পর্তুগাল ভিসা আবেদন | পর্তুগাল ভিসা প্রসেসিং

কাজের জন্য মানুষ পর্তুগাল কাজের ভিসা নিয়ে থাকেন।অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে কাজের চাহিদা বেশি এবং শ্রমিকদের গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। তাছাড়া আপনি পর্তুগালের ভিজিট ভিসার মাধ্যমেও সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। তাই আজকে আমরা জানিয়ে দিব পর্তুগাল কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন এবং পর্তুগাল কাজের ভিসা পাবার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন এবং কিভাবে কোথায় পর্তুগাল ভিসা আবেদন করবেন এই নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা।

পর্তুগালে অনেক উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এইসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি- সকল ধরণের কোর্সই করতে পারবেন পর্তুগাল ভিসা আবেদন করে। এছাড়া এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হরেক রকমের সাবজেক্ট যেমনঃ সাইন্স, ইকোনমিকস, বাণিজ্য, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, একাউন্টিং, মেডিকেলসহ বহু ধরণের কোর্স। কিন্তু মনে রাখবেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্তুগীজ ভাষায় কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। তাই, কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার আগে দেখে নেবেন সেখানে ইংরেজী মাধ্যমে কোর্স অফার করা হয় কি না।ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের ভারতের দিল্লি যেতে হবে এবং সেখানে পর্তুগাল দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়া ও ইন্টারভিউ দিতে হবে।

বর্তমানে অভিবাসন প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার পর্তুগাল কর্মী সংকটে পড়েছে ব্যাপকভাবে। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে পর্তুগালে প্রবেশ মিলছে না বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের। এতে বর্তমানে শিল্পের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছে। দেশটিতে দিন দিন বাড়ছে কঠিন সংকটের হার এবং প্রতিনিয়ত কৃষি শিল্পের উপর রপ্তানি আয় নিম্নমুখী ঝুকে যাচ্ছে। ব্যাবসায়ীদের অনেক লোকসান হচ্ছে। তাই বর্তমানে পর্তুগাল সরকার বাংলাদেশ ,ভারত , মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা এ সমস্ত দেশ থেকে পর্তুগাল ভিসা আবেদন এর মাধ্যমে কৃষি শ্রমিক নেবে বলে তাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে। অন্যদিকে পর্তুগালের পাশাপাশি ইউরোপের জনপ্রিয় প্রাচীন পদ্ধতি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কৃষি-শিল্প চালু থাকলেও কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। ফলে দেশটির আন্তর্জাতিক মান একেবারেই ধসে পড়ছে ।তাই এই অনুন্নত পরিকল্পনা প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যমে। বর্তমানে কৃষি ব্যবস্থা এবং কৃষি শিক্ষাকে নতুনভাবে সাজানোর জন্য বিচারব্যবস্থা পুনরায় আবার সাজানো হচ্ছে। 

পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে হলে নির্ধারিত কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন ।এই সমস্ত কাগজপত্র অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে তা আমরা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরলাম।

স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে পর্তুগালে কাজের ভিসার খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো। পর্তুগালের যদি আপনার কোন আত্মীয় থাকে সেক্ষেত্রে যদি আপনি কাজের জন্য ইনভাইটেশন পান তাহলে আপনি খুব সহজেই চাকরি পেয়ে যাবেন এবং আপনার খরচ কিছুটা কমে যাবে।তাছাড়া আপনি পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে পারবেন সেদেশের গভমেন্ট সাইটগুলো এবং জব সাইট গুলোতে খুব সহজে  এবং সেখানে আমরা সিবিটি দেওয়ার পরে তারা আপনার ইমেইল এবং ফোন নাম্বার অনুযায়ী আপনাকে জানিয়ে দেবে। এবং আপনার ভিসা প্রসেস তারাই করে দিবে। এটার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবে। আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে এই লিংকে গিয়ে আপনারা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন https://www.schengenvisainfo.com/portugal-visa/ 

আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওপর আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সে সমস্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার সিভি তৈরি করে সাবমিট করবেন। সিভিতে বিস্তারিত এবং সুন্দরভাবে আপনার বিষয়টি বা দক্ষতা টি তুলে ধরবেন। তাহলে আপনাকে খুব সহজেই তারা ভিসা নিতে রাজি হবে। এটাই একমাত্র উপায় যেখান থেকে আপনি পর্তুগাল কাজের ভিসা পেতে পারেন। তাই আপনি যেকোন একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে খুব সহজেই পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে পারেন‌। তাই অবশ্যই সবার আগে দক্ষতা লাগবে ।

অবশ্যই পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার দক্ষতা প্রয়োজন।আপনাকে সাবলীলভাবে ইংরেজি ভাষা জানতে হবে এবং পর্তুগিজ ভাষা সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে। সেখানে আপনি রেস্টুরেন্ট এবং কম্পিউটার অপারেটর এবং ড্রাইভিং পদের জন্য যদি নিয়োগ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষতা অবশ্যই থাকা লাগবে।

আপনি অন্যান্য জায়গায় যে কাজগুলো করেছেন সেখান থেকে একটি প্রমাণ স্বরূপ রশিদ বা সার্টিফিকেট নিয়ে রাখবেন তাহলে আপনার দক্ষতা তারা যাচাই করতে পারবে। আর যদি আপনি পাইপ ফিটিং বা ক্লিনার পদের জন্য নিয়োগ পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকেই আপনাকে এই ধারণা গুলো নিয়ে যাওয়া লাগবে। তা না হলে আপনাকে কাজের অভিজ্ঞতার জন্য আবার বাংলাদেশে ফেরত আসা লাগতে পারে। তাই অবশ্যই এ সমস্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই আপনি সেখানে পাড়ি জমাবেন। 

বাংলাদেশের টিটিসি সহ বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমে যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্কিলড হতে পারবেন ।যেমন ডাইভিং, হোটেল বয়, শেফ, পাইপ ফিটিং এ সমস্ত কাজের উপর আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এই টিপসগুলো আপনার জেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে রয়েছে সেখানে সামান্য কিছু পরিমাণ টাকা নিয়ে আপনাদেরকে দক্ষ করে তৈরি করে দিবে এবং সার্টিফিকেট সহ।

বিদেশে যাওয়ার পরে সবথেকে কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায় কিভাবে কাজ পাওয়া যাবে। কারণ অনেক সময় মানুষ কাজের জন্য হতাশ হয়ে যায় ।এক্ষেত্রে আপনাকে হতাশ না হয়ে কাজ খুজতে হবে। কাজ খোঁজার জন্য আপনাকে যেগুলো করা লাগবে তা হল যে সমস্ত কোম্পানির ওয়েবসাইট আছে সেই সমস্ত কোম্পানির ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করে তাদের নতুন বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখতে হবে এবং তাদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে সিভি তৈরি করে সেখানে সাবমিট করতে হবে। তারা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী মেইলের মাধ্যমে এবং ফোন করে ডেকে নেবে। এভাবে আপনি পর্তুগাল ভিসা আবেদন করে কাজের অফার পেয়ে যাবেন।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি পর্তুগাল ভিসা আবেদন নিয়ে সকল খুঁটিনাটি তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন। পর্তুগাল ভিসা আবেদন নিয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সেটি আমাদের জানাতে পারেন। পর্তুগালের ভিসা আবেদন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 

পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 

লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা

লেখকের ফেসবুক আইডি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা

মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন

পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

জেলা: নাটোর

প্রতিষ্ঠাতার ফেসবুক আইডি