OrdinaryITPostAd

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনারা অনেকেই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা এবং মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই আজকে আমরা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা এবং কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। যারা মালয়েশিয়া যেতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)

  1. মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা
  2. মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যাওয়ার উপায়
  3. মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন
  4. মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা খরচ এবং বেতন
  5. মালয়েশিয়া কলিং ভিসা
  6. মালয়েশিয়া কলিং ভিসা খরচ
  7. মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন
  8. লেখকের মন্তব্য

১.মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

বর্তমানে মালয়েশিয়াতে সব ধরনের ভিসা ব্যবস্থা চালু আছে। তবে এক্ষেত্রে যারা প্রবাসী কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করতে চান এই ক্ষেত্রে কয়েকটি সাইটের মাধ্যমে আপনারা মালয়েশিয়াতে কাজের জন্য যেতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা মাধ্যমে যদি আপনি সেখানে গিয়ে কাজে নিয়োজিত হতে পারেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের কিছু রিকোয়ারমেন্ট প্রয়োজন আছে তা সম্পূর্ণরূপে ফিলাপ করতে হবে এবং মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা ও কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ সম্পর্কে জানতে হবে।

বর্তমানে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা চাহিদা অন্যান্য কাজের তুলনায় বেশি এবং সেইসাথে সেখানে যেকোনো ধরনের শ্রমিক গিয়ে কাজে নিয়োজিত হতে পারে। পাশাপাশি ফ্যাক্টরিতে কাজ করার দরুন আপনাদের বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকমের সুবিধা প্রদান করে থাকে। অনেক ফ্যাক্টরিতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সহ যাতায়াত খরচ সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বহন করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনাদেরকে ফ্যাক্টরি ভিসা পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করার সুবিধা করে নিতে পারবেন।

তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য কাজ করার জন্য আপনার মালিকের থেকে অথবা আপনার কোম্পানীর মাধ্যমে সেই পারমিশন নিয়ে নিতে হবে। সবক্ষেত্রে কিন্তু এই সুযোগ দেওয়া হয় না। বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকমের সুযোগ প্রদান করে থাকে। অবশ্যই আপনার ফ্যাক্টরিতে যে পরিমাণ কাজের সময় দরকার তার সব কিছুই আপনাকে দিয়ে পূরণ করে তারপরে আপনাকে অন্যান্য জায়গায় কাজ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

২.মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় যাওয়ার উপায় | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা দিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। এই সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সরাসরি আপনারা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশে অবস্থিত যে সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

তাছাড়াও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত যে সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সি আছে সেই সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। অথবা বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অধীনে যে দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিএমআইটি এবং বুয়েসেল এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা যোগাযোগ করে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

আপনি যদি সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে সময় দিতে হবে। কেননা তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কাজের শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনাকে সময় দিতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে খোঁজখবর রাখতে হবে কবে সরকারিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। তখন আপনার আবেদন করে যেতে পারবেন।

৩.মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ছয় মাসের একটি ভ্যালি পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে অন্যান্য কাজের দক্ষতা অর্জন করেছেন এই কাজের একটি সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তাহলে আপনি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এই ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন বেসরকারি এবং সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে এবং লাইসেন্স যুক্ত এজেন্সি রয়েছে। এ সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। সেইসাথে আপনাকে স্পেশালভাবে তিন দিনের একটি ট্রেনিং আছে সেই ট্রেনিং নিতে হবে। মেডিকেল রিপোর্ট এর পাশাপাশি আপনাকে অন্যান্য পরীক্ষামূলক টেস্ট সহ শারীরিক টেস্ট করা হবে। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে সমস্ত কোম্পানি একটা বিস্তারিত অভার্ভিউ আপনাদেরকে দিয়ে দিবে।

৪.মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা খরচ এবং বেতন | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা দাম বর্তমানে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকার মধ্যেই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনারা যে সমস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন তাদের কাছ থেকে ভালোমতো জেনে নেবেন তারা কোন কাজের প্রতি আপনাকে পাঠাচ্ছে এবং কত টাকার বেতন এবং যাতায়াত ভাড়া সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ বহন করবে কিনা।

বর্তমানে যারা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা তে কাজে নিয়োজিত আছে তাদের বেতন ২৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে যারা আগের শ্রমিক রয়েছে তাদের বেতন এদের থেকে একটু বেশি। বর্তমানে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে এমন শ্রমিক ও আছে।

৫.মালয়েশিয়া কলিং ভিসা | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

মালয়েশিয়ার কোম্পানি বা নিয়োগ দাতা অনেক দ্রুত সোর্স কান্ট্রি গুলো থেকে কলিং ভিসায় অনুমোদিত কর্মসংস্থান এর জন্য প্রতিটি সেক্টরে বিদেশী কর্মী নিয়োগ এর প্রক্রিয়ার জন্য অনলাইন আবেদন জমা দিতে পারেন বলে জানান মালয়েশিয়ার মানব সম্পন মন্ত্রী দাতুক । তিনি বলেন দ্রুত মালয়েশিয়ার কোম্পানি বা মালিকদের কলিং ভিসা ২০২৩ এর মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিয়োগ এর জন্য অনলাইন আবেদন করা যাবে। যা চলতি ২০২৩ সালের জনু মাস থেকেই।

তিনি আরো বলেন, নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দিতে চাই যে, আবেদন সিস্টেম দ্রুত করার উদ্দেশ্যে কোন দালাল মধ্য স্থতাকারী বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কোন টাকা প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।কারণ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ করা অনেক সহজ ও অল্প টাকায় ভিসা করা যায় । তাই কোন দালাল এর সাথে যুক্ত না হয়ে নিজে নিজেই মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩  করতে পারবেন। 

৬.মালয়েশিয়া কলিং ভিসা খরচ | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

এবার আসা যাক মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ এর খরচ নিয়ে।মালয়েশিয়ার বিমান টিকেট ছাড়া ১,৬০,০০০/- (এক লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মালয়েশিয়া কলিং ভিসা প্রসেসিং করার খরচ বাবদ সিন্ডিকেট কে দিতে হয় ।তবে মালয়েশিয়া যেতে একজন শ্রমিক এর খরচ কত হবে? মালয়েশিয়া কলিং ভিসার ফ্লাইট শুরু হলে বিমান টিকেট এর দাম বৃদ্ধি পাবে। টিকেট বাবদ খরচ হতে পারে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা।

পাম, বাগান ও কৃষি কাজ ছাড়া অন্যান্য সেক্টর গুলোর ভিসা কোম্পানির কাছে থেকে কিনতে খরচ হতে পারে ৩৫০০ রিংগিত বা ৪৫০০ রিংগিত।আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে কলিং ভিসা কিনেন তাহলে তারা লাভ করবে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ সকল এজেন্সির বাহিরে যে এজেন্সি গুলোর অন্যান্য খরচ হবে প্রায় ৫,০০০ টাকা।

৭.মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন |মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

আপনি যদি অনলাইনে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩  করতে চান তাহলে www.visasmalaysia.com এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে সেখানে আপনার নির্বাচিত মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন ফরম পেয়ে যাবেন।সকল কিছু আপনি সঠিক ভাবে স্টেপ বাই স্টেপ পূরণ করে সাবমিট করে দিবেন। তারপরে ভিসা অফিসে যোগাযোগ করে আপনি বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

আপনি অনলাইনে আবেদন করার পরে অবশ্যই সেই কপি নিয়ে ভিসা অফিসে যোগাযোগ করবেন। অল্প সময়ের মধ্যে আপনি মালয়েশিয়া কলিং ভিসা নিতে নিয়ে মালয়েশিয়াতে যেতে পারবেন।

৮.লেখকের মন্তব্য | মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা | কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা এবং কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা এবং কলিং ভিসা আবেদন ২০২৩ সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটি তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন। মালয়েশিয়া ভিসা সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটি আমাদের জানাতে পারেন। যেকোনো ধরনের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা 
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
জেলা: নাটোর

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url