OrdinaryITPostAd

বিএনপির ইতিহাস | বিএনপির ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল)। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এই দলটি গঠিত হয়েছিল । রাজনৈতিকভাবে বিএনপির ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্বর্ণোজ্জল। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে বিএনপি ইতিহাসের পাতায় নিজের স্থান করে নিয়েছে । এই আর্টিকেলটিতে আমরা বিএনপির ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। বিএনপির ইতিহাস সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আর্টিকেলের সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)

  1. ভূমিকা
  2. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়কাল
  3. বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়কাল
  4. খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারের সময়কাল
  5. খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সরকারের সময়কাল
  6. খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৃতীয় সরকারের সময়কাল
  7. এরশাদ বিরোধী আন্দোলন
  8. বিভিন্ন জোট গঠন
  9. দলে ভাঙ্গন
  10. বর্তমানে দলের নেতৃত্ব 
  11. বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি
  12. সাংগঠনিক কাঠামো
  13. সংগঠনসমূহ
  14. দলীয় স্লোগান 
  15. জাতীয় ঐক্য 
  16. বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

1. ভূমিকা | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপির ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বৈচিত্র্যময়।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল। 
ইংরেজি BNP এর পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Nationalist Party। এই দলটি গঠিত হয় ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি এই দলের সমন্বয়ক ও প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। এই দলের প্রথম মহাসচিব ছিলেন অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার দিকে রমনা রেস্তোরাঁয় জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠ করে এই দলের যাত্রা শুরু করেন। তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ করা ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম ১৮ জনের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জন সহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। বিএনপির দলে বাম, ডান ও মধ্যপন্থি সব ধরনের লোক ছিল। বিএনপির নিয়োগ পদ্ধতি ছিল অন্য সব দলের চেয়ে অন্যরকম। দলের প্রায় ৪৫% সদস্য রাজনীতিতে নতুন ও বয়সে তরুণ ছিল। 

2. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়কাল | বিএনপির ইতিহাস

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনা সদস্যদের দ্বারা নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর পর দেশে বিভিন্ন সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ঐ বছরেই তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায়  আসেন। তিনি সামরিক শাসন দ্বারা দেশে সর্বময় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিতে পরিণত হন। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত সায়েমকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পূর্ববর্তী 'বাকশাল' বিলুপ্ত করেন ও দেশে আবার গণতন্ত্রায়ণের উদ্যোগ গ্ৰহণ করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে ১৯৭৭ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন ও জয় লাভ করেন। তিনি ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।

১৯৭৯ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি সামরিক আইনের আওতায়ই দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিএনপি ৩০০টির মধ্যে ২০৭টি আসন পেয়ে জয়ী হয়। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ৩৯টি আসন পেয়েছিল। সেই বছরেই ১লা এপ্রিল প্রথম সংসদ অধিবেশন বসে। এরপর ঐ বছর ৯ এপ্রিল সংবিধানের ৫ম সংশোধনী অনুযায়ী সামরিক আইন বাতিল হয়, ফলে বিএনপি পুরোপুরি বেসামরিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়ে ইতিহাসে স্থান করে নেয়।

3. বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়কাল | বিএনপির ইতিহাস

১৯৮১ সালের ৩০শে মে-তে একটি সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এই অভ্যুত্থানের জেরে চট্টগ্রামে সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমান নিহত হন। সেই বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে ১৫ নভেম্বর নির্ধারিত হয়। প্রথমে নির্বাচন প্রার্থী ৮৩ জন হলেও শেষমেষ ৩৯ জন প্রার্থী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল ৩,৯০,৫১,০১৪ জন। এই নির্বাচনের ইতিহাসে বিএনপি প্রার্থী অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার ৮৫,২২,৭১৭ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. কামাল হোসেনকে পরাজিত করেন।

তিনি ২০ নভেম্বর বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২২ ডিসেম্বর ড. এম. এন. হুদাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেন ও ২৭ নভেম্বর ৪২ সদস্য বিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

4. খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারের সময়কাল | বিএনপির ইতিহাস

১৯৯০ সালে গণ আন্দোলনের ফলে সামরিক সরকার মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করেন। বিএনপির ইতিহাসে এরপর  তিন দফা রুপরেখা অনুযায়ী ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৫ম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসন পেয়ে জয়ী হয়। এ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ নির্বাচন দিয়ে দেশে তখন প্রথমবার গণতন্ত্র মাত্রা শুরু করে।

5. খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় সরকারের সময়কাল | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপির ইতিহাসে এরপর পাঁচ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের বদলে একদলীয়ভাবে ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে গণতন্ত্রকে অনেকটাই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। এ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল বয়কট করে। এই নির্বাচনে মোট ভোট ছিল ২১%। এভাবে একদলীয় সরকার গঠন করায় এই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৪৫ দিন।

ফলে একই বছর ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

6. খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৃতীয় সরকারের সময়কাল | বিএনপির ইতিহাস

১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন করে।২০০১ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এ নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে। মোট ২১০ টা আসন পেয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় আসে। এই ঐক্যজোটের দলগুলো হচ্ছে- বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্য। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে পেয়েছিল ৬২টি আসন। 

পরবর্তী পাঁচ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেক কমে যায়। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কারণে বিক্ষোভ, আন্দোলন ও সংঘর্ষ দেখা দেয়। এছাড়া সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে সরকারি সাংসদদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে লুটপাট করার খবর প্রকাশ পায়। শুধু তাই নয়, এই সরকারের বৈধ মেয়াদ ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর শেষ হলে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দেয়। এসব বিভিন্ন কারণে বিএনপি চরমভাবে সমালোচিত হয়।এরকম আরও বহু ঘটনার ফলে পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হতে থাকলে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে। এই সময়ে প্রায় দুই বছর দেশ পরিচালনা করেন ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সরকার। এ সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় নবম সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। এ নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল ও ২৭টি আসন পেয়েছিল জাতীয় পার্টি।

7. এরশাদ বিরোধী জোট আন্দোলন | বিএনপির ইতিহাস

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হন। কিন্তু সেনাপ্রধান তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা দখল করে দেশে আবার সামরিক শাসন জারি করে। বিএনপি এরশাদের এভাবে ক্ষমতা গ্ৰহণকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এরশাদ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করে। বিএনপি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৭ দলীয় জোট গঠন করে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এরশাদের আমলে অনুষ্ঠিত ২টি সংসদ নির্বাচন এবং সকল প্রকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করে। এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। স্বৈরাচারী সরকার এরশাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আপস না করাতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। 

বিএনপির ইতিহাসে নব্বই দশকের সময় বিএনপি সহ সকল বিরোধী দলের প্রায় ৯ বছর একজোটে গণআন্দোলনের ফলে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

8. বিভিন্ন জোট গঠন | বিএনপির ইতিহাস

(ক) সাত দলীয় জোট গঠন

নব্বই দশকে বিএনপির ইতিহাসে স্বৈরাচারী সরকার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি একটি ৭ দলীয় জোট গঠন করে। এই জোটের অন্তর্ভুক্ত দলসমূহ হলো -
  • (১)  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
  • (২) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা)
  • (৩) প্রগ্ৰেসিভ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (পিএনপি)
  • (৪) বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
  • (৫) ডেমোক্রেটিক লীগ
  • (৬) ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি)
  • (৭) ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)

(খ) চার দলীয় জোট গঠন 

১৯৯৯ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি একটি চার দলীয় জোট গঠন করে। জোটগুলো হলো -
  • (১) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
  • (২) জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ
  • (৩) বাংলাদেশ জাতীয়তা পার্টি
  • (৪) ইসলামী ঐক্য জোট
কিন্তু কিছু দিন পর এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ দল থেকে বেরিয়ে যায়। তবে নাজিবুর রহমান মঞ্জুরের সমর্থিত দলটি জোটে রয়ে যায়।

(গ) বিশ দলীয় জোট গঠন 

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপি বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ১৮ দলীয় জোট গঠন করে । পরবর্তীতে আরও দুটি দল জোটে যোগ দিলে জোটটি ১৮ দলীয় থেকে ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়।
জোটের অন্তর্ভুক্ত দলসমূহ হলো - 
  • (১) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
  • (২) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
  • (৩) লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)
  • (৪) জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)
  • (৫) বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি - বিজেপি
  • (৬) ইসলামী ঐক্যজোট
  • (৭) খেলাফত মজলিস
  • (৮) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি - জাগপা
  • (৯) বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
  • (১০) বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি -     বাংলাদেশ ন্যাপ
  • (১১) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
  • (১২) বাংলাদেশ মুসলিম লীগ - বিএমএল
  • (১৩) ন্যাশনাল পিপলস পার্টি - এনপিপি
  • (১৪) ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি - এনডিপি
  • (১৫) বাংলাদেশ লেবার পার্টি
  • (১৬) বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি
  • (১৭) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি - ন্যাপ ভাসানী 
  • (১৮) ডেমোক্র্যাটিক লীগ
  • (১৯) পিপলস লীগ
  • (২০) বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল

9. দলে ভাঙ্গন | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপি ইতিহাসে দেখা গেছে, বিএনপি প্রতিষ্ঠা হবার পর বহুবার ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়েছে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে মওদুদ আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন দলত্যাগ করে। ২০০১ সালে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাষ্ট্রপতি হলেও বিভিন্ন কারণে বিএনপির সাথে তার মনোমালিন্য হয় ও তাদের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হয়। ফলাফল, তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রায় ছয় মাস পরে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পর তিনি বিএনপির ভেতর থেকে বেশ কিছু সদস্য নিয়ে 'বিকল্পধারা বাংলাদেশ' নামক একটি নতুন দল গঠন করেন।

আবার ২০০৬ সালে কর্ণেল (অব:) ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম, যিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন, তিনি বিএনপির কিছু মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নেতা-কর্মী নিয়ে বিএনপি ত্যাগ করেন ও  'বিকল্পধারা বাংলাদেশের' সাথে একত্রিত হয়ে  'লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)' গঠন করেন।

10. বর্তমানে দলের নেতৃত্ব | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপির ইতিহাসে বেশ অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছে দলটিতে। বর্তমানে দলের নেতৃত্বে মেজর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া প্রতিবার নির্বাচনে পাঁচটি আসনে নির্বাচিত হয়ে জয় লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ও মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

সংসদের সাবেক হুইপ ও জেষ্ঠ্য নেতা খন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের মহাসচিব হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করলেও ২০১১ সালে মার্চ মাসে বয়সজনিত রোগের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিবের ভার পান। এই দায়িত্ব দীর্ঘদিন ভালোভাবে পালন করায় তিনি ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির ৭ম মহাসচিব এর দায়িত্বে নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি এই পদেই বহাল রয়েছেন।

11. বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকেই বিএনপির লক্ষ্য ছিল দেশজুড়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে সরকারের ভারত মৈত্রীতা পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করার ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারত-সোভিয়েত অক্ষের দিকে চলে যায়, এজন্য তখন বিশ্বের অন্যান্য অনেক উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের  সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না। বিএনপি দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে নিরপেক্ষতা নীতি অবলম্বন করে।  দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শুরুর দিকে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো ছিল না। বিএনপি তখন বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

12. সাংগঠনিক কাঠামো | বিএনপির ইতিহাস

ঐতিহাসিকভাবে জাতীয়তাবাদী দল দেশের ভেতরে মৌলিক স্তর গ্ৰাম বা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ে পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
  • (১) গ্ৰাম কাউন্সিল ও গ্ৰাম নির্বাহী কমিটি
  • (২) শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল ও শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
  • (৩) ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
  • (৪) থানা কাউন্সিল ও থানা নির্বাহী কমিটি
  • (৫) শহর/ পৌরসভা কাউন্সিল ও শহর পৌরসভা নির্বাহী কমিটি
  • (৬) জেলা কাউন্সিল ও জেলা নির্বাহী কমিটি
  • (৭) নগর/ওয়ার্ড কাউন্সিল ও নগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
  • (৮) নগর থানা কাউন্সিল ও নগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
  • (৯) নগর কাউন্সিল ও নগর নগর নির্বাহী কমিটি
  • (১০) জাতীয় কাউন্সিল
  • (১১) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
  • (১২) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
  • (১৩) পার্লামেন্টারি বোর্ড
  • (১৪)  পার্লামেন্টারি পার্টি
  • (১৫) বিদেশে দলের শাখা

13. সংগঠনসমূহ | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপির ইতিহাসে তাদেরও বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। সংগঠনগুলো 
নিম্নে দেওয়া হলো -

ক) ছায়া সংগঠন
  • জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
  • জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল
খ) অঙ্গ সংগঠন
  • জাতীয়তাবাদী যুবদল
  • জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
  • জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল
  • জাতীয়তাবাদী কৃষক দল
  • জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল
  • জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল
  • জাতীয়তাবাদী ওলামা দল
  • জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস)
  • জাতীয়তাবাদী মহিলা দল
গ) পেশাজীবী সংগঠন
  • জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
  • ডক্টর'স এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ড্যাব)
  • অ্যাসোসিয়েশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)
  • এগ্ৰিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন 
  • শিক্ষক - কর্মচারী ঐক্যজোট
  • শত নাগরিক

14. দলীয় স্লোগান | বিএনপির ইতিহাস

স্লোগান একটি জাতির অথবা দলের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে তুলে ধরে। বিএনপির শাসনকালের ইতিহাসে তাদেরও নিজস্ব স্লোগান যুক্ত হয়েছে। স্লোগানগুলো হলো -

"প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ,
জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ।"

"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"।

15.জাতীয় ঐক্য | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপির ইতিহাসে যখন শুরুতে বিএনপি গঠন করা হয়েছিল, তখন দেশে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত হয়ে ছিল। এই বিভক্তির ভিত্তি ছিল একেক পক্ষের একেক রকম রাজনৈতিক বিশ্বাস। এদের মধ্যে ছিল বাম, ডান ও মধ্যপন্থি দল, সাথে আরও ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি। ফলশ্রুতিতে, ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবি, সাংস্কৃতিক কর্মী, সামরিক বাহিনী এমনকি প্রশাসনও তখন বিভক্ত ছিল। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি ছিল সমস্ত প্রকার ভেদাভেদ ভুলে সকলে একত্রে মিলে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় অখণ্ড পাকিস্তানের সমর্থক জামায়াতে ইসলামীও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। তাদের বহু নেতা, যারা মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের বাইরে ছিল তারা দেশে ফেরত আসার অনুমতি পেয়ে দেশে ফেরত চলে আসে। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারি সকল দল ও ব্যক্তির জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। তবে যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট অভিযোগ ছিল, তারা এই ক্ষমার আওতায় পরেনি। যদিও, এদের বিরুদ্ধে কখনো কোন ব্যাপক ও কার্যকরী শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

16.বিএনপির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপিও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ইতিহাসের মতো তারাও সূচনালগ্নে তাদের ঘোষণাপত্রে এই দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে। নিম্নে দলটির কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলো -

  • ক) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-ভিত্তিক ইষ্পাতের মতো কঠিন গণঐক্যের দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে।
  • খ) উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্র দ্বারা সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
  • গ) জাতীয়তাবাদী ঐক্যের উপর ভিত্তি করে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করতে হবে। পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা ও বাস্তবায়ন ক্ষমতা ও দক্ষতা জনগণের হাতে পৌঁছে দিতে হবে।
  • ঘ) এমন এক সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্তরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে স্থাপিত হবে।
  • ঙ) এমন একটি সুস্পষ্ট এবং স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দিতে হবে যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।
  • চ) বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় সরকার পদ্ধতির দ্বারা স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে ও সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন করতে হবে।
  • ছ) গণতান্ত্রিক জীবন ধারা ও বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপন করতে হবে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
  • জ) রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানাতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে।
  • ঝ) জাতীয় জীবনে মানবমুখী সামাজিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন ঘটানো এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনতে হবে।
  • ঞ) বাস্তবধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়া দ্বারা জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সুষম অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়।
  • ট) সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান করতে হবে ও সক্রিয়ভাবে গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।
  • ঠ) নারী সমাজ ও যুব সম্প্রদায়সহ সকল প্রকার জনসম্পদের সুষ্ঠু, সুন্দর ও বাস ভিত্তিক সদ্ব্যবহার করতে হবে।
  • ড) বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ, সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।
  • ঢ) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার সাধন করতে হবে।
  • ণ) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করতে হবে, বিশেষ করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষার সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের জন্য অধিকতর সুযোগ-সুবিধা ও অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ত) পররাষ্ট্রনীতির বেলায় জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতা রক্ষা করতে হবে। সার্বভৌমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে, তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সাথে এবং ভ্রাতৃসম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে প্রীতি ও সখ্যতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও সেই সম্পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ় করতে হবে।

আর্টিকেল সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন-উত্তর | বিএনপির ইতিহাস

বিএনপির ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের মনে নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। আর্টিকেলের এই অংশে বিএনপি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের মনে যেসব প্রশ্ন রয়েছে সেগুলোর উত্তর এই অংশে পেয়ে যাবেন। 

প্রশ্ন ১: বিএনপির রাজনীতির মূল স্পিরিট কি?
উত্তর: বিএনপির রাজনীতির মূল স্পিরিট হলো  'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ।

প্রশ্ন ২: বাংলাদেশ নিয়ে মেজর জিয়াউর রহমানের যে দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, এ জন্য তিনি কয়টি বিষয়কে অগ্ৰাধিকার দিয়েছিলেন?
উত্তর: তিনি তিনটি বিষয়কে অগ্ৰাধিকার দিয়েছিলেন। 

প্রশ্ন ৩: বিএনপির রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ কোনটি?
উত্তর: বিএনপির রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ ১৯ দফা কর্মসূচি।

প্রশ্ন ৪: বিএনপির মূলনীতি কয়টি?
উত্তর: বিএনপির মূলনীতি ৪টি।

প্রশ্ন ৫: বিএনপির দলীয় স্লোগান কী কী?
উত্তর: বিএনপির দলীয় স্লোগান হলো -

১)"প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ,
জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ।"

২)"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"।

প্রশ্ন ৬: বিএনপির সহযোগী সংগঠন কয়টি ও কি কি?
উত্তর: বিএনপির সহযোগী সংগঠন ২টি। সেগুলো হলো - জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল 

প্রশ্ন ৭: বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো কয়টি?
উত্তর: বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো ১৫টি।

লেখকের মন্তব্য| বিএনপির ইতিহাস

প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের সাথে বিএনপির ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। বিএনপির ইতিহাস সম্পর্কিত এই আর্টিকেল সম্পর্কে অথবা যেকোনো বিষয়ে আপনাদের যদি কোনো মতামত বা অভিযোগ থেকে থাকে, কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল সংগঠন The DU Speech এর ব্যাপারে হোক, বিএনপির ইতিহাস সম্পর্কে হোক বা অন্য যেকোনো বিষয় সম্পর্কে হোক, আপনার মতামত আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url