, পৌরসভা, মহানগর' ইত্যাদি এসব শব্দগুলো বাংলাদেশ সরকার/নির্বাচন কমিশনদের দেওয়া অর্থই বোঝাবে।
  • (২) ‘গঠনতন্ত্র’ শব্দটি যদি কোনো অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রযোজ্য না হয়, তাহলে তা দলের গঠনতন্ত্রকেই বোঝাবে।
  • (৩) যদি গঠনতন্ত্রে অন্য কোনো ক্ষেত্রে বোঝানো না হয়ে থাকে, তাহলে ‘জেলা’ বলতে প্রশাসনিক জেলাকেই বোঝাবে ।
  • (৪) 'চেয়ারম্যান' শব্দটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সনকেও বোঝাবে ।
  • (৫) ‘দল’ শব্দটি ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’কেই বোঝাবে ।
  • (৬) ‘সদস্য’ শব্দটি যদি ‘কমিটির’ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহৃত না হয়ে থাকে, তাহলে এই শব্দ দ্বারা দলের প্রাথমিক সদস্যকে বোঝাবে ।

6.সদস্য পদ (সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা, অযোগ্যতা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তি ব্যবস্থা ও পদত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়াবলী) সাংগঠনিক কাঠামো | বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

সদস্য পদ

(ক) সদস্য পদ লাভের যোগ্যতাঃ

  • (১) ১৮ বছর বা তার ও বেশি বয়সের যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক এ দলের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবে।যারা দলের সদস্য হতে ইচ্ছুক, তাদেরকে সংগঠনের ঘোষনাপত্রের, গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।
  • (২) প্রাথমিক সদস্য পদের আবেদনপত্র এই গঠনতন্ত্রের তপশীল ১-এ ‘ক’ ফরমে করতে হবে।এই ফরম দলের অফিসে পাওয়া যাবে।সদস্য পদের আবেদনপত্র অন্য কোন ফরমে গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে যদি কোন সময় কোনো কারণে এই ফরম দলের অফিসে না পাওয়া যায় তাহলে একই রকম ফরম ছাপিয়ে নিয়ে সদস্য পদের আবেদন করা যেতে পারে।
  • (৩) বিবেচনা করার পর আবেদনপত্র গৃহীত হলে সদস্য পদের প্রমাণ হিসেবে পরিচয়পত্র তপশীল-১ এ ‘খ’ ফরমে প্রত্যেক সদস্যকে দিতে হবে।
  • (৪) দলের প্রাথমিক সদস্যের চাঁদা হবে মাত্র ৫ টাকা।‌‌ সদস্য পদ লাভের পরবর্তী বছর থেকে দলের বাৎসরিক চাঁদা হবে ৫ টাকা মাত্র । সদস্যদের চাঁদা রসিদ দ্বারা গৃহীত হবে এবং রসিদ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।
  • (৫) প্রত্যেকটি উপজেলা/থানা অফিস তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যেক প্রাথমিক সদস্য পদের তালিকা সংরক্ষণ করবে। জাতীয় সদর দফতরে অর্থাৎ দলের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় অফিসে দলের সর্বমোট সদস্য সংখ্যা,সদস্যদের নাম ও ঠিকানাসহ বিধি অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে।

(খ) সদস্য পদ লাভের অযোগ্যতাঃ

  • (১) বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যক্তি বিএনপি দলের সদস্য হতে পারবে না ।
  • (২) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভোমত্ব ও অখন্ডতার বিরোধী, গোপন সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী কোন ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট  অথবা সমাজ বিরোধী ও গণবিরোধী কোন ব্যক্তি এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না।
(গ) সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ

বিএনপির গঠনতন্ত্রে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, স্থায়ী কমিটি দলের কোন সদস্যের অসদাচরণ আচরণের কারণ বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কিংবা দলের নীতি ও আদর্শবিরোধী কোনো কা‌‌জের কারনে তার সদস্যপদ বাতিল করা কিংবা সাময়িকভাবে সদস্যপদ স্থগিত করে দেয়া কিংবা তার বিরুদ্ধে অন্য যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সঙ্গত কারনে আগে নেয়া যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবে।কোন কারণে স্থায়ী কমিটির সভা আহ্বান করতে না পারলে জরুরী প্রয়োজনে দলের চেয়ারম্যান নিজের বিবেচনা থেকে কোনো অপরাধ শাস্তিযোগ্য মনে করলে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করতে এবং আগে নেয়া যে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবেন।

তবে সব ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। চেয়ারম্যান অথবা স্থায়ী কমিটি শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পুর্বে প্রয়োজনে অভিযুক্ত সদস্যকে ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে একটি নোটিশ ডাকে কিংবা হাতে হাতে সেটি জারী করতে হবে।শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের চেয়ারম্যানের নিকট আপিল করতে পারবে এবং এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।


(ঘ) সদস্যপদ থেকে পদত্যাগঃ

  • (১) দলের যে কোন সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে দলের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত চিঠি দেয়ার মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবে।
  • (২) দল কর্তৃক মনোনীত কোন সংসদ সদস্য যদি সংসদীয় দলের নেতা/নেত্রীর কোনো প্রকার সম্মতি ছাড়া নিজের নির্দিষ্ট আসন পরিবর্তন করেন বা অন্যদলের সাথে জোট বাঁধেন বা ফ্লোরক্রস করেন অথবা সংসদের দলীয় অবস্থান বিরূদ্ধ কোন কাজ করেন, তাহলে উপরোক্ত যে কোন কাজের জন্য সেই সংসদ সদস্য দল থেকে তাৎক্ষনিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে।

7. কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা যেসব ব্যক্তি জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যে কোন পর্যায়ের যে কোন নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে, সেসব ব্যক্তি নিম্নরূপ - 

(১) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮-এর হিসেবে দন্ডিত ব্যক্তি

(২) দেউলিয়া হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তি

(৩) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি

(৪) সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি ।


8. চেয়ারম্যান (চেয়ারম্যান নির্বাচন, চেয়ারম্যানের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং চেয়ারম্যান অপসারণ সংক্রান্ত বিষয়াবলী)| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

চেয়ারম্যান নির্বাচন

বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে যে, জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যগণ সরাসরি ভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্টতা দ্বারা ৩ বছরের জন্য দলের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবেন।মেয়াদ শেষ হলে চেয়ারম্যান পদে একই ব্যক্তি আবার নির্বাচিত হতে পারবেন।কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত চেয়ারম্যান দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণ্য করা হবে।দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্য্যন্ত চেয়ারম্যান নিজের পদে বহাল থাকতে পারবে।

চেয়ারম্যানের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য 

(১) দলের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে চেয়ারম্যান দলের সমস্ত কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, তদারকিকরণ ও সমন্বয় সাধন করবেন এবং একই উদ্দেশ্যে জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিষয় কমিটিসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহের উপর কর্তৃত্ব করবেন ও  তাদের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন।

(২) উপরোক্ত কমিটিসমূহের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও চেয়ারম্যান প্রয়োজন হলে নিতে পারবে।

(৩) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে উক্ত কমিটির কর্মকর্তাদের সমস্ত দায়-দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কর্তব্য রয়েছে, সবকিছু চেয়ারম্যান নিরুপণ করবে।

(৪) চেয়ারম্যান কোনো কারণে প্রয়োজন মনে করলে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিষয় কমিটিসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহ বাতিল করে দিতে পারে।

(৫) চেয়ারম্যান জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভাগুলোয় সভাপতিত্ব করবে, তবে এ ক্ষমতা কোনো কারণবশত প্রয়োজন পড়লে তিনি অন্য সদস্যের উপর অর্পণ করতে পারবে।

(৬) চেয়ারম্যান জাতীয় স্থায়ী কমিটি এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্য পদ পূরণ করতে পারবেন।


সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের কর্তব্য, ক্ষমতা ও দায়িত্ব

(১) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে চেয়ারম্যানকে সকল প্রকার সহযোগীতা করবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক অর্পিত যত দায়িত্ব রয়েছে, সবগুলো পালন করবে।

(২) চেয়ারম্যানের সাময়িক অনুপস্থিতিতে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।

(৩) যে কোন কারণে চেয়ারম্যানের পদ শূণ্য হলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যানের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।’

চেয়ারম্যানের অপসারণ

জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যদের দাবী করা জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশের ভোট যদি চেয়ারম্যানের অপসারণের অনুকুলে হয়, তাহলে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা যাবে। তবে জাতীয় কাউন্সিলের সেই দাবীতে চেয়ারম্যানের অপসারণই সভার একমাত্র বিষয়বস্তু হিসাবে দেখাতে হবে এবং অপসারণের কারণ স্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।

9.জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও ওয়ার্ড থেকে জেলা নির্বাহী কমিটি সংক্রান্ত বিষয়াবলী| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

জাতীয় কাউন্সিল

বিএনপির গঠনতন্ত্রে জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে বলা হয়েছে যে, দলের মহাসচিব দলের চেয়ারম্যানের লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় কাউন্সিলের সভা আহ্বান করতে পারবে। কাউন্সিলের মোট সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য কাউন্সিলের সভার কোরাম গঠন করবে। লিখিতভাবে সাধারণ ডাকে কিংবা পিয়ন দ্বারা কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমে ঠিক ১৫ দিনের নোটিশে সম্ভব হলে বছরে অন্তত একবার জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করতে হবে।একইভাবে, সুস্পষ্ট ৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হতে পারবে। জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের দাবিতে একইভাবে সুস্পষ্ট ১৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলের ‘দাবী সভা’অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে এ সভার নোটিশে স্পষ্ট করে দাবীর বিষয়বস্তু উল্লেখ করতে হবে। এরূপ সভায় মোট কাউন্সিলরদের দুই-তৃতীয়াংশের ভোট দাবীর পক্ষে না হলে দাবীটি বাতিল হয়ে যাবে।

জাতীয় নির্বাহী কমিটি

জাতীয় নির্বাহী কমিটি সম্পর্কে গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে যে, দলের মহাসচিব দলের চেয়ারম্যানের লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করতে পারবেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সেই কমিটির সভার কোরাম গঠন করবে।লিখিতভাবে সাধারণ ডাকে কিংবা পিয়ন মারফত কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ৭ দিনের লিখিত নোটিশে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করা যেতে পারে। তবে জরুরী সভা করার জন্য ৪৮ ঘন্টার নোটিশই যথেষ্ট হবে।তবে সদস্য সংখ্যার এক  তৃতীয়াংশ সদস্যের দাবীতে এবং সুস্পষ্ট ৭ দিনের উপরোক্তভাবে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা দাবী করা যেতে পারে এবং কমিটির মহাসচিব যদি সেই সভা আহবান না করে, তবে কমিটির চেয়ারম্যান সেই সভা আহবান করবেন।

জাতীয় স্থায়ী কমিটি

জাতীয় স্থায়ী কমিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, দলের চেয়ারম্যান যে কোন সময় তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা আহবান করতে পারে। তবে প্রতি ৩ মাসে অন্তত একবার স্থায়ী কমিটির সভা হতে হবে। বিদ্যমান সদস্য সংখ্যার ৫০% সদস্য নিয়ে এ সভার কোরাম গঠিত হবে।


ওয়ার্ড থেকে জেলা নীর্বাহী কমিটি 

দলের ওয়ার্ড কমিটি থেকে জেলা কমিটি পর্যন্ত সমস্ত পর্যায়ের নির্বাহী কমিটির সভা সেই কমিটির সাধারন সম্পাদক কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করে সাত দিনের নোটিশে আহ্বান করতে পারবে। ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অল্প সময়ের নোটিসে জরুরী সভা আহ্বান করা যেতে পারে। আহ্বায়ক কমিটির ক্ষেত্রে আহ্বায়ক সভা আহ্বান করতে পারবে। সকল পর্যায়ের নির্বাহী কমিটি ও আহ্বায়ক কমিটির সভার কোরাম সংশ্লিষ্ট কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। প্রতি তিনমাসে অন্তত একবার মহানগর/জেলা/উপজেলা/থানা/পৌরসভা/ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি সভা অনুষ্ঠান করতে হবে। প্রতিটি সভার উপস্থিতির সাক্ষরসহ কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্তের অনুলিপি উর্দ্ধতন কমিটির কাছে মত দ্রুত সম্ভব পাঠাতে হবে।

মহানগর/জেলা/উপজেলা/থানা/পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং পৌর ওয়ার্ড উপদেষ্টা কমিটি

মহানগর ও জেলা নির্বাহী কমিটিতে অনুর্ধ ১১জন, উপজেলা/থানা/পৌরসভা নির্বাহী কমিটিতে অনুর্ধ ৯ জন ও ইউনিয়ন এবং পৌর ওয়ার্ড কমিটিতে অনুর্ধ ৭ জন সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি থাকবে। দলের প্রবীণ ও প্রাক্তন কর্মকর্তাগণ এবং দলের কার্যক্রমে যুক্ত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এর সদস্য হবার যোগ্যতা রাখবেন।দলের সংশ্লিষ্ট কমিটি দ্বারা উপদেষ্টা কমিটি মনোনীত হবেন। তারা সংশ্লিষ্ট কমিটিকে পরামর্শ দেবেন এবং দলীয় সভা, অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।


10. অঙ্গ সংগঠনসমূহ ও সহযোগী সংগঠন| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

অঙ্গ সংগঠন

বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, দলের এক বা একাধিক অঙ্গ সংগঠন থাকতে পারে । এসব অঙ্গ সংগঠনের নিজস্ব ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র, পতাকা ও কার্যালয় থাকবে । এসব অঙ্গ সংগঠন মূল দলের শৃঙ্খলার আওতাধীন থাকবে। দলের চেয়ারম্যান শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কিংবা সংগঠন পরিপন্থী কর্মকান্ডের জন্য কিংবা অসদাচরণের জন্য যে কোন সময় অঙ্গ সংগঠনের কর্মকর্তা বা সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সংগঠন থেকে তাঁকে বহিস্কার করতে কিংবা সাময়িকভাবে সংগঠনের সদস্য পদ বাদ দিতে কিংবা তিরস্কার করতে নির্দেশ বা পরামর্শ দিতে পারবেন।

অঙ্গ সংগঠন হিসেবে দলের চেয়ারম্যানের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোন সংগঠন জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে না। অনুমোদনের তারিখ হতে অঙ্গ সংগঠনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রত্যেক অঙ্গ সংগঠন সম্পর্কিত একজন সম্পাদক থাকবে। দলের কর্মসূচী বাস্তবায়ন‌ করতে সহযোগিতা করাই হবে অঙ্গ সংগঠনের আসল উদ্দেশ্য এবং এ উদ্দেশ্যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দলের প্রভাব বিস্তার কিংবা দলের নীতি প্রসার করার উদ্দেশ্যে এ সংগঠন তাদের নিজস্ব কর্মসূচী প্রনয়ন করবে। তবে অঙ্গ সংগঠনগুলোর ঘোষনাপত্র, গঠনতন্ত্র এবং পতাকা চেয়ারম্যান কর্তৃক আগেই অনুমোদিত হতে হবে এবং যদি কোন অঙ্গ সংগঠন তাদের ঘোষনাপত্র,গঠনতন্ত্র বা পতাকায় কোনো পরিবর্তন,পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে চায় তাহলে চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ছাড়া তার কোনটাই কার্যকর করা যাবে না ।

দল অঙ্গ সংগঠনের এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে।এ পর্যন্ত যে সমস্ত সংগঠন দলের চেয়ারম্যানের অনুমোদন পেয়ে অঙ্গ সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তারা হচ্ছেঃ

  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল
  • বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল

সহযোগী সংগঠন

বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীতে বিশ্বাসী, তারা নিজেদের শ্রেণী-পেশার স্বার্থ রক্ষা করার  জন্য সংগঠিত হতে পারবে এবং এইসব সংগঠন দলের সহযোগী সংগঠন হিসাবে গণ্য হবে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল তাদের নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

11. বিধি ও উপবিধিসমূহ| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

যে ক্ষেত্রে বিএনপির গঠনতন্ত্রের বইয়ে কোনো প্রকার সুনির্দিষ্ট বিধান নাই, জাতীয় স্থায়ী কমিটি সে ক্ষেত্রে বিধি ও উপবিধি প্রনয়ণ করতে পারবে।


12.গঠনতন্ত্র সংশোধন| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|


বিএনপির গঠনতন্ত্র কোনো কারণে সংশোধন করতে হলে জাতীয় কাউন্সিলের যে কোন সদস্য লিখিতভাবে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারবে। সেই প্রস্তাবটি দলের মহাসচিব এর নিকট পাঠাতে হবে যাতে করে মহাসচিব প্রস্তাবটি জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় পেশ করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে:

  • ক) প্রস্তাবিত সংশোধনী যে সভায় বিবেচিত হবে সে সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের সংশোধনী প্রস্তাবের অনুলিপি দিতে হবে।এই সংশোধনী গৃহীত হতে হলে মোট কাউন্সিলরদের তিন ভাগের দুই ভাগকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে।
  • খ) জরুরী কারণে যদি কোন গঠনতন্ত্রে কোনো কিছুতে সংশোধনী প্রয়োজন হয়ে পড়ে, দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রে সে সংশোধন করতে পারবেন, তবে জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় ‘ক’তে বর্ণিত সংখ্যাগরিষ্টতায় উক্ত সংশোধনী গৃহীত হতে হবে ।

আর্টিকেল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন-উত্তর| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

বিএনপির গঠনতন্ত্র বই নিয়ে আপনাদের মনে নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। আর্টিকেলের এই অংশে বিএনপির গঠনতন্ত্র বই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের মনে যেসব প্রশ্ন রয়েছে সেগুলোর উত্তর এই অংশে পেয়ে যাবেন। 

প্রশ্ন ১ : প্রতি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে নুন্যতম কতজন সদস্য নিয়ে দলের পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে?
উত্তর: প্রতি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে নুন্যতম ১৫০ জন সদস্য নিয়ে দলের পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে।

প্রশ্ন ২ : দলের ইউনিয়ন কাউন্সিল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হবে? 
উত্তর: ইউনিয়নভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে।

প্রশ্ন ৩: দলের মহিলা সদস্য ২০২০ সদস্য কত ভাগ হতে হবে? 
উত্তর: ১০ ভাগ হতে হবে।

প্রশ্ন ৪: দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কত জন? 
উত্তর: ছয় জন।

প্রশ্ন ৫: দলের ভাইস চেয়ারম্যান কত জন?
উত্তর: সতেরো জন।

লেখকের মন্তব্য| বিএনপির গঠনতন্ত্র বই|

প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের সাথে বিএনপির গঠনতন্ত্রের বই নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। বিএনপির গঠনতন্ত্রের বই সম্পর্কিত এই আর্টিকেল সম্পর্কে অথবা যেকোনো বিষয়ে আপনাদের যদি কোনো মতামত বা অভিযোগ থেকে থাকে, কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর ব্যাপারে হোক, বিএনপির গঠনতন্ত্র বই সম্পর্কিত এই আর্টিকেলের ব্যাপারে হোক বা অন্য যেকোনো বিষয় সম্পর্কে হোক, আপনার মতামত আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url