OrdinaryITPostAd

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

 ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস, ছবি ও ব্যনার জাতীয় জীবনের এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস,  ছবি,  ব্যানার ও ইতিহাস নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের ওয়েবসাইটে আজকের আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস,  ছবি,  ব্যানার ও ইতিহাস জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার আহ্বান রইল।

আর্টিকেল সূচিপত্র 

  1. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে স্ট্যাটাস 
  2. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছবি ও এর ইতিহাস 
  3. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর ব্যানার 
  4. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কত সালে হয়? 
  5. রক্তাক্ত ২১ আগস্ট আজ 
  6. গ্রেনেড কি? 
  7. গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বিদেশি প্রভাব 
  8. বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পরিচয় 
  9. লেখকের মন্তব্য 

১.  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে স্ট্যাটাস  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

  1. সে দিন দেশের গোটা দেশের আকাশে কালো মেঘ ছেয়ে গিয়েছিল সে দিন অল্পের জন্য বেচে গিয়েছিলেন মানবতার মা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। 
  2. বিএনপি-জামার জোট সরকারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সেদিন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে গণতন্ত্রের মানস কন্যা সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।
  3. একুশে আগস্ট এর সে মহেন্দ্র ক্ষণে গ্রেনেড গুলোও যেন লজ্জায় মাথা নত করে রেখেছিল। কিন্তু যারা এই ষড়যন্ত্র করলো তারা আজও মাথা উঁচু করে কিভাবে এদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতি জানতে চায়।
  4. বাংলাদেশের রূপকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র চিহ্নকে সেদিন মুছে দিতে উদ্যত হয়েছিল পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ।
  5. আপনারা পড়ছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস
  6. এক খন্ড কালো মেঘ ২১ আগস্টের সারা বেলাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আমরা শোকাহত, গোটা বাঙালি জাতি, গোটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আজ শোকাহত।
  7. রক্ত জবা গোলাপ ফুল ফুলগুলোর দিকে আজ তাকানো যায় না লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে। সেদিনের ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব না দেওয়া পর্যন্ত এ মাথা কখনো উত্তলিত হবে না।
  8. বাংলাদেশে ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার যে অপপ্রয়াস সেদিন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল আজ তার নিপাত হয়েছে।
  9. আপনারা পড়ছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস, ছবি , ব্যানার ও ইতিহাস
  10. যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আজ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, এক সময় তারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের একমাত্র চিহ্নকে সে ফেলে দিতে উদ্যত হয়েছিল।
  11. সে কালো অধ্যায় বাঙালি কখনো ভুলবে না।
  12. ২১ আগস্ট বাঙালির বুকে এক কালো দাগ।
  13. সেদিন যদি প্রাণপ্রিয় নেত্রী পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিতেন তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা আজ পাকিস্তান বা তার চেয়ে আরো খারাপ নিকৃষ্ট অবস্থায় পৌঁছাত।
  14. হয়তো খোদা চাননি তাই আজও বেঁচে আছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার হাত ধরে একদিন বাঙালির রক্তিম সূর্য সফলতার সূর্য ওই পূর্ব দিগন্তে উদিত হবে।
  15. আপনারা করছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস,ছবি, ব্যানার ও ইতিহাস  
  16. আমরা শোকাহত, স্বাধীনতার পক্ষের গোটা জাতি আজ শোকাহত, গোটা বাংলাদেশ আজ শোকাহত, আজ ২১ আগস্ট।
  17. যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, যে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, যে পাকিস্তানের দোসররা গোটা দেশ থেকে পৃথিবী থেকে জাতির পিতার শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিতে উদ্যত হয়েছিল, তারা আজ কিভাবে সরকারের পতন চাই? তাদের কি লজ্জার বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই?
  18. আল্লাহর অশেষ রহমতে জননেত্রী আজও বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন।
  19. আপনারা করছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস,ছবি, ব্যানার ও ইতিহাস  
  20. ২১ আগস্ট সেদিনের কথা জাতি কখনো ভুলবে না।
  21. আজ সকল রং কালো বর্ণ ধারণ করেছে, আজ সকল ফুল মাথা নত করে রয়েছে, আজ পাখিরা ডানা মেলে উঠছে না, নীল আকাশ আজ কালো হয়ে রয়েছে, আজ ২১ আগস্ট।
  22. গোটা জাতি আজ লজ্জিত।
  23. পাকিস্তানের দশুরা আজও কিভাবে মাথা উঁচু করে দেশে ঘুরে বেড়ায়?
  24. বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে, এমন দিন কেউ কখন কল্পনা করে নি, ২১ আগস্ট আজ।

২. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছবি ও এর  ইতিহাস  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার এক সমাবেশ আয়োজিত হয়েছিল। সমাবেশটি তৎকালীন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এবং গোপালগঞ্জে পুলিশ নির্যাতনের বিরুদ্ধে একুশে আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ আয়োজন করে। দুপুর থেকেই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। 

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। ২১ আগস্ট এর উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা বিকেল পাঁচটার দিকে উপস্থিত হন। সমাবেশের মঞ্চ বানানো হয়েছিল একটি ট্রাকের উপর। বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যখন তার ২০ মিনিটের একটি বক্তব্য দেওয়ার পর মঞ্চ থেকে নেমে আসছিলেন ঠিক সেই সময় ২১ আগস্ট এর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। এই হামলা মূলত বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে করা হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন ২১ আগস্টের সেদিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

২১ আগস্ট এর সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বক্তব্য দিয়ে নেমে আসলেন ঠিক তখনই দেড় মিনিটের মধ্যে মঞ্চকে লক্ষ্য করে ১১ টি শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা গোটা দেশকে কাঁপিয়ে তুলেছিল। উক্ত হামলাতে ঘটনা স্থলে ১২ জন এবং হাসপাতালে আরো ১২ জন নিহত হন। তৎকালীন আওয়ামীলীগের গ্রুপ শীর্ষ নেত্রী মিসেস আইভি রহমান সহ অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। আইভি রহমান বাংলাদেশের 19 তম রাষ্ট্রপতি জিলুর রহমানের স্ত্রী ছিলেন পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী ছিলেন। 

সেদিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সর্বমোট ২৪ জন নিহত হন। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হন প্রায় ৩০০ লোক। 

এ ভয়াবহ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া সহ চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী এবং বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবদুস সালাম পিন্টু হরকাতুল  জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ৫২ জনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া কার্যকর হয়েছে। 

৩. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর ব্যানার |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর ব্যানার অনেকেই তৈরি করতে চান। আপনি যদি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর ব্যানার তৈরি করতে চান তাহলে নিচের নম্বরের যোগাযোগ করুন ০১৭৮৯৬৯৯৫০৯। আমরা আপনাকে আকর্ষণীয় ভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর ব্যানার তৈরি করে মেইলে পাঠাবো।  নিচে একটি ব্যানার তৈরি করে দেওয়া হল, এটা আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন। 

উপরের ব্যানার টি নিচের মতো ছবি ও আপনার পদ যুক্ত করে নিবেন তাহলেই হয়ে যাবে৷ একদমই সহজে এভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর ব্যানার তৈরি করতে পারবেন।

তাহলে নিচের মতো সুন্দর একটি ব্যনার উপভোগ করতে পারবেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর এই ব্যানারটিতে কপিরাইট আইনে কোন সমস্যা হবে না। আমি আপনাদের অনুমতি দিয়ে দিচ্ছি।



৪. ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কত সালে হয়?  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা 2004 সালে সংঘটিত হয়। 
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের একটি জনসভায় একজন সংগঠনের তৎপরতায় গ্রেনেড হামলা সংগঠিত হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ফলে ঘটনাস্থলে ১২ জন এবং পরে মেডিকেলে ১২ জন সর্বমোট ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেন।  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রতিবছর আওয়ামী লীগ পালন করে আসে শোক দিবস হিসেবে।

৫. রক্তাক্ত ২১ আগস্ট আজ  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। আজকের এই দিনে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের একটি জনসভায় ঘটানো হয় ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ যা ইতিহাসের পাতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বা ঢাকা গ্রেনেড হামলা নামে পরিচিত। এই দিনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ভয়ংকর গ্রেনেড হামলার চালানো হয়। বিশ্লেষকরা ধারণা করেন, আজকের এই একুশে আগ স্ট রক্তাক্ত করেছিল একদল স্বার্থান্বেষী এবং ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্র গোষ্ঠী।

৬. গ্রেনেড  কী?   |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

গ্রেনেড হল এক প্রকার বোমা।  যা নিক্ষেপণযোগ্য। অর্থাৎ গ্রেনেড একজন নিক্ষেপণকারী নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে নির্দিষ্ট কোন মানুষকে হত্যা বা আহত করার প্রয়াসে নিক্ষেপ করে থাকে। গ্রেনেড এর ভেতরে সাধারণত বিস্ফোরক দ্রব্য এবং ধাতুর টুকরা থাকে। গ্রেনেড এর মূল অংশ ফাঁপা থাকে। যার ভেতরে বিস্ফোরক দব্য দিয়ে ভর্তি করা হয়। গ্রেনেটে এর একটি ছোট ফুটো করে রাখা হয় যার মাধ্যমে ব্রেনেড বিস্ফোরণ করার ফিউজ জালানো হয়। 

৭. গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বিদেশি প্রভাব  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

যখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটে তৎকালে 9/11 এর জঙ্গি হামলায় গোটা বিশ্ব চিন্তিত। তাই এই ঘটনার বা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সমমনা রাষ্ট্রগুলো। বিভিন্নভাবে তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বিএনপি জোট সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

৮. বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পরিচয়  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের খুন বাঙালি জাতির এক লজ্জার ইতিহাস।

     দেশের জন্য আমি যা করেছি

          কেউ তা অনুধাবন করলো না।

                      -বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রকৃতপক্ষেই বঙ্গবন্ধুর অবদান অনেকই অনুধাবন করতে পারেনি বলে মনে হয়। পারলে হয়তো বঙ্গবন্ধুকে খুন করা সহজ হত না। স্বাধীনতা আন্দোলনের অতি প্রিয় নাম 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'।যে নামের স্পর্শে অনেক অসম্ভবও সম্ভব হয়ে  যেতো।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কোটি বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সাধারণ জনগনের অধিকার আদায়ের কথা ভেবেছেন।তাঁকেই খুন হতে হলো এদেশের কিছু মানুষের হাতে।বঙ্গবন্ধুর খুন বাঙালি জাতির এক কলঙ্কময় অধ্যায়।১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সপরিবারে এদেশেরই কিছু বিপথগামী সৈন্যের হাতে খুন হন বঙ্গবন্ধু।খুনিরা এদেশেরই সামরিক বাহিনির সদস্য ছিল।



এরাই খুনি

১৫ আগষ্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধু খুনের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনুমান করা হয় ডজন খানেক সামরিক অফিসার এবং ১৭০ থেকে ৭০০ জন সাধারণ সৈনিক ছিলো।এর মধ্যে প্রধান যে সামরিক অফিসারগণ বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল তারা হলো - কর্নেল ফারুক,কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, কে. এম. মহিউদ্দিন আহমেদ, লে.কর্নেল শরীফুল হক ডালিম, মেজর বজলুল হুদা, আজিজ পাশা, লে.আবদুল মাজেদ, মেজর সুলতান শাহরিয়ার রশীদ, মেজর রাশেদ চৌধুরী, মেজর নূর চৌধুরী, মেজর শরীফুল হোসেন, কিসমত হাসেম, লে.খায়রুজ্জামান, লে.নাজমুল হোসেন।


খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন।এসেই পিতার খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।প্রায় ২০ বছর পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।১৯৯৬ সালে ২০জন খুনিকে আসামি করে মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুর আবাসিক সহকারী মুহিতুল ইসলাম।এরপর মামলা চলে প্রায় তেরো বছর।বিচারিক আদালতে ১৫ জন খুনিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।পরে হাইকোর্ট ১২ জন খুনির বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে।এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি গভীর রাতে একইসাথে বঙ্গবন্ধুর ৫ জন খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়।খুনিরা হলো-মেজর. ফারুক,মেজর. সুলতান শাহরিয়ার রশিদ,এ কে এম মহিউদ্দিন, মেজর বজলুল হুদা এবং লে. কর্নেল মহিউদ্দিন। তখন ৭ জন খুনি পলাতক ছিল।পলাতক ৭ জন খুনির মধ্যে ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।পলাতক খুনিদের মধ্যে আজিজ পাশার মৃত্যু হয়েছে, বাকি ৫ জন  খুনিকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে।

 

এর মধ্যে অন্যতম যেসব সামরিক অফিসার বঙ্গবন্ধু খুনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে তাদের সম্পর্কে আজ আমরা জানতে পারবো।


কে এই খুনি মেজর.ফারুক?

পুরো নাম সৈয়দ ফারুক রহমান।ময়মনসিংহ জেলার জামালপুরে তার মাতুলালয়।পিতা ড.রহমান।জেনারেল স্টাফ প্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ তার মামা।১৯৭২ সালে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি এস.এইচ.খানের মেয়ে ফরিদার সাথে ফারুকের বিবাহ হয়।বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করার পর সে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হয়।১৯৮০ সালে ফারুক সেনাবাহিনী থেকে অপসৃত হয় এবং অবসরে যায়।১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান খুন হওয়ার পর ফারুক বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।ফারুক ১৯৮৬ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট যে পাঁচজন সামরিক অফিসারকে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার দায়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে তার মধ্যে মেজর. ফারুক অন্যতম খুনি।২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টায় বঙ্গবন্ধু খুনের অন্যতম এই আসামির মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।



বঙ্গবন্ধুকে খুনের দৃঢ় পরিকল্পনা ফারুকের

  "আমি ১৫ তারিখে তা ঘটাতে যাচ্ছি; 

            মুজিবকে আমি চিরতরে সরিয়ে দিচ্ছি।"

                     _মেজর.ফারুক রহমান।


বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পরিকল্পনা বহু আগে থেকেই করছিল মেজর ফারুক।বঙ্গবন্ধুকে খুন করার জন্য তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং উদ্দীপ্ত শক্তি কাজে লাগিয়েছিল সে।সেনাবাহিনীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর আচরণ তার পছন্দ ছিল না।বহুদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।

মনে করা হয় বঙ্গবন্ধুর খুনের পরিকল্পনা গ্রহণ করার পর সময় ঠিক করার জন্য তিনি চট্টগ্রামের এক পীর আন্ধা হাফিজের স্মরনাপন্ন হয়েছিলো।আন্ধা হাফিজের দেখানো তারিখেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে খুন করেন। বঙ্গবন্ধুকে খুন করার আগেরদিন ফারুক স্বীয় স্ত্রী ফরিদাকে চট্টগ্রামে আন্ধা হাফিজের কাছে পাঠিয়েছিল।ফরিদা আন্ধা হাফিজের দেয়া আদেশ টেলিফোনর মাধ্যমে ফারুকের কাছে প্রেরণ করে।

 

বঙ্গবন্ধু খুনে ফারুকের চূড়ান্ত প্রস্তুতি 

৩রা জুলাই ১৯৭৫ থেকে মেজর ফারুক তার খুন করার  পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।তার সামনে লক্ষ্য ছিল একটাই মুজিবকে খুন করা। ৩য় বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে তার ভায়রা মেজর রশিদকে ১৫ আগষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা জানান।এবং এ ও বলে যদি তাকে সঙ্গ না দেয় তবুও সে বঙ্গবন্ধুকে খুনের পরিকল্পনায় অটল থাকবে।

১লা সেপ্টেম্বর 'বাকশাল' পদ্ধতি কার্যকর করার কথা ছিল।তার আগেই ফারুক বঙ্গবন্ধুকে খুনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাইছিলো। বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পরিকল্পনায় তার প্রধান সঙ্গী ছিল ভায়রা মেজর.রশিদ।১৫ই আগষ্ট ফারুক বঙ্গবন্ধুকে খুনের অপারেশনের সর্বময় নেতৃত্ব দেয়।অপারেশনের আগে ফারুক সৈন্যদেরকে বঙ্গবন্ধুকে খুনের কারণ এবং প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে এবং সবাই রাজী কিনা জানতে চাইলে সকলেই সম্মতি দেয়।


১৫ আগষ্ট ছিল শুক্রবার।ফারুকের জন্য শুক্রবার ছিল সবসময় সুপ্রসন্ন।এরকম এক শুক্রবারেই ফারুকের জন্ম হয়েছিল এবং আরেক শুক্রবারে ফরিদার সাথে বিয়ে হয়েছিল।ফজরের আজান দেয়ার সময় ফারুক তার ফাঁকা ট্যাংকবহর নিয়ে রাস্তায় বের হয়। উদ্দেশ্য ছিল ফাঁকা ট্যাংক দিয়ে রক্ষীদের ধোঁকা দেয়া।এবং ফারুক তা করতে পেরেছিল।


ফারুক এভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে সবাই ব্যর্থ হলেও তার ল্যান্সার এ খুনের ব্যাপারে ব্যর্থ হতো না।ফারুকের নির্দেশ ছিল  প্রধানত শেখ মুজিব,আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং শেখ মনিকে খুন করার এবং যদি কেউ বাধা দিতে আসে তাহলে তাকেও খুন করার আদেশ দেয়া হয়েছিল।এ কথার প্রেক্ষিতেই শেখ কামাল এবং শেখ জামালকে গ্রেপ্তার করার কথা থাকলেও তাদেরকে খুন করা হয়।এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তার দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, পারভিন জামাল রোজি এবং ছোট রাসেলকেও নির্মমভাবে খুন করা হয়।

অবশেষে ফারুকের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পুরো পরিবার খুন হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ভোরবেলায়।খুনিদের বুলেটে ঝাঝড়া হয় বাঙালির মহান নেতার শরীর।


মেজর.রশিদ

পুরো নাম খন্দকার আবদুর রশিদ।১৯৪৬ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ছয়ফরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে।তার পিতা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিল।তিনি খন্দকার মোশতাক আহম্মদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিল।রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অসমাপ্ত রেখেই ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনিতে যোগ দেয়।পাঞ্জাবের রিসালপুর মিলিটারি একাডেমিতে ট্রেনিং এর সময় সখ্যতা গড়ে উঠে মেজর ফারুকের সাথে। ফারুক তার সিনিয়র ছিল।১৯৬৮ সালে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি এস. এইচ. খানের বড় মেয়ে টিংকুর সাথে তার বিবাহ হয়।মুক্তিযুদ্ধের  শেষদিকে তিনি জিয়াউর রহমানের 'জেড' ফোর্সে যোগ দেন।১৯৭২ সালে মেজর.ফারুকের সাথে তার আবারও দেখা হয়।বঙ্গবন্ধু খুনের মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রশিদ একজন।বঙ্গবন্ধুর এই খুনি এখনও পলাতক রয়েছে।


 রশিদের পরিকল্পনা 

মেজর রশিদ বঙ্গবন্ধু খুনের পরিকল্পনায় তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছিল।ফারুকের সাথে বঙ্গবন্ধু খুনের পরিকল্পনা ঠিক করার পর রশিদই অন্যসব প্রাক্তন সামরিক অফিসারদের দলে ভেরানোর কথা মনে করে। তার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনের পর তার উত্তরসূরী ঠিক করা।যাতে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু খুনের কারণে উদ্ভব বিভিন্ন সমস্যা সামলানো সহজ হয়।ভেবে চিন্তে তিনি মোশতাককে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি ঠিক করে। এছাড়া রশিদ এটাও বুঝতে পেরেছিল যে খন্দকার মোশতাককে তারা পুতুলের মতো ব্যবহার করতে পারবে।

 বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে রশিদ ২রা আগষ্ট  খন্দকার মোশতাকের সাথে দেখা করে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পরিকল্পনা কিছুটা জানায়। এবং তাতে মোশতাক মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করে।এরপর রশিদ এমন আর্মি অফিসারদের খুঁজছিল যাদের আক্রোশ রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি।এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করতে দুবার ভাববে না।   রশিদ আগষ্টের ১৩ তারিখ অবসরপ্রাপ্ত মেজর ডালিমের সাথে দেখা করে এবং খুনের পরিকল্পনা জানায়।ডালিম তার বন্ধু প্রাক্তন মেজর নূরকে জানানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করে। নূরেরও বঙ্গবন্ধুর প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোস ছিল।ওই দিনই নূরকে নিয়ে ডালিম রশিদের বাসায় দেখা করে। এবং নূরকে  বঙ্গবন্ধুকে  খুনের পরিকল্পনা বিস্তারিত জানানো হয়।তখন নূর খন্দকার মোশতাকের সম্মতি সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে।তাই রশিদ তাকে পরদিন খন্দকার মোশতাকের সাথে দেখা করানোর কথা বলে। ওইদিন দেখা করতে যাওয়ার সময় নূর অফিসার সুলতান শাহরিয়ার রশিদকে নিয়ে আসে।রশিদ ঝামেলায় না জড়িয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত করে।

সেনা অভ্যুত্থানের দিন রশিদের মূল কাজ ছিল রাজনৈতিক ব্যাপারগুলো সামলানোর।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে খুন করার পরই খন্দকার মোশতাককে রেডিও স্টেশনে নিয়ে এসে মুজিব হত্যার ঘোষনা দেয়া।এবং খন্দকার মোশতাককে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করা ছিল রশিদের দায়িত্ব। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারের উচ্চ পদস্থ সামরিক অফিসারদের সমর্থন আদায় করাও রশিদের উদ্দেশ্য ছিল।

 মেজর. বজলুল হুদা

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় বজলুল হুদার জন্ম।১৯৭৩ সালে প্রথম ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টে মেজর হুদার পোস্ট হয়েছিল।খুব শীগ্রই হুদা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পেয়েছিল। তবে ১৯৭৫ সালে উচ্ছৃঙ্খলতার অভিযোগে মেজর.হুদা কমিশন হারিয়েছিল। বজলুল হুদা ১৯৭৫ সালের ১৪ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু খুনের মূল পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে বৈঠক করেছিল।১৫ আগষ্ট হুদাও বঙ্গবন্ধুর বাসায় আক্রমণকারী খুনি সৈন্যদের একজন ছিল।




 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় এইচ. এম.বি.নূর চৌধুরীর সাথে বজলুল হুদাও গুলি করে।অর্থাৎ, বজলুল হুদার গুলিতে খুন হয় বঙ্গবন্ধু।খুন করার  পরপরই ফারুক তাকে ওই বাড়িতেই মেজর পদোন্নতি দিয়েছিল।

পরবর্তীতে বজলুল হুদাও ফ্রিডম পার্টির সদস্য ছিল এবং ১৯৮৮ সালে মেহেরপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু খুনের অন্যতম আসামি বজলুল হুদার ফাঁসি কার্যকর হয়।


কর্নেল ডালিম

পুরো নাম লে.কর্নেল শরিফুল হক ডালিম।১৯৪৬ সালে ডালিম জন্মগ্রহণ করে। কর্নেল ডালিমের স্ত্রীর নাম নিম্মি ডালিম।ডালিম প্রথমে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনিতে যোগ দেন।১৯৬৫ সালে তিনি সেনাবাহিনিতে যোগ দেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এই কর্নেল ডালিম।১৯৭৫ সালে পূনরায় সেনাবাহিনিতে নিয়োগ হন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করার সাথে জড়িত ছিলেন।শেখ মুজিব খুন হওয়ার পর  নিজেই তা বাংলাদেশ বেতারে  স্বীকার করে।'৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সরকার তাকে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে নিয়োগ দিয়েছে।গণচীন, লন্ডন,হংকং,কেনিয়া, তানজানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শরিফুল হক ডালিম দায়িত্ব পালন করেছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব খুনের মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত খুনিদের একজন। বঙ্গবন্ধুর এই খুনি এখনও পলাতক রয়েছে।



১৩ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে শরিফুল হক ডালিম  রশিদের বাড়িতে দেখা করে।এবং রশিদ তাকে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার  ষড়যন্ত্রে সামিল করে। ডালিম এই খুনের কথা মেজর নূর চৌধুরীকে জানানোর ইচ্ছা পোষন করে। ওইদিনই তার বন্ধু প্রাক্তন মেজর নূরকে রাত ১টায় রশিদের বাসায় নিয়ে আসে।এবং বঙ্গবন্ধুকে খুন করার ষড়যন্ত্র বিস্তারিত আলোচনা করে।১৫ আগষ্ট ডালিমের দায়িত্ব ছিল আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতে সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে তাকে খুন করার।সে এই খুনের দায়িত্ব নিষ্ঠুরভাবে পালন করে।

ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ

আবদুল মাজেদের জন্ম ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারায়।তার পিতা আলী মিয়া চৌধুরী। আবদুল মাজেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনিতে ক্যাপ্টেন ছিল।১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট শেখ মুজিবুর রহমানের শ্যালক আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা ও খুন করা দলের সদস্য ছিল আবদুল মাজেদ।জাতীয় চার নেতার খুনের সাথেও জড়িত ছিলেন।


পরে জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগাল দূতাবাসে বদলি করে।১৯৮০ সালে দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন করপোরেশনে যোগ দেন।পরে সচিব,যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক পদে কাজ করেছে।১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর  বঙ্গবন্ধুর এই খুনি আবদুল মাজেদ আত্মগোপন করেন। অনেকদিন বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর এই খুনির মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।

৯.  লেখকের মন্তব্য  |  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস | ছবি | ব্যানার

আমরা চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এর সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র তুলে ধরা পাশাপাশি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্ট্যাটাস, ছবি ,ব্যানার এবং ইতিহাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে পাঠকরা সন্তুষ্ট হবেন সর্বোপরি উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url