লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত!
বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল দেশের মধ্যে লুক্সেমবার্গ অন্যতম। অনেকেই এই দেশে কাজ করতে আগ্রহী থাকেন তাই লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান। আজকের আর্টিকেলে আমরা লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করব। সেই সাথে লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম, ও কী কী কাগজপত্র লাগবে তা বিস্তারিত আলোচনা করব।
সংক্ষেপে জেনে নিন | |
---|---|
প্রশ্ন | লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা |
উত্তর ধাপ ০১. | লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা হলো ডি টাইপ ভিসা যার আওতায় ১ বছরের বেশি সময় কাজের উদ্দেশ্যে লুক্সেমবার্গ থাকা যায়। |
উত্তর ধাপ ০২. | লুক্সেমবার্গে বিভিন্ন পোস্ট যেমন আইটি সেক্টর, এইচ আর এবং এডমিন, ট্যুর গাইড এবং আতিথেয়তা, ইন্জিনিয়ারিং, ইকোনমি, শিক্ষকতা, সাস্থ্যসেবা পোস্টে কাজের সুযোগ রয়েছে। |
উত্তর ধাপ ০৩. | লুক্সেমবার্গ কাজের জন্য বিভিন্ন সার্টিফিকেট, ভিসার জন্য পাসপোর্ট, ছবি, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। |
উত্তর ধাপ ০৪. | বাংলাদেশে লুক্সেমবার্গ কনস্যুলেট এর ঠিকানা হলো রোড ১১/এ, হাউজ ৫০/১, এপার্টমেন্ট ই, ধানমন্ডি আর/এ ঢাকা -১২০৯ |
অনুচ্ছেদ সূচি(যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- লুক্সেমবার্গ জব পারমিট ভিসা
- লুক্সেমবার্গ কাজের সেক্টর
- লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসায় আবেদনের নিয়ম
- বাংলাদেশে লুক্সেমবার্গ ভিসা সার্ভিস সেন্টার
- লেখকের মন্তব্য
১.লুক্সেমবার্গ জব পারমিট ভিসা | লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা
সংক্ষেপ: লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা হলো টাইপ ডি ভিসা যার আওতায় এক বছরের বেশি সময় কাজের উদ্দেশ্যে লুক্সেমবার্গ অবস্থান করা যায়।লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রথমেই একটি জব পেতে হবে এবং নিয়োগকর্তার সাথে একটি কাজের চুক্তিপত্র থাকতে হবে।
লুক্সেমবার্গ পশ্চিম ইউরোপের একটি স্থল বেষ্টিত দেশ যার উত্তর ও পশ্চিমে বেলজিয়াম পূর্বে জার্মানি ও দক্ষিণে ফ্রান্স অবস্থিত। আয়তনে দেশটি অনেক ছোট। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বেনেলুক্স এর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও এটি সেনজেন যুক্তিতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সেনজেন ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের যেকোনো নাগরিক অনায়াসে যাওয়া আসা করতে পারে। জিডিপির ক্রমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ এখন লুক্সেমবার্গ। বিগত কয়েক দশক ধরে নাগরিক জীবনের সমৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি দক্ষ দেশ পরিচালনায় লুক্সেমবার্গের অর্থনৈতিক প্রভৃতি ছিল উল্লেখযোগ্য। লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা পেতে গেলে যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হয়৷ এই দেশে জব পেতে হলে ন্যূনতম স্নাতক বা ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হয়।
লুক্সেমবার্গ ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রথমেই একটি জব পেতে হবে এবং নিয়োগকর্তার সাথে একটি কাজের চুক্তিপত্র থাকতে হবে। লুক্সেমবার্গ জব ভিসা হলো টাইপ ডি ভিসা। টাইপ ডি ভিসা সাধারণত লুক্সেমবার্গে এক বছরের বেশি সময় নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অবস্থানের জন্য পারমিট করা হয়। বেতনভুক্ত কর্মচারীরা টাইপ ডি ভিসার মাধ্যমে লুক্সেমবার্গে কাজের জন্য যেতে পারে এবং এক বছরের বেশি সময় অবস্থান করতে পারে। এই ভিসা ক্যাটাগরির আওতায় যারা কাজের উদ্দশ্যে লুক্সেমবার্গ যেতে পারেন :
- বেতনভুক্ত কর্মচারী ( চাকুরজীবী)
- স্ব-নিযুক্ত কর্মী
- উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী ( বিজনেস ভিসার আওতায়)
আরও পড়ুনঃ কাতার লেবার ভিসা | কাতার গার্মেন্টস ভিসা
২.লুক্সেমবার্গ কাজের সেক্টর | লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা
- আইটি
- এইচ আর এবং অ্যাডমিন
- ট্যুর গাইড এবং আতিথেয়তা
- ইঞ্জিয়ারিং
- ইকোনোমি
- শিক্ষকতা
- স্বাস্থ্যসেবা
৩.লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা
- ব্যাচেলর সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট
- লুক্সেমবার্গ ভাষা ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট (লুক্সেমবার্গ যেহেতু বহুভাষার মানুষের দেশ তাই ইংরেজি দক্ষতা তেমন বাধ্যতামুলক না)
- জব পাওয়ার কভার লেটার
- চাকরির চুক্তিপত্র
- মুল প্রশংসাপত্র যা নিয়োগকর্তা কতৃক দেওয়া হয়েছে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বৈধ পাসপোর্ট ( ১০ বছরের ভিতর ইস্যু করা এবং লুক্সেমবার্গ হতে ফেরত আসার পরও তিন মাস মেয়াদ থাকবে এমন পাসপোর্ট)
- ভিসা ফি
- সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আইডেন্টিটি সার্টিফিকেট (যেমন : জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট)
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- ব্যাংক একাউন্ট এর কাগজপত্র
৪.লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসায় আবেদনের নিয়ম | লুক্সেমবার্গ কাজের ভিসা
- লাক্সেমবার্গে একটি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
- দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে (এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্য কোনো দূতাবাস যেখানে লুক্সেমবার্গ এর ভিসার কাজ করা হয় সেখানে যোগাযোগ করতে হবে।)
- লুক্সেমবার্গের নিয়োগকর্তা কতৃক কর্মচারীর জন্য বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে।
- সকল আবেদন পারমিট হলে মেডিকেল টেস্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
- ভিসা ফি জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তৈরি করে জমা দিতে হবে।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url