লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় ২০২৪
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত লুক্সেমবার্গ এ চাকরী, পড়াশুনা, ভ্রমণ কিংবা স্থায়ী বসবাসের জন্য অনেকেই যেতে আগ্রহী থাকেন। তাই লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
সংক্ষেপে জেনে নিন | |
---|---|
প্রশ্ন | লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় |
উত্তর ধাপ ০১. | লুক্সেমবার্গ যেতে দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায় একটি লং টার্ম ভিসা, অন্যটি শর্ট টার্ম ভিসা |
উত্তর ধাপ ০২. | লুক্সেমবার্গ যাওয়ার ভিসা আবেদনের জন্য একটি বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা ফি, সদ্য তোলা দুই কপি ছবি, এনআইডি কার্ড, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় |
উত্তর ধাপ ০৩. | প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা ফি পেইড করলেই দুই মাসের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। |
উত্তর ধাপ ০৪. | বাংলাদেশে লুক্সেমবার্গ কনস্যুলেট এর ঠিকানা হলো: রোড ১১/এ, হাউজ ৫০/১, এপার্টমেন্ট ই, ধানমন্ডি আর/এ ঢাকা -১২০৯ |
অনুচ্ছেদ সূচি (যে অংশ পড়তে চান তার উপর ক্লিক করুন)
- লুক্সেমবার্গ ভিসা
- লুক্সেমবার্গ ভিসায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- লুক্সেমবার্গ এর ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম
- বাংলাদেশে লুক্সেমবার্গ ভিসা সার্ভিস সেন্টার
- প্রশ্ন-উত্তর পর্ব
- লেখকের মন্তব্য
১.লুক্সেমবার্গ ভিসা | লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
সংক্ষেপ: লুক্সেমবার্গ এর স্থানীয় ভিসা সেনজেন ভিসা, আর তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যেতে দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায় একটি লং টার্ম ভিসা, অন্যটি শর্ট টার্ম ভিসা।
লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করার আগে কোন কোন ভিসায় আমরা লুক্সেমবার্গ যেতে পারব তা জানা দরকার। আর্টিকেলে এই অংশে আমরা লুক্সেমবার্গ এর ভিসা নিয়ে আলোচনা করব।
লুক্সেমবার্গ ভিসা: লুক্সেমবার্গ এর ভিসাকে সেনজেন ভিসা বলা হয়। ১৯৮৫ সালে ইউরোপের কয়েকটি দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ যাতায়াতকে সহজ করার উদ্দেশ্যে লুক্সেমবার্গ এর সেনজেন শহরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যাকে সেনজেন চুক্তি ও সেনজেন এলাকায় প্রবেশের ভিসাকে সেনজেন ভিসা বলা হয়। তাই লুক্সেমবার্গ এর স্থানীয় ভিসা হচ্ছে সেনজেন ভিসা
বাংলাদেশ যেহেতু সেনজেন এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয় সেহেতু বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গ যেতে সেনজেন ভিসা সার্ভিস পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য লুক্সেমবার্গ এ দুই ধরনের ভিসা সার্ভিস চালু রয়েছে। একটি হলো স্বল্প পরিসরের ভিসা যার আওতায় লুক্সেমবার্গে সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করা যায়, আর একটি হলো দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা যার আওতায় ৯০ দিনের বেশি সময় লুক্সেমবার্গ এ অবস্থান করা যায়।
Short term visa:
শর্ট টার্ম ভিসার আওতায় নির্দিষ্ট কাজের জন্য লুক্সেমবার্গ এ এসে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত লুক্সেমবার্গ এ অবস্থান করা যায়। এই ভিসার আওতায় দুই ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায় : একটি হলো টাইপ এ, অন্যটি টাইপ সি।
টাইপ সি ভিসা :
- বিজনেস ভিসা
- সাংস্কৃতিক, অফিশিয়াল ভিজিট ভিসা
- মেডিকেল ভিসা (লুক্সেমবার্গ এ ডাক্তার দেখানোর জন্য)
- স্পোর্টস ভিসা (খেলোয়াড়দের জন্য)
- স্টাডি ভিসা (শিক্ষার্থীদের জন্য)
- টুরিজম (লুক্সেমবার্গ টুরিস্ট ভিসা)
- পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে ভিজিটিং ভিসা
- বেতনভুক্ত কর্মচারী ( লুক্সেমবার্গ ওয়ার্কিং ভিসা)
- স্ব-নিযুক্ত কর্মী (লুক্সেমবার্গ ওয়ার্কিং ভিসা)
- উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মকর্তা (লুক্সেমবার্গ বিজনেস ভিসা)
- গবেষক
- এথলেট
- স্টুডেন্ট ( লুক্সেমবার্গ স্টুডেন্ট ভিসা)
- ব্যক্তিগত কারন
- কোনো কোম্পানি কতৃক নিযুক্ত কর্মী ( লুক্সেমবার্গ ওয়ার্কিং ভিসা)
আরও পড়ুনঃ কাতার ভিসা সার্ভিস
২.লুক্সেমবার্গ ভিসায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- বৈধ পাসপোর্ট ( ১০ বছরের ভিতর ইস্যু করা এবং লুক্সেমবার্গ হতে ফেরত আসার পরও তিন মাস মেয়াদ থাকবে এমন পাসপোর্ট)
- ভিসা ফি
- সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আইডেন্টিটি সার্টিফিকেট (যেমন : জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট)
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- ব্যাংক একাউন্ট এর কাগজপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্নাতক পাসের সার্টিফিকেট, চাকরির চুক্তিনামা, (ওয়ার্কিং ভিসার ক্ষেত্রে)
- ব্যাংক ব্যালেন্স এর প্রমাণ পত্র ( ভিজিট ও স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে)
- ফিরতি ট্রিপের টিকেট ( শর্ট টার্ম ভিসার ক্ষেত্রে)
- ভার্সিটির প্রশংসা /প্রমাণপত্র (স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে)
আরও পড়ুনঃ সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা
৩.লুক্সেমবার্গ এর ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম | লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- লাক্সেমবার্গে একটি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে(ওয়ার্কিং ভিসার ক্ষেত্রে)
- ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ভর্তি ফরম তুলতে হবে (স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে)
- দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে (এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্য কোনো দূতাবাস যেখানে লুক্সেমবার্গ এর ভিসার কাজ করা হয় সেখানে যোগাযোগ করতে হবে।)
- লুক্সেমবার্গের নিয়োগকর্তা কতৃক কর্মচারীর জন্য বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে।(ওয়ার্কিং ও বিজনেস ভিসার ক্ষেত্রে)
- সকল আবেদন পারমিট হলে মেডিকেল টেস্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
- ভিসা ফি জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তৈরি করে জমা দিতে হবে।
৪.বাংলাদেশে লুক্সেমবার্গ ভিসা সার্ভিস সেন্টার | লুক্সেমবার্গ ভিসা সার্ভিস
৫.প্রশ্ন-উত্তর পর্ব | লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়
- প্রশ্ন: লুক্সেমবার্গ যাওয়ার ভিসা পেতে কত সময় লাগে? উত্তর : ২ মাস।
- প্রশ্ন: কাজের ভিসায় লুক্সেমবার্গ গেলে কত বেতন পাওয়া যাবে? উত্তর : লুক্সেমবার্গ এ ভালো বেতনে কাজ পাওয়া যায়। যেমন: লুক্সেমবার্গে আইটি সেক্টরে বেতন হয়ে থাকে ৬০০০ ইউরো এর মতো আর অন্যান্য সেক্টরের বেতন হয়ে থাকে ৪০০০ থেকে ৫০০০ ইউরো এর মতো।
- প্রশ্ন: লুক্সেমবার্গ যেতে কি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে? উত্তর : না, লুক্সেমবার্গ যেতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রয়োজন নেই৷ তবে লুক্সেমবার্গ এ রাষ্ট্রী তিনটি ভাষার (লুক্সেমবার্গিশ, ফরাসি অথবা জার্মান) যেকোনো একটি জানতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কাতার ভিসা প্রসেসিং
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url