OrdinaryITPostAd

নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি কারা তা নিয়ে আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আছি আমরা নাটোরের কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করব। নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।



আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়
  2. মহারানী ভবানী
  3. মাদার বখশ
  4. সমর পাল
  5. আশরাফুল ইসলাম
  6. এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাসার
  7. শরৎকুমার রায়
  8. হাসার উদ্দীন কবিরত্ন
  9. লেখকের মন্তব্য

১.মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

জগদিন্দ্রনাথ রায় ছিলেন নাটোর বড় তরফের রাজা গোবিন্দনাথের স্ত্রী ব্রজসুন্দরীর দওক পুত্র। তার আসল নাম ব্রজনাথ। ১৮৬৮ খ্রীস্টাব্দের ২৬ শে অক্টোবর নাটোরের হরিশপুর নামক গ্রামে এক সম্ভান্ত গরীব হিন্দু পরিবারে তার জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম শীনাথ রায় এবং মাতার নাম প্রসন্নময়ী দেবী। এই কৃতি সন্তান কালক্রমে জ্ঞানী-গুনী রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংগঠক হিসাবে নাটোর রাজপরিবারের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছিলেন। জগদিন্দ্রনাথ ১৮৮৯ সালের ৯ই অক্টোবর রাজকার্যভার গ্রহণ করেন। বৃটিশ ভারতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রগতিবাদী চেতনার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল। 

সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার বিশেষ অবদান ছিল। তার রচিত উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে ‘নূরজাহান’ ’সন্ধাতারা‘ প্রধান। মহারাজরা সাংবাদিকতা ও করতেন। তিনি মানসী নামক একটি পত্রিকার ও সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া তার রচিত অনুবাদ সাহিত্য, ভ্রমন কাহিনী, জীবনী গ্রন্থ, কবিতা, গান এবং রাজনৈতিক প্রবন্ধ সমুহ বাংলাদেশে এককালে বিপুল আলোড়ন এনেছিল। তিনি ছিলেন সমাজ সেবক, প্রজাবৎসল এবং সত্যিকারের দেশ হিতৈষী। দানের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রনী। তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি নাটোরের মহারাজা হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা। ১৮৯৩ সালে নাটোর ত্যাগ করে কলিকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯২৫ খ্রীস্টাব্দের ২৬ শে ডিসেম্বর মোটর গাড়ীর ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এবং ০৫ জানুয়ারী, ১৯২৬ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

২.মহারানী ভবানী | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

নাটোর রাজবংশের প্রথম রাজা ছিলেন রামজীবন। রামজীবনের পালিত পুত্রের নাম ছিল রামকান্ত। বগুড়া জেলার অন্তর্গত আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রাম নিবাসী আত্মারাম চৌধুরীর একমাত্র কন্যা ভবানীর সাথে রামকান্তের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ভবানীর বয়স ছিল ১৫ বছর। ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামজীবনের মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাঁর দেওয়ান দয়ারামকে রামকান্তের অভিভাবক নিযুক্ত করেন। রামকান্ত রাজা হলেও প্রকৃতপক্ষে রাজকার্যাদি সম্পাদন করতেন দেওয়ান দয়ারাম। ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামকান্ত পরলোক গমন করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর আলীবর্দী খান রানী ভবানীর উপরই বিস্তৃত রাজশাহী চাকলার জমিদারী পরিচালনার ভার অর্পন করেন। তিনি অত্যন্ত যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সাথে তার জমিদারী পরিচালনা করেছিলেন।

শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর দানকৃত অর্থে বহু টোল পরিচালিত হত। জনসাধারনের সুবিধার জন্য তিনি অনেক হাট, বাজার এবং রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেছেন এবং পানির কষ্ট নিবারনের জন্য বহু দীঘি ও পুকুর খনন করেছিলেন। ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে ৭৯ বছর বয়সে বড়নগর রাজবাড়ীতে রাণী ভবানী মৃত্যুবরণ করেন।

৩.মাদার বখশ | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

১৯০৭ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার স্থাপনদীঘি নামক গ্রামে মাদার বখশ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বলিউদ্দিন মন্ডল। ১৯২৮ সালে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম,এ পাশ করেন এবং ১৯২৯ সালে তিনি বি,এল ডিগ্রী অর্জন করেন। প্রথমে ২-৩ বছর শিক্ষকতা করবার পর ১৯৩৪ সালে তিনি রাজশাহী জজ কোর্টে আইন ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি আইন ব্যবসায়ে প্রচুর খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেছিলেন। ওকালতি ছাড়াও তিনি রাজনীতি ও সমাজ সেবায় জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান আইন সভার সদস্য হিসাবে জনগণের সেবা করতে সক্ষম হন। আইন সভার সদস্য থাকা সত্ত্বেও ১৯৫০ সালে তিনি রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাপ্নিক ও স্রষ্টা। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে মাদার বখশ এর বিশেষ প্রচেষ্টায় তদানিন্তন সরকার ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ ‘ রাজশাহী বিশ্ববিদালয় এ্যাক্ট’ পাশ করে এবং তারপর যথারীতি কার্যক্রম শুরু করে এবং তা বাস্তবায়িত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ চালু হলে তিনি শিক্ষকরূপে যোগদান করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁর নামানুসারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নাম মাদার বখশ রাখা হয়েছে। ১৯৬৭ সালের ২০ জানুয়ারী দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

৪.সমর পাল | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

সমর পাল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর শহরের পালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সমর পাল ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সরকারি চাকুরির সৌজন্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল। ইতিহাস-সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে তাঁর রয়েছে নাড়ির টান। যেখানেই গিয়েছেন ইতিহাস-সংস্কৃতির শেকড় সন্ধান করেছেন।

কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগে ফেলো হিসেবে। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে সহকারী কমিশনার হিসেবে প্রশাসনে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবন যাপন করছেন।

ইতিহাস ও সাহিত্য কর্মে অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে পশ্চিম বঙ্গের শিলিগুড়িতে দার্জিলিং জেলা গ্রন্থমেলা কর্তৃক সংবর্ধিত হন। ২০০০ সালে রংপুর জেলা থেকে ইতিহাস গ্রন্থে অবদানের জন্য স্মারক সম্মান লাভ করেন। ২০০৬ খ্রিঃ এ ময়মনসিংহ লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্র থেকে ইতিহাস গবেষণার জন্য সংবর্ধনা ও সম্মাননা লাভ করেন।

সমর পাল মূলত বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া প্রত্নসম্পদ, নৃতত্ত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিস্তৃত স্থান ও ব্যক্তিত্ব, লোক সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেছেন। তরণ প্রজন্মকে শেকড়-সন্ধানী হতে আগ্রহী করা এবং আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রকে প্রাগ্রসর করাই তাঁর লক্ষ্য।

৫.আশরাফুল ইসলাম | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আশরাফুল ইসলাম জন্মে ছিলেন তৎকালীন রাজশাহী জেলার নাটোর মহকুমার সিংড়া থানার অন্তর্গত চলনবিল অধ্যুষিত তাজপুর গ্রামে ১৯২৩ সালের ১৯ শে ফেব্রুয়ারী। পিতা - ঘাসিউল্লা, মাতা- আজজান বিবি। আশরাফুল ইসলামের দেশ জুড়া রাজনৈতিক পরিচিত ছিল। তাকে চলনবিলের নয়ন মণি বলা হত। তিনি ছিলেন সিংড়া থানার আওয়ামীলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৪৪-১৯৫০ সময়ে ৩নং ইটালী ইউনিয়ন বোর্ড়ের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি নাটোর মহকুমা আওয়ামীলীগ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

আশরাফুল ইসলাম ১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগ এর মনোনয়নে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদে এবং ১৯৭৩ সলে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজির নগর প্রশাসনে জোনাল এড মিনিষ্ট্রেটিভ কাউন্সিলের (পশ্চিম জোন-২) চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৬৬-১৯৭১ সময়ে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত নাটোর জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ছিলেন। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে তিনি কারা বরণ করেন।

আশরাফুল ইসলাম ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল গনপরিষদের প্রথম সভাতেই স্পীকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে সভাকক্ষে কেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নেই এই প্রশ্ন তোলেন এবং প্রস্তাব করেন যে, জাতির পিতার ফটো না দেওয়া পর্যন্ত হাউজ মুলতবী রাখা হোক। উপস্থিত সদস্যগন এ প্রস্তাব সমর্থন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি হাউজে সংস্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধু যে, জাতির পিতা গনপরিষদেই তা সে দিন আশরাফুল ইসলামে প্রস্তাবে সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করলে আশরাফুল ইসলাম নাটোর জেলা বাকশালের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে তিনি দীর্ঘ ০৩ বছর ০৩ মাস বিনা বিচারে কারা ভোগ করেন।

তিনি নাটোর টেলিভিশন উপ-কেন্দ্র স্থাপন ও চলন বিল প্রকল্প প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রখেন। নিজ এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন । তিনি সাংবাদিক জীবনে ইত্তেফাক, বাংলার বাণী ও দৈনিক দেশ পত্রিকায় নাটোর প্রতিনিধি হিসেবে গৌরবের সহিত কাজ করেন। তিনি নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং সিংড়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সারাজীবন তিনি দেশ ও জনগনের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জীবনাবসান হয় ১৯৯১ সালের ৮ই মার্চ। 

৬.এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাসার | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

খাদেমুল বাসার ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ মার্চ নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলাধীন ছাতারবাড়ীয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হাসমতুল্লাহ শাহ্ এবং মাতার নাম মোছাঃ হাছিনা বেগম।খাদেমুল বাসার রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ১৯৫৩ সালে বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং বিমান বাহিনী একাডেমী থেকে গ্রাজুয়েশান ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ক্যাডেট হিসাবে যোগদান করে ধীরে ধীরে পদোন্নতির মাধ্যমে ১৯৭০ সালে উইং কমান্ডার পদ লাভ করেন। স্বাধীনতা লাভের পর তিনি ৩ বার পদোন্নতি লাভ করেন এবং ১৯৭৬ সালের মে মাসে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন এবং ঐ মাসেই তাঁকে এয়ার ভাইস মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তাঁকে ‘‘বীর উত্তম’’ খেতাব প্রদান করা হয়। ১ সেপ্টেমবর, ১৯৭৬ ঢাকা বিমান বন্দরে এক বিমান দুর্ঘটনায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

৭.শরৎকুমার রায় | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

শরৎকুমার রায় ১৮৭৬ খ্রিটাব্দে দিঘাপতিয়া রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন রাজা প্রমথনাথ রায় বাহাদুর মাতা রাণী দ্রবময়ী। তিনি দয়ারামপুর এস্টেট-এ তিনশত বিঘা জমির উপরে একটি কৃষি খামার স্থাপন করেছিলেন যার নাম ‘রাণী দ্রবময়ী ফার্ম’। এ ফার্মে উৎপাদিত আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদিত হত। এ অঞ্চলে কোন চিনিকল না থাকায় ১৯৩৬ খিস্টাব্দে গোপালপুরে স্থাপিত হয় ‘নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল’।

‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ এবং ‘বরেন্দ্র মিউজিয়াম’ স্থাপন তাঁর জীবনের অক্ষয় কীর্তি। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ এপ্রিল তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
 

৮.হাসার উদ্দীন কবিরত্ন | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

কবি হাসার উদ্দীনের জন্ম ১৯০৭ সালের ৮ই নভেম্বর কান্দিভিটুয়া গ্রামে। তিনি মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯২৮ সালে মহসিন বৃত্তিসহ প্রথম বিভাগে ম্যাট্টিকুলেশন পাশ করেন। ১৯৬২ সন পর্যন্ত সরকারি চাকুরিজীবি ছিলেন। নাটোর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক "বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি গেজেট" পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়। মাইকেল মধুসূদন দত্তের পর অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত তাঁর মধুপ্রশস্তি কবিতা রচনার জন্য তিনি "কবিরত্ন" উপাধি পান। 

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো সৌভাগ্য সোপান,গীতিনকশা,মোড়লের বিচার,শুক্তিমালা ,দ্বাদশী হিজরত, মহোত্তম জীবন, সন্ধানে এবং তাঁর অপ্রকাশিত পান্ডুলিপির মধ্যে আছে হিলাল, বিষকুম্ভ, বেলুবন ইত্যাদি। তাঁর নিজ বাসভবন “দীন মঞ্জিল” বড়গাছা,নাটোরে তিনি ১৯৯৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন।

৯.লেখকের মন্তব্য | নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি দের নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি দের নিয়ে আপনাদের যেকোন প্রশ্ন অথবা মতামত আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। নাটোর ছাড়াও অন্য যেকোন জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url