OrdinaryITPostAd

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার সঠিক উপায় জেনে নিন!

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। তাই আজকে আমরা মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা
  2. মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
  3. মসুর ডালের সাথে মধু
  4. মসুর ডালের সাথে টক দই ও বেসন
  5. দুধ ও মসুর ডাল
  6. মসুর ডাল ও গাঁদা ফুল
  7. মসুর ডালের উপকারিতা
  8. লেখকের মন্তব্য

১.মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বকের যত্নে যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মসুর ডাল। মসুর ডালে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেড, ডায়াটারি ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি,ই, কে এবং থিয়েমিন  নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও বলিরেখা দূর করতে মসুর ডাল দুর্দান্ত কার্যকরী। সেই সঙ্গে ত্বকের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে স্কিনকে সুন্দর, ফর্সা ও মসৃণ করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা বেড়েছে দিন দিন। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

২.মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ব্যবহার করা আজকালকার প্রচলিত অনুষঙ্গ নয়। এটা বহু কাল আগে থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে মসুর ত্বকের জন্য এতটাই কার্যকরী যে, সেটা ময়লা ও বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে করে পরিষ্কার এবং কোমল, যা একজন মানুষকে সুন্দরী গ্ল্যামারাস হিসেবে পরিচিত করতে সক্ষম। হয়তো আপনারা জেনে থাকবেন, অতীতে বিয়ের কয়েক দিন আগ থেকে কনের মুখে মসুর ডাল বেটে লাগানো হতো। আর এর অন্যতম কারণ ছিল এতে তাৎক্ষণিক ফর্সা ত্বক পাওয়া যায়। মসুর ডালে থাকা অ্যান্টি এজিং উপাদান ত্বক ফর্সা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

তাছাড়াও ইতোমধ্যে আরও জানা গেছে, মসুর ডালের যে কোন ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বকের টিস্যু সজীব হয় এবং মাত্র সপ্তাহে দু-তিনবার ব্যবহার করলেই ত্বক হয়ে ওঠে টানটান এবং নমনীয়, পাশাপাশি বলি রেখাটাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, যাদের ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা রয়েছে তাদের সেই ড্রাই স্কিনকে নমনীয় করতেও মসুর ডালের ফেসপ্যাক অধিক বেশি কার্যকরী। জানা গেছে, দুধের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে আর্দ্রতা বজায় থাকে, ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার প্রকোপ কমে যায় এবং ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে ও ড্রাই স্কিনের সমস্যা থেকে পরিত্রান মিলে। তাহলে বুঝতেই পারছেন অতি পরিচিত এই সাধারণ একটি উপাদান আমাদের রূপচর্চার জন্য কতটা কার্যকরী। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো নিয়ে পরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

৩.মসুর ডালের সাথে মধু | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডালের সাথে মধু মিশিয়ে একটি দারুণ ফেইসপ্যাক বানানো যায়। যাদের ড্রাই স্কিন তাদের জন্যে মসুর ডাল একটি ধারুণ ফেস প্যাক। এটি জনপ্রিয় একটি মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। মসুর ডালের সাথে মধু মিশয়ে ব্যবহার করলে এই প্যাক ত্বকের মৃতকোষ দূর করে আর ত্বককে রাখে সফট আর শাইনিং। সাথে স্কিনের স্মূদ নেস ও বাড়বে। এক্ষেত্রে আপনি যেভাবে ফেস প্যাক বানাবেন তা হলো প্রথমে ১চা চামচ মধু আর মসুর ডাল বাটা নিবেন ১ চা চামচ। ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন। তার পরে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে সেখানে সেখানে মুখে লাগাতে হবে। লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে এইবার হালকা হালকা ভাবে ঘষে তুলে নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে পানি দিয়ে মুখ ধুহে ফেলতে হবে। এই প্যাক টি আপনি সহযে ব্যবহার করতে পারবেন।

৪.মসুর ডালের সাথে টক দই ও বেসন | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডাল, টক দই আর বেসন দিয়ে একধরণের উপটান বানিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।এটি আরেকটি মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। অনেকেই আছেন যারা চাই ত্বক ফর্সা করতে কিংবা ব্রণ থেকে দূরে থেকে স্কিন কে সুন্দর করতে তাদের জন্যে এই উপটান প্যাক টি বিশেষ কাজে দেয়। এই প্যাক বানাতে আপনি প্রথমে আপনার ত্বকের পরিমাণ মসুর ডাল বাটা নিবেন আর সাথে পরিমাণ মতো টক দই আর বেসন একসাথে মিশিয়ে নিন। চাইলে আপনি ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া ও মেশাতে পারেন। এইসব গুলোর মিশ্রণ করে এইবার পরিষ্কার ত্বকে লাগান। তারপর শুকিয়ে গেলে ভেজা হাত দিয়ে ম্যাসাজ করে আস্তে আস্তে তুলে ফেলুন। দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আর যদি শরীরে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান তাহোলে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারবেন।

৫.দুধ ও মসুর ডাল | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

দুধ ও মসুর ডালের সাথে মিশিয়ে একটি দারুণ একটি মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তৈরি করা যায়। যারা সিম্পল বা সাদাসিধে ত্বক কিন্তু ত্বকে কার্যকর এক্সফলিয়েশন পছন্দ করেন তাদের জন্যে এই মসুর ডাল দারুন এক উপাদান। সাধারণত এই ডাল মুখের মৃতকোষ সরিয়ে মুখের ত্বক উজ্জ্বল আর স্মুদ করবে। আর দুধে তো রয়েছে ল্যাকটিক এসিড। যা এমনিতেই ত্বককে কোমল, আরামদায়ক ও ফর্সা করে তোলে। এই দুধের আর মসুর ডালের প্যাক বানাতে আপনি প্রথমে মসুর ডালকে বেটে এর সাথে এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। এইবার আপনার কোমল হাতে মুখে ঘষে ঘষে এই মিশ্রণ ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন যাতে করে মুখে লেগে না থাকে।

৬.মসুর ডাল ও গাঁদা ফুল | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডাল আর গাঁদা ফুল দিয়েও দারুণ ভাবে ফেসপ্যাক বানানো যায়। গাঁদাফুল আমাদের দেশে খুব সহযে পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটি একটি সহজলভ্য ফুল। তবে এই ফুল শুধু আপনার বাগানের সৌন্দর্য্যই বাড়ায় তাই নয় সাথে আপনার এতে আছে ত্বকের যত্নের নানা উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ফেস প্যাক বানাতে আপনি প্রথমে একটি বাটিতে মসুর ডাল বাটা আর গাঁদাফুলের পাপড়ি কে বেটে একসাথে মিশিয়ে নিন। এইবার এই প্যাক ভালোভাবে মুখে লাগান। যদি গোলাপফুল থাকে তাহোলে তো কথা নেই। গোলাপ ফুলের পাঁপড়িকেও বেটে মুখে লাগান। দেখবেন ত্বক গোলাপি হয়ে গেছে

৭.মসুর ডালের উপকারিতা | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এর পাশাপাশি মসুর ডাল খাওয়া শরীরের জন্যও উপকারি। মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। মসুর ডালে আয়রন ও ফলেড একসাথে পাওয়া যায়। মসুর ডালের ফাইবারে আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সম্পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মসুর ডাল খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। মসুর ডাল গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারি।

৮.লেখকের মন্তব্য | মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আজকে আমরা মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে সেটি আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। মসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ছাড়াও যেকোন রূপচর্চা সম্পর্কিত তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url