ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন [নতুন বিজ্ঞপ্তি]
ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন সম্পর্কে আপনারা অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না। তাই আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন সম্পর্কে। ইতালি ভিসা খরচ ও আবেদন 2023 সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়বেন। আশা করছি এই সম্পর্কে আপনারা ভালো একটা ধারণা লাভ করতে পারবেন।
আর্টিকেল সূচিপত্র (যে অংশ পড়তে চান তার ওপর ক্লিক করুন)
- ইতালি ভিসা
- ইতালি স্পন্সর ভিসা
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভিসা খরচ
- ভিসা পাওয়ার উপায়
- আবেদন ফরম
- আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
১.ইতালি ভিসা | ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
বাংলাদেশ দূতাবাস ইতালির আসল বিজ্ঞাপন দেখুন
বর্তমানে ইতালি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। এটি ২০২৩ সালের ২৭ মার্চে শুরু হয়েছে চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।আপনি চাইলে এখন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে আবদন করতে পারবেন। ইতালি শ্রম ও সামাজিক পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট ৩৮,৭০৫ জন শ্রমিক নেবে বলে তারা নিশ্চিত করেছে স্পন্সর ভিসা মাধ্যমে। এর মধ্যে সড়ক ও যোগাযোগ এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই সাথে আরো অন্যান্য ক্যাটাগরির কাজগুলোতে ও শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে ইতালি শ্রম ও সামাজিক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে ইতালিতে কর্মী সংকট প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে। অনেক ক্যাটাগরি আছে যেগুলোতে বর্তমানে একেবারেই পদ শূন্য রয়েছে।২০২৩ সালের পরে নতুনভাবে আরো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পাওয়া যাবে বলে তারা নিশ্চিত করেছে। এক্ষেত্রে ডাইভিং সহ অন্যান্য বর্তমানে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োগ চলছে।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে?
২.ইতালি স্পন্সর ভিসা | ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
কোন রকমের ঝুঁকি ছাড়া সরাসরি ইতালিতে বৈধভাবে প্রবেশের নাম হল স্পন্সর ভিসা। প্রত্যেক বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে ইতালিতে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে ইতালি সরকার। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উক্ত বিজ্ঞপ্তি গুলো প্রকাশ করা হয়ে থাকে।ইতালিতে যারা বৈধ ভাবে এবং সঠিক নিয়মে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কাজ করতে চায় তাহলে স্পন্সর ভিসা হচ্ছে অন্যতম একটি মাধ্যম। ইতালিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই স্পন্সর ভিসা এবং সিজনাল বা নন সিজনাল নিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করতে হবে। তাছাড়া অবৈধভাবে ইতালিতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।
ইতালি স্পন্সর ভিসার খরচ পড়বে ৩-৪ লাখ টাকার মতো। এক্ষেত্রে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এই খরচ পড়বে। তাছাড়া যদি আপনি দেশের বাহির থেকে যেতে চান তাহলে খরচ ৩ লাখ টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। দুবাই সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ থেকেও ইতালিতে স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।তবে যদি আপনি অন্যান্য দেশের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনাকে সে দেশের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আপনাকে স্পন্সর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সে দেশের অনেক এজেন্সি রয়েছে। ওই এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে থাকে এবং কোম্পানির মাধ্যমে আপনারা ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন তবে খরচ কিছুটা বেশি লাগতে পারে।
৩.প্রয়োজনীয় কাগজপত্র | ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
ইতালি স্পন্সর ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন আছে। এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো নিয়েই দূতাবাসের মাধ্যমে তা জমা দিতে হবে এবং সেইসাথে আপনার কি কি কাগজপত্র জমা দেয়া লাগবে তা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
- ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট
- ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডি কার্ডের ফটোকপি
- বর্তমানে কর্মরত তার প্রমান
- বিদেশে কর্মরত থাকলে তার প্রমান
উক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনারা স্পন্সর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে উক্ত কাগজপত্র গুলোতে যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে অগ্রিম ভাবে তা ঠিক করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি শেখার সহজ উপায়
৪.ভিসা খরচ | ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
- বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আপনার প্রথমে খরচ হবে ৩০০ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় 34,000 টাকা
- এরপরে ভিসা ফি - ৫০০০৳
- সার্ভিস চার্জ - ৩৮০০৳
- ব্যাংক ড্রাফট - ২৭০৳
- সর্বমোট - প্রায় ৪৩,০০০৳ খরচ হবে
ইতালির বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি সিজনাল ভিসা আর অন্যটি নন সিজনাল ভিসা। সিজনাল ভিসা হলো এমন প্রকারের ভিসা, আপনি ৬ থেকে ৯ মাস সেখানে গিয়ে থাকতে পারবেন। এর বেশি সময় থাকার জন্য আপনাকে পারমিশন দেয়া হবে না।
আর নন সিজনাল ভিসা হল আনলিমিটেড। এখানে আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী থাকতে পারবেন। এখানে আপনার কোন সময় নির্ধারণ থাকবে না।
সিজনাল ভিসার মধ্যে পড়ে পড়াশোনা, চিকিৎসা ও ভ্রমণ ভিসা। আর নন সিজনাল ভিসা হলো কাজের ভিসা। সিজনাল ভিসার জন্য খরচ পরে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। আর নন সিজনাল ভিসার জন্য খরচ পরে ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকা। তবে ইতালি নন সিজনাল ভিসা খুব কম পাওয়া যায়। যদি আপনার কোন নিকট আত্মীয় ইতালি থেকে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনি নন সিজনাল ভিসায় যেতে পারবেন খুব সহজে।
নন সিজনাল ভিসা পাওয়া কষ্ট হওয়ার কারণে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে ইতালি যায়। উদাহরণস্বরূপ দুবাই থেকে ইতালি যাওয়া খুবই সহজ। আবার অনেকে ইরাক থেকে ইতালি যেয়ে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে অনেক রিস্ক থাকে। বাংলাদেশের অসংখ্য যুবক তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে ইতালি যায়। তবে বৈধ পথে ইতালি যাওয়ার সবচেয়ে ভাল। কারণ এতে কোন জীবনের ঝুঁকি থাকে না।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মুড সুইং এর আসল কারণ
৫.ভিসা পাওয়ার উপায় | ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
ইতালির স্পন্সর ভিসা পাওয়ার জন্য ইতালিতে অবস্থিত লয়ারের মাধ্যমে আবেদন করা সব চেয়ে কার্্যকরী কিন্তু এখন আপনাদের প্রশ্ন হলো কীভাবে উক্ত লয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করব, তারা তো ইতালিতে বসবাস করে। আপনি আপনার বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে বা ইতালিতে অবস্থিত আত্মিয়দের সাথে যোগাযোগ করে ইতালির লয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করবেন। ইতালিতে আপনার কেউ পরিচিত আত্মিয় না থাকলে বিভিন্ন বিশ্বস্ত এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিশ্বস্ততা।
নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইতালি স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বছরের শুরুতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমে আপনারা স্পন্সর ভিসার আবেদন দেখতে পাবেন। এক্ষেত্রে সরাসরি আপনারা সরকারি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন। তাহলে আপনাদের সুযোগ সুবিধা বেশি পাবেন এবং কম খরচের মধ্যে ইতালিতে স্পন্সর ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে আগেই বলে রাখা উচিত যে বর্তমানে যারা বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছে তাদের সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে যারা নতুন তাদের জন্য উক্ত কাজগুলোতে অবশ্যই প্রশিক্ষণ থাকতে হবে এবং সেই সাথে অবশ্যই একটি বৈধতার প্রমাণ হিসাবে আপনি কাগজ বা সনদ সংগ্রহ করতে হবে। তাহলেই স্পন্সর ভিসা পাওয়া আপনার জন্য সহজ হবে।
৬.ভিসা আবেদন | ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন
নিচের লিংকে ক্লিক করে ইতালির ভিসা আবেদন করতে পারবেন
নতুন বছরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেখার পরে আপনার প্রয়োজনীয় কাজের প্রমাণ স্বরূপ একটি সনদ সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল রিপোর্ট সহ যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে আপনারা সরাসরি ইতালি দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অনলাইন থেকে ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
পরবর্তীতে আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ভাইভার জন্য ডাকা হবে এবং সেখানে আপনার ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পন্ন হয়ে গেলেই আপনি ইতালির স্পন্সর ভিসা নিয়ে আপনি ইতালিতে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন। সরকারিভাবে স্পন্সর ভিসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার একেবারে কম খরচ পড়বে এবং সেইসাথে সুযোগ সুবিধাও বেশি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
৭.আর্টিকেল সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর | ইতালি ভিসা খরচ 2023
প্রশ্ন ১:ইতালি ভিসা আবেদন কবে শুরু হয়েছে?
উত্তর:জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন ২:নন সিজনাল ভিসার জন্য খরচ কত টাকা?
উত্তর:নন সিজনাল ভিসার জন্য খরচ পরে ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকা।
প্রশ্ন ৩:সিজনাল ভিসার জন্য খরচ কত টাকা?
উত্তর:সিজনাল ভিসার জন্য খরচ পরে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ
৮. লেখকের মন্তব্য | ইতালি ভিসা খরচ 2023
আজকে আমরা আলোচনা করলাম ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন সম্পর্কে। আশা করছি ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৩ আবেদন সম্পর্কে আপনারা ভালো একটি ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। ইতালি ভিসা খরচ 2023 সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে সেটি আমাদের জানাতে পারেন। এছাড়াও যে কোন সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট THE DU SPEECH ভিজিট করবেন।
আর্টিকেলটি লিখেছেন: নুসরাত জাহান হিভা
পড়াশোনা করছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
লেখকের জেলার নাম: কুমিল্লা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্টিকেল রাইটিং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন
পড়াশোনা করছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জেলা: নাটোর
আরও পড়ুনঃ আক্কেল দাতের সমস্যায় যা যা করবেন
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url